বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে সায়রা মাহ হালিমের দ্বিতীয় হওয়াকে অনেকেই সিপিআইএমের রেজারেকশন বা পুনরুত্থান বলে ঠাউরে নিয়েছেন। আমি ভাবছি, ঠিক একইদিনে আসানসোল উপনির্বাচনে সিপিআইএম প্রার্থী পার্থ মুখোপাধ্যায়ের হাল নিয়ে। ওই লোকসভা কেন্দ্রে সিপিআইএম প্রার্থী তাঁর জামানত রাখতে পারেননি। এটা ঠিক, সায়রা ভোট পেয়েছেন ৩০.১০ %। একুশের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে বাম প্রার্থী ফুয়াদ হালিমের প্রাপ্ত ভোট ছিল মাত্র ৫.৬১ শতাংশ। আসানসোলে পার্থ এবার পেয়েছেন ৭.৮০% ভোট। এটা কি পুনরুত্থানের ইঙ্গিত বহন করছে। আসলে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামরা বুঝতেই পারছেন, সায়রা কেন দ্বিতীয় হয়েছেন? আর না বুঝে এক চরম রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার উদাহরণ দিলেন ফল বেরোনোর পরের দিন রবিবার বালিগঞ্জ এলাকায় জনগণকে অভিনন্দন জানাতে মিছিল বের করে! আশ্চর্য এঁদের মার্কসবাদী-লেনিনবাদী বীক্ষা! নির্বোধের
দীপ্তেন সান্যাল মশাই অনেক বছর আগে লিখেছিলেন, 'ভগবান তাদের রাজনীতি করার জন্য একটা দুরূহ গুরুভার জন্মের সময়েই করে পাঠিয়ে দিয়েছেন, অর্থাৎ কানে প্রকৃতির তুলো গুঁজে তবে পাঠিয়েছেন।' আজ থেকে ৭২ বছর আগে তাঁর অননুকরণীয় প্রকাশরীতিতে এই মন্তব্য করেছিলেন 'অচলপত্র'র সম্পাদক। এখন পিঠে কুলো বেঁধে নেওয়ার কাজটাও সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন আমাদের রাজনীতির কারবারিরা। ডান, ডানেতর, মধ্য-ডান, মধ্য-ডানেতর, কেউ কম যান না। নইলে বাবুল সুপ্রিয় বালিগঞ্জের মতো কেন্দ্রে ২০ হাজারের সামান্য বেশি ভোটে জেতায় তাঁর নতুন দলের বড়ো, মেজ, সেজ, রাঙা, ছোটো নেতারা এমন ফুক্কুড়ি করেন! আর বামবাজরা দ্বিতীয় হওয়ার আনন্দে পেখম খুলে ফেলেছেন! এসবই পিঠে কুলোবাঁধা কালার হদ্দ।
আমরা তো জানতাম, যখন কোনো স্বপ্ন নেই, তখনই তো স্বপ্ন দেখতে হয়। মার খেয়েও স্বপ্ন দেখতে চাওয়াটাই খাঁটি বামপন্থা। দীর্ঘদিন শাসক থেকে বঙ্গ বামবাজদের এতটাই আয়েশী হয়ে গেছেন যে সেই স্বপ্ন দেখার মেহনত করতে নারাজ। শটকাট পদ্ধতি খুঁজেছেন। তৃণমূলকে বিজেমূল আউড়ে আর উনিশে রাম একুশে বাম'এ মজে এক্কেবারে পথে বসেছে। দৃষ্টিহীনদের যষ্ঠির মতো ভেন্টিলেশনে যাওয়া কংগ্রেসের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াতে কী আকুল চেষ্টা। এদিকে আলিমুদ্দিনের ম্যানেজারদের এ নিয়ে কিছু বললেই বিপত্তি। আর সোশাল মিডিয়ার বামবাজরা তো সমালোচকদের 'চটিচাটা' বলাটা যেন আদর্শ মার্কসবাদী-লেনিনবাদী কাজ বলে ধরে নিয়েছেন। এঁরা সাধারণ মানুষের থেকে এতটাই বিচ্ছিন্ন যে ধারণাই করতে পারেন না ভোটের ফল কি হতে পারে। দুই উপনির্বাচনের ফল নিয়েও তাঁরা পাথর উলটে বিশ্লেষণ করাতে নেই। টিএমসি-কে 'টাকা মারা কোম্পানি' বলে প্রচার করা, আসানসোলে দাঙ্গার কালি গায়ে মাখা, সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে এক মুসলিম যুবককে 'প্যাক-আপ' করে পাক-ই-স্তানে পাঠানোর হুমকি দেওয়া বাবুল সুপ্রিয়কে বালিগঞ্জে প্রার্থী করে, বেশ খানিকটা ঝুঁকি নিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বামবাজীরা সেই ঝুঁকিটাকে বাজিয়ে দেখছিলেন। স্লোগান তুললেন 'নো ভোট টু বাবুল'। এই স্লোগানে পথেও নামলেন বামবাজরা। 