বিজেপি/আরএসএসের প্রচারযন্ত্র, বিশেষ করে মূলধারার গণমাধ্যমকে দখলে নিয়ে এসে তাতে লাগাতার প্রচার, ইতিমধ্যেই সাভারকারের তত্ত্বায়নকে জনমানসে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। ভারতে কারা থাকবে বা ভারত দেশটা কার? —- এর উত্তরে সাভারকারের পরিষ্কার অভিমত ছিল যে, যাদের পিতৃভূমি এবং পূণ্যভূমি ভারত তারাই ভারতের অধিবাসী, তারাই ভারতীয়। খেয়াল করলে দেখা যাবে বর্তমানে নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিকত্বের ধারণা নিয়ে সারা ভারতে যে বিতর্ক চলছে তাতে বিজেপি ঘুরিয়ে সাভারকারের বক্তব্যকেই প্রতিধ্বনিত করে চলেছে, তাই সিলেবাসে সাভারকার থাকলে, তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশী।
দিল্লির পুলিশ-প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অমিত শাহ। তাঁর প্রতিনিধিত্বে দিল্লি পুলিশ, তাদের বিবৃতিতে 'বাংলা ভাষা' আর 'বাংলাদেশী'-কে এক করে দেখিয়েছে। শ্রমিকেরা প্রবাসে গিয়ে কারাবন্দি হচ্ছেন। নিজের দেশের শ্রমিকদের ঘোরতর বিপদ থেকে মুক্ত করবার বদলে শ্রমিকশ্রেণির সমস্ত অধিকার কেড়ে নিতেই আদিবাসী, নিম্নবর্ণ ও সংখ্যালঘু শ্রমিককে 'অনুপ্রবেশকারী' দাগিয়ে দিতে তৎপর হয়ে উঠেছেন ব্রাহ্মণ্যবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁদের ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রযন্ত্র।
বিদায় সভায় দুচারটে কথা বলেই ডাক্তার কমলিনী মিত্র নিঃশব্দে কর্ডলেস মাইকটা টেবিলের ওপরে রেখে দিয়েছিলেন।
ফ্যাসিবাদ হল, “সমস্ত ধরণের বিমূর্ত, যুক্তিবাদী, অ-ধর্মীয়, এমনকি অস্বাভাবিক উদারতাবাদ ও যথেষ্ট মাত্রার বস্তুবাদী ফ্রি-ম্যাসন সৌভ্রাতৃত্ব ইত্যাদির সমস্ত ধরণ ও ব্যবস্থার” ঘোষিত জাতশত্রু। এখানে আমরা দেখি যে ছদ্মবেশ ছিন্ন করে আধ্যাত্মিকতাবাদ তার আসল চেহারায় প্রকাশিত হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাসিবাদ রিলিজিয়াস; তাই সে যুক্তিবাদকে বিপদ হিসেবে আর উদারতাবাদকে অনাসৃষ্টি বলে ঘোষণা করে। এই কথাগুলো লিখেছিলেন এম এন রায় ১৯৩৮ সালে। আজকের সময়ে ২০২৫ সালে ঐ লেখার অনুবাদ করলেন মলয় তেওয়ারি। আজ সপ্তম অধ্যায়- ফ্যাসিবাদের অনুশীলন।
মহাত্মা গান্ধীর দেখানো পথে ‘আইন-অমান্য আন্দোলন’কেও বেআইনি ঘোষণা করার সংস্থান রয়েছে এই ‘মহারাষ্ট্র স্পেশাল পাবলিক সিকিউরিটি বিল ২০২৪’ বিলে। গান্ধীর অহিংসাকে ‘আহাম্মকি’ বলে অভিহিত করেছিলেন গোলওয়ালকর । সুতরাং, গান্ধী প্রবর্তিত আইন-অমান্য আন্দোলনকে তাঁরা বেআইনি কার্যকলাপের তকমা লাগাবেন তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। রাজ্যের নতুন আইনে মহারাষ্ট্রে কোনও রকম সরকার-বিরোধিতা আর চলবে না
