এই আন্দোলন যে আলোর দিশা দেখাতে পারতো তা হল নারী পুরুষ সমতার পথ। পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ভোগবাদী ধারণার মূলোচ্ছেদ। রাত কেন, প্রত্যেক দিন পথে ঘাটে ঘরে বাইরে মেয়েরা যে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়, তা নিয়েও কথা বলা দরকার। বাসে উঠলে কোথায় বসবো, সন্ধ্যা হলে কোন্ পথে ফিরবো, অদ্ভুত দৃষ্টির সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে চলবো এ তো প্রজন্মের পর প্রজন্মের গল্প। সমাজের এই গভীর অসুখ কীভাবে সারবে?
গল্প এখন একটাই। দাদু বলল। নাতিনাতনিদের বয়েস কম। দাদুর কাছে গল্প শুনতে ভালবাসে সবাই। দাদু আবার বলল, গল্প এখন একটাই। শোনো তাহলে।
তিলোত্তমা ও তার ওপর পৈশাচিক নির্যাতন এর বিরুদ্ধে যে জাস্টিসের দাবি তা বাস্তবিক কতটা আদায় করা সম্ভব হবে আমার জানা নেই। কিন্তু তিলোত্তমা একটি সামাজিক গণজাগরণের নাম হতে পারে। সমস্ত অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে জাস্টিস একটা দাবি হতে পারে। সেই সামাজিক আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মধ্যে তিলোত্তমার জাস্টিস নিহিত।
কে কী খাবে, কী পরবে, তা ঠিক করে দেবার এরা কারা? কেনই বা এমন আইন হবে দেশের নানা রাজ্যে যেখানে দলিত, শূদ্র, মুসলমান নিপীড়িত হয়? এইসব আইন বাতিল করার আওয়াজ তোলার সময় কবে হবে? আজ যখন পশ্চিমবঙ্গে আমরা এক ভয়ঙ্কর ধর্ষণ, খুন এবং দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছি, পথে নেমেছি, আজ কেন আমরা সাবিরের জন্যও বিচার চাইব না?
শিক্ষক দিবস কি শুধু একটি দিন, যেই দিনে শিক্ষায় শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে হয়? নাকি নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে স্কুল স্তরে এবং উচ্চ শিক্ষায় কী কী বদল হয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা চলতে পারে? নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি : শিক্ষার বিকেন্দ্রীকরণ নয় বাণিজ্যিকীকরণ – ই লক্ষ্য এই বিষয়ে দুই পর্বের এই লেখার দ্বিতীয় পর্ব আজ।
শিক্ষক দিবস কি শুধু একটি দিন, যেই দিনে শিক্ষায় শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে হয়? নাকি নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে স্কুল স্তরে এবং উচ্চ শিক্ষায় কী কী বদল হয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা চলতে পারে? নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির ফলে শিক্ষায় কী পরিবর্তন আসতে চলেছে, এই বিষয়ে দুই পর্বের এই লেখার প্রথম পর্ব আজ।
আরজিকরের নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের পরে শুধু রাজনৈতিক মহল নয়, সামাজিক স্তর থেকেও আওয়াজ উঠছে, 'ফাঁসি' চাই অভিযুক্তের। ঠিক ধনঞ্জয়ের সময়ে যা হয়েছিল, আজ তার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। কিন্তু ফাঁসি দিলেই কি ধর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে আগামীকাল থেকে? আজ মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ অধিবেশন ডেকে ফাঁসির স্বপক্ষে বিল আনতে চলেছেন। তাই এই আলোচনা জরুরি।
আগস্ট পেরিয়ে সেপ্টেম্বর, ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’ স্লোগানে উত্তাল বাংলায় এখনো বিচার পায়নি মেয়েটি। রাজ্য প্রশাসন থেকে সিবিআই তদন্ত করে কে বা কারা আসল অপরাধী আজও সনাক্ত করে আদালতে পেশ করতে পারলো না, আর ওদিকে বিষয়টাকে আরো গুলিয়ে দিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই অপরাধীর ফাঁসি চাই বলে রাস্তায় নেমে পড়লেন, কিন্তু তা করে কি এই সমস্যার সমাধান হবে?
সকাল নটার এলার্মটা বাজতে শুরু করল। ওষুধ খাবার এলার্ম। লাইফ টাইম। ডাক্তার চ্যাটারজী বলেছিলেন এটী কিন্তু বন্ধ করবেন না। খেয়ে যাবেন রোজ। এখন তিনি বিগত। তাঁর প্রেসক্রিপশান কিন্তু চলছে। তারই এলার্ম। বেজে যাচ্ছে ষোলো বছর ধরে। রোজ নিয়ম করে। এর মধ্যে ফোন পাল্টেছে। ফোনের পরিষেবক পালটেছে। পরিজন এসেছে। ছেড়ে গেছে। সময় ঢেউএর মতো বয়ে গেছে এই ঘরে। কখনও উত্তাল অস্থির, কখনও শান্ত ধারা । দিনগুলো ভেসে যায় যেন সার দিয়ে মরা ডলফিন ।
অভয়া বা অভয়ার পরিবার কারো কি কিছু গুণগত পরিবর্তন ঘটবে, জাস্টিসের আগের সাথে জাস্টিসের পরে। ভবিষ্যতে আর একটাও অভয়া বা নির্ভয়ার ঘটনা ঘটবে না, এই নিশ্চয়তা কি পাওয়া যাবে? কথা বলে দেখেছি সবাই যা বলছে চিত্র তারকা থেকে ছাত্র ছাত্রী সবই গণমাধ্যমে ফেসবুকে টুইটারে বহু পঠিত ও বহু চর্চিত ও কথিত সেই সব বয়ান -- আমার ঘরেও মেয়ে আছে, ..... আমার ভাইঝির মুখটা মনে পড়ছে,....... রাতে ঘুমোতে পারিনি,..... মনে হচ্ছে আমার সাথে কথা বলছে,...... তীব্র এক যন্ত্রণা,..... আমার মেয়েটাও তো বড় হচ্ছে,...... এমন একই শব্দবন্ধ হাজার হাজার পাঠ করেছি, শুনেছি সমাজ মাধ্যমে।
অভয়া বা অভয়ার পরিবার কারো কি কিছু গুণগত পরিবর্তন ঘটবে, জাস্টিসের আগের সাথে জাস্টিসের পরে। ভবিষ্যতে আর একটাও অভয়া বা নির্ভয়ার ঘটনা ঘটবে না, এই নিশ্চয়তা কি পাওয়া যাবে? কথা বলে দেখেছি সবাই যা বলছে চিত্র তারকা থেকে ছাত্র ছাত্রী সবই গণমাধ্যমে ফেসবুকে টুইটারে বহু পঠিত ও বহু চর্চিত ও কথিত সেই সব বয়ান -- আমার ঘরেও মেয়ে আছে, ..... আমার ভাইঝির মুখটা মনে পড়ছে,....... রাতে ঘুমোতে পারিনি,..... মনে হচ্ছে আমার সাথে কথা বলছে,...... তীব্র এক যন্ত্রণা,..... আমার মেয়েটাও তো বড় হচ্ছে,...... এমন একই শব্দবন্ধ হাজার হাজার পাঠ করেছি, শুনেছি সমাজ মাধ্যমে।
সকাল নটার এলার্মটা বাজতে শুরু করল। ওষুধ খাবার এলার্ম। লাইফ টাইম। ডাক্তার চ্যাটারজী বলেছিলেন এটী কিন্তু বন্ধ করবেন না। খেয়ে যাবেন রোজ। এখন তিনি বিগত। তাঁর প্রেসক্রিপশান কিন্তু চলছে। তারই এলার্ম। বেজে যাচ্ছে ষোলো বছর ধরে। রোজ নিয়ম করে। এর মধ্যে ফোন পাল্টেছে। ফোনের পরিষেবক পালটেছে। পরিজন এসেছে। ছেড়ে গেছে। সময় ঢেউএর মতো বয়ে গেছে এই ঘরে। কখনও উত্তাল অস্থির, কখনও শান্ত ধারা । দিনগুলো ভেসে যায় যেন সার দিয়ে মরা ডলফিন ।
জন্মলগ্ন থেকে ফুটবল একটি আদ্যন্ত রাজনৈতিক খেলা। এই খেলা কেবল বিনোদন নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আত্মপরিচয়। লাতিন আমেরিকার বিখ্যাত ভাষ্যকার এদুয়ার্দো গালেনো তাঁর “Football in the Sun and Shadow” বইতে স্পষ্ট ভাষায় এই কথাগুলোই লিখেছেন। ফুটবলের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে বিশেষত ক্লাব ফুটবলের ক্ষেত্রে এর চেয়ে সত্যি কিছু হয় না। বিশ্বখ্যাত এবং অখ্যাত নানা ফুটবল ক্লাবের তৈরি হওয়া, গড়ে ওঠার সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটি জনগোষ্ঠীর ইতিহাস - সেই জনগোষ্ঠী যাদের রাজনৈতিক পরিচয়ই ক্লাবের সমর্থক গোষ্ঠীর আত্মপরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ জুড়ে চলা কিছুদিন আগে অবধি সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনা, বিশেষ করে চট্টগ্রামে, মিথ্যা না, সত্যি। গোটা দেশ জুড়েই সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধদের উপর আক্রমণ শুরু হয় ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে। কিন্তু যে ভাবে ভারতের মূলস্রোতের সংবাদ মাধ্যম এটিকে ইসলামী সন্ত্রাসী শক্তির হিন্দুদের উপর সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ থেকে করা আক্রমণ হিসাবে দেখাচ্ছে, ঘটনাটি কি সেরকম?
ধৈর্য ধরতে হবে সাথী। কথায় কথায় লেনিন টেনে আনবার আগে দশ বার অন্তত মনে মনে ভেবে দেখবেন, ওনার কথাগুলি ঠিকঠাক বুঝেছেন কিনা। তা না হলে উদ্ধৃতি আর বচনের মধ্যে কোনো পার্থক্যই থাকবে না। একজন কমরেডের কড়া সমালোচনার উত্তর দিতে বসে শুরুতেই লেনিন তাঁর উদ্দেশে বলেছিলেন, Strong words are hardly ever strong arguments! সেটাও সম্ভব হলে স্মরণে রাখা দরকার। মেয়েদের রাত দখল অভিযান আর কিছু প্রশ্নোত্তর।
সুপ্রিম কোর্ট যার উপর আস্থা রেখে আদালতের নজরদারিতে আদানি কেলেঙ্কারির তদন্তের দাবি খারিজ করে দিয়েছিলো, এবার সেই সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরি বুচ এবং তার স্বামী ধবল বুচকে অভিযুক্ত করেছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। সেখান থেকেই কথা উঠছে দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির মেরুদন্ড শাসক ও মুষ্টিমেয় শিল্পপতির কাছে কি বন্ধক দেওয়া আছে ?