'গ্রেটার ইভিল' 'লেসার ইভিল' তত্ত্ব সরিয়ে রেখে সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমকে ভোট দেওয়ার আবেদন করলেন সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের মতো সংসদীয় নকশালরাও। সোশাল মিডিয়ায় অনেক লিবারালও বাবুলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। আর এটা না বললে সত্যের অপলাপ হবে যে তৃণমূল প্রার্থীর এই গাল পাওনাই ছিল। গেরুয়া নামাবলী গায়ে চড়িয়ে এই গায়ক-রাজনীতিক গত ৬ বছর ধরে যা বলে এসেছেন, করে এসেছেন তাতে কোনো স্যানিটাইজার দিয়ে রাম-জীবাণু মুক্ত করা যাবে না। ভোট রাজনীতির মেধাবী ছাত্র সিপিআই(এম) সেই সুযোগটা তুলতে কসুর করেনি। ভোটের ফল প্রকাশের পরে বলতে কোনো দ্বিধা নেই, এই প্রচারের ফল ঘরে তুলতে পেরেছেন সায়রা শাহ হালিম। বামপ্রার্থী দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন। দীর্ঘক্ষণ চতুর্থ স্থানে থেকে শেষমেশ বিজেপি তৃতীয় হয়েছে।
বালিগঞ্জের মতো তৃণমূলের মৃগয়াক্ষেত্র থেকে বাবুলকে বের করে আনাটা যে খুব সহজ হবে না সেটা বুঝেছিলেন তৃণমূলের নেতারা। তাই প্রাক্তন আসানসোল সাংসদের জন্য রোড শো'তে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বালিগঞ্জের ভোটারদের কাছে আবেদন করেছিলেন, 'বাবুল সুপ্রিয়কে দেখে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দিন।'ভোটের ফলে ফের বোঝা গেল, মমতার ইউএসপি এখনো আনচ্যালেঞ্জড।
বালিগঞ্জের ব্যবধান বেজায় কমে যেতে শাসকদল একটাই অজুহাত দেখাচ্ছে, ভোট কম পড়েছে। হ্যাঁ, আলবাত কম পড়েছে। ৪১.২৪% নিঃসন্দেহে কম। কিন্তু কেন পড়ল? উপনির্বাচন বলে? শনিবার ভোট গণনা শুরু হওয়ার কিছু আগে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘বাবুল সুপ্রিয় কম বার ভোট লড়ছেন নাকি? প্রত্যেক এপ্রিল-মে মাসে ভোট হয়। গড়ে ৮০ শতাংশের ওপর ভোট পড়ে বাংলায়। সেখানে ৪০% ভোট পড়ছে। তার মানে, তাঁকে মানুষ পছন্দ করছেন না। ভেবেছিলাম সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের রেকর্ডটা উনি ভাঙবেন (৭৫ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলেন)। জানি না, কী করবেন। সেজন্য উনি নেমেছেন। কিন্তু প্রার্থী হিসেবে তাঁকে মেনে নেননি মানুষ। সেজন্য ভোট দিতেই যাননি।’ অন্যদিকে, বাবুলের কথায়, ‘ভোট খুব কম পড়েছে। মাত্র ৪১-৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে। একদিকে ভালোই হয়েছে। ছাপ্পা ভোটের যে ফালতু অভিযোগ তুলছিল বিরোধীরা, সেটা খাটবে না। ছাপ্পা হলে তো ৬৫-৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ত।’ এর সঙ্গে নিজের জেতার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন বাবুল। তাই তাঁর ফুটনোট ছিল, 'মার্জিনটা কমবে। তবে আমার জেতা উচিত। শুধু আমি জিতব, সেটা বলব না। আমরাই জিতব। যা ফল হবে, তা সম্পূর্ণভাবে আমাদের সংগঠনের জয় হবে।’ তবে আমি বলব
