পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

বালিগঞ্জে দ্বিতীয় হিসেবে দৌড় শেষ করলেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর ওয়ার্ডে জিতেছেন সিপিআই(এম) প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। সেই দিক থেকে দেখলে বামদের ক্রম রক্তক্ষরণের মধ্যে সিপিআইএমকে এই ফল অক্সিজেন জোগাবে। কিন্তু এটা কি বামেদের পুনরুত্থান ?

Read more


গুজরাত গণহত্যা ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে বাস্তবিক এক প্রহসন। গোধরা-কাণ্ডের আপতিক ফলাফল যে গুজরাতের এই দুঃসময় নয়, এটা হিন্দুত্ববাদীদের মুসলমান বিরোধী অভিযানের চূড়ান্ত পরিণতি, তা অনেক অনেক হিন্দুর চিন্তা-চেতনে পৌঁছে দেওয়া যায়নি। কারণ একটা সময় ধরে যখন মুসলমান বিরোধী প্রচার, ঘৃণা-বিদ্বেষের মহড়া চলছিল গুজরাত জুড়ে, তখন গণতন্ত্রের প্রক্রিয়াগুলো সজাগ হতে পারেনি, হিন্দুত্বের কর্মসূচির বিকল্প নিয়ে ভাবেনি। আজকে কি ভাবছে?

Read more


কয়েকটি অণুগল্প দিয়ে একটি ক্যানভাস সাজানোর চেষ্টা করলেন ফাল্গুনি দে।

Read more


এই লেখা একটি ডায়েরির কয়েক পৃষ্ঠা৷ ডায়েরির লেখক অতুলকথা বাঙাল৷ কারও কৌতূহল হতে পারে এমন অদ্ভুত নাম কেন? পূর্ববঙ্গের কিশোরগঞ্জে তিনপুরুষের ভিটে থেকে উচ্ছেদ হবার পর নলিনীকুমার বসু ভারতে আশ্রয় নেন৷ বিখ্যাত কোনো নেতা বা গুরুর আশ্রয় নেওয়ার মতো নয় একেবারেই৷ প্রাণ হাতে নিয়ে পালিয়ে শেয়ালদা স্টেশনে লক্ষ দেশভিখারির ল্যাপটালেপটি ভিড়ে নিজেদের কোনোরকমে গুঁজে দেওয়া৷ ‘নিজেদের” মানে নলিনীকুমার, তাঁর স্ত্রী, কন্যা ও নাতি৷ পালানোর সময় নাতির বয়স ছিল চারমাস৷ এই স্টেশনেই দীনভিখারি-অনুষ্ঠানে নামকরণ হয় তার৷ কোটালিপাড়ার ডাকসাইটে ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান অব্যয়ানন্দ শিশুর নাম রাখেন ‘অতুলকথা’৷ আর নলিনীকুমার নতুন পদবি দেন ‘বাঙাল’৷ ছিলেন “বসু’৷ যার দেশ যায়, তার সব যায়৷ পুরোনো পদবি থাকে কীভাবে? তাছাড়া, এরপর তো সবাই “বাঙাল’ ডাকবে, শোনার অভ্যাস হয়ে যাক শিশু থাকতেই৷ অব্যয়ানন্দও খেদা-খাওয়া৷ তিনি ১৯৫২ সালে নলিনীকুমারের কাছ থেকে দু-টাকার পুরোহিত-প্রণাম আদায় করেন এই নামকরণের জন্য৷ ডায়েরিতেই একথা লিখিত আছে৷ অতুলকথার ডায়েরি তিরিশ পরিচ্ছেদের৷ এখানে তার একটি দেওয়া গেল৷ নামকরণ স্বয়ং অতুলকথার৷

Read more


যেখানে হরিদ্বারের ধর্মসংসদ থেকে ডাক আসছে হিন্দুদের প্রতি, মুসলমানদের বিরুদ্ধে সরাসরি অস্ত্র তুলে নেওয়ার, ঠিক সেই সময়েই অগ্নিহোত্রী সংখ্যাগুরু জনতার ইউটোপিয়ান ফ্যান্টাসিকে, তাদের স্বপ্নের অন্তর্লীন স্বপ্নকে সিনেমার ভাষায় জীবন্ত করে তুলছেন। যে দেশে 'লাভ জিহাদ'-এর ভুয়ো সংজ্ঞাকে ক্রমশ আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে, সেখানে এই সিনেমায় উঠে আসা হিন্দুরমণীর আর্তনাদের 'ফলস ট্রুথ' হিন্দু-অস্মিতাকে রক্ষা করার চিন্তাকেই ক্রমশ জনমানসে লালিত করতে সাহায্য করবে।

Read more


ইসমাইল দরবেশের ‘তালাশনামা’ বাংলা কথাসাহিত্যে নিশ্চিতভাবেই গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এ আখ্যান পাঠককে পৌঁছে দেয় প্রতিবেশীর অন্দর মহলে। ইসলাম আর মুসলমানকে জানার বড় সুযোগ করে দিয়েছেন লেখক। হাজারো উপন্যাসের ভিড়ে কখনও হারিয়ে যাবার নয় অনন্য এ ‘তালাশনামা’।

