আসগার পাড়ার ছেলে। যদিও তার সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল পাড়ার বাইরে - লাস্ট ট্রেনে বাড়ি ফেরার সময়, অকস্মাৎ। সেদিন অফিস কেটে বিকেলের দিকে কফি হাউস গিয়েছিলাম। সুব্রত বলল, কাফকা এসেছে।
ওই ভিডিও-টা তুমি মুছে ফেল। বলেছি তো মুছে দেব। কবে? আর কয়েকটা দিন যাক, তারপর তোমার সামনেই না হয় মুছে দেব।
ঠোটকাট্টি ভিখ-সফর সেরে বাড়ি ফিরছে। তার কাঁখে, মাথায় ভিক্ষায় পাওয়া ধান-চাল বাদেও আরও কতকিছু বাঁধা বোঁচকাবুঁচকি। সঙ্গী খেপি বিটি সজ্জা, তার মাথাতেও বেশ বড়সড় একটা বোঁচকা। খোদার রহমতে অন্যান্য বারের তুলনায় এবারেও তার সফর-আমদানি বেশ ভালোই হয়েছে। এবারে সে কারও দূয়ার থেকে খালি হাতে ফেরেনি। স্বভাবতই মা-বিটি দু’জনেই মনের খুশিতে বাড়ির পথ ধরে হাঁটছে। রাস্তার দুপাশের কোনও কিছুতে তাদের আগ্রহ নেই। কোনোকিছুতে কৌতূহল নেই। মাথায় বোঁচকার সঙ্গে শুধু একটা চিন্তা আছে, কতক্ষণে বাড়ি পৌঁছাবে! কেননা, সূর্য ডুবে গিয়ে আঁধার ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে দুনিয়াজাহানে।
বীরেন্দ্রমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহেন্দ্রনাথ সান্ন্যালের দুই ছেলেমেয়েই পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিল, তবে তারা দুজনেই ডাক্তার হবে একথা হয়তো তারা নিজেরা বা বাড়ির লোক কেউই জানতো না। সমাজবন্ধু হতে হলে, হয় পিতার মতো শিক্ষক নাহলে ঠাকুরদার মতো ডাক্তার, এটা খানিকটা হলেও কিভাবে যেন গেঁথে গেছিল মাথায়।
আমার উদ্দেশ্য এটা প্রতিষ্ঠা করা নয় যে জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলনে স্বাস্থ্যপরিসেবা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত। কর্ম বিরতি করার উদ্দেশ্যই তো স্বাভাবিক অবস্থাকে ব্যাহত করা। বরং আমি এটা জানি যে জনসংখ্যার তুলনায় ডাক্তারবাবুর সংখ্যা হিসেব করলে ডাক্তারের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। সেই কারণেই তো মেডিকেল কলেজগুলিতে জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর এত কাজের চাপ। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ডাক্তারের এই বিপুল ঘাটতির সত্যটি জুনিয়র ডাক্তার দের কর্মবিরতি হাড়ে হাড়ে টের পাইয়ে দিলো।
উৎসবে ফেরার নিদান এসে গেছে। সিদ্ধান্তে হাতুড়িপেটা পড়তে না পড়তেই ম্যারাপ বাঁধা হচ্ছে শহর জুড়ে। বচ্ছরকার মতো আবারও বাঁশে-বাঁধা ফেস্টুনের বিজ্ঞাপনী ফ্লেক্সে মুখ ঢাকছে পথঘাট।আধখানা মন বলছে জমি ছাড়ব না, বাকি আধখানা বলছে রোশনাই দেখব না? এই যযৌ ন তস্থৌ-এর দাওয়াই দিয়েছেন মধ্যপন্থীরা, বিপ্লবের মধ্যে উৎসব অথবা উৎসবের মধ্যে বিপ্লবের ডাক উঠছে।
প্যালেস্টাইন ও লেবানন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমি দেশগুলো এক অমানবিক দ্বিচারিতায় লিপ্ত। একদিকে গাজা বা লেবাননে ইসরায়েলি সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করছে। অন্যদিকে ইসরায়েলকে অস্ত্র, বোমা, গোলাবারুদ সরবরাহ করছে, যা ব্যবহার করা হচ্ছে শিশু,নারী, পুরুষ নির্বিচারে হত্যা করতে। এই দ্বিচারিতায় এখন সামিল আমাদের দেশ ভারতও।
এই আন্দোলন একমুখী হয়ে ক্রমশ এক কানাগলির ভেতরে সেধিয়ে চলেছে। আরজি করের ন্যায়বিচার চাইতে চাইতে আমরা আরও চার দিকের যে সব ঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবি তুলতে হবে, ভুলে যাচ্ছি। হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের বীভৎসায় আমরা মুখ বন্ধ রাখতে পেরেছি। হঠাৎ আমরা যেন “আমরা-বাঙালি” হয়ে উঠেছি। আমরা রাষ্ট্রকে চিহ্নিত করে আন্দোলনের মহড়া দিচ্ছি ভেবে শরীর গরম করছি, আর আসলে রাষ্ট্রের এক ছোট হাতলের বিরুদ্ধে লড়াই করে বড় কুর্সিটাকে যেন ছাড় দিতে বদ্ধপরিকর।
