পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh
ব্যঙ্গচিত্র

পুরানো লেখাগুলি

চলমান সময়ের স্বপ্নযাত্রী স্থবির দাশগুপ্ত (১৯৪৯ - ২০২৩)

"লোকস্বাস্থ্য মজবুত করতে গেলে নীতি দরকার, কলাকৌশলও। নীতির বেলায় ন্যায়, যুক্তিবোধ আর কাণ্ডজ্ঞানের কথা আসে। কলাকৌশলের বেলাতেও। অথচ, সাম্প্রতিক ‘কোভিড’কালে ভাইরাস সংক্রমণ থেকে লোকসমাজকে রক্ষার নিমিত্ত এমন কিছু কলাকৌশলের কথা বলা হল যার সঙ্গে কাণ্ডজ্ঞানের সুসম্পর্ক নেই।" ~ এই কথাগুলো বলতেন স্থবির দাশগুপ্ত নিজেই, তাঁর অসময়ে মৃত্যু আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি করলো, তাঁর চিকিৎসক থেকে জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের একজন সৈনিক হয়ে ওঠার কাহিনী থাকলো।

আরেক ভারতের গল্প : বাবরির 'পাপ', করসেবকের মসজিদ

একরাশ ঘৃণা আর লালিত বিদ্বেষ গাঁইতি হল। বারবি মসজিদ গুঁড়িয়ে যেতে কতক্ষণ! পূণ্য, - একদিন পাপ হল। মুমিন হলেন স্বয়ং করসেবক। মুসলমান হয়ে বজরঙ্গ দলের কর্মী ইট গাঁথলেন মসজিদে। আরেক ভারতের গল্প। ছবি আঁকলেন কৃষ্ণজিৎ সেনগুপ্ত।

জেনেরিক ওষুধ বনাম ব্র্যাণ্ড-নামের ওষুধ – বিবদমান দুই পক্ষ?

সারা পৃথিবীর কর্পোরেট জগৎ নিজেদের পণ্যের ব্রান্ড তৈরিতে ব্যস্ত, বিজ্ঞাপনের আলোকদ্যুতিতে মানুষের মন উচাটন, ২৩ টি ভিটামিন সমৃদ্ধ, না ২৯ টি খনিজভুক্ত স্বাস্থ্য পানীয় কোনটি সম্তানকে অপরের পুত্রের তুলনায় বুদ্ধিদীপ্ত করে তুলবে এই ভাবনায়, তখন ব্রান্ডেড ঔষধ বনাম জেনেরিক ঔষধের বিবাদ এসে উপস্থিত হয়েছে এদেশে আরো শতেক বিবাদের মাঝে। সেই দ্বন্দ্বে সরকার পক্ষের ভূমিকা যতটা ইতিবাচক মনে হোক না কেন, আসলে তা হয়তো লবির স্বার্থের ঝামেলা। কিন্তু ঔষধ প্রেসক্রিপশনকারী ডাক্তারকেই শেষ বিচারে সামলাতে হবে সেই ঝগড়াপ্রসূত আক্রমণ, কারণ ডাক্তারদের (এলোপাথিক) লবি নেই বা থাকলেও এলেবেলে।

গুজরাত : ধর্ম বদলেছে নিপীড়িত দলিত

গোরক্ষক আছে। আছে জ্যান্ত বা মরা গরু। গোরক্ষকের মারের ভয়ে গোয়াল-হারা গরু গেল কোথায়? গরুর মাংস রফতানি করে ভারত যখন তৃতীয়, তখন, অস্পৃশ্যতার অপমানে লাগাতার নির্যাতিত উনার দলিত ত্যাগ করে জাতপাতের ধর্ম।

লকডাউনের রাত

প্রায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে চলতে জীবন কখন থমকে যায়, কখন সমস্ত গতি জট পাকিয়ে যায় সময়ের ছোট্ট কুঠুরিতে, কে-ই বা জানে সেটা ? এখন রাত সাড়ে নটা । উপরের ঘরের দেরাজ খুলে প্রায় রোজদিনের মতোই সে ফের বের করে এনেছে সেই বহুবার পড়া মলিন ডায়েরি । তার মায়ের ডায়েরি । ছোটো ছোটো মুক্তোর দানার মতো অক্ষরে মা লিখে রেখে গিয়েছিল নিজের কথা । লকডাউন চলছে । এইসময় থেকেই রাত-কার্ফু জারি হয় । চলে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত ।

বাংলার সিপিআইএম নেতৃত্বের এখন বক্তব্য কী হবে? শুন্যে বিলীন হওয়াই কি গন্তব্য তাঁদের?

