পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

পুরানো লেখাগুলি

টেক ফগ-ট্র্যাডস্‌-রাইতাস্‌

২০১৪ সালের পর থেকে ভারতে এক অন্য ইতিহাসের সূচনা হয়েছে। তার সঙ্গে অনেকেই অরওয়েলিয়ান ডিস্টোপিয়ার সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছেন, অনেকে রামরাজত্বের (ইংরেজিতে যাকে বলা হয়্য ইউটোপিয়ার) গন্ধও পেয়েছেন। দল-উপদল-বিরোধী দলে জনমানুষ ভাগ হয়ে গিয়ে নিজেদের মতো করে সময়টাকে যুঝে নিচ্ছেন, বুঝে নিচ্ছেন।

হিন্দু রাষ্ট্র নির্মাণ চলছে

২০০৯ সালে এ দেশে বিনামূল্যে ছয় থেকে শুরু করে একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত শিশুদের বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার আইন চালু হয়। এই আইনের ফলে দেশ জুড়ে শিক্ষাব্যবস্থায় বেশ খানিকটা নাড়াচাড়া পড়ে এবং কমবেশি ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল আসার বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা হয়। ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসুক এটাই ছিল তার প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু ২০২৪ সালে আমরা লক্ষ্য করছি একটি বিশেষ ধর্মের ছাত্রছাত্রী স্কুল না এলেই ভালো এরকম একটি পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।‌ এটাই হয়তো হিন্দু রাষ্ট্র নির্মাণের একটা পদক্ষেপ।

দাফনের পরে

শরীরখানা রক্ত-মাংসের হলেও ভেতরখানা রুক্ষ পাথর কুদ্দুছের! লোকে বলে মানুষ নয় ‘কেঠে’! গায়ের রঙখানাও হাঁড়ির কালির মতো ‘কেলঠে’! ঈশ্বর নাকি কুদ্দুছের চোখে অশ্রু দেননি! কেউ কখনও তাকে কাঁদতে দেখেনি!

মিডিয়া: খবরের আড়ালে

দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এর আগে বহু ছোটবড় সাংবাদিক করেছেন। প্রাণও হারিয়েছেন। কিন্তু, মুকেশ চন্দ্রকারের মৃত্যু সম্ভবত এই সমস্ত সমীকরণের ঊর্ধ্বে। তাঁর মৃত্যুর পরে টুইটারে রানা আইয়ুব লিখলেন ‘আমরা সাংবাদিকদের মনে রাখি মৃত্যুর পরে। অথচ, বেঁচে থাকতে তাঁদের রক্ষা করার চেষ্টা করি না।’ মুকেশকে কি আদৌ রক্ষা করার কথা ছিল?

প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা – আন্তর্জাতিক জগতে টানাপোড়েনের জীবন্ত দলিল

ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮১ সালে বলেছিলেন “স্বাস্থ্য ক্রয় করার যোগ্য কোন পণ্য নয়, কিংবা অর্থের মূল্যে কোন পরিষেবা নয়। এটা হল জানার, জীবনযাপনের, অংশগ্রহণের এবং মানুষ হয়ে ওঠার একটি প্রক্রিয়া।” খুবই মূল্যবান কিছু মতামত দিলেন স্বাস্থ্য, প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা, ইত্যাদি নিয়ে। বিশেষ করে যখন বলেন স্বাস্থ্য কোন পণ্যও বা কোন পরিষেবা নয়, “it is a process of knowing, living, participating and being”। আজ প্রায় ৪৫ বছর পরে একবার খোঁজ নিতে হবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার সরণিতে কোথায় দাঁড়িয়ে আছি আমরা।

কর্পোরেট কৃষি : আমেরিকা হোক বা ভারত সর্বত্রই কৃষকের আত্মহত্যা বাড়াচ্ছে

বেদব্রত পাইনের তথ্যচিত্র দেজা-ভু তে, আমেরিকান কৃষকদের অভিজ্ঞতা, কৃষিতে অনিয়ন্ত্রিত কর্পোরেট শক্তির বিপদ এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের জীবন যন্ত্রণাকে তুলে ধরা হয়েছে। পরিচালক কৃষিতে অনিয়ন্ত্রিত কর্পোরেট আধিপত্যের বিপদ সম্বন্ধেও সাবধান করেছেন।

হরিপদ এবং রাগ

“সূর্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, শুনেছিস?” “অ্যাঁ! সে কি রে! কে করল?” “আরে যে করেছে সে কী সুস্থ?” “ভাই, এই গরমে একটা সুস্থ লোকের নাম বল। আর পারা যাচ্ছে না।”

ইংরাজি বর্ষবরণ : মৃত্যু হল অসংখ্য পাখির, বাড়ল বাতাসের দূষণ, ধ্বস্ত হল মনুষ্যত্ব

পাখি, কুকুর, বেড়ালের মত না-মানুষদের কথা ভাবার কি কেউ নেই? বাতাসের দূষণ কতটা বাড়ল, তার হিসেবই বা কে রাখবে? টাকার গর্বে বলিয়ান মানুষ,প্রকৃতি বিচ্ছিন্ন মানুষ, স্বার্থপর ভোগী জনতা আর কতটা প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে এনে ক্ষান্ত হবে? নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারার মহাযজ্ঞ চলতেই থাকবে? সব শেষ হয়ে যাওয়ার আগে আমরা থামব না, এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই চলেছে বোধহয় উন্নত মস্তিষ্কের দাবিদার মহান মানুষ। এরপরেও হাসি মুখ করে সবাইকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানো সম্ভব ?

