পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

শুয়োরের গপ্পো

  • 29 September, 2024
  • 1 Comment(s)
  • 482 view(s)
  • লিখেছেন : খালিদা খানুম
আসলে এটা একটা শুয়োরের পৃথিবী। কর্দমাক্ত, কালো জলের একটা সমতল ভুমি। পচা আবর্জনা স্তূপের ভেতর প্লাস্টিক, খৈনি পানবাহারের প্যাকেটের টুকরো, মদের ভাঙা বোতলের টুকরো, ঠান্ডা পানীয়র বোতল, হোটেলের পরিত্যক্ত খাবার, সারা শহরের উচ্ছিষ্ট, বাজারের পচাগলা আলু কুমড়ো পটল ভেন্ডি, রক্তমাখা স্যানিটারি নাপকিন, মরা কুকুর বিড়াল কখনো বা মানুষের ভ্রুণ।

এইসবের মধ্যেই বসবাস করে হুমদো সাইজের শুয়োর। কালো কালো বিশাল বপু শুয়োরগুলো কোথা থেকে প্রথম এসেছিল সে ব্যাপারে তারা কেউই সঠিকভাবে জানে না, কিন্তু শুয়োর তার বংশ বাড়িয়েছে। আবর্জনা স্তূপের ভেতর থেকে ঘোত ঘোত করে পচা আনাজ, পচা ভাত, পচা কুকুর বিড়াল ভ্রুণ খুঁজে খুঁজে বের করে খাওয়া ছাড়া আরও একটা তাদের কাজ ছিল, তা হলো সঙ্গম। সঙ্গমের ব্যপারে তারা ছিল খুব উৎসাহী এবং একটা মাদীকে অনেকগুলো পুরুষ উপভোগ করতে পারত। এই নিয়ে তার অত্যন্ত গর্ব

বোধ করত। মাদী শুয়োর গর্ভবতী হলে বিশাল পেট নিয়ে কাদাজলে পিঠ ডুবিয়ে বসে থাকত।  সঙ্গম ও খাদ্য গ্রহণ সম্পুর্ণ হলে শুয়োররা পচা জলের উপর চিত হয়ে শুয়ে থাকত আর ভাবত, আহা আমাদের কী আনন্দের পৃথিবী। এমন সুন্দর বাসস্থান ও খাদ্যের জোগান দেবার জন্য জোগানদারকে ধন্যবাদ। অত্যন্ত দয়ালু তিনি, যিনি আমাদেরকে নিত্য খাবার জোগান দিচ্ছেন। তার দয়াতেই আমরা নিশ্চিতভাবে খাবার পাচ্ছি। আমাদের বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। অবশ্যই আমরা শ্রেষ্ঠ, বলেই তিনি আমাদের উপর দয়ালু। প্রতিদিন সকালে খাবারের ঝুড়ি উপুড় করে আমাদের উপর দয়ার নির্দশন প্রকাশ করেন। সেই মহান দয়ালুর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা তার অনুগত দাস হয়ে থাকব সারাজীবন। আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য হলো তাকে ভক্তি করা,  তার প্রতি মাথা অবনত রাখা। এবং তার দর্শন পাওয়া। সেই মহান দয়ালুর যে দেখা পেয়েছে, সে ভাগ্যবান।

বলা বাহুল্য যে ট্রাকটি পচা গলা আবর্জনা এই বদ্ধ কচুরিপানা ঢোলকলমি আরও অনেক বুনো জলজ ফার্ন ভর্তি থলথলে পাঁকের ভেতর নিয়ম করে ফেলে যেত, সেটি কর্পোরেশনের গাড়ি। এই বিশাল অঞ্চলটিতে সারা অঞ্চলের নোংরা ও নোংরা ফেলার স্থান।  নোংরা গুলো সাধারণত সংগ্রহ হয় সার ধরে থাকা গলি ও তস্য গলির ভেতর বাড়িগুলি থেকে নটার সময় বাঁশি বাজিয়ে, বাজারের আনাচ কানাচ থেকে আর নোংরামি গুলো সংগ্রহীত হয় হাসপাতাল আর হোটেল থেকে।

