সহমনের সম্পাদকমন্ডলী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার একশো বছর : ফিরে দেখা লেখাটি নিয়ে বিতর্ক চেয়েছিল, সেই কারণেই সুশোভন মুখোপাধ্যায়ের লেখাটির একটি সমালোচনা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই লেখাটির লেখক ছিলেন দেবজিৎ ভট্টাচার্য। আজ আরও একটি লেখা প্রকাশ করা হলো। এটাই এই বিষয়ের শেষ লেখা। এই লেখার শেষে দেবজিৎ ভট্টাচার্যের লেখাটির সূত্রও থাকলো।
একশো বছর ধরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ যেমন স্ফীত কলেবর, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ঠিক ততটাই ক্ষীণ, কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা জরুরি। প্রয়োজন নির্মোহ বিশ্লেষণ।
বারুইপুরের চম্পাহাটি নীলমণিকর বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা চরিত্রা দাশগুপ্ত ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে বই-খাতা ছিঁড়ে উল্লাস করার প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, "আধুনিকতার এই যুগে শিক্ষার প্রতি যেন শ্রদ্ধাটাই চলে গিয়েছে অনেক পড়ুয়ার। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বইয়ের গুরুত্ব কমেছে। বই পড়ে জানার আগে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ গুগল সার্চ করে প্রশ্নের উত্তর জানতেই বেশি উৎসাহী। স্বভাবতই বইয়ের প্রতি আগের মতো আগ্রহ থাকছে না।"
বাড়ির সামনে দাঁড়ানো টোটোটার দিকে ভুরু কুঁচকে তাকালো বিনোদ । প্রতিদিনই এইসময় এখানে দাঁড় করানো থাকে টোটোটা । ইচ্ছে করে , এক লাথি মেরে পাশের পুকুরে ফেলে দিতে । মনে মনে বিড়বিড় করে বিনোদ । সন্তর্পণে নিজের আশপাশটা দেখে নেয় । ঘরের ভেতর থেকে সীমার গলা খাঁকারির আওয়াজ শোনা যায় । বিনোদ চটপট বারান্দায় রাখা ইজিচেয়ারটায় চোখ বুজে শুয়ে পড়ল । চোখ বুজলেও মনের ভেতর কিন্তু টোটো আর টোটোর মালিক শান্তনু ভেসে বেড়ায়।
মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে বেশ কিছু জায়গায় ছাত্রদের দেখা গেল বইপত্র ছিঁড়ে ফেলতে, কিন্তু কী কারণে ছাত্ররা এই আচরণ করছে, তা কি আমরা কোনও সময়ে ভেবে দেখেছি ? এক ছাত্রের খোলা চিঠি, সেই কথাগুলোকেই আবার সামনে আনলো। ছাত্ররা কি তবে মুক্তি চাইছে, এই পড়াশুনা থেকে ? আসুন ভাবি, ভাবা প্র্যাক্টিস করি।
সহমনের সম্পাদকমন্ডলী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার একশো বছর : ফিরে দেখা লেখাটি নিয়ে বিতর্ক চেয়েছিল, সেই কারণেই সুশোভন মুখোপাধ্যায়ের লেখাটির একটি সমালোচনা প্রকাশ করা হয়েছিল। আজ আরও একটি লেখা প্রকাশ করা হলো। অন্য বিরুদ্ধ মত এলেও সহমন, সেই লেখা প্রকাশ করবে। আগের লেখাগুলোর সূত্র এই লেখার শেষে থাকলো।
ফ্যাসিবাদ? নয়া-ফ্যাসিবাদ? নয়া-ফ্যাসিবাদের দিকে ঝোঁকা? আজকের ভারতবর্ষে কি এই নিয়ে বিতর্ক হতে পারে? যেখানে রোজ আমরা দেখতে পাচ্ছি এই বিজেপির স্বরূপ, সেখানে এই তর্ক শুধু অর্থহীন! ফ্যাসিবাদ সবসময় জাতীয়তাবাদের মধ্যেই সম্ভাব্য ছিল এবং এটি জাতীয়তাবাদের একটি রোগব্যাধি—জাতীয়তাবাদ নিজেই তো একটি মতাদর্শগত গঠন।
