'' ঋভু… এক চড় দেব। এই ছোট ভুলটা হয় কী করে? সামান্য ফোকাস নেই তোর? সেই থেকে বসে প্রতিটা অঙ্ক ধরে ধরে করাচ্ছি...'' বলতেই ছেলে গোসা হয়ে চলে গেল পাশের ঘরে। বাবার কাছে। বাবার পেটে মুখ গুঁজে কিছুক্ষণ কাঁদবে। বাবা আদর করবে। তবে ফেরত আসবে আমার কাছে।
সুরক্ষা দেওয়ার নামে এই পুলিশ, সেনাবাহিনী, তদন্তকারী দলের অফিসারেরাই কীভাবে নজরদারি চালায়। উঁকি দেয় ঘর-সংসারে ভেতরে, কথার এদিক-ওদিক হলে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায় চাষের জিনিস, হাঁস, মুরগি, ছাগল সমেত নানা জিনিসপত্র প্রভৃতি। আর নয়তো বন্দী করে নিয়ে যায় আস্ত মানুষগুলিকেই। তাঁরা বেশ বোঝে নজরবন্দীর গালভরা নাম, 'সুরক্ষা', আর আমরা তা সমর্থন করি।
হিজাব শুধু পিতৃতন্ত্রের প্রতীক নয়। হিজাব এখানে নারীর 'পছন্দ' নয়। বরং সর্বত্র তার অধীনতার প্রতীক। ইরানে নারী এমনিও অনেক অনেক ক্ষেত্রে বঞ্চিত। যেমন, অপরাধী চিহ্নিত হবার বয়সের ক্ষেত্রে, সম্পত্তির অধিকারের ক্ষেত্রে, বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে, বিবাহবিচ্ছিন্ন হলে সন্তানের দেখভালের অধিকার লাভ করার ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য। অর্থাৎ হিজাব এখানে ঐসলামিক ইরানী রাষ্ট্রের সর্বগ্রাসী পিতৃতন্ত্রের অস্ত্র, সেজন্যই আবার প্রতিবাদীদের নিশানায়।
দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান চেয়ারটির একটি সাংবিধানিক ঐশ্বর্য রয়েছে। সংবিধান তাঁর কাছে পবিত্র এনসাইক্লোপিডিয়া। তার ছত্রে ছত্রে যেমন বিধানের মান্যতা আছে তেমনই বিচারব্যবস্থার নীতি- নৈতিকতা নিয়ে অনুসৃত নির্দেশের সার্বজনীনতাও আছে সম্যক ভাবে। সংবিধান প্রয়োগকারীদের যেমন একটি দায় থাকে তেমন তাকে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে জানা ও বোঝার একটি চর্চাও প্রাসঙ্গিক থাকে; তাতে সমর্থন জোগায় রাষ্ট্র। কিন্তু মাননীয় প্রধান বিচারপতি কি তাঁর অবসরের সময়ে, সেই সম্মান রক্ষা করতে পারলেন?
ভাবনা আসে, বদিরুলের মনে ভাবনা আসে। সারাদিনের দাপট দেখানোর ব্যস্ততা ফেলে রেখে, ফাঁক পেলে সুবলদাকে তোষামোদ করার মুহুর্তগুলো পেরিয়ে, বাড়ির নিত্য ঘ্যানঘ্যানানি সরিয়ে, লাস্যময়ীর সুকোমল মুখটিকে বুকে রেখে ভাবনা আসে।
সরকার অপুষ্টি রুখতে বিনা পয়সায় সুরক্ষিত চাল বিতরণের সময়সীমা বাড়িয়েছেন। তখনই প্রশ্ন উঠেছে এই চাল পুষ্টি বাড়ানোর তুলনায় বেশ কিছু মানুষের শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়িয়ে তাঁদের বিপদে ফেলবে। এইরকম এক চাপান উতরের মধ্যে গত ১০ অক্টোবর, ২০২৪ সালের ‘গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স বা বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের’ রিপোর্ট জনসমক্ষে এসেছে। ক্ষুধা সূচকের মান অনুযায়ী বিশ্বের ১২৭ টি দেশের যে তালিকা তৈরি হয়েছে তাতে ভারতের নাম রয়েছে ১০৫ নম্বরে। অর্থাৎ ভারত তালিকার একেবারে শেষের দিকে।
∆ শোনো একটু সুকুমার রায়কে মনে করাই। অবাক জলপান এর সেই পথিকের কথা মনে আছে? "নাঃ, একটু জল না পেলে আর চলছে না।" কিন্তু জল চায় কার কাছে ? দুপুর রোদে দরজা এঁটে সব ঘুম দিচ্ছে। অতঃপর ‒ ঐ একজন আসছে ! ওকেই জিজ্ঞেস করা যাক । ..... মশাই, একটু জল পাই কোথায় বলতে পারেন ?
