পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

পুরানো লেখাগুলি

মননের আঁতুড়ঘরে এয়ার স্ট্রাইক

অপপ্রচারের এই অন্ধকার সময়ে হামেশাই আঘাত হানা হয় দায়িত্বশীল সংবাদ সংস্থার উপরে। পাশাপাশি বাড়তে থাকে মোসাহেব মিডিয়ার রমরমা। কিন্তু মানুষকে যুদ্ধোন্মাদনায় যদি প্ররোচিত করা যায়, তবে বিজ্ঞানভিত্তিকভাবেই তাকে অ্যান্টি ভেনম দেওয়াও সম্ভবপর। সেক্ষেত্রে সুচিন্তক নাগরিকের উপর আরও বেশি করে দায়িত্ব বর্তায় গড্ডলিকায় গা না ভাসিয়ে সুবিবেচকের দৃষ্টিভঙ্গিতে সমাজকে দিশা দেখানোর।

নিন্দাবাদের বৃন্দাবনে ভেবেছিলেম গাইবো না গান

নতুন দার্শনিক ভিত্তির সমর্থনে একটা নতুন আখ্যান রচনা করা হলো। বোধ করি গালফ ওয়ারেই প্রথম এটা চালু হয়। যুদ্ধের সরাসরি সম্প্রচার এবং সেই সম্প্রচারের সম্পূর্ণ বরাত দেওয়া হল একমাত্র সিএনএনকে। তারা যুদ্ধকে দূরদর্শনের পর্দায় ধারাবাহিক সম্প্রচারের মাধ্যমে পিক্টোরিয়াল করে তুললো। যেন গালফ ওয়ার একটি হলিউডি সিনেমা বই অন্য কিছু নয়। যুদ্ধের সরাসরি সম্প্রচার একটা বিনোদনের বিষয়ে পরিণত হলো।

ভিকি জানেই না সে মার্জারিন খাচ্ছে !

— না স্যার ! এটা আমার উইকলি নিউজ পেপার । — অত টেকনিক্যাল পয়েন্ট ধরেন কেন ? বেশ ! উইকলি বুলেটিনই বলুন না হয় ! — সে কি কথা ! রেজিস্ট্রেশন আছে বই কি ! না হলে করপোরেশনের অ্যাড ছাপছি কিসের জোরে ?

ও হিন্দু তাই...

একশ বছরেরও অধিক সময় পার ক’রে কত নদীর কত জলহাওয়ায় ঘৃণার রক্তগঙ্গা এই দেশে বয়ে গেল, কিন্তু দ্বেষের রং ফিকে হ’ল না। শুধু নামের জামা বদল হয়েছে। জয় মা দুর্গা আজ জয় শ্রীরাম হয়েছে। ঘৃণা-হিংসার নির্মম-ক্রুর চোরাবালিতে আমরা ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছি। ধর্মপরিচয় জেনে হত্যা করাকে আমরা আলবাৎ নিন্দা করব, কিন্তু তার সঙ্গে এইটাও কি ভাবব না, সেই সমীকরণের বিষে আমরা আমাদের সহ-নাগরিকদের কাঠগড়ায় তুলব কেন?

শাক দিয়ে মাছ ঢাকা

কুন্তী নারী হলেও যুদ্ধবিরোধী ছিলেন না। বরং বিদুলার আখ্যান বলে চেয়েছেন যুদ্ধকে, চেয়েছেন পাণ্ডবেরা নিশ্চিত করুক পাণ্ডুর উত্তরাধিকার, নিঃসপত্ন রাজ্যলাভ করে। দ্রৌপদী নিমেষের জন্যও ভোলেননি তাঁর লজ্জার মুহূর্তকে। ভোলেননি প্রতিশোধকে। অথচ এক অর্জুনে আসক্ত হয়েও পঞ্চ ভ্রাতার বধূ হবার দ্বিচারিতা তাঁকে কখনো অস্বস্তিতে ফেলেনি। যেন সেই-ই স্বাভাবিক। আসুন একটু মহাভারত পড়া যাক, আসুন একটু তলিয়ে ভাবা যাক।

ভারতীয় শিক্ষায় স্বাধীনতার সংকট

জুলাই ২০১৮ সালে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) উপাচার্যের গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার জন্য ৪৮ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ ধরানো হয়েছিল। তাঁদের অনেকেরই অবসরের পর পেনশন আটকে দেওয়া হয় – যা শিক্ষকদের ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতায় একটি স্পষ্ট বাধা।

