পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

ছোটবেলার রথ বলতে সন্ধেবেলায় রথ সাজিয়ে, কাসর ঘণ্টা বাজিয়ে দোরে দোরে যাওয়া ও পাড়া ঘোরা। পাঠ্যসূচির বাইরে, টিউশন জগতের ঘেরাটোপে জানা - শেখা নয়। আবেগ অত্যন্ত ঘন, উদ্দামতায় এক চিলতে যেন ঘাটতি নেই। ঝটপট রথ কিনে, বিকেলের মধ্যে সমাদরে সাজানো আর পথসাথী জোগাড় করে পথে নেমে পড়া। রথ গেছে কিছুদিন হলো, ছোটবেলার রথের সেই স্মৃতি নিয়ে আখ্যান লিখলেন কৌশিক সেন।

Read more


আজকাল নরেন্দ্র মোদিরা এমন হাবভাব করছেন যে মনে হচ্ছে বুঝিবা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় নতুনভাবে গড়ে তোলাটা বিজেপির পরিকল্পনা। কিন্তু আসলে সে পরিকল্পনা পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের। ২০০৭-এ অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়া শীর্ষ বৈঠকে ভারতের বিহার রাজ্যে প্রাচীন নালন্দা মহাবিহারের কাছেই নালন্দার নামে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা আলোচনা হয়। দক্ষিণ এশিয় দেশগুলি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়। ২০২৪ সালে একটা ভবন উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী হিন্দু-মুসলমান খেলতে শুরু করে দিলেন। ভাষণ দিলেন নালন্দা গৌরব তারা ফিরিয়ে আনবেন।

Read more


এপার বাংলার মানুষ যেমন নববর্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন ঠিক তেমনি ওপার বাংলার বাঙালিরাও মেতে ওঠেন বর্ষবরণের উৎসবে। নববর্ষের দিন রমনার বটমূলে ছায়ানটের গানের অনুষ্ঠান হয়। সূর্য উঠার সাথে সাথে নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় রমনার বটমূল গানে গানে মুখরিত হয়ে উঠে। সকলে মিলে একই সুরে গেয়ে ওঠে-“এসো, হে বৈশাখ এসো এসো”। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ গ্রামীন সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন মুখোশ ও মুর্তি বানায়, যা ঢাকার রাস্তায় বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় ব্যবহার করা হয়। তার নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন সব ধর্মের মানুষ। এখানেই উৎসব হারিয়ে দেয় ধর্মকে।

Read more


ইদ সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। আমরা যারা নানান ধর্মের মানুষ এক গ্রামে কিম্বা এক এলাকায় থাকি তাদের মধ্যে ইদের আনন্দ ভাগ হয়ে গিয়ে আনন্দ আরও বেড়ে যায়। রামুমুচির বছরের সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা হয় ইদের আগের কটাদিন। হরেন দর্জির তো ক-দিন ঘুম থাকে না চোখে। বিভাজনের এই সময়ে, আসুন না একটু জেনে নেওয়া যাক, আমাদের প্রতিবেশীর একটি উৎসব ইদ সম্পর্কে।

Read more


এই বাংলায় বহু অবাঙালি মানুষের বাস, তাঁদের অনেকেরই পেশা অন্যরকম, তাঁদের জীবনযাত্রা কেমন, আমরা কোনোদিন কি জানতে চেয়েছি? এই নির্বাচনের আবহাওয়ায়, বহিরাগত, বাংলা বিরোধী ইত্যাদি অনেক শব্দ ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভিন রাজ্যের গাঁ গঞ্জের শ্রমজীবী হতদরিদ্র মানুষের 'নিজের ঠাঁই' হয়ে থাকবে তো আমাদের বাংলা? বাংলা নিশ্চিত তাঁর আঁচল দিয়ে এই মানুষদের আড়াল করবে।

Read more


এমনিতে শ্রীমতী মহুয়া মৈত্রকে বিজেপি তাঁর তীক্ষ্ণ ভাষণের জন্য দুচোক্ষে দেখতে পারে না। তাঁকে লোকসভা থেকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েও তাঁদের সাধ মেটেনি, ইডি সিবিআই লেলিয়ে জেলে না পুরলে শান্তি নেই আর সে কথা ওই টেলিফোন বাৰ্তালাপেও শুনিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁর মতো জোরালো প্রার্থীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পরিচয়হীন কোথাকার এক রাজপরিবারের না জানি কতপুরুষের প্রতিনিধিকে খাড়া করতে গেলে যে একটা এড অন ন্যারেটিভের ঠেকনো তো দরকারই। নইলে শ্রীমতী মহুয়া মৈত্রর ড্যাং ড্যাং করে জেতা দাঁড়িয়ে দেখতে হয় যে।

Read more


মসুও উপজাতি প্রাচীন সম্প্রদায়ভুক্ত ছোট্ট একটা জনপদ। মূলত স্বনির্ভর। কৃষিকাজ যাদের মূল জীবিকা। এঁদের জীবন আবর্তিত হয় কঠোর ধর্মবিশ্বাস আর বিশেষ এক সংস্কৃতিকে ঘিরে। ভাবলে অবাক লাগে পিতা ছাড়া একটি সমাজ! যেখানে বিবাহ নেই অথচ সন্তান আছে। এঁরা একক পরিবারের পরিবর্তে যৌথ পরিবারে বিশ্বাসী। নারী দিবসের প্রাক্কালে এই গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি থাকলো।

Read more


বাংলার পুতুলের চেহারাতে যত বৈচিত্র্য নামেও ঠিক ততটাই। প্রত্যেকেই নিজ বৈশিষ্ট্যে ঐতিহ্যশালী। প্রত্যেকেরই নিজস্ব ইতিহাস আছে। এ রকমই একটি পুতুল ‘রানি পুতুল’ - যার বিচরণ ছিল রানির মতন। এই পুতুল ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। বহুদিন আগে হাওড়া জেলার মৃৎ শিল্পীরা দুখোল ছাঁচের এক ধরনের পোড়ামাটির মেয়ে পুতুল বানানো শুরু করেন। এর গড়ন খানিকটা ষষ্ঠী পুতুলের মত হলেও এটি ষষ্ঠী পুতুল নয়। পুতুলের রং গোলাপি। শিল্পীরা আদর করে এই পুতুলের নাম দিয়েছিলেন ‘রানি পুতুল’।

Read more


রাম কে? রাম হলেন একজন তৃপ্ত রাজা - তপস্বী রাজা, যিনি খাওয়ার পরিবর্তে খাওয়ান, তথাপিও তার সবসময় যথেষ্ট সম্পদ থাকে। রামায়ণ উচ্চাকাঙ্ক্ষাহীন একজন রাজার গল্প। কোনো আত্মতৃপ্ত বা অলস রাজা নয়, একজন সহানুভূতিশীল রাজা – অন্য মানুষের ক্ষুধার প্রতি সংবেদনশীল এক রাজা। আজকে যাঁরা রামের নামে জয়ধ্বনি করছে, তাঁরা কি এই গল্পগুলো জানে?

Read more


রামায়ণের মহানায়ক শ্রীরামচন্দ্রের আর এক নাম 'রাম হায়দার' যদি বলি তবে কি সেটা সোনার পাথরবাটির মত শুনতে লাগবে? অবিশ্বাস্য মনে হবে? ইয়েমেন দেশে প্রচলিত রামায়ণ কাহিনির শরণাপন্ন হলে এই ধোঁয়াশা কেটে যেতে বাধ্য। তার জন্য অবশ্যপাঠ্য ত্রয়োদশ শতকের প্রথম দিকে আরব ভূখণ্ডে লেখা একটি বই- 'তারিখ আল মুস্তাবসির', লেখক ঐতিহাসিক ইবন আল মুজাহির।

Read more


গ্রামের মেয়েদের দৈনন্দিন সমস্যার অন্যতম হলো রান্নার জন্য রোজকার জ্বালানি। এক বিপুল পরিমান জ্বালানির দরকার হয় তিন বেলা রান্নার জন্য। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাসের কানেকশন তো পেয়েছে কিন্তু সেই গ্যাস ভরানোর সামর্থ্য আর নেই।

Read more


সারাদিন পশ্চিমের জানলার সামনে বসে আছি। নগর কোলাহল আমার পায়ের নিচে, শ্রাবণ শেষের মেঘ মাথার উপরে। এই মেঘ যখন আরও উন্মত্ত, আষাঢ়ের এমন এক দিনে মিলান কুন্দেরা চলে গেলেন। দীর্ঘ অসুস্থতা পেরিয়ে, তিনি যন্ত্রণামুক্ত হলেন। চেকোস্লোভাকিয়ার সবথেকে পরিচিত ঔপন্যাসিক হিসেবে তাঁর আন্তর্জাতিক খ্যাতি – কিন্তু তা বাদ দিয়ে, তিনি আমার খুব আপন জন। তাঁকে আমি মিলান বলে ডাকি, গোপনে। এমনটা কি করে হল? কবে হল?

Read more


সুবর্ণজয়ন্তী সম্মিলনীর দুর্গাপুজো এবার ২৪ বছরে পড়ল, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, তাঁরই কলমে জানা গেল, কীভাবে দুটি ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ, মিলে মিশে দুর্গাপুজো করেন।

Read more


পুজো শেষ হয়েছে। কিন্তু পুজো আসলেই, বিশেষ করে বিশ্বকর্মা পুজো আসলেই কেন যে দাদার কথা মনে পড়ে, কমিউনিষ্ট পার্টি, উদ্বাস্তু কলোনির লড়াই এবং আরো নানান কিছু নিয়ে এই আখ্যান।

Read more


ঘনঘোর বর্ষা বিদায় নিলে আসে শরৎ। আকাশে পেজা তুলার মতো মেঘ ভেসে বেড়ায়। মাটিতে কাশফুল ফোটে। তারই মাঝে মা উমার আগমন ঘটে আমাদের ঘরে ঘরে। কারও কাছে তিনি দেবী হয়ে আসেন। কারও কাছে মা হয়ে আসেন। তো কারও কাছে আসেন কন্যা হয়ে।

Read more


ভোরের আলো ফোটেনি তখনো। ঘোলাটে অন্ধকার। শোবার ঘরের ঠিক পেছনেই শিরাজ দাদুদের গোয়াল ঘর। ও বাড়ির দাদি ভোর ভোর উঠেই গোয়ালের কাজকম্ম সারছিলেন। আব্বুর মুখে শুনেছি বিবাহের পর আমাদের গ্রামের প্রথম মহিলা, যিনি স্বামীর সাইকেলে চড়ে ইশকুল গিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেছেন, তারপর প্রাইমারি ইশকুলে চাকরি। ওই মেয়েবেলায় নারী মুক্তির পথ তখনো মগজে সেঁধোয় নি, তবে বাচ্চা পড়ানো থেকে গরুর লালন পালন, এই বৈচিত্রময় কাজ যে মহিলা করতে পারেন তাঁর প্রতি আমার আলদা একটা সম্ভ্রম তৈরি হয়েছিল বৈকি।

