পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh
ব্যঙ্গচিত্র

পুরানো লেখাগুলি

অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে আমেরিকা, ভারত এবং গোটা বিশ্ব

বেকারত্ব, সামাজিক বৈষম্য, বর্ণবাদ এবং বন্দুক সংস্কৃতি। আমেরিকা হচ্ছে সেই দেশ যেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ গুলিতে মরে, যেখানে পুলিশ রাস্তায় কৃষ্ণাঙ্গদের হত্যা করে এবং যেখানে পুঁজিপতিরা প্রতিদিন দরিদ্রদের আরও দরিদ্র করে তুলছে। এই দেশ নিজেকে গণতন্ত্রের স্বঘোষিত মসিহা মনে করে, কিন্তু এই একই আমেরিকা আফগানিস্তান, ইরাক, ভিয়েতনাম, চিলি এবং অন্যান্য অনেক দেশে রক্তের নদী ঝরিয়েছে। তাঁদের এই অভিবাসন নীতি তাঁদের জন্য নতুন বিপদ নিয়ে আসবে না তো?

একদিন শেষদিন হঠাৎ

-আমার হাত ধরে হাঁটতে ভাল লাগে। -কার হাত? -যে কোনো মানুষের হাত।

নিভে যায় বারেবারে

শাসকের পশ্চাতে যদি ঐশ্বরিক ক্ষমতা জুড়ে দেওয়া যায় কাজটা সহজ হয়। ধরা ধামে ঈশ্বরের দুজন প্রতিনিধি, পার্থিব জীবনে রাজা ও অপার্থিব জগতে ধর্মীয় গুরু। কোথাও তিনি পোপ, কোথাও পয়গম্বর, কোথাও বা ব্রাহ্মণ পন্ডিত। এই প্রতিনিধি দের উপেক্ষা অবজ্ঞা করা মানে ঈশ্বরের প্রতি অবজ্ঞা। যেহেতু এদের নিয়োগ পত্র দিয়েছেন ঈশ্বর, অতএব এরা ঈশ্বরকে কৈফিয়ত দেবেন, মানুষ এদের নামে ঈশ্বরের কাছে নালিশ জানাতে পারেন। বিচার কর্তা খোদ ঈশ্বর।

শতবর্ষ পার হওয়া ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি কেন আজও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারল না

সহমনের সম্পাদকমন্ডলী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার একশো বছর : ফিরে দেখা লেখাটি নিয়ে বিতর্ক চেয়েছিল, সেই কারণেই সুশোভন মুখোপাধ্যায়ের লেখাটির একটি সমালোচনা প্রকাশ করা হয়েছিল। আজ আরও একটি লেখা প্রকাশ করা হলো। অন্য বিরুদ্ধ মত এলেও সহমন, সেই লেখা প্রকাশ করবে। আগের দুটো লেখাটির সূত্র এই লেখার শেষে থাকলো।

আমার নাম ধরে তোরা ডাকিস না আর…

নাম এতটাই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের দেশে যে কিছু পরীক্ষায় শুধুই রোল নম্বর বা রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখতে হয়, যাতে এক্সামিনার নাম দেখে পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে পড়েন! রাষ্ট্র থেকে পরিবার সবেতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে নাম। নাম হতে পারে ভয়ের কারণও।

বাজেট ২০২৫-২৬: বাইরে কোঁচার পত্তন ভিতরে ছুঁচোর কেত্তন

শাসক ও তাদের তাঁবেদার প্রচার মাধ্যম বিজেপি যখন যেমন বলে তেমনি প্রচার করে। দিল্লি বা পশ্চিমবঙ্গে অন্যতর শাসক দল যদি জনমোহিনী কোনো প্রকল্প গ্রহণ করে, যদি সাধারণ মানুষের হাতে ভরতুকি বা টাকা তুলে দেয় তাহলে তাকে খারাপ বলে মোদিজি রেউরি সংস্কৃতি বলে ব্যঙ্গ করবেন, প্রচার মাধ্যম তাকে তেমনি ভাবেই তুলে ধরবে। আয়করের ছাড়ও তেমনি ব্যাপার। গত বাজেটেও উনি তেমন কর ছাড় দেননি, তখন কি উনি মধ্যবিত্ত বান্ধব ছিলেন ছিলেন না?

ইঁদুরকলে বনের ফুল

ভোররাতে রোঁদে বেরিয়ে একটা দরজা খোলা দেখেই বুকটা ছ্যাঁত করে উঠল গণেশ থাপার। একতলার করিডোরে বাকি সব দরজাই বন্ধ। দরজা খোলা থাকাটা বড় কথা নয়, খোলা দরজার পেছনে কী ঘটেছে চিন্তা তো সেই নিয়ে।

এবারের বসন্ত পঞ্চমী ও কিছু স্মৃতিকথা

এবছর সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কুৎসিত নাটকের সাক্ষী থেকেছে আনন্দ নগরী কলকাতা। এর কাণ্ডারি ছিলেন মূলত তথাকথিত সুশীল সমাজের একাংশ। তাঁদের এই কৃতকর্মে সক্রিয় সহযোগিতায় ছিল সম্পূর্ণরূপে নীতিভ্রষ্ট আজকের মূলস্রোতের সংবাদ মাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়া। তা সত্ত্বেও এই লেখকের আশা একদিন পৃথিবী আবার শান্ত হবে, মনের বিদ্বেষ কাটিয়ে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াবে।

