পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh
ব্যঙ্গচিত্র

পুরানো লেখাগুলি

ইঁদুরকলে বনের ফুল

ভোররাতে রোঁদে বেরিয়ে একটা দরজা খোলা দেখেই বুকটা ছ্যাঁত করে উঠল গণেশ থাপার। একতলার করিডোরে বাকি সব দরজাই বন্ধ। দরজা খোলা থাকাটা বড় কথা নয়, খোলা দরজার পেছনে কী ঘটেছে চিন্তা তো সেই নিয়ে।

এবারের বসন্ত পঞ্চমী ও কিছু স্মৃতিকথা

এবছর সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কুৎসিত নাটকের সাক্ষী থেকেছে আনন্দ নগরী কলকাতা। এর কাণ্ডারি ছিলেন মূলত তথাকথিত সুশীল সমাজের একাংশ। তাঁদের এই কৃতকর্মে সক্রিয় সহযোগিতায় ছিল সম্পূর্ণরূপে নীতিভ্রষ্ট আজকের মূলস্রোতের সংবাদ মাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়া। তা সত্ত্বেও এই লেখকের আশা একদিন পৃথিবী আবার শান্ত হবে, মনের বিদ্বেষ কাটিয়ে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াবে।

আয়করে ছাড় অর্থনীতিতে গতি আনতে পারবে?

সরকার আয়করে ছাড় দিয়েছে। সবাই আহ্লাদে আটখানা। সরকার বলছে মানুষের হাতে বাড়তি অর্থ আসবে তাঁদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াবে। বাজারে কার্যকরী চাহিদা সৃষ্টি হবে। যা অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সাহায্য করবে। অর্থনীতিতে উন্নয়নের জোয়ার আসবে। প্রশ্ন হল দেশের মোট জনগণের মাত্র ৫.৮% জনগণ আয়কর দাখিল করেন। কিন্তু বাৎসরিক ১২ লাখ টাকা আয় করেন তার সংখ্যা হয়ত মোট জনগণের ২ % -৩% হবে। ১৪৪ কোটি জনগণের তুলনায় এই সংখ্যা খুবই সামান্য।

সমালোচনায়: তথাকথিত লাল দল ও নানা 'মার্কসবাদী' লেখক

সহমনের সম্পাদকমন্ডলী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার একশো বছর : ফিরে দেখা লেখাটি নিয়ে বিতর্ক চেয়েছিল, সেই কারণেই সুশোভন মুখোপাধ্যায়ের লেখাটির একটি সমালোচনা প্রকাশ করা হলো। অন্য বিরুদ্ধ মত এলেও সহমন, সেই লেখা প্রকাশ করবে। আগের লেখাটির সূত্র এই লেখার প্রথমেই থাকলো।

শাহি স্নানের দুর্ঘটনা অনেক কিছুকে স্পষ্ট করে দিল

পদপিষ্টের সম্ভাবনা এড়িয়ে কোটি কোটি পুণ্যার্থীর নিশ্ছিদ্র সুরক্ষার আয়োজনের দাবি করেছেন তাঁরা। যাকে অভিহিত করেছেন এক নতুন শব্দবন্ধে—‘ওয়ার্ল্ড ক্লাস ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট’। কিন্তু প্রয়াগরাজে মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নানের গোড়াতেই সামনে চলে এল ভিড় সামলানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ব্যর্থতার ছবি। যার তুলনা টানতে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে সেই পুরনো প্রবাদ— বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া।

নীড়ের পাখি

দুপুর নাগাদ বাসটা মেখলিঘাটে এসে দাঁড়াতেই সমুদ্র হুড়মুড় করে নেমে পড়ল । মনকে শহুরে একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দিতেই ছোটমামার গৌহাটির বাড়ি থেকে ঝোলা কাঁধে বেরিয়েছিল ।

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার একশো বছর : ফিরে দেখা

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠার একশো বছর পালন করা শুরু হয়েছে। যে কোনো দেশের কমিউনিস্ট পার্টির একশো বছর পূর্ণ হওয়া অবশ্যই সাধারণ ভাবে এক ঐতিহ্যমণ্ডিত বিষয়। কিন্তু আমাদের দেশে সেই একশো বছর পূরণ হওয়ার মধ্যে কী কোনো গৌরব আছে?