Read more


বাঁ হাতে নাইলনের ঝোলানো ব্যাগ।ব্যাগে সাতটা ছিটেকল, জলের বোতল, ঢাকনিতে সরু সরু গোটা কতক ছিদ্র করা মাঝারি সাইজের প্লাসটিকের কৌটো,বিড়ির প্যাকেট, দেশলাই,আর একখানা গামছা।ডান হাতটা ফাঁকা।মাথার ওপর শেষ ফাল্গুনের চড়বড়ে রোদ নিয়ে নন্দ চলেছে কামডোবের বিলে।নামে কামডোব হলেও আশপাশের গাঁ-গেরামের মানুষের মুখে তা ' কন্ডোবের বিল '।

Read more


একরাশ ঘৃণা আর লালিত বিদ্বেষ গাঁইতি হল। বারবি মসজিদ গুঁড়িয়ে যেতে কতক্ষণ! পূণ্য, - একদিন পাপ হল। মুমিন হলেন স্বয়ং করসেবক। মুসলমান হয়ে বজরঙ্গ দলের কর্মী ইট গাঁথলেন মসজিদে। আরেক ভারতের গল্প। ছবি আঁকলেন কৃষ্ণজিৎ সেনগুপ্ত।

Read more


গোরক্ষক আছে। আছে জ্যান্ত বা মরা গরু। গোরক্ষকের মারের ভয়ে গোয়াল-হারা গরু গেল কোথায়? গরুর মাংস রফতানি করে ভারত যখন তৃতীয়, তখন, অস্পৃশ্যতার অপমানে লাগাতার নির্যাতিত উনার দলিত ত্যাগ করে জাতপাতের ধর্ম।

Read more


সনাতন, ট্রাডিশন, পরম্পরা, কাস্টমস, চিরাচরিত - শব্দ যাই হোক। সনাতন শ্রমিকের না। কৃষক, তাঁতি, মুচি, মেথর, জেলে বা মজদুরের নয়। সনাতন রাজার, রাজার পুরোহিতের, পুরোহিত ঈশ্বরের। 'সনাতন' শব্দে কোতল হয়েছে মানুষের সামগ্রিক অর্জন। শ্রমচুরির এই রীতি,সভ্যতার অর্জন দখলের এই সহজ উপায়টির নামও 'সনাতন' ছবি - কৃষ্ণজিৎ সেনগুপ্ত

Read more


তথাকথিত কোনও রাজনৈতিক দল ও মতের সঙ্গে থাকেননি কখনও। আজও থাকতে চান না। তবে, সময় ও সমাজের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর নিরলস কথা বলার অস্ত্র তাঁর রংতুলি। বিজ্ঞানে ধর্মবাজের দখলদারি কি সম্ভব না হওয়া উচিৎ? প্রশ্ন তুললো কৃষ্ণজিৎ এবং তাঁর ছবি।

Read more

by সুমিত দাস | 02 September, 2023 | 1 Comment(s) | 981 | Tags : Hindu Chand Chandrayan 3


পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা থেকে শুরু হয়ে গণনা শেষ অবধি, হিংসার অনেক ঘটনা শোনা গেছে, কিছু কিছু খবর হয়েছে, কিছু হয়নি, সেইরকম একটি ঘটনার একটি অংশ দেখা গেল, এই প্রতিবেদনে। দেখালেন ঋষি ঘোষ।

Read more


চলে গেলেন ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’ র অন্যতম একটি ঘোড়া তাপস দাস অর্থাৎ আমাদের বাপি। বৃষ্টি স্নাত সন্ধ্যায়, যাদবপুর থেকে গড়িয়া শ্মশান অভিমুখে, শেষ মিছিলে হেঁটে যেতে যেতে যে কথাগুলো মনে হয়েছিল, সেই কথাগুলোকেই লিখে ফেললেন, কবি বিমল দেব।

Read more


আজকের সময়ে সাদাত হাসান মান্টোর লেখা আমাদের প্রত্যেকের পড়া উচিৎ। একজন ঘাতকের মনের ভিতরটা পড়ে ফেলে, তাঁর স্বরূপকে কি প্রক্রিয়ায় পাঠকের সামনে নিয়ে আসা যায়, সেই চেষ্টাই করে গেছেন সাদাত হাসান মান্টো।

Read more


হ্যারি বেলাফন্টে, জন্ম পয়লা মার্চ, ১৯২৭ হারলেম , নিউ ইয়র্ক। মৃত্যু পঁচিশে এপ্রিল, ২০২৩, ম্যানহাটান, নিউ ইয়র্ক। ছিয়ানব্বই বছরের এই মানুষটা ছুঁয়ে গেছে মানুষের জীবন। তিনি পেরেছেন পাল্টে দিতে রাষ্ট্রের রীতি নীতি, লক্ষ মানুষের মন তাদের জীবনবোধ । সারি সারি অট্টালিকার মাঝে তিনি কখনো হারিয়ে যেতে দেননি তার সোনালী বালুচরী নীল সমুদ্র টাকে। আমাদের চির জীবনের বন্ধু বেলাফন্টে তোমাকে সেলাম!

Read more


ঔরঙ্গজেব কট্টরপন্থী মুসলিম ছিলেন বলা হয়। তবে ঔরঙ্গজেবের গোঁড়ামি নিয়ে সাম্প্রতিক কাজকম্ম প্রমাণ করে যে উনি তখ্তে বসে একটা আইনের শাসনই প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন । ব্যক্তিনিরপেক্ষ আইনের শাসনের এই ভাবনা প্রাক আধুনিক যুগে খুবই প্রাগ্রসর হলেও অতিরিক্ত কাজি নির্ভর দূর্নীতিগ্রস্ত এক শাসন কাঠামোর চাপে ভেঙে পড়ে।

Read more


তখন ইন্টারনেটের সময় নয়, কিন্তু তা সত্ত্বেও বেশ কঠিন একটা কাজ করে চলেছিলেন, সন্দীপ দত্ত। মফস্বলবাসীদের লিটিল ম্যাগাজিনও যে সংরক্ষণ করা জরুরী, তা সন্দীপ দত্তই দেখিয়েছিলেন। অনেক বই হয়তো দ্বিতীয় বা তৃতীয় সংস্করণ করা যায়, কিন্তু সন্দীপ দত্তদের কোনও দ্বিতীয় সংস্করণ হয় না। তাঁকে নিয়ে একটি ব্যক্তিগত গদ্য লিখলেন নীহারুল ইসলাম।

Read more


সুবিমল মিশ্র চলে গেলেন। চিরকাল প্রতিষ্ঠান বিরোধী একজন লেখক, সবার অলক্ষ্যেই চলে গেলেন। কলকাতা বইমেলার লিটিল ম্যগাজিনের প্যাভিলিয়নে আর দেখা যাবে না, এই মানুষটিকে। যাঁরা এই সময়ের লেখক এবং পাঠক, তাঁরা একবার অন্তত পড়ে নেবেন, তাঁর 'হারান মাঝির বিধবা বউয়ের মড়া বা...', 'রামায়ণ চামারের গল্প...' ও 'পতন অভ্যুদয়..' ইত্যাদি গ্রন্থগুলো, সেই কথা মাথায় রেখে এই লেখা। মাটি নড়ে মাটি লড়ে

Read more


 ১ স্বমেহনে ভারমুক্ত হয়ে লেখার প্লট এ আবার মন বসাতে চেষ্টা করে রাজনৈতিক প্রবন্ধকার রাজিউদ্দীন আহমদ রাজু। কিন্তু কিছুতেই মন বসাতে পারে না। লেখার সূত্রগুলো সুতা ছেঁড়া ঘুড়ির মত উড়ে ফুঁড়ে কেবলই হারিয়ে যাচ্ছে হেথায় হোথায়। অক্ষরগুলোকে বিক্ষিপ্ত লাগছে। যেন নাচছে, গাইছে। কখনও ছোট হয়ে তলিয়ে যাচ্ছে আবার কখনও বিকট বড় হয়ে মুখব্যাদান করছে ল্যাপটপের পর্দায়। বিপর্যস্ত হাতের চাপে ককিয়ে উঠছে মাউস। রাজু বুঝতে পারে হিমবাহ গতিতে ধমনী বেয়ে নেমে আসছে অবসাদ। তাৎক্ষণিক তৎপরতায় এ অবসাদ এখুনি ঝেড়ে ফেলতে না পারলে মানসিকভাবে ও অসুস্থ হয়ে পড়বে।   

Read more


সময়ের দিকে তাকিয়ে দেখলে মৌসুমী ভৌমিক একটি অনন্য ছাপ রেখে চলেছেন। ১৯৯২ সাল পরবর্তী বাংলা গানের মেজাজে যে পরিবর্তন চিহ্নিত হল, তাতে শহরের যাপন, বাম রাজনীতির স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের কথা কিম্বা শহরকে ভালবাসার যে অনাবিল মুহূর্তগুলি তৈরি হল তার মধ্যে মহিলা যাপনের সুখদুঃখ-বেদনানুভূতির এক অচেনা সমারোহে নিয়ে মৌসুমীর গানে ধরা দিল, আর আমরা পেলাম মৌসুমী ভৌমিকের গান।

Read more


কন্যাশ্রীর জন্যে মেয়ের গার্জেন হয়ে টিপ ছাপ দিয়ে ব্যাঙ্কের বই খোলা-সে ও মায়েরা। এরপর খাদ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার , দুয়ারে সরকারের জন্যে দেশে ফোন করে তারিখ জেনে কাজের বাড়ি থেকে ছুটি নিয়ে দেশে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানো-সে ও মেয়েরা। মহল্লায় কারও কিছু হলে মেয়েরাই চেঁচামেচি করে লোকজন ডেকে হাসপাতালে পাঠায়।

Read more


সব রাতের শেষে ভোর আছে, তাই আজও চাষা আশায় বাঁচে। ঘটনার পরের দিনই আমার ঘরের কাজে ঠিক যোগ দিতে চলে এসেছিলেন সব কাকুরা। যেন আমরা একসাথে ঘর বানাবই, থাকবই একসাথে এটা জানান দিতে।এলাকার মানুষ আর প্রশাসনের উদ্যোগে গঠিত হল শান্তিরক্ষা কমিটি। মিটিং হলো বেশ কয়েকটি। হার না মানা আমার গ্রাম মুছে ফেলে দিতে চাইল সেই অন্ধকার রাতের সেই ক্ষতগুলো। কালী পুজোয় দেখলাম আমার পাশের বাড়ির মুসলমান মেয়েটি গেল মেলা ঘুরতে। আমিও জ্বালালাম আলো। শান্তিরক্ষা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত হলো রাখী বন্ধন উৎসব।

