যে কাজটা একজন সাংবাদিকের কাজ, তার বদলে তিনি যদি সরকারের গুণকীর্তন প্রচারে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে সাংবাদিকতার মৃত্যু হয়। রোজ সন্ধ্যেবেলা, কোনও একটি চ্যানেলে বসে, চিৎকার করাটা আর যাই হোক সাংবাদিকতা নয়। পুণম আগরওয়াল, যে কাজটা দীর্ঘদিন ধরে করছেন, সেটাই আসল সাংবাদিকতা। ময়ূখ, অনির্বাণ বা সবার পরিচিত সুমন দে, যা করেন, তাকে দালালি বলে, সাংবাদিকতা নয়।
হলদ্বানিতে উচ্ছেদ ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিক বিষয় এবং তা সংখ্যাগুরু আধিপত্যকামী রাজনীতি হওয়ায় উচ্ছেদে বিফল হয়ে ধর্মীয়ভাবে আঘাত করল। এর কিছু আশু উদ্দেশ্য আছে। ধর্মস্থানে আঘাত-ধর্মীয় পরিচিতির দিক থেকে বিরোধিতা-হিন্দু ভাবাবেগে সুড়সুড়ি দেওয়া— একটি উদ্দেশ্য হতে পারে।
একটা বিষয় স্পষ্ট বর্তমান শাসক দল নির্বাচনী বন্ডের সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছে বা করছে। বিরোধীরা এ বিষয়ে খুব একটা চাপ সৃষ্টি করতে পারছে বলে মনে হয় না। নির্বাচন কমিশনও টু শব্দটি করছে না। উল্টে লোকসভা নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী খরচ ৭০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৯৫ লাখ টাকা করেছে। ফলে বন্ডের সাহায্যে বাড়তি রোজগারের রাস্তা প্রশস্ত করেছে। উপায় এখন উচ্চ আদালত। ভরসা প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
এবারের সহমনের গল্প- শতদ্রু, মিশুক আর উপমার গল্প।
সরকারি শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষমতায়ন আর চাকরি - এই অধিকারের দাবি তোলার মতন স্বর তৈরি না করতে পারলে, মন্দের ভালো বা লেসার এভিল কে ভোট দেওয়া চলতেই থাকবে। উদার অর্থনীতির হাত ধরে আসা কনজিউমারিজম এখন প্রতিটি মানুষকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। আর দক্ষিণপন্থী দলগুলোর সাফল্য এখানেই।
মসুও উপজাতি প্রাচীন সম্প্রদায়ভুক্ত ছোট্ট একটা জনপদ। মূলত স্বনির্ভর। কৃষিকাজ যাদের মূল জীবিকা। এঁদের জীবন আবর্তিত হয় কঠোর ধর্মবিশ্বাস আর বিশেষ এক সংস্কৃতিকে ঘিরে। ভাবলে অবাক লাগে পিতা ছাড়া একটি সমাজ! যেখানে বিবাহ নেই অথচ সন্তান আছে। এঁরা একক পরিবারের পরিবর্তে যৌথ পরিবারে বিশ্বাসী। নারী দিবসের প্রাক্কালে এই গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি থাকলো।
খবরটা শুনে চটাদার কাছেই প্রথম ছুটে গেলাম। অনেক কাল ধরেই রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি, এদিক ওদিক মতামত দিচ্ছি, নানা রকম তর্কবিতর্ক শুনছি, নিজেও যেখানে যা পারি বলছি, কিন্তু সত্যিই বলছি, জীবনে এতটা ধাক্কা কখনও খাইনি। এর থেকে নিজেকে উদ্ধার করতে, এর পেছনকার রহস্য উদ্ঘাটিত করতে ভূভারতে কেউ যদি পারে, সে শুধু চটাদাই পারবেন। প্রচুর অভিজ্ঞতা থেকেই এটা আমার দৃঢ় উপলব্ধি।
আমরা যদি একবার হাইকোর্টের এজলাসে বসে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিভিন্ন মন্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধীকে আক্রমণের বিষয়টিকে মাথায় রাখি, তাহলে একমাত্র ব্রাজিলের সার্গিও মোরোর বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির উদাহরণই মনে পড়বে। এবং তাঁকে নিয়ে কলকাতার তথাকথিত প্রথম শ্রেণির সংবাদমাধ্যম এবং টেলিভিশন চ্যানেলগুলির উদ্বাহু হয়ে নৃত্য করার সময় খেয়াল ছিল না অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই কথাগুলি আইনের এক্তিয়ার মেনে বলছেন না নিজেকে ‘মসিহা’ বলে তুলে ধরার চেষ্টায় ক্রিজের বাইরে গিয়ে খেলছেন।
