পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

স্বাধীনতার আগের রাত কেন দখলে?

  • 15 August, 2024
  • 0 Comment(s)
  • 735 view(s)
  • লিখেছেন : অঞ্জুশ্রী দে
শাসকের ভুলও ভুল। তাকে ধরিয়ে দিলে, তা পর্যালোচনা করা উচিত। তা না করে অনেক সময়ই প্রতিবাদীর গায়ে সরকারবিরোধী তকমা সেঁটে দেওয়া হয়। এটা খুব সহজ কাজ। তবে এ প্রবণতা অন্ধ আনুগত্যের জন্ম দেয়। ভুল সংশোধন করতে শেখায় না। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা থেকে কী কোনও শিক্ষা নেবে শাসক দল?

জাস্টিস ফর আর জি কর, স্বাধীনতার মধ্যরাতে নারী স্বাধীনতার জন্য, মেয়েরা রাত দখল করো –  এরকম তিনটি শ্লোগান  লেখা একটা পোস্ট হোয়াটঅ্যাপে এলো। সত্যি কথা বলতে প্রথমে খুব একটা আলাদা করে গুরুত্ব দিই নি। পরে এটি ভাইরাল হয়। পোস্টটা নিয়ে পরিচিত কয়েকজনের কাছে থেকে নিশ্চিত হই এটা কোনোও রাজনৈতিক দলের ডাক নয়। তখনই ঠিক করি এই ডাকে সাড়া দিয়ে কর্মসূচীতে সামিল হব। আমি কোনোদিন কোনও রাজনৈতিক সভা সমিতিতে যাই নি। কলেজ স্ট্রিট মোড়ে গত ১৪ ই আগস্ট ‘রাত দখল’ কর্মসূচীতেই প্রথম হাজির হই। মেয়েদের স্বতস্ফূর্ত প্রতিবাদ দেখে অভিভূত। যেখানে কোনো রং নেই, ধর্মের বিভেদ নেই, আর্থিক বৈষম্য নেই। শুধু বিচার চাই। সারা রাজ্যে লাখো লাখো মেয়েরা ওইদিন রাতে পথে ছিলেন। সঙ্গে পুরুষরা সামিল হয়ে আন্দোলনে সহমর্মিতা জানিয়েছেন। যা আন্দোলনকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। রাত দখলের ডাক তো কোনোও দখলদারির ডাক নয় । এ ডাক নতুন করে মেয়েদের স্বাধীনতার ডাক। আর জি করে ঘটে যাওয়া অবাঞ্ছিত ঘটনার বিচারের ডাক।

 

"মেয়েরা রাত দখল করো" অত্যন্ত সময়োচিত একটি স্লোগান, একটি আন্দোলন। কে প্রথম স্লোগানটি তুলেছিল জানি না, কিন্তু দাবিটি নজর কেড়েছে। রাজ্যের সর্বত্র এমনকী রাজ্যের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে ।এই আন্দোলন অভূতপূর্ব নাগরিক আন্দোলনের রূপ নিয়েছে । মানুষ নারীর যাপনকে যেভাবে দেখে এসেছে, তার বিরুদ্ধে এটি একটি জোরালো ও প্রতীকী প্রতিবাদ।

আর-জি-কর মেডিকেল কলেজের এক মহিলা চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা থেকে এই আন্দোলনের জন্ম। এই নারকীয় ঘটনার বিরুদ্ধে উপযুক্ত তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাইছে নাগরিক সমাজ। কেউ কেউ ‘রাজনৈতিক’ না ‘অরাজনৈতিক’ এই প্রশ্ন তুলে আন্দোলনটিকে লঘু করার চেষ্টা করছেন। নিজেকে প্রশ্ন করা উচিৎ আমি কি চাইছি? আমার আন্দোলন ও প্রতিবাদ কিসের বিরুদ্ধে? পুলিশ ও প্রশাসনের ভুমিকায় আমি কি সন্তুষ্ট?

