পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh
ব্যঙ্গচিত্র

পুরানো লেখাগুলি

ইংরাজি বর্ষবরণ : মৃত্যু হল অসংখ্য পাখির, বাড়ল বাতাসের দূষণ, ধ্বস্ত হল মনুষ্যত্ব

পাখি, কুকুর, বেড়ালের মত না-মানুষদের কথা ভাবার কি কেউ নেই? বাতাসের দূষণ কতটা বাড়ল, তার হিসেবই বা কে রাখবে? টাকার গর্বে বলিয়ান মানুষ,প্রকৃতি বিচ্ছিন্ন মানুষ, স্বার্থপর ভোগী জনতা আর কতটা প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে এনে ক্ষান্ত হবে? নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারার মহাযজ্ঞ চলতেই থাকবে? সব শেষ হয়ে যাওয়ার আগে আমরা থামব না, এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই চলেছে বোধহয় উন্নত মস্তিষ্কের দাবিদার মহান মানুষ। এরপরেও হাসি মুখ করে সবাইকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানো সম্ভব ?

সিপিআই-এর জন্মদিন প্রসঙ্গে - কিছু সোজা কথা, স্পষ্ট কথা

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির জন্মসাল নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। অবিভক্ত পার্টি ১৯২৫ সালের ২৬ ডিসেম্বরকে প্রতিষ্ঠার দিন হিসেবে চিহ্নিত করলেও, পরবর্তী সময়ে দলীয় বিভাজন এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্ব সেই মতকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ১৯২০ সালের তাশখন্দের উদ্যোগ, কিংবা ১৯৩৪ সালের মিরাট-পরবর্তী সময়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মত দানা বাঁধতে থাকে। সোভিয়েত ইউনিয়নও একাধিকবার অবস্থান বদল করে। অবশেষে, ১৯৫৯ সালে, অবিভক্ত সিপিআই ১৯২৫ সালকেই স্বীকৃতি দেয়। লেখকের মতে, ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের প্রয়োজন বিতর্ক পরিহার করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তোলা।

আমাদেরই তো ব্যবস্থা, পাশ-ফেল না থাকলে আমাদের চলবে কীভাবে!

কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির নিয়ম অনুযায়ী, আবার পাশ ফেল প্রথা চালু করতে পারে আমাদের রাজ্য সরকারও। পাশ প্রথা তো ছিলই, ফেল করানোর নিয়ম যদি আবার ফিরিয়ে আনা হয়, তাহলে কী হবে? রাষ্ট্রীয় স্তরে অবিশ্যি এই পাশ-ফেল ফিরিয়ে আনার কারণটা কিঞ্চিৎ ভিন্ন। আমাদের সমাজ এবং সমাজানুসারী রাষ্ট্র আজও মারাত্মক রকম ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক, মনুবাদী। প্রমাণ হিসেবে হয়তো এইটুকু বলাই যথেষ্ট হবে যে রাজনীতি থেকে শুরু করে কর্পোরেট সেক্টর – সর্বত্রই আজও সেই তথাকথিত উচ্চবর্ণীয়দেরই আধিপত্য।

কবরের তিনটি প্রশ্ন

ধরা যাক, একই গ্রামের দুটি লোক। নাম নজরুল শাহ ওরফে নজু আর আসাদ মিঞা। ধরা যাক, লোকদুটি একই দিনে মারা গেল। গাঁয়ের গোরস্থানে দাফন হল। পাশাপাশি।

শ্যাম বেনেগাল - সিনেমাটিক লেন্সে সাবল্টার্ন ক্লাস: একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ

শ্যাম বেনেগাল র‍্যাডিকাল ধারণায় ভারসাম্যপূর্ণ সিনেমা তৈরি করে সিনেমাটিক প্রাকৃতিক দৃশ্যকে সমৃদ্ধ করার সাহস দেখিয়েছেন। উদাহরণ স্বরূপ, তাঁর 'অঙ্কুর' সিনেমায় তিনি এই ধারণা দিতে সফল হয়েছিলেন, যে, সামন্তবাদী ধারণার দ্বারা আধিপত্যশীল সমাজে ছক চালু করা অসম্ভব নয়। সিনেমাটি এমনই সফলভাবে চিত্রিত হয়েছে যে সাধারণ মানুষের মধ্যে জাগরণ একাই বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।

