পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh
ব্যঙ্গচিত্র

পুরানো লেখাগুলি

বিপজ্জনক ভাষায় সিনেমা : দ্বিতীয় পর্ব

বাঙালি সাহিত্যিক সাক্ষাৎকারেই হাসান আজিজুল হক দেশবিভাগের স্মৃতিকে তাঁর মনের স্থায়ী ‘ক্ষত’ বলেছিলেন, ‘এ ক্ষতটি বোধ হয় চিরকাল আমার মধ্যে রয়ে যাবে।’ এই ক্ষত থেকে যাঁদের ক্রমাগত রক্ত চুঁইয়ে পড়ে, একমাত্র তাঁদের পক্ষেই বাস্তুত্যাগীর যন্ত্রণা বোঝা সম্ভবপর। বিপজ্জনক ভাষায় সিনেমা, সাহিত্য, রাজনীতিতে দেশত্যাগী উদ্বাস্তুদের বয়ান ও কুর্দিশ সিনেমা নিয়ে আজ দ্বিতীয় পর্বের লেখা।

একটি বিপজ্জনক ভাষা - প্রথম পর্ব

অভিবাসী জীবনই মানব সমাজযাত্রায় অন্যতম বিবরণ। প্রারম্ভিক মানুষের বসতিসমূহ জলের উৎসের কাছাকাছি ছিল এবং জীবনধারণের উপর ভিত্তি করে বেঁচে থাকার জন্য তারা অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করতো, যেমন - শিকারের জন্য পশু, এরপরে শস্য চাষের জন্য জমি এবং গবাদি পশু। সিনেমা,সাহিত্য, রাজনীতিতে অভিবাসী বয়ান ও কুর্দিশ সিনেমার প্রভাব: মানো খলিল

ট্রাম্প পুনর্নির্বাচিত : ভারত মার্কিন সম্পর্ক কোনপথে

আজ যারা মোদী ট্রাম্প জুটি নিয়ে আদিখ্যেতা করছেন,তাঁদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সম্পর্কের এই ইতিকথা জেনে রাখা দরকার। ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের জন্য যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হাতে পাবেন সেখানে ঊর্ধ্বমুখী বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, অভিবাসন সমস্যা, পরতি অর্থনীতি এবং সর্বোপরি ইজরায়েল ইরান, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বড় ছায়া ফেলেছে।

এক নিঃসঙ্গ পথিক ঃ মৌলানা আজাদ

নারী শিক্ষার বিষয়ে আরও কথা বলতে গিয়ে আজাদ যুক্তি দেন যে, বিষয়টি দুটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ ; প্রথমত, স্বাধীন ভারতের নাগরিক হিসেবে শিক্ষা নারীর জন্মগত অধিকার । দ্বিতীয়ত, তাদের শিক্ষা তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষিত করার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তুলবে।তাঁর ধারণা ছিল - শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিগুলি বাস্তবায়িত হলে দেশের আপামর মানুষের জন্য সার্বিক শিক্ষার দরজা প্রসারিত হবে। আজকে তাঁর জন্মতিথি। তিনি আজও বেঁচে আছেন অগণিত ভারতবাসীর মননে।

তিন প্রধানের শাসকদলের পক্ষে নির্বাচনী ময়দানে অংশগ্রহণ : বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত

সদ্য ঘোষিত ভারতীয় দলের প্রথম একাদশে একজন বাঙালির প্রতিনিধিত্ব নেই। বঙ্গ ফুটবলের এই লজ্জার সময়ে আইএফএ কর্তা তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষে ময়দানে নামাকে একমাত্র কাজ বলে মনে করছেন, এ দিনও আজ বঙ্গভাষীদের দেখতে হচ্ছে! গল্পটা অবশ্য এখানেই শেষ হচ্ছে না।পরিকল্পনা মাফিক এর পর নামানো হচ্ছে প্রাক্তন খেলোয়াড়দের একটা অংশকে। এই নির্লজ্জ স্তাবকতার পক্ষে যে যুক্তি সমূহ হাজির করা হচ্ছে তা শুনলে ঘোড়াতেও হাসবে।

