বাংলা ভাষায় পর্তুগীজ, ওলন্দাজ, ফরাসী কিম্বা ইংরেজি প্রভাবের বিরুদ্ধে কিন্তু এঁদের বিপুল বিরোধ ছিলো না। ছিল সেই বাংলার বিরুদ্ধে যাতে তথাকথিত মুসলমানী মিশেল আছে। অর্থাৎ একথা বলা চলে যে আসলে মুসলমানী বাংলা ও হিন্দু বাংলা তৈরীর কাজটাতে এঁরা অগ্রপথিক। তারপরে নানা ঘাট দিয়ে নানা জল বয়েছে। এই বাংলায় আজও বাংলা সরকারি কাজের মাধ্যম হতে পারেনি পরের পর শাসকদের অনিচ্ছায় এবং ব্যর্থতায়।
ফ্যাসিবাদ হল, “সমস্ত ধরণের বিমূর্ত, যুক্তিবাদী, অ-ধর্মীয়, এমনকি অস্বাভাবিক উদারতাবাদ ও যথেষ্ট মাত্রার বস্তুবাদী ফ্রি-ম্যাসন সৌভ্রাতৃত্ব ইত্যাদির সমস্ত ধরণ ও ব্যবস্থার” ঘোষিত জাতশত্রু। এখানে আমরা দেখি যে ছদ্মবেশ ছিন্ন করে আধ্যাত্মিকতাবাদ তার আসল চেহারায় প্রকাশিত হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাসিবাদ রিলিজিয়াস; তাই সে যুক্তিবাদকে বিপদ হিসেবে আর উদারতাবাদকে অনাসৃষ্টি বলে ঘোষণা করে। এই কথাগুলো লিখেছিলেন এম এন রায় ১৯৩৮ সালে। আজকের সময়ে ২০২৫ সালে ঐ লেখার অনুবাদ করলেন মলয় তেওয়ারি। আজ পঞ্চম অধ্যায়- ন্যাশনাল সোশ্যালিজম।
খেয়াল করার বিষয়, যে সকল বাঙালি মুসলিম পশ্চিমবঙ্গ থেকে গিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে, তাদের নিশানা করা হচ্ছে না। বিজেপির উদ্দেশ্য বাংলাদেশী মুসলমান অনুপ্রবেশ বিষয়টাকে শক্ত জমিতে দাঁড় করানো, এই নিয়ে জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি করা। সেজন্য আন্তঃরাজ্য শ্রম-পরিযান সাপেক্ষে বহিরাগত ও অসংগঠিত মুসলিম শ্রমিকরা তাদের সফ্ট টার্গেট। সেই জায়গায় তার বিরোধিতায় ‘বাঙালি মুসলমান’ থেকে ‘মুসলমান’ উহ্য থেকে গেলে সমস্যাটি ভিন্ন মাত্রা পেয়ে যায়— তা জাতিগত সঙ্কটে প্রতিস্থাপিত হয়ে যায়, যার সমসাময়িক প্রাসঙ্গিকতা শূন্য।
[এক] "স্যার, রেট চার্টটা একটু দেখাবেন?" চমকে উঠলেন এমএলএ ফাল্গুনী চ্যাটার্জী। তাঁর টেবিলের সামনে ঝুঁকে আছে একটা লোক। পরনে একটা মলিন ফতুয়া আর ধুতি। কালোকুলো চেহারা, উস্কোখুস্কো চুল। প্রায় গলবস্ত্র হয়ে লোকটা বলল, "বলছি স্যার, রেট চার্টটা একটু দেখতে পারি?"
