পনেরো-বিশ দিন অন্তর অন্তর ঠোটকাট্টি বিটি সজ্জাকে নিয়ে পনেরো-বিশ দিনের জন্য ভিখ-সফরে বের হয়। শিরো অর্থাৎ শিরের দিকে, মানে মাথার দিকে যে দেশ, সেই উত্তরের দেশে সে ভিক্ষা করতে যায়। তবে সেই দেশের অন্য কোনও নাম আছে কিনা বলা খুব মুশকিল। থাকলেও এব্যাপারে সে নিজে কিছু জানে না। অবশ্য এব্যাপারে কেউ তাকে কিছু জিজ্ঞেস করে না। শিরোদ্যাস হোক কিংবা ফিরোদ্যাশ, সঙ্গে বড় বিটি সজ্জাকে নিয়ে যায় সে। সজ্জা একটু ক্ষেপী ধরণের। বাড়িতে রাখলে আইসক্রীম কিংবা লবেঞ্চুষের লোভে কারও সঙ্গে যদি ভুলুহাজীর বাগান কিংবা গোরস্থানের পাশের জঙ্গলে গিয়ে পেট বাঁধিয়ে বসে, এমন শঙ্কায় সজ্জাকে সে বাড়িতে রাখতে সাহস পায় না। তবে মেজো বিটি গাজলি ভাতারের ভাত না খেলেও ভালো, হুঁশবুদ্ধিওয়ালি। তাকে বাড়িতে রেখে যায়। দিন গেলে গাজলি বাড়িতে বসেই হাজার-দেড় হাজার বিড়ি বাঁধে। ওই গাজলির কাছেই রেখে যায় ছোট পুত শুকচাঁদকে। ছুঁড়া একেবারে হারামির হদ্দ! গাজলি ছাড়া আর কারও কথা শোনে না। যা ইচ্ছা করে বেড়ায়! কে জানে ভুলুহাজীর বাড়িতে কাজ করার সময় ভুলুহাজীর জোরাজুরিতে ছুঁড়া পেটে এসেছিল কিনা! যাইহোক, ভিখ-সফর সেরে সে যখন বাড়ি ফেরে তখন রাত কত হয় তার নিজেরই খেয়াল থাকে না।
আজকেও ওই একই অবস্থা হয় ঠোটকাট্টির। সারা শরীরে দুনিয়াজাহানের ক্লান্তি। মনে অবশ্য বাড়ি ফেরার খুশি আছে। ঠিক কি ভুল সে জানে না, তবে জোরাজুরির পর ভুলুহাজীর কাছ থেকে পাওয়া একশোটাকার নোট আঁচলে বেঁধে যেদিন বাড়ি ফিরেছিল সেদিন তার মনে এমন খুশির জন্ম হয়েছিল। আজকেও মনে সেরকম খুশি নিয়ে বাড়ির কাছাকাছি আসতেই ডহর থেকে বিটি গাজলি, বেটা শুকচাঁদের নাম ধরে সে হাঁক ছাড়ে, ও মা গাজলি রে! আরে বেটা শুকচাঁদ! তার এমন হাঁক শুনে গাজলি, শুকচাঁদ ছুটতে ছুটতে বেরিয়ে আসবে ডহরে। ঠোটকাট্টি কল্পনা করে। ওরা যখন ছোট ছিল, তার পষ্ট মনে পড়ে, ওদের ছোট ছোট পায়ের ছুটে আসার সেই দৃশ্য। ওরা এখন বড় হয়েছে তবু সেই দৃশ্যটাই সে কল্পনা করে। অন্য কোনও দৃশ্য তার কল্পনায় আসে না। কিন্তু আজ ওরা কেউ ছুটে আসে না।
ঠোটকাট্টির তাজ্জ্বব লাগে। বিড়বিড় করে বলে, কী হইল অধের? অরহা আইজ বেরহাইছে না কেনে? তাজ্জ্বব হয়ে নিজের মনে বিড়বিড় করতে করতেই সে বিটি সজ্জাকে নিয়ে ডহর ছেড়ে এসে দাঁড়ায় একেবারে নিজের বাড়ির দূয়ারে।
