পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

পুরানো লেখাগুলি

দ্বন্দ্ব সমাস

ছ বছর আগে (২০১৯ সালে) পুলওয়ামার ঘটনায় দেশপ্রেম দেখাতে গিয়ে চটাদার কাছে যে ঝাড় খেয়েছিলাম সেটা ভুলিনি। এবার স্বর্গলোকের সুরোধামে হাল্লা সন্ত্রাসীদের হাতে ২২ এপ্রিল পর্যটক গণনিধনের ঘটনার ভয়াবহতা নৃশংসতা এবং ইসলামি জঙ্গিবাদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে তারুকাকার দোকানের সামনের জটলায় যতই সার্জারি মাইক্রোসার্জারি হতে থাকুক না কেন, আমি আর সহজে মুখ খুলিনি।

কুয়াশা ভালো লাগছে না

সফেদ বা সাদা রং এর কুয়াশা । একটা মৃদু ঘন কুয়াশা। তার ভেতর থেকেই ওরা বলছিল একটা নেকড়ে দুম করে বেরিয়ে আসতে পারে। যে কোনও মুহূর্তে বেরিয়ে আসতে পারে বিউটিফুল কুয়াশার ভেতর লুকিয়ে থাকা এক পিস সলিড হিংস্র নেকড়ে।

আরএসএসের ঘৃণা ছড়ানোর কারণ ও পদ্ধতি

বিজেপি আরএসএস বিশ্বাস করে এই নীতিতে: hate unites, hate divides"; অর্থাৎ যত ঘৃণা ছড়াবে, তত এক বৃহৎ সম্প্রদায়কে খুশি করতে পারবে, সমধিক ভাবে অল্প কয়েকজনকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে। Hate propaganda is not legitimate speech. It is a form of harassment and discrimination...Free speech cannot degraded to the extent that it becomes a license to harm.

তরুণ প্রজন্মের সবুজের জন্য লড়াই

হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ৪০০ একর জঙ্গলকে উড়িয়ে দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের সবুজের জন্য লড়াই। প্রকৃতির অপার ছন্দে গড়ে ওঠা একমাত্র ‘ন্যাচারাল কার্বন-সিঙ্ক’ উদ্ভিদকূল অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইডকে নিজের শরীরে শুষে নিয়ে পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্য করে রাখে। সেইসব প্রাকৃতিক জঙ্গলকে উচ্ছেদের এক করুণ গল্প শোনাবো পাঠকদের। শোনাবো সবুজ বাঁচানোর অভিযানের কথাও।

জাতক্রোধ ও উল্লাস : অন্য এক স্বপ্নসম্ভব কাব্যের ভূমিকা

শহিদ স্তম্ভের মাথায় একটি ফুলকপি রেখে অমিত শাহ তাচ্ছিল্যসূচক হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন, আর শহিদ স্তম্ভের গায়ে লেখা : ‘নকশালিজম রেস্ট ইন পিস’! ছাব্বিশের মার্চের মধ্যে এভাবেই তিনি নাকি দেশকে মাওবাদী তথা নকশালমুক্ত করবেন! ১৯৮৯ সালে ভাগলপুরে গণহত্যার পর সেখানে অসংখ্য মুসলিমকে ফুলকপির ক্ষেতে পুতে দেওয়া হয়েছিল। এখানেও সেই ভাগলপুরের অনুসূত্রে নকশালপন্থী তথা নকশালপন্থীদের কবরে পাঠাতে তিনি যে বদ্ধপরিকর তারই বার্তা এখানে এই ব্যঙ্গচিত্রের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রক্তঘিলু মজ্জায় বাজে অশনি নিনাদ

ভোরের বাসে ওরা কোলকাতা ছাড়বে। কিছু দরকারি ওষুধ আনতে বেরিয়ে গেছে তানভির। যাওয়ার আগে অবশ্য বলেছিল, চল্‌ মুন্নি, ঘুরে আসি। আবার কবে আসি কে জানে।

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই না প্রধানমন্ত্রীর বিয়ের বরযাত্রী ?