সনাতন ধর্ম ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ: বিতর্কের নানা স্বর

ঔপনিবেশিক পর্বে ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধী ও দলিত জাগরনের যে আন্দোলন শুরু হয়, তা সনাতন ধর্মের চিরন্তন অস্তিত্ব ও তাত্ত্বিক কাঠামোকে উন্মোচিত করে। এক্ষেত্রে উত্তর ভারতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জ্যোতিবা ফুলের সত্যশোধক সমাজ এবং বি আর আম্বেদকরের ' অ্যানিহিলেশন অব কাস্ট ' মুভমেন্ট।এই আন্দোলন শুদ্র ও দলিতদের নতুন, আধুনিক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সচেতন করে। তারা সনাতন ধর্মের ইতিহাসকে আতস কাঁচের তলায় ফেলে।

রুবিকে নিয়ে

আলাউদ্দীন বলল, মিনিট পনেরোর মধ্যেই এসে যাবে। চোখের সামনে বেশ কিছু দূর পর্যন্ত হালকা আলো লেগে থাকা জল। ঢেউয়ে ঢেউয়ে আলো আর অন্ধকারের নড়ে ওঠা। তা অবশ্য অল্প দূর পর্যন্তই। এরপর শুধু অন্ধকারই। আলাউদ্দীনের কথায় যেহেতু ওপার থেকেই আসবে কোনও নৌকা তাই কোনও এক ওপার অনুমানে থাকে।

আরও পুরানো লেখাগুলি

গ্রিনল্যান্ডের খনিজ ভান্ডার দখলের বাসনা এবং ট্রাম্পের চালাকি

গ্রিনল্যান্ডের খনিজ ভান্ডার দখলের বাসনা এবং গভীর সমুদ্র খননে গতি বাড়াতে ট্রাম্পের নির্দেশ: প্রকৃতি পরিবেশের বিপর্যয়কে চরম থেকে চরমতম করবে। ট্রাম্পের নয়া নয়া নীতির বিরুদ্ধে আমারিকাবাসীর ক্ষোভ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ আন্দোলনও আসবে আলোচনার বৃত্তে।

শিকাগোর হে মার্কেট স্কোয়ার ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস

১৮৮৬ সালের শিকাগোর হে মার্কেট স্কোয়ার থেকে যে আওয়াজ উঠেছিল, সেই আওয়াজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের আওয়াজ। ৮ ঘণ্টা কাজ, সম্মানজনক মজুরি, ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম এবং ৮ ঘণ্টা বিনোদনের ন্যায্য দাবিতে হাজারে হাজারে শ্রমিকরা জড়ো হয়েছিল হে মার্কেট স্কোয়ারে। আজকে যখন দেখা যায়, গিগ শ্রমিকরা ছুটে চলেছেন, আমার আপনার প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র পৌঁছে দিতে তখন এই দিনটা নিয়ে আবার ভাবতে হয়। আজকের দিনে একটি অন্যরকম আখ্যান থাকলো।

আখ্যান

শিকাগোর হে মার্কেট স্কোয়ার ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস

১৮৮৬ সালের শিকাগোর হে মার্কেট স্কোয়ার থেকে যে আওয়াজ উঠেছিল, সেই আওয়াজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের আওয়াজ। ৮ ঘণ্টা কাজ, সম্মানজনক মজুরি, ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম এবং ৮ ঘণ্টা বিনোদনের ন্যায্য দাবিতে হাজারে হাজারে শ্রমিকরা জড়ো হয়েছিল হে মার্কেট স্কোয়ারে। আজকে যখন দেখা যায়, গিগ শ্রমিকরা ছুটে চলেছেন, আমার আপনার প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র পৌঁছে দিতে তখন এই দিনটা নিয়ে আবার ভাবতে হয়। আজকের দিনে একটি অন্যরকম আখ্যান থাকলো।

গ্রিনল্যান্ডের খনিজ ভান্ডার দখলের বাসনা এবং ট্রাম্পের চালাকি

গ্রিনল্যান্ডের খনিজ ভান্ডার দখলের বাসনা এবং গভীর সমুদ্র খননে গতি বাড়াতে ট্রাম্পের নির্দেশ: প্রকৃতি পরিবেশের বিপর্যয়কে চরম থেকে চরমতম করবে। ট্রাম্পের নয়া নয়া নীতির বিরুদ্ধে আমারিকাবাসীর ক্ষোভ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ আন্দোলনও আসবে আলোচনার বৃত্তে।

পাকিস্তানের জল বন্ধ করে আমরা বাঁচবো তো?