এটা বুঝতে হবে যে, সিপিআইএম নেতৃত্ব যেটা চাইছেন, সেটা হবার নয়। তারা না চাইলেও মমতা গুরুত্ব পাচ্ছে INDIA জোটে এবং শোনা যাচ্ছে, জোটের নামকরণও নাকি মমতারই মস্তিষ্ক প্রসূত। এই এক নাম মাহাত্ম্যের ফলেই মোদীর ঘুম উড়ে গেছে, প্রচণ্ড নার্ভাস দেখাচ্ছে। সে যাই হোক INDIA জোটে মমতার গুরুত্ব যে যথেষ্ট, তা অনস্বীকার্য। সিপিআইএম নেতৃত্বের যত খারাপই লাগুক, এই বাস্তবকে অস্বীকার করার উপায় নেই।

ওঝায় যদি ভূত ধরে তাহলে ভূত তাড়াবে কে?

পাঠকের সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে এখন ফেক নিউজের রমরমা কারবার চলছে। ক্ষমতার দখলে আর বিরোধী কণ্ঠস্বরকে থামাতে মিথ্যে খবর ছড়ানো শুধু নয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে মৌলবাদী শক্তিগুলি উঠে পড়ে লেগেছে, প্রতিদিন হাজার হাজার মিথ্যে সংবাদ ছড়িয়ে মানুষকে বিষাক্ত করে দিচ্ছে । দেশ ও সমাজকে এই ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে বাঁচাতে যার সব থেকে বড় দায়িত্ব সেই সরকার নিজেই অভিযুক্ত এখন ফেক নিউজ নিয়ন্ত্রণের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেন্সরশিপ চালুর প্রচেষ্টায়।

টিআরপি শয়তান, টিআরপি ভগবান

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় বা গুজরাট দাঙ্গার সময়, কম টিভি-চ্যানেল থাকলেও ছবি পাওয়া গেছে। গুজরাট দাঙ্গার সময় মোদির গুজরাটে কিন্তু ডবল ইঞ্জিন সরকার। থামানো যায়নি সম্প্রচার। স্পটে দাঁড়িয়ে রিপোর্ট করেছেন সাংবাদিকরা। পথে বাধা এসেছে, তবু সম্প্রচার-সাংবাদিকতা থামেনি।

আরও পুরানো লেখাগুলি

কে পড়াবেন ভালবাসার পাঠ?

মুজফফরনগরে একটি স্কুলের ঐ ভিডিও দেখে চমকে উঠেছে, সারা দেশ। যাঁরাই দেখেছেন, তাঁরাই, ছিঃ ছিঃ করেছেন। একজন শিশুর মনে এইভাবে ঘৃণার বিষ ঢোকানো নিয়ে সরব হয়েছেন সকলে। অনেকেই বলেছেন, এই যদি একজন শিক্ষকের আচরণ হয়, তাহলে, আজকের এই শিশুরা কি শিখছে? তারা কি এই শিক্ষককে সম্মান করতে শিখবে, না অন্য ধর্মের সহপাঠীকে ঘেন্না করতেই শিখবে?

টিচার্স রুম থেকে…

শিক্ষা হলো সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একমাত্র ও প্রধান আলো। শিক্ষাই হলো একমাত্র মাধ্যম যা পারে লিঙ্গ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। পারে এমন একটি সমাজ দিতে যেখানে সকালে উঠে মারি বিস্কুটের সাথে খবরের কাগজে ধর্ষণের খবর চিবোতে হবে না। সমাজ পচে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে নারীদের উপর অত্যাচার। সমাজের পচা গলা জলে পচে যাচ্ছে শিশুদের নিরাপদ, সুন্দর ভবিষ্যতে স্বপ্ন।