ভাবতে অবাক লাগে, বিরোধীরা মোদীর ত্রাতা হতে উঠে পড়ে লাগলেন! আসলে মোদী-শাহর বিজেপি বহুদিন ধরে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে, তারাই একমাত্র দেশপ্রেমী, তারাই প্রকৃত জাতীয়তাবাদী দল। এমনকী, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরোধা জাতীয় কংগ্রেসের ক্রেডেনসিয়ালকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আর তৃণমূল, ডিএমকে-র মতো দলকে তো বিজেপি মূলত সংখ্যালঘু মুসলিম তোষণের অভিযোগে বার বার কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। তাহলে তাদেরকে বরযাত্রী হিসেবে বিদেশে পাঠানোর উদ্দেশ্য কী?

উত্তরহীন প্রশ্ন মুণ্ডহীন ধরের মত, গণতন্ত্রে চলে তা?

যে কোনও সমস্যার মোকাবিলা গণরাজনীতি দিয়ে করতে হবে। কারণ অস্ত্র শুধু অস্ত্র আর হত্যাকে ডেকে আনে। যে দোষে আমি অন্যকে দায়ী করব, তা আমি নিজে করতে পারি না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার যেটুকু আছে তাকে শক্তিশালী করতে হবে লড়ে, পথের লড়াই থেকে আইনী লড়াই নানাকিছু দিয়ে। বাড়াতে হবে তাকে। আবার শাসকদের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধেও দাঁড়াতে হবে। তারা মানবাধিকারকে যতই সঙ্কুচিত করার চেষ্টা করুক না কেন, একই পদ্ধতিতে তাদের সঙ্গেও লড়তে হবে।

আরও পুরানো লেখাগুলি

পদ্মার ইলিশের ঘ্রাণ

— বউমা আজকেও কচুর ঘ্যাট! রান্নাঘর থেকে ঝাঁঝালো কণ্ঠ তীর বেগে ধেয়ে আসে, হ্যাঁ, আপনার তো মাংস পোলাও চায়। তা ছেলেকে বলবেন বাজার থেকে মাছ মাংস নিয়ে আসতে।

ভারত পাক যুদ্ধ : স্মৃতি হাতড়ে

ভারত পাকিস্তানের আগের যুদ্ধে কিছু গুজব ছড়িয়েছিল মুখে মুখে। কারণ গুজব ছড়ানোর মাধ্যম গুলো এত সক্রিয় ছিল না সেযুগে। অনেক বেশি ম্যানুয়াল। মুর্শিদাবাদে কোন পাকিস্তানী গুপ্তচর কে ধরা হয়েছে। কেউ বলবে, চন্দননগর উর্দি বাজারে, আবার কেউ বলবে হাওড়ার ঘুসুরিতে। এমনও শুনেছি, কে নাকি নৌকোয় উঠে গঙ্গা থেকে হাওড়া ব্রিজের ছবি ক্যামেরাবন্দি করছিল। ভাবটা যেন হাওড়ার ব্রিজের ছবিটা দুষ্প্রাপ্য এবং গোপন। এবারের যুদ্ধতে এই গুজব ছড়িয়েছে মূলত গণমাধ্যমগুলো। সেই নিয়েও গণমাধ্যমগুলো লজ্জা পেয়েছে বলে জানা নেই। সমস্ত বিদেশী গণমাধ্যমও এখন এই নিয়ে কথা বলছে, তাতেও কি লজ্জা হবে এঁদের?

আখ্যান

ভারত পাক যুদ্ধ : স্মৃতি হাতড়ে

ভারত পাকিস্তানের আগের যুদ্ধে কিছু গুজব ছড়িয়েছিল মুখে মুখে। কারণ গুজব ছড়ানোর মাধ্যম গুলো এত সক্রিয় ছিল না সেযুগে। অনেক বেশি ম্যানুয়াল। মুর্শিদাবাদে কোন পাকিস্তানী গুপ্তচর কে ধরা হয়েছে। কেউ বলবে, চন্দননগর উর্দি বাজারে, আবার কেউ বলবে হাওড়ার ঘুসুরিতে। এমনও শুনেছি, কে নাকি নৌকোয় উঠে গঙ্গা থেকে হাওড়া ব্রিজের ছবি ক্যামেরাবন্দি করছিল। ভাবটা যেন হাওড়ার ব্রিজের ছবিটা দুষ্প্রাপ্য এবং গোপন। এবারের যুদ্ধতে এই গুজব ছড়িয়েছে মূলত গণমাধ্যমগুলো। সেই নিয়েও গণমাধ্যমগুলো লজ্জা পেয়েছে বলে জানা নেই। সমস্ত বিদেশী গণমাধ্যমও এখন এই নিয়ে কথা বলছে, তাতেও কি লজ্জা হবে এঁদের?

