পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh
ব্যঙ্গচিত্র

পুরানো লেখাগুলি

বিজেপি-বাংলা-বাঙালি : বিপরীতার্থক শব্দ ভাজপা-হিন্দি-হিন্দুত্ব: সমার্থক শব্দ

চিকেন প্যাটিসের সাথে শ্রীমদ্ভাগবত গীতার বিরোধটা ঠিক কোথায় তা সত্যিই বোঝা দুষ্কর। খানকয়েক বেয়াড়া প্রশ্ন মাথায় কিলবিল করছে। গীতার যুগে চিকেন প্যাটিস ছিল না। কৃষ্ণ বা অর্জুন মাংস চেটেপুটে খেলেও চিকেন প্যাটিস খাননি। তাই চিকেন প্যাটিস খাওয়া ও বেচা বারণ? বেচুবাবু যে সবকুচ বেচে দেন, তার বেলা? নাকি শুধু গীতাপাঠে মন চিত্ত হয় না? দুর্বলকে ধরে না পেটালে রক্ত ঠিক গরম ও তেজি হয়না, তাই পেটানো, চিকেন প্যাটিসটা উপলক্ষ্য মাত্র? বেয়াড়া প্রশ্নগুলো তবুও পিছু ছাড়েনা।

একটি অপরাধের জবানবন্দী

ইন্টারোগেশান রুমে পাশাপাশি হাতকড়া পরানো অবস্থায় বসানো রয়েছে রাজু আর পলাশকে। চারজন কনস্টেবল ঘরের চার কোণে পাহারায় রয়েছেন। অফিসার রাত্রি গাঙ্গুলী এসে তাদের উল্টোদিকের চেয়ারে বসে হাতের ফাইলটা সশব্দে টেবিলে রাখলেন। ঘরের চারিদিকে আলো নেই, ওই টেবিলের ওপর শুধু জোরালো এক আলো জ্বলছে আর রাত্রির ঠিক পেছনে আরেকটা স্ট্যান্ড লাইট।

চাষের রাজনীতির দুই দিক: সংঘপরিবার ও নকশালবাড়ি

গণহত্যার ফুলকপি চাষের ইতিহাসের সাথে অনেকেই পরিচিত হয়েছেন এ বছরের (২০২৫) মে মাসে। যখন অসংসদীয়, নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের নেতা, কর্মীদের গণহত্যার মধ্যেই সাধারণ সম্পাদককে হত্যা করা হল। তখন কুখ্যাত গণহত্যাকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মিম হাজির হল, হাসি মুখে ফুলকপি হাতে। ফুলকপির তলায় লেখা ছিল, 'রেস্ট ইন পিস নকশালিজম'। নকশাল রাজনীতির সংসদীয় ধারার অন্যতম প্রধান শক্তি সিপিআই(এমএল)(লিবারেশন) বিবৃতি দিয়ে সমালোচনা করেছিল।

হাকিমপুর সরগরম

আগামী সেনসাস শুরু হওয়ার আগেই আমরা ১৬ বছর পিছিয়ে যাচ্ছি মাইগ্রেশনের প্রকৃত তথ্য থেকে। এই ১৬ বছরের ফাঁকে পরিযায়ী নির্মাণ শ্রমিক শহর মুম্বাই গড়ে তুলেছে, বাস করছে সেখানে আর তার তথ্য রয়ে গেছে বিহারে, উত্তরপ্রদেশের গ্রামে। রাজস্থানের জরি শিল্পে বা হরিয়ানার কারখানায় যে শ্রমিক ঘাম ঝরাচ্ছে সে সংখ্যায় রয়ে গেছে মুর্শিদাবাদ বা ওড়িশার গ্রামে।

আইন ও উন্নয়ন

রামদা হাতে নিয়ে গুলঞ্চ দৌড় দিলো।সচরাচর কেউ বাধা তাকে দেয় না। গুলঞ্চর মা জানে সে কোথায় গেলো আর একথাও জানে যে সে রামদা দিয়ে কেবল ভয়ই দেখাতে পারে কাজের-কাজ কিচ্ছু না- সুতরাং গুলঞ্চর মা এই দৌড়কে অগ্রাহ্য করে ঘরের কোণ থেকে মাটির কলসি কাঁখে বেরিয়ে পড়লো দক্ষিণ পাড়ার সাবমারসিবলের দিকে।

অনুপ্রবেশ এবং পরিযান নিয়ে কয়েকটি কথা তৃতীয় পর্ব

২০০১ সালের সেনসাসে পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যা ছিল ৮.০২ কোটি, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৭.৮৪। সেই বছরের সেনসাসে বাংলাভাষী মানুষের সংখ্যা ৬৮,২৫৯,৩৫৫। অর্থাৎ এই রাজ্যে বসবাসকারী প্রায়, ৮০,২০০,০০০ - ৬৮,২৫৯,৩৫৫ = ১১,৯৪০,২৫৯ জন বা ১ কোটির বেশি মানুষ বা প্রায় মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ % বাংলা ব্যতীত অন্য ভাষায় কথা বলেন। তাহলে কি বাংলাভাষী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে না কমেছে? আমাদের চারপাশ কী বলে?

