পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

তবুও পৃথিবী ঘোরে - ১

  • 11 February, 2022
  • 0 Comment(s)
  • 1845 view(s)
  • লিখেছেন : পার্থপ্রতিম মৈত্র
বিজ্ঞানের ইতিহাসে বঞ্চনার তালিকা দীর্ঘ। কিন্তু বিজ্ঞানীরাও মানুষই। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কেউ হাল ছাড়েন কেউ ছাড়েন না। কিন্তু একটা জিনিস লক্ষ্যণীয়। যে দু জন বিজ্ঞানীর কথা এখানে বলা হলো, তাঁদের আবিষ্কার ঈশ্বরকে চ্যালেঞ্জ করে বসেছিল। রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। কিন্তু তাঁরা চেষ্টা করেছিলেন বিজ্ঞানকে অস্ত্র করে সাধারণ মানুষের জীবনকে একটু সহনীয় করে তুলতে। বিজ্ঞান-বাণিজ্য নয় বিজ্ঞানকে মানুষের আশীর্বাদ করে তুলতেই প্রয়াসী হয়েছিলেন তাঁরা।

১।

১৬৩২ সালের সেপ্টেম্বরে রোমে গ্যালিলিও গ্যালিলি যখন তাঁর ছাত্র এবং ঘনিষ্টজনদের অশ্রুসিক্ত দৃষ্টির সামনে দিয়ে ইনক্যুইজিশনের কক্ষে প্রবেশ করছেন, তখনও তাঁর বিশ্বাসের প্রতি আস্থাবান মানুষেরা নিশ্চিত ছিলেন তিনি তৎকালীন অ্যারিস্টটলের জিওসেন্ট্রিক (অর্থাৎ পৃথিবী কেন্দ্রে স্থির আর সূর্য,সহ অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্র তাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে) বিজ্ঞানসত্য কে নস্যাৎ করে কোপারনিকাস এর হেলিওসেন্ট্রিক (কেন্দ্রে সূর্য, আর তাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহ) মতবাদের ধ্বজা ঊর্ধে তুলে ধরবেন এবং ফলশ্রুতিতে মেনে নেবেন মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞা। তাই তাঁদের চোখ ছিল অশ্রুসজল। তাঁরা একটি অবধারিত মৃত্যুর ঘোষণা শোনার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তাই তাঁরা যখন শুনলেন ইনক্যুইজিশনের সামনে গ্যালিলিও স্বীকার করেছেন যে কোপারনিকাস ভুল, এবং তিনি পৃথিবী কেন্দ্রে স্থির এই মতবাদেই বিশ্বাসী, তখন তাঁরা হতাশায় ভেঙ্গে পড়েন। সত্যের মুখোমুখি দাঁড়ানোর অক্ষমতায় গ্যালিলিওর দুর্বলচিত্তকে তাঁরা উপহাস করেন, ধিক্কার জানান এবং তাঁকে পরিত্যাগ করেন। বার্ধক্য, অসুস্থতা এবং ইনকুইজিশন দ্বারা নির্যাতনের হুমকিতে, গ্যালিলিও ৩০ এপ্রিল, ১৬৩৩ তারিখে এ বিষয়ে তাঁর পূর্বোল্লিখিত যাবতীয় তত্ব প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। গ্যালিলিওর এই অকল্পনীয় অস্বীকারের পরিপ্রেক্ষিতে১৬৩৩ সালের ২২শে জুন ইনকুইজিশনের সাজা ঘোষণা করা হয়। গ্যালিলিওকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়নি, তাঁকে শারীরিক শাস্তির সম্মুখীন হওয়া থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সূর্য স্থির থাকে বলে মত পোষণ করায়, এবং মহাবিশ্বের কেন্দ্র যে পৃথিবী তা কেন্দ্রে স্তিত নয়, এবং আবর্তিত হয়, পবিত্র শাস্ত্রের এই বিপরীত মতে আংশিক হলেও বিশ্বাস রাখায় ইনকুইজিশন তাঁকে আনুষ্ঠানিক কারাদণ্ড দেয়। পরের দিন, এটিকে গৃহবন্দীত্বে পরিণত করা হয়, যার অধীনে তিনি সারাজীবন ছিলেন। তাঁর আপত্তিকর গ্রন্থ ডায়লগ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল; এবং ভবিষ্যতে তিনি লিখতে পারেন এমন যেকোন রচনার প্রকাশনা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

