পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

পুরানো লেখাগুলি

আরাবল্লি পাহাড় বাঁচানোর তীব্র লড়াই আন্দোলনকে সরাসরি সমর্থন করুন

আরাবল্লি পর্বতমালা উত্তরভারতে ২০০ কোটি বছর ধরে ভূ-প্রাকৃতিক বাফার জোন হিসেবে কাজ করছে। ভাবতেও অবাক লাগে যে, এই দুইশো কোটি বছরের পাহাড়ের ভূগোল ইতিহাস ভবিষ্যত নির্ধারন করছে মাত্র দুইশো বছরের ‘প্রগতিশীল’ মানুষ। হায়রে আমার সভ্য মানুষ। একেই নাকি বলে সভ্যতা!

কারা দেশদ্রোহী? দেশপ্রেমিকই বা কারা?

যে ব্যক্তি এক সময় কলকাতায় দক্ষিণপন্থী মিহির সাহার হয়ে ভোটের ক্যাম্পেন করতেন আর ফলাফল ঘোষণার পর হতাশ হতেন, আজ তাঁর হতাশার কারণ সম্পূর্ণ বিপরীত। দেশদ্রোহ আর দেশপ্রেমকে ঘিরে চিরাচরিত দ্বন্দ্ব আর আনুষঙ্গিক বিষয় হিসেবে তাঁর হতাশার সেইসব কারণই লেখক প্রসঙ্গক্রমে একাধিকবার দর্শানোর নীতিনিষ্ঠ প্রয়াস চালিয়েছেন এই ‘আপনি কি দেশদ্রোহী?’ বইটাতে।

গান্ধীর সাথে ১০০০ কিলোমিটার দ্বিতীয় পর্ব

২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবসে এই পদযাত্রার পরিপূর্ণতা হলো দিল্লির যন্তর মন্তরে। ১০০০ কিলোমিটার পথ ৫৬ দিন ধরে হেঁটে এলেন যাঁরা বহু চোখরাঙানিকে তুচ্ছ করে, সত্য, ন্যায়, অহিংসা, প্রেমের পথ ধরে হেঁটে এলেন তাদের সকলকে কুর্নিশ জানাতে, পাশে থাকতে এসে পৌঁছলাম একবেলার জন্য। গান্ধীর সাথে ১০০০ কিলোমিটার পদযাত্রার অভিজ্ঞতা সত্যিই অন্যরকম। সেই অভিজ্ঞতাই ভাগ করে নিলেন মনীষা বন্দ্যোপাধায়।

গান্ধীর সাথে ১০০০ কিলোমিটার প্রথম পর্ব

গান্ধীর সাথে পথ চলা, এমনই একটি ঘটনা ঘটে গেল প্রায় ৫৬ দিন ধরে। এদেশের ১০০০ কিলোমিটার পথ ধরে বেশ কিছু মানুষ হাঁটলেন বেনারসের রাজঘাট থেকে দিল্লির রাজঘাট পর্যন্ত। দেশের বাইশটি প্রদেশের পদযাত্রী এতে যুক্ত হয়েছিলেন। 'এক কদম গান্ধী কে সাথ' এই ছিল মূল কথা এবং তার সাথে যুক্ত হয়েছিল 'প্যায়ার কি কারওয়া'র কথা। ‌

বেনাগরিক

"আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী এসআইআর" সকালে খবরের কাগজ দেখে চমকে উঠল সুকান্ত। ভদ্রলোক অবিবাহিত। এদেশেই তার জন্ম কিন্তু দু'হাজার দুই সালের ভোটার লিস্টে তার বাবার কিংবা তার নিজের নাম ছিল না। ভদ্রলোকের বাবা বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন। তার বাবা দশ বছর আগে মারা গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কি হবে! এসআইআর-এর আতঙ্কে ভদ্রলোক কয়েকদিন ধরেই চিন্তায় ছিলেন এবং শেষ পরিণতি আত্মহত্যা।

বিজেপির শাসনে কালো টাকাও নেই, কালো টাকার বিদেশ গমনও নেই

রাজপাটে মৌরসী পাট্টা গেড়ে বসার পরে কেনই বা দুধেল গাইদের বিদেশে গচ্ছিত টাকা নিয়ে টানাটানি করা হবে? কখনো কখনো তাঁরা দেশ ছেড়ে বিদেশে যাবেন, সেই বন্দোবস্ত রাখতে হবে বৈকি। তাঁরা তো নির্বাচনী তহবিলে নামে বেনামে টাকা দেন, নির্বাচনী বন্ডও কিনেছেন। তাই এখন কালো টাকাও নেই, কালো টাকার বিদেশ গমনও নেই। কিছুদিন পরে কি আমাদের এটাও জানানো হবে, যে ভারতে বিদেশী বলেই কেউ নেই, কিংবা এই SIR এর পরে যাঁদের বিদেশী বলে বলা হচ্ছে, সেটাও অত্যন্ত নগণ্য?