অনুপ্রবেশ এবং পরিযান নিয়ে কয়েকটি কথা ২য় পর্ব

রাজ্য ভরে যাচ্ছে, ‘অনুপ্রবেশকারী’তে। এটি হচ্ছে বিশ্বাস, যেটি চলতে SIR আবহে খুব গতিশীল একটি বিশ্বাস। সর্বত্র ওপার বাংলার লোক বা অনুপ্রবেশকারীতে ভরে যাচ্ছে। রাজনীতিকদের কথা বাদ দিন, রাজনীতি করতে হলে বিরাট বিরাট বক্তব্য বিনা গতি নাই, কিন্তু আমরা যারা সাধারণ? তাঁদের অনেকেও তো একইভাবে ভাবছেন।

অনুপ্রবেশ এবং পরিযান নিয়ে কয়েকটি কথা ১ম পর্ব

একটি রাজ্যের জনসংখ্যা কেন অধিক, তার অনেকগুলো কারণের মধ্যে অনুপ্রবেশ যেমন, তেমনই মাইগ্রেশনটাও একটা কারণ। বিগত প্রায় এক বছর ধরে বাংলার বাইরে বাঙালি বিদ্বেষকেও আমরা শ্রেণীর অবস্থান থেকে দেখার চেষ্টা করেছি। কোথাও কোন অত্যচার হচ্ছে না, কই আমাদের ঘরের ছেলে মেয়েরা তো বাইরে থাকে, তাদের কাছ থেকে তো কিছু শুনিনা। কিন্তু সত্যিটা কী? সেই জন্যেই এই লেখাটা পড়া জরুরি।

আরও পুরানো লেখাগুলি

বাঙালী জাতিসত্ত্বার প্রশ্নটিকে বাঙালি কমিউনিষ্টরা আর কবে গুরুত্ব দেবে?

বাঙালি কমিউনিষ্টরা লেনিনের মতই যদি বলতে পারতেন যে, “আমরা গর্ববোধ করি বাঙালিদের মধ্যে থেকেই এসেছেন চৈতন্য, লালনের মত চিন্তাবিদরা, এসেছেন বহু বৌদ্ধ আচার্যরা, এসেছেন বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথের মত ব্যক্তিরা যাঁরা যাঁরা স্ব স্ব ক্ষেত্রে সকলেই ছিলেন বিপ্লবী”। বাঙালিদের মধ্য থেকেই এসেছেন অসংখ্য বিজ্ঞানীরা যাঁরা হিন্দু সমাজের ফতোয়া অগ্রাহ্য করে বিজ্ঞান চর্চা করেছেন, সমাজ-সংস্কার করেছেন। সমাজকে এগোতে সাহায্য করেছেন তাহলে কেমন হতো? বিষয়টা ভাবার এখনই তো সময়!

খোলস

এই চরে এত রাতে “ মারা গেল! মারা গেল!”, বলে কে চিল্লায়? দু’বার চিল্লেই চিল্লানোটা হাওয়া হয়ে যায়। এখন চর আবার চুপ। মকদুম মৌলভী খানিক তাজ্জব বনে যায়। এখানে কারো কিছু হলে “ আগগে মা’গে মইরা গ্যাল্লো রে!” বলেই বিলাপের রীতি। ‘বিলাপ’ শব্দটাও এখানে মকদুম ছাড়া কেউ জানে বলে মকদুমের মনে হয় না। তারা সোজা ভাবে বলেঃ “কান্না কইরছে”।

আখ্যান

অনুপ্রবেশ এবং পরিযান নিয়ে কয়েকটি কথা তৃতীয় পর্ব

২০০১ সালের সেনসাসে পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যা ছিল ৮.০২ কোটি, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৭.৮৪। সেই বছরের সেনসাসে বাংলাভাষী মানুষের সংখ্যা ৬৮,২৫৯,৩৫৫। অর্থাৎ এই রাজ্যে বসবাসকারী প্রায়, ৮০,২০০,০০০ - ৬৮,২৫৯,৩৫৫ = ১১,৯৪০,২৫৯ জন বা ১ কোটির বেশি মানুষ বা প্রায় মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ % বাংলা ব্যতীত অন্য ভাষায় কথা বলেন। তাহলে কি বাংলাভাষী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে না কমেছে? আমাদের চারপাশ কী বলে?