মিডিয়ার স্টুডিও আলো করে কয়েকজন দাবি করে চলেছেন এসব নাকি ঠিক বাংলা ভাষার বা বাঙালি কৃষ্টির ওপর নাকি আঘাত নয়, এটা অর্থনৈতিক রেষারেষি থেকে শ্রমজীবি শ্রেণীর ওপর আঘাত। তা "ওরা কাজ করে" শ্রেণীর ওপর এই আঘাত কতটা পুরনো এবং যাঁরা এনাদেরকে "ওরা" বানিয়ে রাখেন তাদের এই দেখেও না দেখার প্রবণতাটা যে কতটা গভীর তা একটু খতিয়ে দেখা যাক।
নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি কাজে লাগিয়ে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লি জয়টা নিশ্চিত করতে পেরেই ঝাঁপি খুলে দিল এসআইআর। ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনীর নামে বেছে বেছে দলিত, সংখ্যালঘু, মূলনিবাসী, গরিব মানুষদের ভোটাধিকার কেড়ে নাও। এ শুধু বিহারেই থেমে থাকবে না, সব রাজ্যে হবে। পুরোনো ভোটার তালিকাকে খারিজ করে নতুন ভোটার তালিকা বানানোর প্রস্তুতিপর্ব। স্বৈরাচারী-গণতন্ত্রকে আশ্রয় করে এসআইআর গণতন্ত্রের ভিত নাড়িয়ে দিচ্ছে।
এই খাস কলকাতার বাংলাভাষী সুশীল সমাজের একাংশ যখন বাঙালির একাংশকে অবলীলায় বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করতে পারেন, কেউ চোখে আঙুল দিয়ে তাঁদের এই ভ্রান্তির কথা ধরিয়ে দেওয়ার পরও তাঁদের কোনো আত্মসমীক্ষা যখন দেখা যায় না, শিয়ালদায় কারমাইকেল হস্টেলে বাঙালি ছাত্রদের নির্যাতনকারী হিন্দি-উর্দুভাষীদের কাছে আমরা আর কীই বা আশা করতে পারি!
আচার্য ত্রিগুণা সেন স্মারক বক্তৃতায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও পার্লামেন্টারিয়ান হীরেন মুখার্জি এক জায়গায় বলছেন,“….নিজের বিশ্বাস, নিজের মতবাদ থেকে কখনো তাঁকে বিচ্যুত হতে দেখা যায়নি।এ লোকটি তো অসম্ভব লোক।” এরকম অসম্ভব মানুষেরাই পারে অতি মূল্যবান ‘না’ শব্দটি উচ্চারণ করতে। সেটা একটা চর্চার বিষয়।
বিহারে বিশেষ নিবিড় সন্ধান চালিয়ে জ্যান্ত ভোটারদের মৃত বানিয়ে ছেড়েছে, মৃতদের নাম তুলে দিয়েছে গাদা গাদা। কীরকম ইস্পেশাল সন্ধান কম্ম বল? – বাপ রে, তুই তো দেখছি, রাহুল গান্ধী আর দীপঙ্কর ভটচাজ্যির ডায়লগ সব মুখস্থ করে নিয়েছিস। তার পর কী শুনলি? সেই সব কথা শুনতে হলে চটাদার সঙ্গে এই কথাবার্তা শুনতেই হবে।
বিহারে বিশেষ নিবিড় সন্ধান চালিয়ে জ্যান্ত ভোটারদের মৃত বানিয়ে ছেড়েছে, মৃতদের নাম তুলে দিয়েছে গাদা গাদা। কীরকম ইস্পেশাল সন্ধান কম্ম বল? – বাপ রে, তুই তো দেখছি, রাহুল গান্ধী আর দীপঙ্কর ভটচাজ্যির ডায়লগ সব মুখস্থ করে নিয়েছিস। তার পর কী শুনলি? সেই সব কথা শুনতে হলে চটাদার সঙ্গে এই কথাবার্তা শুনতেই হবে।
আচার্য ত্রিগুণা সেন স্মারক বক্তৃতায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও পার্লামেন্টারিয়ান হীরেন মুখার্জি এক জায়গায় বলছেন,“….নিজের বিশ্বাস, নিজের মতবাদ থেকে কখনো তাঁকে বিচ্যুত হতে দেখা যায়নি।এ লোকটি তো অসম্ভব লোক।” এরকম অসম্ভব মানুষেরাই পারে অতি মূল্যবান ‘না’ শব্দটি উচ্চারণ করতে। সেটা একটা চর্চার বিষয়।