আর জি করের মতো একটি ঘটনার প্রতিবাদে কারও রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়তে ইচ্ছে করছে, কেউ  আবার আন্দোলনে নিশ্চুপ সমর্থন দিয়ে তার অংশীদার হতে চাইছেন। আগেই বলেছি আমি কোনো বিপ্লবী নই। মিটিং মিছিলে যাওয়ার অভ্যেসও নেই। এক কন্যা সন্তানের মধ্যবিত্ত মা। একজন স্কুল শিক্ষিকা। কয়েক দিন ধরে পত্র পত্রিকা পড়ছি, টিভি সম্প্রচারে নজর রাখছি। আজকের দিনে, উপায় নেই সমাজ মাধ্যম থেকে নিজেকে দূরে রাখার, ফলে সেখান থেকেও প্রতিনিয়ত ঘটনার আপডেট পাচ্ছি। পরিস্থিতি প্রতিদিন জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। এর আগেও আমাদের রাজ্যে কামদুনির মত ঘটনা ঘটেছে। তখনও হাড় হিম করা ঘটনায় আড়ালে চোখের জল ফেলেছি কিন্তু রাস্তায় নামার কথা মনে হয় নি। মানুষ বড় স্বার্থপর। যখন দেখছি আগুনের লেলিহান শিখা নিজের দিকে তেড়ে আসছে তখন আর হাত গুটিয়ে বসে থাকার সময় নেই। কিছু একটা করতেই হয়। তাই পথে নামা। তবে আমার এই সাহস, মনের জোর সবই বলতে পারেন দিল্লির আই পি এস ছায়া শর্মার জন্য । অবাক হলেন?

একটু পিছনে ফিরি, দিল্লির নির্ভয়ার কথা আমরা নিশ্চয়ই ভুলে যাই নি। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে যখন চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর নির্ভয়াকে চলন্ত বাস থেকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হয়। সেই ঘটনাতেও উত্তাল হয় সারা দেশ। রাস্তা থেকে নির্ভয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর প্রথম যে উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তা সেখানে পৌছেছিলেন তিনি ছায়া শর্মা। হাসপাতালে পৌছে তিনি ভিক্টিমের শরীরের ভয়ংকর অবস্থা দেখে মহিলা হিসেবে ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন। পুরো ঘটনার বর্ণনা শুনে তাঁর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল "কোন মানুষ কোন মানুষের সঙ্গে এমন করতে পারে! দেশে প্রচুর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, কিন্তু এমন বর্বরতার ঘটনা খুব কম ঘটে ।" হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে নির্ভয়ার অবস্থা শুনে ওই আই পি এস বলেছিলেন -"আমার মনে হয়েছিল, যদি অন্যের  মেয়েকে রক্ষা করতে না পারি, আমরা কিভাবে নিজেদের মেয়েকে রক্ষা করবো”। ছায়া শর্মা নিজের বাছাই করা পুলিশ সদস্যদের নিয়ে তৎক্ষণাৎ একটি তদন্ত দল গঠন করেন। পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত সেই তদন্ত দল সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষা করে এবং দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসেন। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ধর্ষিতাদের মধ্যে চার জনের ফাঁসির আদেশ দেয় দিল্লির ফাস্টট্র্যাক কোর্ট । ২০১৪ সালে দিল্লি হাইকোর্ট এই চারজনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখে।পঞ্চম অভিযুক্ত মামলা চলাকালে জেলে মারা যায়। অন্য অভিযুক্ত নিজেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে প্রমাণ করায় তার শিশু-কিশোর আদালতে বিচার হয়। তিনবছর হাজত বাসের পরে সে মুক্তি পায়।

গত ৯ ই আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে  ঘটনাটি ঘটে সেদিন সাধারণ মানুষ ব্যস্ত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষ বিদায় জানাতে। সমস্ত মিডিয়া - পিস ওয়ার্ল্ড, আলিমুদ্দিন স্ট্রীট, এজ জে সি বোস রোড, এন আর এস হসপিটাল, রামধণ মিত্র লেন, পাম এভিনিউ তে পড়ে ছিল। ১০ ই আগস্ট দৃষ্টি ঘোরে আর জি করে। তারপর থেকে গোটা কলকাতা শহর উত্তাল। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের সর্বত্র। রাজ্য জুড়ে আন্দোলন করছেন চিকিৎসকরা। দাবী একটাই বিচার চাই। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আন্দোলনে শামিল হয়েছে বিভিন্ন গণ সংগঠন, রাজনৈতিক দল (শাসক দল ছাড়া) । পথে নেমেছেন নাগরিক সমাজের একটি অংশ । তবে যাঁরা ২০১১ সালের আগে খুব ছোটো খাটো বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নামতেন। আর জি করের ঘটনায় তাঁদের অনেককেই চুপ থাকতে দেখে অবাক হয়েছি। যদিও নাগরিক সমাজের এই অংশ কেন মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তাঁর উত্তর তাঁরাই দিতে পারবেন।

