ভয়ঙ্কর পরিবেশ বিপর্যয়কারী ও আদিবাসীদের যাপনের ওপর চরম আঘাত এই হাঁসদেও জঙ্গলে আদানি গ্রুপের কয়লাখনি । সর্বস্তরের জনগণের বিক্ষোভ প্রতিবাদ প্রতিরোধ সত্বেও হাঁসদেও অরণ্যে পারসা কোল ব্লকে কয়লা খনির জমি অধিগ্রহণের জন্য জঙ্গল সাফ করতে বদ্ধপরিকর আদানি গোষ্ঠী। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে কেন হাঁসদেও জঙ্গলকে বাঁচাতেই হবে?
আমাদের এই পশ্চিমবাংলায় এখন আক্রমণের ভাষা হিসেবে বিভিন্নমাত্রিক গালাগালি তথা অপ কিম্বা অবিহিত ভাষার ফুলঝুরি ছুটছে। কারও মতের বিপক্ষতা করলেই ধেয়ে আসছে আক্রমণের ভাষা হিসেবে অশ্লীল, অশিষ্ট, অবিহিত কিম্বা অপশব্দের তুফান। এই ভাষিক আক্রমণ অনেক সময় থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুগলবন্দিত্বে ধেয়ে আসছে।
কিছুদিন আগে তিলোত্তমার বিচারের শুনানি চলাকালীন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত হাসপাতালে সুরক্ষার জন্য সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে কটাক্ষ করেছিল। গতকাল দিল্লি এইমসে এক বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীর হাতে ঐ হাসপাতালের এক মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। যাঁরা সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়ে এতো নাক কুঁচকেছিলেন, তাঁদের এবার কী বক্তব্য হবে?
খবরটা শুনেই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। গন্তব্য চটাদার আশ্রম। আশ্রম মানে একটা পাতা হাফ পোল। দুদিকে পাঁচ সারি ইটের স্তুপের উপরে শোয়ানো। বসে চা খাওয়া যায়। চপ বা বেগুনি খেতেও অসুবিধা হয় না। আর পোলটা বিদ্যুৎ দপ্তরের বেহাত বা বেওয়ারিশ মাল বলে একবার ওর উপরে বসার জায়গা পেলে আড্ডা ছেড়ে ওঠার কোনো তাড়া থাকে না।
বাঁদিকের গাল আর কান পেঁচিয়ে পেল্লাই চড়টা পড়তেই মাথা কেমন ঝাঁ-ঝাঁ করে ওঠে প্রত্যুষার। চারপাশ চক্রাকারে ঘোরে। ভিক্টর আগে তবলা বাজাত, খুব খরখরে ও শক্ত করতল। ও কেবল গালে মারে না, গাল-কান নিয়ে মারে। ডানহাতের পুরো পাঞ্জা যখন আছড়ে পড়ে প্রত্যুষার বাঁ গাল আর কানের মধ্যবর্তী পেলবতায়, কয়েক মুহূর্তের জন্য সাড় চলে যায় তার।
১. মেয়েটা মাঝে মাঝে বিলাসের পান-দোকানের আয়নায় দেখে নিচ্ছিল নিজেকে। সেই মেয়েটা, প্যান্ডালের গায়ে হেলান দিয়ে যে মেয়ে ভিজছিল বৃষ্টিতে। মেয়ে নয়। মেয়েছেলে। প্যান্ডেলটা মেটে রঙের। বিষ্ণুপুর ঘরানার মন্দির যেন। নকল মন্দিরের নকল দেওয়ালে মেয়েগুলো বেঁকেচুরে দাঁড়িয়ে। সেই মেয়েটার মতো। মন্দিরের গায়েও কি তবে মেয়েছেলে?