Read more


অধ্যাপক রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের কাছে এস্টাবলিশমেন্ট বিরোধিতা নেহাত মুখের বুলি ছিল না; সে-ছাপ পড়েছে রামকৃষ্ণবাবুর সামগ্রিক জীবনচর্যায়, পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক বিরল ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য— একইসঙ্গে আপসহীন ও সোচ্চার।      

Read more


আনন্দমোহন কলেজে ক্লাসভর্তি দুর্বল ছাত্রর দল । স্যর পড়াতেন এমনভাবে যেন সকলেই চেষ্টা করলে অনার্স পেয়ে যাবে । প্রতিটি ছাত্রর অন্তর জানত এই মানুষটির বিপুল হৃদয়ের খবর । তবে সাহস করে সেই রাশভারি আবরণ পেরিয়ে অনেকেরই পৌঁছনো হতো না স্যরের কাছে । জ্ঞান এবং সচ্ছলতায় পেছিয়ে পড়া ছাত্রকুল আজন্ম কুন্ঠিত । যে কয়েকজন সেই দ্বিধার গণ্ডি ডিঙিয়ে স্যরের সান্নিধ্য-সীমা ছুঁয়েছে সাহস করে, তারা চিনেছে অন্য এক পৃথিবী

Read more


দুর্গা-মহিষাসুরে গল্প আমাদের জানা। দেবতা-অসুর দ্বন্দ্বের চলমানাতায় সেই গল্প পল্লবিত হয়েছে। 'মিথ' ভেঙে যে ইতিহাসে সমাজ-ইতিহাসকারেরা আমাদের জানিয়েছেন, তা হল জল-জমি-জঙ্গল দখল করবার ইতিহাস। 'আর্যদের' আক্রমণ। জল-জমি-জঙ্গলের অধিকার কায়েম রাখার জন্য 'অনার্যদের' প্রতিরোধ। আর্যদের দিক থেকে 'মহিষাসুর বধ' গৌরবকথা। উৎসবের উপলক্ষ্য।

Read more


ধর্ম ধর্মের জায়গাতেই থাক,একে অপরের আনন্দে আমরা যদি সামিল না হই,তাহলে আমরা আপন হবো কী করে! পুজোর নিমন্ত্রণে বন্ধুর বাড়ি গিয়ে পেটপুরে খেয়ে আসি লুচি-বন্দে,মিস্টি,আবার ঈদের সময় আমি নিমন্ত্রণ করি বন্ধুদের। আমার বাড়িতে খেয়ে যায় লাচ্ছা,সেমাই,পোলাও। আমাদের মেলামেশায় কখনও তো 'আমরা-ওরা' শব্দটা আসে না! আবুল কাকার দোকানে যখন বামুন বাড়ির বউটা চিনি,মুসুরি,তেল,নুন কিনে নিয়ে যায়,তখন তো আমাদের কোনও ভেদাভেদ থাকে না।

Read more


চাঁদ সাড়ে ঊনত্রিশ দিনে একবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে, সেই দিন ঘিরেই আসে ধর্মীয় উৎসব। যদিও উৎসব শুরু হলে তাতে ধর্মের বাতাবরণ থাকে না, বা যতটা থাকে সেটুকু সেরে নেওয়া যায় স্বল্প সময়েই। বাকিটা উচ্ছ্বাস। যেহেতু বিষয়টি চাঁদের সাথে সম্পর্কিত সেহেতু বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান একই দিনে পড়ে যায়। কুরবানির ঈদ, দুর্গোৎসব। আশুরার সাথে দুর্গোৎসব। প্রবারণা পূর্ণিমা, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবি, লক্ষ্মীপুজোও হয়ে যায় একই সময়ে, ভালোবাসা আছে বলে, যার যার উৎসব আগিয়ে পিছিয়ে আমরা ঠিক আনন্দের সাথে উদযাপন করি। আনন্দ বা শোক ঠিকই যার যার জায়গায় রেখেই বয়ে যায় যে যার মতো। শুনিনি কেউ উচ্চরব তুলেছে অন্যের বিরুদ্ধে।

Read more


পুজোর দিনগুলোতে টিউবলাইটের নিয়ন আলোতেও দেখতে পেতাম চেনা, অচেনা মুখগুলোতে খুশির ঝলকানি। এক পোয়া জিলিপি আর আড়াইশো মিহিদানা এই দুটো ছিলো মাস্ট বাই এর লিস্টে প্রথম দিকে। আমার পাড়ার কারো বাড়িতে তখন মূল ফটক বা দরজা ছিলো না। একটা বাড়িতে ঢুকলে ,সব বাড়ি বেড়িয়ে পাড়ার শেষ বাড়ি পর্যন্ত যাওয়া যেত। হাটখোলা মন। খিড়কি, দরজা বিহীন। ঠাকুর দেখে ফিরলেই আমার নানীর প্রথম প্রশ্ন, কী আইনছেন মোর তানে? এক অন্য পুজোর গল্প...

Read more


স্বামী বিবেকানন্দ ব্রহ্মচারিণীগণের জন্য মঠ প্রতিষ্ঠার সঙ্কল্প করিয়াছিলেন, ঐ সঙ্কল্পকে ভিত্তি করিয়াই নিবেদিতা এই বিদ্যালয়ের স্থাপনা করিয়াছিলেন। এই বিদ্যালয়ের কার্য্যেই নিবেদিতা তাঁহার জীবন উৎসর্গ করিয়াছিলেন, এবং এই বিদ্যালয়ের কার্য্যেই তাঁহার জীবনদানও করিয়া গিয়াছেন। বোসপাড়ার একটী ছোট গলি, তাহার ভিতর একটী ক্ষুদ্র বিদ্যালয় এবং নিবেদিতার ন্যায় অসাধারণ প্রতিভাশালিনী একান্ত নিষ্ঠাব্রতাবলম্বিনী রমণী, যাঁহার পক্ষে পৃথিবীতে কোন কার্য্যে সফল হওয়াই অসম্ভব ছিল না,—নিবেদিতা তাঁহার সমস্ত জীবন ঐ ক্ষুদ্র বিদ্যালয়ের জন্য দান করিয়া গিয়াছেন।

Read more


কেউ কি মনে রেখেছে মহেঞ্জোদারো আবিষ্কারকের কথা। ছোটবেলায় পড়েছে সবাই রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় আবিষ্কার করেছিলেন মহেঞ্জোদারো। কিন্তু তাঁর জন্মদিন, তাঁর জীবন এসব নিয়ে চিন্তিত নয় বাংলার সমাজ। গত ১২ এপ্রিল তাঁর ১৩৭ তম জন্মদিন চলে গেল নি:শব্দে। আধুনিক ইতিহাস চর্চার অন্যতম নক্ষত্র প্রাচীন লিপি ও মুদ্রার একজন জহুরিও ছিলেন তিনি। তিনি প্রয়াত হয়েছেন আজ থেকে ৯২ বছর আগে ২৩ মে। মাত্র ৪৫ বছরের জীবনকালে ইতিহাসচর্চায় ছাপ রেখে গেছেন এই কৃতি বাঙালী।

Read more


যুদ্ধ শেষ, নাৎসি বাহিনী পরাজিত, কিন্তু নাৎসিবাদের হাত থেকে পরিত্রাণ মিলবে না সহজে। বহু তরুণের নবীন চেতনা আর বুদ্ধিকে বিষিয়ে তোলার ক্ষমতা তারা আজও রাখে। নাৎসিবাহিনীর থেকে কিছু কম ভয়ঙ্কর নয় নাৎসি মতাদর্শ। জার্মানি ইয়ার জিরো, রবার্তো রোজেলিনি’র এই ছবিটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দেখা যাবে আজকের ভারতবর্ষ যখন এই হিন্দুত্ববাদী বিজেপি আরএসএসের কবল থেকে মুক্তি পাবে, তখন কি থাকবে? কি অদ্ভুত সাদৃশ্য। আলোচনা করলেন মানস ঘোষ।

Read more


গত দু'বছর লকডাউনে কেটে গেল। এবারের ইদে কোরোনার ভয় তেমন নেই। বুলডোজারের ভয় রয়েছে। তবে ভয় কী আর উৎসবকে মাটি করতে পারে? কথা হচ্ছিল পচার সঙ্গে। পচা একজন দর্জি। ইদে বউ-এর জন্য নাইটি কিনতে এসেছে। নিজে কিনেছে একখানা সাদা থামি(লুঙ্গি)।

Read more


মফস্বলে নারায়ণ দেবনাথের জন্ম ১৯২৫ সালে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একই অঞ্চলে অনাড়ম্বর জীবন কাটিয়েছেন তিনি। ঘিঞ্জি গলির ভেতরে দোকানপাট, লোকজন এবং তাদের হাসি মশকরার যে উপাদান তিনি পেয়েছেন, যথেচ্ছভাবে কাজে লাগিয়েছেন তার কার্টুনস্ট্রিপের চরিত্রায়নে।

Read more


আমাদের জীবনের নানা অভিজ্ঞতা আমাদের শিখিয়েছে আন্দোলনের শেষ হয় না। হয় শুধু শুরুয়াত। জলঙ্গির বাঁধালই একমাত্র সমস্যা নয়। নদীর দূষণ, নদীর পাশে অবৈধ ইঁটভাটা গুলোর দিনের আলোতে নদীর পার কেটে মাটি চুরি, নদীর পাড়ে অবৈধ নির্মাণ, নদী বুজিয়ে রাস্তা করা এমন হাজারো সমস্যা নদী জীবনে অনেক থাকে। সেই নদী বাঁচানোর জন্য কতটা পথ হাঁটতে হয়? লিখলেন সুপ্রতিম কর্মকার ছবি আঁকলেন লাবণী জঙ্গী

Read more


১৮৬০ এর রাশিয়ায় বিপ্লবী আদর্শ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এক নতুন ধরনের চিন্তাধারা – নিহিলিজম। এই মতবাদের পক্ষে বিপক্ষে কলম ধরেন তুর্গেনিভ, চেরনিশেভস্কি, দস্তয়েভস্কির মত সেকালের শ্রেষ্ঠ সাহিত্য প্রতিভারা। পরপর তিন বছরে প্রকাশিত তিনটি ক্লাসিকে নিহিলিজমকে তিনটি আলাদা আলাদা দৃষ্টিকোণে দেখা হয়। ১৮৬২ তে তুর্গেনিভের ‘পিতা-পুত্র’ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। ১৮৬৩ তে তার জবাব হিসেবে চেরনিশেভস্কি লেখেন ‘হোয়াট ইজ টু বি ডান’ এবং পরের বছর, ১৮৬৪ সালে তার প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায় দস্তয়েভস্কির বিখ্যাত উপন্যাস ‘নোটস ফ্রম দ্য আন্ডারগ্রাউন্ড’ এর মধ্যে। আখ্যানের বাইরে সাহিত্য সমালোচনার জগতেও বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিতর্কর ঝড় বইতে থাকে।