আরও পুরানো লেখাগুলি

শাহি স্নানের দুর্ঘটনা অনেক কিছুকে স্পষ্ট করে দিল

পদপিষ্টের সম্ভাবনা এড়িয়ে কোটি কোটি পুণ্যার্থীর নিশ্ছিদ্র সুরক্ষার আয়োজনের দাবি করেছেন তাঁরা। যাকে অভিহিত করেছেন এক নতুন শব্দবন্ধে—‘ওয়ার্ল্ড ক্লাস ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট’। কিন্তু প্রয়াগরাজে মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নানের গোড়াতেই সামনে চলে এল ভিড় সামলানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ব্যর্থতার ছবি। যার তুলনা টানতে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে সেই পুরনো প্রবাদ— বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া।

সমালোচনায়: তথাকথিত লাল দল ও নানা 'মার্কসবাদী' লেখক

সহমনের সম্পাদকমন্ডলী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার একশো বছর : ফিরে দেখা লেখাটি নিয়ে বিতর্ক চেয়েছিল, সেই কারণেই সুশোভন মুখোপাধ্যায়ের লেখাটির একটি সমালোচনা প্রকাশ করা হলো। অন্য বিরুদ্ধ মত এলেও সহমন, সেই লেখা প্রকাশ করবে। আগের লেখাটির সূত্র এই লেখার প্রথমেই থাকলো।

আখ্যান

সমালোচনায়: তথাকথিত লাল দল ও নানা 'মার্কসবাদী' লেখক

সহমনের সম্পাদকমন্ডলী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার একশো বছর : ফিরে দেখা লেখাটি নিয়ে বিতর্ক চেয়েছিল, সেই কারণেই সুশোভন মুখোপাধ্যায়ের লেখাটির একটি সমালোচনা প্রকাশ করা হলো। অন্য বিরুদ্ধ মত এলেও সহমন, সেই লেখা প্রকাশ করবে। আগের লেখাটির সূত্র এই লেখার প্রথমেই থাকলো।

শাহি স্নানের দুর্ঘটনা অনেক কিছুকে স্পষ্ট করে দিল

পদপিষ্টের সম্ভাবনা এড়িয়ে কোটি কোটি পুণ্যার্থীর নিশ্ছিদ্র সুরক্ষার আয়োজনের দাবি করেছেন তাঁরা। যাকে অভিহিত করেছেন এক নতুন শব্দবন্ধে—‘ওয়ার্ল্ড ক্লাস ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট’। কিন্তু প্রয়াগরাজে মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নানের গোড়াতেই সামনে চলে এল ভিড় সামলানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ব্যর্থতার ছবি। যার তুলনা টানতে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে সেই পুরনো প্রবাদ— বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া।

নীড়ের পাখি

দুপুর নাগাদ বাসটা মেখলিঘাটে এসে দাঁড়াতেই সমুদ্র হুড়মুড় করে নেমে পড়ল । মনকে শহুরে একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দিতেই ছোটমামার গৌহাটির বাড়ি থেকে ঝোলা কাঁধে বেরিয়েছিল ।

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার একশো বছর : ফিরে দেখা

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠার একশো বছর পালন করা শুরু হয়েছে। যে কোনো দেশের কমিউনিস্ট পার্টির একশো বছর পূর্ণ হওয়া অবশ্যই সাধারণ ভাবে এক ঐতিহ্যমণ্ডিত বিষয়। কিন্তু আমাদের দেশে সেই একশো বছর পূরণ হওয়ার মধ্যে কী কোনো গৌরব আছে?

মতান্ধতা নয় : চাই সংশয়

চিন্তাভাবনা দৃষ্টিভঙ্গির একটি পদ্ধতি নির্মাণ করার চেষ্টা আমরা দেখেছিলাম ১৫৮২ সালে। মুঘল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে। তাঁর সাম্রাজ্যে বহু সংখ্যক জাতি ধর্ম ভাষা সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক সম্মান মর্যাদা গড়ে তুলতে প্রয়াসী হন। ফতেপুর সিক্রিতে ইবাদৎখানা হলে ধর্ম মত নির্বিশেষে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সুফি - সন্ত - পীর ফকির - দরবেশ - যাজক - ঋষি - পাদরী - পুরোহিত সকলের সাথে খোলা মনে দিবারাত্রি আলোচনা করেন। সকল ধর্মের সার সত্যকে উপলব্ধি করতে সচেষ্ট হন।

জোনাগুঠঠি বিষয়ক আরেকটি গল্প

গাছটির নাম জোনাক গুঠঠি। সময়সবুজ শ্যাওলা নরমে হয়ে গেছে জোনাগুঠঠি। বাড়তি ‘ক’টা জোনাকীর মতোই অপ্রয়োজনীয় এক্সোটিকা হয়ে উঠছিল হয়তো। আমগাছ হিসাবে জাত ধরলে এইটা ক্ষীরসাপাতির গুঠঠি। হিমসাগর নামে পরিচিত যে আম বাজার ধরার কারণে। ক্ষীরসাপাতির চেয়ে হিমসাগর বোধহয় ফোনেটিক্যালি স্বস্তিদায়ক। হিম ও সাগরের একটা সুন্দর বৈপরীত্যও আছে।