পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

কাছে-পিঠেই ঘুমন্ত বিলকিসের ধর্ষকেরা

  • 26 August, 2022
  • 0 Comment(s)
  • 2074 view(s)
  • লিখেছেন : শতাব্দী দাশ
যাঁরা বিলকিস বানোকে ধর্ষণ করেছিলেন, এগারোজনের মধ্যে তিন জোড়া ভাই ছিল — নরেশ মোধিয়া এবং প্রদীপ মোধিয়া, শৈলেশ ভাট এবং মিতেশ ভাট, কেয়ারভাই ভোহানিয়া এবং বাকাভাই ভোহানিয়া। আর ছিল এক চাচা-ভাতিজা জুটিও — যশবন্ত নাই এবং গোবিন্দ নাই। ভাইয়ের উপস্থিতিতে ভাই বিধর্মী নারীর শরীরে উপগত হচ্ছে; ভাইপো অপেক্ষা করছে, চাচার হয়ে গেলে তার পালা আসবে বলে; নাপিত অপেক্ষা করছে, বামুনের হয়ে গেলে সে সুযোগ পাবে বলে — এসব আশ্চর্য দৃশ্য অগত্যা কল্পনা করতে হয়। এমনটা সম্ভব হয়েছিল, কারণ তখন কেউ কারও ভাই নয়, কেউ কারও পিতৃব্য নয়, কেউ কারও প্রতিবেশীও নয়৷ তখন মুখোমুখি হয়েছিল কেবল এক গর্ভবতী মুসলমান নারী আর এগারোজন হিন্দু পুরুষ।'

বিলকিস বানোকে নিয়ে, যতদূর মনে পড়ছে, আগেও দুবার লিখছি— ২০১৭ সালে যখন একটি আর্জি নাকচ করে তাঁর অপরাধীদের যাবজ্জীবন বহাল রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট, আর ২০১৯ সালে যখন তিনি আর্থিক ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন। এর মধ্যে একটি লেখার আবার নাম ছিল, 'বিলকিস বানোকে নিয়ে একটি নৈর্ব্যক্তিক প্রবন্ধ লেখা কেন সম্ভব নয়'।

https://www.4numberplatform.com/?p=12671&=1

বিলকিস বানোকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আমি সত্যি নৈর্ব্যক্তিক থাকতে পারি না, কারণ তিনি শুধু যে কোনো নির্যাতিতার নয়, সসম্ভ্রমে বাঁচতে চাওয়া যে কোনো নারীর 'রোলমডেল' — বিগত কুড়ি বছর ধরে প্রায়। দাহোড়ের বিলকিস বানোকে নিয়ে এতদিনে সকলেই অবহিত। ২০০২ সালে, গুজরাত দাঙ্গার কালে, গর্ভবতী অবস্থায়, উনিশ বছর বয়সে গণধর্ষিতা হয়েছিলেন যিনি। ধর্ষকরাই আছড়ে মেরেছিল তাঁর তিনবছরের মেয়ে সহ পরিবারের মানুষজনকে। অনেক হুমকি, শঠতা, চোখরাঙানি শেষে ২০০৮ সালে অপরাধীরা যাবজ্জীবন সাজা পায়। কিন্তু সেই তাঁরই ধর্ষকদের স্বাধীনতার 'অমৃত মহোৎসবে' ছেড়ে দিয়েছে বিজেপি শাসনাধীন গুজরাত সরকার। একই দিনে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে নারীশক্তির জয়গান করেছেন। তথাকথিত 'স্বাধীন' দেশে বিলকিস বানোর আত্মসম্ভ্রম রক্ষার লড়াইয়ের যে কুড়ি বছর পূর্ণ হল— তা বোধহয় স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পূর্ণ হওয়ার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা৷

বিলকিস বানো সম্পর্কে যেহেতু সকলেই কম-বেশি জানি, তাই ভাবছি, এ নিবন্ধে বরং মনোনিবেশ করা যাক তাঁর ধর্ষকদের প্রতি। ধর্ষক আমাদের কাছে প্রায়শ মুখহীন; নারকীয়তার না-মানুষ প্রতিভূ। অথচ তাদের নাম আছে, সাকিন আছে, পেশা আছে, তাদেরও ধর্মীয় বা বর্ণভিত্তিক অবস্থান আছে, আছে সেই অনুযায়ী নিজস্ব যাপন ও বিশ্বাস। ধর্ষণকে যদি আমরা ব্যক্তিগত বিকৃতি হিসেবে না দেখে সামাজিক কার্যকারণের নিরিখে পর্যালোচনা করি, তবে ধর্ষকদের আলাদা করে চেনা দরকার বৈকী! বিজেপি নেতা সি কে রাউলজি 'মোজো স্টোরি'-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'অভিযুক্তরা ব্রাহ্মণ। ব্রাহ্মণরা খুব সংস্কারী হয়।' এই কি তবে তাদের জাতিগত পরিচয়? আর অন্য পরিচয়গুলো?