হিডমা হত্যা, উল্লাসের রঙ্গমঞ্চ, গোয়েঙ্কা স্মারক বক্তৃতা ইত্যাদি

মনমোহন সিং-চিদাম্বরমদের নকশাল তথা মাওবাদীদের সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গির কথা তো মোদির অজানা নয়। মনমোহন সিং তো বলেই দিয়েছিলেন : নকশালপন্থীরা দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে সবচাইতে বড়ো বিপদ (দ্য হিন্দু, নভেম্বর ১৭, ২০২১)। একদা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বর্তমান অমিত শাহের পূর্বসূরী চিদম্বরম তো স্পষ্টতই বলেছিলেন যে দেশের সন্ত্রাসবাদ দমনের চাইতেই বড়ো চালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে নকশালপন্থীরা (দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১১)!

ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা একটি রাষ্ট্রীয় নিষ্টুরতার আখ্যান

আজ ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫। আজ নির্বাচন কমিশন তাঁদের বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়ার ফল প্রকাশ করবে, অর্থাৎ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। আজ থেকে কিন্তু সমস্ত মানুষের অনিশ্চয়তা কেটে যাচ্ছে এমনটা নয়, উল্টে আজ থেকে বহু মানুষের অনিশ্চয়তা আরো বাড়বে। হয়রানি বাড়বে। নিজের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে সরকারের দপ্তরে দপ্তরে ঘুরতে হবে। আরো নতুন নতুন নিয়ম লাগু হবে, গোদী মিডিয়া জুড়ে সান্ধ্যকালীন চর্চার বিষয় হয়ে উঠবে, বাদ যাওয়া মানুষের সংখ্যা, কিন্তু মানুষের হয়রানি নিয়ে কেউ কথা বলবেন কি?

আরও পুরানো লেখাগুলি

চাষের রাজনীতির দুই দিক: সংঘপরিবার ও নকশালবাড়ি

গণহত্যার ফুলকপি চাষের ইতিহাসের সাথে অনেকেই পরিচিত হয়েছেন এ বছরের (২০২৫) মে মাসে। যখন অসংসদীয়, নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের নেতা, কর্মীদের গণহত্যার মধ্যেই সাধারণ সম্পাদককে হত্যা করা হল। তখন কুখ্যাত গণহত্যাকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মিম হাজির হল, হাসি মুখে ফুলকপি হাতে। ফুলকপির তলায় লেখা ছিল, 'রেস্ট ইন পিস নকশালিজম'। নকশাল রাজনীতির সংসদীয় ধারার অন্যতম প্রধান শক্তি সিপিআই(এমএল)(লিবারেশন) বিবৃতি দিয়ে সমালোচনা করেছিল।

একটি অপরাধের জবানবন্দী

ইন্টারোগেশান রুমে পাশাপাশি হাতকড়া পরানো অবস্থায় বসানো রয়েছে রাজু আর পলাশকে। চারজন কনস্টেবল ঘরের চার কোণে পাহারায় রয়েছেন। অফিসার রাত্রি গাঙ্গুলী এসে তাদের উল্টোদিকের চেয়ারে বসে হাতের ফাইলটা সশব্দে টেবিলে রাখলেন। ঘরের চারিদিকে আলো নেই, ওই টেবিলের ওপর শুধু জোরালো এক আলো জ্বলছে আর রাত্রির ঠিক পেছনে আরেকটা স্ট্যান্ড লাইট।

আখ্যান

একটি অপরাধের জবানবন্দী

ইন্টারোগেশান রুমে পাশাপাশি হাতকড়া পরানো অবস্থায় বসানো রয়েছে রাজু আর পলাশকে। চারজন কনস্টেবল ঘরের চার কোণে পাহারায় রয়েছেন। অফিসার রাত্রি গাঙ্গুলী এসে তাদের উল্টোদিকের চেয়ারে বসে হাতের ফাইলটা সশব্দে টেবিলে রাখলেন। ঘরের চারিদিকে আলো নেই, ওই টেবিলের ওপর শুধু জোরালো এক আলো জ্বলছে আর রাত্রির ঠিক পেছনে আরেকটা স্ট্যান্ড লাইট।

