পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh
ব্যঙ্গচিত্র

পুরানো লেখাগুলি

জলবায়ু সংকট ও পুঁজির দৌরাত্ম্য

একটি ছোট পরিবর্তন (যেমন বননিধন)➤ বড় পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করে ➤যার ফলে নতুন পরিবর্তন আরও তীব্রভাবে সেই ধ্বংসকে বাড়িয়ে তোলে ➤ অবশেষে সিস্টেমটি “tipping point” অতিক্রম করে পড়ে যায় এক অপ্রত্যাবর্তনীয় সংকটে। তাই বলা যায় –এটি এমন একটি দশাবিন্দু, যেখানে কোন প্রাকৃতিক ব্যবস্থায় ছোট একটি পরিবর্তন ঘটলেও সেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থায় রূপ নেয়। যেমন হিমালয় গ্লেসিয়ার➤ বরফ গলন➤ নদীপ্রবাহ অস্থির➤ ভূমিধস➤উদ্ভিদ ধ্বংস➤ আরও উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বরফের গলন।

গোদী মিডিয়ার গুলবাজি আর কতদিন?

দেশের অন্যতম বিশিষ্ট সাংবাদিক রভীশকুমার বলেছিলেন গোদী মিডিয়া না দেখতে। দিল্লির ক্ষেত্রে অনেকসময়ে এই কথা মেনে চললেও, বাংলার ক্ষেত্রে আমরা নানান সময়ে এই গোদী মিডিয়ার ভাষ্যেই বিশ্বাস করে থাকি। আসলে আমরা যেটা বিশ্বাস করি সেটাই গোদী মিডিয়া দেখায়। এটা একটা বৃত্ত, যার কোনও শেষ নেই। আমরা ভাবতে যা ভালোবাসি, সেটাই গোদী মিডিয়া আমাদের দেখায়। আমরা পাশের মুসলমান মানুষটিকে অনুপ্রবেশকারী ভাবি, কিন্তু হিন্দিভাষী মানুষটিকে ভাবি না, তাই গোদী মিডিয়াও সেটা দেখায় না।

রবীন্দ্রনাথের “আমার সোনার বাংলা” গাওয়া নিষিদ্ধ?

আজকের ভারতে রাজনীতি সংস্কৃতিকে গ্রাস করছে। তাই রবীন্দ্রনাথের গান, রবীন্দ্রনাথের ভাবনা প্রতিস্রুত প্রাতিষ্ঠানিক নেতাদের কাছে এখন “রাজনৈতিক ঝুঁকি”। মনে রাখতে হবে—সংস্কৃতিই রাজনীতিকে শেখায় কীভাবে মানুষ হতে হয়। রবীন্দ্রনাথের মতে—সংস্কৃতি মানে স্বাধীন চিন্তার বিকাশ। সেই চিন্তাকেই আটকাতে চাইছে বিজেপি আরএসএস। সেই জন্যেই কি রবীন্দ্রনাথের 'আমার সোনার বাংলা' গানকে নিষিদ্ধ করতে চাইছে আজকের শাসকেরা?

বিজেপি'র হিন্দুরাষ্ট্রে দলিতদের স্থান নেই

ফ্যাসিস্ট বিজেপি-আরএসএস চায় ভারতবর্ষকে হিন্দুরাষ্ট্র বানাতে। সেই হিন্দুরাষ্ট্রের হিন্দু কোনও দলিত হিন্দু নয়। আরএসএস'এর মতে হিন্দুরাষ্ট্রের হর্তাকর্তারা হবেন উচ্চবর্ণের হিন্দু। ব্রাহ্মণ। বিজেপি যতই বলুক দলিত-আদিবাসী সকলেই হিন্দু, ভারতীয় মুসলমানরাও হিন্দু– আসলে তাদের কাছে শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ পুরুষেরাই হিন্দু। তাই সারা দেশে দলিত হিন্দুরা স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও প্রতিদিন উচ্চবর্ণের কাছে নির্যাতনের শিকার হন।

চালের গায়ে চাষির নাম!