মতান্ধতা নয় : চাই সংশয়

চিন্তাভাবনা দৃষ্টিভঙ্গির একটি পদ্ধতি নির্মাণ করার চেষ্টা আমরা দেখেছিলাম ১৫৮২ সালে। মুঘল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে। তাঁর সাম্রাজ্যে বহু সংখ্যক জাতি ধর্ম ভাষা সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক সম্মান মর্যাদা গড়ে তুলতে প্রয়াসী হন। ফতেপুর সিক্রিতে ইবাদৎখানা হলে ধর্ম মত নির্বিশেষে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সুফি - সন্ত - পীর ফকির - দরবেশ - যাজক - ঋষি - পাদরী - পুরোহিত সকলের সাথে খোলা মনে দিবারাত্রি আলোচনা করেন। সকল ধর্মের সার সত্যকে উপলব্ধি করতে সচেষ্ট হন।

আরও পুরানো লেখাগুলি

সুভাষচন্দ্র বসু ও সঙ্ঘপরিবার

১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মে আনন্দবাজার পত্রিকার ৭ পৃষ্ঠায় একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল যেখানে দেখা গিয়েছে সুভাষচন্দ্র হিন্দু মহাসভা সম্পর্কে এমন কিছু মন্তব্য করেছিলেন যা এই হিন্দুত্ববাদীদের অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছিল। ১২ মে মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামে সুভাষচন্দ্র এক সভায় বলেছিলেন যে হিন্দু মহাসভা তাদের দলের সাধু-সন্ন্যাসীদের মহাসভার হয়ে ভোটভিক্ষে করতে পাঠিয়েছে আর এভাবেই তারা ধর্মের নামে ভোটের রাজনীতি করেছে। সুভাষচন্দ্রের এই বক্তব্য দুদিন পর আনন্দবাজার পত্রিকায় (১৪ মে) প্রকাশিত হয়েছিল।

চা’টা আর খাওয়া হলো না

২০১৪ সাল থেকেই ‘চা ওয়ালা’ কথাটা একটি রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয় হয়ে গেছে এই দেশে। কিন্তু কোনো বিতর্কিত ‘চা ওয়ালা’ বা কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া চা বিক্রেতা নয়, আমাদের চাচা অনেক সাধারণ, ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া একজন পরিচয়হীন চা বিক্রেতা। যার খবর কলকাতার বাবু সমাজ রাখে না নানা কারণে, আর কারণগুলোও বেশ সঙ্গত। আজ এক অন্য চা' ওয়ালার গল্প

আখ্যান

চা’টা আর খাওয়া হলো না

২০১৪ সাল থেকেই ‘চা ওয়ালা’ কথাটা একটি রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয় হয়ে গেছে এই দেশে। কিন্তু কোনো বিতর্কিত ‘চা ওয়ালা’ বা কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া চা বিক্রেতা নয়, আমাদের চাচা অনেক সাধারণ, ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া একজন পরিচয়হীন চা বিক্রেতা। যার খবর কলকাতার বাবু সমাজ রাখে না নানা কারণে, আর কারণগুলোও বেশ সঙ্গত। আজ এক অন্য চা' ওয়ালার গল্প

