একশ বছরেরও অধিক সময় পার ক’রে কত নদীর কত জলহাওয়ায় ঘৃণার রক্তগঙ্গা এই দেশে বয়ে গেল, কিন্তু দ্বেষের রং ফিকে হ’ল না। শুধু নামের জামা বদল হয়েছে। জয় মা দুর্গা আজ জয় শ্রীরাম হয়েছে। ঘৃণা-হিংসার নির্মম-ক্রুর চোরাবালিতে আমরা ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছি। ধর্মপরিচয় জেনে হত্যা করাকে আমরা আলবাৎ নিন্দা করব, কিন্তু তার সঙ্গে এইটাও কি ভাবব না, সেই সমীকরণের বিষে আমরা আমাদের সহ-নাগরিকদের কাঠগড়ায় তুলব কেন?
কুন্তী নারী হলেও যুদ্ধবিরোধী ছিলেন না। বরং বিদুলার আখ্যান বলে চেয়েছেন যুদ্ধকে, চেয়েছেন পাণ্ডবেরা নিশ্চিত করুক পাণ্ডুর উত্তরাধিকার, নিঃসপত্ন রাজ্যলাভ করে। দ্রৌপদী নিমেষের জন্যও ভোলেননি তাঁর লজ্জার মুহূর্তকে। ভোলেননি প্রতিশোধকে। অথচ এক অর্জুনে আসক্ত হয়েও পঞ্চ ভ্রাতার বধূ হবার দ্বিচারিতা তাঁকে কখনো অস্বস্তিতে ফেলেনি। যেন সেই-ই স্বাভাবিক। আসুন একটু মহাভারত পড়া যাক, আসুন একটু তলিয়ে ভাবা যাক।
জুলাই ২০১৮ সালে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) উপাচার্যের গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার জন্য ৪৮ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ ধরানো হয়েছিল। তাঁদের অনেকেরই অবসরের পর পেনশন আটকে দেওয়া হয় – যা শিক্ষকদের ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতায় একটি স্পষ্ট বাধা।
ঔপনিবেশিক পর্বে ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধী ও দলিত জাগরনের যে আন্দোলন শুরু হয়, তা সনাতন ধর্মের চিরন্তন অস্তিত্ব ও তাত্ত্বিক কাঠামোকে উন্মোচিত করে। এক্ষেত্রে উত্তর ভারতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জ্যোতিবা ফুলের সত্যশোধক সমাজ এবং বি আর আম্বেদকরের ' অ্যানিহিলেশন অব কাস্ট ' মুভমেন্ট।এই আন্দোলন শুদ্র ও দলিতদের নতুন, আধুনিক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সচেতন করে। তারা সনাতন ধর্মের ইতিহাসকে আতস কাঁচের তলায় ফেলে।
আলাউদ্দীন বলল, মিনিট পনেরোর মধ্যেই এসে যাবে। চোখের সামনে বেশ কিছু দূর পর্যন্ত হালকা আলো লেগে থাকা জল। ঢেউয়ে ঢেউয়ে আলো আর অন্ধকারের নড়ে ওঠা। তা অবশ্য অল্প দূর পর্যন্তই। এরপর শুধু অন্ধকারই। আলাউদ্দীনের কথায় যেহেতু ওপার থেকেই আসবে কোনও নৌকা তাই কোনও এক ওপার অনুমানে থাকে।
সেকুলার শব্দটা আজকাল গালাগালির চেহারা পেয়েছে নানা ধর্মের ধর্মান্ধদের কাছে। যদিও তাদের বেশীরভাগ দরিদ্র, হতদরিদ্র, মধ্যবিত্ত - যে, যে কোনো সময় সব হারিয়ে নিম্নবিত্ত হয়ে যাবে; এদের কাছে সেকুলারিজমকে গুছিয়ে বেচে দেওয়া হয়েছে গালাগালি বলে এবং তারা হাতে ইন্টারনেট পেয়ে, মুহুর্মূহু বর্ষণ করে চলেছে এই গালাগালি। সামনাসামনিও বলছে, এর কারণ কী, উদ্দেশ্যই বা কী ?