বাড়ি বলতে একটা কুঁড়েঘর। মাটির দেওয়াল। ওপরে গম-খড়ের ছাউনি। একটুখানি আঙিনা। পাটকাঠির টাটির বেড়া দিয়ে তিন দিক ঘেরা। তার মধ্যে কঞ্চির ঝাঁপের ছোট্ট একটা দরজা। বিটি গাজলি, বেটা শুকচাঁদের নাম ধরে হাঁকতে হাঁকতে সেই দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে ঠোটকাট্টি। পেছনে বিটি সজ্জা দাঁড়িয়ে, তার মাথায় বেশ বড়সড় একটা বোঁচকা। তার নিজের মাথাতেও বোঁচকা আছে। ভারী বোঁচকা। কাঁখেও বোঁচকা আছে। কতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে! হাঁক ছাড়ছে। অথচ ঝাঁপ খুলে কেউ বেরিয়ে আসছে না।
কাঁখে-মাথায় বোঁচকা, মনে উদ্বেগ নিয়ে ঠোটকাট্টি বেশীক্ষণ বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। ঝাঁপ ঠেলে ভেতরে ঢোকে। কিন্তু বাড়িটাকে তার নিজের বাড়ি বলে মনে হয় না, গোরস্থান গোরস্থান লাগে! অনেকদিন আগের একদিনের কথা মনে পড়ে যায় তার, ভাতার আহাদ যেদিন তাড়ি গিলে মরে পড়েছিল, সেদিনের কথা! না, সেদিন বাড়িতে ঢুকে প্রথমেই বাড়িটাকে গোরস্থান মনে হয়নি তার। খটখটে খরার দিন ছিল সেদিন। সদ্য দুপুর গড়িয়েছে ! সূর্যটা পশ্চিমে হেলেছে। কিন্তু তার তেজ আরও বেড়েছে বই কমেনি। দুনিয়াজাহান পুড়িয়ে ছারখার করছে। রোজকার মতো আহাদ তাড়ি গিলে বারান্দায় পড়ে আছে না আছে! সজ্জা নিশ্চয় বাড়ির কান্টায় পুতুল খেলছে গুড়গুড়ি গাজলিকে নিয়ে! তখনও শুকচাঁদ জন্মায়নি। পেটে আছে। সেই পেটে খুব ক্ষিদে! তবু কাজকাম শেষ করে ভুলুহাজীর বাড়িতে সে কিছু মুখে তোলেনি। ভুলুহাজীর বাড়িতে সেদিন বিরিয়ানি রান্না হয়েছিল। ভুলুহাজীর বাপের না মায়ের কার সেদিন মরণদিন ছিল! নাকি তার নিজেরই মরণদিন? কামকাজের ঠ্যালায় ঠাওর করতে পারেনি। কামকাজ শেষ হলে ভুলুহাজীর বউ তার মালকিন সালমাহেজান তাকে গামলা ভর্তি বিরিয়ানি দিয়েছিল। তার নিজের জন্য, তার মরদ আহাদের জন্য, সজ্জা-গাজলির জন্য। কিন্তু সেদিন যে তার সত্যিই মরণদিন ছিল, বুঝতে পেরেছিল বাড়ি ফিরে আসার পর। মরদ আহাদকে ডেকে ডেকে যখন সাড়া পায়নি। গায়ে হাত দিয়ে ঠেলা মেরে জাগাতে চেয়েছিল। আহাদ জাগেনি। খালি উল্টে গিয়ে নিজের চোখমুখ দেখিয়েছিল। অন্যদিনের মতো সেই চোখমুখে তাচ্ছিল্য ছিল না, অভিমান ছিল। কী জানি কীসের অভিমান! মুখ ফুটে কোনোদিন তো বলেনি সেকথা। খালি কথায় কথায় চোখ দেখিয়েছে। ভুলুহাজীর বাড়িতে কাজ করা নিয়ে ভেংচি কেটেছে।