না, সম্ভবত তারা সকলেই ব্রাহ্মণ নয়, তবে কেউ কেউ অবশ্যই তা বটে। যেমন, 'নাই' পদবীধারীরা সম্ভবত নাপিত ও ওবিসি বর্ণভুক্ত। অথচ আরএসএসের এমনই মহিমা যে, তারা সকলেই নিজেদের বর্ণগত ভেদাভেদ ভুলে একই কাজে প্রবৃত্ত হয়েছিল, বা একই কাজে প্রবৃত্ত হওয়াকে কর্তব্য ভেবেছিল। আর তা হল, এক পলায়নরতা মুসলমান নারীকে ধর্ষণ। তাদের মধ্যে আছে একজন আইনজীবী, একজন শিক্ষক, একজন (হাতুড়ে) ডাক্তার, একজন স্বঘোষিত সমাজকর্মী, একজন প্রাক্তন 'সরপঞ্চ'-এর স্বামী, এক ছোট হোটেলের মালিক, এবং এরকমই সাধারণ মানুষ। ১৫ই আগস্ট, ২০২২-এ, গুজরাতের বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে, গোধরা জেল থেকে বেরিয়েছে তারা। আর ফিরে গেছে দাহোড়ের সিংভাদ গাঁয়ে, যেখানে তারা থাকত, আর থাকত বিলকিসও। সে গাঁয়ে হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের বাস, যদিও বিলকিসের এক তুতোভাই ইসমাইল বলেন, ২০০২ সালের পর থেকে নাকি মুসলমান জনসংখ্যা কমেছে। সে গাঁয়ে ১৫ই অগাস্টের পর অস্বস্তিকর নিস্তব্ধতা৷

বিলকিস বানো, তাঁর ধর্ষক, তাঁর গ্রাম সম্পর্কে যত জানার চেষ্টা করি, তত বিক্ষুব্ধ হই৷ যদিও জানি, যেমন যেমন ঘটনা ঘটেছে, তেমনই ঘটা দস্তুর। যেমন, বিলকিসের পরিবার বিক্রি করত মহিষের দুধ আর কয়েকজন ধর্ষকের পরিবারও ছিল ক্রেতাদের তালিকায়৷ বিবাদ ছিল দুই ধর্মীয় গোষ্ঠীতে। কিন্তু নিত্য যোগাযোগ, ভাবসাবও ছিল৷ এসব জানতে পারি, আর ভাবি, মানুষ কত সহজে বদলে যায় তেমন তেমন অনুঘটক পেলে! গোধরার ঘটনা এবং আরএসএস-বিজেপির ইন্ধন এক্ষেত্রে সেই অনুঘটকের কাজ করেছিল। পরিচিত প্রতিবেশীকে নিমেষে ধর্ষকামী করে তুলেছিল। ইসমাইল বলেন, কুড়ি বছর কেটে গেছে ঘটনার পর, তবু দোষীরা ছাড়া পাওয়ার পর বিলকিসের পরিবার তো বটেই, তাঁর পরিবারও ভয় পাচ্ছে। এমনকী প্যারোলে অপরাধীরা যখন বাড়ি আসত, তখনও ভয়ে থাকতেন তাঁরা৷

আমরা দেখেছি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অফিসে ধর্ষকদের মালা পরানো হয়েছে। তিলক পরিয়ে মিষ্টিমুখ করিয়ে পায়ে হাত দিয়ে তাদের প্রণাম করেছে কেউ কেউ। এ পোড়া বিচারব্যবস্থায় ধর্ষকের সাজা মকুব হওয়া যদিও অসম্ভব নয়, তবু উপরিউক্ত সামাজিক ব্যবহার মনে হয় সব ধর্ষক পায় না। তাই ধর্ষকদের রাজনৈতিক পরিচিতি বুঝতে অসুবিধে হয় না। বোঝা যায়, তারা অভিবাদিত হচ্ছে এক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যসিদ্ধির সৈনিক হিসেবে।

এদিকে রাধেশ্যাম শাহ, পেশায় উকিল, যিনি বিলকিসের ধর্ষক সাব্যস্ত হয়েছিলেন একদা, তিনি বলেন, 'মোদিজির রাজনৈতিক বিরোধীরা' তাদের ফাঁসিয়েছে মাত্র, 'যাতে মোদিজির খামোখা বদনাম হয়।' বেছে বেছে তাদেরই বা ফাঁসাবে কেন? তারা কি তাহলে মোদি-প্রেমী?