Read more


আমরা সাধারণত দেশ ভাগ নিয়ে যে সব লেখা পড়েছি তা মূলত পূর্ববঙ্গ থেকে পশ্চিমবঙ্গে চলে যাওয়া হিন্দুদের দুর্দশা ও বেদনা নিয়ে। হাসান আজিজুল হক মুদ্রার অন্য পিঠ। তাঁর লেখায় মুসলমান পরিবারের ওপারে চলে যাওয়ার বেদনাক্লিষ্ট আখ্যান চিত্রিত হয়েছে।

Read more


অনলাইনে মোচা পৌঁছে যায় ডোর টু ডোর । হাফদামে লেগিংস, কুর্তা, প্লাজো পেয়ে উদ্বেল জেন এক্স । অথচ চোখের সামনে ম‍্যাজিকের মত উধাও হল শহরের ফেরিওয়ালা । ফুটপাথ জুড়ে ছড়িয়ে বসা ক্ষুদ্র দোকানি মাথা নীচু করে ফিরে গেল গ্রামে ।

Read more


২০১১, পুরুলিয়ায় শুরু হল হুদুর দুর্গা স্মরণ। মহিষাসুরকে হত্যা যে আর্য আগ্রাসনেরই প্রতীক, এই আলোচনায় তা নিয়ে আলোকপাতের প্রয়োজনীয়তা দেখছি না। বরং, অসুর, রাবন, চণ্ড, মুণ্ড, ডাকিনী, যোগিনী, শুম্ভ, নিশুম্ভদের রূপকের আড়ালে ভারতীয় উপমহাদেশের মূলনিবাসীদের দমনের যে পরম্পরা রচিত হয়েছে - তার বিপ্রতীপে আধুনিক সময়কালে সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ নতুন করে জন্ম নিচ্ছে। মহিষাসুর বা হুদুর দুর্গার স্মরণসভার আয়োজন গত ১০ বছরে শুধুই বেড়েছে। লিখলেন সুমিত দাশ

Read more

by সুমিত দাশ | 14 October, 2021 | 2 Comment(s) | 1856 | Tags : mahisasur hudur durga


৬০০ বছর ধরে দুর্গার পুরোহিত জামালের পরিবার, আমরা যখন সম্প্রীতির কথা বলি, তখন কি এই ঘটনাগুলো আমাদের স্মরণে থাকে? আমরা যখন বাঙালী অবাঙালী করি, তখনও কি আমাদের এই রাজস্থানের মন্দিরের ঘটনা মনে থাকে? লিখলেন চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য্য

Read more


‘যাঁরা মহরম এবং পুজো একসঙ্গে সংগঠিত করতে পারেন, তাঁদেরকে কি পরাজিত করা যায়?’ এই কথাগুলোই বলেছিলেন দু বছর আগে দুর্গাপ্রতিমার মুর্তির সামনে তাজিয়া তৈরী করতে করতে, সালাউদ্দিন। ঝকঝকে যুবক, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করেন, বলছিলেন, ‘এই বছর খুব খারাপ অবস্থা, যৌনকর্মীদের রোজগার প্রায় নেই, তাই আপনাদের সাহায্য ছাড়া পুজোর খরচ তোলা মুশকিল’। সেই খিদিরপুরের ফাইভ স্টার ক্লাবের পুজো নিয়ে লিখলেন সুমন সেনগুপ্ত।

Read more


রামায়ণে দেখা যায়, বিশ্বকর্মা দুটি ধনুকের নির্মাতা। একটি ত্রিপুরাসুর বধের জন্য শিবকে বা প্রযতিকে দেন আর অন্যটি প্রদান করেন বিষ্ণু, দ্য ক্যাপিটালিস্টকে। বিষ্ণু ধনুকটি দেন চিরজীবী পরশুরামকে। রাম শিবের ধনুকটি ভঙ্গ করেন। শিবের ধনুক গেল। রয়ে গেল বিষ্ণুর ধনুক। রাম স্বয়ং বিষ্ণু। বিশ্বকর্মার পুত্র বিশ্বরূপকে ইন্দ্র বধ করেছিলেন। এই বিষ্ণুকে দু ভাবে দেখা যায়। সে প্রসঙ্গে অন্য সময় যাওয়া যায়। মোদ্দা কথা হল, বিশ্বকর্মা হলেন কারিগর। পুঁজির বাজার সেই বিশ্বকর্মাকে আদি থেকেই ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর। মহাভারত অনুযায়ী, কারিগর বিশ্বকর্মা হলেন শিল্পকলার দেবতা। তিনি কর্মী, তাই তাঁর চার বাহু, মাথায় রাজার মুকুট কারণ তিনিই হলেন আসল নরপতি। হাতে জলের কলস, বই, দড়ির ফাঁস আর অন্য হস্তে যন্ত্র। তিনি একাধারে মহাবীর ও দয়াদি অষ্টগুণ যুক্ত । তিনি সৃষ্টির নির্মাতা ও ধাতা। তিনি মান ও দণ্ডধারী মহাশিল্পী। আবার তিনিই মহাযোদ্ধা। এই দণ্ড কী? দণ্ড হল যা ধারণ করে, দণ্ড সকল ক্ষমতার উৎস। এখান থেকেই আসে দণ্ডনীতি বা রাজনীতি। লিখছেন শামিম আহমেদ

Read more


"মানুষ যত চুপ করে থাকে, যত অন্যায় মেনে নেয়ে তত বাড়তে থাকে রাক্ষসদের হম্বিতম্বি ও রাক্ষসদের কর্তাভজা ক্ষোকসদের বিকট কোরাস। ঐ সময় যাঁরা লালকমল, নীলকমল হতে চাইবে তাদের বিবেক সবল ও তরতাজা থাকা দরকার। কোন কোন মানুষের কথা ভাবলে কাজটা করে ফেলা অসম্ভব নয় । সেরকমই একজন মানুষ ছিলেন সরোজ দত্ত। নিজের প্রাণ দিয়ে তিনি জায়গায় করে নিয়েছিলেন জুলিযাস ফুচিক বা গাবরিয়াল পেরীর পাশে"। -----নবারুণ ভট্ট্যাচার্য । কিছু কথা চিরন্তন। ঠিক অর্ধ শতাব্দী আগে আজকের দিনটিতে সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী "নিখোঁজ" হয়ে গিয়েছিলেন কবি, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক কর্মী সরোজ দত্ত। মজে যাওয়া পুকুরের মত নিস্তরঙ্গ সামাজিক রাজনৈতিক মননে প্রবল আলোড়ন আনা সরোজ দত্ত রাষ্ট্রের কাছে ক্রমাগত বিপদের কারণ হয়ে উঠছিলেন। সুতরাং তাঁকে "নিখোঁজ" করে দেওয়া ছাড়া রাষ্ট্রের হাতে আর কোন রাস্তা ছিল না। আজ ৫ই আগস্ট, ২০২১ তাঁর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের কথা লিখলেন সুপ্রিয় চৌধুরী।

Read more


আজকে যখন নবারুণকে দেখা হয় তখন যে সমস্ত ছেলেমেয়েরা নবারুণকে নিয়ে কথা বলে তাদের মধ্যে আমার কিঞ্চিৎ সন্দিগ্ধতা কাজ করে, এই যে উত্তর-বিশ্বায়ন নাগরিক আড্ডা, এই যে সিসিডি বা কাপুচিনোর চুমুকে সাহিত্য পড়ার মরাল-বিলাসিতা সেখানে তো চে গেভারা ভিয়েতনাম সবকিছুই টি-শার্ট। এই যুবক বা যুবতীরা খিস্তি-তরঙ্গেও একপ্রকার অজ্ঞাতকে জানার সুযোগ পেয়ে যায়। তারা নবারুণকে বিপন্ন ঘাতক মনে করবে? চুদুরবুদুর শব্দটি নিয়ে যে রসনাবিলাস তা নিয়ে আমি নবারুণকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, নতুন গন্ধনাশক বা নতুন বাথরুম টাইলসের মতো নতুন এ শহরের ভাষা, উদিয়মান মধ্যবিত্ত তারা তো, বাংলা উপন্যাসের দাম কম, সস্তায় বেঙ্গল প্যাকেজে তোমার কাছ থেকে আমোদ পেয়ে যাচ্ছে। এই আমোদ মধ্যবিত্ত অপরাধবোধকে প্রশমিত করার মুদ্রিত ভায়াগ্রা, যার সম্মানমূল্য আছে, তা কি তুমি জানো না নবারুণ? হয়তো নবারুণ জানতও,

Read more


“কলেয়ান” বা কল্যাণ-গুরু নামে একজন গ্রাচীন সাঁওতাল জ্ঞানবৃদ্ধকে ডেকে মিশনারি সাহেব তার মুখ থেকে সাঁওতালি পুরাণ-কথা এবং সামাজিক রীতি-নীতির কথা শুনে লিপিবদ্ধ করে নেন। বহু দিন ধরে এই বই ইংরেজিতে বা অশ্য কোনও ভাষায় অনূদিত হয়নি, কিন্তু সাঁওতাল ভাষা শিখে নিয়ে অনেকে এই বই ব্যবহার করে আসছেন। অবশেষে ১৯৪২ সালে বিখ্যাত সাঁওতালি-ভাষাবিদ বডিং-এর করা ইংরেজি অনুবাদ স্তেনকন সাহেবের সম্পাদনায় নরওয়ে-দেশের অস্লো শহর থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

Read more


১৮৫৫ সালেই যে সাঁওতাল হুলের সূচনা তা নয়, এর আরও ৭৫ বছর আগে ১৭৮০ সালে সাঁওতাল জননেতা তিলকা মুরমু (যিনি তিলকা মাঞ্জহী নামে পরিচিত)-র নেতৃত্বে শোষকদের বিরুদ্ধে সাঁওতাল গণসংগ্রামের সূচনা হয়। তিনি সর্বপ্রথম সাঁওতাল মুক্তিবাহিনী গঠনের মাধ্যমে পাঁচ বছর ধরে ইংরেজ শাসকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালান। ১৭৮৪ সালের ১৭ জানুয়ারি তাঁর তিরের আঘাতেই ভাগলপুরের ক্লিভল্যান্ড প্রাণ হারান। ১৭৮৫ সালে তিলকা মাঞ্জহী ধরা পড়েন এবং তাঁর ফাঁসি হয়। পরবর্তী সময়ে ১৮১১ সালে বিভিন্ন সাঁওতাল নেতার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। এরপর ১৮২০ সালে তৃতীয়বার এবং ১৮৩১ সালে চতুর্থবার সাঁওতাল গণসংগ্রাম গড়ে ওঠে।

Read more


আমরা বাজারে যাই খালি হাতে। সঙ্গে থলে রাখি না। মাছ-মাংস, সবজি আর যা যা দরকার কিনে আনি প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগে। জিনিসপত্র বাড়ি পৌঁছলেই সেই ক্যারি ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলি বাইরে। বাইরে বাতাস। ক্যারি ব্যাগ বাতাসে উড়ে বেড়ায়। শেষপর্যন্ত তা পশুপক্ষীর গলায় তো বটেই আমাদেরও গলার ফাঁস হয় কিংবা পেটে গিয়ে জমা হয় মৃত্যুর কারণ হিসেবে। আমরা তার হিসেব রাখি না। এত কিছুর পরেও আমরা বাঁচতে চাই। ঘোড়া হাসবে না তো কী! ঘোড়া হাসছে, আমরা কাঁদছি ...

