দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ যে অতিধনী আছেন, তাঁদের সম্পত্তির অল্প কিছু অংশ সরকার কর বা অন্যান্য উপায়ে নিয়ে তা কি সাধারণ মানুষের কাজে লাগানো সম্ভব? প্রশ্ন তুলেছেন শমীক সরকার। এটি দ্বিতীয় কিস্তি।
দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ যে অতিধনী আছেন, তাঁদের সম্পত্তির অল্প কিছু অংশ সরকার কর বা অন্যান্য উপায়ে নিয়ে তা কি সাধারণ মানুষের কাজে লাগানো সম্ভব? প্রশ্ন তুলেছেন শমীক সরকার।
সুধাময় খুশি হলেন। ডাক্তারবাবু চেম্বারে আছেন। প্লাইউডের পার্টিশান দিয়ে ঘেরা চেম্বারে বসে রুগী দেখছেন। অপেক্ষাঘরে একটি লম্বা বেঞ্চের মাঝামাঝি জায়গায় মাত্র দুজন মানুষ বসে রয়েছেন। আপাতভাবে যাদের স্বামী স্ত্রী বলে মনে হচ্ছে। দুজনের মধ্যে যে কেউ একজন রোগী। অন্যজন তার সঙ্গী। এমনটা ভেবে সুধাময় একটু আশ্বস্ত হলেন। ঠিক সময়েই তিনি বাড়ি ফিরে যাবেন এবং প্রতিদিনের মতো রাতের খাবারটা আজও নির্দ্ধারিত সময়েই শেষ করবেন।
আজ এই কর্পোরেট শাসিত চিকিৎসা ব্যবস্থায় মুনাফা যখন সমস্ত আলোচনার ভরকেন্দ্রে তখন নর্মান বেথুন, দ্বারকানাথ কোটনিশের পথ ধরে আজও কিছু চিকিৎসক জেগে থাকেন মানবতার উজ্জ্বল প্রহরী হয়ে। আদিবাসী মানুষদের অধিকার রক্ষার সওয়ালের জন্য বিনায়ক সেনকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে জেলে পোরা হয়। সংখ্যায় সামান্য হলেও এই চিকিৎসকরা আজও আমাদের ভরসা। এইরকমই এক চিকিৎসকের নাম কাফিল খান।
রাজ্য সরকার যোগ্য প্রার্থীদের তাদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছেন প্রথম থেকেই। এখনও যখন এসএসসি সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে, তখন সে যাচ্ছে পুরো রায়কে চ্যালেঞ্জ করে। ‘অযোগ্যদের চাকরি যাক, কিন্তু যোগ্যদের চাকরি যেতে দেব না’, এই কথা তার স্পষ্ট ভাবে বলা উচিত ছিল। এমতাবস্থায় যোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করে, ব্যক্তিগত ভাবে সুপ্রিম কোর্টে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করা উচিত বলে মনে হয়। ঠগ বাছতে গাঁ উজার যেমন ঠিক নয়, তেমনি দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টাও কোনও কাজের কথা নয়।
২০২৪ এর জাতীয় কংগ্রেস ২০০৯ সালের কংগ্রেসের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত, সাধারণ মানুষের অনেক বেশি কাছের। রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রায় প্রত্যক্ষ করেছেন গরিব খেটে খাওয়া মানুষের যন্ত্রনা। তারই প্রকাশ ঘটেছে কংগ্রেসের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে। ওদিকে বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারের নাম ‘মোদির গ্যারান্টি’। মূলত সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদকে ভিত্তি করে বি জে পি- র এবারের সংকল্প পত্র। ১৪ টি বিষয়ে তারা জোর দিয়েছে। একটি তূলনামূলক বিশ্লেষণ রাখলেন দেবাশিস মিথিয়া।
‘ইম্পিরিয়ালইজম : দ্য হায়েস্ট স্টেজ অব ক্যাপিটালিজম’ নামক বইতে লেনিন দেখান সাম্রাজ্যবাদের আমলে দেখা দেয় বড় বড় একচেটিয়া কারবার ও পুঁজিপতিদের জোট। এই সাম্রাজ্যবাদকে তাই লেনিন বলেন একচেটিয়া পুঁজিবাদ। বিশ্বের কাঁচামালের উৎস, পণ্যোৎপাদন ও বাজারের একটা বৃহৎ অংশ দখল করে নেয় একচেটিয়া মালিকেরা। বুর্জোয়া রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবনে প্রভুত্ব করতে থাকে তারা, সরকারগুলির ওপর নিজেদের অভিপ্রায়কে চাপিয়ে দেয়। আজ ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনকে আবার পড়া জরুরি।
---- দাও, কাগজের প্রথম পাতাটা দাও তো। শুভমনের সেঞ্চুরির খবরটা একবার দেখি। স্বপ্নময়ের দিকে হাত বাড়িয়ে দিল শুভমন।
