এই ঔরঙ্গজেব সংক্রান্ত বিতর্ক শুধু আরএসএস বা বিজেপির মস্তিষ্কপ্রসূত নয়। যে কোনো ক্ষমতাবান রাষ্ট্রশক্তির কাছে, বিশেষত পশ্চিমের ক্ষমতার কাছে ঔরঙ্গজেব ছিলেন বিপদজনক। ঔরঙ্গজেব সহ গোটা মুঘল যুগকে অস্বীকার করার মধ্য দিয়ে আসলে ভারতের সবচেয়ে গৌরব জনক যুগ কে অস্বীকার করার অপচেষ্টা। এমন এক যুগ যখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ভারত হয়েছিল বিশ্বের সমৃদ্ধতম অঞ্চল। মুঘল যুগের পর থেকেই এই গৌরবের অস্তগামিতা শুরু হয়।
শাসক শ্রেণীর প্রোপাগান্ডায় রাষ্ট্রযন্ত্রে যখন 'আইনি' ও 'বেআইনি' এবং দেশদ্রোহিতার প্রসঙ্গ উঠে আসে তখন এদেশের মাটির চরিত্র, ইতিহাসকে প্রশ্ন করতে হয়, কারা এসবের বিরুদ্ধে কাজ করে আসছে? কারা আদতে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে? আদপে দেশের মাটির বিরুদ্ধে যারা কাজ করছে, যারা দেশের ইতিহাসের বিরুদ্ধে কাজ করছে, যারা দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করছে, এদেশের নির্বাচন পরিচালনা করছে, দেশের জনগণের সম্পদ লুঠ করছে, তারাই যে প্রকৃত দেশদ্রোহী, এ কথা একটি নিষ্পাপ শিশুও বোঝে।
সম্প্রতি ইলন মাস্ক সামাজিক নিরাপত্তাকে "সবচেয়ে বড় পঞ্জি স্কিম" বলে অভিহিত করেছেন এবং ভুল তথ্য ছড়িয়েছেন যে মৃত শতবর্ষীরা এখনো সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধা পাচ্ছেন। তবে, সরকারি কর্তৃপক্ষ এই দাবিগুলো নাকচ করেছে। রিপাবলিকানরাও মাস্কের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এবং বলেছেন যে সামাজিক নিরাপত্তা, মেডিকেয়ার বন্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই। মাস্কের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টেসলা ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর হামলার ঘটনা বেড়েছে।
একদিকে সাম্প্রদায়িক বিজেপির ফ্যাসিবাদী উত্থানকে ঠেকাতে ভোটারদের একাংশ তৃণমূলের দিকে গেছে, অন্যদিকে আঞ্চলিক স্তরে তৃণমূলের লুম্পেনরাজকে ঠেকাতে ভোটারদের একাংশ গেছে বিজেপির দিকে। তৃণমূলের আঞ্চলিক লুম্পেনরাজের বিরুদ্ধে জনমতকে মুসলিম বিরোধী জনমতে পরিবর্তিত করতে বিজেপি সচেষ্ট। এখন তাহলে কী উপায়? সন্ধান করলেন সৌম্য মণ্ডল
আব্দুল হক তাহলে সত্যিই মারা গেছেন। কে যেন বলল "লাশের মুখটা একটু খুলে দাও"। লাশ কথাটা তাঁর মৃত্যুকে যেন প্রত্যয়িত করল, হক সাহেব নিশ্চিন্ত হলেন এই ভেবে যে, আবার তিনি সালেহার পাশে গিয়ে শুতে পারবেন।
আরএসএস - বিজেপি'র সব মিথ্যার পর্দাফাস করে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে 'গ্রক' (Grok)! যে কাজ ভারতের গোদি মিডিয়া করেনা, আর নির্ভীক ইউটিউবরাও করতে পারেননা সাধ্য ও সামর্থ্যের অভাবে, সেই কাজই অনায়াসে, মজার ছলে, টুইটার তথা এক্স (X) নামক সমাজমাধ্যমে করে চলেছে গ্রক - যেটি আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা পরিচালিত চ্যাট বট, মানে রোবট। এবার সেই গ্রকের সাথেই, ভোটার আইডি'র