পদ্মার ইলিশের ঘ্রাণ

— বউমা আজকেও কচুর ঘ্যাট! রান্নাঘর থেকে ঝাঁঝালো কণ্ঠ তীর বেগে ধেয়ে আসে, হ্যাঁ, আপনার তো মাংস পোলাও চায়। তা ছেলেকে বলবেন বাজার থেকে মাছ মাংস নিয়ে আসতে।

শ্রমদাসত্বের শ্রমকোড

৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সালে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাওয়ার পরে, ‘ওয়েজ অন কোড-২০১৯ এই মজুরি বিলটি কার্যকর হয়েছে এই বিলটি প্রচলিত ৪ টি আইন যথা – (i) ন্যূনতম মজুরী আইন-১৯৪৮ (the Minimum Wages Act, 1948), (ii) মজুরী প্রদান আইন-১৯৩৬ (the Payment of Wages Act, 1936), (iii) বোনাস প্রদান আইন-১৯৬৫ (the Payment of Bonus Act, 1965), এবং (iv) সম মজুরী আইন-১৯৭৬ (the Equal Remuneration Act, 1976) একত্রিত করে একটি কোডে পরিণত করা হয়েছে। আগামী ২০শে মে এই শ্রমকোডের বিরুদ্ধে, শ্রমিকদের যে ধর্মঘট হওয়ার কথা ছিল,তা পিছিয়েছে কিন্তু দাবী একই রয়ে গেছে।

মননের আঁতুড়ঘরে এয়ার স্ট্রাইক

অপপ্রচারের এই অন্ধকার সময়ে হামেশাই আঘাত হানা হয় দায়িত্বশীল সংবাদ সংস্থার উপরে। পাশাপাশি বাড়তে থাকে মোসাহেব মিডিয়ার রমরমা। কিন্তু মানুষকে যুদ্ধোন্মাদনায় যদি প্ররোচিত করা যায়, তবে বিজ্ঞানভিত্তিকভাবেই তাকে অ্যান্টি ভেনম দেওয়াও সম্ভবপর। সেক্ষেত্রে সুচিন্তক নাগরিকের উপর আরও বেশি করে দায়িত্ব বর্তায় গড্ডলিকায় গা না ভাসিয়ে সুবিবেচকের দৃষ্টিভঙ্গিতে সমাজকে দিশা দেখানোর।

নিন্দাবাদের বৃন্দাবনে ভেবেছিলেম গাইবো না গান

নতুন দার্শনিক ভিত্তির সমর্থনে একটা নতুন আখ্যান রচনা করা হলো। বোধ করি গালফ ওয়ারেই প্রথম এটা চালু হয়। যুদ্ধের সরাসরি সম্প্রচার এবং সেই সম্প্রচারের সম্পূর্ণ বরাত দেওয়া হল একমাত্র সিএনএনকে। তারা যুদ্ধকে দূরদর্শনের পর্দায় ধারাবাহিক সম্প্রচারের মাধ্যমে পিক্টোরিয়াল করে তুললো। যেন গালফ ওয়ার একটি হলিউডি সিনেমা বই অন্য কিছু নয়। যুদ্ধের সরাসরি সম্প্রচার একটা বিনোদনের বিষয়ে পরিণত হলো।

ভিকি জানেই না সে মার্জারিন খাচ্ছে !

— না স্যার ! এটা আমার উইকলি নিউজ পেপার । — অত টেকনিক্যাল পয়েন্ট ধরেন কেন ? বেশ ! উইকলি বুলেটিনই বলুন না হয় ! — সে কি কথা ! রেজিস্ট্রেশন আছে বই কি ! না হলে করপোরেশনের অ্যাড ছাপছি কিসের জোরে ?