আজকেও বাড়ি ঢুকে তার এক চিলতে বারান্দায় আহাদের মতো অবস্থায় শুকচাঁদকেও পড়ে থাকতে দেখে ঠোটকাট্টি। তাড়ির হাড়ি, গাঁজার কলকে আশপাশে গড়াগড়ি যাচ্ছে। তার মনে পড়ে, মরদ আহাদ ঠিক এভাবেই পড়ে ছিল। ঠিক এরকম পরিবেশেই। ঘরের দরজার পাশে দেওয়াল-কাটা তাক-এ তিরতির করে কূপিটা জ্বলছে। যার আলোতে তার চোখে পড়ে সব। আর তার মনে সেদিনের সেই ভয় জেগে ওঠে। গাজলির কথা মনে হয় তার। গাজলি কোথায় গেল তাহলে? যেন গাজলিকে খুঁজতেই আঙিনার দিকে তাকায় সে। আঙিনার মেহেন্দীর গাছটি তার চোখে পড়ে। নিকষ আঁধার হলেও জ্বোনাকির আলোয় সে দেখতে পায় গাছটিকে। পাড়াপড়শির বালবাচ্চারা গাছটির রফাদফা করে ছেড়েছে, বুঝতে পারে। গাজলি তাহলে কী করছিল? কোথায় ছিল? গাজলি বাড়িতে থাকতে এসব হল কী করে? কাঁখের বোঁচকা, মাথার বোঁচকা বারান্দায় নামিয়ে রেখে ঠোটকাট্টি পড়িমরি করে ঘরে গিয়ে ঢোকে। ঘুটঘুটে আঁধার। কিছু দেখা যায় না। তবু সে দেখতে পায় ঘরের মধ্যে গাজলিকে গভীর নিঁদে আচ্ছন্ন থাকতে।
ওদিকে গাজলি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকলেও স্বপে দেখে ভুলুহাজীর পুত সলিমকে। নাকি ভুলুহাজীর বাড়ির মাহিন্দার ইব্রাহিমকে? ঠিক বুঝতে পারে না। স্বপ্নটা কেমন আবছা! যদিও ওই দুজন মনে মনে যে তাকে চায়, সে বুঝতে পারে। কিন্তু কার কাছে সে ধরা দেবে ঠিক বুঝতে পারে না। তা নিয়ে ওই স্বপ্নেই মনে মনে হিসেব কষে। হাজার হাঁক-ডাকেও বুবু সজ্জা কিংবা মা ঠোটকাট্টির আগমন টের পায় না।
ঠোটকাট্টি এতে খুব গোসা হয়। ঘরে ঢুকেই সে গাজলির শরীরে জোরসে এক লাথি কষে। কিন্তু সেই লাথিতে জোর থাকে না। পনেরো কি বিশ দিনের শিরোদ্যাশ সফরে তার পায়ে কোনও শক্তিই আর অবশিষ্ট নেই। স্বভাবতই গাজলি মায়ের লাথ টের পায় না, খালি অভ্যাস বশত কট ফিরে সলিমের বদলে ইব্রাহিমকে আঁকড়ে ধরে। ইব্রাহিম তার কাছে অনেক সহজ মনে হয়। ওই স্বপ্নেই সে এটা টের পায়। অন্যদিকে ঠোটকাট্টি ঘরের ভিতরকার দেওয়াল-কাটা তাক-এ রাখা আর