Read more


যেদিন মারা যায় তার আগের দিনও হিরালাল স্কুলে এসেছিল। # আমরা তখন ক্লাস সেভেন, ওই যে বয়েসে মাথাটা একটু উঁচু করে একটু দূরে তাকিয়ে দেখার ইচ্ছে হয়, লোভ হয়, সাহসও হয়। হিরালালের চেহারা ছিল বেতের মতো। রোগা বলে রোগা, মানে, শরীরের কোথাও সামান্য চর্বি অব্দি ছিল বলে মনে হত না। হাতের আঙুলগুলি লম্বা, কিন্তু নখে ময়লা লেগেই থাকত, সময়মতো নখ কাটত না, যেমন কাটত না মাথার চুল, আর সেই চুলের কিছু কপালে এসে পড়ত। গায়ের রঙ কালো। শ্যামবর্ণ বলা যাবে না, আরো একটু কালো। চোখদুটো গভীর আর ভেজা, আর প্রায় গাভীর মতোই শান্ত আর অসহায়। মোটা ঠোঁট, চাপা নাক আর অসম্ভব শাদা দাঁত--- সব মিলিয়ে, আমাদের চেয়ে একটু বেশি লম্বা হওয়ায়, একটু আলাদাই লাগত হিরালালকে।

Read more


পুঁজিবাদ এগোনোর পথে মাঝেমাঝেই ঝাঁকি দিয়েছে, প্রযুক্তির ধাক্কায়। সেই জেমস ওয়াটের স্টিম এঞ্জিন আবিস্কার থেকে,আজকের কম্পুটার, স্মার্টফোন এসবই এক একটি ডিসরাপটিভ বা ওলোটপালোটের প্রযুক্তি। এগুলি এসে মানুষের প্রচলিত ধারণাকে ভেঙেচুরে দিয়েছে। মানুষ তা গ্রহণ করতে নারাজ হলেও শেষমেষ মানতে বাধ্য হয়েছে। বিটকয়েন বা ক্রিপটোকারেন্সি তেমনই এক ভয়াবহ চমৎকার ডিসরাপটিভ প্রযুক্তি। যা মুদ্রা ও অর্থব্যবস্থার উপরে রাষ্ট্র তথা বিপুল শক্তিশালী ব্যাঙ্ক গোষ্ঠিপতিদের নিয়ন্ত্রণ খর্ব, এমনকি লুপ্ত করতে পারে। অনেকেই মনে করেন, মুদ্রা বা টাকার পিছনে রাষ্ট্রের বরাভয় না থাকলে তা চলতে পারে না। তাঁদের মনে করিয়ে দিতে হয়, ঈশ্বর যেমন মানুষের সৃষ্টি তেমনি মুদ্রা বা টাকাও মানুষের সৃষ্টি, লেনদেনের বা বিনিময়ের জন্য। রাষ্ট্র সেই মানুষের সৃষ্ট মুদ্রাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে ও করছে, যেমন করেছে ও করছে মানুষের সৃষ্ট ‘ঈশ্বর’কে। সেই নিয়ন্ত্রণ খর্বিত হওয়ার ভ্রূণও যদি ক্রিপটোকারেন্সিতে থাকে (যা মনে হয় আছে) তাহলে ক্রিপটোকারেন্সিকে আবাহন করা দরকার।

Read more


এটা স্পষ্ট তৃণমূল কংগ্রেসের নিজস্ব কোন বিকল্প নীতি বা কর্মসূচী নেই। প্রধানতঃ কংগ্রেসের পথই তাদের পথ। সাংগঠনিক পদ্ধতিতে চরম ব্যক্তিকেন্দ্রিক এক এবং দল চালানোর অর্থনৈতিক উৎসও প্রধানতঃ যে দলের পরিচ্ছন্ন নয় সেই দল জনস্বার্থে কোন কাজ করতে পারে না। ক্ষমতায় থাকার জন্য যতই বামপন্থী ধ্যান ধারণা বা বামপন্থী মুখোশ পরুক না কেন নীতি ও কর্মসূচীরও পথ চলাতে তারা আদ্যোপান্ত দক্ষিণপন্থার ধারক ও বাহক।

Read more


ব্রিটিশ আমলের পুলিশ কমিশন (১৮৬০) মনে করত “পুলিশকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা উচিত।“ স্বাধীনতা উত্তর যুগে সে প্রথার অবসান হবে এমনই প্রতিশ্রুতি ছিল। সে প্রতিশ্রুতি পালিত তো হয়ইনি যুগে যুগে পুলিশ রাজনৈতিক ভাবে আরও বেশি বেশি করে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখন তো সামরিক বাহিনীকেও রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহারের অপচেষ্টা চলছে।

Read more


আন্দোলনের অন্যতম প্রধান দূর্বলতা হচ্ছে এতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের যোগদান সীমিত। এই সত্যিটা যোগেন্দ্র যাদবের মতো নেতারা প্রকাশ্যে আনতে দ্বিধা বোধ করেন। তিনটি আইন লাগু হলে ছোট চাষিও একই ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কৃষিক্ষেত্র যদি কর্পোরেটের লীলাক্ষেত্র হয়ে যায় তাহলে জমির মালিক ও ক্ষেতমজুরের পরম্পরাগত সম্পর্ক (যে সম্পর্কের মধ্যে শোষণ বদান্যতার রূপ নিয়ে থাকে) ছিন্ন হয়ে যাবে।

Read more


বর্তমান রাজ্য প্রশাসনের উচ্চতম কর্তা থেকে শুরু করে থানার ইন-চার্জ পর্যন্ত কেউই জানেন না, তাঁদের শাসক দলের কোন স্তরে কার কার কথা মেনে চলতে হবে, আর কাকে কাকে কখন অগ্রাহ্য করা যায়। সুতরাং চোখের সামনে অপরাধ সংঘটিত হতে দেখেও পুলিশের সাধ্য ছিল না, আরও উচ্চতর হুকুম বিনা, তাতে হস্তক্ষেপ করার। আর—কোট অ্যান্ড আনকোট অনুব্রত—শর্ট সার্কিট হয়ে টিভি ফাটুস কাণ্ড ঘটলে পুলিশের এক্তিয়ারেই তা আসে না, অগ্নিকাণ্ড হয়ে দুপাঁচজন আহত না হলে বা মারা না গেলে।

Read more