আর জি করের ঘটনায় কয়েকদিন ধরে নানা চাপান উতোর চলছে। কেউ বলছেন পুলিস আসল  অপরাধীকে আড়াল করতে এক সিভিক পুলিশকে গ্রেফতার করে নজর ঘোরাচ্ছে।  কেউ বলছেন এখানে একজন প্রভাবশালীর ছেলে জড়িয়ে আছে। কেউ বলছেন অধ্যক্ষই আসল কালপ্রিট, এখানে ড্রাগ র‍্যাকেট চালান। তিনি হাসপাতালের বর্জ্য বিক্রি করে অবৈধ ভাবে রোজগার করেন । বেআইনি পার্কিং থেকে টাকা তোলেন। নানা অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। এগুলো সব সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সঠিক কোনো তথ্য প্রমাণ কারো কাছে নেই।  ঠিক ভুল প্রমাণ করবার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। সরকার বলবেন এটা সাধারণের মাথা ব্যথার কারণ নয়। সত্যি বলতে দুর্নীতি নিয়ে আজকাল কেউ ভাবেনও না। ঘটনার পরম্পরায় সামনে এসেছে। লেখালেখি হচ্ছে। আমরা জানছি। হয়তো ওই শিক্ষানবীশ চিকিৎসকও ভিতরে থাকার ফলে এগুলো সব জানতে পেরেছিলেন। এটাও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে মেয়েটি হয়ত আর কি কর হাসপাতালের নানা কুকীর্তির কথা টের পেয়েছিলেন বা কোনো বিষয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন বলেই ওনার এই পরিণতি। খবরে যেটুকু জেনেছি উনি এখানকার এম বি বি এস নন। ফলে যে হাসপাতালে তিনি মারা গেলেন বলা ভালো তাঁকে মেরে ফেলা হল সেখানে তুলনায় তিনি নতুন। হয়ত ভিতরের খেলাটা ভালো করে বুঝে ওঠতে পারেননি বলেই তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। একজন সহ নাগরিক হিসেবে জানতে চাই যারা মেয়েটিকে সহবত শেখাতে চাইলেন তাদের কাছে এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় কি জানা ছিল না!

https://x.com/sumonseng/status/1823935357760450986

দুর্নীতি নিয়ে মাথা ঘামালাম না । কিন্তু একজন মেয়ের মা হিসেবে কতগুলো আশঙ্কা মনের মধ্যে ভিড় করছে। আমার মেয়ের এখন কেরিয়ার তৈরির সময়। খুব কাছ থেকে দেখছি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে সন্তানকে পৌঁছে দিতে বাবা মা-কে কী কঠিন লড়াই করতে হয়। মৃত মেয়েটিকে ডাক্তারি পাশ করাতে বাবা মা-কে সেই কঠিন লড়াই করতে হয়েছে। শুধু তাই নয় শক্ত প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে মেয়েটি চেস্ট মেডিসিনের মত বিষয়ে এম ডিতে সে সুযোগ পেয়েছে। অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছেও শেষ রক্ষা হলো না। আর জি কর মেয়েটির কাছে একদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্য দিকে কাজের জায়গা। যেভাবেই দেখি না কেন এটা তাঁর দ্বিতীয় হোম। একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষাক্ষেত্রে ধর্ষিতা হয়ে খুন হচ্ছেন। এর কী ব্যাখ্যা হবে? মেয়েটিকে কর্মরতা চিকিৎসক হিসেবে ধরলে বলতে হয় একজন নারী তাঁর কর্মস্থলেই নিরাপত্তাহীন। যে বার্তাটা জনমানসে যায় সেটা সুখের নয়, আতঙ্কের। মা হিসেবে দুশ্চিন্তার।