মানবতাও তো এক আত্মপরিচয়

একবার নয়, এই বাংলাদেশ বারবার ভারতের কেন্দ্রীয় শাসক কে ডিভিডেন্ড এনে দিয়েছে। ১৯৭১ সালে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচনী হাল যথেষ্ট বেসামাল ছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সেই নির্বাচনে ইন্দিরা গান্ধীর লক্ষ্মীপেঁচা হয়েছিল। আজও যখন কেন্দ্রের শাসক দল উড়িষ্যা জয় করেও সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভে ব্যর্থ হয়ে ২৪০ এ এসে থমকে দাঁড়িয়েছে। তার লক্ষ্য পশ্চিমবাংলার ৪২ টি আসন। আর এই আসন জুটিয়ে দিতে পারে সেই লক্ষ্মীপেঁচা বাংলাদেশ।

বামপন্থার পুনর্জাগরণ আদৌ সম্ভব কি?

বহুকাল হল নকশালপন্থীদের ছন্নছাড়া দশা এবং সিপিএমেরও এই বারবার হার —- কোনোভাবেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সুবিধা করতে না পারা আজকাল প্রায় সকল বামপন্থী মানুষের মধ্যেই এই প্রশ্নটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে, কখনও লুকিয়ে কখনও খোলামেলাভাবে, কখনও গোপনে কখনও প্রকাশ্যে সমানে আসছে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। প্রশ্নটি হল বামপন্থার পুনর্জীবন আদৌ কি সম্ভব?

সীমানা পেরিয়ে

নিজের দেশের হয়ে প্রতিবেশী দেশে গুপ্তচর বৃত্তির কাজে নিযুক্ত ছিল আরমান। মীর হায়দার নামে সে প্রতিবেশী দেশে নকল পরিচয় নিয়ে ছিল। যোগ দিয়েছিল সেই দেশের সেনাবাহিনীতে। তার কাজ ছিল নিজের দেশের স্বার্থে প্রতিবেশী দেশের সুরক্ষা বিভাগের গোপন নথি হস্তগত করা। দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক এখন ভয়ঙ্কর রকমের খারাপ।

আরও পুরানো লেখাগুলি

বাম ঐক্য: সম্ভাবনা ও সমস্যা

আমরা সমগ্র ভারতবর্ষের সাপেক্ষে এমন একটা রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন বিজেপি-র গণতন্ত্র বিধ্বংসী সার্বিক ফ্যাসিস্ত স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করে হিন্দুধর্মীয় মৌলবাদের ভয়ঙ্কর আগ্রাসী আক্রমণের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করাই সমস্ত বাম ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলির প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত।

ভারতে গণতন্ত্রের নামে যা চলছে, তা তো সংখ্যাগুরুবাদই

অনেকেই সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘুর সাম্প্রদায়িকতাকে এক করে দেখতে এবং দেখাতে চান, কিন্তু বিষয়টা কি এতোটাই সরল? যখন এই দেশে একজন মুসলমান মানুষকে নামাজ পড়ার জন্য, পুলিশের লাথি খেতে হয়, যখন এই দেশে প্রতিদিন একজন সংখ্যালঘু মুসলমানকে তাঁর নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হয়, যখন তাঁর ফ্রিজে কী খাবার আছে, তাঁর টিফিনবাক্সতে কী খাবার আছে, তা খুঁজে দেখা হয়, তখন সেটাই আসলে সংখ্যাগুরুবাদের সাম্প্রদায়িকতা।

