পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

ইংরাজি বর্ষবরণ : মৃত্যু হল অসংখ্য পাখির, বাড়ল বাতাসের দূষণ, ধ্বস্ত হল মনুষ্যত্ব

  • 03 January, 2025
  • 0 Comment(s)
  • 714 view(s)
  • লিখেছেন : সন্তোষ সেন
পাখি, কুকুর, বেড়ালের মত না-মানুষদের কথা ভাবার কি কেউ নেই? বাতাসের দূষণ কতটা বাড়ল, তার হিসেবই বা কে রাখবে? টাকার গর্বে বলিয়ান মানুষ,প্রকৃতি বিচ্ছিন্ন মানুষ, স্বার্থপর ভোগী জনতা আর কতটা প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে এনে ক্ষান্ত হবে? নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারার মহাযজ্ঞ চলতেই থাকবে? সব শেষ হয়ে যাওয়ার আগে আমরা থামব না, এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই চলেছে বোধহয় উন্নত মস্তিষ্কের দাবিদার মহান মানুষ। এরপরেও হাসি মুখ করে সবাইকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানো সম্ভব ?

শুধু কলকাতা শহর নয়, দিল্লি মুম্বাই চেন্নাই হায়দ্রাবাদ সহ প্রায় প্রতিটি মেট্রোপলিটন শহর, এমন কি জেলার বিভিন্ন শহর ও মফস্বল মুখরিত হল উদ্দাম নাচা-গানা, খানা-পিনা, ভুরিভোজ, আর মাইক ও ডিজে বক্সের তীব্র আওয়াজ এবং চড়াম দড়াম কানফাটানো, বুকে শেল বেঁধানো বাজির শব্দে। ভাবখানা এই যে, আমরা যেন বিশ্বজয় করে ফেলেছি! বাঙালি তথা দেশবাসীর জীবনে হাজির হল আরেকটি আতঙ্কের নয়া বছর। অন্য দেশগুলোতেও চিত্রটা একই রকম ভয়ঙ্কর।

এসবের বিনিময়ে কী পেলাম আমরা?
বর্ষবরণে রাত মানে যে হুল্লোড় তা নতুন কথা নয়। কিন্তু এবারে মঙ্গলবার বর্ষবরণের রাতে শব্দবাজির যে তাণ্ডবের সাক্ষী রইল শহর কলকাতা সহ মফস্বল, তা সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি। শব্দবাজি নিষিদ্ধ হলেও শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে যেভাবে দেদার বাজি ফাটল তাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন জাগছে অবুঝ অসভ্য বর্বর একদল ভোগী মানুষ, মধ্যবিত্তের এক বড় অংশ, আর চাকরি বাকরি না থাকা হতাশ একদল যুবক বাহিনীর  ভূমিকা নিয়েও।
 
কতশত, কত হাজার পক্ষী শাবকের জীবন বিপন্ন হল, মারা গেল কতশত পাখি চুপচাপ একা একা, তার কোন ইয়ত্তা নেই। ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটা ছোঁয়ার আগেই শুরু হয়ে যায় দেদার শব্দবাজি ফাটানো। বায়ুদূষণের মাত্রা সাড়ে বারোটা বাজিয়ে শহরের বেশ কিছু এলাকায় শব্দের মাত্রা ছিল ১০০ ডেসিবেলের ওপরে। পরিবেশকর্মী বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন –“বেআইনি বাজি কারখানা কয়েকটি জেলার নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে রয়েছে। পুলিশ তার সবকিছু জানে। সেই কারখানা বন্ধ না করলে বাজি ফাটানো বন্ধ হবেনা”। অর্থাৎ সাপ্লাই রোড বন্ধ না করলে এন্তার বাজি ফাটানো চলতেই থাকবে।

মানুষের মহানন্দে কতশত পাখি মারা গেল, কত অবলা জীবের যাপন বিপন্ন হল, তার হিসেব রাখবে কে? পুলিশও এই নিয়ে কোন অভিযোগ নেবেনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে –রাস্তার উপরে, রেললাইনের ধারে পড়ে রয়েছে শয়ে শয়ে পাখির মৃতদেহ। তীব্র আলোর ঝলকানি আর প্রচন্ড শব্দের দামামায় পাখিরা তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছেড়ে পাড়ি দিচ্ছে অজানা আশঙ্কের দেশে।
একটি পোষ্য পক্ষী শাবক লুডোর মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়ের মত অঝোর ধারায় কেঁদে ফেললেন বৃষ্টি রায় –“আনন্দ করুন না! অন্যভাবেও তো নতুন বছরকে স্বাগত জানানো যায়। কিন্তু আপনাদের লাগামহীন বাজির তাণ্ডবে আমার পক্ষীছানার মৃত্যুতে আমি আর স্থির থাকতে পারছি না। এই না-মানুষদের কথা একটু ভাবুন। ভাবুন দয়া করে”। বৃষ্টির কান্না আমাদের হৃদয় মথিত করে। আমাদের মননে কি একটুও আঘাত করেনা? মানুষের মনুষ্যত্ব আর কত তলানিতে নামবে?

পাখি, কুকুর, বেড়ালের মত না-মানুষদের কথা ভাবার কি কেউ নেই? বাতাসের দূষণ কতটা বাড়ল, তার হিসেবই বা কে রাখবে? টাকার গর্বে বলিয়ান মানুষ,প্রকৃতি বিচ্ছিন্ন মানুষ, স্বার্থপর ভোগী জনতা আর কতটা প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে এনে ক্ষান্ত হবে? নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারার মহাযজ্ঞ চলতেই থাকবে? সব শেষ হয়ে যাওয়ার আগে আমরা থামব না, এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই চলেছে বোধহয় উন্নত মস্তিষ্কের দাবিদার মহান মানুষ! হে বুদ্ধিমান মানুষ বেমালুম ভুলে গেলে, এই পৃথিবীটা যতটা তোমার আমার ততটাই অবলা জীবগুলোর? সত্যি বলতে কী, এই ধরাধামে একা মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা আদৌ সম্ভব নয়। আমাদের প্রাণবায়ুর উৎস গাছ, পানীয় জল ও কৃষিকাজের রসদ নদী-জলাশয়-পুকুর, চাষের উপযোগী জমি আছে বলেই তোমার বেঁচে থাকা, তোমার খাদ্যের যোগান, তোমার ক্ষমতার আস্ফালন। শেষ পাখিটির মৃত্যু হলে, শেষ মাছটি মারা গেলে, শেষ গাছটি কাটা পড়লে, শেষ নদীটি শুকিয়ে গেলে তোমার ব্যাংক-ব্যালেন্স তোমায় বাঁচিয়ে রাখতে পারবে না।

এদিকে আমার রাজ্য, দেশ সহ তামাম বিশ্ব জুড়ে ভূউষ্ণায়ন, তীব্র গরম, ঋতুচক্রের পরিবর্তন, তীব্র দাবদাহ, খরা, বন্যা, প্রবল ঘূর্ণিঝড়, সমুদ্র জলের উচ্চতা ও উষ্ণতা বৃদ্ধি, পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, জলবায়ুর পরিবর্তন, মেরুপ্রদেশ ও হিমালয়ের বরফের তীব্র গলন –এসব কিছু আজ আর ভবিষ্যতের বিষয় নয়। বরং এই এক্সট্রিম বিষয়গুলো আজ ভালো রকমের ঘটমান বর্তমান। মানুষের দরজায় ঘনঘন কড়া নাড়ছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষম ফল। ২০২৩ ছিল সে পর্যন্ত মানব ইতিহাসের উষ্ণতম বছর। ২০২৪-এ চরম অবস্থা হল চরমতর থেকে চরমতম। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ১৯০১ সালের পর ২০২৪ ছিল বিশ্বের উষ্ণতম বছর। অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে ইউনাইটেড নেশনস এর সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তোনি গুতেরেস বলেছেন –“মানব সভ্যতা ধ্বংসের পথে এগোচ্ছে। নষ্ট করার মত সময় আর নেই আমাদের হাতে।” অথচ বছরের শেষ দিনটায় সন্ধ্যে যত গড়িয়েছে, তত বেশি করে প্রবল হয়েছে বাজির শব্দ আর ডিজে বক্সে উদ্দাম গানের আওয়াজ। মদমত্ত মানুষের মনে পড়েনি, ক’বছর আগেও ৩১শে ডিসেম্বর রাতে ঘামের ধারায় জামা ভিজে যাওয়ার নজির আছে কিনা। এর মধ্যেই আমরা বেমালুম ভুলে গেলাম – ২৪ সালে বহু জায়গায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর পেরিয়েছে। এমনকি আমাদের কাছের শহর ব্যারাকপুরে তাপমাত্রা ছিল ৪৫ ডিগ্রির ওপরে। কলাইকুন্ডায় ছিল ৪৬-৪৭।

ডব্লুএমও (World Meteorological Department) জানিয়েছে, বিগত বছরে যেকোন মানুষকে বছরে গড়ে অন্তত ৪১টি দিন বিপজ্জনক তাপের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কোথাও কোথাও আবার বছরে ১৩০ দিন পর্যন্ত বিপজ্জনক তাপ সইতে হয়েছে। ডব্লুএমও এর
ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারেট বলছেন – “মানুষের কাজের ফলে তৈরি গ্রীনহাউস গ্যাস পৃথিবীটাকে হিট ট্র্যাপে পরিণত করেছে”। আসলে, দিনের বেলায় গাছহীন কংক্রিটের শহর প্রচুর তাপ শুষে নিচ্ছে। কিন্তু রাতের বেলায় সেই তাপ আর বিকিরিত হয়ে ফিরে যেতে পারছে না। ফলে সর্বত্রই তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইডের পরিমাণ বাতাসে অত্যন্ত বেড়ে গেছে। এবং এই গ্যাসগুলি যে পরিমাণে বাতাসে মিশেছে তাতে আগামী বহুবছর ধরে আমাদের সবাইকে এর চরম ফল ভুগতে হবে, বাস্তবে হচ্ছেও তা। আবহাওয়াবিদদের পরিসংখ্যান বলছে –২০১৫ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সময়কালে এই পর্যন্ত মানুষের ইতিহাসে উষ্ণতম দশক। ১৮৫০ সালের তুলনায় পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ২০২৪-এ ১.৫৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেড়েছে। অর্থাৎ বিজ্ঞানীদের সমস্ত সতর্কবার্তা হেলায় হারিয়ে, তাঁদের আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রির চরমসীমা ছাড়িয়ে গেল। এরপরও কি আমাদের তাণ্ডব চলতেই থাকবে? কখনো বর্ষবরণের নামে, কখনো ক্রিকেটে ভারত জয়ের উৎসব আনন্দে, আবার কখনো বা বিয়ে বাড়ি বা বার্থডে পার্টি উপলক্ষ্যে? আর উপলক্ষ্যেরই বা দরকার কী? মনে ইচ্ছে জাগল, পকেটে টাকা আছে, বাজারে আছে বাজি –ফাটালেই হল। চেতনহীন বোধবুদ্ধিহীন কিছু মানুষের কৃতকর্মের ফল আমাদের সকলকে ভুগতে হচ্ছে, হবে আরও বেশি করে। বিপর্যস্ত হচ্ছে অবলা প্রাণের জীবন। বিপন্ন হচ্ছে পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য, তামাম বাস্তুতন্ত্র।

অথচ এইসব নিয়ে আমজনতার কোন হেলদোল আছে বলে তো দেখেশুনে মনে হচ্ছে না। টাকার মদমত্তে ভোগ্যপণ্যের বাজারে অন্ধভাবে ছুটে চলা মধ্যবিত্তের বড় অংশের কথা নাহয় ছেড়েই দিলাম। আজ তামাম ভারতবর্ষ মেতেছে উৎসব, বর্ষবিদায়, বর্ষবরণ, সাইক্লোন-ট্যুরিজম, উৎসব-ট্যুরিজম সহ নানান মদমত্ততায়। টিভি চ্যানেলের সামনে আমাদের সে কি বুক ফোলানো গর্ব, মাহাত্ম্য! তাই মেট্রো শহর, জেলা, মফস্বলের পাশাপাশি সৈকত শহরগুলিতে তিল ঠাঁইয়ের জায়গা নেই। শুধুই ভিড়, উপচে পড়া ভিড়। ‘খাও জিও পিও’ সংস্কৃতিতে যেন মেতে উঠেছে একটা গোটা সমাজ।

এমনটা হওয়ার কি কথা ছিল? সেই  মহাকবি কালিদাসের যুগ থেকে আজকের যুগের রবীন্দ্রনাথ, বিভূতিভূষণ, জীবনানন্দের সাহিত্য ভাবনায় ও মননে প্রকৃতি পরিবেশ চিন্তার শিকড় প্রোথিত ছিল অনেক গভীরে। নদীমাতৃক, কৃষিপ্রধান, শস্যশ্যামলা, ঊর্বরা, প্রাকৃতিক সম্পদ ও সৌন্দর্যে ভরপুর ভারতবর্ষের সাহিত্য ভাষা সংস্কৃতি ও যাপনের সঙ্গে প্রকৃতি সংলগ্নতা প্রকৃতিমুখীনতা অঙ্গাগিভাবে সংপৃক্ত ছিল, জারিত ছিল ভারতীয় মননে।