দ্রুত গতির জীবনে শ্লথ গতি, টুংটাং বেল, ঘটাং ঘটাং করতে করতে ধীরে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া এই বাহনটি অনেকের মতে, গতির যুগে বড্ড বেমানান। শহরের বুকে বিরাট বপু নিয়ে ধীরে সুস্থে এগিয়ে যাওয়া এই বাহনে চড়ে সময় নষ্ট করার সময় কই আজকের মানুষের হাতে। তাই বুঝি ফুরালো ট্রাম-সফর। নাম উঠলো তার ইতিহাসের পাতায়। নাম লেখালো সে অবসরের খাতায়। যদিও সরকার থেকে এখনও সেই দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি, তবুও বিদায় ঘণ্টা তো বেজেই গেছে।
২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যে কটা লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত, পৌরসভা ভোট হয়েছিল তার মোট খরচ ছিল ১.৫ লাখ কোটি টাকা। এখন হলে সেটা ২ লাখ কোটি ধরা যায়। আমাদের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। সুতরাং মাথা পিছু ভোটের খরচ ১৫০০ টাকা। অন্যদিকে আমাদের দেশের মোট ঋণ হল ২০৫ লাখ কোটি, অর্থাৎ মাথা পিছু ঋণ হল প্রায় ১.৫ লাখ টাকা! তাহলে সঞ্চয়ের জন্য কোনটা কমানো প্রয়োজন সেটা পাঠকই বুঝে নিন! এক দেশ এক ভোট হলে একদিন দেখা যাবে, এক দেশ এক ফ্যাসিস্ট সরকার ছাড়া কিছু নেই।
২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যে কটা লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত, পৌরসভা ভোট হয়েছিল তার মোট খরচ ছিল ১.৫ লাখ কোটি টাকা। এখন হলে সেটা ২ লাখ কোটি ধরা যায়। আমাদের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। সুতরাং মাথা পিছু ভোটের খরচ ১৫০০ টাকা। অন্যদিকে আমাদের দেশের মোট ঋণ হল ২০৫ লাখ কোটি, অর্থাৎ মাথা পিছু ঋণ হল প্রায় ১.৫ লাখ টাকা! তাহলে সঞ্চয়ের জন্য কোনটা কমানো প্রয়োজন সেটা পাঠকই বুঝে নিন! এক দেশ এক ভোট হলে একদিন দেখা যাবে, এক দেশ এক ফ্যাসিস্ট সরকার ছাড়া কিছু নেই।
দ্রুত গতির জীবনে শ্লথ গতি, টুংটাং বেল, ঘটাং ঘটাং করতে করতে ধীরে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া এই বাহনটি অনেকের মতে, গতির যুগে বড্ড বেমানান। শহরের বুকে বিরাট বপু নিয়ে ধীরে সুস্থে এগিয়ে যাওয়া এই বাহনে চড়ে সময় নষ্ট করার সময় কই আজকের মানুষের হাতে। তাই বুঝি ফুরালো ট্রাম-সফর। নাম উঠলো তার ইতিহাসের পাতায়। নাম লেখালো সে অবসরের খাতায়। যদিও সরকার থেকে এখনও সেই দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি, তবুও বিদায় ঘণ্টা তো বেজেই গেছে।
টাকা আছে হেলথ ইন্সুরেন্স কিনছি, শিক্ষা কেনার মতন। কিন্তু তারপর যদি হাসপাতাল আর না থাকে চিকিৎসা করার মতন, যেটা আমরা দেখেছি উন্নত দেশগুলোতে প্যান্ডামিক এর সময়। টাকা দিয়ে পড়িয়ে ছেলে মেয়ের কর্মসংস্থান হবে কোথায়? আতুপুতু করে বড় করা বাচ্চাগুলোকে যখন ২৪ ঘন্টার গাধা খাটুনিতে বেসরকারি কর্পোরেট পুঁজি সিস্টেম পিষে মেরে ফেলে দেবে কার বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড ধরবেন? আরজিকর নিয়ে আন্দোলন যে শিক্ষা দিয়ে গেল, তা বোঝার সময় কি এখনও হয়নি?
গত জুলাইয়ের ফ্রান্সের নির্বাচনে বামপন্থীরা ভাল ফল করলেও, স্থিতিশীলতার সঙ্কট জিইয়ে রেখে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর হাত ধরে দক্ষিণপন্থীরা ফের ক্ষমতা দখল করলো সেখানে। তার গতিপ্রকৃতি নিয়েই এই প্রতিবেদন।
দশমীর বিকেল। রোদ্দুরের এক চিলতে আভা ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে। খানিক আগেই বৃষ্টি হয়ে গেছে। ফোঁটা ফোঁটা জলের চিহ্ন রয়ে গেছে জানলার কাচে। বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের সৃজনীদের এই বাড়িটা আগেকার আমলে। কাঠের কড়ি বর্গা, মোটা দেওয়াল, কাঠের সিঁড়িতে লেগে আছে অতীতের গন্ধ। শহরের অনেক বাড়ি কালের নিয়মে ভাঙা পড়লেও এই বাড়িটা এখনও ঐতিহ্যের মুকুট মাথার পরে স্বীয় গরিমায় টিকে আছে।
এ কথা আজ আর কেউই অস্বীকার করেন না যে শুধুমাত্র একটা বা দুটো পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ণ করলে তা কখনোই সঠিক হতে পারে না। এই সমস্যা দূর করার জন্যই নিরবচ্ছিন্ন মূল্যায়ণের ধারণা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু সমস্যা হল ফর্মেটিভ মূল্যায়ণের ক্ষেত্রে যে সূচক গুলো নির্দিষ্ট করা হয়েছে তা বাস্তব অবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কি না।