পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

পুরানো লেখাগুলি

কেতাব আলির বেহেস্ত দর্শন

এত দিন অবধি কেতাব আলি শরীরে তেমন কোনও সমস্যা টের পায়নি। তে-রাস্তার ধারে তার মুদি দোকান ভালো চলেছে। দুই মেয়ের ভিতর ফরজানার বিয়ে নিয়ে কিছু দিন উদ্বেগ ছিল। ফরজানা গ্রাজুয়েট না হয়ে বিয়ে করবে না। শেষ পর্যন্ত সে ঝামেলাও মিটে গেছে।

নাম বাদ পড়ার পর

নাম বাদ পড়ার পর থেকে রাতে ভালো ঘুম হচ্ছে । কেমন এক হাল্কা লাগছে । পাখির মতো উড়তে উড়তে চলছিলাম আর নিজেকে দেখতে থাকি , দেখি হাঁটছি জঙ্গলের ধার দিয়ে ।এমন এক জঙ্গল যেখানে বাড়ি আছে।

অমলের স্বপ্নগুলো

হাসপাতাল থেকে ফেরামাত্র মিনি চোখের ইশারায় আমাকে ডাকে। অভিজিৎকে ও ভয় পায়, তাই এড়িয়ে চলে। আমি ঘরে ঢুকতেই তোশকের নীচ থেকে একটা ড্রয়িং খাতা বার করে, আমার হাতে দেয়। পাতা উলটাতে থাকি, এপাতা থেকে ওপাতা, আবার প্রথম পাতা…। মহাবিশ্বের মহাকাশে শুনতে পাই অদ্ভুত সব সুর আর অসুরের খেলা। মধুকৈটভের লড়াই।

গণতন্ত্র, অগণতন্ত্র - কোনটির জন্য কে?

আধার কার্ডও আসার আগে বলা হয়েছিল এটা ঐচ্ছিক নয়, বাধ্যতামূলক নয়। বাধ্যতামূলক কিছুই নয়। আমার বাড়িতে কোন লোকের যদি লেখাপড়া জ্ঞান না থাকে এবং তার যদি রোজগারও না থাকে, সে যদি বোধবুদ্ধি হীন কেউ হয়, নেহাত সেই কারণে আমি যদি নিষ্ঠুরের মতন তার এপিক, আধার, প্যান, রেশন কার্ড কিছুই না করি - এতে কি প্রমাণিত হয় যে ওর কোন লোকাসস্ট্যান্ডি নেই?

সোনালি খাতুন, নাগরিকত্ব, নির্বাচনী তামাশা

বাংলায় নির্বাচন কমিশন ২০০২-এর ভোটার তালিকাকে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী বা এস আই আর-এর ভিত্তিরূপে ধরেছিল। যদিও এখন কাজ চালাচ্ছে ২০২৫-এর তালিকা দিয়ে। কমিশনের নানা কথা ও আচরণের মধ্যে কোনো সঙ্গতি নেই। বাংলায় যেনতেন করে বিপুল সংখ্যক বিজেপি বিরোধী ভোটার বাদ দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। এরই মধ্যে একটি সত্য জ্বলজ্বল করে বেরিয়ে এসেছে যে সোনালি খাতুনদের পরীক্ষা দিয়েই যেতে হবে, কারণ ঘটনাচক্রে তাঁদের জন্ম হয়েছে মুসলমান পরিবারে।

নির্বাচনী প্রক্রিয়াতে স্বচ্ছতা আনাই সংবিধানকে রক্ষা করতে পারে

যে সংবিধান একসময়ে সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছিল, সেই সংবিধানের অপপ্রয়োগ করে সেই মানুষদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে, তারপর সংবিধান রক্ষা নিয়ে বড় বড় কথা বললে, কি সংবিধান দিবসের মর্যাদা থাকে? যেহেতু ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্যতম পরিচায়ক, ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থা, তাই এখানেও ডাঃ বি আর আম্বেদকরের কথাটিই আবার সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে।

ক্ষুধার বৈপরীত্য: সমৃদ্ধি ও সংকট

আই সি ডি এস-এর মাধ্যমে শিশুদের জন্য বরাদ্দ অর্থের অপব্যবহার, নিম্নমানের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ এবং ‘লিকেজ ’-এর কারণে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে পুষ্টি পৌঁছায় না। এনএফএসএ-এর অধীনে ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য কালোবাজারে বিক্রি বা ওজনে কম দেওয়ার মতো ঘটনা খাদ্য সুরক্ষার চেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই দুর্নীতি স্বাস্থ্য এবং খাদ্য সুরক্ষার ব্যবস্থাকে এমনভাবে দুর্বল করে যে, অপুষ্টির চক্র ভাঙা অসম্ভব হয়ে ওঠে, আর ভারত ক্ষুধা সূচকে নামতেই থাকে।

বেঁচে আছেন গোপীনাথ

রণেনবাবুর ঠিক আধা-আধি যখন বয়স আমার, সেবারও বিলেত থেকে রাবার জিতে ফিরেছিল ভারত। রাহুল দ্রাবিড় যে ক্যাপটেন সেবার মনে ছিল বিলক্ষণ। খালি ভেন্যুটা মাথায় না আসায় খুলেছিলাম গুগল। স্ক্রল করে করে দেখছিলাম সেই নটিংহ্যাম টেস্টের স্কোরকার্ড। তখনই চোখে পড়ল সালটা।

আরও পুরানো লেখাগুলি

রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বৈধতা রাষ্ট্র নিজেই ধ্বংস করছে না তো?