‘উঁহু, আমি নেব না। ৪৭-এর অর্ডার ঢুকবে এখন। এটা পল্টুকে দিয়ে দে।’ মোবাইলের স্ক্রিনে রাজ সিমরানের প্রেমগাথায় মন গেঁথে রেখে, কাগজের কাপে চায়ের লম্বা চুমুক শেষ করে কথাটা বলল রাজু। ‘পল্টুর ফিরতে টাইম লাগবে। দূরে গেছে। ততক্ষণ কি কাস্টমারকে বলব বসে বসে আঙ্গুল চুষুন?’

চলচ্চিত্রে মৃত্যু চেতনা / মৃত্যু ভাবনা ও শিক্ষা - একটি তথ্যমূলক আখ্যান

ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন, সত্যজিৎ রায় এবং তপন সিংহ এই চারজন পরিচালকের কাজের মধ্য দিয়ে মৃত্যু চেতনা কখনো ব্যক্তিগত, কখনো সামাজিক, আবার কখনো ঐতিহাসিক বা দার্শনিক স্তর পেয়েছে। তাঁদের কাজগুলো ভারতীয় সিনেমাকে এক গভীর শিল্পরূপ দিয়েছে।

ছৌ-এর দূর্গাঃ কিছু প্রশ্ন, কিছু কথা

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যাপক ডঃ আশুতোষ ভট্টাচার্য সর্বপ্রথম ছ বা ছো নাচের পরিবর্তে ছৌ নামে অভিহিত করেন এবং বিদেশে এই নাচের প্রদর্শনের ব্যবস্থা করার পরে এই নাচ ছৌ নাচ নামে জনপ্রিয় হয়ে পড়ে। সুধীর কুমার করণ, 'সীমান্ত বাংলার লোকযান' বইতে বলেছেন, "ডঃ আশুতোষ ভট্টাচার্য মহাশয়ও ছৌ নামকরণের পক্ষে কোন যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

শারদীয়া দুর্গোৎসবের শ্রেণিভিত্তি ও আরএসএস

বাঙালি সমাজে কয়েক'শ বছর ধরে কালো পুরুষটিকে অসুর-মহিষাসুর যা অশুভ শক্তি, এই রূপেই চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু, অসুর জাতির অস্তিত্ব সিন্ধু-হরপ্পা ইত্যাদি প্রাচীন সভ্যতায় পাওয়া গেছে। বর্তমানে এঁদের দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল প্রভৃতি দেশগুলোতে ভালো পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, উড়িষ্যা, ছত্তিশগড় প্রভৃতি জায়গার পাহাড়, পর্বত, বনাঞ্চল জুড়ে অসুর জাতির লোকেরা বসবাস করেন।

আরও পুরানো লেখাগুলি

আমার শহর, আমার দায়িত্ব: থামাও শব্দের এই দৌরাত্ম্য

প্রকৃতি পরিবেশের দূষণ নিয়ে ভাবনা? সে তো অযুত যোজন দূরে! তাই নিজেরা সচেতন হয়ে বাজির ব্যবহার বন্ধ না করলে, আইনি, বেআইনি, সবরকম ভাবেই বাজি তৈরি চলতেই থাকবে। চালু থাকবে সব দিক থেকে প্রাণঘাতী এই ‘শিল্প’। চলতেই থাকবে মানুষ সহ সমগ্র প্রাণের বিপর্যয়। সরকার ও নীতি নির্ধারকরা যখন উদাসীন থাকে, তখন নিজেদের ভালোমন্দ নাগরিককেই বুঝে নিতে হয়।

বিশেষ নিবিড় সংশোধন: গরিব মানুষের ভোটাধিকার হরণের চক্রান্ত

বিহারে নির্বাচন তালিকার যে বিশেষ নিবিড় সংশোধন হয়েছে তার থেকে নির্বাচন কমিশনের মনভাব স্পষ্ট হতে আর বাকি কিছু নেই। পরিস্কারই বোঝা যায় তাদের মূল উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া। বিহার দিয়ে শুরু হলেও এই প্রক্রিয়া চলবে গোটা দেশ জুড়ে। এরপর পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ওড়িশ্যার কথা বলা হচ্ছে। বিহারের মানুষ প্রতিরোধে সামিল হচ্ছে, পালা আসছে আমাদেরও, বুঝে ও যুঝে নেওয়ার। এখন বাংলা সহ আরও ১২টি রাজ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে, তাই এই বিষয়টা সবার ভালো করে জানা উচিৎ।