ইতিহাস বিকৃত করবার পেছনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের মূল লক্ষ্য ছিল, ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্রাজ্য বিস্তার ও ভারতীয় রাজনীতির সুদূর ভবিষ্যতেও আধিপত্য কায়েম রাখবার স্বপ্ন। ফলে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সহ আরও নানা সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি দেশ ভাগ করে স-শরীরে ভারত ছেড়ে গেলেও, সংবিধানে তথাকথিত স্বাধীন ভারতবাসী পেল ধর্মকে রাষ্ট্রের প্রসারিত ও নিয়ন্ত্রিত করবার ক্ষমতা। ধর্মকে ধরে রাজনৈতিক দলগুলির রাজনীতি করবার আইনি জোর।
ভয়ঙ্কর পরিবেশ বিপর্যয়কারী ও আদিবাসীদের যাপনের ওপর চরম আঘাত এই হাঁসদেও জঙ্গলে আদানি গ্রুপের কয়লাখনি । সর্বস্তরের জনগণের বিক্ষোভ প্রতিবাদ প্রতিরোধ সত্বেও হাঁসদেও অরণ্যে পারসা কোল ব্লকে কয়লা খনির জমি অধিগ্রহণের জন্য জঙ্গল সাফ করতে বদ্ধপরিকর আদানি গোষ্ঠী। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে কেন হাঁসদেও জঙ্গলকে বাঁচাতেই হবে?
১৭ দিনে পড়া জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন আন্দোলন উঠল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক যে বিরাট কিছু ফলদায়ী হয়েছে এমনটা যদিও বলা যাচ্ছে না একেবারেই। জুনিয়র ডাক্তারদের মিটিং ফেরত প্রতিনিধিরা নিজেরাই বলেছেন, “সরকারপক্ষের শরীরি-ভাষা সুবিধের ছিল না”! কিন্তু তাহলেও এই পর্যায়ে এই আন্দোলনকে আপাতত তুলে নেওয়া ছাড়া আন্দোলনকারীদের কাছে অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না বলেই মনে হয়।
১৭ দিনে পড়া জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন আন্দোলন উঠল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক যে বিরাট কিছু ফলদায়ী হয়েছে এমনটা যদিও বলা যাচ্ছে না একেবারেই। জুনিয়র ডাক্তারদের মিটিং ফেরত প্রতিনিধিরা নিজেরাই বলেছেন, “সরকারপক্ষের শরীরি-ভাষা সুবিধের ছিল না”! কিন্তু তাহলেও এই পর্যায়ে এই আন্দোলনকে আপাতত তুলে নেওয়া ছাড়া আন্দোলনকারীদের কাছে অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না বলেই মনে হয়।
ভয়ঙ্কর পরিবেশ বিপর্যয়কারী ও আদিবাসীদের যাপনের ওপর চরম আঘাত এই হাঁসদেও জঙ্গলে আদানি গ্রুপের কয়লাখনি । সর্বস্তরের জনগণের বিক্ষোভ প্রতিবাদ প্রতিরোধ সত্বেও হাঁসদেও অরণ্যে পারসা কোল ব্লকে কয়লা খনির জমি অধিগ্রহণের জন্য জঙ্গল সাফ করতে বদ্ধপরিকর আদানি গোষ্ঠী। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে কেন হাঁসদেও জঙ্গলকে বাঁচাতেই হবে?
আমাদের এই পশ্চিমবাংলায় এখন আক্রমণের ভাষা হিসেবে বিভিন্নমাত্রিক গালাগালি তথা অপ কিম্বা অবিহিত ভাষার ফুলঝুরি ছুটছে। কারও মতের বিপক্ষতা করলেই ধেয়ে আসছে আক্রমণের ভাষা হিসেবে অশ্লীল, অশিষ্ট, অবিহিত কিম্বা অপশব্দের তুফান। এই ভাষিক আক্রমণ অনেক সময় থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুগলবন্দিত্বে ধেয়ে আসছে।
কিছুদিন আগে তিলোত্তমার বিচারের শুনানি চলাকালীন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত হাসপাতালে সুরক্ষার জন্য সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে কটাক্ষ করেছিল। গতকাল দিল্লি এইমসে এক বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীর হাতে ঐ হাসপাতালের এক মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। যাঁরা সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়ে এতো নাক কুঁচকেছিলেন, তাঁদের এবার কী বক্তব্য হবে?
খবরটা শুনেই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। গন্তব্য চটাদার আশ্রম। আশ্রম মানে একটা পাতা হাফ পোল। দুদিকে পাঁচ সারি ইটের স্তুপের উপরে শোয়ানো। বসে চা খাওয়া যায়। চপ বা বেগুনি খেতেও অসুবিধা হয় না। আর পোলটা বিদ্যুৎ দপ্তরের বেহাত বা বেওয়ারিশ মাল বলে একবার ওর উপরে বসার জায়গা পেলে আড্ডা ছেড়ে ওঠার কোনো তাড়া থাকে না।
বাঁদিকের গাল আর কান পেঁচিয়ে পেল্লাই চড়টা পড়তেই মাথা কেমন ঝাঁ-ঝাঁ করে ওঠে প্রত্যুষার। চারপাশ চক্রাকারে ঘোরে। ভিক্টর আগে তবলা বাজাত, খুব খরখরে ও শক্ত করতল। ও কেবল গালে মারে না, গাল-কান নিয়ে মারে। ডানহাতের পুরো পাঞ্জা যখন আছড়ে পড়ে প্রত্যুষার বাঁ গাল আর কানের মধ্যবর্তী পেলবতায়, কয়েক মুহূর্তের জন্য সাড় চলে যায় তার।