পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠার একশো বছর পালন করা শুরু হয়েছে। যে কোনো দেশের কমিউনিস্ট পার্টির একশো বছর পূর্ণ হওয়া অবশ্যই সাধারণ ভাবে এক ঐতিহ্যমণ্ডিত বিষয়। কিন্তু আমাদের দেশে সেই একশো বছর পূরণ হওয়ার মধ্যে কী কোনো গৌরব আছে?

Read more


চিন্তাভাবনা দৃষ্টিভঙ্গির একটি পদ্ধতি নির্মাণ করার চেষ্টা আমরা দেখেছিলাম ১৫৮২ সালে। মুঘল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে। তাঁর সাম্রাজ্যে বহু সংখ্যক জাতি ধর্ম ভাষা সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক সম্মান মর্যাদা গড়ে তুলতে প্রয়াসী হন। ফতেপুর সিক্রিতে ইবাদৎখানা হলে ধর্ম মত নির্বিশেষে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সুফি - সন্ত - পীর ফকির - দরবেশ - যাজক - ঋষি - পাদরী - পুরোহিত সকলের সাথে খোলা মনে দিবারাত্রি আলোচনা করেন। সকল ধর্মের সার সত্যকে উপলব্ধি করতে সচেষ্ট হন।

Read more


গাছটির নাম জোনাক গুঠঠি। সময়সবুজ শ্যাওলা নরমে হয়ে গেছে জোনাগুঠঠি। বাড়তি ‘ক’টা জোনাকীর মতোই অপ্রয়োজনীয় এক্সোটিকা হয়ে উঠছিল হয়তো। আমগাছ হিসাবে জাত ধরলে এইটা ক্ষীরসাপাতির গুঠঠি। হিমসাগর নামে পরিচিত যে আম বাজার ধরার কারণে। ক্ষীরসাপাতির চেয়ে হিমসাগর বোধহয় ফোনেটিক্যালি স্বস্তিদায়ক। হিম ও সাগরের একটা সুন্দর বৈপরীত্যও আছে।

Read more


২০১৪ সাল থেকেই ‘চা ওয়ালা’ কথাটা একটি রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয় হয়ে গেছে এই দেশে। কিন্তু কোনো বিতর্কিত ‘চা ওয়ালা’ বা কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া চা বিক্রেতা নয়, আমাদের চাচা অনেক সাধারণ, ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া একজন পরিচয়হীন চা বিক্রেতা। যার খবর কলকাতার বাবু সমাজ রাখে না নানা কারণে, আর কারণগুলোও বেশ সঙ্গত। আজ এক অন্য চা' ওয়ালার গল্প

Read more


১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মে আনন্দবাজার পত্রিকার ৭ পৃষ্ঠায় একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল যেখানে দেখা গিয়েছে সুভাষচন্দ্র হিন্দু মহাসভা সম্পর্কে এমন কিছু মন্তব্য করেছিলেন যা এই হিন্দুত্ববাদীদের অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছিল। ১২ মে মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামে সুভাষচন্দ্র এক সভায় বলেছিলেন যে হিন্দু মহাসভা তাদের দলের সাধু-সন্ন্যাসীদের মহাসভার হয়ে ভোটভিক্ষে করতে পাঠিয়েছে আর এভাবেই তারা ধর্মের নামে ভোটের রাজনীতি করেছে। সুভাষচন্দ্রের এই বক্তব্য দুদিন পর আনন্দবাজার পত্রিকায় (১৪ মে) প্রকাশিত হয়েছিল।

Read more


কিছুদিন আগে গ্লোবাল ব্র্যান্ড আর্নস্ট ইয়ং এর ভারতীয় শাখার চার্টাড অ্যাকাউন্টেট অ্যানা সেবেস্টিয়ানের কর্মক্ষেত্রে অসম্ভব চাপের কারণে আত্মহত্যা সোসাল মিডিয়ায় আলোড়ন তুলেছিল।আজ ভারতের শ্রমিক- কর্মচারীরা প্রতিকূল কাজের পরিবেশের কারণে বিপর্যস্ত। হু রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রতিটি ভারতীয় শ্রমিক সপ্তাহে গড়ে ৪৬.৭ ঘন্টা কাজ করেন, এদের মধ্যে আবার ৫১% গড়ে ৪৯ ঘন্টা কাজ করেন। সাপ্তাহিক ৯০ বা ৭০ ঘণ্টা কাজ করলে, শ্রমিকেরা বাঁচবেন তো ?

