সরকার অপুষ্টি রুখতে বিনা পয়সায় সুরক্ষিত চাল বিতরণের সময়সীমা বাড়িয়েছেন। তখনই প্রশ্ন উঠেছে এই চাল পুষ্টি বাড়ানোর তুলনায় বেশ কিছু মানুষের শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়িয়ে তাঁদের বিপদে ফেলবে। এইরকম এক চাপান উতরের মধ্যে গত ১০ অক্টোবর, ২০২৪ সালের ‘গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স বা বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের’ রিপোর্ট জনসমক্ষে এসেছে। ক্ষুধা সূচকের মান অনুযায়ী বিশ্বের ১২৭ টি দেশের যে তালিকা তৈরি হয়েছে তাতে ভারতের নাম রয়েছে ১০৫ নম্বরে। অর্থাৎ ভারত তালিকার একেবারে শেষের দিকে।
∆ শোনো একটু সুকুমার রায়কে মনে করাই। অবাক জলপান এর সেই পথিকের কথা মনে আছে? "নাঃ, একটু জল না পেলে আর চলছে না।" কিন্তু জল চায় কার কাছে ? দুপুর রোদে দরজা এঁটে সব ঘুম দিচ্ছে। অতঃপর ‒ ঐ একজন আসছে ! ওকেই জিজ্ঞেস করা যাক । ..... মশাই, একটু জল পাই কোথায় বলতে পারেন ?
ইতিহাস বিকৃত করবার পেছনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের মূল লক্ষ্য ছিল, ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্রাজ্য বিস্তার ও ভারতীয় রাজনীতির সুদূর ভবিষ্যতেও আধিপত্য কায়েম রাখবার স্বপ্ন। ফলে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সহ আরও নানা সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি দেশ ভাগ করে স-শরীরে ভারত ছেড়ে গেলেও, সংবিধানে তথাকথিত স্বাধীন ভারতবাসী পেল ধর্মকে রাষ্ট্রের প্রসারিত ও নিয়ন্ত্রিত করবার ক্ষমতা। ধর্মকে ধরে রাজনৈতিক দলগুলির রাজনীতি করবার আইনি জোর।
ঘুম থেকে উঠে ওর বেশ একটা সুখবোধ হল। আশ্চর্যের বিষয় সচরাচর সকালে ওর তেমনটা মনে হয় না। খবরের কাগজের অফিসে বেশ রাত অবধি কাজ করে ও বাড়ি ফেরে। তাই ঘুম থেকে ওঠার পর মাথাটা খুব ধরে থাকে। অনেক সময় রাতভর পার্টিতে বেশ করে পান-ভোজন ও হুল্লোড় সেরে ফেরার একটা রেশ থেকে যায়।
১৭ দিনে পড়া জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন আন্দোলন উঠল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক যে বিরাট কিছু ফলদায়ী হয়েছে এমনটা যদিও বলা যাচ্ছে না একেবারেই। জুনিয়র ডাক্তারদের মিটিং ফেরত প্রতিনিধিরা নিজেরাই বলেছেন, “সরকারপক্ষের শরীরি-ভাষা সুবিধের ছিল না”! কিন্তু তাহলেও এই পর্যায়ে এই আন্দোলনকে আপাতত তুলে নেওয়া ছাড়া আন্দোলনকারীদের কাছে অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না বলেই মনে হয়।
ভয়ঙ্কর পরিবেশ বিপর্যয়কারী ও আদিবাসীদের যাপনের ওপর চরম আঘাত এই হাঁসদেও জঙ্গলে আদানি গ্রুপের কয়লাখনি । সর্বস্তরের জনগণের বিক্ষোভ প্রতিবাদ প্রতিরোধ সত্বেও হাঁসদেও অরণ্যে পারসা কোল ব্লকে কয়লা খনির জমি অধিগ্রহণের জন্য জঙ্গল সাফ করতে বদ্ধপরিকর আদানি গোষ্ঠী। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে কেন হাঁসদেও জঙ্গলকে বাঁচাতেই হবে?
আমাদের এই পশ্চিমবাংলায় এখন আক্রমণের ভাষা হিসেবে বিভিন্নমাত্রিক গালাগালি তথা অপ কিম্বা অবিহিত ভাষার ফুলঝুরি ছুটছে। কারও মতের বিপক্ষতা করলেই ধেয়ে আসছে আক্রমণের ভাষা হিসেবে অশ্লীল, অশিষ্ট, অবিহিত কিম্বা অপশব্দের তুফান। এই ভাষিক আক্রমণ অনেক সময় থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুগলবন্দিত্বে ধেয়ে আসছে।
কিছুদিন আগে তিলোত্তমার বিচারের শুনানি চলাকালীন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত হাসপাতালে সুরক্ষার জন্য সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে কটাক্ষ করেছিল। গতকাল দিল্লি এইমসে এক বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীর হাতে ঐ হাসপাতালের এক মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। যাঁরা সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়ে এতো নাক কুঁচকেছিলেন, তাঁদের এবার কী বক্তব্য হবে?