ভোট ব্যবস্থা এবং ভোটের মাধ্যমে শাসক বদলের নেপথ্যে যে সব রহস্যময় ক্ষমতার সমীকরণ প্রধান ভূমিকা নেয়, সেসব কখনোই মূল ধারার সংবাদপত্র জনসমক্ষে আনতে চায় না। অতিসরলীকৃত কিছু ন্যারেটিভ এর মধ্যে জনমানসকে তারা বেঁধে রাখতে চায়। এই আখ্যানের বাইরে গিয়ে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন এবং পট পরিবর্তনের বাস্তবতাকে একটু বোঝার চেষ্টা করা যাক।
সামনে লোকসভা নির্বাচন, মানুষ ভোট দিতে যাবে। বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন, দার্জিলিং। সেখানকার গতি প্রকৃতি কেমন? কে কোন অবস্থানে আছেন।
সামনে লোকসভা নির্বাচন, মানুষ ভোট দিতে যাবে। বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন, দার্জিলিং। সেখানকার গতি প্রকৃতি কেমন? কে কোন অবস্থানে আছেন।
ভোট ব্যবস্থা এবং ভোটের মাধ্যমে শাসক বদলের নেপথ্যে যে সব রহস্যময় ক্ষমতার সমীকরণ প্রধান ভূমিকা নেয়, সেসব কখনোই মূল ধারার সংবাদপত্র জনসমক্ষে আনতে চায় না। অতিসরলীকৃত কিছু ন্যারেটিভ এর মধ্যে জনমানসকে তারা বেঁধে রাখতে চায়। এই আখ্যানের বাইরে গিয়ে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন এবং পট পরিবর্তনের বাস্তবতাকে একটু বোঝার চেষ্টা করা যাক।
কেন নির্বাচনী জনসভায় মানুষের খাওয়া, পরা নিয়ে কথা বলছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী? উত্তর হল বিভাজনের রাজনীতিকে তীব্র করে তুলে, সহনাগরিক মুসলমান সমাজের মধ্যে একটা ভয়ের ভূগোলকে প্রলম্বিত করা। এভাবেই রাজনৈতিক হিন্দুরাষ্ট্রের দিকে হিন্দুত্ববাদী শিবিরের যে ভারতকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র, সেই ষড়যন্ত্রকেই সমাজের আরো গভীরে ছড়িয়ে দেওয়া টাই হিন্দুত্ববাদীদের একমাত্র টার্গেট।
এপার বাংলার মানুষ যেমন নববর্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন ঠিক তেমনি ওপার বাংলার বাঙালিরাও মেতে ওঠেন বর্ষবরণের উৎসবে। নববর্ষের দিন রমনার বটমূলে ছায়ানটের গানের অনুষ্ঠান হয়। সূর্য উঠার সাথে সাথে নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় রমনার বটমূল গানে গানে মুখরিত হয়ে উঠে। সকলে মিলে একই সুরে গেয়ে ওঠে-“এসো, হে বৈশাখ এসো এসো”। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ গ্রামীন সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন মুখোশ ও মুর্তি বানায়, যা ঢাকার রাস্তায় বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় ব্যবহার করা হয়। তার নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন সব ধর্মের মানুষ। এখানেই উৎসব হারিয়ে দেয় ধর্মকে।
আর এস এসের ছুটির তালিকায় বড়দিনের, ঈদের বা মহরমের ছুটি থাকার কথা নয়, তাদের হিন্দু রাষ্ট্রে তো এটাই কাম্য। কিন্তু আমরা কজন জানি যে সেই কাঙ্খিত হিন্দু রাষ্ট্রে দোল উৎসব, দুর্গাপূজার সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী কিংবা লক্ষ্মীপুজোর ছুটিও নেই, কেননা সেগুলো আর এস এসের কল্পিত হিন্দু রাষ্ট্রে হিন্দুদের উৎসব নয়। কী বোঝা গেল বাঙালি? ওরা না হয় মুসলমান, আপনারা তো বাঙালি! আর এস এসের রাজনৈতিক মুখ বিজেপি ক্ষমতায় আরেকবার এলে বাঙালির আরও কী কী উৎসব চিরকালের জন্য নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে তার ইঙ্গিত রয়েছে এই বইয়ের বিভিন্ন ছত্রে, বিশেষ করে আর এস এসের ছুটির তালিকায়।
বাংলায়, ইন্ডিয়া জোটের নির্বাচনী ঐক্য হয়নি। ঠিক যেমন হয়নি কেরালাতে। তাহলে ইন্ডিয়া জোটের কোনও শরিক, যদি বাংলায় বা কেরালায়, এই শরিকদলের কোনও একটি দলকে ভোট দিতে না বলে, জনগণের বিচারবুদ্ধির ওপর ছেড়ে দিয়ে বলে বিজেপিকে হারান, কাকে হারানো উচিৎ, তা যদি জনগণের প্রজ্ঞার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে ভুল কোথায়?