দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এর আগে বহু ছোটবড় সাংবাদিক করেছেন। প্রাণও হারিয়েছেন। কিন্তু, মুকেশ চন্দ্রকারের মৃত্যু সম্ভবত এই সমস্ত সমীকরণের ঊর্ধ্বে। তাঁর মৃত্যুর পরে টুইটারে রানা আইয়ুব লিখলেন ‘আমরা সাংবাদিকদের মনে রাখি মৃত্যুর পরে। অথচ, বেঁচে থাকতে তাঁদের রক্ষা করার চেষ্টা করি না।’ মুকেশকে কি আদৌ রক্ষা করার কথা ছিল?
ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮১ সালে বলেছিলেন “স্বাস্থ্য ক্রয় করার যোগ্য কোন পণ্য নয়, কিংবা অর্থের মূল্যে কোন পরিষেবা নয়। এটা হল জানার, জীবনযাপনের, অংশগ্রহণের এবং মানুষ হয়ে ওঠার একটি প্রক্রিয়া।” খুবই মূল্যবান কিছু মতামত দিলেন স্বাস্থ্য, প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা, ইত্যাদি নিয়ে। বিশেষ করে যখন বলেন স্বাস্থ্য কোন পণ্যও বা কোন পরিষেবা নয়, “it is a process of knowing, living, participating and being”। আজ প্রায় ৪৫ বছর পরে একবার খোঁজ নিতে হবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার সরণিতে কোথায় দাঁড়িয়ে আছি আমরা।
বেদব্রত পাইনের তথ্যচিত্র দেজা-ভু তে, আমেরিকান কৃষকদের অভিজ্ঞতা, কৃষিতে অনিয়ন্ত্রিত কর্পোরেট শক্তির বিপদ এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের জীবন যন্ত্রণাকে তুলে ধরা হয়েছে। পরিচালক কৃষিতে অনিয়ন্ত্রিত কর্পোরেট আধিপত্যের বিপদ সম্বন্ধেও সাবধান করেছেন।
“সূর্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, শুনেছিস?” “অ্যাঁ! সে কি রে! কে করল?” “আরে যে করেছে সে কী সুস্থ?” “ভাই, এই গরমে একটা সুস্থ লোকের নাম বল। আর পারা যাচ্ছে না।”
পাখি, কুকুর, বেড়ালের মত না-মানুষদের কথা ভাবার কি কেউ নেই? বাতাসের দূষণ কতটা বাড়ল, তার হিসেবই বা কে রাখবে? টাকার গর্বে বলিয়ান মানুষ,প্রকৃতি বিচ্ছিন্ন মানুষ, স্বার্থপর ভোগী জনতা আর কতটা প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে এনে ক্ষান্ত হবে? নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারার মহাযজ্ঞ চলতেই থাকবে? সব শেষ হয়ে যাওয়ার আগে আমরা থামব না, এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই চলেছে বোধহয় উন্নত মস্তিষ্কের দাবিদার মহান মানুষ। এরপরেও হাসি মুখ করে সবাইকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানো সম্ভব ?
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির জন্মসাল নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। অবিভক্ত পার্টি ১৯২৫ সালের ২৬ ডিসেম্বরকে প্রতিষ্ঠার দিন হিসেবে চিহ্নিত করলেও, পরবর্তী সময়ে দলীয় বিভাজন এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্ব সেই মতকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ১৯২০ সালের তাশখন্দের উদ্যোগ, কিংবা ১৯৩৪ সালের মিরাট-পরবর্তী সময়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মত দানা বাঁধতে থাকে। সোভিয়েত ইউনিয়নও একাধিকবার অবস্থান বদল করে। অবশেষে, ১৯৫৯ সালে, অবিভক্ত সিপিআই ১৯২৫ সালকেই স্বীকৃতি দেয়। লেখকের মতে, ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের প্রয়োজন বিতর্ক পরিহার করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তোলা।
কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির নিয়ম অনুযায়ী, আবার পাশ ফেল প্রথা চালু করতে পারে আমাদের রাজ্য সরকারও। পাশ প্রথা তো ছিলই, ফেল করানোর নিয়ম যদি আবার ফিরিয়ে আনা হয়, তাহলে কী হবে? রাষ্ট্রীয় স্তরে অবিশ্যি এই পাশ-ফেল ফিরিয়ে আনার কারণটা কিঞ্চিৎ ভিন্ন। আমাদের সমাজ এবং সমাজানুসারী রাষ্ট্র আজও মারাত্মক রকম ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক, মনুবাদী। প্রমাণ হিসেবে হয়তো এইটুকু বলাই যথেষ্ট হবে যে রাজনীতি থেকে শুরু করে কর্পোরেট সেক্টর – সর্বত্রই আজও সেই তথাকথিত উচ্চবর্ণীয়দেরই আধিপত্য।
ধরা যাক, একই গ্রামের দুটি লোক। নাম নজরুল শাহ ওরফে নজু আর আসাদ মিঞা। ধরা যাক, লোকদুটি একই দিনে মারা গেল। গাঁয়ের গোরস্থানে দাফন হল। পাশাপাশি।
বহুকাল হল নকশালপন্থীদের ছন্নছাড়া দশা এবং সিপিএমেরও এই বারবার হার —- কোনোভাবেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সুবিধা করতে না পারা আজকাল প্রায় সকল বামপন্থী মানুষের মধ্যেই এই প্রশ্নটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে, কখনও লুকিয়ে কখনও খোলামেলাভাবে, কখনও গোপনে কখনও প্রকাশ্যে সমানে আসছে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। প্রশ্নটি হল বামপন্থার পুনর্জীবন আদৌ কি সম্ভব?
