আজকের আধুনিক যুগেও যে ছেলে বা মেয়েদের উপর বিয়ের সিদ্ধান্ত পরিবার থেকে চাপিয়ে দেয়, এটাও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের একটা জবরদস্তি। ঠিকুজি - কুষ্টি মেলানোর থেকে, বিয়ের ক্ষেত্রে দুটি প্রাপ্ত বয়স্ক / বয়স্কা মানুষের মনের মিল যে বেশী জরুরি এটা এখনো পরিবার, সমাজ মেনে নিতে চায় না। ভিন্ন ধর্ম বা জাতির ছেলে মেয়ে স্বাধীন ইচ্ছামত বিয়ে করলে তা এখন মিডিয়ার কাছে ও রাজনৈতিকভাবে 'লাভ জিহাদ'।
কালীগঞ্জ উপনির্বাচন-বামঐক্য নিয়ে কিঞ্চিৎ কিছু কথা বলা জরুরি। বাম ঐক্যের ভিত্তি কী হবে? ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা না তৃণমূল বিরোধিতা? দুটো অক্ষ তো সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী। সেই নিয়েই এই লেখা। যদিও এই মতামত লেখকের নিজস্ব, তবুও এর বিপরীতে অন্য মতামতও সহমন প্রকাশ করতে আগ্রহী।
মুসলমান, অনুপ্রবেশ, সন্ত্রাসবাদ – তিনটি প্রসঙ্গকে পরস্পরের পরিপূরক হিসাবে দেশবাসীর কাছে উপস্থিত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়ে বিজেপি ময়দানে নেমেছে। ধর্মীয় বিদ্বেষের নিক্তিতে মুসলমান আর জাতি-বিদ্বেষের নিক্তিতে বাঙালি -- দুইকে মিলিয়ে-মিশিয়ে বিদ্বেষ-বিভাজনের এক ককটেল পলিটিক্স নামিয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা। এতে ম্যাজিক আছে; ‘হিন্দু খতরেমে হ্যায়’ বলে বাঙালি মুসলিমদের তাক করার মধ্য দিয়ে সূক্ষ্মভাবে জাতি বিদ্বেষকে লালন-পালন করা যায়। হিন্দুত্ববাদীরা সেটাই করছে। এর ভবিষ্যৎ হবে সংঘাতময়।
ঘটনাক্রম কমবেশি এরকম: পাড়ার ফুটপাথ দিয়ে হেঁটে এল লোকটা। শনিবারের দুপুর গড়িয়ে বিকেল, ওর পিঠে নরম রোদ। সবুজ রঙের একটা বেড়ার সামনে এসে ও দাঁড়াল। ভাবল: ওহ না, মোটেই না, কতই বা ওর বয়স! সাত, বড়জোর আট, ওহ না, আমি তা করতে চাই না।
স্মার্টফোন কীভাবে কিশোর-কিশোরীদের জীবনকে প্রভাবিত করছে? এই ডিজিটাল যুগে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক সুস্থতার ওপর এর কী প্রভাব? আর কীভাবে আমরা এই প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, যাতে এটি তাদের ক্ষতির কারণ না হয়?
সংবিধান মতে খনিজ পদার্থ আর জলের অধিকার নিয়ে কথা বলার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। তার মানে ছত্তিশগড় সরকার একদিকে স্থানীয় সম্পদ রক্ষার ব্যাপারে দায়বদ্ধ, অন্যদিকে রাজ্যে তথাকথিত ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ’-এর ব্যাপারেও দায়বদ্ধ। কেবল মানুষ ও প্রকৃতিকে ছাপিয়ে দ্বিতীয়টির উপরেই কেন জানি না তাদের অতি উৎসাহ – তা সে যে রঙের সরকারি হোক না কেন।
ছ বছর আগে (২০১৯ সালে) পুলওয়ামার ঘটনায় দেশপ্রেম দেখাতে গিয়ে চটাদার কাছে যে ঝাড় খেয়েছিলাম সেটা ভুলিনি। এবার স্বর্গলোকের সুরোধামে হাল্লা সন্ত্রাসীদের হাতে ২২ এপ্রিল পর্যটক গণনিধনের ঘটনার ভয়াবহতা নৃশংসতা এবং ইসলামি জঙ্গিবাদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে তারুকাকার দোকানের সামনের জটলায় যতই সার্জারি মাইক্রোসার্জারি হতে থাকুক না কেন, আমি আর সহজে মুখ খুলিনি।
সফেদ বা সাদা রং এর কুয়াশা । একটা মৃদু ঘন কুয়াশা। তার ভেতর থেকেই ওরা বলছিল একটা নেকড়ে দুম করে বেরিয়ে আসতে পারে। যে কোনও মুহূর্তে বেরিয়ে আসতে পারে বিউটিফুল কুয়াশার ভেতর লুকিয়ে থাকা এক পিস সলিড হিংস্র নেকড়ে।