উল্লেখ্য, আইনের মারপ্যাঁচ সম্পর্কে অবগত এই উকিল রাধেশ্যামই নিজের উকিল মারফত সাজা মকুবের প্রার্থনা করেন সুপ্রিম কোর্টে, যার ফলে রাজ্যকে পুনর্বিবেচনার ভার দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

নিজের গ্রাম থেকে দূরে, রন্ধিকপুরে ধর্ষিত হয়েছিলেন বিলকিস, পালানোর সময়। কিন্তু তিনি বলেছিলেন, ধর্ষকদের তিনি চিনতেন। নিজেরই গ্রামের এগারোজনের নাম নিয়েছিলেন তিনি। এদের কাউকে কাকা, কাউকে দাদা বলে ডাকতেন কি বিলকিস?

আরও বলে রাখা ভাল, ওই এগারোজনের মধ্যে তিন জোড়া ভাই ছিল — নরেশ মোধিয়া এবং প্রদীপ মোধিয়া, শৈলেশ ভাট এবং মিতেশ ভাট, কেয়ারভাই ভোহানিয়া এবং বাকাভাই ভোহানিয়া। আর ছিল এক চাচা-ভাতিজা জুটিও — যশবন্ত নাই এবং গোবিন্দ নাই। ভাইয়ের উপস্থিতিতে ভাই বিধর্মী নারীর শরীরে উপগত হচ্ছে; ভাইপো অপেক্ষা করছে, চাচার হয়ে গেলে তার পালা আসবে বলে; নাপিত অপেক্ষা করছে, বামুনের হয়ে গেলে সে সুযোগ পাবে বলে — এসব আশ্চর্য দৃশ্য অগত্যা কল্পনা করতে হয়। এমনটা সম্ভব হয়েছিল, কারণ তখন কেউ কারও ভাই নয়, কেউ কারও পিতৃব্য নয়, কেউ কারও প্রতিবেশীও নয়৷ তখন মুখোমুখি হয়েছিল কেবল এক গর্ভবতী মুসলমান নারী আর এগারোজন হিন্দু পুরুষ। বাকি 'সমাজ-সংসার মিছে সব।'

ধর্ষকের অপরায়নের করে আমরা নিশ্চিন্ত হতে চাই। ভাবি, ধর্ষক শিং-ল্যাজ বিশিষ্ট এক মূর্তিমান শয়তান, এক আলাদা প্রজাতি, ঠিক মানুষ নয়৷ কিন্তু ধর্ষকের অপরায়ন আসলে ধর্ষণ সংস্কৃতিকে খতিয়ে দেখা থেকে আমাদের বিরত করে। ধর্ষক, বিলকিসের ধর্ষকদের মতোই, সাধারণ ও সর্বব্যাপী। তারা হয়ত আমাদের হয়ে কেস লড়ে। তারা হয়ত আমাদের পড়ায়। তাদের দোকান থেকে হয়ত আমরা খাবার কিনি৷ ধর্ষণ সংস্কৃতিতে ধর্ষক সর্বত্র৷ মূলগতভাবে, ধর্ষণ হল ক্ষমতাবানের ক্ষমতাহীনের প্রতি আস্ফালন। আর যুদ্ধপরিস্থিতিতে সেই ধর্ষণ হয়ে ওঠে বিজিতকে বিজয়ীর পেশীপ্রদর্শন। দুটি জাতি বা ধর্মের বিবাদে নারী আর কেবল মানুষমাত্র থাকে না। একদিকে নিজের জাতি বা ধর্মের কাছে সে হয়ে ওঠে 'জাতির সম্মান, ধর্মের আব্রু।' অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের কাছে তাকে ধর্ষণ করাই হয়ে ওঠে সেই ধর্মকে, সেই জাতিকে বেইজ্জত করার সবচেয়ে সহজ পন্থা৷ আট বছরের যাযাবর মুসলমান মেয়ে আসিফাকে মনে আছে আমাদের নিশ্চয়। তার ধর্ষকরা এখনও জেলে। যাবজ্জীবনে দণ্ডিত তারাও। তাই ধর্ষকদের সরাসরি পরানোর বদলে তাদের ছবিতেই মালা দিচ্ছে আপাতত বিজেপি সমর্থকরা। বিজেপি এমএলএ-রা তাদের মুক্তির দাবিতে মিছিলে হেঁটেছে। তারাও কি মুক্তি পেয়ে যাবে কোনোদিন? নিজের ছেলেকে নির্দোষ দাবি করার সঙ্গে সঙ্গে রাধ্যেশ্যাম শাহের বাবা আরও বলেছেন, 'তখন মাহওল অন্য রকম ছিল।' ভয় হয়, বিলকিস বানো বা আসিফার ধর্ষকরা আমাদের চারপাশেই ঘুমিয়ে নেই তো? তেমন তেমন 'মাহওল' পেলে জেগে উঠবে না তো? বিধর্মীকে ধর্ষণ করাকে পবিত্র রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কর্তব্য ভাববে না তো?