আর জি কর কান্ডের তদন্ত রাজ্যপুলিশ করবে না সি বি আই করবে এই টানাপোড়েনে - কলকাতা হাইকোর্ট গত ১৩ ই আগস্ট মামলার তদন্তভার তুলে দিয়েছেন সি বি আই এর হাতে।  সিবিআই দিল্লি থেকে একটি বিশেষ মেডিকেল এবং ফরেন্সিক দল নিয়ে এসেছে। ইতিমধ্যেই তারা রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে তদন্তের ভার  নিজেদের হাতে নিয়েছে। কাজ শুরুও করেছে। এখন দেখার কত দ্রুত আসল দোষীরা ধরা পড়ে এবং ঘটনার মূল কারণ প্রকাশ্যে আসে। তবে এখনও অবধি সিবিআই যে তদন্ত হাতে নিয়েছে, তার বেশীরভাগেরই কিনারা করতে পারেনি, সেই তথ্যও আছে।

শেষে আমার একটা বিনয়ী প্রশ্ন আছে? অপরাধের কি কোনোও রং হয়? তার ইনটেনসিটি কি রাজ্য থেকে রাজ্যে আলাদা হতে পারে?  উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের ঘটনায় আমাদের রাজ্যের শাসক দল ঘটনাস্থলে যেতে চাইলে সেখানকার সরকার তাদের বাধা দেন। প্রতিবাদে এই রাজ্যের শাসকদল উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। আবার তাঁরাই নিজের রাজ্যে একই ঘটনা ঘটলে, বিষয়টাকে ধামা চাপা দিয়ে আসল অপরাধীকে আড়াল করতে চান। ঘটনার বিষয়ে সত্য, অসত্য মিশানো বিবৃতি দেন। পাশাপাশি, ঘটনাস্থলে কাউকে ঘেষতে দিতে চান না। মজার বিষয় হল উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে যারা অন্যদের ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন তাঁরাই পশ্চিমবঙ্গে একই ধরণের ঘটনায় ঘটনাস্থলে ঢুকতে না পেরে গলা ফাটাচ্ছেন।  অদ্ভুত বৈপরীত্য। এগুলো মোটেই কাম্য নয়। এ থেকে পরিষ্কার হয় একই অপরাধে বিরোধী অবস্থানে গর্জে উঠছি আর শাসক হলে ধামা চাপা  দেওয়ায় চেষ্টা করছি। আসলে সবটাই রাজনীতি। কোনোটাই মানবিক নয়। এখানেই বড় বিপদ!! প্রশাসন মানবিক না হলে মানুষ দাঁড়াবেন কোথায়?

একটা অনুরোধ, শাসকের ভুলও ভুল। তাকে ধরিয়ে দিলে, তা পর্যালোচনা করা উচিত। তা না করে অনেক সময়ই প্রতিবাদীর গায়ে সরকারবিরোধী তকমা সেঁটে দেওয়া হয়। এটা খুব সহজ কাজ। তবে এ প্রবণতা অন্ধ আনুগত্যের জন্ম দেয়। ভুল সংশোধন করতে শেখায় না। আর একটা কথা না বললেই নয়। কোনোও ঘটনা ঘটে গেলেই রাজনৈতিক দলগুলো ঘটনার ভয়াবহতা থেকে সরে এসে পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করেন। এমনকি শাসক দলও দোষীকে আড়াল করতে চাপান উতোর শুরু করে। অতীতে দেশের কোথায় কী হয়েছে, আগের জমানায় এই হয়েছে ওই হয়েছে ইত্যাদি। এসব অপরাধীদের হাত শক্ত করে। তাদের অপরাধের প্রবনতা বাড়ায়। যেদিন দলমত নির্বিশেষে এক হয়ে অপরাধের প্রতিবাদ হবে সেদিন- ই অপরাধী ভয় পাবে নচেৎ নয়।

সঠিক বিচারের দাবীতে কলকাতা থেকে কোচবিহার, বনগাঁ থেকে বোলপুর প্রতিবাদ চলুক। তদন্তকারী সংস্থা দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আদালতকে জানাক। অপরাধীরা তাদের অপকর্মের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি পাক। আমরা সবাই চাইছি। কিন্তু যে ফুল ফুটে ওঠার আগেই ঝরে গেল – তার কী হবে ? যে মেয়েটি একরাশ স্বপ্ন বুকে নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হল তাকে কী কৈফিয়ত দেব? 

0 Comments

Post Comment