সাচার কমিটির রিপোর্ট থেকেই প্রথম জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গে সরকারি উচ্চপদে মুসলমানদের অংশগ্রহণ মাত্র ৪.৭ শতাংশ, এবং সরকারি চাকরিতে মাত্র ২.১ শতাংশ। মুসলমানের সামনে উন্নতির টোপ ঝুলিয়ে রাজনৈতির ফয়দা তোলার চেষ্টা হয়েছে বিস্তর। গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ ব্যবস্থায় পিছিয়ে-পড়া শ্রেণির মানুষের উন্নতি করা সরকারের দায়িত্ব। তা না করতে পারলে একটা সমান সমাজ গড়া সম্ভব নয়। সে কাজটা হচ্ছে কি?
যে কজন লেখকের কাছে পাঠক হিসেবে সমৃদ্ধির প্রত্যাশা রাখি, মার্কিন প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী লেখক পার্থ বন্দোপাধ্যায় তাঁদের অন্যতম। কারণ তাঁর প্রতিটি লেখাই জীবনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা এবং জীবনবোধ থেকে নিঃসৃত, এবং একই সঙ্গে নির্ভরযোগ্য উৎস ও তথ্য সম্বলিত থাকে, যা সমাজের সমকালীন বিষয়গুলোকে নিয়ে পাঠককে নতুন করে ভাবায় । দেখা যাক লেখকের সদ্য প্রকাশিত “আমেরিকা স্বপ্নপুরী না হত্যাপুরী” বইটিতে এই প্রত্যাশা ঠিক কতটা পূরণ হয়।
তখন ইন্টারনেটের সময় নয়, কিন্তু তা সত্ত্বেও বেশ কঠিন একটা কাজ করে চলেছিলেন, সন্দীপ দত্ত। মফস্বলবাসীদের লিটিল ম্যাগাজিনও যে সংরক্ষণ করা জরুরী, তা সন্দীপ দত্তই দেখিয়েছিলেন। অনেক বই হয়তো দ্বিতীয় বা তৃতীয় সংস্করণ করা যায়, কিন্তু সন্দীপ দত্তদের কোনও দ্বিতীয় সংস্করণ হয় না। তাঁকে নিয়ে একটি ব্যক্তিগত গদ্য লিখলেন নীহারুল ইসলাম।
টেবিলে খেতে বসার পরে মনে পড়ল জল নেই। এই হয়। জরুরি কথা মনে থাকে না। দুপুরেই জল ফুরিয়ে গিয়েছিল। তখন ভেবেছিলাম বিকেলের মধ্যে ভরে ফেলব। বিকেল গড়িয়ে সন্ধে হয়েছে কখন। রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টের পাশে ঝিম ধরা পোকার ঝাঁক। ওরা উড়ে উড়ে কী যেন পাহারা দেয়। আলোর চারপাশে ওদের ভিড়। দল বেঁধে থাকে। দল বেঁধে মরে যায়। তবু ওরা দলেই বাঁচে। দমবন্ধ হয়ে মরে যাওয়ার জন্য হাজার কারণ এখন ছড়িয়েছিটিয়ে।
পুঁজি যেখানেই যাক, রাষ্ট্র হাতের নাগালেই থাকবে। এই বছর মার্কসের মৃত্যুদিনে অর্থাৎ ১৪ই মার্চ ২০২৩, শ্রদ্ধার্ঘ। নতুন কিছু শব্দ আসছে, তাই নতুন কিছু ভাবনার যদি উদয় হয়।