কারাদন্ডের মেয়াদ কমিয়ে বন্দীদের মুক্তি দেবার এক নির্দেশিকা ২০২২ সালের জুনে বেরিয়েছিল বটে। কিন্তু তাতে পরিষ্কার বলা ছিল, ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তরা এর আওতায় পড়বে না। ২০১৮ সালের আরেক নির্দেশিকাতেও বলা হয়েছিল, শাস্তি মকুবের সময় ইউএপিএ বা ধর্ষণ/ শিশুধর্ষণ/গণধর্ষণের অপরাধীরা সুযোগ পাবে না। এমনকী, আইনজ্ঞদের মতে, গুজরাট সরকার যদি তাদের দাবি অনুযায়ী ১৯৯২ সালের আইন মোতাবেকও উপরিউক্ত শাস্তি মকুব করে থাকে, তাহলেও কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কোন্ ব্যক্তি কোন্ সরকারি স্তর থেকে এই অনুমতি দিয়েছিলেন, তা এখনও জানা যাচ্ছে না কেন? সাজা মকুব হওয়ার আগেও এতবার প্যারোলে ছাড়া হত কেন ঐ অপরাধীদের? উপরিউক্ত রাধেশ্যাম শাহ 'মায়ের হাঁটুর অপারেশনের' জন্য কেন দুমাসের প্যারোল পান? দু মাস — ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ! ফিরে এসে 'গৃহপ্রবেশের' জন্য আবার ২৮ দিনের প্যারোলের আবেদন করে সে এপ্রিলে, যদিও আগের প্যারোল ঠিক আগের মাসেই শেষ হওয়ায় বিচারক তা নাকচ করেন। একই ভাবে কখনও পুজো, কখনও পরিবারের সদস্যদের অসুস্থতার অজুহাতে প্যারোল চাইত বারবার অভিযুক্তরা। পেয়েও যেত। কেন? আইনব্যবস্থা কি যথেষ্ট কঠোর ছিল তাদের প্রতি, কারাবাসের কালেও? না থাকলে, তা কার/ কাদের অঙ্গুলিহেলনে?

ভার্মা কমিশন বলেছিল এক দশক আগে, ধর্ষকের শাস্তির 'ম্যাগনিচুড' বাড়ানোর দরকার নেই, অর্থাৎ কীনা, প্রাণদণ্ড মোটেও জরুরি নয়। শুধু শাস্তির নিশ্চয়তা/ 'সার্টেন্টি' থাকুক। সেই ভার্মা কমিশনের সুপারিশের কিয়দংশের ভিত্তিতে এই দেশের ধর্ষণ আইন সংস্কার হয়েছিল। দশ বছর পরে, স্বাধীনতার 'অমৃত মহোৎসবের' সময় আমরা বুঝলাম, সরকার ও বিচারব্যবস্থা নামের দুই পরস্পর-নির্ভর প্রতিষ্ঠানের সদিচ্ছা না থাকলে কোনো আইন বা আইনের কোনো সংস্কারই নির্যাতিতার কোনো কাজে আসে না। বরং তা বিড়ম্বনা বাড়ায় এবং ধর্ষিতারা প্রতিদিন আদালতের প্রতি আস্থা হারান। যেমন আস্থা হারিয়েছেন বিলকিস।

বিলকিস আজও আলোকবর্তিকা, নিঃসন্দেহে — যদিও থম মেরে গিয়েছেন তিনি। আইনজীবী মারফত কয়েক লাইনের অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট ছাড়া কিছুই বলেননি। ক্লান্ত বিলকিস এবার আর ওই 'সাজা মকুব'-কে চ্যালেঞ্জ করবেন না, জানিয়েছেন তাঁর উকিল। কিন্তু বিলকিস বানো পৃথিবীর সব 'গণিমতের মাল'-দের প্রতিভূ হয়ে এমন এক অসম লড়াই লড়ে ক্লান্ত হয়েছেন, যে লড়াই অন্যরা কতবার চেয়েও লড়তে পারেনি! বিলকিস যখন ক্লান্ত, তখন তাঁর ছেড়ে যাওয়া ব্যাটন হাতে তুলে নেওয়া কি প্রতি নারীর কর্তব্য নয়?

তথ্য ঋণ: দ্য প্রিন্ট, দ্য ওয়্যার, বার অ্যান্ড বেঞ্চ

0 Comments

Post Comment