বিহার ভোটের পরে জনমানসে নির্বাচন কমিশনের প্রতি সন্দেহ বাড়তেই থাকবে, কমবে না৷ হঠাৎ আচমকা ভোটার সংখ্যা বেড়ে যাবে, বিকেল পাঁচটার পর ভোট দেওয়া বেড়ে যাবে: কিন্তু তার সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যাবে না, একজনের ছবিতে একাধিক এপিক নম্বর সহ ভোটার কার্ড আসবে, শূন্যনম্বর বাড়ির মিস্টার ABCD এর ৮০ জন ছেলে মেয়ে ভোটে দেবে, ভোটার বুথে গিয়ে দেখবেন তার নাম উধাও আরও যে কত রকম পদ্ধতি!

এই হত্যা পাহাড়ের মতো ভারী হবে

রাষ্ট্র কখনও নিরস্ত্র বিপ্লবীদের ছেড়েছে? নিরস্ত্র হিডমা সহ আরও অনেককে আদালতে তোলবার সাহস দেখাতেও ব্যর্থ হয়েছে। হত্যা করে যখন তাঁর দেহের দখল নিয়েছে তখন তাঁর পাশে জীবনসঙ্গিনী, রাজ্জাকা শুয়ে। অনেক তথাকথিত সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী আবার তা নিয়ে আনন্দ করলেন। রাষ্ট্র হয়তো আজকে দৃশ্যত সাময়িকভাবে জিতে গেল, কিন্তু হিডমাদের মৃত্যু হয়না।

আখ্যান

এই হত্যা পাহাড়ের মতো ভারী হবে

রাষ্ট্র কখনও নিরস্ত্র বিপ্লবীদের ছেড়েছে? নিরস্ত্র হিডমা সহ আরও অনেককে আদালতে তোলবার সাহস দেখাতেও ব্যর্থ হয়েছে। হত্যা করে যখন তাঁর দেহের দখল নিয়েছে তখন তাঁর পাশে জীবনসঙ্গিনী, রাজ্জাকা শুয়ে। অনেক তথাকথিত সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী আবার তা নিয়ে আনন্দ করলেন। রাষ্ট্র হয়তো আজকে দৃশ্যত সাময়িকভাবে জিতে গেল, কিন্তু হিডমাদের মৃত্যু হয়না।

রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বৈধতা রাষ্ট্র নিজেই ধ্বংস করছে না তো?

বিহার ভোটের পরে জনমানসে নির্বাচন কমিশনের প্রতি সন্দেহ বাড়তেই থাকবে, কমবে না৷ হঠাৎ আচমকা ভোটার সংখ্যা বেড়ে যাবে, বিকেল পাঁচটার পর ভোট দেওয়া বেড়ে যাবে: কিন্তু তার সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যাবে না, একজনের ছবিতে একাধিক এপিক নম্বর সহ ভোটার কার্ড আসবে, শূন্যনম্বর বাড়ির মিস্টার ABCD এর ৮০ জন ছেলে মেয়ে ভোটে দেবে, ভোটার বুথে গিয়ে দেখবেন তার নাম উধাও আরও যে কত রকম পদ্ধতি!

পুঁজিবাদের দুর্গে সমাজবাদের উত্থান

রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩৪ বছর বয়সী মামদানিকে পাগল "কমিউনিস্ট" হিসাবে নিন্দা করলেও পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী এবং জনবহুল শহরগুলির মধ্যে একটির মেয়র পদে তাঁর এই জয়, ডেমোক্র্যাট এবং MAGA রিপাবলিকান দুপক্ষেরই রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। এরই মধ্যে মামদানিকে ঠেকাতে একবারে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল মামদানির নাগরিকত্ব বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন রিপাবলিকানরা।

কাফন

কোন কোন দিন সকালের নামাজ পড়তে ওঠা সাজিয়ার পক্ষে অসম্ভব হত। এইজন্য ও উচ্চ রক্তচাপের অজুহাত দিত। বারবার বলত যে হতচ্ছাড়া ট্যাবলেটগুলোর জন্য ওর মনে কোন শান্তি নেই।

এসআইআর-এর অগস্ত্যযাত্রা

যারা এই নথির গাড্ডায় পড়বে, তাদের একটি বড় অংশের, যার মধ্যে সিংহভাগ মহিলা, ধরাছোঁয়ার মধ্যে সেসব নথি নেই। এই বিষম পরিবেশে এর দায় ভোটারদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন নাগরিকত্বের কষ্টিপাথরে ভোটাধিকারের পবিত্রতা বিধানে নেমেছে। নথিপত্রের সমস্যা আদৌ ব্যক্তিগত ঘাটতির বিষয় নয়, সমস্যা কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক, যাতে বাস্তবিক ভুক্তভোগী ভোটারদের হাত নেই।

বন্দে মাতরম বিতর্ক প্রসঙ্গে ফিরে দেখা ইতিহাস

বন্দেমাতরম গানের একটি অংশ বর্জনের জন্য সেকালের কংগ্রেস নেতৃত্বকে সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেছেন ১৯৩৭ সালেই জাতীয় কংগ্রেস তাঁদের পক্ষ থেকে এই গানের বড় অংশকে বাদ দিয়ে দিয়েছিল। বন্দেমাতরম গানের দেড়শো বছর প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতায় এই সমালোচনা উঠে আসার পরেই নতুন করে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। এই বিতর্কের তাৎপর্যটি বুঝতে হলে আমাদের সেই সময়ের ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাতে হবে।