পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

যার যাতে গরম হয়

  • 04 July, 2020
  • 0 Comment(s)
  • 1274 view(s)
  • লিখেছেন : হুতোম প্যাঁচা
কাঁড়ি কাঁড়ি লোককে ফালতো বলে খেদিয়ে দেয়া হয়েচে আর তেনারা সোশাল ডিস্ট্যান্সিং এর তোয়াক্কা না করে মিটিং মিছিল জুড়েচেন। হুতোম সে কতা কানে তুলতে সম্পাদক বল্লে ঠিক কতা। এদের নিয়ে লেকা কর্তব্য। চীনা ফোনগুলিকে মা গঙ্গায় বিসর্জন দিয়ে ভারতমাতার দেয়া দিশি ফোনই আমাদের একুনি হাতে তুলে নেয়া উচিৎ। তার মুকের ভাবটি দেকে বুকে বল এল।
বেজায় গরম পড়েচে বলে দেশে সকলি গরম। কেউ স্যালারি কমে গ্যাচে বলে গরম হচ্চেন তো কারো চাকরিটি নট হয়ে গ্যাচে। কারো আবার কোম্পানিটির দয়ার শরীর। বলেচেন আপিসের কাজ ফের শুরু হলেই মাহিনা দেবেন। একন কাজ নেই তাই মাহিনা বন্দ। বাড়ি বসলে খরচাই বা কী? এই কতা নিয়ে থুতনিতে মাস্ক বেঁধে ফি রোজ সন্দেবেলা এক বাবু চা দোকানে বিস্তর গোল কচ্ছিলেন। এক দিন এক ফিচেল ছোকরা শুধোলে বাবু বাড়ীর কাজের লোকটিকে লকডাউনে মাহিনা দিয়েচিলেন কিনা। বাবু সেই যে বাপ বাপান্ত কত্তে কত্তে ঘরে এসে ঢুকলেন একুনো ও মুখো হননি। গিন্নী শুধোলে বলেচেন চা ওলাটি নালার গ্যাসে রান্না করেন। অতেব দোকানটি হেলদি নয়।
তবে আর সব জায়গা গরম হলেও পাহাড়ে জোর ঠাণ্ডা পড়েচে। সিয়াচেন থুড়ি গলওয়ানে খাড়া জওয়ানদের বেঁচে বর্তে থাকাই শক্ত হয়েচে। নদীতে জল বাড়চে ওদিকে রেল কয়লা খনি ইলেকট্রিক বেচে দেয়ায় ব্যস্ত হয়ে জওয়ানদের ওয়াটার প্রুফ জামা প্যান্টের কতা কারো খেয়াল হয়নি। সে অভিমানে প্রধান সেবক দাড়ি বড় কল্লেন। পঞ্চাশ লাখ মাহিনার রিপোর্টার বাবুরো তা নিয়ে লম্বা খবর কল্লেন। চীনেরা তিন ইঞ্চি দাড়ি পাঁচ ইঞ্চি হওয়ায় বেজায় ভয় পেলে। রিলায়েবল সোর্স খবর দিল জিনপিংবাবু তে রাত্তির ঘুমোতে পাল্লে না। চোখ বুজলেই দ্যাকেন দাড়ি বাড়তে বাড়তে দিল্লী হতে বেজিং পৌঁচেছে। তবে সেবক অত অল্পে ক্ষান্ত দেবার মানুষ নন। তিনি বুক চিতিয়ে পাহাড়ে গিয়ে দাঁড়ালেন। ছাতি এট্টু হলেই গ্রেট হল অফ পিপলের চুড়োয় লেগে চুন খসিয়ে দিত। সেনারা সোশাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে বসে জানতে পাল্লেন তেনাদের সাহস হিমালয়ের মাতা ছাড়িয়ে। এ কতা কানে যাওয়ায় গলওয়ান নদীর জল হতোদ্যম হয়ে নেমে গেলেন। উন্ডেড সেনারা অবধি পদ্মাসনে বসে প্রধান সেবকের সেবা পেলেন। সরকার বাহাদুরের স্যালাইনের খরচ বাঁচল।