হালকা চালে বললেও দিলীপের কথাটা সত্যি। যাঁরা কমিটেড যে সিপিআই(এম) বা বিজেপিকে ভোট দেবেন না, তাঁদের একটা বড়ো অংশ বুথমুখো হননি। নইলে এর চেয়ে বেশি গরমে, রমজানের মধ্যে আসানসোলে ৬৬ শতাংশর বেশি ভোট পড়ল কি করে! আসলে বাবুল-যন্ত্রণা ছিল ঘাসফুল শিবিরে।
বালিগঞ্জে দ্বিতীয় হিসেবে দৌড় শেষ করলেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর ওয়ার্ডে জিতেছেন সিপিআই(এম) প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। সেই দিক থেকে দেখলে বামদের ক্রম রক্তক্ষরণের মধ্যে সিপিআইএমকে এই ফল অক্সিজেন জোগাবে। বুদ্ধদেব যেখানে থাকেন, সেই কলকাতা পুরসভার ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। এই ওয়ার্ডে বাবুল সুপ্রিয়কে পিছনে ফেলে সায়রা এগিয়ে গিয়েছেন, এগিয়ে গিয়েছেন ৯১৮ ভোটে। শুধু ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড নয়, তার লাগোয়া ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডেও বাবুলের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন সায়রা। সেখানে ২২৪ ভোটে লিড নিয়েছেন সায়রা শাহ হালিম। এছাড়াও, বাকি ৫টি ওয়ার্ড ৬০,৬১,৬৮,৬৯ ও ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডেও সায়রা দ্বিতীয় হয়েছেন। বালিগঞ্জে বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ কোনো ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হতে পারেননি। কেয়াকে সায়রা শাহ হালিম 'হারালেন' ১৭,৭৫১ ভোটে। এই উপনির্বাচনে গণনা শেষে হারলেও ২০০৬ সালের পর এই প্রথম বাম ভোট বাড়ল। তবে আমি বলব সৌজন্যে বাবুল। যেমন আসানসোল আসনটি তৃণমূল প্রথম পেল বাবুলের সৌজন্যে। কেননা, তিনি বিজেপি না ছাড়লে আসনটিতে উপনির্বাচন হত না। তবে সিপিআইএম মনে করছে এই ভোট বাড়ার পিছনে বিখ্যাত নাসিরুদ্দিন শাহর ভাইঝি। ভাবতে ভাল কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। সম্প্রতি শেষ হয়ে যাওয়া পুরসভার ভোটে ১০৮ টির মধ্যে একমাত্র তাহেরপুর ছাড়া কোনো পুরসভা দখল করতে পারেনি সিপিআইএম। তবে বিজেপি তা-ও পায়নি। সেই সময় থেকে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরমহল একটা কথা ঘুরপাক খাচ্ছিল তাহলে কি বিকল্প শক্তি হিসেবে ধীরে ধীরে আবারও উঠে আসছে বামরা। তারও আগে কলকাতা পুর নিগমের ভোটে বামরা বহু ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। আলোচনা চলছিল, ফের অক্সিজেন সঞ্চয় করছেন বামরা। এটা মানতেই হবে, সায়রা অতীতে তেমন করে রাজনীতি করতেন না বা করার সময় পেতেন না। শুধু ফুয়াদ হালিমের হয়ে বা খুব কাছের কয়েকজনের হয়ে ভোটের প্রচার করেছিলেন। তবে তাঁকে সবচেয়ে সক্রিয় দেখা গিয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে আন্দোলনের সময়। একেবারে প্রথম সারিতে ছিলেন। এই ক্ষেত্রে বাবুল সুপ্রিয়র বিপ্রতীপে তিনি। কারণ আমরা বাবুল সুপ্রিয় সম্পর্কে জানি যে তিনি ঘোষিত ভাবে, সিএএ, এনআরসি'র পক্ষে ছিলেন। কিন্তু অন্য আরেকটা দিকও ছিল। বিখ্যাত