Read more


শঙ্খ ঘোষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সাক্ষাৎ হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ আয়োজিত একটি আলোচনা চক্রে।তখন কাশীশ্বরী কলেজে সবে যোগ দিয়েছি।তাঁর ‘বাবরের প্রার্থনা' প্রকাশিত। কবিতাটা মনে হচ্ছে যেন আমাদের জন্যই লেখা-আমরা যারা সন্তানকে ঘিরে আশঙ্কা আর সংশয় এর মধ্যেই থাকি। কবিতার প্রথম অংশ - ধ্বংস করে দাও আমাকে যদি চাও/ আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক- তখন সবার মুখে মুখে ফেরে।কিন্তু পরের অংশে কবি যখন বলেন- পাথর করে দাও আমাকে নিশ্চল/ আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক- তৎক্ষণাৎ মনে পড়ে যায় বিভূতিভূষণের গল্প 'মেঘমল্লার'-এর সেই যুবকের কথা।সেই প্রদ্যুম্ন-যে আত্মবিস্মৃতা দেবী সরস্বতীকে আবার ফিরিয়ে আনার জন্য শিল্প সংস্কৃতি চর্চার সুস্থ পরিবেশ আবারো পৃথিবী কে উপহার দেওয়ার জন্য নিজেকে পাথর করে ফেলেছিল।

Read more


বাঙালির প্রধান খাদ্যদ্রব্য চালের অভাব দেখা দেওয়ায় ভাতের জন্য সারা বাংলায় হাহাকার পড়ে যায়। গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে দুর্ভিক্ষ। পথে-প্রান্তরে লুটিয়ে পড়তে থাকে না খাওয়া মানুষের দল। এখানে-ওখানে পড়ে থাকতে দেখা যায় হাড্ডিসার লাশের সারি। ওই সময় জরুরি খাদ্য সরবরাহের জন্য চার্চিলের কাছে আবেদন করেও বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে ভারতের তৎকালীন ব্রিটিশ কর্মকর্তারা। বিভিন্ন গ্রাম থেকে তখন বুভুক্ষু হাজার হাজার মানুষ একমুঠো অন্নের আশায় স্রোতের মতো ছুটে আসছে কলকাতার দিকে। দেখা গেছে, ওইসব অভাগা মানুষেরা দলে দলে পথের ওপর পড়ে হয় ধুঁকছে না হয় আবর্জনার পাশে উচ্ছিষ্টে ভাগ বসাতে একে অপরের সঙ্গে লড়ছে। পাশাপাশি ওই একই সময়ে ব্রিটিশ কর্মকর্তা এবং তাদের তোষামুদে অবস্থাপন্ন ভারতীয় লোকজন বাড়িতে বসে ভূরিভোজ করছে।

Read more


বেকারত্ব কুড়ে খাবার এক পূর্বাভাস ঝড়ের মত বয়ে আসছে। তাই আগামী দিনে যে, নতুন নিয়োগের দরজা পুরোপুরি বন্ধ হতে চলেছে,তা নিশ্চিত।ফলে লাফিয়ে বাড়বে স্কুলছুটের সংখ‍্যা।পড়াশুনো বন্ধ করে দেবে এক বিরাট ছাত্রসমাজ।তাই "লেখাপড়া করে যে গাড়িঘোড়া চড়ে সে" বলেও শিশুমনকে পড়াশুনোয় উৎসাহিত করা যাবেনা আর।হয়তো সবশুনে শিশুরাও বলবে,কি হবে লেখাপড়া করে?কাজই তো নেই।এতদিন জীবনে নিজের পায়ে দাঁড়ানো বলতে তারা যা বুঝতো,সময় তাদের শেখাল এই কথা কতটা অর্থহীন।

Read more


ক্রমে বেলাশেষের পাখিরা সঙ্গীদের ডাক দিয়ে বাসায় ফেরে, চারপাশে বিকেলের স্নিগ্ধ হাওয়া বয়, মাধবীলতার সুগন্ধে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে পশ্চিমে সূর্য ঢলে পরে। আশপাশের গ্রাম থেকে আজান আর শাঁখের শব্দ একসাথে শোনা যায়। আকাশের গায়ে এক চিলতে চাঁদ ওঠে। মশাদের আগমনের আগেই ছাদের কাব্যে ছেদ পরে, মাদুর গোটানোর পালা শুরু হয়। কিন্তু দুটো তারা না দেখে কি ঘরে ঢোকা যায়। সেই ছোটবেলার গ্রাম গঞ্জের সংস্কার, এই প্রজন্মও বহন করছে। দুই তারা হয়তো একতার প্রতীক, হয়তো মানুষকে মনে করিয়ে দেওয়া পৃথিবীতে একা একা বাঁচা যায় না। তাই সন্ধ্যাতারা আর তার দোসরকে দেখে তবে লকডাউনের দিনলিপি শেষ হয়। রাত নামে।

Read more


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘মুসলমানীর গল্প’র প্রথমাংশ। গল্পটির রচনাকাল, ২৪-২৫ জুন ১৯৪১, আষাঢ় ১৩৬২। মৃত্যুর মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা শেষ গল্প। আজ যখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্পটির উদ্ধৃতি ব্যবহার করছি তখন দিনপঞ্জির পাতায় খেলা করছে, মে ২০২১, বৈশাখ ১৪২৮। অপেক্ষা করছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মদিন। গল্পের বর্ণনায় রাষ্ট্রশাসন, অপ্রত্যাশিত অত্যাচারের দোলায়িত দিন, অবিশ্বাস আর আশঙ্কার সঙ্গে আজকের সময়ের মিল অনেক। এই মিলের তালিকার সঙ্গে আরও যোগ হয়েছে বীভৎস ও ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। নিকট-অতীতে এমন ভয়ার্ত সময়ের মাঝ দিয়ে মানুষকে যেতে হয়নি।

Read more


আমি চুপ করে আছি। ওরা বললো আমাদের এখন একমাত্র শত্রু ওই যে স্বজাতি হয়ে, সমবয়সী হয়ে, সব সত্য জানার পরেও আমাদের এই জায়গা করে দিয়েছে সেই এখন একমাত্র পিপাসা আমাদের। বললাম সামনে কি দেখেছো শুধু তোমার না গোটা মুসলমান সমাজেরই না গোটা বাঙালির শত্রু এবং চরম শত্রু সে তোমাদের দিকেই তেড়ে আসছে। এখন এই মুহুর্তে একটি তিতুমীর যদি হতে। সম্ভব না, বাঙালির শত্রু ভেবে নবাব সিরাজকে মারতে যে পথ নিয়েছিলো বাঙালি তার নিয়তি আমরা এ প্রজন্ম ভোগ করিনি তাই এহেন এক মুসলমান গ্রামে নিদ্রার চেয়ে নামাজ শ্রেয় এমন ধ্বনির উচ্চারণ করতেই আপন ধ্বংসের বীজ বপনের মহড়া আজ দেখলাম।

Read more


আমার বাবা গুরুচরণ মুর্মু, যিনি ভারতবর্ষের সান্তাল জনগোষ্ঠী থেকে প্রথম আই.পি.এস. অফিসার হন, তাঁর সামাজিক অবমাননা আর প্রাতিষ্ঠানিক বঞ্চনার কথা লিখে উঠলেও, বাবার এই প্রতিরোধ আখ্যানে আমার মায়ের ভূমিকার কথা লেখা হয়নি কখনও। লিখিনি বলাটাই ভাল কারণ আমার মা আখেরে কেমন যেন আর পাঁচজনের মায়ের মতই জীবন কাটান। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সেই মায়ের কথাই শোনা জরুরী। অন্তরালে থাকলেও যাঁদের কথা আজ না বললে হয়তো বাকি থেকে যায় অনেক কথা।

Read more


আজকে যদি আমরা ঋত্বিক ঘটককে সত্যিই ব্যবহার করতে চাই তাহলে দেখা যাবে ঋত্বিক ঘটক একজন চলচ্চিত্রকারমাত্র নন একজন দার্শনিক এবং সত্যিই বিপ্লবের এক ইশতেহার তাঁর মাত্র আটটা ছবি বহন করে চলেছে। এই আটটামাত্র ছবি নিয়ে মহাকালের দরজায় প্রবেশ করা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তারকোভস্কি তাঁর সাতটা ছবি নিয়ে ঋত্বিক তাঁর আটটা ছবি নিয়ে কিভাবে মহাকালের দরজায় কড়া নাড়লেন তা আমরা জানিনা কিন্তু এখন অনেক সময়েই আমার মনে হয় ‘ভারত আবিষ্কার’ বইটা জহরলাল নেহেরুর লেখা হলেও ভারত আবিষ্কার ভিন্নভাবে – প্রকৃত ভারত, ছোটলোকের ভারত, গরিবের ভারত – যে ভারত তার দশ হাজার বছর ধরে তার রক্তধারা প্রবাহিত করে চলেছে সেই ভারতকে সত্যিই চিনতে পেরেছিলেন ঋত্বিক ঘটক।

Read more


বিশাল আমাদের এই দেশে অসংখ্য লোকশিল্পের মধ্যে পটচিত্র এবং পটের গান বহুকাল থেকেই তার অপূর্ব মহিমায় ভাস্বর। শুধু চিত্রই নয়, পটগীতিও তার সৌরভ ছড়িয়ে চলেছে। পটুয়া সমাজে হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ মেলে। এও বাঙালির অন্তরের রক্তক্ষরণের আক্ষরিক দলিল--- রক্ত-মাংসের ইশতিহার অথবা লোকমুখে বাঙালির ধর্মচিন্তা। লিখলেন কৃষ্ণপ্রিয় দাশগুপ্ত ছবি আঁকলেন পার্থ দাশগুপ্ত

Read more


ইশতিহার সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারণা আছে। সেই ধারণাকে পাথেয় করেই আমিও এখানে এই ইশতিহারের অবতারণা করেছি। তবে, খানিক তফাৎ আছে। এই ইশতিহার মিথ্যাচারের ফুলঝুরি নয়। এ হল বাঙালির অন্তরের রক্তক্ষরণের আক্ষরিক দলিল--- রক্ত-মাংসের ইশতিহার অথবা লোকমুখে বাঙালির ধর্মচিন্তা। জারিগানে হিন্দু-মুসলমান লিখলেন কৃষ্ণপ্রিয় দাশগুপ্ত ছবি আঁকলেন পার্থ দাশগুপ্ত