১৮৮৬ সালের শিকাগোর হে মার্কেট স্কোয়ার থেকে যে আওয়াজ উঠেছিল, সেই আওয়াজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের আওয়াজ। ৮ ঘণ্টা কাজ, সম্মানজনক মজুরি, ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম এবং ৮ ঘণ্টা বিনোদনের ন্যায্য দাবিতে হাজারে হাজারে শ্রমিকরা জড়ো হয়েছিল হে মার্কেট স্কোয়ারে। আজকে যখন দেখা যায়, গিগ শ্রমিকরা ছুটে চলেছেন, আমার আপনার প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র পৌঁছে দিতে তখন এই দিনটা নিয়ে আবার ভাবতে হয়। আজকের দিনে একটি অন্যরকম আখ্যান থাকলো।
গ্রিনল্যান্ডের খনিজ ভান্ডার দখলের বাসনা এবং গভীর সমুদ্র খননে গতি বাড়াতে ট্রাম্পের নির্দেশ: প্রকৃতি পরিবেশের বিপর্যয়কে চরম থেকে চরমতম করবে। ট্রাম্পের নয়া নয়া নীতির বিরুদ্ধে আমারিকাবাসীর ক্ষোভ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ আন্দোলনও আসবে আলোচনার বৃত্তে।
"বাংলায় রিলিজিয়ন এসেছে বাইরে থেকে। বৌদ্ধ, জৈন, ব্রাহ্মণ্য, ইসলাম, খ্রীষ্টান। সবকটি ধর্ম চরিত্রে রেজিমেন্টাল বা নিয়ন্ত্রণভিত্তিক। সবকটিই পরবর্তীকালে দ্বিধা ত্রিধা বিভক্ত হয়েছে। একসঙ্গে মিলেমিশে চলতে পারেনি। এই সমস্ত ধর্মই চরিত্রে অসহিষ্ণু। বাংলা এদের সকলকে জায়গা দিয়েছে কারণ বাংলার লোকায়ত আচার বা দর্শন প্রবলভাবে পরমত সহিষ্ণু। কিন্তু এই সমস্ত ধর্মগুলো এসে এখানে সমুদ্রের গভীরে নামতে পারেনি। উপরে ভাসমান পরশ্রমজীবি একদল মানুষের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করেছে মাত্র।" ছোটলোক ভদ্রলোক - বাংলাকথা বইটি পড়ে দেখলেন আজমল হুসেন।
বিসর্জনের পরের পরের দিন পাঁচটি খড়ের নৌকো লেগেছে বাগবাজার ঘাটে। সুন্দরবন থেকে আসা খড়ের নৌকো। পাঁচটি নৌকো মানে ৯০ কাহন খড়। ষোলো মণে এক কাহন, বাণ্ডিলের হিসেব করলে ৮১ বাণ্ডিল খড়। যদিও চৈত্র-বৈশাখ অর্থাৎ সরস্বতীপুজোর পর থেকেই কাঠামোর কাজের তোড়জোড় শুরু, ওই সময় থেকেই বড় বড় কালীঠাকুর, দুর্গাঠাকুর গড়বার কাজে হাত লাগানোর কথা, কিন্তু এইবার আশ্বিনে দুর্গাপুজোর পরেই দু-আড়াই সপ্তাহের মধ্যে কার্তিকের কালীপুজো, তারপরে চৈত্রের বাসন্তী, অন্নপূর্ণার সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়াতে, অসময়েই খড়ের নৌকো আনাতে হল।
বিসর্জনের পরের পরের দিন পাঁচটি খড়ের নৌকো লেগেছে বাগবাজার ঘাটে। সুন্দরবন থেকে আসা খড়ের নৌকো। পাঁচটি নৌকো মানে ৯০ কাহন খড়। ষোলো মণে এক কাহন, বাণ্ডিলের হিসেব করলে ৮১ বাণ্ডিল খড়। যদিও চৈত্র-বৈশাখ অর্থাৎ সরস্বতীপুজোর পর থেকেই কাঠামোর কাজের তোড়জোড় শুরু, ওই সময় থেকেই বড় বড় কালীঠাকুর, দুর্গাঠাকুর গড়বার কাজে হাত লাগানোর কথা, কিন্তু এইবার আশ্বিনে দুর্গাপুজোর পরেই দু-আড়াই সপ্তাহের মধ্যে কার্তিকের কালীপুজো, তারপরে চৈত্রের বাসন্তী, অন্নপূর্ণার সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়াতে, অসময়েই খড়ের নৌকো আনাতে হল।
