পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে হাজারো খবর— সংবাদমাধ্যমে এবং হালের আরও নানা বৈদ্যুতিন মাধ্যমে। তারই ভিতর থেকে পাঁচটি খবর বাছাই করে আপনাদের সামনে হাজির করা হল। কিছু সংবাদ আপনারা পড়ে ফেলেছেন, কিছু হয়তো এড়িয়ে গেছে চোখ। পাঁচমিশেলি খবরের ডালি ‘পাঁচসংবাদ’

Read more

by মিলন দত্ত | 05 October, 2019 | 1958 | Tags : bangladesh sadar fir modi kashmir


পশ্চিমবঙ্গের ভোটের প্রচারে মোদীর আভাবনীয় বাংলাদেশ অভিযান তাঁর নানা (অপ)কীর্তির মতোই উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ অভিযানটা এবার ছিল অবিস্মরনীয়। কারণ আমরা এই প্রথম জানতে পারলাম, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে সত্যাগ্রহ আন্দোলনে নেমে জেলেও যেতে হয় তাঁকে।

Read more


দিন পনের ধরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নো ম্যানস ল্যান্ডে পড়ে আছে এক নারী। নিজেকে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রমাণ করার মতো সমস্ত আয়োজন ওর পোশাকে আছে। বাড়তি একটি পা অচল হওয়ার কারণে তাকে ঢাকা কিংবা কলকাতার ফুটপাতে পড়ে থাকা ভিখারি হিসেবে ভেবে নিতেও অসুবিধা হবে না কারো। নো ম্যানস ল্যান্ডের নিচু জমির দুপাশে পানির মাঝখানে একটা বাড়ির সমান উঁচু ঢিবিতে নারীটি পড়ে আছে। কিভাবে গেল, কোনদিক থেকে গেল, এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।

Read more


দুর্গাপূজা ঘিরে এবার সারা দেশে যে তাণ্ডব ঘটে গেল, নিকট অতীতে তার সঙ্গে তুলনা করা চলে ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার সঙ্গে। কেউ কেউ পাল্লায় মাপতে বসে যাবেন, কোনটা কয় ছটাক কম বা বেশি। কিন্তু এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে এ দেশের নাগরিকের সবাই সমান নন। এ দেশে গরিবের তো কোনো জায়গাই নেই, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অস্তিত্বও বিপন্ন। তারা এখন বিলীয়মান প্রজাতি হয়ে যাচ্ছে। লেখা প্রথম আলো থেকে সংগৃহীত।

Read more


বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের একটি বড় অংশ এই সহিংসতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন। এই বাংলায়ও অনেকেই প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন। কিন্তু কিছু কিছু প্রতিবাদের ধরণ-ধারন এখনও ভাবাচ্ছে। সেই গতে বাঁধা আমরা-ওরা চলছে। এইভাবে বেছে বেছে প্রতিবাদী হওয়াটাও কম বড় অপরাধ নয়। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, তার পরবর্তী হতাশা, আক্রোশ এবং প্রতিবাদ যার যার তার তার হয়ে গেলে সেটা পরবর্তী দাঙ্গার ইন্ধন যোগানো ছাড়া আর অন্য কোনো কাজেই আসেনা।

Read more


একটি দেশে সংখ্যাগুরুর দায়িত্ব সংখ্যালঘুর অধিকার সুনিশ্চিত করা, সুরক্ষার দায়িত্ব নেওয়া৷ বাংলাদেশিরা ব্যর্থ হয়েছে৷ কিন্তু অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এদেশে? এদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে হিন্দুত্ববাদের পূজারীরা কতখানি সোচ্চার? তাঁরা নিজ দেশে কতখানি দায়িত্ব পালন করেছেন? আখলাখের খুনিদের সাজা চেয়েছেন? সংখ্যালঘুর লিঞ্চিংয়ে অভিযুক্তদের সংবর্ধনা দিলে বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন? বেছে বেছে বিশেষ ধর্মের সংখ্যালঘুদের রাতারাতি ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর উদ্যোগ হলে রুখে দাঁড়িয়ে বলেছেন, কারও বাপের ক্ষমতা নেই পাঁচপ্রজন্ম এদেশে থাকা সংখ্যালঘু পরিবারের কাগজ দেখার কথা বলার? না বলেননি৷ উল্টে 'এদেশে থাকতে হলে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে থাকতে হবে' মানসিকতাই উঠে এসেছে।