ধ্বংসস্তূপের উপর বিশ্বাস গড়ে উঠতে পারে না: হিমালয়কে ধ্বংস করছে গণপর্যটন : প্রসঙ্গ উত্তরকাশীর ভয়াবহ বিপর্যয়। মূল প্রবন্ধ লিখেছেন বিদ্যাভূষণ রাওয়াত যিনি নিজে একজন সমাজকর্মী এবং বর্তমানে হিমালয় ও ভারতের সমতল অঞ্চলে গঙ্গা সহ এর উপনদী গুলোর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছেন। এই প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছিল গত ৬ই আগস্ট, ২০২৫ ই নিউজরুম ওয়েব পত্রিকায়। সহমনের জন্য অনুবাদ করেছেন সন্তোষ সেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞা বলছে―ধর্ষণ হল যৌন হিংসার এমন একটি রূপ– যা সম্মতির বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপন, জোরজবরদস্তি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সংঘটিত হয়। ২০১২ সালের নির্ভয়া আন্দোলনের পর আইনে কিছু ইতিবাচক বদল দেখা গেছে। তবুও এখনো আমাদের চারপাশে ধর্ষণের ঘটনা ব্যাপক হারে ঘটছে।
শাক্ত কবি রামপ্রসাদ সেন একটি পদে লিখছেন – “দূরে জল, কাছে পানি, মাকে ডাকি তবু মেলে না মানি।” রামপ্রসাদ কিন্তু জল ও পানি দু’টো শব্দই ব্যবহার করছেন, এবং সেখানে কোনও বিভেদ নেই। তাহলে যাঁরা আজ বিভেদ করতে চাইছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য কী? আসলে ভাষার ভিতরেও সূক্ষ অপরায়ন ঘটাতে চাইছে বিজেপি-আরএসএস।
ধর্ষণ বা যৌন প্রতিহিংসা আজ কেবল আইনি সমস্যা নয়, এটি একটি সামাজিক অসুখ এবং এর পেছনে রয়েছে মনস্তাত্ত্বিক, জৈবিক, সাংস্কৃতিক ও অবস্থানগত কারণ। নারীকে যে পুরুষ ধর্ষণ করে এর মধ্যে সবচেয়ে প্রধান হল, ধর্ষক তাঁর প্রথম জীবনে কীভাবে বেড়ে উঠেছিল, সেই ইতিহাস– যে সময় যৌনতা, বিশেষ করে নারীপ্রকৃতি সম্পর্কে তাঁর মধ্যে জন্ম হয়েছে একটি বিকৃত ধারণা।
ফ্যাসিবাদ হল, “সমস্ত ধরণের বিমূর্ত, যুক্তিবাদী, অ-ধর্মীয়, এমনকি অস্বাভাবিক উদারতাবাদ ও যথেষ্ট মাত্রার বস্তুবাদী ফ্রি-ম্যাসন সৌভ্রাতৃত্ব ইত্যাদির সমস্ত ধরণ ও ব্যবস্থার” ঘোষিত জাতশত্রু। এখানে আমরা দেখি যে ছদ্মবেশ ছিন্ন করে আধ্যাত্মিকতাবাদ তার আসল চেহারায় প্রকাশিত হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাসিবাদ রিলিজিয়াস; তাই সে যুক্তিবাদকে বিপদ হিসেবে আর উদারতাবাদকে অনাসৃষ্টি বলে ঘোষণা করে। এই কথাগুলো লিখেছিলেন এম এন রায় ১৯৩৮ সালে। আজকের সময়ে ২০২৫ সালে ঐ লেখার অনুবাদ করলেন মলয় তেওয়ারি। আজ চতুর্থ অধ্যায়- স্বস্তিকা চিহ্নের ছায়ায়। আগের প্রতিটি লেখার সূত্র এই লেখার প্রথমেই থাকলো।
উঠানে পাতা খাটিয়া। খাটিয়ার পাশে ঘুরপাক খাচ্ছে দুটো পায়রা । সাদা। উঠানের একপাশে দুটো জোড়া চুলো। চুলোতে মাটির হাঁড়ি বসানো। মাটির ঢাকনা দেওয়া। ভাতের ফ্যান গড়িয়ে আসছে একটু একটু। চুলার পাশে কাঠের পিড়ি। উঠান জুড়ে বাচ্চাদের কি যেন খুঁটে খুঁটে খাওয়াচ্ছে মুরগির মা।
উঠানে পাতা খাটিয়া। খাটিয়ার পাশে ঘুরপাক খাচ্ছে দুটো পায়রা । সাদা। উঠানের একপাশে দুটো জোড়া চুলো। চুলোতে মাটির হাঁড়ি বসানো। মাটির ঢাকনা দেওয়া। ভাতের ফ্যান গড়িয়ে আসছে একটু একটু। চুলার পাশে কাঠের পিড়ি। উঠান জুড়ে বাচ্চাদের কি যেন খুঁটে খুঁটে খাওয়াচ্ছে মুরগির মা।