আরও পুরানো লেখাগুলি

কবরের তিনটি প্রশ্ন

ধরা যাক, একই গ্রামের দুটি লোক। নাম নজরুল শাহ ওরফে নজু আর আসাদ মিঞা। ধরা যাক, লোকদুটি একই দিনে মারা গেল। গাঁয়ের গোরস্থানে দাফন হল। পাশাপাশি।

আমাদেরই তো ব্যবস্থা, পাশ-ফেল না থাকলে আমাদের চলবে কীভাবে!

কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির নিয়ম অনুযায়ী, আবার পাশ ফেল প্রথা চালু করতে পারে আমাদের রাজ্য সরকারও। পাশ প্রথা তো ছিলই, ফেল করানোর নিয়ম যদি আবার ফিরিয়ে আনা হয়, তাহলে কী হবে? রাষ্ট্রীয় স্তরে অবিশ্যি এই পাশ-ফেল ফিরিয়ে আনার কারণটা কিঞ্চিৎ ভিন্ন। আমাদের সমাজ এবং সমাজানুসারী রাষ্ট্র আজও মারাত্মক রকম ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক, মনুবাদী। প্রমাণ হিসেবে হয়তো এইটুকু বলাই যথেষ্ট হবে যে রাজনীতি থেকে শুরু করে কর্পোরেট সেক্টর – সর্বত্রই আজও সেই তথাকথিত উচ্চবর্ণীয়দেরই আধিপত্য।

আখ্যান

আমাদেরই তো ব্যবস্থা, পাশ-ফেল না থাকলে আমাদের চলবে কীভাবে!

কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির নিয়ম অনুযায়ী, আবার পাশ ফেল প্রথা চালু করতে পারে আমাদের রাজ্য সরকারও। পাশ প্রথা তো ছিলই, ফেল করানোর নিয়ম যদি আবার ফিরিয়ে আনা হয়, তাহলে কী হবে? রাষ্ট্রীয় স্তরে অবিশ্যি এই পাশ-ফেল ফিরিয়ে আনার কারণটা কিঞ্চিৎ ভিন্ন। আমাদের সমাজ এবং সমাজানুসারী রাষ্ট্র আজও মারাত্মক রকম ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক, মনুবাদী। প্রমাণ হিসেবে হয়তো এইটুকু বলাই যথেষ্ট হবে যে রাজনীতি থেকে শুরু করে কর্পোরেট সেক্টর – সর্বত্রই আজও সেই তথাকথিত উচ্চবর্ণীয়দেরই আধিপত্য।

কবরের তিনটি প্রশ্ন

ধরা যাক, একই গ্রামের দুটি লোক। নাম নজরুল শাহ ওরফে নজু আর আসাদ মিঞা। ধরা যাক, লোকদুটি একই দিনে মারা গেল। গাঁয়ের গোরস্থানে দাফন হল। পাশাপাশি।

শ্যাম বেনেগাল - সিনেমাটিক লেন্সে সাবল্টার্ন ক্লাস: একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ

শ্যাম বেনেগাল র‍্যাডিকাল ধারণায় ভারসাম্যপূর্ণ সিনেমা তৈরি করে সিনেমাটিক প্রাকৃতিক দৃশ্যকে সমৃদ্ধ করার সাহস দেখিয়েছেন। উদাহরণ স্বরূপ, তাঁর 'অঙ্কুর' সিনেমায় তিনি এই ধারণা দিতে সফল হয়েছিলেন, যে, সামন্তবাদী ধারণার দ্বারা আধিপত্যশীল সমাজে ছক চালু করা অসম্ভব নয়। সিনেমাটি এমনই সফলভাবে চিত্রিত হয়েছে যে সাধারণ মানুষের মধ্যে জাগরণ একাই বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।

মানবতাও তো এক আত্মপরিচয়

একবার নয়, এই বাংলাদেশ বারবার ভারতের কেন্দ্রীয় শাসক কে ডিভিডেন্ড এনে দিয়েছে। ১৯৭১ সালে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচনী হাল যথেষ্ট বেসামাল ছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সেই নির্বাচনে ইন্দিরা গান্ধীর লক্ষ্মীপেঁচা হয়েছিল। আজও যখন কেন্দ্রের শাসক দল উড়িষ্যা জয় করেও সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভে ব্যর্থ হয়ে ২৪০ এ এসে থমকে দাঁড়িয়েছে। তার লক্ষ্য পশ্চিমবাংলার ৪২ টি আসন। আর এই আসন জুটিয়ে দিতে পারে সেই লক্ষ্মীপেঁচা বাংলাদেশ।

বামপন্থার পুনর্জাগরণ আদৌ সম্ভব কি?

বহুকাল হল নকশালপন্থীদের ছন্নছাড়া দশা এবং সিপিএমেরও এই বারবার হার —- কোনোভাবেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সুবিধা করতে না পারা আজকাল প্রায় সকল বামপন্থী মানুষের মধ্যেই এই প্রশ্নটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে, কখনও লুকিয়ে কখনও খোলামেলাভাবে, কখনও গোপনে কখনও প্রকাশ্যে সমানে আসছে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। প্রশ্নটি হল বামপন্থার পুনর্জীবন আদৌ কি সম্ভব?

সীমানা পেরিয়ে

নিজের দেশের হয়ে প্রতিবেশী দেশে গুপ্তচর বৃত্তির কাজে নিযুক্ত ছিল আরমান। মীর হায়দার নামে সে প্রতিবেশী দেশে নকল পরিচয় নিয়ে ছিল। যোগ দিয়েছিল সেই দেশের সেনাবাহিনীতে। তার কাজ ছিল নিজের দেশের স্বার্থে প্রতিবেশী দেশের সুরক্ষা বিভাগের গোপন নথি হস্তগত করা। দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক এখন ভয়ঙ্কর রকমের খারাপ।