একটা কূপি জ্বালে। তারপর বোঁচকাবুঁচকি গুছিয়ে রেখে খাবার খোঁজে। ভাতের হাড়ি, তরকারির হাড়ি যে জায়গায় থাকার কথা সেই জায়গাতেই দেখতে পায়। কিন্তু ভাতের হাড়িতে ভাত, তরকারির হাড়িতে তরকারির গন্ধ পর্যন্ত খুঁজে পায় না। সজ্জা অবশ্য খাবারের কথা ভাবে না। তার খুব ঘুম পায়। সে মায়ের গুছিয়ে রাখা বোঁচকাবুঁচকির পাশেই নিজের শরীর এলিয়ে দেয়। তারপর ঘরে আর তৃতীয় কারও গা-গড়ানোর সুযোগ থাকে না। ঠোটকাট্টি আর কী করে, নিরুপায় হয়ে বারান্দায় এসে বসে। খোদার ওপর আক্রোশ ঝাড়বে মনস্থির করে। কিন্তু হঠাৎ করে তার মনে হয়, খোদার ওপর সে আক্রোশ ঝাড়বে কেন? খোদা কী দোষ করলে তার? দোষ করেছে তো তার মরদ আহাদ! তাহলে আহাদকেই তার গাল পাড়া উচিৎ। আহাদ তাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। সারাজীবন পাশে থাকবে বলেছিল। আরও কত কী যে বলেছিল! কত স্বপ্ন দেখিয়েছিল! সেসব যে মিথ্যা ছিল, পাঁচ বছর যেতে না যেতে হঠাৎ একদিন মালুম পেয়েছিল। কিন্তু মরা মানুষকেই বা গাল পাড়বে কোন অধিকারে? মরা মানুষ তো খোদার হেফাজতে থাকে। খোদা তার দেখভাল করে! তাহলে সে আর কার ওপর আক্রোশ ঝাড়বে? পাশেই বেটা শুকচাঁদ গড়াগড়ি যায়। আক্রোশ ঝাড়লে এই ছোঁড়ার ওপর ঝাড়া উচিৎ, মনে করে সে। কিন্তু আচমকায় মনে পড়ে যায় ভুলুহাজীকে! ভুলুহাজী না থাকলে এই ছোঁড়া তার জীবনে আসত না। তাহলে যত নষ্টের গোঁড়া ওই ভুলুহাজী। কিন্তু ভুলুহাজীকে সে গাল পাড়বে কী করে? ভুলুহাজী না তার একসময়ের মনিব ছিল। তাছাড়া ভুলুহাজীকে গাল পাড়লে সবাই আসল ব্যাপারটা জেনে যাবে। এতে তার নিজেরই বদনাম হবে।
এই আলো-আঁধারিতে অনেক চেষ্টা করেও আক্রোশ ঝাড়ার মতো কোনও একজনকে নিজের সামনে দাঁড় করাতে পারে না ঠোটকাট্টি। সবটাই যে তার কপালের দোষ তা সে অনুধাবন করে। শেষপর্যন্ত নিজেকে তার খুব অসহায় লাগে। আর অসহায় লাগলে একটাই কাজ করা যায়, সবাই যেটা করে, সেটা হল কাঁদা। কিন্তু সে তো কাঁদতে চায় না। কাঁদলে অনেকদিন আগেই কাঁদতে পারত। ভুলুহাজী যেদিন জোরাজুরি করে তাকে ভোগ করেছিল। কিংবা মরদ আহাদ যেদিন অভিমান করে মরে গেছিল। তাহলে আজ কাঁদবে কোন দুঃখে? না, সে কাঁদবে না। কিন্তু এই অবস্থায় তো তার ঘুমও আসবে না! তাহলে কী করবে?