এই ফেলে যাওয়া নোংরা আর নোংরামিগুলো মহান দয়ালুর দান বলে মান্য করে শুয়োরগুলো। যে লোকটি নোংরা ভর্তি ট্রাকটি নিয়ে আসে তার নাম আকাশ, বিকাশ, প্রকাশ, কালাম, সালাম, যা হোক কিছু হতে পারে, কিন্তু আমরা তার নাম সুবিধার্থে ধরে নেব রাজা। রাজা নামের লোকটিকেই শুয়োররা ভাবত সেই মহান দয়ালু যে তাদের খাদ্য ও বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিয়েছে। এবং তারা ভাবত যে স্থান থেকে প্রতিদিন এত খাবার সরবরাহ করা হয়, সেই স্থানটিতে কতই না সুস্বাদু খাবার রয়েছে। যে স্থানে অফুরন্ত খাবার রয়েছে সেই স্থান নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর এবং আরামদায়ক। তারা কল্পনাতে ভাবতে চেষ্টা করত, টিলার মতো স্তুপ করে রাখা রয়েছে পচা মাংস।

একদিন এক বুড়ো শুয়োর ঘোঁত ঘোঁত করে জানান দিল, আমাদের উদ্দেশ্য সেই অফুরন্ত খাদ্যের স্থানে পৌঁছানো, যেখানে পৌঁছাতে পারলে আমাদের অনন্ত সুখ, অনন্ত আনন্দ। খাদ্যের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না আমাদের। আমাদের যখন ইচ্ছা তখনই খেতে পারব।

বাকি শুয়োররা সমস্বরে ঘোঁতঘোঁত  করে উঠলো, তাহলে কীভাবে আমরা সেই স্থানে পৌঁছাতে পারব তা বলে দিন। আপনি জ্ঞানী। আপনার অনেক বয়স হয়েছে, এই থলথলে কাদাময় পৃথিবীতে আপনি অনেক দিন বসবাস করেছেন। এই দুঃখের পৃথিবী থেকে মুক্তির উপায় আপনি বলে দেন।

বুড়ো শুয়োর ঘোঁত ঘোঁত করে জবাব দিল, যে আমাদের নিত্য খাবারের জোগান দেয় সেই মহান দয়ালুকে খুশি রাখলেই আমরা নিশ্চয়ই তার রাজ্যে যেতে পারবো। সেখানেই আমাদের অসীম আনন্দ।

রাজা নামের মিউনিসিপ্যালিটির সাফাই কর্মীটির দিন শুরু হয় এই ঘোঁতঘোঁত করা শুয়োরদের মুখদর্শন করে। তবু এদের সে সবথেকে বেশি ঘৃণা করে না কারণ সে সবথেকে বেশি ঘৃণা করে তার কপালকে। তার জন্য সে সবসময় ছেঁড়া ফাটা প্যান্টের পকেটে একটা দেশী মদের বোতল রাখে। রাস্তার ধারে নোংরা আবর্জনা যেখানে জমা হয় তার পাশ থেকেই শুরু হয় তাদের বস্তি। ত্রিপল বা টালির ছাউনি দেওয়া একটার উপর একটা চেপে বসা ছোট ছোট খুপরি ঘরগুলো থেকে তাদের জীবন শুরু হয় ও শেষ হয়। ভাতের গন্ধের থেকে তীব্রতর হয়ে উঠে পাশে বয়ে যাওয়া খালের জলের গন্ধ। খুপরির ঘরগুলোর সামনের রাস্তা ভেজা স্যাঁতসেঁতে সবসময়, তাতেই শুয়ে গড়াগড়ি করে বস্তির শিশু। টাইম কলের জলের জন্য নিত্য খিস্তি খেঁউড়। রাজার মা পালিয়ে গেছে কোন এক ব্যাটাছেলের সাথে। এর জন্য রাজার জীবনে এমন কিছু দুঃখের বোঝা নেমে আসেনি, কারণ এইসব ঘটনা তাদের বস্তিতে নিত্য ঘটনা। বাপ ছিল, বাপ বুড়ো বয়সেও চায়না কাকী, রূপা বৌদি, চামেলির ঘরে ঢুকেছে,  যারা তার বাপের সম্পর্কে ভাইবৌ বা পাড়াতুতো বোন বা মেয়ে হয়। তবে বাপ কারো সাথে ভেগে গেলে বা অন্য মেয়েছেলে ঘরে তুললে সে বৌ বাপের কাজের ভাগীদার হতো, সেক্ষেত্রে রাজা মিউনিসিপ্যালিটির চাকরিটা পেত কী না সন্দেহ ।