ইতিহাসকে কীভাবে দেখা হবে। আমরা যখন দেখি, এক কালের ডালহৌসি স্কোয়ারের নাম বদলে করা হয়েছে বিনয়-বাদল-দীনেশ(বিবাদী) বাগ, তখন আমাদের সামনে এই তিন স্বাধীনতা সংগ্রামীর আত্ম-বলিদানের গৌরবই প্রতিভাত হয়। এই রকম নাম বদল দেশের ইতিহাসের গৌরবকে সূচিত করে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ও সহযোগী সরকারগুলো যেরকমভাবে নাম বদলে হাত লাগিয়েছে, তাতে উল্টোটাই করা হচ্ছে—ইতিহাসের গৌরব বা প্রাসঙ্গিকতাকে ছেঁটে দিতে চাওয়া হচ্ছে। এজন্য তাদের উৎসাহের উৎস হ’ল একদেশদর্শিতা ও বিভাজনের রাজনীতি।
প্লাটফর্ম থেকে বাইরে এসেই একটু থমকে গেল আহেলী। স্টেশন রোডকে অন্ধকার পুরো গ্ৰাস করে রেখেছে। জল আর অন্ধকার ভেঙে ভেঙে কোনরকমে মেইন রোডে পৌঁছালো। লোকজন প্রায় নেই বললেই চলে। অটো স্ট্যান্ডও শুনশান। রাত দশটায় লাস্ট অটো।এখন তো ঘড়ির কাঁটা বারোটা ছুঁই ছুঁই।তার উপর সকাল থেকে নিম্মচাপের বৃষ্টি। দুপুরের পর থেকে ঝোড়ো হাওয়ার ঝাপটা উথাল পাথাল করে দিচ্ছিল চতুর্দিক।
ডি এ নিয়ে নানান তর্ক চলছে, কেউ বলছেন ডি এ অধিকার, কেউ বা বলছেন এটি অনুদান। সরকারী কর্মচারীরা এই ডি এ এবং অন্যান্য দাবী নিয়ে ধর্মঘটেও সামিল হয়েছিলেন। সেই সমস্ত কথা এবং বিতর্ককে বোঝার চেষ্টা।
দুখিরাম মূর্মু হাটে যাচ্ছে। কোথাকার হাটে? না জোড়া পাহাড়ির হাটে। কোথায় জোড়া পাহাড়ি? সে অনেক… দূর! প্রথমে পেরোতে হবে নদী, নদীর পর মাঠ, মাঠের পর জঙ্গল, জঙ্গল পেরিয়ে সেই যে যমজ পাহাড় দুটো পাশাপাশি দাঁড়িয়ে,যেখান থেকে রোজ সূর্য উঠে,সেই পাহাড়তলীর নিচে। পাহাড় তো নয়,ওগুলো হল টিলা। দেবতারা ওই বড় বড় পাথরদুটো নিয়ে লোফালুফি খেলত,ভুল করে ওই জঙ্গলে পড়ে গেছে,আর তুলে নিয়ে যায়নি। তারপর ম্যাগ ডাকলেক, বৃষ্টি হলেক, পাখিতে বীজ ফেললেক, গাছপালা-বৃক্ষ জন্মালেক। উয়াদের কী পাহাড় বলা যায় গো! যায় না,যায় না। পাহাড় তো অনেক উঁচু! দুখিরামের দাদু কথাগুলো বলেছিল।
দু'বেলা গরম ভাত-রুটি তরকারি খাওয়ার অভ্যাস ছেড়ে দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের ডোমকল বাজারের ছোট কাপড়ের দোকানদার সিরাজুল সেখ। সকালের জলখাবার রুটি-তরকারি, লুচি বেগুনভাজার জায়গায় এসেছে মুড়ি, চানাচুর। গ্যাস ছেড়ে উনুনেই আবার ভরসা। আগে মায়েরা ঘুঁটে ও কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতেন। সেই অবস্থায় ফিরে আসছে।
দু'বেলা গরম ভাত-রুটি তরকারি খাওয়ার অভ্যাস ছেড়ে দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের ডোমকল বাজারের ছোট কাপড়ের দোকানদার সিরাজুল সেখ। সকালের জলখাবার রুটি-তরকারি, লুচি বেগুনভাজার জায়গায় এসেছে মুড়ি, চানাচুর। গ্যাস ছেড়ে উনুনেই আবার ভরসা। আগে মায়েরা ঘুঁটে ও কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতেন। সেই অবস্থায় ফিরে আসছে।