যোগ বিয়োগ

'' ঋভু… এক চড় দেব। এই ছোট ভুলটা হয় কী করে? সামান্য ফোকাস নেই তোর? সেই থেকে বসে প্রতিটা অঙ্ক ধরে ধরে করাচ্ছি...'' বলতেই ছেলে গোসা হয়ে চলে গেল পাশের ঘরে। বাবার কাছে। বাবার পেটে মুখ গুঁজে কিছুক্ষণ কাঁদবে। বাবা আদর করবে। তবে ফেরত আসবে আমার কাছে।

নজরবন্দীর গালভরা নাম- 'সুরক্ষা'

সুরক্ষা দেওয়ার নামে এই পুলিশ, সেনাবাহিনী, তদন্তকারী দলের অফিসারেরাই কীভাবে নজরদারি চালায়। উঁকি দেয় ঘর-সংসারে ভেতরে, কথার এদিক-ওদিক হলে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায় চাষের জিনিস, হাঁস, মুরগি, ছাগল সমেত নানা জিনিসপত্র প্রভৃতি। আর নয়তো বন্দী করে নিয়ে যায় আস্ত মানুষগুলিকেই। তাঁরা বেশ বোঝে নজরবন্দীর গালভরা নাম, 'সুরক্ষা', আর আমরা তা সমর্থন করি।

হিজাব বনাম স্বাধীনতা

হিজাব শুধু পিতৃতন্ত্রের প্রতীক নয়। হিজাব এখানে নারীর 'পছন্দ' নয়। বরং সর্বত্র তার অধীনতার প্রতীক। ইরানে নারী এমনিও অনেক অনেক ক্ষেত্রে বঞ্চিত। যেমন, অপরাধী চিহ্নিত হবার বয়সের ক্ষেত্রে, সম্পত্তির অধিকারের ক্ষেত্রে, বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে, বিবাহবিচ্ছিন্ন হলে সন্তানের দেখভালের অধিকার লাভ করার ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য। অর্থাৎ হিজাব এখানে ঐসলামিক ইরানী রাষ্ট্রের সর্বগ্রাসী পিতৃতন্ত্রের অস্ত্র, সেজন্যই আবার প্রতিবাদীদের নিশানায়।

আরও পুরানো লেখাগুলি

বিশ্ব ক্ষুধা সূচক -২০২৪: ভারতে ক্ষুধার তীব্রতা উদ্বেগজনক

সরকার অপুষ্টি রুখতে বিনা পয়সায় সুরক্ষিত চাল বিতরণের সময়সীমা বাড়িয়েছেন। তখনই প্রশ্ন উঠেছে এই চাল পুষ্টি বাড়ানোর তুলনায় বেশ কিছু মানুষের শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়িয়ে তাঁদের বিপদে ফেলবে। এইরকম এক চাপান উতরের মধ্যে গত ১০ অক্টোবর, ২০২৪ সালের ‘গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স বা বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের’ রিপোর্ট জনসমক্ষে এসেছে। ক্ষুধা সূচকের মান অনুযায়ী বিশ্বের ১২৭ টি দেশের যে তালিকা তৈরি হয়েছে তাতে ভারতের নাম রয়েছে ১০৫ নম্বরে। অর্থাৎ ভারত তালিকার একেবারে শেষের দিকে।

মায়া-মৃগাঙ্ক

ভাবনা আসে, বদিরুলের মনে ভাবনা আসে। সারাদিনের দাপট দেখানোর ব্যস্ততা ফেলে রেখে, ফাঁক পেলে সুবলদাকে তোষামোদ করার মুহুর্তগুলো পেরিয়ে, বাড়ির নিত্য ঘ্যানঘ্যানানি সরিয়ে, লাস্যময়ীর সুকোমল মুখটিকে বুকে রেখে ভাবনা আসে।