আখ্যান

টিআরপি শয়তান, টিআরপি ভগবান

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় বা গুজরাট দাঙ্গার সময়, কম টিভি-চ্যানেল থাকলেও ছবি পাওয়া গেছে। গুজরাট দাঙ্গার সময় মোদির গুজরাটে কিন্তু ডবল ইঞ্জিন সরকার। থামানো যায়নি সম্প্রচার। স্পটে দাঁড়িয়ে রিপোর্ট করেছেন সাংবাদিকরা। পথে বাধা এসেছে, তবু সম্প্রচার-সাংবাদিকতা থামেনি।

'সনাতন' রাজার, রাজা পুরোহিতের

সনাতন, ট্রাডিশন, পরম্পরা, কাস্টমস, চিরাচরিত - শব্দ যাই হোক। সনাতন শ্রমিকের না। কৃষক, তাঁতি, মুচি, মেথর, জেলে বা মজদুরের নয়। সনাতন রাজার, রাজার পুরোহিতের, পুরোহিত ঈশ্বরের। 'সনাতন' শব্দে কোতল হয়েছে মানুষের সামগ্রিক অর্জন। শ্রমচুরির এই রীতি,সভ্যতার অর্জন দখলের এই সহজ উপায়টির নামও 'সনাতন' ছবি - কৃষ্ণজিৎ সেনগুপ্ত

টিচার্স রুম থেকে…

শিক্ষা হলো সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একমাত্র ও প্রধান আলো। শিক্ষাই হলো একমাত্র মাধ্যম যা পারে লিঙ্গ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। পারে এমন একটি সমাজ দিতে যেখানে সকালে উঠে মারি বিস্কুটের সাথে খবরের কাগজে ধর্ষণের খবর চিবোতে হবে না। সমাজ পচে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে নারীদের উপর অত্যাচার। সমাজের পচা গলা জলে পচে যাচ্ছে শিশুদের নিরাপদ, সুন্দর ভবিষ্যতে স্বপ্ন।

কে পড়াবেন ভালবাসার পাঠ?

মুজফফরনগরে একটি স্কুলের ঐ ভিডিও দেখে চমকে উঠেছে, সারা দেশ। যাঁরাই দেখেছেন, তাঁরাই, ছিঃ ছিঃ করেছেন। একজন শিশুর মনে এইভাবে ঘৃণার বিষ ঢোকানো নিয়ে সরব হয়েছেন সকলে। অনেকেই বলেছেন, এই যদি একজন শিক্ষকের আচরণ হয়, তাহলে, আজকের এই শিশুরা কি শিখছে? তারা কি এই শিক্ষককে সম্মান করতে শিখবে, না অন্য ধর্মের সহপাঠীকে ঘেন্না করতেই শিখবে?

ইন্ডিয়ান পেনাল কোড থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা- নাম বদলালেই আইন বদলায়?

এইবারের বাদল অধিবেশনে বেশ কিছু বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার। আরো কিছু বিল সামনে এনেছে, সেগুলোও দ্রুত পাশ করিয়ে নেওয়া তার উদ্দেশ্য। এর অন্যতম, দেশে প্রচলিত মূল তিনটি ফৌজদারি আইনের বদল। এই বদলের মধ্যে দিয়ে কি নতুন কিছু পাওয়া যাবে?

পিসির সাইকেল

দীপু সাইকেল টা উঠোনে রেখে যাবার পর অজিতেশ অনেকক্ষণ সাইকেলটাকে পরখ করছিল। সুচেতনা ভাইঝি কে পুকুরের বাঁক টা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে উঠোনে পা দিতেই অজিতেশ বলল, এই রংচটা ঝড়ঝড়ে সাইকেলটা নিয়ে কি করবে? সুচেতনা শুকনো মুখ করে সাইকেলটা দোর দিকে তুলে রাখতে রাখতে বলল, এখন আর উপায় কি? তাছাড়া কবে মোটর বাইক কিনবে তবে চাপব। সে ও তো পরের উপর ভরসা করে বসে থাকা। আমি তো মোটরবাইক চালাতে পারি না। তাই এখন এইটাই আমার পক্ষীরাজ বলতে পারো।