আসগার পাড়ার ছেলে। যদিও তার সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল পাড়ার বাইরে - লাস্ট ট্রেনে বাড়ি ফেরার সময়, অকস্মাৎ। সেদিন অফিস কেটে বিকেলের দিকে কফি হাউস গিয়েছিলাম। সুব্রত বলল, কাফকা এসেছে।
ওই ভিডিও-টা তুমি মুছে ফেল। বলেছি তো মুছে দেব। কবে? আর কয়েকটা দিন যাক, তারপর তোমার সামনেই না হয় মুছে দেব।
আমার উদ্দেশ্য এটা প্রতিষ্ঠা করা নয় যে জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলনে স্বাস্থ্যপরিসেবা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত। কর্ম বিরতি করার উদ্দেশ্যই তো স্বাভাবিক অবস্থাকে ব্যাহত করা। বরং আমি এটা জানি যে জনসংখ্যার তুলনায় ডাক্তারবাবুর সংখ্যা হিসেব করলে ডাক্তারের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। সেই কারণেই তো মেডিকেল কলেজগুলিতে জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর এত কাজের চাপ। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ডাক্তারের এই বিপুল ঘাটতির সত্যটি জুনিয়র ডাক্তার দের কর্মবিরতি হাড়ে হাড়ে টের পাইয়ে দিলো।
বীরেন্দ্রমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহেন্দ্রনাথ সান্ন্যালের দুই ছেলেমেয়েই পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিল, তবে তারা দুজনেই ডাক্তার হবে একথা হয়তো তারা নিজেরা বা বাড়ির লোক কেউই জানতো না। সমাজবন্ধু হতে হলে, হয় পিতার মতো শিক্ষক নাহলে ঠাকুরদার মতো ডাক্তার, এটা খানিকটা হলেও কিভাবে যেন গেঁথে গেছিল মাথায়।
বীরেন্দ্রমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহেন্দ্রনাথ সান্ন্যালের দুই ছেলেমেয়েই পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিল, তবে তারা দুজনেই ডাক্তার হবে একথা হয়তো তারা নিজেরা বা বাড়ির লোক কেউই জানতো না। সমাজবন্ধু হতে হলে, হয় পিতার মতো শিক্ষক নাহলে ঠাকুরদার মতো ডাক্তার, এটা খানিকটা হলেও কিভাবে যেন গেঁথে গেছিল মাথায়।
আমার উদ্দেশ্য এটা প্রতিষ্ঠা করা নয় যে জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলনে স্বাস্থ্যপরিসেবা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত। কর্ম বিরতি করার উদ্দেশ্যই তো স্বাভাবিক অবস্থাকে ব্যাহত করা। বরং আমি এটা জানি যে জনসংখ্যার তুলনায় ডাক্তারবাবুর সংখ্যা হিসেব করলে ডাক্তারের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। সেই কারণেই তো মেডিকেল কলেজগুলিতে জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর এত কাজের চাপ। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ডাক্তারের এই বিপুল ঘাটতির সত্যটি জুনিয়র ডাক্তার দের কর্মবিরতি হাড়ে হাড়ে টের পাইয়ে দিলো।
উৎসবে ফেরার নিদান এসে গেছে। সিদ্ধান্তে হাতুড়িপেটা পড়তে না পড়তেই ম্যারাপ বাঁধা হচ্ছে শহর জুড়ে। বচ্ছরকার মতো আবারও বাঁশে-বাঁধা ফেস্টুনের বিজ্ঞাপনী ফ্লেক্সে মুখ ঢাকছে পথঘাট।আধখানা মন বলছে জমি ছাড়ব না, বাকি আধখানা বলছে রোশনাই দেখব না? এই যযৌ ন তস্থৌ-এর দাওয়াই দিয়েছেন মধ্যপন্থীরা, বিপ্লবের মধ্যে উৎসব অথবা উৎসবের মধ্যে বিপ্লবের ডাক উঠছে।
প্যালেস্টাইন ও লেবানন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমি দেশগুলো এক অমানবিক দ্বিচারিতায় লিপ্ত। একদিকে গাজা বা লেবাননে ইসরায়েলি সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করছে। অন্যদিকে ইসরায়েলকে অস্ত্র, বোমা, গোলাবারুদ সরবরাহ করছে, যা ব্যবহার করা হচ্ছে শিশু,নারী, পুরুষ নির্বিচারে হত্যা করতে। এই দ্বিচারিতায় এখন সামিল আমাদের দেশ ভারতও।
এই আন্দোলন একমুখী হয়ে ক্রমশ এক কানাগলির ভেতরে সেধিয়ে চলেছে। আরজি করের ন্যায়বিচার চাইতে চাইতে আমরা আরও চার দিকের যে সব ঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবি তুলতে হবে, ভুলে যাচ্ছি। হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের বীভৎসায় আমরা মুখ বন্ধ রাখতে পেরেছি। হঠাৎ আমরা যেন “আমরা-বাঙালি” হয়ে উঠেছি। আমরা রাষ্ট্রকে চিহ্নিত করে আন্দোলনের মহড়া দিচ্ছি ভেবে শরীর গরম করছি, আর আসলে রাষ্ট্রের এক ছোট হাতলের বিরুদ্ধে লড়াই করে বড় কুর্সিটাকে যেন ছাড় দিতে বদ্ধপরিকর।
আসলে এটা একটা শুয়োরের পৃথিবী। কর্দমাক্ত, কালো জলের একটা সমতল ভুমি। পচা আবর্জনা স্তূপের ভেতর প্লাস্টিক, খৈনি পানবাহারের প্যাকেটের টুকরো, মদের ভাঙা বোতলের টুকরো, ঠান্ডা পানীয়র বোতল, হোটেলের পরিত্যক্ত খাবার, সারা শহরের উচ্ছিষ্ট, বাজারের পচাগলা আলু কুমড়ো পটল ভেন্ডি, রক্তমাখা স্যানিটারি নাপকিন, মরা কুকুর বিড়াল কখনো বা মানুষের ভ্রুণ।