সেসব কোথায় আজ হারিয়ে যাচ্ছে! টাকা, ক্ষমতা, ভোগ্যপণ্যের বাজার, কৃত্রিমভাবে তৈরি করা বাজার-নির্ভর অর্থপুঁজির পচা গলা সংস্কৃতি, ভোগবাদী যাপন, বিলাস ব্যসন সব ঐতিহ্য পরম্পরা গিলে খাবে? কোন্ ভয়ঙ্কর দূষিত ক্লেদাক্ত বিষাক্ত পৃথিবী রেখে যাচ্ছি আমাদের অতি আদরের, ভালোবাসার সন্তানসন্ততি, নাতিপুতিদের জন্য সেইটুকু ভাবার অবকাশও আমরা কি মান-হুঁশ সমন্বিত হোমো স্যাপিয়ানসের দল সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলেছি?  আমরা কি এই পৃথিবীর বাসিন্দা নই, আমরা কি প্রকৃতির সন্তান নই? প্রকৃতি কি একটি জীবন্ত সত্তা নয়, প্রকৃতি কি মানুষের বৃহৎ শরীর নয়? নাকি ‘অন্য গ্রহ থেকে আসা জুড়ে বসা’, প্রকৃতিকে ধ্বংস করতে, বিধ্বস্ত বিপর্যস্ত করতে উঠেপড়ে লাগা একদল অন্ধ ও মত্ত মানুষ আমরা? আমরা কি শুধুই অ্যানিমিলিটিক বিং?

‘আত্মপরিচয়’ গ্রন্থে নবীন রবীন্দ্রনাথের কলমে উঠে এসেছে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের কথা। আত্মপরিচয়-এর ভাষা বেশ কাব্যিক মনে হলেও ‘সুদূর বিস্তৃত শ্যামল অঙ্গ’, ‘আমার বৃহৎ সর্বাঙ্গে’, প্রকাণ্ড বৃহৎভাবে এই শব্দগুচ্ছ গুলোর মধ্য দিয়ে তিনি স্পষ্ট করেছেন –বিপুলা বিশাল নৈসর্গিক প্রকৃতি তার সমস্ত রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে মানুষের বৃহৎ প্রকাণ্ড শরীরকে (এক্সটেন্ডেড বডি) তৈরি করেছে। রক্তমাংসের ক্ষুদ্র শরীরের আরামের মোহে আমরা যতই বাজারের কানাগলিতে অন্ধভাবে ছুটি না কেন, সেইটি নেহাতেই আত্মসর্বস্ব এক ক্ষুদ্র ভাবনা। তাই আমাদের আজ ভাবতে হবে অনেক বৃহৎ পরিসরে, অনেক বড় পরিধিতে মননকে জারিত করে। ‘আপনা হতে বাইরে দাঁড়া’লে ‘বুকের মাঝে বিশ্বলোকের’ সাড়া নিশ্চয় মিলবে। রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস করতেন পরিবেশবান্ধব সহজ সরল জীবনযাপনে।
উপকরণের বাহুল্য তাঁকে পীড়িত করত। তাই তিনি সহজ সরলভাবে স্পষ্ট করে লিখতে পারেন –“উপকরণের বিরলতা, জীবনযাত্রার সরলতা আমাদের দেশের নিজস্ব। এখানেই আমাদের বল, শক্তি ভরসা, আমাদের প্রাণ ও আমাদের প্রতিভা। এর মধ্যেই আছে পরিবেশ রক্ষার ইঙ্গিত। আজকের ভয়াবহ বিপর্যয়ের যুগে রবীন্দ্রনাথ সহ ভারতবর্ষের সাহিত্যিকদের, তাঁদের সৃষ্টিকর্মে পরিবেশ ভাবনাকে মিলিয়ে দিতে হবে আমাদের বোধে, উপলব্ধিতে, চেতনে এবং জীবন যাপনে।

How can I say dear friends, stay happy and healthy, enjoy the new year? I am worried, we are scared for us and for the future generations. Really I don't know when the new sun will rise, when the new year will be really new progressive prosperous and happy!

0 Comments

Post Comment