রাজার বাপের মারা যাওয়াও ছিল তাদের বস্তির মতোই নোংরা, তাতে কোন সৌন্দর্য ছিল না। তার বাপ মদ খেয়ে পড়ে থাকত রাস্তার ধারে।  একবার খেলে দু তিন দিন হুঁস থাকত না। সারা দুপুর রাত রাস্তার ধারেই পড়ে থাকত। মুখ দিয়ে লালা গড়িয়ে পড়তো। মুখের উপর, গায়ের উপর, মুতে ভেজা প্যান্টের কাছে ভনভন করে মাছি উড়ত। পাশে শুয়ে থাকত কুকুর। কেউ কখনও হয়তো মুখের উপর এক মগ জল ঢেলে দিয়ে যেতো। একটু জিভ ভিজত তাতে। দু তিন দিন পরে আপনা থেকেই হুঁশ ফিরত। মনে পড়ত, কাজে যেতে হবে। মিউনিসিপালিটি ভরে গেছে হয়তো নোংরা জঞ্জালে।  একবার চারদিন শুয়ে থাকার পর ও তার হুঁশ ফিরল না। আরও বেশি পরিমাণ মাছি তার চারিপাশে উড়তে শুরু করল। এলাকার মানুষের নাকে আসতে শুরু করলো, উৎকট গন্ধ।  নাকে কাপড় চাপা দিয়ে সবাই বলাবলি করতে শুরু করলো, কুকুর বেড়াল মরেছে মনে হয়।

এলাকার নেতাকে ধরে বাপের যায়গায় চাকরিটা পেয়ে গেল রাজা। কোথা থেকে একটা মেয়েমানুষের সাথে বিয়েও হয়ে গেল। বাচ্চা বিয়োনের প্রসেস শুরু হয়ে গেল, আবার সে প্রসেস শেষ হয়ে গেল তিনটা বাচ্চা বিয়ানোর পর। কোন একটা এনজিও প্রতিনিধির সাথে গিয়ে বাচ্চা বন্ধ করার অপারেশন করে এলো রাজার বৌ। রাজাকে জিজ্ঞেস না করেই এই কাজ করে এসেছিল সে। রাজা মারমুখী হয়ে উঠেছিল সে সব শুনে। তার বৌ দরজার হুড়কো লাগানোর বাঁশ তুলে এগিয়ে এসেছিল, খবরদার এক পাও যদি এগাও। মাথা টুকরা করে দেব। তিনটা পেট হয়েছে। মুরোদ থাকলে তাদের ভালো করে খাওয়া পরা দাও। মানুষের মতো মানুষ করো। তোমার মতো নোংরার কাজ যাতে না করতে হয়। আর তার জন্য মেলা পয়সা দরকার। মরদ হলে সারাদিন মদ না গিলে পয়সা ইনকাম করো বেশি।

সেদিন তখন ভরপেট বাংলা থাকা সত্ত্বেও রাজা বেহুঁশ হয়নি, তাই কেবলমাত্র বৌকে মনে হয়েছিল দেবী দুর্গা আর কথাগুলো মনে হয়েছিল দেবীর আদেশ।