গ্রামবাংলার রাজনীতি (শেষ অংশ)

জমানা বদলের পর অর্থাৎ তৃণমূল রাজত্বকালে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা কাঠামোয় খুব পরিবর্তন হল, এমনটা ভাবলে ভুল ভাবা হবে। বলা যায়, সিপিএম পার্টি-প্রশাসনিকতার যে সম্মিলন ঘটিয়ে দীর্ঘকাল এই রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছিল, সেই একই পদ্ধতি তৃণমূল দলও অনুসরণ করে চলেছে। গ্রামবাংলার রাজনীতি নিয়ে চারটি প্রবন্ধের এটি শেষাংশ। আগের লেখাগুলোর সূত্রও থাকলো এই লেখার মধ্যে।

গ্রামবাংলার রাজনীতি (তৃতীয় অংশ)

শ্রমিক-কৃষক জনতার জঙ্গী আন্দোলন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠলে ফ্রন্ট নেতৃত্ব তাকে আইনি ও সাংবিধানিক সীমার মধ্যে বেঁধে রাখতে মনোযোগ দিল, যদিও তেভাগার মতো এই সময়েও কৃষক আন্দোলন পার্টির বেঁধে দেওয়া গন্ডি ছাপিয়ে গেল, লালঝাণ্ডা পুঁতে ভূস্বামীদের জমিদখল নিত্যকার ঘটনা হয়ে উঠল, জোতদার-ভিত্তিক দল বাংলা কংগ্রেসের পক্ষে যা মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। আজ তৃতীয় পর্ব গ্রামবাংলার রাজনীতি। আগের লেখার সূত্রগুলোও থাকলো এই লেখারই মধ্যে।

গ্রামবাংলার রাজনীতি (দ্বিতীয় অংশ)

গ্রামবাংলার রাজনৈতিক জীবনে সংগঠিত রাজনীতির প্রভাব যে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছিল সেই ১৯২০-৩০-এর দশক থেকেই, তার যথেষ্ট প্রমাণ কৃষক আন্দোলনের গবেষকদের লেখা থেকে পাওয়া যায়। ‘সংগঠিত রাজনীতি’ বলতে কি বোঝায়? এই সমস্ত কিছু বোঝার চেষ্টায় গ্রামবাংলার রাজনীতি (দ্বিতীয় অংশ) এই লেখাটি। আগের লেখার সূত্রও এই লেখার প্রথমেই থাকলো।

গ্রামবাংলার রাজনীতি (প্রথম অংশ)

পশ্চিমবঙ্গের নিচুতলার মানুষের মধ্যে সংসদীয় দলগুলোর প্রভাব-প্রতিপত্তি ও সংগঠন সম্ভবত সারা ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এরাজ্যের গ্রামাঞ্চলে পার্টি-রাজনীতির প্রভাব কতটা গভীর তার প্রমাণ পাওয়া যায় ১৯৯৮-পরবর্তী কয়েক বছরের রক্তক্ষয়ী গ্রাম দখলের সংঘর্ষে যা পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা-কেশপুর থেকে শুরু হয়ে বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। গ্রামবাংলার রাজনীতি নিয়ে চার পর্বের লেখার এটি প্রথম পর্ব।

চাষের রাজনীতির দুই দিক: সংঘপরিবার ও নকশালবাড়ি

গণহত্যার ফুলকপি চাষের ইতিহাসের সাথে অনেকেই পরিচিত হয়েছেন এ বছরের (২০২৫) মে মাসে। যখন অসংসদীয়, নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের নেতা, কর্মীদের গণহত্যার মধ্যেই সাধারণ সম্পাদককে হত্যা করা হল। তখন কুখ্যাত গণহত্যাকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মিম হাজির হল, হাসি মুখে ফুলকপি হাতে। ফুলকপির তলায় লেখা ছিল, 'রেস্ট ইন পিস নকশালিজম'। নকশাল রাজনীতির সংসদীয় ধারার অন্যতম প্রধান শক্তি সিপিআই(এমএল)(লিবারেশন) বিবৃতি দিয়ে সমালোচনা করেছিল।