পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

পুরানো লেখাগুলি

দুটি বৈ ল্যাজ মোর নাইরে

এক কথায় যেসব ইস্যু কে অবলম্বন করে বিজেপি মানুষের মধ্যে জনভিত্তি গড়তে চেয়েছিল, সেগুলো দ্রুত কার্যকারিতা হারাচ্ছে। এ অবস্থায় বিজেপিকে অনেক বেশি হঠকারী ভূমিকায় নামতে হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনটাকেই নিজের পায়ের তলায় নিয়ে এসো।

৩টি অণু গল্প

এবারের সহমনের গল্প বিভাগে ৩টি অণু গল্প থাকলো। সুদূরের পিয়াসী, মোহরের চিঠি ও মানুষ ভাসছে এই ৩টি অণু গল্প নিয়ে আজ সহমনের গল্প সাজালেন অয়ন মুখোপাধ্যায়।

জিএসটি সংস্কার: অর্থনীতির “বুস্টার শট” না কি রাজনীতি?

সরকার জিএসটির এই সংস্কারকে একটি ‘বুস্টার শট’ হিসেবে দেখালেও, অর্থনৈতিক বিশ্লেষক এবং শিল্প বিশেষজ্ঞরা এর কার্যকারিতা ও বাস্তবায়ন নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন। জিএসটি ২.০-এর সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো এর আর্থিক প্রভাব। সরকারের অনুমান অনুযায়ী, এই সংস্কারের ফলে বার্ষিক ৪৮,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হতে পারে। তবে, বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলো আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছে, যা সম্মিলিতভাবে ১.৫ -২ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

গণের টুঁটি চেপে ধরছে তন্ত্র

বিহার জুড়ে ১৬ দিনের ভোট অধিকার যাত্রা বহুকাল বাদে বিরোধী ঐক্যকে সংহত করেছে। বিশাল জনসমুদ্রে বক্তব্য রেখে চলেছেন রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি আর জে ডির তেজস্বী যাদব, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বিহারের ৩৮টি জেলার ২৫ টি জুড়ে প্রায় ১১০ টি বিধানসভা ছুঁয়ে এই যাত্রা এক অভূতপূর্ব সম্ভাবনাকে সামনে এনেছে। সাধারণ মানুষের বিপুল যোগদান প্রমাণ করে যে এদেশের মানুষ ভোটাধিকার নিয়ে কতখানি সচেতন। কিন্তু তাতে কি সোনালীর মতো মানুষেরা নিশ্চিন্ত হতে পারলেন?

বই দেখলে যে ভয় পায়

২৫-এর ৫ই অগাস্ট রাত পোহাতেই ২৫ টি গবেষণা গ্রন্থকে নিষিদ্ধকরণের পরোয়ানা জারি হল তামাম কাশ্মীর জুড়ে। অরুন্ধতী রায়ের আজাদি সম্বলিত সে তালিকায় সিংহভাগই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রাবন্ধিক, ইতিহাসবিদ, সাংবাদিক ও অধ্যাপকের লেখা বইয়ের নাম।

খেলা যখন...

একটা তীক্ষ্ণ যান্ত্রিক শব্দে ঘুম ভেঙে গেল অনুপমের। চোখ খুলে চারপাশটা দেখে বুঝে নিতে খানিকটা সময় লাগল তার। দেওয়াল ঘড়িতে তখন পাঁচটা পঁয়তাল্লিশ। প্রতিদিনই সকাল ছটায় এলার্ম দেওয়া থাকে। এলার্ম বাজতে এখনো পনেরো মিনিট বাকি। খানিকটা বিরক্তই হলেন তিনি। যে শব্দে তার ঘুম ভেঙেছিল সে শব্দটা এখন আর শোনা যাচ্ছে না। কিন্তু তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না যে এত জোরে কানের কাছে কিসের শব্দ হল! যাই হোক আর আড়ামোড়া ভেঙে বিছানায় উঠে বসে মোবাইলটা নিয়ে এলার্ম অফ করে দিলেন।

গন্ধ বিচার

টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশনের বাইরে মৈনাকের ঘটনা প্রমাণ করে যে শুধু ভাষা দিয়ে নয়, সংস্কৃতি বা চেহারাকেও এই বিভাজনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে, অতএব এটি একটি ত্রিমুখী আক্রমণ, যাতে সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাঙালীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকিয়ে দেওয়া যায় !