কুম্ভমেলার ন্যারেটিভ বিশেষভাবে বিপজ্জনক কারণ এটি সরকারের সংবিধানগত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতাকে ঢাকতে সাহায্য করে। বেকারত্ব, ক্ষুধা এবং বৈষম্যের মতো সমস্যাগুলি সমাধানের পরিবর্তে, রাষ্ট্র ধর্মীয় আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানগুলিকে প্রচার করে, যা তার নিষ্ক্রিয়তার জন্য একটি ধোঁয়াশা হিসাবে কাজ করে। এভাবে এটি সংবিধানে নিহিত ন্যায়, স্বাধীনতা এবং সমতার মূলনীতিগুলিকে ক্ষয় করে।
বাংলাভাষা তো মরতেই বসেছে! তাই শামসুর রহমান চিৎকার করে যেন বলে যান, ‘হে আমার আঁখিতারা তুমি উন্মীলিত সর্বক্ষণ জাগরণে/তোমাকে উপড়ে নিলে বলো তবে কী থাকে আমার?’ তাই একুশে ফেব্রুয়ারি একটি আত্মসমীক্ষার দিন। আত্মআবিষ্কারের দিন।
"মুক্ত হবে প্রিয় মাতৃভূমি" এই আশাবাদ থেকে শুরু করে "আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন, আমি বাংলায় বাঁধি সুর, আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর" এই যে কালের যাত্রাপথের পথিক প্রতুল মুখোপাধ্যায়। রেখে গেলেন তাঁর গান,- জীবনের জন্য, মানুষের জন্য।
"মুক্ত হবে প্রিয় মাতৃভূমি" এই আশাবাদ থেকে শুরু করে "আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন, আমি বাংলায় বাঁধি সুর, আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর" এই যে কালের যাত্রাপথের পথিক প্রতুল মুখোপাধ্যায়। রেখে গেলেন তাঁর গান,- জীবনের জন্য, মানুষের জন্য।
বাংলাভাষা তো মরতেই বসেছে! তাই শামসুর রহমান চিৎকার করে যেন বলে যান, ‘হে আমার আঁখিতারা তুমি উন্মীলিত সর্বক্ষণ জাগরণে/তোমাকে উপড়ে নিলে বলো তবে কী থাকে আমার?’ তাই একুশে ফেব্রুয়ারি একটি আত্মসমীক্ষার দিন। আত্মআবিষ্কারের দিন।
মানবসভ্যতার ইতিহাসে কয়লা ও আকরিক লোহা এই দুই একসাথে ব্যবহারের প্রসঙ্গ আসলেই নাম আসে স্পঞ্জ আয়রনের। লোহাকে যদি না গলিয়ে সরাসরি বেশি তাপমাত্রাতে কয়লা বা প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে বিজারিত কর হয়, তাহলে তার খাদ বেরিয়ে যায় এবং পৃষ্ঠতলটা দেখতে খানিকটা স্পঞ্জের মত ছিদ্রযুক্ত হয়। একেই বলে স্পঞ্জ আয়রন, কিন্তু আমরা কি জানি, এর কারণে কী পরিমাণ পরিবেশ দূষণ হচ্ছে বা হয়?
বেকারত্ব, সামাজিক বৈষম্য, বর্ণবাদ এবং বন্দুক সংস্কৃতি। আমেরিকা হচ্ছে সেই দেশ যেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ গুলিতে মরে, যেখানে পুলিশ রাস্তায় কৃষ্ণাঙ্গদের হত্যা করে এবং যেখানে পুঁজিপতিরা প্রতিদিন দরিদ্রদের আরও দরিদ্র করে তুলছে। এই দেশ নিজেকে গণতন্ত্রের স্বঘোষিত মসিহা মনে করে, কিন্তু এই একই আমেরিকা আফগানিস্তান, ইরাক, ভিয়েতনাম, চিলি এবং অন্যান্য অনেক দেশে রক্তের নদী ঝরিয়েছে। তাঁদের এই অভিবাসন নীতি তাঁদের জন্য নতুন বিপদ নিয়ে আসবে না তো?
-আমার হাত ধরে হাঁটতে ভাল লাগে। -কার হাত? -যে কোনো মানুষের হাত।
শাসকের পশ্চাতে যদি ঐশ্বরিক ক্ষমতা জুড়ে দেওয়া যায় কাজটা সহজ হয়। ধরা ধামে ঈশ্বরের দুজন প্রতিনিধি, পার্থিব জীবনে রাজা ও অপার্থিব জগতে ধর্মীয় গুরু। কোথাও তিনি পোপ, কোথাও পয়গম্বর, কোথাও বা ব্রাহ্মণ পন্ডিত। এই প্রতিনিধি দের উপেক্ষা অবজ্ঞা করা মানে ঈশ্বরের প্রতি অবজ্ঞা। যেহেতু এদের নিয়োগ পত্র দিয়েছেন ঈশ্বর, অতএব এরা ঈশ্বরকে কৈফিয়ত দেবেন, মানুষ এদের নামে ঈশ্বরের কাছে নালিশ জানাতে পারেন। বিচার কর্তা খোদ ঈশ্বর।