সঙ্গে আধার সংযোগ নিয়ে, বিশদে কথা হল বিজ্ঞাপন ও মার্কেটিং কমিউনিকেশন পরামর্শদাতা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুশোভন চৌধুরী'র। ওই কথোপকথনের সূত্র ধরেই ভবিষ্যতের ভূত হিসাবে বেরিয়ে এল এমন সব তথ্য যা জানলে খুব সহজেই বোঝা যাবে কেন EPIC + Aadhaar হলে প্রত্যেক ভারতবাসীর EPICHAAR হবে। তাই, আধারের আঁধারে পথ হারিয়ে যদি নিজের সর্বনাশ না চান, পড়ুন, এবং অন্যকেও পড়ান, নিচের চ্যাটটি / লেখাটি:
মুক্ত বাণিজ্যের দিন শেষ - শুরু হ'ল বাণিজ্য যুদ্ধ। ট্রাম্প, মেক্সিকো এবং কানাডার উপর শুল্ক আরোপ করতে গিয়ে পাঁচটি পরস্পরবিরোধী - যুক্তি দেখিয়েছেন। সেই যুক্তিগুলো কী, আর তার অন্তসারশূন্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দেবাশিস মিথিয়া
মোঘলরা কেন তুঘলক খিলজি উত্তর ভারতের হর্ষবর্ধন সহ হিন্দু রাজারা বরাবর দাক্ষিণাত্যে গিয়ে ল্যাজেগোবরে হয়েছেন। শিবাজির মারাঠা রাষ্ট্রের শক্তিশালী সামাজিক ভিত্তি আছে যা মূলত ভাষা ভিত্তিক, একপেশে ধর্মভিত্তিক নয়। ঔরঙ্গজেবও তা জানতেন বলেই মারাঠাদের মোঘল শিবিরের সহযোগী করেছিলেন। শিবাজিকেও সহযোগী চেয়েছিলেন। শিবাজির ছিল স্বাধীনচেতা মনোভাব প্রসূত মূলত স্থানীয় ভাষা ভিত্তিক তুকারাম প্রভাবিত মারাঠা রাষ্ট্রের ভাবনা। আজ আবার ঔরঙ্গজেবের ইতিহাস জানা জরুরি।
গতবছর আন্তর্জাতিক নারীদিবসের পরেরদিন সামজমাধ্যমের দৌলতে দেখলাম কোনো-কোনো নারী শিবলিঙ্গে জল ঢালবে বলে উপবাস না করলে, অন্য নারীরা কী নির্মম মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়েছেন। আরও আছে, টিভি সিরিয়ালগুলোর বিষয়বস্তুর দিকে তাকালে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারী কর্তৃক নারীর প্রতি বিবিধ সাংসারিক যাতনার চিত্রই সেখানে প্রাধান্য পেয়েছে, এবং সান্ধ্যকালীন বিনোদনে বেশিরভাগ নারীই তার মুগ্ধ দর্শক। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পরে উঠে আসে কিছু প্রশ্ন।
আমি অহনা। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ নির্যাতিতা ছিলাম আমার মায়ের কাছে। তবুও এত কষ্টের মধ্যে আমি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসতাম। স্বপ্ন যে সত্যি হবেই এমনও নয়, তবুও !! আমার চোখের সবাই খুব প্রশংসা করতো। বড় বড় দুটি ডাগর চোখ। সেই চোখে অনেক স্বপ্ন সাজিয়েছিলাম সৈকতকে নিয়ে। সৈকত আমার স্বামী। এক সন্ধ্যের বিপর্যয় আমার সমস্ত স্বপ্নকে গুঁড়িয়ে দিলো.....
আমি অহনা। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ নির্যাতিতা ছিলাম আমার মায়ের কাছে। তবুও এত কষ্টের মধ্যে আমি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসতাম। স্বপ্ন যে সত্যি হবেই এমনও নয়, তবুও !! আমার চোখের সবাই খুব প্রশংসা করতো। বড় বড় দুটি ডাগর চোখ। সেই চোখে অনেক স্বপ্ন সাজিয়েছিলাম সৈকতকে নিয়ে। সৈকত আমার স্বামী। এক সন্ধ্যের বিপর্যয় আমার সমস্ত স্বপ্নকে গুঁড়িয়ে দিলো.....