আখ্যান

ভারতে গণতন্ত্রের নামে যা চলছে, তা তো সংখ্যাগুরুবাদই

অনেকেই সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘুর সাম্প্রদায়িকতাকে এক করে দেখতে এবং দেখাতে চান, কিন্তু বিষয়টা কি এতোটাই সরল? যখন এই দেশে একজন মুসলমান মানুষকে নামাজ পড়ার জন্য, পুলিশের লাথি খেতে হয়, যখন এই দেশে প্রতিদিন একজন সংখ্যালঘু মুসলমানকে তাঁর নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হয়, যখন তাঁর ফ্রিজে কী খাবার আছে, তাঁর টিফিনবাক্সতে কী খাবার আছে, তা খুঁজে দেখা হয়, তখন সেটাই আসলে সংখ্যাগুরুবাদের সাম্প্রদায়িকতা।

বাম ঐক্য: সম্ভাবনা ও সমস্যা

আমরা সমগ্র ভারতবর্ষের সাপেক্ষে এমন একটা রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন বিজেপি-র গণতন্ত্র বিধ্বংসী সার্বিক ফ্যাসিস্ত স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করে হিন্দুধর্মীয় মৌলবাদের ভয়ঙ্কর আগ্রাসী আক্রমণের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করাই সমস্ত বাম ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলির প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত।

বোবোর নামেই রোবো

সব গল্পই তো ভালোবাসার। বোবোকে বোঝাতে চাইছিলাম। বোবো বলল “তাই? আমিও ভালোবাসার গল্প ভালবাসি।”

ডুবন্ত মানুষ : যাকে ধরবে সেই ডুববে

বিগত লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের লিবারেশন সম্পর্কে অনেক বেশি ইতিবাচক মনোভাব দেখানো উচিত ছিল। পরিবর্তে তারা সাবেক গোঁড়ামি দেখিয়েছে। কমরেড দীপঙ্কর ভট্টাচার্যকে ডেঁপো বলতেও দ্বিধা করেনি। নকশাল পন্থা নৈব নৈব চ। বরং কংগ্রেসের হাত ধরা যায়। সেই সিপিএম যখন উপনির্বাচনের ছটি আসনে সমঝোতা করছে উদারভাবে, তখন সন্দেহ জাগা স্বাভাবিক। আশঙ্কা ছিল, সিপিএম নিজের মুখ রক্ষা করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত লিবারেশনের মুখ পোড়াবে না তো?

সংখ্যালঘু নিধনের কারণ ও ফলাফল

সম্প্রতি বাংলাদেশ কিংবা ভারত জুড়ে যে ধর্মীয় সংখ্যাগুরু রাজনীতি এবং সংখ্যালঘু নিধনের চিত্রগুলি উঠে আসছে তা শুধু 'এই সরকার' কিংবা 'ওই সরকারের' আমলেই ঘটছে এমনটা নয়, এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে এই দুই দেশের সমাজের ইতিহাস ও বর্তমানের কাঠামোগত শ্রেণীচরিত্রগুলো। ইতিহাসে এই দুই দেশেরই দেশীয় স্বাধীন(পুঁজি) বিকাশ নষ্ট করেছিল তথাকথিত সভ্য উন্নয়নশীল বিদেশী শক্তিগুলি, বিশেষত, ব্রিটিশশক্তি।

মহীয়সী রোকেয়া: বাঙালির জাতীয় শিক্ষক

মহীয়সী রোকেয়া দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন গোটা সমাজের বিকাশের প্রয়োজনে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা লাভ করা কত জরুরী৷ তিনি বলেছেন..."...প্রকৃত সুশিক্ষা চাই যাহাতে মস্তিষ্ক ও মন উন্নত হয়৷ আমরা উচ্চশিক্ষা প্রাপ্ত না হইলে সমাজও উন্নত হইবে না৷ যতদিন আমরা আধ‍্যাত্মিক জগতে পুরুষদের সমকক্ষ না হই, ততদিন পর্যন্ত উন্নতির আশা দুরাশা মাত্র৷ আজ বেগম রোকেয়ার মৃত্যুদিনে, তাঁকে নিয়েই এই আখ্যান।