তারপর থেকে রাজা বেশি পয়সা ইনকামের চেষ্টায় থাকত। তার জন্য সে পতাকা হাতে নিয়ে মিটিং এ যেত, কোন বন্ধ প্যাকেট কোন এক ঠিকানায় পৌঁছে দিয়ে আসত, গভীর রাতে রাস্তায় দাঁড়ানো মেয়েছেলেদের সাথে রফা করিয়ে দিত, এমনকি শনি মন্দিরের প্রনামীর বাক্সের তালা খুলেছে দু তিন বার। তাতে বেশি পয়সা আসে না। বৌ তাগাদা দেয়,  বড় ব্যাটা ফাইভে উঠবে, ভালো স্কুলে দিতে হবে। হঠাৎ করেই একটা ভালো বরাত পেল রাজা। ' শুয়োর ধরে দিতে হবে'

অফারটা পেয়ে হেঁচকি খেয়েছিল রাজা। এ আবার কেমন অফার। কেবল শুয়োর নয়, মরা কুকুর, যদি পচে গলে না যায়। নগদ পয়সা।

ব্যাপারটা বুঝতে সময় লাগলেও পরের দিন একটা জাল নিয়ে গিয়েছিল সঙ্গে করে। গাড়ি থেকে নোংরা ফেলার পর শুয়োরের দল ভীড় করে আসে। মদ্দা মাদী বাচ্চা সব। ঘোঁতঘোঁত শব্দে টেকা দায়। তবু বুদ্ধি করে জাল ফেলে দিল রাজা। কয়েকটি ছোট ছোট শুয়োরের বাচ্চা ছিটকে গেল এদিকে ওদিকে। কিন্তু সবচেয়ে বড় মাংসল বিশাল আকারের মদ্দাটা তার দিকে চেয়ে রইলো। তার চোখে কী মায়া!

হই হই পড়ে গেল শুয়োরের পৃথিবীতে। সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ কে তুলে নিয়ে গেছে দয়াবান, যে তাদের নিত্য খাবারের জোগান দেয়। সেই রাজ্যে গেছে তাদেরই একজন যেখান থেকে তাদের নিত্য খাদ্য সরবরাহ করা হয়। এ তাদের প্রতি আরেক দয়া, আরেক করুণা। শুয়োররা একত্রিত হলো।  ' আমাদের অত্যন্ত সৌভাগ্য যে আমাদের একজন, সবচেয়ে সুখের দেশে, চলে গেছে। স্বয়ং দয়ালু তার উপর  দয়া করে নিয়ে গেছে চির আনন্দের দেশে। আমরাও তার মতো স্মরণ করবো দয়ালুকে, তার মতো দেখা পাওয়ার বাসনা করবো, তাহলে দয়ালু দয়া করবেন, আমাদের ও তাহলে দয়া করবেন। তিনি নিশ্চয়ই মনের কথা বুঝতে পারেন, বুঝতে পারেন বলেই আমাদের প্রবীণ শুয়োরটিকে প্রথমে দয়া করেছেন। প্রবীণ শুয়োরটি সবসময় দয়ালুর দেখা পাওয়ার বাসনা করত।

আমরা নিয়মিত তার নামগান করবো, যেন দয়ালু খুশি হয়ে আমাদেরও সেই খাদ্যে পরিপূর্ণ দেশে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়াই আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য।

রাজা শুয়োর ধরার কাজ পেয়ে ধীরে ধীরে ফুলে ফেঁপে উঠল। পকেট গরম থাকলে বুকে সাহস আসে। সাহস আসলে কনফিডেন্টলি অনেক কাজে হাত দেওয়া যায়। এবং তাতে সাফল্যও আসে। রাজার জীবনে সফলতা আসতে থাকলো। প্রথম সফলতা এলো যেদিন সে খালপাড় কলোনির  'ফুল-ফল ' পার্টির পার্টি সভাপতি হলো। খালপাড় কলোনির ভালো মন্দ, অসুখ বিসুখ, সবই তার হাতে। সে বললে কলোনির লোকরা পতাকা হাতে মিছিলে গিয়ে দাঁড়ায়।  বদলে সে একটা করে চোলাই সাপ্লাই করে।