দুখিরাম মূর্মু হাটে যাচ্ছে। কোথাকার হাটে? না জোড়া পাহাড়ির হাটে। কোথায় জোড়া পাহাড়ি? সে অনেক… দূর! প্রথমে পেরোতে হবে নদী, নদীর পর মাঠ, মাঠের পর জঙ্গল, জঙ্গল পেরিয়ে সেই যে যমজ পাহাড় দুটো পাশাপাশি দাঁড়িয়ে,যেখান থেকে রোজ সূর্য উঠে,সেই পাহাড়তলীর নিচে। পাহাড় তো নয়,ওগুলো হল টিলা। দেবতারা ওই বড় বড় পাথরদুটো নিয়ে লোফালুফি খেলত,ভুল করে ওই জঙ্গলে পড়ে গেছে,আর তুলে নিয়ে যায়নি। তারপর ম্যাগ ডাকলেক, বৃষ্টি হলেক, পাখিতে বীজ ফেললেক, গাছপালা-বৃক্ষ জন্মালেক। উয়াদের কী পাহাড় বলা যায় গো! যায় না,যায় না। পাহাড় তো অনেক উঁচু! দুখিরামের দাদু কথাগুলো বলেছিল।
আম আদমি পার্টির দ্বিতীয় ব্যক্তি, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার কি অ্যাডভান্টেজ বিজেপি? এই গ্রেপ্তারের মধ্যে দিয়ে কি বিরোধী ঐক্য মজবুত হবে, না এটা একটা কৌশল, বিরোধী ঐক্যে চিড় ধরানোর?
প্রশ্ন হলো, সি পি আই (এম এল) – সরাসরি বা আড়াল থেকে এটা করছে কেন ? সত্তর দশকের জরুরী অবস্থার সময় কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের হত্যালীলার নায়ক কংগ্রেস, বা বিহারে সি পি আই (এম এল) এর ছাত্র নেতা চন্দ্রশেখরকে হত্যার পেছনে থাকা আরজেডি আজ সি পি আই (এম এল) এর মঞ্চে কেন ? বা এদের সবাইকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী মঞ্চে শামিল করার পেছনে সি পি আই (এম এল) এর উদ্দেশ্য কি ? এটা কি অনেকটা জ্যোতি বসুর সময়ের সি পি এম কে অনুকরণের চেষ্টা নয় ? উত্তর খুঁজলেন পার্থ প্রতিম রায়
কে যেন বিলে ডিঙিতে চেপে টলটলে জল থেকে শাপলা তুলছে। আবির বিলের পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। কিন্তু ভোরের কুয়াশা মাখা বিলে তেমন নজর যাচ্ছে না। তবু আবির দেখবার চেষ্টা করছে। চারপাশে পুজো পুজো গন্ধ। ছাতিয়ার বিলে জল বাঁধ ছাপিয়ে যাবে যেন। কতদিন পর তার আসা। আবির পুজোর সময় আসতে পারে না তার গ্রামে। শহরে তার বহু দিনের ব্যবসা । তার একটিই ছেলে। বাইরে থাকে। তার বউ ইরা সঙ্গে এসেছে। পুরনো বাড়িটা তেমনই আছে। ওর কাকার ছেলে অমিত দেখা শোনা করে।
পুঁজিবাদ, সংখ্যা ও প্রতিরোধ ---- আসলে বর্তমান পুঁজিবাদের এক অন্যতম দিকই হল বা লাইফ লাইনই হল ডেটা ইকনমিক্স। সেই কবেই মহমতী লেনিন তাঁর সাম্রাজ্যবাদ পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ পর্যায় গ্রন্থে দেখিয়েছিলেন কী ভাবে পণ্য উৎপাদন নির্ভর পুঁজিবাদ সরছিল মূলতই পরিষেবা নির্ভরতার দিকে- সেই শিফট আজ হয়তো মেইন কোর্স হয়ে উঠেছে।