Read more


দেশটাকে হিন্দুরাষ্ট্র বানাবার ফন্দি এঁটেছে সরকার। এই হিন্দুত্ববাদীরা এখন বাংলাকে 'টার্গেট' করেছে। বিষ ছড়িয়ে বাংলার সংস্কৃতিকে উচ্ছন্নে পাঠাতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা। এই সময়ে বিপন্ন সংস্কৃতিকে অস্ত্র করেই রুখে দিতে হবে সবরকম অপচেষ্টা। বাঙালির মনে আর শরীরের কোষে কোষে বহুকাল ধরেই যে 'ধর্মীয়'প্রেক্ষিত জীবন্ত আছে তাকে উন্মুক্ত করেই দাঙ্গাবাজদের মুখোমুখি শক্ত হয়ে দাঁড়াতে হবে। এই লক্ষ্যেই আগমন ইশতিহারের। লিখলেন কৃষ্ণপ্রিয় দাশগুপ্ত ছবি আঁকলেন পার্থ দাশগুপ্ত

Read more


কেবল নির্বাচনের জন্য আমাদের কাছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ইশতিহার হাজির হয়। এই রীতির সঙ্গে আমাদের পরিচয় আছে। ইশতিহার সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারণা আছে। সেই ধারণাকে পাথেয় করেই আমিও এখানে এই ইশতিহারের অবতারণা করেছি। তবে, খানিক তফাৎ আছে। এই ইশতিহার মিথ্যাচারের ফুলঝুরি নয়। এ হল বাঙালির অন্তরের রক্তক্ষরণের আক্ষরিক দলিল--- রক্ত-মাংসের ইশতিহার অথবা লোকমুখে বাঙালির ধর্মচিন্তা। ছবি: পার্থ দাশগুপ্ত লেখা: কৃষ্ণপ্রিয় দাশগুপ্ত

Read more


অটোচালকের হাতে দামি ফোন,দিনমজুরের পিপাসা মেটাচ্ছে বোতলের মিনেরেল ওয়াটার।সুইপার ভাইয়ের মায়ের শ্রাদ্ধে ক‍্যাটারার।বেতন নেই ,আকাশকুসুম স্বপ্ন আছে।স্বপ্নের ভাঙন আছে।এও এক নতুন ধনতন্ত্রের শৃঙ্খল।যেখানে খাদ‍্য আছে খাদক আছে।ওরা বুঝছে কই?

Read more


ওঁর জীবনবোধের মধ্যেই খুব স্বচ্ছ রাজনীতিবোধ ছিল, ফলে ওঁর রাজনৈতিক অবস্থান ছিল খুব স্পষ্ট। সেই অবস্থান থেকে নিরপেক্ষভাবে উনি কিছু জিনিস দেখতে পারতেন। তবে মৌলিক রাজনৈতিক বিশ্বাস থেকে কিন্তু কখনো সরে আসেননি।

Read more


সৌমিত্র-দা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন এবং নিজের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ করতে এবং সমসাময়িক বিষয়গুলিতে অবস্থান নিতে কখনও দ্বিধা করেননি। যখনই কোনও রাজনৈতিক বিষয়ে বিবৃতি দেওয়ার দরকার পড়েছিল, তিনিই প্রথম কাজটি করতেন। তিনি নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন ২০১৯, এবং জাতীয় নাগরিকের নিবন্ধকের (এনআরসি) র বিরুদ্ধে প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন।

Read more


যুধিষ্ঠির ধর্মপুত্র, ভীম কামকে বেশি গুরুত্ব দেন কিন্তু অর্জুন বেশ পণ্ডিত মানুষ, তিনি বলছেন অর্থই হল পরম পুরুষার্থ। অপার্থিব ধনের কথা ঋষিরা ভাবতে পারেন। অর্জুনের মতে, পণ্ডিতরা যাকে ধর্ম বলে মনে করেন তার উদ্ভব ধন থেকেই। ক্ষমতাশালী যাকে ধনে মারে তাকে প্রাণেও মারে এবং তার ধর্মও হরণ করে। অর্থ থেকেই ধর্ম, কাম ও স্বর্গ আসে। আজ দশমী আজ ৫ম ও শেষ পর্ব।

Read more


অত্যাচারী রাজা কংস একদিন দৈববাণী শুনতে পান, দেবকীর অষ্টম সন্তান তাঁকে হত্যা করবেন। তখন তিনি সাবধান হয়ে দেবকী ও তাঁর স্বামী বসুদেবকে কারাগারে বন্দি করেন। বন্দি অবস্থায় তাঁদের ছয়টি সন্তান হয়, প্রত্যেকটি শিশুকে কংস হত্যা করেন। সপ্তম সন্তান বলরাম দেবকীর গর্ভ থেকে প্রতিস্থাপিত হলেন রোহিণীদেবীর গর্ভে। আজ নবমী চতুর্থ পর্ব

Read more


বাঙালির অন্তরের দেবত্বকে নানা রূপে স্বীকার করার ঐতিহ্যে কখনোই ছেদ পড়েনি। বিকাশ ভট্টাচার্যের দুর্গা সিরিজের উপজীব্য উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদ নয়, বরং প্রাত্যাহিক জীবনের নান্দনিকতা। পল্লব ভৌমিকের দুর্গাই হয়তো ভারতমাতা। বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্য রেখে কাজটি সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে সম্পন্ন করেছেন তিনি।

Read more


সাধক বামাচরণ চট্টোপাধ্যায় ওরফে বামা ক্ষ্যাপা বলেছিলেন, নিগমে প্রকৃতি বা শক্তিরূপী দেবী হলেন গুরু আর শিব হলেন শিষ্য আর আগমে শিব গুরু ও দেবী শিষ্য। বামাচারীদের শাস্ত্র হল নিগম আর দক্ষিণাচারীদের আগম। সেই লড়াই চলে। নিগম তো আসলে ওরাল টেক্সট। ওই মৌখিক দর্শনে অভিভূত হয়ে সাধক নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন, "শ্যামা নামে লাগল আগুন/আমার দেহের ধূপকাঠিতে।"

Read more


গ্রামে ছিল বিশালাক্ষী দেবীর মন্দির। বিশালাক্ষী হলেন শিবের স্ত্রী সতীর এক রূপ। সেখানে পূজার সময় বালক গদাধরের ভাবসমাধি হয়। পরে শিবরাত্রি উপলক্ষে যাত্রাপালা হয় গ্রামে। সেখানে তিনি অভিনয় করেন শিবের চরিত্রে। অভিনয় করতে করতে তাঁর এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তার পর থেকে এমন আধ্যাত্মিক চেতনা তাঁর সারা জীবন জুড়ে ব্যাপ্ত হয়। এটি হল রসের চরম এক পর্যায়। আজ সপ্তমী দ্বিতীয় পর্ব।

Read more


বাংলা হল কৃষিপ্রধান দেশ। এবং এই দেশ মাতৃবন্দনা করে, অন্য ভাষায় শক্তির আরাধনা করে। মা, শক্তি (এনার্জি) বা প্রকৃতির সঙ্গে যে প্রত্যয় ওতোপ্রোতোভাবে যুক্ত তা হল প্রযতি বা ইমপালস। প্রযতি বাদ দিয়ে সৃষ্টি সম্ভব নয়। এই প্রযতি হলেন শিব আর মাতৃকা, প্রকৃতি বা শক্তি হলেন কালী। মাতৃবন্দনা নিয়ে আজ প্রথম পর্ব।

Read more


যে কোনো কৌম স্মৃতির শেষে যেভাবে সাজানো থাকে প্রকাণ্ড বাজার, মধুর রস গিয়ে ঠেকে বাৎসল্যে, ঠিক সেই নিয়মেই অধুনা আমরা সকলে দস্তুরমতো গৃহী। পারিবারিক পানাহারের আসরগুলোয় আমাদের সন্তানেরা ঘোরে ফেরে। আমরা সতর্ক থাকি, এইসব আসরে ছেলেমেয়ের সামনে যেন রাজনীতি আলোচিত না হয়। যেন নিউজ চ্যানেল না চলে। ওদের টেকনোপ্রীতি আমাদের মোহিত করে।

Read more


মহাভারতের যুদ্ধ কবে শেষ হবে কে জানে? সেই কোন ছোটবেলা শোনা গল্পের সেই শ্রীকৃষ্ণ। রাজসভায় দুর্যোধনের ভাই দুঃশাসন ল্যাংটা করার জন্য দ্রৌপদীর শাড়ি টেনেই যাচ্ছে তো টেনেই যাচ্ছে। পাঞ্চালীর মা মেয়ের কথা শুনেই বুঝে গেল তার পাঞ্চালী কোনও শ্রীকৃষ্ণের জন্যই আর আশা করে থাকবে না। ফাঁকা প্ল্যাটফর্মের যে কোনও জায়গায় দাঁড়িয়ে পারু চাওয়া মাত্র নিজের পাতলা ছেঁড়া ফ্রকটা নিজেই খুলে রেললাইনে উড়িয়ে দেবে।

Read more


আধুনিক সময়ে শিল্প তৈরী হয়। সৃষ্টি হয় কতটুকু? প্রকৃত শিল্পসৃষ্টি কোনকিছুর মাপে হয় না। তার এক মাত্র বৈশিষ্ট্য আনন্দ, নিজেকে প্রকাশ করা। কারো মাপে নয়, কারো হিসেবে নয়, কারো বায়নায় নয়, কারো ইচ্ছায় নয়।

Read more


বেনারসের গঙ্গায় এক সন্ধ্যা… শুরু হবে গঙ্গা আরতি। এরই মাঝে পরপর বেশ কয়েকটি মসজিদ থেকে ভেসে সন্ধ্যা বেলার নমাজ— মগরিবের জন্য ডাক। আজানের ভেসে আসা শব্দ, মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি, গঙ্গা আরতির সঙ্গীত ও স্তোত্র— সব যেন মিলে মিশে শুনতে পেলাম সেই চিরন্তনের ডাক।

Read more


খোদা বা ঈশ্বর কিন্তু কুরবানি হিসেবে পশু ছাড়াও আমার প্রিয় বস্তুটি গ্রহণ করেন। কোরআনে কুরবানি সম্পর্কে আছে- “মাংস বা রক্ত কোনটাই আল্লাহর কাছে পৌছায় না, পৌছায় তোমার মনের পবিত্র ইচ্ছা।” যদিও পশু কুরবানির একটা আলাদা গুরুত্ব আছে, বিশেষকরে আর্থিকভাবে গরীব মানুষদের কাছে। তবু আমার মনে হয় আত্মত্যাগই সব চেয়ে বড় কুরবানি । " বরষে এক ঈদ, বারোমাসই বকরীদ' অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Read more