অনুপ্রবেশ এবং পরিযান নিয়ে কয়েকটি কথা ২য় পর্ব

রাজ্য ভরে যাচ্ছে, ‘অনুপ্রবেশকারী’তে। এটি হচ্ছে বিশ্বাস, যেটি চলতে SIR আবহে খুব গতিশীল একটি বিশ্বাস। সর্বত্র ওপার বাংলার লোক বা অনুপ্রবেশকারীতে ভরে যাচ্ছে। রাজনীতিকদের কথা বাদ দিন, রাজনীতি করতে হলে বিরাট বিরাট বক্তব্য বিনা গতি নাই, কিন্তু আমরা যারা সাধারণ? তাঁদের অনেকেও তো একইভাবে ভাবছেন।

অনুপ্রবেশ এবং পরিযান নিয়ে কয়েকটি কথা ১ম পর্ব

একটি রাজ্যের জনসংখ্যা কেন অধিক, তার অনেকগুলো কারণের মধ্যে অনুপ্রবেশ যেমন, তেমনই মাইগ্রেশনটাও একটা কারণ। বিগত প্রায় এক বছর ধরে বাংলার বাইরে বাঙালি বিদ্বেষকেও আমরা শ্রেণীর অবস্থান থেকে দেখার চেষ্টা করেছি। কোথাও কোন অত্যচার হচ্ছে না, কই আমাদের ঘরের ছেলে মেয়েরা তো বাইরে থাকে, তাদের কাছ থেকে তো কিছু শুনিনা। কিন্তু সত্যিটা কী? সেই জন্যেই এই লেখাটা পড়া জরুরি।

ঘুঁটে ও গোবরের কথা

সিপিআইএম পার্টির বঙ্গীয় নেতৃকুল আর পার্টির ত্রিপুরা নেতৃকুলের বক্তব্যে বিস্তর পার্থক্য থাকাই স্বাভাবিক। ত্রিপুরায় কোন সাড়া শব্দ করার উপায় সিপিআইএমের নেই। তাদের জিজ্ঞাসা করুন তোমাদের প্রধান শত্রু কে? এবার একই প্রশ্ন করুন পশ্চিমবাংলায়, দেখবেন সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মী উত্তর। স্মরণ করুন, মানিক সরকার বলেছিলেন, তৃণমূলের তপ্ত তাওয়া থেকে বিজেপির ফুটন্ত তেলে ঝাঁপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত মূর্খামি।

খোলস

এই চরে এত রাতে “ মারা গেল! মারা গেল!”, বলে কে চিল্লায়? দু’বার চিল্লেই চিল্লানোটা হাওয়া হয়ে যায়। এখন চর আবার চুপ। মকদুম মৌলভী খানিক তাজ্জব বনে যায়। এখানে কারো কিছু হলে “ আগগে মা’গে মইরা গ্যাল্লো রে!” বলেই বিলাপের রীতি। ‘বিলাপ’ শব্দটাও এখানে মকদুম ছাড়া কেউ জানে বলে মকদুমের মনে হয় না। তারা সোজা ভাবে বলেঃ “কান্না কইরছে”।

বাঙালী জাতিসত্ত্বার প্রশ্নটিকে বাঙালি কমিউনিষ্টরা আর কবে গুরুত্ব দেবে?

বাঙালি কমিউনিষ্টরা লেনিনের মতই যদি বলতে পারতেন যে, “আমরা গর্ববোধ করি বাঙালিদের মধ্যে থেকেই এসেছেন চৈতন্য, লালনের মত চিন্তাবিদরা, এসেছেন বহু বৌদ্ধ আচার্যরা, এসেছেন বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথের মত ব্যক্তিরা যাঁরা যাঁরা স্ব স্ব ক্ষেত্রে সকলেই ছিলেন বিপ্লবী”। বাঙালিদের মধ্য থেকেই এসেছেন অসংখ্য বিজ্ঞানীরা যাঁরা হিন্দু সমাজের ফতোয়া অগ্রাহ্য করে বিজ্ঞান চর্চা করেছেন, সমাজ-সংস্কার করেছেন। সমাজকে এগোতে সাহায্য করেছেন তাহলে কেমন হতো? বিষয়টা ভাবার এখনই তো সময়!