ফ্যাসিবাদ হল, “সমস্ত ধরণের বিমূর্ত, যুক্তিবাদী, অ-ধর্মীয়, এমনকি অস্বাভাবিক উদারতাবাদ ও যথেষ্ট মাত্রার বস্তুবাদী ফ্রি-ম্যাসন সৌভ্রাতৃত্ব ইত্যাদির সমস্ত ধরণ ও ব্যবস্থার” ঘোষিত জাতশত্রু। এখানে আমরা দেখি যে ছদ্মবেশ ছিন্ন করে আধ্যাত্মিকতাবাদ তার আসল চেহারায় প্রকাশিত হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাসিবাদ রিলিজিয়াস; তাই সে যুক্তিবাদকে বিপদ হিসেবে আর উদারতাবাদকে অনাসৃষ্টি বলে ঘোষণা করে। এই কথাগুলো লিখেছিলেন এম এন রায় ১৯৩৮ সালে। আজকের সময়ে ২০২৫ সালে ঐ লেখার অনুবাদ করলেন মলয় তেওয়ারি। আজ চতুর্থ অধ্যায়- স্বস্তিকা চিহ্নের ছায়ায়। আগের প্রতিটি লেখার সূত্র এই লেখার প্রথমেই থাকলো।
আমরা আমাদের সারাদিনে খুব বেশী হলে ৫০ জন লোকের সাথে কথা বলি। সেখানে একজন বা দুজন বাংলাদেশির সাথে আমাদের কথা হলে আমরা ভাবি দেশ বোধ হয় অনুপ্রবেশকারীতে ভরে গেল। কিন্তু এইসব ভাবনা আসলে বিশ্বাস যার পেছনে কোন তথ্যের ভিত্তি নেই। বিশ্বাস নিয়ে আসলে আমার সত্যি কিছু বলার নেই। বিশ্বাস মানুষ অনেক কিছুতে করে – ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী, চাঁদের চরকা কাটা বুড়ি। এসবের স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নেই, এটুকুই বলা যায়। অনুপ্রবেশ ও একটি বিশ্বাস কিন্তু ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্থা ঘোর বাস্তব।
১৯৬৭ সালের নকশালবাড়ি আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠা সিপিআই (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) প্রথম কমিউনিস্ট পার্টি যে সব জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার, ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার অধিকার, স্বীকার করে। সিপিআই (এম-এল) প্রথম কমিউনিস্ট পার্টি যার কর্মসূচী হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার, হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। আর এর মূল কান্ডারি হন বাংলার কৃষক নেতা চারু মজুমদার। আজকের পরিস্থিতে দাঁড়িয়ে মেকি বাম-হিন্দুত্ব চক্রান্ত ব্যর্থ করা একটি গুরু দায়িত্ব। বঙ্গীয় জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সাম্য আন্দোলন গড়ে তোলাও আজ জরুরী।
সংবিধানের ১০ নম্বর ধারাটির উল্লেখ করা প্রয়োজন। সেই ধারায় বলা আছে, একজন ব্যক্তি যদি একবার নাগরিক হয়ে থাকেন, তাহলে সেই নাগরিকত্ব এইরকম সরল কোনও পদ্ধতিতে চলে যেতে পারে না। এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল, তার সঙ্গে নাগরিকত্ব আইন, ফরেনার্স অ্যাক্ট এবং আরো বেশ কিছু প্রক্রিয়া যুক্ত। নির্বাচন কমিশন চাইলেই তা করতে পারে না, অথচ সমস্ত সংবিধানকে উলঙ্ঘন করে নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরীর নামে স্বেচ্ছাতারিতা চালাচ্ছে।
বাবার যেমনটা নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলা, চায়ের জল বসিয়েছ ? জল ফুটতে আর কত দেরী ? বেলা, শুনতে পাচ্ছ? সেই কখন থেকে হা-পিত্যেশ করে বসে আছি, এক কাপ চায়ের জন্য।