পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

পুরানো লেখাগুলি

ট্রাম্পের নয়া শুল্ক নীতি

মুক্ত বাণিজ্যের দিন শেষ - শুরু হ'ল বাণিজ্য যুদ্ধ। ট্রাম্প, মেক্সিকো এবং কানাডার উপর শুল্ক আরোপ করতে গিয়ে পাঁচটি পরস্পরবিরোধী - যুক্তি দেখিয়েছেন। সেই যুক্তিগুলো কী, আর তার অন্তসারশূন্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দেবাশিস মিথিয়া

ঔরঙ্গজেব বনাম হিন্দুত্ব

মোঘলরা কেন তুঘলক খিলজি উত্তর ভারতের হর্ষবর্ধন সহ হিন্দু রাজারা বরাবর দাক্ষিণাত্যে গিয়ে ল্যাজেগোবরে হয়েছেন। শিবাজির মারাঠা রাষ্ট্রের শক্তিশালী সামাজিক ভিত্তি আছে যা মূলত ভাষা ভিত্তিক, একপেশে ধর্মভিত্তিক নয়। ঔরঙ্গজেবও তা জানতেন বলেই মারাঠাদের মোঘল শিবিরের সহযোগী করেছিলেন। শিবাজিকেও সহযোগী চেয়েছিলেন। শিবাজির ছিল স্বাধীনচেতা মনোভাব প্রসূত মূলত স্থানীয় ভাষা ভিত্তিক তুকারাম প্রভাবিত মারাঠা রাষ্ট্রের ভাবনা। আজ আবার ঔরঙ্গজেবের ইতিহাস জানা জরুরি।

যাদবপুরে যে মত ও পথের দ্বন্দ্ব প্রতীয়মান

ন্যাকের খাতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎকৃষ্টতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠার কথাই নয়। বিশেষত তার মানের কাছে কোনো আপোষ ধোপে টেকে না। এ হেন বিশ্ববিদ্যালয় যখন অশান্ত হয়ে ওঠে একটি সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এবং তাতে রাষ্ট্র তার ক্ষমতা প্রদর্শনের ক্ষেত্র হিসাবে নিজের আধিপত্যকামী মনোভাবকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে রক্তে ভেজায় প্রতিষ্ঠানের মাটিকে তখনই একরাশ প্রশ্নের জন্ম হয়।

অপয়া

আমি অহনা। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ নির্যাতিতা ছিলাম আমার মায়ের কাছে। তবুও এত কষ্টের মধ্যে আমি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসতাম। স্বপ্ন যে সত্যি হবেই এমনও নয়, তবুও !! আমার চোখের সবাই খুব প্রশংসা করতো। বড় বড় দুটি ডাগর চোখ। সেই চোখে অনেক স্বপ্ন সাজিয়েছিলাম সৈকতকে নিয়ে। সৈকত আমার স্বামী। এক সন্ধ্যের বিপর্যয় আমার সমস্ত স্বপ্নকে গুঁড়িয়ে দিলো.....

পুরুষবাদ – একটি নিষিদ্ধ ইস্তেহার

গতবছর আন্তর্জাতিক নারীদিবসের পরেরদিন সামজমাধ্যমের দৌলতে দেখলাম কোনো-কোনো নারী শিবলিঙ্গে জল ঢালবে বলে উপবাস না করলে, অন্য নারীরা কী নির্মম মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়েছেন। আরও আছে, টিভি সিরিয়ালগুলোর বিষয়বস্তুর দিকে তাকালে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারী কর্তৃক নারীর প্রতি বিবিধ সাংসারিক যাতনার চিত্রই সেখানে প্রাধান্য পেয়েছে, এবং সান্ধ্যকালীন বিনোদনে বেশিরভাগ নারীই তার মুগ্ধ দর্শক। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পরে উঠে আসে কিছু প্রশ্ন।

বিপন্ন সংবিধান : গঠন-পর্বের দিকে ফিরে তাকানো অন্য চোখে

ভারতের সংবিধান রচনায় তার যুক্তরাষ্ট্রীয় চরিত্রের বদলে কেন্দ্রিকতার প্রাধান্যের কারণেই দেশভাগ এড়ানো যায়নি। সংবিধান রচনা স্বাধীনতাপ্রাপ্তি ও দেশভাগের অনেক আগেই কংগ্রেস-লীগ এর অন্তরবর্তীকালীন-সরকারের অধীনেই শুরু হয়। তাই সমস্ত দায়িত্ব বর্তায় জাতীয় নেতাদের ওপরেই। মুসলিম সম্প্রদায় সম্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণা ও সৈন্যবাহিনীতে মুসলিমদের "জন-সংখ্যার তুলনায় অধিক উপস্থিতি" সংক্রান্ত ভুল তথ্যের কারণে নেতারা সন্দিগ্ধ ছিলেন। দেশভাগ রুখতে তাঁরা তাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন না।ফেডারেল কাঠামো সম্পন্ন উপযুক্ত সংবিধানের নমুনার অভাব কিন্তু ছিল না। দেশভাগ ও তার পরবর্তী বিভীষিকা এড়ানো অবশ্যই সম্ভব ছিল।

কুম্ভ মেলা- যে প্রশ্ন গুলো থেকেই গেল

কুম্ভ মেলা বলুন মহা কুম্ভ বলুন, অমৃত খোঁজা বলুন, পাপ স্খলন বা পুণ্য অর্জন তো হলো, কিন্তু বেশ কিছু প্রশ্ন তো থেকেই গেল। সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর কে দেবে? কেন্দ্রীয় সরকার না যোগী আদিত্যনাথ?