আখ্যান

বিশেষ নিবিড় সংশোধন: গরিব মানুষের ভোটাধিকার হরণের চক্রান্ত

বিহারে নির্বাচন তালিকার যে বিশেষ নিবিড় সংশোধন হয়েছে তার থেকে নির্বাচন কমিশনের মনভাব স্পষ্ট হতে আর বাকি কিছু নেই। পরিস্কারই বোঝা যায় তাদের মূল উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া। বিহার দিয়ে শুরু হলেও এই প্রক্রিয়া চলবে গোটা দেশ জুড়ে। এরপর পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ওড়িশ্যার কথা বলা হচ্ছে। বিহারের মানুষ প্রতিরোধে সামিল হচ্ছে, পালা আসছে আমাদেরও, বুঝে ও যুঝে নেওয়ার। এখন বাংলা সহ আরও ১২টি রাজ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে, তাই এই বিষয়টা সবার ভালো করে জানা উচিৎ।

আমার শহর, আমার দায়িত্ব: থামাও শব্দের এই দৌরাত্ম্য

প্রকৃতি পরিবেশের দূষণ নিয়ে ভাবনা? সে তো অযুত যোজন দূরে! তাই নিজেরা সচেতন হয়ে বাজির ব্যবহার বন্ধ না করলে, আইনি, বেআইনি, সবরকম ভাবেই বাজি তৈরি চলতেই থাকবে। চালু থাকবে সব দিক থেকে প্রাণঘাতী এই ‘শিল্প’। চলতেই থাকবে মানুষ সহ সমগ্র প্রাণের বিপর্যয়। সরকার ও নীতি নির্ধারকরা যখন উদাসীন থাকে, তখন নিজেদের ভালোমন্দ নাগরিককেই বুঝে নিতে হয়।

জ্ঞানেশের আমড়াগাছি সংঘীদের আমলাতন্ত্র

নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি কাজে লাগিয়ে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লি জয়টা নিশ্চিত করতে পেরেই ঝাঁপি খুলে দিল এসআইআর। ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনীর নামে বেছে বেছে দলিত, সংখ্যালঘু, মূলনিবাসী, গরিব মানুষদের ভোটাধিকার কেড়ে নাও। এ শুধু বিহারেই থেমে থাকবে না, সব রাজ্যে হবে। পুরোনো ভোটার তালিকাকে খারিজ করে নতুন ভোটার তালিকা বানানোর প্রস্তুতিপর্ব। স্বৈরাচারী-গণতন্ত্রকে আশ্রয় করে এসআইআর গণতন্ত্রের ভিত নাড়িয়ে দিচ্ছে।

শিয়ালদায় বাঙালি নির্যাতন ও কিছু আনুষঙ্গিক প্রশ্ন

এই খাস কলকাতার বাংলাভাষী সুশীল সমাজের একাংশ যখন বাঙালির একাংশকে অবলীলায় বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করতে পারেন, কেউ চোখে আঙুল দিয়ে তাঁদের এই ভ্রান্তির কথা ধরিয়ে দেওয়ার পরও তাঁদের কোনো আত্মসমীক্ষা যখন দেখা যায় না, শিয়ালদায় কারমাইকেল হস্টেলে বাঙালি ছাত্রদের নির্যাতনকারী হিন্দি-উর্দুভাষীদের কাছে আমরা আর কীই বা আশা করতে পারি!

গ্লিচ

ভোর পাঁচটায় এসওএস। অবজারভেটরির ফোন, ডক্টর গুরুমূর্তি, হার্ট এটাক সিরিয়াস, কাম কুইক। ওসি মুরুগাপ্পা সবে প্রাণায়াম শেষ করে শবাসনে শয়ান।

পদ্মভোট কমিশনের কিসসা

বিহারে বিশেষ নিবিড় সন্ধান চালিয়ে জ্যান্ত ভোটারদের মৃত বানিয়ে ছেড়েছে, মৃতদের নাম তুলে দিয়েছে গাদা গাদা। কীরকম ইস্পেশাল সন্ধান কম্ম বল? – বাপ রে, তুই তো দেখছি, রাহুল গান্ধী আর দীপঙ্কর ভটচাজ্যির ডায়লগ সব মুখস্থ করে নিয়েছিস। তার পর কী শুনলি? সেই সব কথা শুনতে হলে চটাদার সঙ্গে এই কথাবার্তা শুনতেই হবে।