এ যেন এক হেরে যাওয়া হরর ছবি।দর্শক আসনে একশো পঁয়ত্রিশ কোটি মানুষ।কেউ আলো জ্বলার অপেক্ষা করেননি।অন্ধকারেই মাথা নিচু করে মেনে নিয়েছেন সবটুকু।কেউ বলেছেন ,স্কুল বন্ধ থাকলে কী করব?কেউ পোস্ট করেছেন,সরকার বেতন দিলে কী করব?কেউবা সামান‍্য বেতন কেটে নেবার আশঙ্কায় মুখ কালো করে আছেন।অথচ তারমাঝেই সরকার তরফে পুজোবোনাসের নির্দেশিকা জারি হয়েছে।তাই এ এক বাধ‍্যবাধকতা।

Read more


ছবিগুলো কোনটিও কল্পিত নয় প্রতিটি ঘটনা ভিডিও ও ছবি সমেত মজুদ আছে কোথাও কোন সার্চ ইঞ্জিনে। তবে ছবির দৃশ্য আমার ও আপনাদের মনের মধ্যে অন্য আরও অনেক ইস্যুর নীচে একটু একটু করে বিস্মৃত হচ্ছে। তাই সাদাকালো রঙের ব্যবহার। এই সব ছবিগুলোতে যাকে লিঞ্চ করা হচ্ছে সেই মানুষ টার ক্ষতবিক্ষত শরীর দেখে ততটা ভয় লাগছে না আর।

Read more


মড়কের মরসুম পুজোর মরসুমও বটে। সারা দেশে কেবল পুজো হচ্ছে। সে পুজোর ঠাকুর আর অসুর হুতোমের চোখে

Read more


এখন এই মুহূর্তে আমার মনে হচ্ছে আমরা অসম্ভব খারাপ অবস্থার মধ্যে পড়েছি। সত্তর একাত্তর বাহাত্তর নয়, এ আরো আরো আরো নির্মম জঘন্য অবস্থা। এই সময় আমাদের একত্রিত হওয়া দরকার। প্রতিবাদ করা দরকার, সাধারণ মানুষের সামনে যাওয়া দরকার, থিয়েটার করা দরকার। করতেই হবে। তা নাহলে বাঁচানো যাবে না। এই দেশকে বাঁচানো যাবে না, এই পৃথিবীকে বাঁচানো যাবে না। এই প্রবীর দত্ত স্মরণ শুধু স্মরণ নয়। স্মরণ করে কী হবে? স্মরণ করছি সেই জন্যই, যাতে আমরা কাজ করতে পারি। তবেই তার স্মরণটা সার্থক হবে।

Read more


কাঁড়ি কাঁড়ি লোককে ফালতো বলে খেদিয়ে দেয়া হয়েচে আর তেনারা সোশাল ডিস্ট্যান্সিং এর তোয়াক্কা না করে মিটিং মিছিল জুড়েচেন। হুতোম সে কতা কানে তুলতে সম্পাদক বল্লে ঠিক কতা। এদের নিয়ে লেকা কর্তব্য। চীনা ফোনগুলিকে মা গঙ্গায় বিসর্জন দিয়ে ভারতমাতার দেয়া দিশি ফোনই আমাদের একুনি হাতে তুলে নেয়া উচিৎ। তার মুকের ভাবটি দেকে বুকে বল এল।

Read more


দুঃখের বিষয় দিন দিন ওই ছাত্র ভাণ্ডারের মতো আমরাও রবীন্দ্রনাথকে সন্ন্যাসী দরবেশ বানিয়ে ফেলছি। শুধু ২৫ শে বৈশাখ এলেই তাঁকে আমাদের মনে পড়ে। ‘কবিপ্রণাম’ করেই দায় সারি। তাঁর মানবতা বোধে দীক্ষিত হই না।

Read more


দেশের হাল মোটে ভাল নয়। তাই হুতোম এ যাত্রা দেশের শত্তুরদের সমন্দে সকলকে সাবধান করে দেবেন ঠিক কল্লেন। এনাদের দেকলেই সরকার বাহাদুর চটে লাল হন। বাবু বিবিরো তফাতে থাকবেন।

Read more


'অনুগ্রহ করে শুনবেন। তিন নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে থ্রু ট্রেন যাবে। দয়া করে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।' দীর্ঘদিন হয়ে গেছে এ ঘোষণা শোনা যায়নি। তিন মাস ধরে লোকাল ট্রেন বন্ধ, ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এই প্রথম।

Read more


গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা কাজ করছেন, তাঁদেরই একজনের গল্প।

Read more


করোনাকালের আগে ও পরে একজন আত্মমুখী মানুষের রোজনামচা.সেই হারিয়ে যাওয়া লেখাগুলির খোঁজে আমার দিন-রাতের অনেকটা সময় নষ্ট হয়। এই ভাবেই একটু একটু করে আমিও নষ্ট হই এই পৃথিবীর আলো-অন্ধকারে।

Read more


যখন এই লকডাউনে সবাই কিছু না কিছু ছুট পেলেও আজ টানা ৪৬ দিন বইবাজার একেবারেই বন্ধ। কেমন আছেন ছাপাইকর্মী, বাঁধাইকর্মী, প্রকাশক, বইবিক্রেতারা। কিংবা ফুটপাতে বই সাজিয়ে যাঁরা পুরনো বই বিক্রি করেন! কেমন আছেন তাঁরা। জানি না। এনিয়ে কোনও মিডিয়ায় তেমন খবরও নেই।

Read more


ভাষা ব্যাকরণের উদাহরণ টেনে মাঝে মাঝেই বলা যায় কিছু কথা, পুরুষ তিন প্রকার। আমি, আমরা, আমাদের- এসব হল উত্তম পুরুষ। (ইংরেজিতে First Person)। তুমি, তোমরা, তোমাদের- হল মধ্যম পুরুষ (Second Person)। আর সে, তাহারা, তাহাদের- হল প্রথম পুরুষ। (অর্থাৎ Third Person)।

Read more


আমার সাহিত্যচর্চায় আমি কখনোই ভাষা নিয়ে তেমন কিছু ভাবিনি। ভাবতে হয়নি। আমার চারপাশে যারা আছে, যাদের আমি সবসময় দেখি-কথা বলি, এমনকি গাছপালা, পশুপক্ষী, ইটপাথর, ধুলাবালি- এরাই সব আমার সাহিত্যে চরিত্র হয়ে উঠে আসে। নিজের নিজের ভাষায় কথা বলে। মনের ভাব প্রকাশ করে। একে অপরের সান্নিধ্য লাভ করে। এটাই তো স্বাভাবিক। আজ ২৫শে বৈশাখ একটি লেখা

Read more


আমাদের কথার বলার স্বাধীনতা ঠিক ওই বাবুটির বাতাস টেপার মতো। স্বাদহীন কথা বলে আমরাও আমাদের স্বাধীনতাকে পুষিয়ে নিচ্ছি। স্থান-কাল যাই হোক- রাজনৈতিক মঞ্চ হোক কিংবা ধর্মীয় জালসা, টিভির টক-শো হোক কিংবা খবরের কাগজ, রক হোক কিংবা চায়ের দোকান, বাস কিংবা ট্রেণ, তার ওপর আজকাল হয়েছে ফেস্‌বুক, ট্যুইটার। অবশ্য এতে আমাদের লাভ না হলেও এই করোনাকালে ক্ষতি কিছু হচ্ছে না! দিব্যি কাল কেটে যাচ্ছে ...

Read more


মহামারীর আতঙ্কে যখন ঘরবন্দী গোটা দুনিয়া , মানবসভ্যতা প্রবল সঙ্কটের মুখে, সেই সময় বদলে যাওয়া আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির সাথে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার এক দিকনির্দেশ এই ঘরবন্দীর দিনগুলি শীর্ষক লেখাটি…

Read more


হরিচরণের কথা অনুযায়ী, পাঁঠা ‘বলদ মহিষ বকরা’ যা খুশি হতে পারে। তবে মাথায় রাখবেন এই নিরামিষ রান্নায় মানুষের মাংস নিলে চলবে না। বলদ, মোষ, পাঁঠা বা খাসিই নিতে হবে। কেন? মানুষ হল সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব, তারা ভদ্র, রাজনৈতিক ও অর্থবান প্রাণী। বলির পাঁঠা বলে যাদের উল্লেখ করা হল তারা হল ইতর প্রাণী। তাদের অর্থ বা বিত্ত নেই। তাদের জীবন অর্থহীন বা তাৎপর্যহীন।

Read more


শুকনো লাল। লঙ্কার নাম কেন ‘লঙ্কা’ তা নিয়ে বহু তত্ত্ব খাড়া করা যায়। উবশ্যই অস্তিত্বের সঙ্কটকে বাঁচিয়ে। সোনার লঙ্কার নাম এ দেশের বহু প্রাচীন সাহিত্যে পাওয়া যায়। কিন্তু যে লঙ্কা ঝাল, যা মানুষকে দু বার জ্বালায়—এক বার খাওয়ার সময় আর অন্যটা মলত্যাগের কালে, সেই লঙ্কা হল ঝাল বা কটু।

Read more


হুতোমের ওয়ার্ক ফ্রম হোম হয়েচে। সম্পাদক কোরোনায় ভুগচে, তবে গিন্নী আর কন্যের হয়নি। ভাগ্যে গিন্নীকে চুমো খাওয়ার সমন্দ অনেককাল চুকে গিয়েচে! তবে সম্পাদকের এম্নি আতঙ্ক, সে হুতোমকে বলেচে কোতাও যাওয়া হবে না। যত বলি ভূতের ছোঁয়া লাগে না, ভাইরাস হাজির হবে কোতা হতে? কান দেয় না। তা দেশে যা রঙ্গ হচ্চে, ঘরে বসেই নকশা লেকা চলতে পারে। কয়েকটি হুতোম বয়ান কচ্ছেন।

Read more


‘তেহারি’ খেয়েছেন কখনও? তেহারি, তেহেরি, তেয়ারি নানা নামে ডাকে হয় একে। গুগল সার্চ করলে পেয়ে যাবেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, তেহারি হল নিরামিষ খাবার। তেহরি শ্রীলঙ্কা বা ভারতের কোনও স্থান নয়। তেহরি হল এক ধরণের খাবার। মূল মশলা হলুদ। ভাল খেতে। পেটের রোগে ভোগেন যাঁরা তাঁরাও খেতে পারেন। সুস্বাদু। মূল মশলা হলুদ। তেহরি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শোনা যাক।

Read more


আপনার ঘরে মুসলমানের ছেলে ঠাঁই পায় কী করে?’ উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘কে হিন্দু আর কে মুসলমান- আমি তার কী জানি! আমি তো ঠাঁই দিই আমার স্নেহকে, আমার ভালবাসাকে ...।’

Read more


অবশ্যই এই সময়ে সব থেকে জরুরী মানুষের খিদে নিয়ে কথা বলা। কিন্তু অসংখ্য মানুষ যে ঘোরের মধ্যে থেকে খিদের কথা, অধিকারের কথা , একসাথে বাঁচার কথা বলতে ভুলে গেল সেই নেশার দ্রব্যটি নিয়েও কথা হোক।