অগ্নিগর্ভ নেপাল কোন পথে? একটি প্রাথমিক আলোচনা

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সামগ্রিকভাবে রাজনৈতিক ব্যবস্থার উপর বীতশ্রদ্ধ হয়েই রাজতন্ত্র ফেরত চাইছেন নেপালবাসীরা। ২০০৮ সালে এ দেশে প্রথম নির্বাচন হওয়ার পর একটি সরকারও পূর্ণ মেয়াদ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। গত ১৭ বছরে এক ডজনের বেশি প্রধানমন্ত্রী বসেছেন নেপালের শীর্ষপদে। নড়বড়ে সরকারগুলি নীতিপঙ্গুতে ভোগে, উন্নয়নের কাজে এগোয় না, বেকারত্ব ঘোচে না, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে, ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে সাধারণ মানুষের দুর্দশা। সেই জায়গা থেকেই কি আজকে নেপালের এই পরিস্থিতি?

আরও পুরানো লেখাগুলি

মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলার রায় ও ভারতীয় বিচারব্যবস্থার বর্তমান প্রবণতা

সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্ট উমর খালিদ, শার্জিল ইমাম সহ ৬ জনের জামিন নামঞ্জুর করেছে। বিনা বিচারে তাঁরা এখন জেলেই থাকবেন। এর কিছুদিন আগে মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও হিন্দু চরমপন্থী রাজনৈতিক নেতারা "প্রমাণের অভাবে" মুক্তি পেয়ে গেছেন। এই দুটি ঘটনা দেখিয়ে দেয়, ভারতীয় বিচারব্যবস্থার দৈন্যতা। বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা, রাজনৈতিক প্রভাব, তদন্তকারী সংস্থার পক্ষপাতিত্ব এবং আইনি বৈষম্য—এই সবকিছু মিলে আইনের শাসনের মূল ভিত্তিকেই দুর্বল করে দিচ্ছে।

জাভেদ আখতারের অনুষ্ঠান বাতিল : আখেরে দক্ষিণপন্থী শক্তিগুলোরই লাভ

জাভেদ আখতার স্বঘোষিত নাস্তিক। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আক্রমণাত্মক বক্তব্য রাখার জন্য একাধিকবার তিনি সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তার ব্যক্তিগত মতামত ধর্মপালনকারী মুসলমানদের কাছে আপত্তিকরও বটে! এ'কথা সত্য। আর এতেই মৌলবাদীদের আপত্তি। সে আপত্তি থাকতেই পারে। তবে তার জন্য একটা সরকারি প্রতিষ্ঠান নিজেদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করবে কেন?

আখ্যান

জাভেদ আখতারের অনুষ্ঠান বাতিল : আখেরে দক্ষিণপন্থী শক্তিগুলোরই লাভ

জাভেদ আখতার স্বঘোষিত নাস্তিক। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আক্রমণাত্মক বক্তব্য রাখার জন্য একাধিকবার তিনি সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তার ব্যক্তিগত মতামত ধর্মপালনকারী মুসলমানদের কাছে আপত্তিকরও বটে! এ'কথা সত্য। আর এতেই মৌলবাদীদের আপত্তি। সে আপত্তি থাকতেই পারে। তবে তার জন্য একটা সরকারি প্রতিষ্ঠান নিজেদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করবে কেন?

মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলার রায় ও ভারতীয় বিচারব্যবস্থার বর্তমান প্রবণতা

সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্ট উমর খালিদ, শার্জিল ইমাম সহ ৬ জনের জামিন নামঞ্জুর করেছে। বিনা বিচারে তাঁরা এখন জেলেই থাকবেন। এর কিছুদিন আগে মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও হিন্দু চরমপন্থী রাজনৈতিক নেতারা "প্রমাণের অভাবে" মুক্তি পেয়ে গেছেন। এই দুটি ঘটনা দেখিয়ে দেয়, ভারতীয় বিচারব্যবস্থার দৈন্যতা। বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা, রাজনৈতিক প্রভাব, তদন্তকারী সংস্থার পক্ষপাতিত্ব এবং আইনি বৈষম্য—এই সবকিছু মিলে আইনের শাসনের মূল ভিত্তিকেই দুর্বল করে দিচ্ছে।

তামাকু সেবনের উপকারিতা

গ্লাভস ঢাকা তর্জনী দীপনের গালের ভেতরের দাগটার উপর বোলাতে বোলাতে অঙ্কোলোজিস্ট জিজ্ঞেস করলেন, " এই দাগটার কথা বলছেন ? " ব্যাদিত মুখগহবরে কথা বলা সম্ভব না, তাছাড়া ডাক্তারবাবু ঠিক কোথায় আঙ্গুল বোলাচ্ছেন সেটা দীপনের দৃষ্টিগোচর নয়, তবে গত পনেরো দিন রোজ আধঘন্টা ধরে আয়নাতে ওই দাগটিই খুঁটিয়ে লক্ষ্য করে করে দাগটির অবস্থান সম্পর্কে একটা ধারণা জন্মেই গেছে, তাই দীপন আন্দাজে বুঝলো অঙ্কলোজিস্ট ঠিক জায়গাতেই আঙ্গুল বোলাচ্ছেন।

বাড়ির বয়স্ক মানুষদের কথা কে ভাবে?

সন্তানরা সবাই কি কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন বলে পরিবার তথা সমাজের উদ্বৃত্ত এই শ্রেণির মানুষেরা এখন অসহায়। লক্ষ্য করে দেখবেন এই ধারণাটিকে খুব সচেতনভাবে প্রচার করা হচ্ছে। এটি সাধারণত ‘শিক্ষিত’ শহুরে শ্রেণির সন্তানদের ফন্দি। গ্রাম উজাড় করে আমাদের পরিযায়ী শ্রমিকেরা ছড়িয়ে আছেন রাজ্য দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। তাঁরাও তো ‘কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন’- তারা এমন ফন্দি আঁটছেন?

শিক্ষক দিবসের ‘অস্মিতা’

দেশ ও রাজ্যে দুর্নীতি এখন প্রাতিষ্ঠানিকতার মেডেল গলায় ঝুলিয়েছে। কিন্তু যে ছেলে বা মেয়েটি নিজের মেধাকে পুঁজি করে দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে গেছে শিক্ষক হয়ে স্টাফরুম আলো করার, তাদের জন্যে ‘এক হাজার ভাগের এক ভাগ গাফিলতি’র সুপ্রিম নিদান কি পারবে রবীন্দ্রনাথের কবিতা গলায় মালা করে পরে জনসমক্ষে দাঁড়িয়ে বলতে, “অন্যায় যে করে,আর অন্যায় যে সহে/ তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।”

ইউজিসি-র সাম্প্রতিক নির্দেশনা —- আলো থেকে অন্ধকারে গমন

বিজেপি/আরএসএসের প্রচারযন্ত্র, বিশেষ করে মূলধারার গণমাধ্যমকে দখলে নিয়ে এসে তাতে লাগাতার প্রচার, ইতিমধ্যেই সাভারকারের তত্ত্বায়নকে জনমানসে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। ভারতে কারা থাকবে বা ভারত দেশটা কার? —- এর উত্তরে সাভারকারের পরিষ্কার অভিমত ছিল যে, যাদের পিতৃভূমি এবং পূণ্যভূমি ভারত তারাই ভারতের অধিবাসী, তারাই ভারতীয়। খেয়াল করলে দেখা যাবে বর্তমানে নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিকত্বের ধারণা নিয়ে সারা ভারতে যে বিতর্ক চলছে তাতে বিজেপি ঘুরিয়ে সাভারকারের বক্তব্যকেই প্রতিধ্বনিত করে চলেছে, তাই সিলেবাসে সাভারকার থাকলে, তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশী।