রণেনবাবুর ঠিক আধা-আধি যখন বয়স আমার, সেবারও বিলেত থেকে রাবার জিতে ফিরেছিল ভারত। রাহুল দ্রাবিড় যে ক্যাপটেন সেবার মনে ছিল বিলক্ষণ। খালি ভেন্যুটা মাথায় না আসায় খুলেছিলাম গুগল। স্ক্রল করে করে দেখছিলাম সেই নটিংহ্যাম টেস্টের স্কোরকার্ড। তখনই চোখে পড়ল সালটা।
সোনম ওয়াংচুক পরিবেশ আন্দোলনে শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত এক নাম। যে আন্দোলন তিনি গড়ে তুলেছেন লাদাখে, তা অন্য অঞ্চলের পরিবেশ আন্দোলনকেও শক্তিশালী করবে, হিমালয় ছাড়িয়ে সে বার্তা পৌঁচচ্ছে দেশে-দেশে। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অবদমিত গণতান্ত্রিক অধিকারকে মুক্ত করার দাবী তাঁরা তুলেছেন। কর্পোরেট স্বার্থে নয়, লাদাখের মানুষের স্বার্থে পরিবেশ উপযোগী উন্নয়নের অধিকার নিশ্চিত করার জন্যই তাঁরা গণতান্ত্রিক শাসনের অধিকার চাইছেন।
রাষ্ট্র কখনও নিরস্ত্র বিপ্লবীদের ছেড়েছে? নিরস্ত্র হিডমা সহ আরও অনেককে আদালতে তোলবার সাহস দেখাতেও ব্যর্থ হয়েছে। হত্যা করে যখন তাঁর দেহের দখল নিয়েছে তখন তাঁর পাশে জীবনসঙ্গিনী, রাজ্জাকা শুয়ে। অনেক তথাকথিত সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী আবার তা নিয়ে আনন্দ করলেন। রাষ্ট্র হয়তো আজকে দৃশ্যত সাময়িকভাবে জিতে গেল, কিন্তু হিডমাদের মৃত্যু হয়না।
বিহার ভোটের পরে জনমানসে নির্বাচন কমিশনের প্রতি সন্দেহ বাড়তেই থাকবে, কমবে না৷ হঠাৎ আচমকা ভোটার সংখ্যা বেড়ে যাবে, বিকেল পাঁচটার পর ভোট দেওয়া বেড়ে যাবে: কিন্তু তার সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যাবে না, একজনের ছবিতে একাধিক এপিক নম্বর সহ ভোটার কার্ড আসবে, শূন্যনম্বর বাড়ির মিস্টার ABCD এর ৮০ জন ছেলে মেয়ে ভোটে দেবে, ভোটার বুথে গিয়ে দেখবেন তার নাম উধাও আরও যে কত রকম পদ্ধতি!
রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩৪ বছর বয়সী মামদানিকে পাগল "কমিউনিস্ট" হিসাবে নিন্দা করলেও পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী এবং জনবহুল শহরগুলির মধ্যে একটির মেয়র পদে তাঁর এই জয়, ডেমোক্র্যাট এবং MAGA রিপাবলিকান দুপক্ষেরই রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। এরই মধ্যে মামদানিকে ঠেকাতে একবারে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল মামদানির নাগরিকত্ব বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন রিপাবলিকানরা।
কোন কোন দিন সকালের নামাজ পড়তে ওঠা সাজিয়ার পক্ষে অসম্ভব হত। এইজন্য ও উচ্চ রক্তচাপের অজুহাত দিত। বারবার বলত যে হতচ্ছাড়া ট্যাবলেটগুলোর জন্য ওর মনে কোন শান্তি নেই।
যারা এই নথির গাড্ডায় পড়বে, তাদের একটি বড় অংশের, যার মধ্যে সিংহভাগ মহিলা, ধরাছোঁয়ার মধ্যে সেসব নথি নেই। এই বিষম পরিবেশে এর দায় ভোটারদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন নাগরিকত্বের কষ্টিপাথরে ভোটাধিকারের পবিত্রতা বিধানে নেমেছে। নথিপত্রের সমস্যা আদৌ ব্যক্তিগত ঘাটতির বিষয় নয়, সমস্যা কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক, যাতে বাস্তবিক ভুক্তভোগী ভোটারদের হাত নেই।
বন্দেমাতরম গানের একটি অংশ বর্জনের জন্য সেকালের কংগ্রেস নেতৃত্বকে সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেছেন ১৯৩৭ সালেই জাতীয় কংগ্রেস তাঁদের পক্ষ থেকে এই গানের বড় অংশকে বাদ দিয়ে দিয়েছিল। বন্দেমাতরম গানের দেড়শো বছর প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতায় এই সমালোচনা উঠে আসার পরেই নতুন করে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। এই বিতর্কের তাৎপর্যটি বুঝতে হলে আমাদের সেই সময়ের ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাতে হবে।
একটি ছোট পরিবর্তন (যেমন বননিধন)➤ বড় পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করে ➤যার ফলে নতুন পরিবর্তন আরও তীব্রভাবে সেই ধ্বংসকে বাড়িয়ে তোলে ➤ অবশেষে সিস্টেমটি “tipping point” অতিক্রম করে পড়ে যায় এক অপ্রত্যাবর্তনীয় সংকটে। তাই বলা যায় –এটি এমন একটি দশাবিন্দু, যেখানে কোন প্রাকৃতিক ব্যবস্থায় ছোট একটি পরিবর্তন ঘটলেও সেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থায় রূপ নেয়। যেমন হিমালয় গ্লেসিয়ার➤ বরফ গলন➤ নদীপ্রবাহ অস্থির➤ ভূমিধস➤উদ্ভিদ ধ্বংস➤ আরও উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বরফের গলন।
বাহারুল ছুটছে। পায়ের চটিজোড়া কোথায় ছিটকে পড়েছে কে জানে, খালি পায়েই উদ্ভ্রান্তের মত ছুটছে বাহারুল। এখন কি রাত্তির? না, রাত্তির হবে কি করে, ওই তো খটখটে রোদে, কালো পিচ রাস্তায়, বছর তিরিশের রুগ্ন এক যুবকের ছায়া পড়েছে, ঘামে চপচপে তার মুখখনা অবিকল আধার কার্ডের বাহারুলের মতই দেখতে।
বাহারুল ছুটছে। পায়ের চটিজোড়া কোথায় ছিটকে পড়েছে কে জানে, খালি পায়েই উদ্ভ্রান্তের মত ছুটছে বাহারুল। এখন কি রাত্তির? না, রাত্তির হবে কি করে, ওই তো খটখটে রোদে, কালো পিচ রাস্তায়, বছর তিরিশের রুগ্ন এক যুবকের ছায়া পড়েছে, ঘামে চপচপে তার মুখখনা অবিকল আধার কার্ডের বাহারুলের মতই দেখতে।
একটি ছোট পরিবর্তন (যেমন বননিধন)➤ বড় পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করে ➤যার ফলে নতুন পরিবর্তন আরও তীব্রভাবে সেই ধ্বংসকে বাড়িয়ে তোলে ➤ অবশেষে সিস্টেমটি “tipping point” অতিক্রম করে পড়ে যায় এক অপ্রত্যাবর্তনীয় সংকটে। তাই বলা যায় –এটি এমন একটি দশাবিন্দু, যেখানে কোন প্রাকৃতিক ব্যবস্থায় ছোট একটি পরিবর্তন ঘটলেও সেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থায় রূপ নেয়। যেমন হিমালয় গ্লেসিয়ার➤ বরফ গলন➤ নদীপ্রবাহ অস্থির➤ ভূমিধস➤উদ্ভিদ ধ্বংস➤ আরও উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বরফের গলন।
দেশের অন্যতম বিশিষ্ট সাংবাদিক রভীশকুমার বলেছিলেন গোদী মিডিয়া না দেখতে। দিল্লির ক্ষেত্রে অনেকসময়ে এই কথা মেনে চললেও, বাংলার ক্ষেত্রে আমরা নানান সময়ে এই গোদী মিডিয়ার ভাষ্যেই বিশ্বাস করে থাকি। আসলে আমরা যেটা বিশ্বাস করি সেটাই গোদী মিডিয়া দেখায়। এটা একটা বৃত্ত, যার কোনও শেষ নেই। আমরা ভাবতে যা ভালোবাসি, সেটাই গোদী মিডিয়া আমাদের দেখায়। আমরা পাশের মুসলমান মানুষটিকে অনুপ্রবেশকারী ভাবি, কিন্তু হিন্দিভাষী মানুষটিকে ভাবি না, তাই গোদী মিডিয়াও সেটা দেখায় না।
আজকের ভারতে রাজনীতি সংস্কৃতিকে গ্রাস করছে। তাই রবীন্দ্রনাথের গান, রবীন্দ্রনাথের ভাবনা প্রতিস্রুত প্রাতিষ্ঠানিক নেতাদের কাছে এখন “রাজনৈতিক ঝুঁকি”। মনে রাখতে হবে—সংস্কৃতিই রাজনীতিকে শেখায় কীভাবে মানুষ হতে হয়। রবীন্দ্রনাথের মতে—সংস্কৃতি মানে স্বাধীন চিন্তার বিকাশ। সেই চিন্তাকেই আটকাতে চাইছে বিজেপি আরএসএস। সেই জন্যেই কি রবীন্দ্রনাথের 'আমার সোনার বাংলা' গানকে নিষিদ্ধ করতে চাইছে আজকের শাসকেরা?
ফ্যাসিস্ট বিজেপি-আরএসএস চায় ভারতবর্ষকে হিন্দুরাষ্ট্র বানাতে। সেই হিন্দুরাষ্ট্রের হিন্দু কোনও দলিত হিন্দু নয়। আরএসএস'এর মতে হিন্দুরাষ্ট্রের হর্তাকর্তারা হবেন উচ্চবর্ণের হিন্দু। ব্রাহ্মণ। বিজেপি যতই বলুক দলিত-আদিবাসী সকলেই হিন্দু, ভারতীয় মুসলমানরাও হিন্দু– আসলে তাদের কাছে শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ পুরুষেরাই হিন্দু। তাই সারা দেশে দলিত হিন্দুরা স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও প্রতিদিন উচ্চবর্ণের কাছে নির্যাতনের শিকার হন।
‘উঁহু, আমি নেব না। ৪৭-এর অর্ডার ঢুকবে এখন। এটা পল্টুকে দিয়ে দে।’ মোবাইলের স্ক্রিনে রাজ সিমরানের প্রেমগাথায় মন গেঁথে রেখে, কাগজের কাপে চায়ের লম্বা চুমুক শেষ করে কথাটা বলল রাজু। ‘পল্টুর ফিরতে টাইম লাগবে। দূরে গেছে। ততক্ষণ কি কাস্টমারকে বলব বসে বসে আঙ্গুল চুষুন?’