একবার নয়, এই বাংলাদেশ বারবার ভারতের কেন্দ্রীয় শাসক কে ডিভিডেন্ড এনে দিয়েছে। ১৯৭১ সালে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচনী হাল যথেষ্ট বেসামাল ছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সেই নির্বাচনে ইন্দিরা গান্ধীর লক্ষ্মীপেঁচা হয়েছিল। আজও যখন কেন্দ্রের শাসক দল উড়িষ্যা জয় করেও সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভে ব্যর্থ হয়ে ২৪০ এ এসে থমকে দাঁড়িয়েছে। তার লক্ষ্য পশ্চিমবাংলার ৪২ টি আসন। আর এই আসন জুটিয়ে দিতে পারে সেই লক্ষ্মীপেঁচা বাংলাদেশ।
একবার নয়, এই বাংলাদেশ বারবার ভারতের কেন্দ্রীয় শাসক কে ডিভিডেন্ড এনে দিয়েছে। ১৯৭১ সালে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচনী হাল যথেষ্ট বেসামাল ছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সেই নির্বাচনে ইন্দিরা গান্ধীর লক্ষ্মীপেঁচা হয়েছিল। আজও যখন কেন্দ্রের শাসক দল উড়িষ্যা জয় করেও সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভে ব্যর্থ হয়ে ২৪০ এ এসে থমকে দাঁড়িয়েছে। তার লক্ষ্য পশ্চিমবাংলার ৪২ টি আসন। আর এই আসন জুটিয়ে দিতে পারে সেই লক্ষ্মীপেঁচা বাংলাদেশ।
বহুকাল হল নকশালপন্থীদের ছন্নছাড়া দশা এবং সিপিএমেরও এই বারবার হার —- কোনোভাবেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সুবিধা করতে না পারা আজকাল প্রায় সকল বামপন্থী মানুষের মধ্যেই এই প্রশ্নটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে, কখনও লুকিয়ে কখনও খোলামেলাভাবে, কখনও গোপনে কখনও প্রকাশ্যে সমানে আসছে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। প্রশ্নটি হল বামপন্থার পুনর্জীবন আদৌ কি সম্ভব?
নিজের দেশের হয়ে প্রতিবেশী দেশে গুপ্তচর বৃত্তির কাজে নিযুক্ত ছিল আরমান। মীর হায়দার নামে সে প্রতিবেশী দেশে নকল পরিচয় নিয়ে ছিল। যোগ দিয়েছিল সেই দেশের সেনাবাহিনীতে। তার কাজ ছিল নিজের দেশের স্বার্থে প্রতিবেশী দেশের সুরক্ষা বিভাগের গোপন নথি হস্তগত করা। দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক এখন ভয়ঙ্কর রকমের খারাপ।
আমরা সব মোহাবিষ্ট হয়ে শুনে চলেছি, বুঝি না কিছুই, তবু ঘাড়ও নাড়ছি মাঝে মাঝে, তালে তালে। জাকির তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় মাঝেমধ্যেই ঘাড় ঘুরিয়ে, মাথা ঝাঁকিয়ে পাশে বসে থাকা আমাদের সাথে যেন কমিউনিকেট করছেন, আমরা এপ্রিসিয়েট করছি কিনা তা যেন বুঝতে চাইছেন। কী অনন্যসাধারণ এক অভিজ্ঞতা তা বলে বোঝানো যাবে না! জাকির হোসেনকে সামনাসামনি শোনার অভিজ্ঞতা তো এইরকমই হওয়ার কথা।
অনেকেই সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘুর সাম্প্রদায়িকতাকে এক করে দেখতে এবং দেখাতে চান, কিন্তু বিষয়টা কি এতোটাই সরল? যখন এই দেশে একজন মুসলমান মানুষকে নামাজ পড়ার জন্য, পুলিশের লাথি খেতে হয়, যখন এই দেশে প্রতিদিন একজন সংখ্যালঘু মুসলমানকে তাঁর নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হয়, যখন তাঁর ফ্রিজে কী খাবার আছে, তাঁর টিফিনবাক্সতে কী খাবার আছে, তা খুঁজে দেখা হয়, তখন সেটাই আসলে সংখ্যাগুরুবাদের সাম্প্রদায়িকতা।
আমরা সমগ্র ভারতবর্ষের সাপেক্ষে এমন একটা রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন বিজেপি-র গণতন্ত্র বিধ্বংসী সার্বিক ফ্যাসিস্ত স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করে হিন্দুধর্মীয় মৌলবাদের ভয়ঙ্কর আগ্রাসী আক্রমণের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করাই সমস্ত বাম ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলির প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত।