মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানেই সুযোগের ছড়াছড়ি, জীবনে শুধুই স্বাচ্ছন্দ্য – সাধারণ মানুষ তেমনটাই মনে করেন। অথচ সেই দেশেরই কৃষক আত্মহত্যা করছেন। আমেরিকার কৃষকদের জীবন জীবিকা নিয়ে বেদব্রত পাইনের ডকুমেন্টারি, 'দেজা-ভু' তে কৃষকদের জীবনের করুণ পরিণতি ধরা পড়েছে, আত্মহত্যার কারণও জানা গেছে। চার দশক আগে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের নেতৃত্বে আমেরিকা কৃষিক্ষেত্রে আমূল সংস্কার করে। কৃষিতে সরকারি সুযোগ সুবিধা নামমাত্র রেখে কৃষিকে খোলা বাজারে উন্মুক্ত করে দেয়। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিলুপ্তি ঘটিয়ে চুক্তি চাষকে বেছে নেয়। এই সিদ্ধান্ত আমেরিকার ক্ষুদ্র চাষিদের কৃষি থেকে প্রায় উৎখাত করে দিয়েছে। কৃষির রাশ চলে গেছে কর্পোরেটদের হাতে।
ডকুমেন্টারিটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্পোরেট-নিয়ন্ত্রিত কৃষির পরিণতি খুব সুন্দর করে দেখানো হয়েছে । পরিণতিগুলি : -
• ক্ষুদ্র কৃষকরা তাদের জমি, ফসল এবং জীবিকার উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন।
• কর্পোরেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বীজ এবং সারের মতো কৃষি উপাদানের খরচ বেশি হওয়ায় কৃষকরা ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছেন।
• কর্পোরেট-নিয়ন্ত্রিত কৃষির উত্থান স্থানীয় বাজারকে ধ্বংস করেছে । এতে ছোট কৃষকদের পণ্য বিক্রি করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যা তাদের বেকায়দায় ফেলেছে।
• চাষে রাসায়নিক সার এবং কীটনাশকের নিবিড় ব্যবহার জলের উৎসগুলিকে দূষিত করেছে। মাটির স্বাস্থ্য নষ্টের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্যকে এলোমেলো করে দিয়েছে ।
দেজা-ভু তে, আমেরিকান কৃষকদের অভিজ্ঞতা, কৃষিতে অনিয়ন্ত্রিত কর্পোরেট শক্তির বিপদ এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের জীবন যন্ত্রণাকে তুলে ধরা হয়েছে। পরিচালক কৃষিতে অনিয়ন্ত্রিত কর্পোরেট আধিপত্যের বিপদ সম্বন্ধেও সাবধান করেছেন।
কৃষিতে সংস্কারের ফলে আমেরিকার কৃষি ও কৃষকদের করুণ পরিণতি চাক্ষুষ করার পরও ভারত সেই সংস্কারকেই হুবহু কপি করে বসল । চালু করল তিনটি কৃষি বিল।
ভারত সরকারের বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের জন্য ২০২০-'২১ সালে দেশব্যাপী আন্দোলন সংগঠিত হয় । আশঙ্কা ছিল - এই আইন লাগু হলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) চলতি ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে এবং ভারতীয় কৃষির রাশও চলে যাবে কর্পোরেট সংস্থার হাতে। দেশব্যাপী কৃষক আন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার করে সরকার সেই কালা কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য হয়। সেইসময় সরকার প্রতিশ্রুতি দেয় স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ মেনে ফসলের এম এস পি নির্ধারণ করবে। কিন্তু সরকার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের কোনও চেষ্টাই করেনি। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্ট অ্যান্ড প্রাইস’ চাষের খরচের ( জমির খাজনা এবং মূলধনের সুদ বাদ দিয়ে) যে হিসেব দিল তার উপর অতিরিক্ত ৫০% চাপিয়ে এম এস পি নির্ধারণের পদ্ধতি চালু রাখল। ফলে চাষের খরচের সরকারি হিসাব স্বামীনাথন কমিটির চেয়ে অনেকটাই কম হল। এই ভাবেই সরকার প্রতি বছর খরিফ ও রবি মরশুমে নিয়ম করে ২৩ টি ফসলের এম এস পি ঘোষণা করে গেল। এই ব্যবস্থায় ২০১৫-'১৬ থেকে ২০২২-'২৩ পর্যন্ত চাষিরা শুধুমাত্র ধান ও গমের জন্যই ২৯৬ হাজার কোটি টাকা কম পেলেন। সহজেই অনুমেয় স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এম এস পি নির্ধারণ কতটা জরুরি।
স্বামীনাথন কমিটির ফর্মুলা মেনে সমস্ত ফসলের এম এস পি নির্ধারণ ও তার আইনি স্বীকৃতির দাবিতে, ২০২৪ এর ফেব্রুয়ারিতে পাঞ্জাবের শম্ভু ও খানৌরি সীমান্তে কৃষক আন্দোলন শুরু হয়। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এবং কিষাণ মজদুর মোর্চার নেতৃত্বে পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশের ছোটো বড় ২০০ টিরও বেশি কৃষক সংগঠন আন্দোলনে যোগ দিয়েছে।সরকার আন্দোলনকারীদের শহরে ঢোকা বন্ধ করতে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে। আন্দোলন ঠেকাতে গুলি চালিয়েছে। ইতিমধ্যে ৫ জন মারা গেছেন। এই আন্দোলনের সমর্থনে গ্রামীন ভারতে বনধ পালিত হয়েছে। সমাধান সূত্র বের করতে মোদি -২ সরকারের মন্ত্রীদের সাথে কৃষক নেতারা একাধিক বার আলোচনায় বসেছেন। সরকারের অনমনীয় মনোভাবের জন্য কোনও গ্রহণযোগ্য সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি।
এই আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে গত ডিসেম্বরে, ১০১ জন আন্দোলনকারী কৃষক দিল্লি অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন, ৩ ঘণ্টার জন্য পাঞ্জাব হরিয়ানায় রেল রোকোর ডাক দেওয়া হয়। পাঞ্জাবে বন্ধ পালিত হয়। আন্দোলনের অন্যতম নেতা ৭০ বছরের জগজিৎ সিং দাল্লেওয়াল, নভেম্বরের ২৪ তারিখ থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন। ১৮ ই ডিসেম্বর দাল্লেওয়ালের অনশন ভাঙানোর জন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালত পাঞ্জাব সরকারকে নির্দেশ দেয়। ঘটনাক্রমে তার পরদিন ১৯ শে ডিসেম্বর, তিনি হঠাৎ - ই অজ্ঞান হয়ে মঞ্চের নিচে পড়ে যান। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন দাল্লেওয়ালের কার্ডিয়াক অ্যারেস্টসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সমস্যা রয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এম এস পি- র দাবি এবং তার আইনি স্বীকৃতিতে চাষিরা জীবন বাজি রাখছেন । কৃষি ঋণ মকুব, পেনশনসহ কৃষিতে বিদ্যুতের বিল না-বাড়ানোর দাবিতে লড়াই চালাচ্ছেন।
আশা করা গিয়েছিল মোদি -৩ সরকার অন্নদাতাদের সম্মান দিতে দাবিগুলিকে মেনে নেবে কিন্তু ঘটল ঠিক উল্টো। বাজেটে দেখা গেল দেশের অর্থমন্ত্রী কৃষির ডিজিটালাইজেশনে জোর দিয়েছেন। এর ফলে কৃষিতে ড্রোন, স্মার্ট ডেটা-চালিত ট্রাক্টর, আধুনিক অ্যাপস এবং সেন্সরের প্রয়োগ বহুগুণ বাড়বে। আর এই অছিলায় কর্পোরেট কোম্পানিগুলিকে কৃষিতে বেশি বেশি করে প্রবেশের সুযোগ করে দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকার নিজে। তবে এই ডিজিটালাইজেশনের সলতে পাকানো শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি দপ্তর তিন বছর আগেই মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশন এবং পতঞ্জলির সঙ্গে মউ চুক্তি করে বসে আছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বেসরকারি সংস্থাগুলিকে কৃষকদের জমি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করা হবে। সংস্থাগুলি রিমোর্ট সেন্সিং প্রযুক্তির সাহায্যে চাষিকে উৎপাদন বিষয়ে পরামর্শ দেবে। এছাড়াও ভারতীয় কৃষি গবেষণার সর্বোচ্চ সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (আই সি এ আর) ও বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থাগুলির মধ্যে মউ স্বাক্ষরের দিকে তাকালে পরিষ্কার হয়ে যাবে সরকার কিভাবে কর্পোরেট সংস্থাগুলির হাতে ভারতীয় কৃষির নিয়ন্ত্রণ তুলে দিচ্ছে। আইসিএআর এবং কৃষি কর্পোরেট বায়ারের সঙ্গে মৌ চুক্তি স্বাক্ষর করার সময় ঘোষণা করা হয়েছিল বহুজাতিক সংস্থা এবং চাষিদের পারস্পরিক বোঝাপড়ায় ‘ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের ক্ষমতায়ন’ ঘটানো হবে। এ বিষয়ে সরকার নাকি আন্তরিক! কিন্তু জুন, ২০২৩ এ, ‘আমাজন কৃষাণ’ ও আই সি এ আরের মধ্যে মউ স্বাক্ষরিত হওয়ার পর এটি হাস্যকর মনে হল। 'আমাজন কৃষাণ’ কে দায়িত্ব দেওয়া হল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং তার সাহায্যে চাষির আয়কে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যেতে। ওই মাসেই ‘ইরিগেশান সিস্টেম লিমিটেড’ এর সঙ্গে এই মর্মে চুক্তি হয় যে, তারা আই সি এ আরের সঙ্গে মরিচ, আদা ও তেঁতুলের উপর যৌথভাবে গবেষণা চালাবে। জলবায়ু সহনশীল বীজ আবিষ্কার এবং তার থেকে উৎপন্ন ফসলের সুরক্ষা, আগাছা দমন এবং কৃষির যন্ত্রীকরণে নতুন উপায় বের করতে, সেপ্টেম্বর – ২০২৪ এ বহুজাতিক সংস্থা ‘বায়ারের’ সঙ্গে পুনরায় মউ স্বাক্ষরিত হয়। গত বছর লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে, প্রাকৃতিক চাষ সম্পর্কে চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিতে আই সি এ আর চুক্তি করে ‘ধানুকা এগ্রিটেকের’ সঙ্গে। মোদি -৩ সরকার গঠিত হওয়ার পর মউ চুক্তি হয়েছে ‘করমণ্ডল ইন্টারন্যাশনাল’ এবং ‘সিনজেন্টা ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার’ সঙ্গে। প্রথম বহুজাতিকটি কাজ করবে মহারাষ্ট্রের কৃষকদের জন্য। সেখানে মাটি পরীক্ষা করে ফসলের কি ধরণের পুষ্টির প্রয়োজন তার নিদান দেবে এবং সেই কাজের প্রসার ঘটাবে। দ্বিতীয়টি জলবায়ু-সহনশীল কৃষি বিষয়ে চাষিদের প্রশিক্ষণ ও প্রচারের কাজে যুক্ত থাকবে।
আই সি এ আর ও বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থাগুলির মধ্যে মউ চুক্তির ধরন থেকে পরিষ্কার ভারতীয় কৃষিকে কর্পোরেট হাতে তুলে দেওয়ার সব ব্যবস্থা পাকা। চেষ্টা চলছে বাতিল হওয়া কৃষি আইন-কে পিছনের দরজা দিয়ে ফিরিয়ে আনার। সেই কাজে গতি আনতে সরকার বদ্ধপরিকর। তবে মনে রাখতে হবে, এই কর্পোরেট কোম্পানিগুলি কৃষিতে প্রবেশের পর থেকেই ভারতে বৃহদায়তন চাষের ঝোঁক বেড়েছে । এতে ছোট কৃষকরা নিজের জমি থেকেই বিতাড়িত হচ্ছেন। তাঁদের জীবিকার সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। কর্পোরেট-নিয়ন্ত্রিত চাষে বীজ সরবরাহ করে সংস্থাগুলি নিজে, ফলে চাষির সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা থাকে না। এই কর্পোরেট বীজে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের প্রয়োগ বেশি । যা মানব স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের ক্ষতি করার পাশাপাশি চাষের খরচ বাড়ায় । কর্পোরেট চাষে ভূগর্ভস্থ জলের অতিরিক্ত উত্তোলন জল সঙ্কট সৃষ্টি করছে। এছাড়া মাটির ক্ষয় এবং জমির উর্বরতাকেও কমিয়ে দিচ্ছে। কর্পোরেট চাষে মুনাফা বাড়াতে গিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে চাষের বৈচিত্র্যকে। কমছে কৃষির জলবায়ু সহনশীলতা। সংক্ষেপে, কর্পোরেটের মুনাফার লোভ সুস্থায়ী কৃষি ব্যবস্থার পক্ষে ক্ষতিকারক।
এত কিছুর পরও দেশের সরকার ভারতীয় কৃষির যাবতীয় দায়িত্ব তুলে দিতে চাইছে এই ধরনের কৃষি কর্পোরেটদের হাতে। এটা প্রমাণিত সত্য, কৃষিতে কর্পোরেট উদ্যোগ এবং প্রযুক্তিগুলি শেষ পর্যন্ত কৃষক, পরিবেশ এবং স্থানীয় খাদ্য ব্যবস্থার ক্ষতিই করে। যেমন ‘মনসান্টোর’ -এর, জেনেটিকালি মডিফায়েড (জি এম) বীজ ব্যবহার করে তুলা চাষিদের ঋণ ও আত্মহত্যা বেড়েছে। ‘কার্গিল’ কৃষকদের সংকর এবং জিএম বীজ সরবরাহ করেছে কিন্তু সেই বীজের উপর কর্পোরেট নিয়ন্ত্রণ চাষিদের উৎপাদন ব্যয় বহুগুণ বাড়িয়েছে। এছাড়া ‘পেপসিকো’, আলু এবং অন্যান্য ফসলের জন্য ভারতীয় কৃষকদের চুক্তি চাষে বাধ্য করেছে। চুক্তি চাষে চাষিকে ফসলের অন্যায্য দাম দিলেও চাষির কিছু বলার থাকে না। এক্ষেত্রে চাষির দর কষাকষির ক্ষমতা প্রায় নেই বললেই চলে। কৃষকদের চাষ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের উপর কর্পোরেট নিয়ন্ত্রণের এই বাড়-বাড়ন্ত ভারতীয় চাষিদের কর্পোরেট শোষণ ক্রমাগত বাড়াচ্ছে। চাষিরা সর্বস্ব হারিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (এন সি আর বি) তথ্য অনুযায়ী ১৯৯৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ভারতে ৪ লাখেরও বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। শুধু ২০২২ সালেই কৃষক আত্মহত্যার সংখ্যা ১১,২৯০ । যা ২০২১ সালের তুলনায় ৩.৭% বেশি। সংখ্যার বিচারে মহারাষ্ট্রে কৃষক আত্মহত্যা সবচেয়ে বেশি, তারপর কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশ । তথ্য বলছে ভারতে প্রতি ঘন্টায় অন্তত একজন কৃষক বা কৃষি শ্রমিক আত্মহত্যা করছেন।
পরিশেষে বলা যায়, ভারতীয় কৃষিতে কর্পোরেট সংস্থার অনুপ্রবেশ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের জীবিকায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে তাঁদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে, খাদ্য নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করছে এবং ভারতীয় কৃষির দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্বকে দুর্বল করে দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত অবিলম্বে কর্পোরেট জায়েন্টদের সঙ্গে আই সি এ আরের সমস্ত মউ চুক্তি বাতিল ক’রে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগানো। কৃষি এবং কৃষককে কর্পোরেট শোষণের হাত থেকে বাঁচানো। ভারতীয় কৃষির কঠিন চ্যালেঞ্জগুলিকে মোকাবিলা করতে এই মুহূর্তে আশু কাজ কৃষি গবেষণায় সরকারি বরাদ্দ বাড়ানো ।