সুভাষচন্দ্র বসু ও সঙ্ঘপরিবার

১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মে আনন্দবাজার পত্রিকার ৭ পৃষ্ঠায় একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল যেখানে দেখা গিয়েছে সুভাষচন্দ্র হিন্দু মহাসভা সম্পর্কে এমন কিছু মন্তব্য করেছিলেন যা এই হিন্দুত্ববাদীদের অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছিল। ১২ মে মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামে সুভাষচন্দ্র এক সভায় বলেছিলেন যে হিন্দু মহাসভা তাদের দলের সাধু-সন্ন্যাসীদের মহাসভার হয়ে ভোটভিক্ষে করতে পাঠিয়েছে আর এভাবেই তারা ধর্মের নামে ভোটের রাজনীতি করেছে। সুভাষচন্দ্রের এই বক্তব্য দুদিন পর আনন্দবাজার পত্রিকায় (১৪ মে) প্রকাশিত হয়েছিল।

সপ্তাহে ৯০ ঘন্টা কাজ: কর্পোরেট হুক্কাহুয়ার রহস্য সন্ধান

কিছুদিন আগে গ্লোবাল ব্র্যান্ড আর্নস্ট ইয়ং এর ভারতীয় শাখার চার্টাড অ্যাকাউন্টেট অ্যানা সেবেস্টিয়ানের কর্মক্ষেত্রে অসম্ভব চাপের কারণে আত্মহত্যা সোসাল মিডিয়ায় আলোড়ন তুলেছিল।আজ ভারতের শ্রমিক- কর্মচারীরা প্রতিকূল কাজের পরিবেশের কারণে বিপর্যস্ত। হু রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রতিটি ভারতীয় শ্রমিক সপ্তাহে গড়ে ৪৬.৭ ঘন্টা কাজ করেন, এদের মধ্যে আবার ৫১% গড়ে ৪৯ ঘন্টা কাজ করেন। সাপ্তাহিক ৯০ বা ৭০ ঘণ্টা কাজ করলে, শ্রমিকেরা বাঁচবেন তো ?

গপ্পে উদ্ধব গুছাইত

নাম তার উদ্ধব গুছাইত। পিতা নগেন গুছাইত মরে ভুত হয়ে গেছে বছর ত্রিশ হল। মহা ফিকিরে মানুষ ছিল। বাঁধা রোজগার ছিলনা কিন্তু গপ্প ফেঁদে পেট চালাত দিব্যি। শেকড় চালিয়ে গেড়ে বসে আকাশ-বাতাস মায় ধুলো-বালি থেকে গপ্প নামিয়ে প্রহর কাটিয়ে দিলে শ্রোতাদের কেউ না কেউ বলত, দুটি ভাত খেয়ে যাও কথক ঠাকুর।

কুম্ভ - অন্য চোখে

কুম্ভ মেলার মত একটি জনপ্রিয় উৎসবকে শুধুই রাজনৈতিক কারণে এবং ক্রমাগত মিথ্যা সাফল্যের গল্প প্রচারের পাশাপাশি উগ্রহিন্দুত্ববাদি উস্কানি হিসাবেও ব্যবহার করা হচ্ছে। নাগরিকদের আবেগের সম্মান, জনকল্যাণের কিংবা জনমানসের ভালো থাকার রাজনৈতিক সদিচ্ছার বিপরীতে ভারতের পবিত্র নদী গঙ্গা, শিপ্রা এবং গোদাবরীর মতো নদী গুলি সরকারী উদ্যোগে ধর্মীয় দাপট আর দুর্নীতির সফল সাক্ষ্য বহন করছে।

টেক ফগ-ট্র্যাডস্‌-রাইতাস্‌

২০১৪ সালের পর থেকে ভারতে এক অন্য ইতিহাসের সূচনা হয়েছে। তার সঙ্গে অনেকেই অরওয়েলিয়ান ডিস্টোপিয়ার সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছেন, অনেকে রামরাজত্বের (ইংরেজিতে যাকে বলা হয়্য ইউটোপিয়ার) গন্ধও পেয়েছেন। দল-উপদল-বিরোধী দলে জনমানুষ ভাগ হয়ে গিয়ে নিজেদের মতো করে সময়টাকে যুঝে নিচ্ছেন, বুঝে নিচ্ছেন।