আখ্যান

মায়া-মৃগাঙ্ক

ভাবনা আসে, বদিরুলের মনে ভাবনা আসে। সারাদিনের দাপট দেখানোর ব্যস্ততা ফেলে রেখে, ফাঁক পেলে সুবলদাকে তোষামোদ করার মুহুর্তগুলো পেরিয়ে, বাড়ির নিত্য ঘ্যানঘ্যানানি সরিয়ে, লাস্যময়ীর সুকোমল মুখটিকে বুকে রেখে ভাবনা আসে।

বিশ্ব ক্ষুধা সূচক -২০২৪: ভারতে ক্ষুধার তীব্রতা উদ্বেগজনক

সরকার অপুষ্টি রুখতে বিনা পয়সায় সুরক্ষিত চাল বিতরণের সময়সীমা বাড়িয়েছেন। তখনই প্রশ্ন উঠেছে এই চাল পুষ্টি বাড়ানোর তুলনায় বেশ কিছু মানুষের শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়িয়ে তাঁদের বিপদে ফেলবে। এইরকম এক চাপান উতরের মধ্যে গত ১০ অক্টোবর, ২০২৪ সালের ‘গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স বা বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের’ রিপোর্ট জনসমক্ষে এসেছে। ক্ষুধা সূচকের মান অনুযায়ী বিশ্বের ১২৭ টি দেশের যে তালিকা তৈরি হয়েছে তাতে ভারতের নাম রয়েছে ১০৫ নম্বরে। অর্থাৎ ভারত তালিকার একেবারে শেষের দিকে।

মশাই, একটু নিউজ শুনবো কোথায়

∆ শোনো একটু সুকুমার রায়কে মনে করাই। অবাক জলপান এর সেই পথিকের কথা মনে আছে? "নাঃ, একটু জল না পেলে আর চলছে না।" কিন্তু জল চায় কার কাছে ? দুপুর রোদে দরজা এঁটে সব ঘুম দিচ্ছে। অতঃপর ‒ ঐ একজন আসছে ! ওকেই জিজ্ঞেস করা যাক । ..... মশাই, একটু জল পাই কোথায় বলতে পারেন ?

ইতিহাসের আলোকে: আগে ধর্মীয় হিংসা, পিছে রাজনীতি

ইতিহাস বিকৃত করবার পেছনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের মূল লক্ষ্য ছিল, ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্রাজ্য বিস্তার ও ভারতীয় রাজনীতির সুদূর ভবিষ্যতেও আধিপত্য কায়েম রাখবার স্বপ্ন। ফলে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সহ আরও নানা সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি দেশ ভাগ করে স-শরীরে ভারত ছেড়ে গেলেও, সংবিধানে তথাকথিত স্বাধীন ভারতবাসী পেল ধর্মকে রাষ্ট্রের প্রসারিত ও নিয়ন্ত্রিত করবার ক্ষমতা। ধর্মকে ধরে রাজনৈতিক দলগুলির রাজনীতি করবার আইনি জোর।

সুখী মানুষ

ঘুম থেকে উঠে ওর বেশ একটা সুখবোধ হল। আশ্চর্যের বিষয় সচরাচর সকালে ওর তেমনটা মনে হয় না। খবরের কাগজের অফিসে বেশ রাত অবধি কাজ করে ও বাড়ি ফেরে। তাই ঘুম থেকে ওঠার পর মাথাটা খুব ধরে থাকে। অনেক সময় রাতভর পার্টিতে বেশ করে পান-ভোজন ও হুল্লোড় সেরে ফেরার একটা রেশ থেকে যায়।

সুবিধাবাদের পথে তিলোত্তমাদের বিচার পাবার লড়াই সম্ভব নয়

১৭ দিনে পড়া জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন আন্দোলন উঠল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক যে বিরাট কিছু ফলদায়ী হয়েছে এমনটা যদিও বলা যাচ্ছে না একেবারেই। জুনিয়র ডাক্তারদের মিটিং ফেরত প্রতিনিধিরা নিজেরাই বলেছেন, “সরকারপক্ষের শরীরি-ভাষা সুবিধের ছিল না”! কিন্তু তাহলেও এই পর্যায়ে এই আন্দোলনকে আপাতত তুলে নেওয়া ছাড়া আন্দোলনকারীদের কাছে অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না বলেই মনে হয়।