পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

এই ফুটবল মহোৎসবের মধ্যে, এত বৈভব, এত বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে কোথাও যেন ধ্বনিত হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের আর্ত চিৎকার। তাদের অধিকার লঙ্ঘন, তাদের জীবনের ঊপর দিয়ে কাতার সরকারের এই বিশ্বকাপ আয়োজন। বিশ্বকাপের আগেই যা সারা বিশ্বের সমালোচনার মুখে পড়েছিল। কাতার সরকার কিছুটা সংশোধন করলেও আইনের মূল পরিকাঠামো কিন্তু একই রয়ে গেছে। তাই গ্যালারীতে ফুটবলপ্রেমী মানুষের ফুটবল উন্মাদনার আওয়াজের মধ্যে যেন মিশে যাচ্ছে সেইসব পরিযায়ী শ্রমিকদের হাহাকার। একদিকে ইরানের খেলোয়াড়দের মানবিক প্রতিবাদ অন্যদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের যন্ত্রণাকাতর হাহাকার এ যেন মানবিকতা আর শোষণযন্ত্রের এক অদ্ভুত ঐতিহাসিক কোলাজ।

Read more


কাতার বিশ্বকাপের মঞ্চ প্রতিবাদের আরো কিছু নজির দেখছে। ইরানের মতো কাতারও একটি মৌলবাদী কট্টর ইসলামিক দেশ। সেইখানকার নানা প্রতিক্রিয়াশীল নিয়মকে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা দর্শকদের ওপর শেষ মুহূর্তে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে কাতার সরকার। তারা বলেছে মেয়েদের কাঁধ খোলা বা হাঁটু দেখানো পোশাক না পরতে। স্টেডিয়ামে মদ্যপান করা যাবে না বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে অনেকেই কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন। কাতার কি হয়ে উঠছে প্রতিবাদের মঞ্চ?

Read more


প্রথম ম্যাচে জাতীয় সঙ্গীতের সময় তাদের দেশের মেয়েদের সামাজিক স্বাধীনতার প্রশ্নে জাতীয় সঙ্গীতে নীরব থেকে অভিনব মানবিক প্রতিবাদ জানিয়ে ফুটবল বিশ্ব সহ মানবতাবাদী মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছিল ইরানের ফুটবলাররা। কিন্তু তারা যদি বিশ্বকাপের মঞ্চে ভালো কিছু করে দেখাতে না পারে তাহলে নিঃসন্দেহে নিজেদের দেশের সরকারের রোষের শিকার যে তাদের কিছু মাত্রায় হতে হবে তা ইরানের খেলোয়াড়রাও ভালোই জানেন।

Read more


মাঠের বাইরে যে লড়াইয়ের ইতিহাস গড়লেন ইরানের ফুটবলাররা এরপর নক আউট পর্যায়ে যাওয়া হবে কাব্যিক বিচার। ফুটবলের মত কাব্যিক খেলায় জীবন কি এইটুকু দেবে না? উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৩০ নভেম্বর ভোররাত পর্যন্ত। সেইদিন মেসি - রোনাল্ডো - নেইমার তর্জা মুলতুবি রেখে দমবন্ধ উত্তেজনায় ইরানের সাহসী ফুটবলারদের সমর্থনে গলা ফাটাবে আমাদের এই ছোট্ট ফুটবলপ্রেমী পৃথিবীর সমস্ত গনতন্ত্রকামী মানুষ।

Read more


এই সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু, সীমান্ত-কাঁটাতার, সাদা-কালো, ধর্ম-অধর্ম সবকিছু নির্বিশেষে আমার পক্ষ, আমার পোশাক, আমার অধিকার, আমার লড়াই আদতে এক। মুসকান বা মাহসাদের মতোই। ভারত বা ইরানের মতোই। নাহলে খেলা শুরুর আগের জাতীয় সঙ্গীতে গলা না মেলানো এই অভিনব প্রতিবাদের জন্য ইরানের খেলোয়াড়দের এত কুর্নিশ আমরা ভারতীয়রা কেনই বা দিচ্ছি?

Read more


হিজাব শুধু পিতৃতন্ত্রের প্রতীক নয়। হিজাব এখানে নারীর 'পছন্দ' নয়। বরং সর্বত্র তার অধীনতার প্রতীক। ইরানে নারী এমনিও অনেক অনেক ক্ষেত্রে বঞ্চিত। যেমন, অপরাধী চিহ্নিত হবার বয়সের ক্ষেত্রে, সম্পত্তির অধিকারের ক্ষেত্রে, বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে, বিবাহবিচ্ছিন্ন হলে সন্তানের দেখভালের অধিকার লাভ করার ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য। অর্থাৎ হিজাব এখানে ঐসলামিক ইরানী রাষ্ট্রের সর্বগ্রাসী পিতৃতন্ত্রের অস্ত্র, সেজন্যই আবার প্রতিবাদীদের নিশানায়।

Read more