বন্দেমাতরম গানের একটি অংশ বর্জনের জন্য সেকালের কংগ্রেস নেতৃত্বকে সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেছেন ১৯৩৭ সালেই জাতীয় কংগ্রেস তাঁদের পক্ষ থেকে এই গানের বড় অংশকে বাদ দিয়ে দিয়েছিল। বন্দেমাতরম গানের দেড়শো বছর প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতায় এই সমালোচনা উঠে আসার পরেই নতুন করে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। এই বিতর্কের তাৎপর্যটি বুঝতে হলে আমাদের সেই সময়ের ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাতে হবে।
SIR কি NRC-র মতোই? আমাদের আশঙ্কা, “Special Intensive Revision”-এর আড়ালে National Population Register (NPR) এবং পরবর্তীতে National Register of Citizens (NRC) চালু করার পরিকল্পনা হতে পারে পশ্চিমবঙ্গে। যদি ট্রান্স- ক্যুয়ার মানুষদের SIR থেকে বাদ দেওয়া হয়, তবে তাঁরা তাঁদের নাগরিকত্বের অধিকার হারানোর ঝুঁকিতে পড়বেন।
বাহারুল ছুটছে। পায়ের চটিজোড়া কোথায় ছিটকে পড়েছে কে জানে, খালি পায়েই উদ্ভ্রান্তের মত ছুটছে বাহারুল। এখন কি রাত্তির? না, রাত্তির হবে কি করে, ওই তো খটখটে রোদে, কালো পিচ রাস্তায়, বছর তিরিশের রুগ্ন এক যুবকের ছায়া পড়েছে, ঘামে চপচপে তার মুখখনা অবিকল আধার কার্ডের বাহারুলের মতই দেখতে।
একটি ছোট পরিবর্তন (যেমন বননিধন)➤ বড় পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করে ➤যার ফলে নতুন পরিবর্তন আরও তীব্রভাবে সেই ধ্বংসকে বাড়িয়ে তোলে ➤ অবশেষে সিস্টেমটি “tipping point” অতিক্রম করে পড়ে যায় এক অপ্রত্যাবর্তনীয় সংকটে। তাই বলা যায় –এটি এমন একটি দশাবিন্দু, যেখানে কোন প্রাকৃতিক ব্যবস্থায় ছোট একটি পরিবর্তন ঘটলেও সেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থায় রূপ নেয়। যেমন হিমালয় গ্লেসিয়ার➤ বরফ গলন➤ নদীপ্রবাহ অস্থির➤ ভূমিধস➤উদ্ভিদ ধ্বংস➤ আরও উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বরফের গলন।
দেশের অন্যতম বিশিষ্ট সাংবাদিক রভীশকুমার বলেছিলেন গোদী মিডিয়া না দেখতে। দিল্লির ক্ষেত্রে অনেকসময়ে এই কথা মেনে চললেও, বাংলার ক্ষেত্রে আমরা নানান সময়ে এই গোদী মিডিয়ার ভাষ্যেই বিশ্বাস করে থাকি। আসলে আমরা যেটা বিশ্বাস করি সেটাই গোদী মিডিয়া দেখায়। এটা একটা বৃত্ত, যার কোনও শেষ নেই। আমরা ভাবতে যা ভালোবাসি, সেটাই গোদী মিডিয়া আমাদের দেখায়। আমরা পাশের মুসলমান মানুষটিকে অনুপ্রবেশকারী ভাবি, কিন্তু হিন্দিভাষী মানুষটিকে ভাবি না, তাই গোদী মিডিয়াও সেটা দেখায় না।
আজকের ভারতে রাজনীতি সংস্কৃতিকে গ্রাস করছে। তাই রবীন্দ্রনাথের গান, রবীন্দ্রনাথের ভাবনা প্রতিস্রুত প্রাতিষ্ঠানিক নেতাদের কাছে এখন “রাজনৈতিক ঝুঁকি”। মনে রাখতে হবে—সংস্কৃতিই রাজনীতিকে শেখায় কীভাবে মানুষ হতে হয়। রবীন্দ্রনাথের মতে—সংস্কৃতি মানে স্বাধীন চিন্তার বিকাশ। সেই চিন্তাকেই আটকাতে চাইছে বিজেপি আরএসএস। সেই জন্যেই কি রবীন্দ্রনাথের 'আমার সোনার বাংলা' গানকে নিষিদ্ধ করতে চাইছে আজকের শাসকেরা?
ফ্যাসিস্ট বিজেপি-আরএসএস চায় ভারতবর্ষকে হিন্দুরাষ্ট্র বানাতে। সেই হিন্দুরাষ্ট্রের হিন্দু কোনও দলিত হিন্দু নয়। আরএসএস'এর মতে হিন্দুরাষ্ট্রের হর্তাকর্তারা হবেন উচ্চবর্ণের হিন্দু। ব্রাহ্মণ। বিজেপি যতই বলুক দলিত-আদিবাসী সকলেই হিন্দু, ভারতীয় মুসলমানরাও হিন্দু– আসলে তাদের কাছে শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ পুরুষেরাই হিন্দু। তাই সারা দেশে দলিত হিন্দুরা স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও প্রতিদিন উচ্চবর্ণের কাছে নির্যাতনের শিকার হন।
‘উঁহু, আমি নেব না। ৪৭-এর অর্ডার ঢুকবে এখন। এটা পল্টুকে দিয়ে দে।’ মোবাইলের স্ক্রিনে রাজ সিমরানের প্রেমগাথায় মন গেঁথে রেখে, কাগজের কাপে চায়ের লম্বা চুমুক শেষ করে কথাটা বলল রাজু। ‘পল্টুর ফিরতে টাইম লাগবে। দূরে গেছে। ততক্ষণ কি কাস্টমারকে বলব বসে বসে আঙ্গুল চুষুন?’