Read more


নাম তার উদ্ধব গুছাইত। পিতা নগেন গুছাইত মরে ভুত হয়ে গেছে বছর ত্রিশ হল। মহা ফিকিরে মানুষ ছিল। বাঁধা রোজগার ছিলনা কিন্তু গপ্প ফেঁদে পেট চালাত দিব্যি। শেকড় চালিয়ে গেড়ে বসে আকাশ-বাতাস মায় ধুলো-বালি থেকে গপ্প নামিয়ে প্রহর কাটিয়ে দিলে শ্রোতাদের কেউ না কেউ বলত, দুটি ভাত খেয়ে যাও কথক ঠাকুর।

Read more


কুম্ভ মেলার মত একটি জনপ্রিয় উৎসবকে শুধুই রাজনৈতিক কারণে এবং ক্রমাগত মিথ্যা সাফল্যের গল্প প্রচারের পাশাপাশি উগ্রহিন্দুত্ববাদি উস্কানি হিসাবেও ব্যবহার করা হচ্ছে। নাগরিকদের আবেগের সম্মান, জনকল্যাণের কিংবা জনমানসের ভালো থাকার রাজনৈতিক সদিচ্ছার বিপরীতে ভারতের পবিত্র নদী গঙ্গা, শিপ্রা এবং গোদাবরীর মতো নদী গুলি সরকারী উদ্যোগে ধর্মীয় দাপট আর দুর্নীতির সফল সাক্ষ্য বহন করছে।

Read more


২০১৪ সালের পর থেকে ভারতে এক অন্য ইতিহাসের সূচনা হয়েছে। তার সঙ্গে অনেকেই অরওয়েলিয়ান ডিস্টোপিয়ার সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছেন, অনেকে রামরাজত্বের (ইংরেজিতে যাকে বলা হয়্য ইউটোপিয়ার) গন্ধও পেয়েছেন। দল-উপদল-বিরোধী দলে জনমানুষ ভাগ হয়ে গিয়ে নিজেদের মতো করে সময়টাকে যুঝে নিচ্ছেন, বুঝে নিচ্ছেন।

Read more


২০০৯ সালে এ দেশে বিনামূল্যে ছয় থেকে শুরু করে একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত শিশুদের বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার আইন চালু হয়। এই আইনের ফলে দেশ জুড়ে শিক্ষাব্যবস্থায় বেশ খানিকটা নাড়াচাড়া পড়ে এবং কমবেশি ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল আসার বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা হয়। ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসুক এটাই ছিল তার প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু ২০২৪ সালে আমরা লক্ষ্য করছি একটি বিশেষ ধর্মের ছাত্রছাত্রী স্কুল না এলেই ভালো এরকম একটি পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।‌ এটাই হয়তো হিন্দু রাষ্ট্র নির্মাণের একটা পদক্ষেপ।

Read more


শরীরখানা রক্ত-মাংসের হলেও ভেতরখানা রুক্ষ পাথর কুদ্দুছের! লোকে বলে মানুষ নয় ‘কেঠে’! গায়ের রঙখানাও হাঁড়ির কালির মতো ‘কেলঠে’! ঈশ্বর নাকি কুদ্দুছের চোখে অশ্রু দেননি! কেউ কখনও তাকে কাঁদতে দেখেনি!

Read more


দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এর আগে বহু ছোটবড় সাংবাদিক করেছেন। প্রাণও হারিয়েছেন। কিন্তু, মুকেশ চন্দ্রকারের মৃত্যু সম্ভবত এই সমস্ত সমীকরণের ঊর্ধ্বে। তাঁর মৃত্যুর পরে টুইটারে রানা আইয়ুব লিখলেন ‘আমরা সাংবাদিকদের মনে রাখি মৃত্যুর পরে। অথচ, বেঁচে থাকতে তাঁদের রক্ষা করার চেষ্টা করি না।’ মুকেশকে কি আদৌ রক্ষা করার কথা ছিল?

Read more


ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮১ সালে বলেছিলেন “স্বাস্থ্য ক্রয় করার যোগ্য কোন পণ্য নয়, কিংবা অর্থের মূল্যে কোন পরিষেবা নয়। এটা হল জানার, জীবনযাপনের, অংশগ্রহণের এবং মানুষ হয়ে ওঠার একটি প্রক্রিয়া।” খুবই মূল্যবান কিছু মতামত দিলেন স্বাস্থ্য, প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা, ইত্যাদি নিয়ে। বিশেষ করে যখন বলেন স্বাস্থ্য কোন পণ্যও বা কোন পরিষেবা নয়, “it is a process of knowing, living, participating and being”। আজ প্রায় ৪৫ বছর পরে একবার খোঁজ নিতে হবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার সরণিতে কোথায় দাঁড়িয়ে আছি আমরা।

Read more


বেদব্রত পাইনের তথ্যচিত্র দেজা-ভু তে, আমেরিকান কৃষকদের অভিজ্ঞতা, কৃষিতে অনিয়ন্ত্রিত কর্পোরেট শক্তির বিপদ এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের জীবন যন্ত্রণাকে তুলে ধরা হয়েছে। পরিচালক কৃষিতে অনিয়ন্ত্রিত কর্পোরেট আধিপত্যের বিপদ সম্বন্ধেও সাবধান করেছেন।

Read more


“সূর্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, শুনেছিস?” “অ্যাঁ! সে কি রে! কে করল?” “আরে যে করেছে সে কী সুস্থ?” “ভাই, এই গরমে একটা সুস্থ লোকের নাম বল। আর পারা যাচ্ছে না।”

Read more


পাখি, কুকুর, বেড়ালের মত না-মানুষদের কথা ভাবার কি কেউ নেই? বাতাসের দূষণ কতটা বাড়ল, তার হিসেবই বা কে রাখবে? টাকার গর্বে বলিয়ান মানুষ,প্রকৃতি বিচ্ছিন্ন মানুষ, স্বার্থপর ভোগী জনতা আর কতটা প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে এনে ক্ষান্ত হবে? নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারার মহাযজ্ঞ চলতেই থাকবে? সব শেষ হয়ে যাওয়ার আগে আমরা থামব না, এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই চলেছে বোধহয় উন্নত মস্তিষ্কের দাবিদার মহান মানুষ। এরপরেও হাসি মুখ করে সবাইকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানো সম্ভব ?

Read more


ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির জন্মসাল নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। অবিভক্ত পার্টি ১৯২৫ সালের ২৬ ডিসেম্বরকে প্রতিষ্ঠার দিন হিসেবে চিহ্নিত করলেও, পরবর্তী সময়ে দলীয় বিভাজন এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্ব সেই মতকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ১৯২০ সালের তাশখন্দের উদ্যোগ, কিংবা ১৯৩৪ সালের মিরাট-পরবর্তী সময়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মত দানা বাঁধতে থাকে। সোভিয়েত ইউনিয়নও একাধিকবার অবস্থান বদল করে। অবশেষে, ১৯৫৯ সালে, অবিভক্ত সিপিআই ১৯২৫ সালকেই স্বীকৃতি দেয়। লেখকের মতে, ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের প্রয়োজন বিতর্ক পরিহার করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তোলা।

Read more