পায়ে শেকল বেঁধে বেঁধে

সেদিন আমি আপিসে যাইনি। বাড়িতে বসে বসে এটা সেটা পড়ছিলাম , দেখছিলাম । কম্পিউটারে নাড়াচাড়া করে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড উথাল পাথাল করে ফেলছিলাম । বাড়িতে বসে বসে আরকি বা করার থাকতে পারে । সেই দিনটা মাসের প্রথম ছিল কিনা মনে পড়ছে না ।

আরও পুরানো লেখাগুলি

একশো বছরে আরএসএসের বৃদ্ধি আর কমিউনিষ্ট পার্টির হ্রাস- কেন?

একশো বছর ধরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ যেমন স্ফীত কলেবর, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ঠিক ততটাই ক্ষীণ, কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা জরুরি। প্রয়োজন নির্মোহ বিশ্লেষণ।

“তথাকথিত লাল দল ও নানা মার্কসবাদী লেখক” – রচনাটির সমালোচনা

সহমনের সম্পাদকমন্ডলী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার একশো বছর : ফিরে দেখা লেখাটি নিয়ে বিতর্ক চেয়েছিল, সেই কারণেই সুশোভন মুখোপাধ্যায়ের লেখাটির একটি সমালোচনা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই লেখাটির লেখক ছিলেন দেবজিৎ ভট্টাচার্য। আজ আরও একটি লেখা প্রকাশ করা হলো। এটাই এই বিষয়ের শেষ লেখা। এই লেখার শেষে দেবজিৎ ভট্টাচার্যের লেখাটির সূত্রও থাকলো।

আখ্যান

“তথাকথিত লাল দল ও নানা মার্কসবাদী লেখক” – রচনাটির সমালোচনা

সহমনের সম্পাদকমন্ডলী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার একশো বছর : ফিরে দেখা লেখাটি নিয়ে বিতর্ক চেয়েছিল, সেই কারণেই সুশোভন মুখোপাধ্যায়ের লেখাটির একটি সমালোচনা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই লেখাটির লেখক ছিলেন দেবজিৎ ভট্টাচার্য। আজ আরও একটি লেখা প্রকাশ করা হলো। এটাই এই বিষয়ের শেষ লেখা। এই লেখার শেষে দেবজিৎ ভট্টাচার্যের লেখাটির সূত্রও থাকলো।

একশো বছরে আরএসএসের বৃদ্ধি আর কমিউনিষ্ট পার্টির হ্রাস- কেন?

একশো বছর ধরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ যেমন স্ফীত কলেবর, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ঠিক ততটাই ক্ষীণ, কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা জরুরি। প্রয়োজন নির্মোহ বিশ্লেষণ।

তোতাকাহিনী এবং বৃথাকাহিনী

বারুইপুরের চম্পাহাটি নীলমণিকর বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা চরিত্রা দাশগুপ্ত ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে বই-খাতা ছিঁড়ে উল্লাস করার প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, "আধুনিকতার এই যুগে শিক্ষার প্রতি যেন শ্রদ্ধাটাই চলে গিয়েছে অনেক পড়ুয়ার। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বইয়ের গুরুত্ব কমেছে। বই পড়ে জানার আগে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ গুগল সার্চ করে প্রশ্নের উত্তর জানতেই বেশি উৎসাহী। স্বভাবতই বইয়ের প্রতি আগের মতো আগ্রহ থাকছে না।"

সরীসৃপ

বাড়ির সামনে দাঁড়ানো টোটোটার দিকে ভুরু কুঁচকে তাকালো বিনোদ । প্রতিদিনই এইসময় এখানে দাঁড় করানো থাকে টোটোটা । ইচ্ছে করে , এক লাথি মেরে পাশের পুকুরে ফেলে দিতে । মনে মনে বিড়বিড় করে বিনোদ । সন্তর্পণে নিজের আশপাশটা দেখে নেয় । ঘরের ভেতর থেকে সীমার গলা খাঁকারির আওয়াজ শোনা যায় । বিনোদ চটপট বারান্দায় রাখা ইজিচেয়ারটায় চোখ বুজে শুয়ে পড়ল । চোখ বুজলেও মনের ভেতর কিন্তু টোটো আর টোটোর মালিক শান্তনু ভেসে বেড়ায়।

মাধ্যমিকের শেষ দিন: এক ছাত্রের খোলা চিঠি

মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে বেশ কিছু জায়গায় ছাত্রদের দেখা গেল বইপত্র ছিঁড়ে ফেলতে, কিন্তু কী কারণে ছাত্ররা এই আচরণ করছে, তা কি আমরা কোনও সময়ে ভেবে দেখেছি ? এক ছাত্রের খোলা চিঠি, সেই কথাগুলোকেই আবার সামনে আনলো। ছাত্ররা কি তবে মুক্তি চাইছে, এই পড়াশুনা থেকে ? আসুন ভাবি, ভাবা প্র্যাক্টিস করি।

'লালপার্টি'র শতবর্ষঃ ছকের বাইরের কথা

সহমনের সম্পাদকমন্ডলী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার একশো বছর : ফিরে দেখা লেখাটি নিয়ে বিতর্ক চেয়েছিল, সেই কারণেই সুশোভন মুখোপাধ্যায়ের লেখাটির একটি সমালোচনা প্রকাশ করা হয়েছিল। আজ আরও একটি লেখা প্রকাশ করা হলো। অন্য বিরুদ্ধ মত এলেও সহমন, সেই লেখা প্রকাশ করবে। আগের লেখাগুলোর সূত্র এই লেখার শেষে থাকলো।