গতবছর আন্তর্জাতিক নারীদিবসের পরেরদিন সামজমাধ্যমের দৌলতে দেখলাম কোনো-কোনো নারী শিবলিঙ্গে জল ঢালবে বলে উপবাস না করলে, অন্য নারীরা কী নির্মম মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়েছেন। আরও আছে, টিভি সিরিয়ালগুলোর বিষয়বস্তুর দিকে তাকালে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারী কর্তৃক নারীর প্রতি বিবিধ সাংসারিক যাতনার চিত্রই সেখানে প্রাধান্য পেয়েছে, এবং সান্ধ্যকালীন বিনোদনে বেশিরভাগ নারীই তার মুগ্ধ দর্শক। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পরে উঠে আসে কিছু প্রশ্ন।
ভারতের সংবিধান রচনায় তার যুক্তরাষ্ট্রীয় চরিত্রের বদলে কেন্দ্রিকতার প্রাধান্যের কারণেই দেশভাগ এড়ানো যায়নি। সংবিধান রচনা স্বাধীনতাপ্রাপ্তি ও দেশভাগের অনেক আগেই কংগ্রেস-লীগ এর অন্তরবর্তীকালীন-সরকারের অধীনেই শুরু হয়। তাই সমস্ত দায়িত্ব বর্তায় জাতীয় নেতাদের ওপরেই। মুসলিম সম্প্রদায় সম্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণা ও সৈন্যবাহিনীতে মুসলিমদের "জন-সংখ্যার তুলনায় অধিক উপস্থিতি" সংক্রান্ত ভুল তথ্যের কারণে নেতারা সন্দিগ্ধ ছিলেন। দেশভাগ রুখতে তাঁরা তাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন না।ফেডারেল কাঠামো সম্পন্ন উপযুক্ত সংবিধানের নমুনার অভাব কিন্তু ছিল না। দেশভাগ ও তার পরবর্তী বিভীষিকা এড়ানো অবশ্যই সম্ভব ছিল।
কুম্ভ মেলা বলুন মহা কুম্ভ বলুন, অমৃত খোঁজা বলুন, পাপ স্খলন বা পুণ্য অর্জন তো হলো, কিন্তু বেশ কিছু প্রশ্ন তো থেকেই গেল। সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর কে দেবে? কেন্দ্রীয় সরকার না যোগী আদিত্যনাথ?
সেদিন আমি আপিসে যাইনি। বাড়িতে বসে বসে এটা সেটা পড়ছিলাম , দেখছিলাম । কম্পিউটারে নাড়াচাড়া করে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড উথাল পাথাল করে ফেলছিলাম । বাড়িতে বসে বসে আরকি বা করার থাকতে পারে । সেই দিনটা মাসের প্রথম ছিল কিনা মনে পড়ছে না ।
আন্দোলনও আজ বিক্রি হচ্ছে, চোখের সামনে বিক্রি হচ্ছে আন্দোলনের মুখেরা, আরও একঝাঁক এলিট মুখ নিজের দিকে আলো ফেলার আপ্রাণ চেষ্টায় হাঁসফাঁস করতে করতে, ইঁদুর দৌড়ে জয়ী হতে না পেরে বিপর্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে লিঙ্গ সাম্যের প্রশ্ন নিয়ে নতুন করে ভেবে দেখা বোধহয় সত্যিই খুব জরুরি। বাংলার সর্বোচ্চ কর্পোরেট মিডিয়া আজ শিলমোহর দিচ্ছে আন্দোলনকে, আলোর সেই মুখকে সেরার সেরা ঘোষণা করে। দুর্ভাগ্যের বিষয় আন্দোলনের মূল আশু লক্ষ তিলোত্তমার ন্যায়বিচার এবং দীর্ঘস্থায়ী লিঙ্গ সাম্যের প্রশ্ন যেন এই ইঁদুর দৌড়ের মাঝে পড়ে ক্রমশ আরো বিলীন হওয়ার দিকে।