নাসিরুদ্দিন শাহর ভাইঝি সায়রা কী পোশাক পরেন, কোন ভাষায় কথা বলেন, হিজাব-বোরখা পরেন কিনা, এইরকম ধর্মীয় সুরসুরি সব বিষয় নিয়ে 'বঙ্গ বামদের মিত্রশক্তি' কংগ্রেস প্রার্থী সোশাল মিডিয়ায় কুৎসিত প্রচার চালিয়েছেন। দুর্জনেরা বলছেন, কংগ্রেস প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারের অর্থ এসেছে তৃণমূল প্রার্থীর কোষাগার থেকে। কেননা, বাবুলের 'দাঙ্গাবাজ' ইমেজ বা সেই বাবুল মানসিকতার বিরুদ্ধে সায়রা শাহ হালিমের লড়াই কিছুটা অ্যাডভান্টেজ ছিল। অ্যাডভান্টেজ এই কারণেই বালিগঞ্জ বিধানসভার ৪৫% সংখ্যালঘু ভোটার। এর মধ্যে, ৬০,৬১, ৬৪ ও ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। সায়রার আরো একটা অ্যাডভান্টেজ ছিল আনিস খানের মৃত্যু, অতিসম্প্রতি ঘটে যাওয়া বগটুইকাণ্ড, যা সংখ্যালঘু ভোটারদের তৃণমূলের প্রতি বিরাগ তৈরি করেছিল। এছাড়াও জয়েন্ট ফোরাম এগেনস্ট এনআরসি-সহ বিভিন্ন গণ সংগঠন এই নির্বাচনে তাঁর পক্ষে প্রচার করেছে। সেই ফসল ঘরে উঠেছে। আর সেই আনন্দে বামরা দাবি করছেন, বিজেপির প্রতি সাধারণ মানুষের মোহ কমছে। রামে চলে যাওয়া ভোট আবার বামের ঘরে ফিরে আসছে। হয়ত এর মধ্যে কিছু সত্য আছে, কেননা ২০২১ সালের শেষ লগ্নে কলকাতা পুর নিগমের ভোটের বিধানসভাওয়াড়ি ফলে সামান্য হলেও বালিগঞ্জে বামদের রক্তক্ষরণ বন্ধ হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল। ওই বিধানসভা এলাকায় বামরা পুরভোটে পায় ১১,২৪২ ভোট। সেখানে বামেদের থেকে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের তকমা সরিয়ে নেওয়া বিজেপি পায় ১০,১৫৭ ভোট। কংগ্রেস অবশ্য দুই বিরোধীর চেয়ে সামান্য বেশি ভোট পেয়েছিল। এবার অবশ্য কংগ্রেস ৫,২১৮ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে বালিগঞ্জে সিপিআই(এম)'এর প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমার আপত্তি আছে। আলিমুদ্দিনের নেতারা যখন দেখলেন তৃণমূল বাবুলকে বাজি রেখেছে তখন সায়রা শাহর জায়গায় স্থানীয় সৎ ও পরিচিত, মানুষের ধরাছোঁয়ার মধ্যে কাউকে দাঁড় করালে কী ক্ষতি হত? কনফিডেন্স এত কম কেন কমরেড? কেন প্রার্থী ইমপোর্ট করতে হল। সায়রার জন্মস্থান, বাসস্থান কোনোটাই আমার কাছে জরুরি নয়, কিন্তু তিনি মানুষের কাছের যে নয় তা তো মানতেই হবে। আর সেটা আলিমুদ্দিনের নেতারাও জানতেন। এছাড়াও, সিপিএম যে কথা আর মুখে আলাদা, তা সায়রাকে বাছা দিয়ে ফের বোঝা গেছে। এটা সিপিএমের বৈচিত্র, মুখে বলবেন প্রান্তিক মানুষের কথা, কিন্ত নেতা খুঁজবেন এলিটদের মধ্য থেকে। আর কবে সুদর্শন অভিজাত বহুভাষী আঁতেলদের থেকে মুখ ফিরিয়ে লড়াকু আন্দোলনপ্রিয় কমরেডদের আপন করবেন আমাদের কমিউনিস্ট দাদারা! কমরেড, মানুষের পালস বুঝলে বুঝতেন বামদের ভোট এমনিতেই বাড়ার দিকেই ছিল। আর সেটা ছিল নানা স্তরে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ভয়ঙ্কর কীর্তিকলাপের জন্য। হয়ত উপনির্বাচনে বালিগঞ্জে কাছের ও কাজের কাউকে পেলে বাম ভোট আরো বাড়ত। ঘরবন্দি না থেকে অনেকেই বুথমুখো হত। জিওপলিটিক্স অনুযায়ী সেটা ইতিবাচক হত।