ভাবতে গিয়ে কিছু ভাবতে পারে না ঠোটকাট্টি। তখন তার বিড়ির নেশা পায়। ঘরের কূপি জ্বালিয়ে হাতে ধরাই ছিল দেশলাইটা। শুধু আঁচলের খুঁট খুলে বিড়ির বান্ডিল থেকে একটা বিড়ি বের করে ধরায়। প্রথম টানেই তার কাশির দমক ওঠে। সে কাশতে শুরু করে। তবু পাশে শুয়ে থাকা বেটা শুকচাঁদের হুঁশ ফেরে না। ভুলুহাজীর মাহিন্দার ইব্রাহিমকে নিয়ে গাজলির স্বপ্ন-পর্ব তখন চরম পর্যায়ে। তার ঘুম না ভাঙাই স্বাভাবিক। কিন্তু খেপি বিটি সজ্জার ঠিক ঘুম ভেঙে যায়। সে উঠে গিয়ে কলসি আজড়ে বদনাতে করে পানি নিয়ে আসে মায়ের কাছে। মাকে পানি দেয়। মায়ের পিঠে থাবা মেরে কাশির দমক থামানোর চেষ্টা করে।
কিছুক্ষণের মধ্যে ঠোটকাট্টির কাশির দমক থেমে যায়। কিন্তু তার বুকের ভেতর থেকে উঠে আসা কান্নার দমক কিছুতেই থামে না, ছলকে ছলকে বাইরে বেরিয়ে আসে। প্রথমে অবশ্য সেটাকে কান্না বলে মনে হয় না। কারণ, ঠোটকাট্টি ঠিক কান্না শুরু করে না, খোদাতালার ওপর তার যে আক্রোশ জন্মেছিল সেটা আক্ষেপ হয়ে বেরিয়ে আসে এইভাবে, “তুমহার চোখ নাই খোদা! থাকলে তুমহি ঠিক দেখিতে পাইতা হামার কষ্ট! আর তুমহি হামাকে তুলে লইতা এই দুনিয়া থেইক্যা ...”।
ভোরের আঁধার যেভাবে ফিকে হতে হতে সকালের আলোয় পরিবর্তিত হয়, ঠোটকাট্টির আক্ষেপও সেই ভাবে কান্নায় পরিবর্তিত হতে থাকে। তার মধ্যে ফজরের নামাজের আজান পড়ে গ্রামের মসজিদে। সেই আজান দু-চারজন বাদে কেউ শুনতে পায় না। কিন্তু ঠোটকাট্টির আক্রোশ, আক্ষেপ কিংবা কান্না যাইহোক, পাড়াপড়শি সবাই শুনতে পায়। তাদের ঘুম ভেঙে যায়। তারা বিরক্ত হয়। ঠোটকাট্টির ওপর তাদের রাগ হয় খুব। উঠে গিয়ে ঠোটকাট্টিকে দু-চার কথা শুনিয়ে আসবে কিনা ভাবে। কিন্তু আলস্যি তাদের এমনভাবে জড়িয়ে থাকে যে তারা বিছানা ছেড়ে উঠতে পারে না। অগত্যা বিছানায় চোখ বন্ধ করে পড়ে থাকে। ঠোটকাট্টি যে শিরোদ্যাশ থেকে ভিখ-সফর সেরে গাঁয়ে ফিরেছে তারা তা বুঝতে পারে। এটাও বুঝতে পারে ভোররাত হোক, আর মাঝরাত- আজকের মতো তাদের ঘুমের বারোটা বাজল। এর বেশী কিছু তারা বুঝতে পারে না। বোঝার চেষ্টাও করে না। কান্না শুনে এমনিতেই ঘুমের বারোটা বেজেছে। উঠে বুঝতে গিয়ে যদি চোদ্দটা বাজে! পাড়াপড়শিরা কান্নাকে ভয় পায়। হাজার দুঃখ-কষ্টে তারা কাঁদে না, চুপ করে থাকে। কিন্তু ঠোটকাট্টি চুপ থাকতে পারে না। চুপ থাকা তার পক্ষে সম্ভব হয় না। সে জোরে, আরও জোরে কাঁদতে থাকে।
কভার ছবি-করতোয়া সেনগুপ্ত