Read more


ছেলেবেলার শবেবরাতগুলো ছিল বেশ আদরের। সকালে শীতের আমেজ। রোদ ঝলমল। বিকেলে হাল্কা ঠান্ডার উলের হাফ সোয়েটার। রমজান মাস আসছে।তারই আনন্দমুখর ট্রেলার শবেবরাত। স্মৃতিগুলো আজও মনে বাসা করে আছে। ক্ষণে ক্ষণে ঝিলিক দেয়। মনের অতল গভীরে আবার মিলিয়েও যায়। মধুর স্মৃতি, আবার বেদনারও বটে। এ বেদনা মধুরতাগুলো নতুন করে ফিরে না পাবার বেদনা। এ বেদনা কাঁদায় না। শিহরণ জাগিয়ে যায়।

Read more


কেউ যদি বেশি খাও, খাওয়ার হিসেব নাও, কেননা অনেক লোক ভালো করে খায় না। এই সময়ে অনেকেই হয়তো খাচ্ছেন আবার অনেকেই পাচ্ছেন না, তাই তাঁদের জন্য আপনার খাবারের ছবিটা আর নাই বা দিলেন। ছবি কৃতজ্ঞতা ঃ শামিম আহমেদ

Read more


আমাদের মুক্তি এনে দেয় একমাত্র মৃত্যু। তাই হয়ত আমরা সবকিছুতেই উৎসব খুঁজি। সেটা জন্ম হোক কিংবা মৃত্যু। তাইতো এই করোনাকালে রাষ্ট্র তালি বাজাতে বললে আমরা অতি উৎসাহে থালি বাজাই। রাষ্ট্র মোমবাতি জ্বালাতে বললে বাজি-পটকা ফাটাই।

Read more


গল্প বলে যে সব বেদুইন রাভিয়ারা, তারা ঘোড়ায় চেপে আসে, প্রতি বছর, এই ফতে সিং পরগণায়। তাদের সঙ্গে থাকে তাঁবু। আর তিরধনুক, বর্শার মতো নানা অস্ত্র। পশুপাখি শিকারের পর তারা তাঁবু খাটিয়ে সন্ধ্যায় মশাল জ্বেলে গল্প বলে। তাদের সঙ্গে থাকা রমণীরা কখনো নাচগান করে।

Read more


খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। কোরাসোন দে মারিয়া গ্রামে বাস করত এক বাবা আর ছেলে, দুজনকেই লোকে চিনত এরেমিতে বলে, কেননা দুজনেরই নাম ছিল এউরেমিয়ো। একজন এউরেমিয়ো সেদিয়ো, আর অন্যজন এউরেমিয়ো সেদিয়ো। তাই বলে দুজনের মধ্যে তফাত করতে যে বেগ পেতে হত, এমনটা একেবারেই নয়, কেননা একজন অন্যজনের চেয়ে পঁচিশ বছরের বড়।

Read more


আসুন আবার সেই আমার ছেলেবেলার ঝড়ের গল্পে ফিরে আসি। খলিলদাদোর আজান, মুলিকাকার মন্ত্রপাঠ এবং আমাদের খুঁটি চেপে ধরে রাখার ফলে কুঁড়েঘরটা সে যাত্রায় বেঁচে গেল। সেই গোলাকার ‘কী একটা’ আমাদের দিকে ধেয়ে এল না, আমাদের পাশ কাটিয়ে ডোমকুল মাঠের বুক চিরে চলে গেল দক্ষিণ-পূর্ব কোনের দিকে। আমাদের কুঁড়েঘর এবং আমরা অক্ষত রয়ে গেলাম। আমরা নিশ্চিন্ত হলাম।

Read more


লকডাউনে পড়ে আমাদের অবস্থা এখন ওই ভদ্রলোকের মতো। আমরা আমাদের ঘরে লুকিয়ে বসে আছি। আর করোনারূপী অজগর আমাদেরকে সারা পৃথিবী জুড়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে।

Read more


আমাদের ভিতরেও একটি গল্প আছে। একটি গানও আছে। সম্প্রীতির গল্প। সম্প্রীতির গান। এককথায় বেঁচে থাকার গল্প, গান। যে গল্প আমরা আমাদের অন্তর থেকে বের করে কাউকে কোনওদিন বলিনি। গানটাও শোনাই নি। তাই আজ তারা সুযোগ বুঝে যে কোনও অজুহাতে বেরিয়ে পড়ছে। শোধ তুলতে আমাদেরকে ধন্দে ফেলছে! সেই ধন্দে আমরা একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া করছি। লড়ালড়ি করছি।

Read more


কোনো শালায় খোঁজ রাখেনি কজন গ্যাচে ঘর সব ব্যাটাকে ছেড়ে এবার বেঁড়ে ব্যাটাকেই ধর। --- ফেসবুক কবি

Read more


হাজারে হাজারে পরিযায়ী শ্রমিক কাজ হারিয়ে, উপার্জন হারিয়ে নিজ নিজ ঘরে ফিরতে চাইছে, কিন্তু ফিরতে পারছে না। ফিরবে কী করে লকডাউন চলছে যে! ট্রেন নেই, বাস নেই অন্য কোনও বাহন নেই। রাষ্ট্র মানুষকে, মানবসভ্যতাকে বাঁচাতে সব বন্ধ রেখেছে।

Read more



শুধু লকডাউন বললেই যদি সমস্যার সমাধান হয়ে যায় তাহলে আমরা আমাদের সমাজে এত বৈপরীত্য দেখছি কেন? আসলে আমরা প্রত্যেকেই নিজের নিজের অবস্থান থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি। মহামারী উপলক্ষ্য মাত্র।

Read more


মসজিদে তখন ইশার নামাজের আজান শুরু হয়েছে। সূর্যাস্ত হয়ে গিয়েছে। মন্দিরের গায়ে জ্বলে উঠেছে অসংখ্য নিয়নের আলো, মসজিদের মিনার আধুনিক এলইডি-তে আলোকিত, চার পাশে ঝলমলিয়ে উঠেছে লাক্সর শহরখানাও। এ-বার ফেরার পালা। মিশর থেকে ফিরে লিখলেন আবাহন দত্ত।

Read more


আজ থেকে ২৭ বছর আগে একটা সৌধকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল , সঙ্গে গুঁড়িয়ে গিয়েছিল কিছু বিশ্বাস আর আজ সরকারের নজরদারিতে আবার ভাঙবে সেই সৌধ ...সেই নিয়ে কিছু কথা।

Read more


ছট কি? বিহারের মানুষেরাই মূলত ছট উৎসব করেন। কিন্তু কেন? এরসঙ্গে কৃষিভিত্তিক এবং শরীরী দর্শনের কোনও যোগ আছে কি?

Read more

by শামিম আহমেদ | 05 November, 2019 | 0 Comment(s) | 2648 | Tags : ছট


মহালয়া আসলে পিতৃপুরুষের উৎসবের আলয়। অভিধানকারের এই উক্তি শিরোধার্য।

Read more


সামনে বিদ্যাসাগরের জন্মদিন ওদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গায়কের প্রবেশ এবং ধুন্ধুমার । তাই নিয়েই হুতোমের নকশা।

Read more


"দরবেশ এজিদকে নিয়ে আদানা থেকে বেরিয়ে পড়লেন। তার ঘোড়া পড়ে থাকল। তাঁরা দুজনেই তোরোস দাগলারি পাহাড়ের দিকে এগোতে থাকলেন...........

Read more

by শামিম আহমেদ | 09 September, 2019 | 0 Comment(s) | 2572 | Tags : muharram tajia


এই গল্পটা শুইনল্যা আপনাদের মুতুন শিক্ষিত লোক হাসব্যান। তা হাসুন। সে ত আপনার দাদোর লেগে যখন কয়েছিলাম, তখন আপনার দাদোও হেস্যাছিলেন। বড়লোকের অল্প গম থেক্যা কত আটা হয় আপনাদের ধারণা নাই। বাকিটা জানতে পড়ুন।

Read more


সম্পাদকদের রকম ফের এবং তাঁদের কথাবার্তা নিয়ে কিছু কথা, সম্পাদকেরা মারা গেলে কিন্তু সবাই ভুলে যান পুরনো কথা, তাই নিয়ে হুতোম প্যাঁচার কলম।

Read more


তামাশা নইলে কলকেতার বাবু বিবিদের জীবন নেহাত পানসে। তা নরকধাম থেকে কলকেতায় ফিরে ইস্তক অনেকরকম তামাশা দেখলেম। হুতোম প্যাঁচার নকশার--একাল

Read more


দন কিহোতের কাহিনীর সংক্ষিপ্ত কিশোর পাঠ্য সংস্করণগুলি দেশ ভাষা নিরপেক্ষভাবে গত চারশো বছর ধরে কোটি কোটি শিশু কিশোরের মনোরঞ্জন করে আসছে। আমরাও খোঁজার চেষ্টা করবো সেই কাহিনী

Read more


গ্রামবাংলায় বিজেপি - টিএমসি দ্বন্দ্ব সমাসটি নিত্যপূজো কার হাতে থাকবে এমত জরুরি প্রশ্ন ঘিরেই আবর্তিত। সিপিএম এখানে নিতান্তই ছাগলের তিন তৃতীয় সন্তান। কালের কি পরিহাস। অনিন্দ্য সেনের আখ্যান।

Read more

by অনিন্দ্য সেন | 30 May, 2019 | 0 Comment(s) | 3395 | Tags :


সিপাহি বিদ্রোহের অনতম প্রধান নেত্রী হজরত মহল। কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়মে বন্দিরাজা ওয়াজিদ আলি শাহ ওই বেগমের আপসহীন লড়াইয়ের কথা শোনালেন শামিম আহমেদ।

Read more

by শামিম আহমেদ | 01 May, 2019 | 0 Comment(s) | 8724 | Tags :


চেনা চৌহদ্দি যেখানে শেষ তারও অনেক ও দিকে জল জঙ্গল আর দ্বীপ। সেখানে জল-মানুষের আবাদ আর জমিন। তবে সেই পৃথিবীও বদলে যাচ্ছে একটু একটু করে। সেই বদলের ভিতর-বাহিরের বৃত্তান্ত শৈলেন সরকারের কলমে।

Read more

by শৈলেন সরকার | 01 May, 2019 | 0 Comment(s) | 5771 | Tags :


বদলে যায় সম্পর্ক। বদলে যায় পাশাপাশি থাকা। বেঁধে থাকা মানুষগুলোকে দূরে ঠেলে দেয় দেশকাল। পাঁউরুটির ফাঙ্গাস সরিয়ে খাওয়ার যে যৌথ জীবন তার স্মৃতি-সন্ধান চলে এই প্রশ্নচিহ্নিত সময়ে। সরিতা আহমেদের কলাম।  

Read more

by সরিতা আহমেদ | 01 May, 2019 | 1 Comment(s) | 6346 | Tags :