একটি পৌর ওয়ার্ডে দুটি বাংলা মাধ্যমের প্রাথমিক বিদ্যালয় উঠে গেছে। এখন যে দুটি আছে তার একটি ছাত্র সংখ্যা খাতায়-কলমে ১৭ হলেও, বাস্তবে ওটা ৬/৭জন। অর্থাৎ বলা যায় বাংলা মাধ্যম প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি। অথচ আলোচ্য সময়ে একটি সুবৃহৎ ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় চালু হয়েছে। যেখানে দেড় হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী। উল্লেখযোগ্য এই স্কুলে দ্বিতীয় ভাষা হিন্দি। এছাড়াও এই অঞ্চলে নতুন দুটি হিন্দি স্কুল গড়ে উঠেছে। বাংলা মাধ্যম স্কুল উঠে যাচ্ছে। আর ইংরেজি ও হিন্দি মাধ্যম জন্ম নিচ্ছে। এটি একটি ওয়ার্ডের ছবি হলেও, বিষয়টা যে সার্বিক, তা না বলে দিলেও স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে।
ঝাড়খন্ড এবং মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের পরে আবার ইভিএম বনাম ব্যালট পেপারে ভোট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, ইভিএমে যদি গোলমাল থাকে তাহলে তা ঝাড়খন্ড এবং মহারাষ্ট্র, দুটো রাজ্যেই থাকবে, বিরোধীদের অভিযোগ মতো এক রাজ্যে ইভিএন ঠিক আর অন্য রাজ্যে যান্ত্রিক গোলযোগ হয়েছে, তা তো বলা যাবে না। কিন্তু, তাও বিতর্ক থামছে না।
--জনক আর শুকদেবের গল্পটা জানিস? --জনক মানে ওই জনক চাচার কথা বলছিস কি?জনক চৌবে ? ওই যে ভুজিয়ার দোকান ? --ধুস শালা গান্ডু ! আমি পুরাণের জনক আর শুকদেবের কথা বলছি ।
ওয়াকফের উদ্দেশ্যে দান ধর্মীয় গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, অর্থাৎ যে কোন ব্যক্তি, তিনি মুসলিম হতে পারেন অথবা অন্য কোন ধর্মাবলম্বী হতে পারেন, ওয়াকফের উদ্দেশে দান করতে পারেন, যা বর্তমান আইনে স্বীকৃত। কিন্তু সংশোধনী বিলে ধারা 3(r) যুক্ত করে এমন বাধ্যবাধকতা নিয়ে আসা হয়েছে, যেখানে অমুসলিম কেউ ওয়াকফ তৈরি করতে পারবেন না, এমনকি আদ্যন্ত ধার্মিক মুসলিম না হলে তিনিও ওয়াকফ তৈরি করতে পারবেন না।
জেলের সলিটারি কনফাইনমেন্টে বিছানা, শৌচালয়ও গরাদের মেঝেতে নয় বছর হেঁচড়ে হেঁচড়ে কাটানো পর মুক্তি পেয়েছিলেন গত মার্চ মাসে। জেল জীবনে সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে এসেছিল, হৃদপিন্ড পঞ্চান্ন শতাংশ কাজ করেছিল। অ্যাপেন্ডিক্সের অপারেশন করাতে গিয়ে হায়দ্রাবাদে মৃত্যু হয়েছে সাইবাবার। আর আমাদের প্রজাতন্ত্র প্রথমে সুনিশ্চিত করে, এবং পরবর্তীতে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করল গোটা মৃত্যু প্রক্রিয়াটি।
আচ্ছা ভাবুন তো আপনার হাত কিছু লোক কেটে নিল। এবং সেই বিষয়ে আপনি স্মৃতি রোমন্থন করছেন । তখন কী হবে ? স্বাভাবিক ভাবেই আপনার রাগ, ঘেন্না, যন্ত্রণা চিৎকার ফুটে উঠবে আপনার মুখমন্ডলে। তিলোত্তমার মূর্তির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। ওই গোটা মূর্তি জুড়ে বাংলার এক মেয়ের তীব্র চিৎকার আমরা খুঁজে পাচ্ছি। ন্যায় বিচার না পাওয়া থেকে রেপ ও থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে তীব্র এক আওয়াজ খুঁজে পাচ্ছি। তাতে এত গেল গেল রব তোলার কী হয়েছে ?
