পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

বাঁদিকের গাল আর কান পেঁচিয়ে পেল্লাই চড়টা পড়তেই মাথা কেমন ঝাঁ-ঝাঁ করে ওঠে প্রত্যুষার। চারপাশ চক্রাকারে ঘোরে। ভিক্টর আগে তবলা বাজাত, খুব খরখরে ও শক্ত করতল। ও কেবল গালে মারে না, গাল-কান নিয়ে মারে। ডানহাতের পুরো পাঞ্জা যখন আছড়ে পড়ে প্রত্যুষার বাঁ গাল আর কানের মধ্যবর্তী পেলবতায়, কয়েক মুহূর্তের জন্য সাড় চলে যায় তার।

Read more


১. মেয়েটা মাঝে মাঝে বিলাসের পান-দোকানের আয়নায় দেখে নিচ্ছিল নিজেকে। সেই মেয়েটা, প্যান্ডালের গায়ে হেলান দিয়ে যে মেয়ে ভিজছিল বৃষ্টিতে। মেয়ে নয়। মেয়েছেলে। প্যান্ডেলটা মেটে রঙের। বিষ্ণুপুর ঘরানার মন্দির যেন। নকল মন্দিরের নকল দেওয়ালে মেয়েগুলো বেঁকেচুরে দাঁড়িয়ে। সেই মেয়েটার মতো। মন্দিরের গায়েও কি তবে মেয়েছেলে?

Read more


আসগার পাড়ার ছেলে। যদিও তার সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল পাড়ার বাইরে - লাস্ট ট্রেনে বাড়ি ফেরার সময়, অকস্মাৎ। সেদিন অফিস কেটে বিকেলের দিকে কফি হাউস গিয়েছিলাম। সুব্রত বলল, কাফকা এসেছে।

Read more


ওই ভিডিও-টা তুমি মুছে ফেল। বলেছি তো মুছে দেব। কবে? আর কয়েকটা দিন যাক, তারপর তোমার সামনেই না হয় মুছে দেব।

Read more


ঠোটকাট্টি ভিখ-সফর সেরে বাড়ি ফিরছে। তার কাঁখে, মাথায় ভিক্ষায় পাওয়া ধান-চাল বাদেও আরও কতকিছু বাঁধা বোঁচকাবুঁচকি। সঙ্গী খেপি বিটি সজ্জা, তার মাথাতেও বেশ বড়সড় একটা বোঁচকা। খোদার রহমতে অন্যান্য বারের তুলনায় এবারেও তার সফর-আমদানি বেশ ভালোই হয়েছে। এবারে সে কারও দূয়ার থেকে খালি হাতে ফেরেনি। স্বভাবতই মা-বিটি দু’জনেই মনের খুশিতে বাড়ির পথ ধরে হাঁটছে। রাস্তার দুপাশের কোনও কিছুতে তাদের আগ্রহ নেই। কোনোকিছুতে কৌতূহল নেই। মাথায় বোঁচকার সঙ্গে শুধু একটা চিন্তা আছে, কতক্ষণে বাড়ি পৌঁছাবে! কেননা, সূর্য ডুবে গিয়ে আঁধার ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে দুনিয়াজাহানে।

Read more


বীরেন্দ্রমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহেন্দ্রনাথ সান্ন্যালের দুই ছেলেমেয়েই পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিল, তবে তারা দুজনেই ডাক্তার হবে একথা হয়তো তারা নিজেরা বা বাড়ির লোক কেউই জানতো না। সমাজবন্ধু হতে হলে, হয় পিতার মতো শিক্ষক নাহলে ঠাকুরদার মতো ডাক্তার, এটা খানিকটা হলেও কিভাবে যেন গেঁথে গেছিল মাথায়।

Read more


একজন বয়স্ক লোকের সঙ্গে কীভাবে কথা শুরু করা উচিত? শুধু তো বয়স্ক নয়, একেবারে একশ’ আট। একশ’ আট? না, এতে নাকি অবাক হওয়ার কিছু নেই, এই দ্বীপে একশ’র উপরে আরও অন্তত গোটা দুই-তিন— । আশি-নব্বই তাও অন্তত পাঁচ-সাত। আলাউদ্দীন ইলেকশান করা ছেলে। পঞ্চায়েত-বিধানসভা করে করে সবার বয়স, বাবার নাম, পাড়া— । তবে অমল ত্রিপাঠী একেবারে হায়েস্ট। আর একটা কথা, এই দ্বীপে সবাই কিন্তু মেদিনীপুরের। সেই তেতাল্লিশের মন্বন্তরে বা তার আগে-পরে মেদিনীপুর থেকে আসা।

Read more


'সেদিন আমাকে দেখে মুখ ফিরিয়ে নিল, জানিস?' ফিসফিস করে কথাটা বলে উল্টোদিকে ঘুরে তাকাল অহনা। ঘরের অ্যালার্মের শব্দ। একধাক্কায় দরজা ঠেলে ঢুকল নিবিড়।চোখমুখ থমথমে। ভারী গলায় বলে, ' আচ্ছা, আই কন্ট্যাক্ট না-হলে তুমি কারও সঙ্গে কথা বলো কি? কামন! গসিপ ছেড়ে...' চেঁচিয়ে একটা ধমক দিল অহনা, ' কার সম্পর্কে কথা বলছি, কার সঙ্গে কথা বলছি না জেনেই একটা মন্তব্য করে দাও কেন?’

Read more


সকাল আটটা নাগাদ ফোন। ভোরবেলা কাগজ চলে আসে। সেদিনই অ্যাডটা বেরিয়েছে। ঠাণ্ডা স্বরে লোকটা বলল আপনাদের কত দিনের মধ্যে দরকার? সেদিন বেরোবে জানতাম। আমার তখনও দেখে ওঠা হয়নি। অবাক-ই হলাম। লোকটা আমার সংশয় বুঝল হয়ত। বলল আপনার নম্বরের শেষটা ডবল টু ডবল ফাইভ তো? আজকের কাগজে আপনারা ছোট একটা বিজ্ঞাপণ করেছেন।

Read more


ঝিকঝিক রোদ উঠেছে। গত রাতে গোটা বন জুড়ে বৃষ্টি নেমেছিল। বেশ ঠান্ডা লাগছিল। ননি বেশ কয়েকদিন হল সাজুর বনে এসেছে। সাজুর বনে এই তার প্রথম আসা। শহরে সে হাঁপিয়ে উঠেছিল। তার বন খুব টানে। বন জংগলের ভেতর দিয়ে তার এলোমেলো হাঁটতে ভালো লাগে। আজ সকালের রোদটা দেখে ওর মনটা ভালো হয়ে গেল। বন বাংলোর হাতায় একটি বড় শিমুল গাছ। গাছে এখন শিমুল ফুলের ঢল। লাল ফুলের বাহার যেন বনময় ছড়িয়ে গেছে।

Read more