ফ্যাসিবাদ হল, “সমস্ত ধরণের বিমূর্ত, যুক্তিবাদী, অ-ধর্মীয়, এমনকি অস্বাভাবিক উদারতাবাদ ও যথেষ্ট মাত্রার বস্তুবাদী ফ্রি-ম্যাসন সৌভ্রাতৃত্ব ইত্যাদির সমস্ত ধরণ ও ব্যবস্থার” ঘোষিত জাতশত্রু। এখানে আমরা দেখি যে ছদ্মবেশ ছিন্ন করে আধ্যাত্মিকতাবাদ তার আসল চেহারায় প্রকাশিত হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাসিবাদ রিলিজিয়াস; তাই সে যুক্তিবাদকে বিপদ হিসেবে আর উদারতাবাদকে অনাসৃষ্টি বলে ঘোষণা করে। এই কথাগুলো লিখেছিলেন এম এন রায় ১৯৩৮ সালে। আজকের সময়ে ২০২৫ সালে ঐ লেখার অনুবাদ করলেন মলয় তেওয়ারি। আজ ষষ্ঠ অধ্যায়- “রক্তপাতহীন” বিপ্লব।
এই সরকার গত ১১ বছরে আসলে প্রতিটি নাগরিককে একলা করে দিয়েছে। প্রতিটি নাগরিককে তাঁর নিজের নাগরিকত্ব নিয়ে এতটাই ব্যস্ত রেখেছে, যে তিনি অন্য কিছু নিয়ে ভাবতেই যাতে না পারেন তার ব্যবস্থা করেছে। কখনো আধারের সঙ্গে ব্যাঙ্কের সংযোগ, কখনো ফোনের বা রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযোগ করানোর নিদান দেওয়ার মধ্যে দিয়ে প্রতিটি নাগরিককে উদ্বেগে রেখেছে। ভোটার তালিকায় যে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী চলছে তাতেও বহু মানুষ উদ্বিগ্ন হচ্ছেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এই সাম্প্রতিক রিজেন্ট পার্ক থানার আত্মহত্যার ঘটনা।
বাবা যেদিন ফোন করে জানালো অপার বিয়ে ঠিক হওয়ার কথা, সেইদিন থেকে অপার জামাইবাবুর মারাত্মক মন খারপ। শালীর মালিকানা বদল হয়ে যাবে; তার থেকেও বড় কথা শ্বশুরবাড়ির যত্ন আত্তি সব এবার থেকে পাবে নতুন জামাই।
বাংলা ভাষা ও বাঙালিয়ানা আজকে আক্রান্ত হচ্ছে নানাভাবে; তার প্রতিরোধ গড়ে তোলার নানা উপায়ের মধ্যে একটা উপায় অবশ্যই বাংলা, বাঙালিয়ানা এবং বাংলা ভাষার গভীরতর চর্চা। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ভাষায়, "বাঙলাকে বুদ্ধিপূর্বক জানা"। অথচ আমাদের নগরকেন্দ্রিক যে ভাবনা চিন্তার বা বিদ্যা চর্চার ধারা সেখানে বাংলার এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সংস্কৃতির কথা উঠে আসে না সেভাবে। কৃষি নির্ভর যে গ্রামীণ সংস্কৃতি, বিশেষত গোটা বাংলার যে নারী সংস্কৃতি, তাঁদের যে নিজস্ব সৃজন তা এতদিন পর্যন্ত খুব বেশি আলোচিত হয়নি। অথচ কী অসাধারণ মূল্যবান দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্ববীক্ষা তার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় । আজ, 'পানি' শব্দ নিয়ে তর্কের কোন প্রয়োজনই হতো না কেননা উভয় বাংলার নানা সম্প্রদায়ের মায়েরা বৃষ্টি নামানোর গানে এ শব্দ ব্যবহার করেছেন যুগে যুগে-- "ওলো মেঘারানি, শাক ধুই ধুই ফেলা পানি"। 'পানি' শব্দের সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতা লাগানোর চেষ্টা, আমাদের মূর্খতা, অজ্ঞতার ফল।