"বাংলায় রিলিজিয়ন এসেছে বাইরে থেকে। বৌদ্ধ, জৈন, ব্রাহ্মণ্য, ইসলাম, খ্রীষ্টান। সবকটি ধর্ম চরিত্রে রেজিমেন্টাল বা নিয়ন্ত্রণভিত্তিক। সবকটিই পরবর্তীকালে দ্বিধা ত্রিধা বিভক্ত হয়েছে। একসঙ্গে মিলেমিশে চলতে পারেনি। এই সমস্ত ধর্মই চরিত্রে অসহিষ্ণু। বাংলা এদের সকলকে জায়গা দিয়েছে কারণ বাংলার লোকায়ত আচার বা দর্শন প্রবলভাবে পরমত সহিষ্ণু। কিন্তু এই সমস্ত ধর্মগুলো এসে এখানে সমুদ্রের গভীরে নামতে পারেনি। উপরে ভাসমান পরশ্রমজীবি একদল মানুষের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করেছে মাত্র।" ছোটলোক ভদ্রলোক - বাংলাকথা বইটি পড়ে দেখলেন আজমল হুসেন।
বাংলার সমাজের সর্বস্তরে আরএসএস অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। বেছে বেছে মুসলমান প্রধান জেলাগুলিতে ক্রমাগত নাশকতার ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে, যেই জেলাগুলিতে নিম্নবর্ণের হিন্দু মুসলামান সমন্বয়ের সাথে শতকের পর শতক বাস করেছেন। আরএসএসের রাজনীতি এটাই, ক্রমাগত মুসলিমবিদ্বেষ চালিয়ে যাওয়া। এবং আরএসএসের বাড়বাড়ন্তের দায় মূলতঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দল তৃণমূলের –এই দলের নৈতিকতা আরএসএসের অনুসরণেই চলে। এর বিরুদ্ধে একদিকে যেমন বুনিয়াদি লড়াই জরুরি তেমন পাল্টা ভাষ্য তৈরী করার ও প্রয়োজন আছে।
আমাদের দেশে নানা ভাবে চলছে সাধারণ মানুষের সামাজিক-অর্থনৈতিক লুঠতরাজ। আমি যা বলব আমিই গুরু। আর আমি সংখ্যাগুরুর গুরু…অতএব, সংখ্যালঘুদের মারতে হবে, ধরতে হবে, তাদের জমিজমা নিতে হবে, দরকার হলে আইন সংশোধন করতে হবে, তাদের আওতার জমির দিকে হাত বাড়াতে হবে, যাতে তাদের শক্তি কমে যায়। আর হ্যাঁ … এমনভাবে এই কাজ করতে হবে - যাতে তাদের বোঝানো যায় যে তোমরা বাপু নাদান লোক, আমরা যখন আছি তোমাদের আর চিন্তা কী?
পরিতোষের সাইকেল সারানোর দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল শুভম। কিন্তু দোকানদারকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। কয়েকদিন ধরেই সাইকেলটা নানাবিধ সমস্যায় ভোগাচ্ছে... প্রতিদিনই কিছু না কিছু খারাপ হয়েই যাচ্ছে তাই যেভাবেই হোক সাইকেলটা ভাল করেই সারাতে হবে... কিন্তু পরিদা যে কোথায় গেল! শুভমকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সাইকেলের দোকানের পাশের ঠেক থেকে একটা ছেলে বলল- পরিদাকে খুঁজছ তো? শুভম সম্মতি জানাতেই সে বলে উঠল- পরিদা আমলাদহি বাজারে গেছে।
আধুনিক যুগে পেট্রোলিয়াম হল জ্বালানি ও শক্তির অন্যতম উৎস। পরিবেশ আন্দোলনকারী দের অনেকেই মনে করেন, পেট্রোলিয়াম বেশি কার্বন নিঃসরণ করে। সেই বিচারে বায়োফুয়েল ইথানল অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব। এই ধারণা বেশ কিছু পরিবেশ আন্দোলনকারীর ভাবনায় ঢুকে গেছে। ফিদেল কাস্ত্রো এই ধারণার ভ্রান্তি গুলি দূর করতে বেশ কিছু নামিদামি অধ্যাপক গবেষকদের লেখা পত্র ও মতামতের সাহায্য নিয়েছিলেন। লক্ষ্যণীয় পরিবেশ কর্মীর চিন্তা ও দাবি গুলি কিভাবে পুঁজিবাদের স্বার্থের সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে যায়।