Read more


আমার ছেলেবেলা যে বাড়িতে কেটেছে সেটি ওপার বাংলার চলচিত্র পরিচালক মৃণাল সেনের জন্মভিটা। ফরিদপুর, ঝিলটুলী। বাড়িটি ১৯৪৭ সালে আমার মায়ের দাদা আয়নুল ইসলাম চৌধুরী’র কাছে মৃণাল সেন-এর পিতা এডভোকেট দীনেশ সেন বিক্রি করে দিয়ে ওপারে মানে পশ্চিম বঙ্গে চলে যান। সে-সময় মৃণাল সেন তরুণ, ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। বাড়িটি প্রায় ১ একর ৮২ শতাংশ জমির ওপর। মূল বাড়ি ছাড়া সামনে বাগান এবং পেছনে বড় পুকুর আছে। মৃণাল সেনের ছোট বোন রেবা ওই পুকুরে পড়ে মারা যায় ওনারা বাড়ি ছাড়ার বছর দশেক আগে ।

Read more


চাঁদ সাড়ে ঊনত্রিশ দিনে একবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে, সেই দিন ঘিরেই আসে ধর্মীয় উৎসব। যদিও উৎসব শুরু হলে তাতে ধর্মের বাতাবরণ থাকে না, বা যতটা থাকে সেটুকু সেরে নেওয়া যায় স্বল্প সময়েই। বাকিটা উচ্ছ্বাস। যেহেতু বিষয়টি চাঁদের সাথে সম্পর্কিত সেহেতু বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান একই দিনে পড়ে যায়। কুরবানির ঈদ, দুর্গোৎসব। আশুরার সাথে দুর্গোৎসব। প্রবারণা পূর্ণিমা, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবি, লক্ষ্মীপুজোও হয়ে যায় একই সময়ে, ভালোবাসা আছে বলে, যার যার উৎসব আগিয়ে পিছিয়ে আমরা ঠিক আনন্দের সাথে উদযাপন করি। আনন্দ বা শোক ঠিকই যার যার জায়গায় রেখেই বয়ে যায় যে যার মতো। শুনিনি কেউ উচ্চরব তুলেছে অন্যের বিরুদ্ধে।

Read more


 ১ স্বমেহনে ভারমুক্ত হয়ে লেখার প্লট এ আবার মন বসাতে চেষ্টা করে রাজনৈতিক প্রবন্ধকার রাজিউদ্দীন আহমদ রাজু। কিন্তু কিছুতেই মন বসাতে পারে না। লেখার সূত্রগুলো সুতা ছেঁড়া ঘুড়ির মত উড়ে ফুঁড়ে কেবলই হারিয়ে যাচ্ছে হেথায় হোথায়। অক্ষরগুলোকে বিক্ষিপ্ত লাগছে। যেন নাচছে, গাইছে। কখনও ছোট হয়ে তলিয়ে যাচ্ছে আবার কখনও বিকট বড় হয়ে মুখব্যাদান করছে ল্যাপটপের পর্দায়। বিপর্যস্ত হাতের চাপে ককিয়ে উঠছে মাউস। রাজু বুঝতে পারে হিমবাহ গতিতে ধমনী বেয়ে নেমে আসছে অবসাদ। তাৎক্ষণিক তৎপরতায় এ অবসাদ এখুনি ঝেড়ে ফেলতে না পারলে মানসিকভাবে ও অসুস্থ হয়ে পড়বে।   

Read more