পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

আবারো একটি ঐতিহাসিক ভুল হতে চলেছে। শুধু নিজেরা ক্ষমতায় থাকার জন্যেই তৃণমুল বিজেপির বিরোধিতা করছে, কোনও পলিসি বা নীতির বিরোধিতা করছে না। বামেদের দায়িত্ব ছিল বিজেপিকে সর্বস্তরে বিরোধিতা করার, যাতে তারা কেন্দ্রের বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে তৃণমূলের প্রতিযোগী হয়ে উঠতে পারে।

Read more


এ হেন অরাজনৈতিক পার্টিজান তর্ক আসলে দক্ষিণপন্থী প্রবণতা। কথাটা যে সত্যি, বামপন্থীদের মধ্যেও যে দক্ষিণপন্থা ঢুকে পড়ছে, তার প্রমাণ কেরালা সরকারের পুলিশ আইনে নবতম সংশোধনী। ফেসবুক পোস্টের জন্য কারাবাস্ অথবা জরিমানা করার আইন যদি কোন বামপন্থী সরকার করে, তাহলে বিজেপির বিরুদ্ধে যারা, তাদের পায়ের তলার মাটি সরে যায়। অতএব কে কত বড় মার্কসবাদী, কে অতিবাম আর কে বুর্জোয়া দলে পরিণত হয়েছে --- সে তর্ক এখন থাক না। বামপন্থা মানুষের জন্য, মানুষ তো বামপন্থার জন্য নয়।

Read more

by প্রতীক | 27 November, 2020 | 1172 | Tags : Left Movement CPIM CPIML BJP TMC


যেটা একেবারেই বোঝা যাচ্ছে না, এই সব কাদার তাল নিক্ষেপন কায়দার “খেলা”-য় সিপিএম-এর এত উল্লসিত হওয়ার কারণ কী। প্রকৃতপক্ষে ২০০৭ সালের ৩ জানুয়ারি থেকেই নন্দীগ্রাম উত্তাল হয়ে ওঠে। সালেম-সান্তোসা গোষ্ঠীর সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ায় বসে বুদ্ধবাবু কী চুক্তি করেছিলেন, কেমিক্যাল হাব নির্মাণের জন্য চিন থেকে দুর্নীতির অভিযোগে বিতাড়িত সেই গোষ্ঠীকে নন্দীগ্রামে সেজ মাফিক কী কী সুবিধা দেবেন বলেছিলেন, তার অনেক কিছুই এখনও অজানা। আশা করি কর্দম-মন্থনের শেষে একদিন সেই সব তথ্য জনগোচরে উঠে আসবে।

Read more


তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকলাপের মধ্যে অনেক কিছুই আছে যা আমাদের অপছন্দ হতে পারে। তার সমালোচনা যেমন করে যেতে হবে, তেমনি তার ভুল কাজ গুলির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে রাস্তায় ও নামতে হবে। বিজেপি কে প্রধান শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করার অর্থ এ নয় যে বাম শক্তিগুলি কে শাসক দলের ভুল কাজগুলিকেও সমর্থন করে যেতে হবে। আগামি দিনগুলি তে তৃণমূল কংগ্রেস শাসক দল থাকুক বা নাই থাকুক, বিজেপির বিপদটা আরো বড় আকারে হাজির হতে চলেছে।

Read more


তাবড় পোল-পণ্ডিতদের মিথ্যে প্রমাণিত করে বিপুল সংখ্যাধিক্য নিয়ে ক্ষমতায় এল তৃণমূল কংগ্রেস। শেষ খবর অনুযায়ী তৃণমূলের ঝুলিতে ২১৪টি আসন। ফলে গেল প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যৎবাণী। বিজেপি পার করতে পারল না দুই অঙ্ক। তাদের আসন সংখ্যা ৭৬। তৃতীয় বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনাকে অভিনন্দন মমতা। কভার ছবি ঃ টেলিগ্রাফ পত্রিকার সামনের পাতার ছবি।

Read more


এটা স্পষ্ট তৃণমূল কংগ্রেসের নিজস্ব কোন বিকল্প নীতি বা কর্মসূচী নেই। প্রধানতঃ কংগ্রেসের পথই তাদের পথ। সাংগঠনিক পদ্ধতিতে চরম ব্যক্তিকেন্দ্রিক এক এবং দল চালানোর অর্থনৈতিক উৎসও প্রধানতঃ যে দলের পরিচ্ছন্ন নয় সেই দল জনস্বার্থে কোন কাজ করতে পারে না। ক্ষমতায় থাকার জন্য যতই বামপন্থী ধ্যান ধারণা বা বামপন্থী মুখোশ পরুক না কেন নীতি ও কর্মসূচীরও পথ চলাতে তারা আদ্যোপান্ত দক্ষিণপন্থার ধারক ও বাহক।

Read more


আমাদের অজানা নয় যে ভীমা-কোঁরেগাও মামলায় যখন একের পর এক কবি,সাহিত্যিক,সাংবাদিক, অধিকার কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে ইউএপিএ আইনে তখন সিপিএম ঘনিষ্ঠ ও পার্টি সদস্য বুদ্ধিজীবিরা এই অন্যায় রুখতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। কিন্তু নিজেদের শাসনে তারা শুধু এই কুখ্যাত আইনের প্রয়োগই করছেন না,একই সঙ্গে চরম প্রতিহিংসা পরায়ণ,প্রতিক্রিয়াশীল অবস্থান নিচ্ছেন যার সাম্প্রতিক উদাহরণ হল কেরলের রূপেশ মামলা।

Read more


সিপিআইএম রাজ্য নেতারা বলেন, মোদী ও মমতা উভয়ই খুব খারাপ, ফলে দুজনের বিরুদ্ধেই লড়াই চালাতে হবে একসাথে। ইদানিং বিজেমূলের গল্প বিশেষ শোনা যাচ্ছে না বটে, কিন্তু মানসিকতার কোন বদল হয়নি আদৌ। ধরে নেওয়া যাক, মমতা ও মোদী সমান খারাপ, সমান ভয়ংকর। কিন্তু যুক্তি কি বলে, মোদী ও মমতার ক্ষতি করার সুযোগ বা ক্ষমতা কি এক?

Read more