এদিকে পরিযায়ী পাখি থুড়ি শ্রমিকদের সকলে ভুলতে বসলেন। কোরোনায় আর কিচু কত্তে পারবে না পেত্যয় হল। এ পাশের বাড়ী তিন জনার কোরোনা ও পাশের বাড়ী দু জনার কিন্তু কাগচে বল্লে গভমেন্ট কোরোনাকে পেড়ে ফেলেচেন। এই তুলে আছাড় দিলেন বলে। ফোনে ফোনে কার কোরোনা হয়েচে সে গুহ্য কতাটি জেনে নেবার বেওস্তা হয়েচে। আর ভাবনা কী? তা বাদে বড় সরকার ছয় মাস অমনি রেশন দেবেন বলেচেন। ছোট সরকার ফ্যালনা নাকি? তিনিও বল্লেন এক বচ্ছর দোব। নিন্দুকে বল্লে আধারে দেবেন নাকি নিরাধারে দেবেন? মুকে এন-৯৫ মাস্ক থাকায় তেনার কতাগুলি সরকারের কান অবধি যেতে পাল্লে না।
আমাদের সম্পাদকের জীবনে টাকা এবং এক্সাইটমেন্ট কম পড়েচে (এটি কম হলে বাবুদের ওটি কম হয়েই থাকে। পকেটে টাকা না থাকলে বগলে গার্লফ্রেন্ড টেঁকে না, আড্ডায় মোসায়েব টেঁকে না)। কয়েক শো সাবোর্ডিনেটের চাকুরি খেলে। তবু জুত হচ্চে না। তাই একন বিপ্লবী আর্টিকেল লিকতে লেগেচে। হুতোম বল্লেন ভায়া এত বিপ্লব লিকো না। দেশে মুখ্যু লোকের তো অভাব নেই। তোমায় সত্যই বিপ্লবী ভেবে অ্যান্টি ন্যাশনালদের সাথে হাজতে পুরে দিলে? সম্পাদক দেঁতো হেসে বল্লে অত সোজা নয়। দেশে আইন আদালত নেই? আমার জন্যে মামলা মোকদ্দমা করার লোক আচে। মোকদ্দমা নয় উকিলে করবে, সে মোকদ্দমা শুনবে কে? জজ সায়েবকে তো আবার ইম্পোর্টেড বাইক চেপে খুঁজতে যেতে হবে। প্রশ্ন শুনে সম্পাদক সকল জায়গার কেশোৎপাটন করে বল্লে আপনি যাবেন। আপনার তো ন্যাশনাল ইন্টারন্যাশনাল সব ট্র্যাভেল ফ্রি। পাঠক আস্পদ্দা ভাবুন একবার। উনি এয়ার কন্ডিশনে বসে বিপ্লব করবেন। গেরেফতার হয়ে নাম কিনবেন। আর জামিনের জন্যে জজ সায়েবের তাল্লাশে যাবেন হুতোম। কয়লা ধুলে ময়লা যায়, সম্পাদক ধুলে সদ্দারি যায় না দেকচি।
এ সওয়ায় সম্পাদককে প্রস্তাব দেয়া গেল কলকেতার টেলিফোন নিয়ে লিকতে। কাঁড়ি কাঁড়ি লোককে ফালতো বলে খেদিয়ে দেয়া হয়েচে আর তেনারা সোশাল ডিস্ট্যান্সিং এর তোয়াক্কা না করে মিটিং মিছিল জুড়েচেন। হুতোম সে কতা কানে তুলতে সম্পাদক বল্লে ঠিক কতা। এদের নিয়ে লেকা কর্তব্য। চীনা ফোনগুলিকে মা গঙ্গায় বিসর্জন দিয়ে ভারতমাতার দেয়া দিশি ফোনই আমাদের একুনি হাতে তুলে নেয়া উচিৎ। তার মুকের ভাবটি দেকে বুকে বল এল। বল্লেম যা বলেচ ভায়া। তালে দেশের ফোনও, বাঁচে দেশের এই দুর্ভাগা লোকগুলিও আন্ডা বাচ্চা নিয়ে বাঁচে। সম্পাদক ভারী গম্ভীর হয়ে বল্লে সে কতা ঠিক। তবে কিনা সরকারের দিকটাও ভাবতে হবে। অ্যাতগুলি লোকের স্যালারি দিতে পকেট খালি হলে আর ডেভেলপমেন্ট হবে কোত্থেকে? তারপর মাসিক কলাম লিকতে বসলে। দেকচি টিকটক বন্দ হওয়ায় কোন হিরোইন কত দুখখু পেয়েচেন তা নিয়ে কী যেন লিকচে। যার যাতে গরম হয়, বুজলেন কিনা।
0 Comments

Post Comment