১. মেয়েটা মাঝে মাঝে বিলাসের পান-দোকানের আয়নায় দেখে নিচ্ছিল নিজেকে। সেই মেয়েটা, প্যান্ডালের গায়ে হেলান দিয়ে যে মেয়ে ভিজছিল বৃষ্টিতে। মেয়ে নয়। মেয়েছেলে। প্যান্ডেলটা মেটে রঙের। বিষ্ণুপুর ঘরানার মন্দির যেন। নকল মন্দিরের নকল দেওয়ালে মেয়েগুলো বেঁকেচুরে দাঁড়িয়ে। সেই মেয়েটার মতো। মন্দিরের গায়েও কি তবে মেয়েছেলে?
বাঁদিকের গাল আর কান পেঁচিয়ে পেল্লাই চড়টা পড়তেই মাথা কেমন ঝাঁ-ঝাঁ করে ওঠে প্রত্যুষার। চারপাশ চক্রাকারে ঘোরে। ভিক্টর আগে তবলা বাজাত, খুব খরখরে ও শক্ত করতল। ও কেবল গালে মারে না, গাল-কান নিয়ে মারে। ডানহাতের পুরো পাঞ্জা যখন আছড়ে পড়ে প্রত্যুষার বাঁ গাল আর কানের মধ্যবর্তী পেলবতায়, কয়েক মুহূর্তের জন্য সাড় চলে যায় তার।
বাঁদিকের গাল আর কান পেঁচিয়ে পেল্লাই চড়টা পড়তেই মাথা কেমন ঝাঁ-ঝাঁ করে ওঠে প্রত্যুষার। চারপাশ চক্রাকারে ঘোরে। ভিক্টর আগে তবলা বাজাত, খুব খরখরে ও শক্ত করতল। ও কেবল গালে মারে না, গাল-কান নিয়ে মারে। ডানহাতের পুরো পাঞ্জা যখন আছড়ে পড়ে প্রত্যুষার বাঁ গাল আর কানের মধ্যবর্তী পেলবতায়, কয়েক মুহূর্তের জন্য সাড় চলে যায় তার।
১. মেয়েটা মাঝে মাঝে বিলাসের পান-দোকানের আয়নায় দেখে নিচ্ছিল নিজেকে। সেই মেয়েটা, প্যান্ডালের গায়ে হেলান দিয়ে যে মেয়ে ভিজছিল বৃষ্টিতে। মেয়ে নয়। মেয়েছেলে। প্যান্ডেলটা মেটে রঙের। বিষ্ণুপুর ঘরানার মন্দির যেন। নকল মন্দিরের নকল দেওয়ালে মেয়েগুলো বেঁকেচুরে দাঁড়িয়ে। সেই মেয়েটার মতো। মন্দিরের গায়েও কি তবে মেয়েছেলে?
আসগার পাড়ার ছেলে। যদিও তার সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল পাড়ার বাইরে - লাস্ট ট্রেনে বাড়ি ফেরার সময়, অকস্মাৎ। সেদিন অফিস কেটে বিকেলের দিকে কফি হাউস গিয়েছিলাম। সুব্রত বলল, কাফকা এসেছে।
ওই ভিডিও-টা তুমি মুছে ফেল। বলেছি তো মুছে দেব। কবে? আর কয়েকটা দিন যাক, তারপর তোমার সামনেই না হয় মুছে দেব।
ঠোটকাট্টি ভিখ-সফর সেরে বাড়ি ফিরছে। তার কাঁখে, মাথায় ভিক্ষায় পাওয়া ধান-চাল বাদেও আরও কতকিছু বাঁধা বোঁচকাবুঁচকি। সঙ্গী খেপি বিটি সজ্জা, তার মাথাতেও বেশ বড়সড় একটা বোঁচকা। খোদার রহমতে অন্যান্য বারের তুলনায় এবারেও তার সফর-আমদানি বেশ ভালোই হয়েছে। এবারে সে কারও দূয়ার থেকে খালি হাতে ফেরেনি। স্বভাবতই মা-বিটি দু’জনেই মনের খুশিতে বাড়ির পথ ধরে হাঁটছে। রাস্তার দুপাশের কোনও কিছুতে তাদের আগ্রহ নেই। কোনোকিছুতে কৌতূহল নেই। মাথায় বোঁচকার সঙ্গে শুধু একটা চিন্তা আছে, কতক্ষণে বাড়ি পৌঁছাবে! কেননা, সূর্য ডুবে গিয়ে আঁধার ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে দুনিয়াজাহানে।
বীরেন্দ্রমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহেন্দ্রনাথ সান্ন্যালের দুই ছেলেমেয়েই পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিল, তবে তারা দুজনেই ডাক্তার হবে একথা হয়তো তারা নিজেরা বা বাড়ির লোক কেউই জানতো না। সমাজবন্ধু হতে হলে, হয় পিতার মতো শিক্ষক নাহলে ঠাকুরদার মতো ডাক্তার, এটা খানিকটা হলেও কিভাবে যেন গেঁথে গেছিল মাথায়।