আজকের সময়ে বিচারপতিরাও প্রবল চাপে আছেন তা বোঝাই যাচ্ছে। এটা অবশ্যই বলা যেতে পারে যে আজ যখন রাষ্ট্রের যাবতীয় প্রতিষ্ঠান শাসক দলের কুক্ষিগত হয়ে গেছে তখন বিচারব্যবস্থা তার নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই নিরপেক্ষতা অনেকটাই গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই শক্তিশালী হওয়ার ওপর নির্ভর করছে।
ছুটে এসেই বাসটা ধরে অরণ্যা। আজ বেশ দেরিই হল। স্টপে পৌঁছনো মাত্রই নিজের গন্তব্যের বাস পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। লটারির টিকিট কাটলে হত।
ছুটে এসেই বাসটা ধরে অরণ্যা। আজ বেশ দেরিই হল। স্টপে পৌঁছনো মাত্রই নিজের গন্তব্যের বাস পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। লটারির টিকিট কাটলে হত।
আজকের সময়ে বিচারপতিরাও প্রবল চাপে আছেন তা বোঝাই যাচ্ছে। এটা অবশ্যই বলা যেতে পারে যে আজ যখন রাষ্ট্রের যাবতীয় প্রতিষ্ঠান শাসক দলের কুক্ষিগত হয়ে গেছে তখন বিচারব্যবস্থা তার নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই নিরপেক্ষতা অনেকটাই গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই শক্তিশালী হওয়ার ওপর নির্ভর করছে।
ভাস্কো ডা গামা ১৪৯৭ সালের জুলাই ৮ পর্তুগালের লিসবন শহর থেকে যাত্রা শুরু করলেন। এই দিনটি ভারতের উপমহাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশক্ষেত্রে এক অপ্রাত্যাহারযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। জলদস্যু হওয়ার কারণে তিনি জানতেন যে তিনি যেমন কোনও এক সময় একদল জাহাজকে সমুদ্রে দেখলেই আক্রমণ করতেন, তেমনি মাঝ সমুদ্রে তাঁদের জাহাজ দেখলেও অন্যন্যরা তাঁদের আক্রমণ করতে পারে।
বাবা মারা যাওয়ার পর এক ঝড়ের রাতে কে যেন আমার মায়ের ঘরের দরজায় কড়া নেড়েছিল। তখন আমি মায়ের পাশেই শুয়েছিলাম। বয়স কত ছিল, ঠিক মনে নাই। মা চৌকির নিচ থেকে দা নিয়ে দরজার কাছে গিয়ে বলল, ‘কে রে? এত রাইতে কি চাস?’
নাজি জার্মানিতে আধারের মতো এই রকমই একটি পরিচয়পত্র তৈরী করেছিল আইবিএম, যা দিয়ে তাঁরা ইহুদিদের চিহ্নিত করার বন্দোবস্ত করেছিল। তারপরে ইহুদিদের গণহত্যার কথা তো ইতিহাসে লেখা আছে। ভারতে আধার সেইরকমই একটি উপকরণ, যা দিয়ে সহজেই একজন নাগরিককে মেরে ফেলা যায়, তাঁর অস্তিত্ব মুছে ফেলে। এখন আর গণহত্যা করতে হবে না, এখন যে কোনও নাগরিককে বে নাগরিক করে দিয়ে তাঁর ‘সিভিল ডেথ’ করে দেওয়া সম্ভব।
বন্ধুর মা নাম জিজ্ঞেস করলেন। আমি বললাম 'রাকেশ'। তারপর এটা ওটা খেতে দিলেন।অনেক যত্ন সহকারে ভালোবেসে খাইয়ে,গল্প শুরু করলেন। সেদিনের অনেক জমজমাটি আড্ডা। শেষের দিকে বাড়ির কথা জিজ্ঞেস করলেন। বাবার নাম জিজ্ঞেস করলেন। বাবার নাম যখন শুনলেন নুরুল ইসলাম। তারপর উদ্ভুত একটা কথা বেরিয়ে আসলো "ওহ,তোমরা মুসলমান? আমি রাকেশ নাম শুনে ভেবেছিলাম বাঙালি। "