রাজা আর আগের মতো পোশাক পরে না। পকেটেও চোলাইয়ের বোতল রাখে না। বদলে সে বরফ দেওয়া ইংলিশ মদ খায়। এই পরিবর্তন গুলোও সে তার সফলতা বলেই মনে করে।

বড় সফলতা এলো যখন খালপাড় কলোনি ভোটের প্রচারের দায়িত্ব পেল সে। মিউনিসিপালিটির কাজটি সে খাতা কলমে না হলেও বাস্তব জীবনে ছেড়ে দিয়েছে। সেইকাজটি করার এখন তার সময় নেই। সময় নেই জাল নিয়ে শুয়োর ধরতে যাবার। ভোটের প্রচারের দায়িত্ব তাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ লোকে পরিনত করল এবং কালো রঙের ছোট একটি পিস্তল তার সঙ্গী হলএ

পৃথিবীর যত আবর্জনা স্তূপ আছে তার পাশে কিছু নির্বোধ শুয়োর বসবাস করে, যারা শুধু  অন্ধভাবে বিশ্বাস করে। আবর্জনা স্তুপের বাইরে যা কিছু আছে, তা তারা জানার প্রয়োজনবোধ করে না কারন তারা তাদের আবর্জনা স্তূপটিকেই একমাত্র জগৎ বলে মনে করে।

শুয়োরের পৃথিবীতে হতাশা নেমে এসেছে। হতাশার কারণ তারা যাকে দয়াবান ঈশ্বর বলে মনে করত, সে অনেকদিন আসে না এবং তার পরিবর্তে অন্য আরেকজন আসে, যে পূর্বের দয়াবানের মতো নিত্য খাবারের যোগান দেয়। শুয়োরের দল তাকেই এখন 'দয়াবান' ভাবে, আর পচা আবর্জনা খেয়ে চিত হয়ে শুয়ে থাকে।

একদিন পচা আবর্জনার সাথে একটা মুখ বাঁধা বস্তা এসে পড়লো শুয়োরের পৃথিবীতে। ঘোঁতঘোঁত করে হল্লা উঠলো তাদের মাঝে। পচা রক্তের গন্ধ আসছিল সেখান থেকে, কিছু মৃত মাছি বস্তার গায়ে লেগেছিল। কিছু মাছি ভনভন করতে করতে উড়ে এসেছিল মুখবাঁধা বস্তাটার সাথে সাথে। শুয়োরগুলো ঘোঁতঘোঁত ডাকে এলাকার সব শুয়োর একত্রিত হলো। কেউ কেউ বস্তাটার উপর উঠলো, কেউ বস্তাটার পাশে মুতলো হাগলো। পচা পাঁকের আবহাওয়ায় এক-দু দিনের মধ্যেই বস্তার মুখ আলগা হয়ে আসছিল। তার উপর ক্রমাগত শুয়োরদের সম্মিলিত টানাটানিতে একদিন বস্তা থেকে বেরিয়ে গেল বস্তুটি। গবেষণা বলে, শূকরের আই কিউ লেভেল বেশি। তারা সহজেই চিনতে পারলো পচে গলে যাওয়া বস্তাবন্দি মরদেহটিকে। সে আর কেউ নয় তাদের ভেবে নেওয়া প্রথম দয়াবান ঈশ্বর।

1 Comments

রেজানুল করিম

29 September, 2024

খালিদা বরাবরই অসাধারণ সব গল্প লেখে। এবারেরটা কি খারাপ গল্প? কোনোমতেই নয়। এবারেরটি অন্যতম একটি শক্তিশালী ও ব্যতিক্রমী গল্প। গল্পটি রূপক গল্প হতে হতেও আমাদেরকে কঠিন বাস্তবে এনে ফেলল। খুব ভালো লাগল। ও এমনতর গল্প আরও লিখুক।

Post Comment