আজ যদি ধরেও নেওয়া যায় পশ্চিমের নদীগুলির জলকে সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে নেওয়া হবে, তবে পাঠকদের জেনে রাখা দরকার ভাগিরথী নদীর উপরে তেহেরি ড্যামের মতো অন্তত ৩০ টি বাঁধ তৈরি করতে হবে সরকারকে। যার কোন নির্দিষ্ট পরিকল্পনা পর্যন্ত তৈরি হয়নি কোথাও। অথচ প্রচার সর্বস্ব এই রাষ্ট্র ব্যবস্থা কেমন ভাবে সন্ত্রাসবাদী হামলা ভারাক্রান্ত ভারতবাসীর মনে জল চুক্তি স্থগিতের আবেগকে দিয়ে এক কাল্পনিক রাষ্ট্রবাদের প্রচার করে নিতে পেরেছে। কিন্তু পাকিস্তানের জল বন্ধ করে আমরা বাঁচবো তো?

খয়েরি শার্ট ও কলকাতা

বিসর্জনের পরের পরের দিন পাঁচটি খড়ের নৌকো লেগেছে বাগবাজার ঘাটে। সুন্দরবন থেকে আসা খড়ের নৌকো। পাঁচটি নৌকো মানে ৯০ কাহন খড়। ষোলো মণে এক কাহন, বাণ্ডিলের হিসেব করলে ৮১ বাণ্ডিল খড়। যদিও চৈত্র-বৈশাখ অর্থাৎ সরস্বতীপুজোর পর থেকেই কাঠামোর কাজের তোড়জোড় শুরু, ওই সময় থেকেই বড় বড় কালীঠাকুর, দুর্গাঠাকুর গড়বার কাজে হাত লাগানোর কথা, কিন্তু এইবার আশ্বিনে দুর্গাপুজোর পরেই দু-আড়াই সপ্তাহের মধ্যে কার্তিকের কালীপুজো, তারপরে চৈত্রের বাসন্তী, অন্নপূর্ণার সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়াতে, অসময়েই খড়ের নৌকো আনাতে হল।

ছোটলোক কারা? ভদ্রলোকই বা কারা?

"বাংলায় রিলিজিয়ন এসেছে বাইরে থেকে। বৌদ্ধ, জৈন, ব্রাহ্মণ্য, ইসলাম, খ্রীষ্টান। সবকটি ধর্ম চরিত্রে রেজিমেন্টাল বা নিয়ন্ত্রণভিত্তিক। সবকটিই পরবর্তীকালে দ্বিধা ত্রিধা বিভক্ত হয়েছে। একসঙ্গে মিলেমিশে চলতে পারেনি‌। এই সমস্ত ধর্মই চরিত্রে অসহিষ্ণু। বাংলা এদের সকলকে জায়গা দিয়েছে কারণ বাংলার লোকায়ত আচার বা দর্শন প্রবলভাবে পরমত সহিষ্ণু। কিন্তু এই সমস্ত ধর্মগুলো এসে এখানে সমুদ্রের গভীরে নামতে পারেনি। উপরে ভাসমান পরশ্রমজীবি একদল মানুষের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করেছে মাত্র।" ছোটলোক ভদ্রলোক - বাংলাকথা বইটি পড়ে দেখলেন আজমল হুসেন।

আরএসএসকে বাংলায় রুখতে ময়দানি, মৌলিক লড়াইতে ফেরা ছাড়া উপায় নেই

বাংলার সমাজের সর্বস্তরে আরএসএস অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। বেছে বেছে মুসলমান প্রধান জেলাগুলিতে ক্রমাগত নাশকতার ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে, যেই জেলাগুলিতে নিম্নবর্ণের হিন্দু মুসলামান সমন্বয়ের সাথে শতকের পর শতক বাস করেছেন। আরএসএসের রাজনীতি এটাই, ক্রমাগত মুসলিমবিদ্বেষ চালিয়ে যাওয়া। এবং আরএসএসের বাড়বাড়ন্তের দায় মূলতঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দল তৃণমূলের –এই দলের নৈতিকতা আরএসএসের অনুসরণেই চলে। এর বিরুদ্ধে একদিকে যেমন বুনিয়াদি লড়াই জরুরি তেমন পাল্টা ভাষ্য তৈরী করার ও প্রয়োজন আছে।