এখানে একটি জনপ্রিয় কিংবদন্তির উল্লেখ প্রয়োজন। কিংবদন্তি আছে যে গ্যালিলিও তার ইনক্যুইজিটরদের সামনে হাঁটু গেড়ে বসেছিলেন, এ বিষয়ে তাঁর সব আবিষ্কারকে "অপরাধমূলক, অভিশপ্ত এবং ঘৃণিত" হিসাবে প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য হন, তারপরই তিনি বিড়বিড় করেছিলেন, "ইপ্পার সি মুভে" -- "তবুও, এটি (পৃথিবী) ঘোরে।” অর্থাৎ আমি নশ্বর মানুষ গ্যালিলিও গ্যালিলি, আমি পৃথিবীকে স্থির বল্লাম না সঞ্চারমান বল্লাম তাতে প্রকৃতির নিয়মাবলীর কিছুই আসে যায়না। আমি (পড়ুন ধর্ম) বল্লাম স্থির, তবুও সে (পৃথিবী) ঘোরেই। গৃহবন্দী থাকাকালীন সময়েই তিনি তাঁর সেরা কাজগুলি রচনা করেন। এই কাজের ফলস্বরূপ, গ্যালিলিওকে প্রায়ই "আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক" বলা হয়। ৭৭ বছর বয়সে গৃহবন্দীত্বেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ৩৫০ বছর পর ভাটিক্যান চার্চ আনুষ্ঠিকভাবে স্বীকার করে নেন যে গ্যালিলিওর ওপর শাস্তিবিধান চার্চের বৃহত্তম ভুলগুলির অন্যতম।

যে সরকারী (চার্চের) স্বীকৃতি পেতে গ্যালিলিও-র ৩৫০ বছর সময় লাগলো, ডাঃ ধনিরাম বড়ুয়ার ক্ষেত্রে সেই স্বীকৃতি পেতে (হোকনা তা সাধারণ ভারতবাসীর স্বীকৃতি) লেগেছে মাত্র ২৫ বছর। ডাঃ ধনিরাম বড়ুয়া ছিলেন রয়্যাল কলেজ অফ সার্জন এর ফেলো। ইংল্যাণ্ড সহ বিশ্বের বহু দেশে অসংখ্য কার্ডিয়াক সার্জারি করেছেন। ডঃ বড়ুয়া ইংল্যান্ডের আরামদায়ক চাকরি ছেড়ে, তাঁর পরিবার ছেড়ে, শহর থেকে দূরেআসামের সোনাপুরে নিজের গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপন করেন কেননা তিনি মানবহিতৈষী গবেষণা পরিচালনা করার অদম্য তাগিদ দ্বারা চালিত হয়েছিলেন। বিশ্বখ্যাত এই কার্ডিয়াক সার্জন তাঁর অভিজ্ঞতা এবং গবেষণা লব্ধ জ্ঞানে জানতেন শূওরের প্রত্যঙ্গ মানবদেহে জেনো-ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের কাজে সবচাইতে উপযোগী। ১লা জানুয়ারী, ১৯৯৭-এ মানবদেহে একটি শূওরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করার ৩২ বছর বয়সী, পূর্ণশইকিয়াকে বেছে নিয়েছিলেন যার হার্টে ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ত্রুটি ছিল। তখন আসামে এজিপি সরকার।ডাঃ বড়ুয়া এবং এই অস্ত্রোপচারে তার হংকংয়ের সহযোগী, জোনাথন হো, বিস্তারিত প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন।

১৯৯৭ সালের প্রথম দিন সাইকিয়ার শরীরে শূকরের হৃদপিণ্ড রোপন করা হয় এবং তিনি শূওরের হৃদপিণ্ড নিয়ে এক সপ্তাহের জন্য বেঁচে ছিলেন যা ইঙ্গিত দেয় হয়তো ডাঃ বড়ুয়া সঠিক পথেই ছিলেন এবং হয়তো পূর্ণ শইকিয়ার মৃত্যুর সঙ্গে ভারতবর্ষের এক যুগান্তকারী সম্ভাবনারও মৃত্যু ঘটলো। ডাঃ ধনিরাম বড়ুয়া এবং ডাঃ জোনাথন হোকে ১০ই জানুয়ারী, ১৯৯৭-এ মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন, ১৯৯৪-এর অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। উভয় ডাক্তারের বিরুদ্ধে এই আইনের অধীনে অপরাধমূলক হত্যার জন্য মামলা করা হয়েছিল এবং তাঁদের ৪০ দিনের জন্য কারাবাসও করতে হয়।