পাশের বাড়ির অমিতদা শেষমেশ হারিয়েই গেল। শ্যাম আগে থেকেই ব্যাপারটা জানত, জানত জসিমও। কিন্তু এ নিয়ে দু'জনে বিস্তর আলোচনা করেও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। আসলে অমিতদা লোকটা ওরকমই— কোনও সিদ্ধান্তেই আসা যায় না। সেই যে-বার সে তেলখেকো রাক্ষসের গল্প ব'লে ভড়কে দিতে চেয়েছিল দু'জনকে, সেবারও শ্যামের ঠিক বিশ্বাস হয়নি কথাটা। কিন্তু জসিমের বরাবরই অমিতদার ওপর চরম ভক্তি। তারপর সেদিন ফট্ করে একটা ইংরেজি বই বার করে পাতা উল্টিয়ে অমিতদা বলেছিল— বিশ্বাস হচ্ছে না তো! এই দ্যাখ। স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবি তো মিথ্যা বলবে না…
বাঙালি সাহিত্যিক সাক্ষাৎকারেই হাসান আজিজুল হক দেশবিভাগের স্মৃতিকে তাঁর মনের স্থায়ী ‘ক্ষত’ বলেছিলেন, ‘এ ক্ষতটি বোধ হয় চিরকাল আমার মধ্যে রয়ে যাবে।’ এই ক্ষত থেকে যাঁদের ক্রমাগত রক্ত চুঁইয়ে পড়ে, একমাত্র তাঁদের পক্ষেই বাস্তুত্যাগীর যন্ত্রণা বোঝা সম্ভবপর। বিপজ্জনক ভাষায় সিনেমা, সাহিত্য, রাজনীতিতে দেশত্যাগী উদ্বাস্তুদের বয়ান ও কুর্দিশ সিনেমা নিয়ে আজ দ্বিতীয় পর্বের লেখা।
নারী শিক্ষার বিষয়ে আরও কথা বলতে গিয়ে আজাদ যুক্তি দেন যে, বিষয়টি দুটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ ; প্রথমত, স্বাধীন ভারতের নাগরিক হিসেবে শিক্ষা নারীর জন্মগত অধিকার । দ্বিতীয়ত, তাদের শিক্ষা তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষিত করার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তুলবে।তাঁর ধারণা ছিল - শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিগুলি বাস্তবায়িত হলে দেশের আপামর মানুষের জন্য সার্বিক শিক্ষার দরজা প্রসারিত হবে। আজকে তাঁর জন্মতিথি। তিনি আজও বেঁচে আছেন অগণিত ভারতবাসীর মননে।
আজ যারা মোদী ট্রাম্প জুটি নিয়ে আদিখ্যেতা করছেন,তাঁদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সম্পর্কের এই ইতিকথা জেনে রাখা দরকার। ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের জন্য যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হাতে পাবেন সেখানে ঊর্ধ্বমুখী বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, অভিবাসন সমস্যা, পরতি অর্থনীতি এবং সর্বোপরি ইজরায়েল ইরান, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বড় ছায়া ফেলেছে।
আজ যারা মোদী ট্রাম্প জুটি নিয়ে আদিখ্যেতা করছেন,তাঁদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সম্পর্কের এই ইতিকথা জেনে রাখা দরকার। ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের জন্য যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হাতে পাবেন সেখানে ঊর্ধ্বমুখী বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, অভিবাসন সমস্যা, পরতি অর্থনীতি এবং সর্বোপরি ইজরায়েল ইরান, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বড় ছায়া ফেলেছে।
নারী শিক্ষার বিষয়ে আরও কথা বলতে গিয়ে আজাদ যুক্তি দেন যে, বিষয়টি দুটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ ; প্রথমত, স্বাধীন ভারতের নাগরিক হিসেবে শিক্ষা নারীর জন্মগত অধিকার । দ্বিতীয়ত, তাদের শিক্ষা তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষিত করার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তুলবে।তাঁর ধারণা ছিল - শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিগুলি বাস্তবায়িত হলে দেশের আপামর মানুষের জন্য সার্বিক শিক্ষার দরজা প্রসারিত হবে। আজকে তাঁর জন্মতিথি। তিনি আজও বেঁচে আছেন অগণিত ভারতবাসীর মননে।
সদ্য ঘোষিত ভারতীয় দলের প্রথম একাদশে একজন বাঙালির প্রতিনিধিত্ব নেই। বঙ্গ ফুটবলের এই লজ্জার সময়ে আইএফএ কর্তা তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষে ময়দানে নামাকে একমাত্র কাজ বলে মনে করছেন, এ দিনও আজ বঙ্গভাষীদের দেখতে হচ্ছে! গল্পটা অবশ্য এখানেই শেষ হচ্ছে না।পরিকল্পনা মাফিক এর পর নামানো হচ্ছে প্রাক্তন খেলোয়াড়দের একটা অংশকে। এই নির্লজ্জ স্তাবকতার পক্ষে যে যুক্তি সমূহ হাজির করা হচ্ছে তা শুনলে ঘোড়াতেও হাসবে।
'' ঋভু… এক চড় দেব। এই ছোট ভুলটা হয় কী করে? সামান্য ফোকাস নেই তোর? সেই থেকে বসে প্রতিটা অঙ্ক ধরে ধরে করাচ্ছি...'' বলতেই ছেলে গোসা হয়ে চলে গেল পাশের ঘরে। বাবার কাছে। বাবার পেটে মুখ গুঁজে কিছুক্ষণ কাঁদবে। বাবা আদর করবে। তবে ফেরত আসবে আমার কাছে।
সুরক্ষা দেওয়ার নামে এই পুলিশ, সেনাবাহিনী, তদন্তকারী দলের অফিসারেরাই কীভাবে নজরদারি চালায়। উঁকি দেয় ঘর-সংসারে ভেতরে, কথার এদিক-ওদিক হলে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায় চাষের জিনিস, হাঁস, মুরগি, ছাগল সমেত নানা জিনিসপত্র প্রভৃতি। আর নয়তো বন্দী করে নিয়ে যায় আস্ত মানুষগুলিকেই। তাঁরা বেশ বোঝে নজরবন্দীর গালভরা নাম, 'সুরক্ষা', আর আমরা তা সমর্থন করি।
হিজাব শুধু পিতৃতন্ত্রের প্রতীক নয়। হিজাব এখানে নারীর 'পছন্দ' নয়। বরং সর্বত্র তার অধীনতার প্রতীক। ইরানে নারী এমনিও অনেক অনেক ক্ষেত্রে বঞ্চিত। যেমন, অপরাধী চিহ্নিত হবার বয়সের ক্ষেত্রে, সম্পত্তির অধিকারের ক্ষেত্রে, বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে, বিবাহবিচ্ছিন্ন হলে সন্তানের দেখভালের অধিকার লাভ করার ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য। অর্থাৎ হিজাব এখানে ঐসলামিক ইরানী রাষ্ট্রের সর্বগ্রাসী পিতৃতন্ত্রের অস্ত্র, সেজন্যই আবার প্রতিবাদীদের নিশানায়।