বাঙালি সমাজে কয়েক'শ বছর ধরে কালো পুরুষটিকে অসুর-মহিষাসুর যা অশুভ শক্তি, এই রূপেই চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু, অসুর জাতির অস্তিত্ব সিন্ধু-হরপ্পা ইত্যাদি প্রাচীন সভ্যতায় পাওয়া গেছে। বর্তমানে এঁদের দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল প্রভৃতি দেশগুলোতে ভালো পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, উড়িষ্যা, ছত্তিশগড় প্রভৃতি জায়গার পাহাড়, পর্বত, বনাঞ্চল জুড়ে অসুর জাতির লোকেরা বসবাস করেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যাপক ডঃ আশুতোষ ভট্টাচার্য সর্বপ্রথম ছ বা ছো নাচের পরিবর্তে ছৌ নামে অভিহিত করেন এবং বিদেশে এই নাচের প্রদর্শনের ব্যবস্থা করার পরে এই নাচ ছৌ নাচ নামে জনপ্রিয় হয়ে পড়ে। সুধীর কুমার করণ, 'সীমান্ত বাংলার লোকযান' বইতে বলেছেন, "ডঃ আশুতোষ ভট্টাচার্য মহাশয়ও ছৌ নামকরণের পক্ষে কোন যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যাপক ডঃ আশুতোষ ভট্টাচার্য সর্বপ্রথম ছ বা ছো নাচের পরিবর্তে ছৌ নামে অভিহিত করেন এবং বিদেশে এই নাচের প্রদর্শনের ব্যবস্থা করার পরে এই নাচ ছৌ নাচ নামে জনপ্রিয় হয়ে পড়ে। সুধীর কুমার করণ, 'সীমান্ত বাংলার লোকযান' বইতে বলেছেন, "ডঃ আশুতোষ ভট্টাচার্য মহাশয়ও ছৌ নামকরণের পক্ষে কোন যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
বাঙালি সমাজে কয়েক'শ বছর ধরে কালো পুরুষটিকে অসুর-মহিষাসুর যা অশুভ শক্তি, এই রূপেই চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু, অসুর জাতির অস্তিত্ব সিন্ধু-হরপ্পা ইত্যাদি প্রাচীন সভ্যতায় পাওয়া গেছে। বর্তমানে এঁদের দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল প্রভৃতি দেশগুলোতে ভালো পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, উড়িষ্যা, ছত্তিশগড় প্রভৃতি জায়গার পাহাড়, পর্বত, বনাঞ্চল জুড়ে অসুর জাতির লোকেরা বসবাস করেন।
আজকের দিনে সোনাম ওয়াংচুক শুধু এক বন্দি নন, তিনি এক পরীক্ষার নাম। পরীক্ষাটা রাষ্ট্রেরও—কীভাবে আইন প্রয়োগ করবে। পরীক্ষাটা জনগণেরও—কীভাবে নিজেদের কণ্ঠস্বর রক্ষা করবে। বরফ জমছে, জল গোপনে গান গাইছে। একদিন সেই গান পাহাড় ছাপিয়ে সমতলেও পৌঁছাবে। তাই বরফে আটকে থাকা সোনাম ওয়াংচুকের কন্ঠস্বরকে আজ আটকে রাখা গেলেও, বেশীদিন কিন্তু তা পারা যাবে না।
বিহারে নির্বাচন তালিকার যে বিশেষ নিবিড় সংশোধন হয়েছে তার থেকে নির্বাচন কমিশনের মনভাব স্পষ্ট হতে আর বাকি কিছু নেই। পরিস্কারই বোঝা যায় তাদের মূল উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া। বিহার দিয়ে শুরু হলেও এই প্রক্রিয়া চলবে গোটা দেশ জুড়ে। এরপর পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ওড়িশ্যার কথা বলা হচ্ছে। বিহারের মানুষ প্রতিরোধে সামিল হচ্ছে, পালা আসছে আমাদেরও, বুঝে ও যুঝে নেওয়ার। এখন বাংলা সহ আরও ১২টি রাজ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে, তাই এই বিষয়টা সবার ভালো করে জানা উচিৎ।
প্রকৃতি পরিবেশের দূষণ নিয়ে ভাবনা? সে তো অযুত যোজন দূরে! তাই নিজেরা সচেতন হয়ে বাজির ব্যবহার বন্ধ না করলে, আইনি, বেআইনি, সবরকম ভাবেই বাজি তৈরি চলতেই থাকবে। চালু থাকবে সব দিক থেকে প্রাণঘাতী এই ‘শিল্প’। চলতেই থাকবে মানুষ সহ সমগ্র প্রাণের বিপর্যয়। সরকার ও নীতি নির্ধারকরা যখন উদাসীন থাকে, তখন নিজেদের ভালোমন্দ নাগরিককেই বুঝে নিতে হয়।
নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি কাজে লাগিয়ে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লি জয়টা নিশ্চিত করতে পেরেই ঝাঁপি খুলে দিল এসআইআর। ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনীর নামে বেছে বেছে দলিত, সংখ্যালঘু, মূলনিবাসী, গরিব মানুষদের ভোটাধিকার কেড়ে নাও। এ শুধু বিহারেই থেমে থাকবে না, সব রাজ্যে হবে। পুরোনো ভোটার তালিকাকে খারিজ করে নতুন ভোটার তালিকা বানানোর প্রস্তুতিপর্ব। স্বৈরাচারী-গণতন্ত্রকে আশ্রয় করে এসআইআর গণতন্ত্রের ভিত নাড়িয়ে দিচ্ছে।