আসাম সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি রায় দিয়েছিল যে পিগ হার্ট ইমপ্লান্ট অপারেশন অনৈতিক এবং বেআইনি।তদন্তে আরও দেখা গেছে যে ডাঃ ধনিরাম হার্ট ইনস্টিটিউট এবং গবেষণা কেন্দ্র প্রতিস্থাপন আইনের অধীনে প্রয়োজনীয় "রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেনি বা রেজিস্ট্রেশন পাননি”। গ্যালিলিওর মতই ডাঃ বড়ুয়াকে লিখিত স্টেটমেন্ট দিতে হয়েছিল যে এমন কোনও সার্জারীর ঘটনা ঘটেই নি। অথচ পূর্ণ শইকিয়ার মৃত্যুর পর সরকারী উদ্যোগে তাঁর মরদেহ কোলকাতায় পাঠানো হয় এবং গবেষণাগারের তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে তার দেহে সত্যিই শূওরের হার্ট প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। পরে ডাঃ বড়ুয়া নাকি ঘনিষ্ট মহলে স্বীকারও করেছিলেন যে তাঁকে ভয় দেখিয়ে এবং জোর করে ঐ বিবৃতি আদায় করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল বিবৃতি না দিলে তাঁর গবেষণাগার ধ্বংস করে দেওয়া হবে। কিন্তু ৪০ দিন কারাগারে থাকার পর, ডাক্তার তার ক্লিনিকে ফিরে এসে দেখেন তা নাকি জনক্রোধে ভস্মীভূত। ডঃ বড়ুয়ার সন্দেহ ছিল, এর মধ্যে রয়েছে ভূমি মাফিয়ারা যারা গবেষণা কেন্দ্রটিকে একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করার জন্য তাঁর সোনাপুর জমিতে নজর দিয়েছিল। এরপরেই ডাঃ বড়ুয়ার জীবনে দুর্যোগ নামে। তাঁর অতি প্রিয় আসামেই তিনি সামাজিক বয়কটের মুখোমুখি হয়েছেন। প্রায়শই, তাকে "পাগল ডাক্তার", "শূওরের ডাক্তার" জাতীয় বিষেষণেই ভূষিত করা হতো।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডাঃ বার্টলি গ্রিফিথ একজন ৫৭ বছর বয়সী রোগীর শরীরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি শূওরের হার্ট ইমপ্লান্ট করেছেন যিনি বেঁচে গেছেন। কিন্তু তাঁর বৈজ্ঞানিক উত্তরাধিকারের তথ্যে ২৫ বছর আগে ডাঃ ধনিরাম বড়ুয়ার জেনো-ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারির কোন উল্লেখ ছিল না। শইকিয়ার মৃত্যু হয়েছিল "অতি-তীব্র প্রত্যাখ্যান" এর কারণে। কিন্তু এও তো হতে পারে ডক্টর গ্রিফিথ, ডক্টর বড়ুয়ার ব্যর্থতা থেকে "অতি সক্রিয় প্রত্যাখ্যান" প্রতিরোধ করতে শিক্ষা নিয়েছেন। তিনটি জিন আছে যা মানবদেহে শূওরের অঙ্গগুলির "অতি-তীব্র প্রত্যাখ্যান" এর কারণ হতে পারে তা অপসারণ করা হয়েছিল এবং মানুষের গ্রহণযোগ্যতার জন্য দায়ী ছয়টি মানব জিন জিনোমে ঢোকানো হয়েছিল। ২৫ বছর আগে কিন্তু জিনেটিক ইঞ্জিনীয়ারিং এত উন্নতমানের হয়ে ওঠেনি।

তখন প্রশ্ন উঠেছিল ডাঃ বড়ুয়া কেন সম্পূর্ণ বিষয়টিতে এত গোপনীয় রেখেছিলেন। ঘনিষ্ট মহলে তিনি বারবার বলতেন কার্ডিয়াক সার্জারি একটি বিশ্বব্যাপী বহু-বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য এবং মাল্টি-ন্যাশন্যাল ফার্মা কোম্পানীগুলি ঝাঁপিয়ে পড়তো যা প্রতিহত করার ক্ষমতা তাঁর ছিলনা। এই সমাজ পরিত্যক্ত জীবনযাপনকালেই ডাঃ বড়ুয়া আবিষ্কার করেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভোজ্য ঔষধি গাছ থেকে প্রাপ্ত ম্যাজিক মলিকিউলস, যাদের তিনি নিজের নামে নামাকরণ করেছেন আলফা ডিএইচ২ এবং বিটা ডিএইচ২। দুর্ভাগ্যবশত, আসাম সরকার বা স্বাস্থ্য মন্ত্রক ডাঃ বরুয়াকে কোন সহায়তা দেয়নি। তবুও তিনি তার যুগান্তকারী গবেষণা চালিয়ে গেছেন। একটা সময় অবধি তিনি তাঁর আবিষ্কারের পেটেন্ট চাইতে অনিচ্ছুক ছিলেন, কারণ তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে শীর্ষ বহুজাতিকগুলি তাঁর গবেষণায় প্রবেশ করবে এবং এটিকে বাণিজ্য এবং অর্থ উপার্জনের মসৃণ পথে পরিণত করবে। তিনি প্রায়শই বলতেন, "যাদের জন্য এই সব করা হয়েছে তাদের কোন লাভ হবে না।"

ডাঃ বড়ুয়া বর্তমানে খুবই অসুস্থ, শোনা যায় তাঁর স্ট্রোক হয়েছে এবং তিনি বাকরহিত। তবু শূওরের হার্ট প্রতিস্থাপন, জেলে যাওয়া, মুচলেকা, তদন্ত কমিটির বিবৃতির পরেও তিনি অদম্য উৎসাহে এইডস নিরাময় পদ্ধতি থেকে রিভার্স এজিং, ভোজ্য উদ্ভিদ থেকে যৌগ তৈরি করা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর নবনির্মিত গবেষণাগারে গবেষণা চালিয়েছেন। আজ তিনি মিথ। আসাম রাজ্য এবং কেন্দ্র দু জায়গাতেই তো বিজেপি সরকার। কেন আজও জেনোট্রান্সপ্লান্টেশনের দিগদর্শী ডাঃ ধনীরাম বড়ুয়ার কাজের সরকারী স্বীকৃতি এবং তাঁর গবেষণায় ফাণ্ডিং করা হয় না? ভারতীয় এবং আসাম সরকারগুলি যা করতে পারে তা হলঅনেক দেরী হয়ে যাবার আগেই তাঁর অগ্রগামী প্রচেষ্টাকে কোনো না কোনো আকারে স্বীকৃতি দেওয়া।

বিজ্ঞানের ইতিহাসে বঞ্চনার তালিকা দীর্ঘ। কিন্তু বিজ্ঞানীরাও মানুষই। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কেউ হাল ছাড়েন কেউ ছাড়েন না। কিন্তু একটা জিনিস লক্ষ্যণীয়। যে দু জন বিজ্ঞানীর কথা এখানে বলা হলো, তাঁদের আবিষ্কার ঈশ্বরকে চ্যালেঞ্জ করে বসেছিল। রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। কিন্তু তাঁরা চেষ্টা করেছিলেন বিজ্ঞানকে অস্ত্র করে সাধারণ মানুষের জীবনকে একটু সহনীয় করে তুলতে। বিজ্ঞান-বাণিজ্য নয় বিজ্ঞানকে মানুষের আশীর্বাদ করে তুলতেই প্রয়াসী হয়েছিলেন তাঁরা। প্রমিথিউসের মত জিউসের ভাঁড়ার থেকে সত্যের আগুন চুরি করে মানুষকে বিলোতে গিয়েছিলেন। প্রমিথিউসকে শাস্তি পেতে হয়েছিল, গ্যালিলিও বা ধনীরাম বড়ুয়াকেও শাস্তিই পেতে হয়েছে। অথচ তাঁদের আত্মসমর্পণ আসলে রণকৌশল মাত্র।

এই লেখকের লেখা দ্বিতীয় পর্ব পড়ুন- https://www.sahomon.com/welcome/singlepost/still-the-earth-moves-part-ii

0 Comments

Post Comment