শহিদ স্তম্ভের মাথায় একটি ফুলকপি রেখে অমিত শাহ তাচ্ছিল্যসূচক হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন, আর শহিদ স্তম্ভের গায়ে লেখা : ‘নকশালিজম রেস্ট ইন পিস’! ছাব্বিশের মার্চের মধ্যে এভাবেই তিনি নাকি দেশকে মাওবাদী তথা নকশালমুক্ত করবেন! ১৯৮৯ সালে ভাগলপুরে গণহত্যার পর সেখানে অসংখ্য মুসলিমকে ফুলকপির ক্ষেতে পুতে দেওয়া হয়েছিল। এখানেও সেই ভাগলপুরের অনুসূত্রে নকশালপন্থী তথা নকশালপন্থীদের কবরে পাঠাতে তিনি যে বদ্ধপরিকর তারই বার্তা এখানে এই ব্যঙ্গচিত্রের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ৪০০ একর জঙ্গলকে উড়িয়ে দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের সবুজের জন্য লড়াই। প্রকৃতির অপার ছন্দে গড়ে ওঠা একমাত্র ‘ন্যাচারাল কার্বন-সিঙ্ক’ উদ্ভিদকূল অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইডকে নিজের শরীরে শুষে নিয়ে পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্য করে রাখে। সেইসব প্রাকৃতিক জঙ্গলকে উচ্ছেদের এক করুণ গল্প শোনাবো পাঠকদের। শোনাবো সবুজ বাঁচানোর অভিযানের কথাও।
হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ৪০০ একর জঙ্গলকে উড়িয়ে দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের সবুজের জন্য লড়াই। প্রকৃতির অপার ছন্দে গড়ে ওঠা একমাত্র ‘ন্যাচারাল কার্বন-সিঙ্ক’ উদ্ভিদকূল অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইডকে নিজের শরীরে শুষে নিয়ে পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্য করে রাখে। সেইসব প্রাকৃতিক জঙ্গলকে উচ্ছেদের এক করুণ গল্প শোনাবো পাঠকদের। শোনাবো সবুজ বাঁচানোর অভিযানের কথাও।
শহিদ স্তম্ভের মাথায় একটি ফুলকপি রেখে অমিত শাহ তাচ্ছিল্যসূচক হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন, আর শহিদ স্তম্ভের গায়ে লেখা : ‘নকশালিজম রেস্ট ইন পিস’! ছাব্বিশের মার্চের মধ্যে এভাবেই তিনি নাকি দেশকে মাওবাদী তথা নকশালমুক্ত করবেন! ১৯৮৯ সালে ভাগলপুরে গণহত্যার পর সেখানে অসংখ্য মুসলিমকে ফুলকপির ক্ষেতে পুতে দেওয়া হয়েছিল। এখানেও সেই ভাগলপুরের অনুসূত্রে নকশালপন্থী তথা নকশালপন্থীদের কবরে পাঠাতে তিনি যে বদ্ধপরিকর তারই বার্তা এখানে এই ব্যঙ্গচিত্রের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভোরের বাসে ওরা কোলকাতা ছাড়বে। কিছু দরকারি ওষুধ আনতে বেরিয়ে গেছে তানভির। যাওয়ার আগে অবশ্য বলেছিল, চল্ মুন্নি, ঘুরে আসি। আবার কবে আসি কে জানে।
ভাবতে অবাক লাগে, বিরোধীরা মোদীর ত্রাতা হতে উঠে পড়ে লাগলেন! আসলে মোদী-শাহর বিজেপি বহুদিন ধরে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে, তারাই একমাত্র দেশপ্রেমী, তারাই প্রকৃত জাতীয়তাবাদী দল। এমনকী, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরোধা জাতীয় কংগ্রেসের ক্রেডেনসিয়ালকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আর তৃণমূল, ডিএমকে-র মতো দলকে তো বিজেপি মূলত সংখ্যালঘু মুসলিম তোষণের অভিযোগে বার বার কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। তাহলে তাদেরকে বরযাত্রী হিসেবে বিদেশে পাঠানোর উদ্দেশ্য কী?
যে কোনও সমস্যার মোকাবিলা গণরাজনীতি দিয়ে করতে হবে। কারণ অস্ত্র শুধু অস্ত্র আর হত্যাকে ডেকে আনে। যে দোষে আমি অন্যকে দায়ী করব, তা আমি নিজে করতে পারি না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার যেটুকু আছে তাকে শক্তিশালী করতে হবে লড়ে, পথের লড়াই থেকে আইনী লড়াই নানাকিছু দিয়ে। বাড়াতে হবে তাকে। আবার শাসকদের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধেও দাঁড়াতে হবে। তারা মানবাধিকারকে যতই সঙ্কুচিত করার চেষ্টা করুক না কেন, একই পদ্ধতিতে তাদের সঙ্গেও লড়তে হবে।
এই সদ্য যুদ্ধের আগুনের পাশে বসে যাঁর জন্মদিন উদযাপিত হল তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। 'বছরে তিরিশ বার শ্যামা শাপমোচনের অশ্রুমোচনে' সীমাবদ্ধ না থেকে আমরা যদি আর একটু তলিয়ে তাঁকে জানতে চেষ্টা করতাম তবে সেই অমোঘ সত্যের মুখোমুখি হতে হয় যুদ্ধের আবহে প্রতিনিয়ত যাকে হত্যা করার চেষ্টা চলছে।