দেশভাগের পর পাকিস্তানের ইতিহাস কোথা থেকে শুরু করা হবে, কিভাবে তা লেখা হবে, তা নিয়ে সে দেশের শিক্ষাজগতে বাগ বিতন্ডা শুরু হয়েছিল। একদলের মত ছিল, কোনও রকম বিতর্কে না গিয়ে সরাসরি পাকিস্তানের জন্মদিন থেকেই শুরু হোক তার ইতিহাস। কিন্তু তাতে দেখা গেল অখন্ড-ভারতের ‘মুসলমান যুগের' সব গৌরব থেকেই পাকিস্তান বঞ্চিত হচ্ছে। তাজমহল, লালকেল্লা, কুতুব মিনার, আগ্রা ফোর্ট সবই বাদ পড়ে যাচ্ছে । বহু দড়ি টানাটানির পর ঠিক হয় ৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে গজনীর সূলতান সবুক্তগিনের প্রথম ভারত আক্রমণ থেকে শুরু হবে পাকিস্তানের ইতিহাস। ফলে ইতিহাস থেকে হিন্দু যুগ তথা প্রাচীন যুগ তো বাদ পড়লই, উহ্য রয়ে গেলেন গৌতম বুদ্ধ, মহাবীর জৈন এবং মহান কৃত্তিমান শাসকরা। বোঝাই যায়, সেদিনের পাকিস্তানে ইসলামি গোঁড়ামির চাপে বেঁকেচুরে বিকৃত হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের ইতিহাস তথা সমগ্র শিক্ষাজগৎ।
পাকিস্তানের সেই ইতিহাস পড়ে যারা বড় হয়েছে তারা সবাই ভাল মুসলমান হয়েছে কিনা জানা নেই, কিন্তু অনেকেই শিক্ষার খানিক-আলো আর অশিক্ষার খানিক অন্ধকারে মতান্ধ হয়ে রয়ে গেছে। তবে পরমত অসহিষ্ণু তথা ভারতবিদ্বেষী হয়ে উঠেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আজকের পাকিস্তানের দিকে তাকালেই তা পরিস্কার হয়।
ভারতের এই সমস্যা ছিল না। কারণ ভারত ছিল সংবিধান স্বীকৃত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সরকার এবং সরকারের প্রধান নেহেরু ছিলেন সত্যিকারের 'সেকুলার'। তিনি মন্দির-মসজিদ-গীর্জা-গুরুদ্বার-বৌদ্ধবিহারে গিয়ে মাথা নত করতেন না। ভোটের জন্যেও নয়। ফলে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনায় যে শিক্ষাব্যবস্থা চলতে থাকে তার অঙ্গনে ইতিহাসের একটা সৌষ্ঠব ছিল। সেখানে ইতিহাস জায়গা করে নিয়ে ছিল ভারতীয় বৈচিত্র্য ও বিশালতায়, সামগ্রিকতায় এবং উদারতায়।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে, এ দেশে নতুন করে শুরু হয়েছে পিছনে হাঁটার পালা। ইতিহাসকে আলোকিত মুক্ত অঙ্গন থেকে সরিয়ে অন্ধকার কূপে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এ কাজ শুরু হয়েছিল অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে প্রথম এন ডি এ সরকারের আমলে। সেই সময়েই শুরু হয়েছিল শিক্ষায় গৈরিকীকরণের প্রচেষ্টা। তবে, সম্মিলিত প্রতিবাদের ফলে সাময়িক ভাবে তা ঠেকানো গিয়েছিল। ২০১৪ সালে বি জে পি পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষায় গৈরিকীকরণের সেই প্রয়াস নতুন করে গতি পায়। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বি জে পি সরকার আগের থেকেও বেশি আঁটঘাট বেঁধে এই সর্বগ্রাসী গেরুয়া ঝড়কে জনগণের সামনে হাজির করেছেন। এখন যে শুধুমাত্র ইতিহাসের সাম্প্রদায়িক চরিত্র গঠনের চেষ্টা হচ্ছে তাই নয়, চলছে চিন্তার সাম্প্রদায়িকীকরণের প্রয়াসও। পাঠ্য বইয়ের পাতায় বিকৃতি বা অদলবদলই নয়, সেই বই যারা পড়বে তাদের মনের গড়নই যাতে বদলে যায় সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে। একদিকে বিজ্ঞানের প্রয়োগকে অস্বীকার করা, অন্যদিকে ‘প্রথা এবং ঐতিহ্যের’ নামে অপবিজ্ঞানকে সাদরে আপ্যায়ন করা, একদিকে ডারউইনের তত্ত্বকে ছাঁটাই, অন্যদিকে স্বয়ং ভগবান কর্তৃক চতুর্বর্ণের স্বীকৃতি। এই ধরণের কিছু ছবি ছাত্র মনে গেঁথে দিতে পারলে কেল্লা ফতে। বই বদলের চেয়ে মন বদল অনেক বেশি কাজের তা এঁরা বুঝেছেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী কাল থেকে বিজ্ঞানভিত্তিক ইতিহাস চর্চার যে ধারাবাহিকতা বজায় ছিল এখন তা সামগ্রিক আক্রমণের মুখে। ইতিহাস শুধুমাত্র অতীতের আলোচনা নয় বরং একটি দেশের জাতীয় স্মৃতির ধারক। তাকে হতেই হবে সত্য। কিন্তু এখন সম্মিলিতভাবে চেষ্টা চলেছে দেশের অতীতকে মুছে দেওয়ার। ইতিহাস না জানা একরকম, কিন্তু ভুল ইতিহাস জানা মারাত্মক। জনপ্রিয়তার জন্য সরকার ইতিহাসের সাম্প্রদায়িকীকরণ করছেন। দেশের ঐতিহ্যকে মুছে ফেলতে সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ইতিহাসের বিশেষ বিশেষ অংশ। কেন্দ্রীয় সরকার সাম্প্রতিক কালে ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তকে যে পরিবর্তন এনেছেন তাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাদ পড়েছে মুঘলদের উপস্থিতি। জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় ইতিহাসের অধ্যাপক আদিত্য মুখার্জির মতে, পাঠ্যপুস্তক থেকে মুঘল ইতিহাস বাদ দেওয়া, আসলে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্য ইতিহাসকে "মুছে ফেলার" একটি প্রচেষ্টা। অন্যদিকে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র গোপালকৃষ্ণ আগরওয়াল এটিকে "ইতিহাস পুনর্লিখন" নয়, বরং ঐতিহাসিকদের "পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির" প্রশমনের উপায় হিসেবে দেখেছেন। ইতিহাসের পাশাপাশি, ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এন সি ই আর টি) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকেরও নতুন সংস্করণ প্রকাশ করেছে। সেখানে প্রথাগত সরকারি বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে – যা নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়েছে। বিনায়ক দামোদর সাভারকার একজন "মহান দেশপ্রেমিক" এবং "সবচেয়ে খ্যাতিমান স্বাধীনতা সংগ্রামী" হিসাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে। উদ্দেশ্য এই ধারণাকে শিশু মনে গেঁথে দেওয়া ।
শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে রাষ্ট্রের কী ভাবনা, তার প্রকাশ ঘটে জাতীয় শিক্ষানীতির মধ্য দিয়ে। দেশ জোড়া বিতর্কের মধ্যে চালু হয়েছে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি- ২০২০’ । ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই শিক্ষানীতির নানা অভিমুখ সম্পর্কে তীব্র আপত্তি এসেছে। কোনও কোনও রাজ্য একে পুরোপুরি বাতিলের দাবিও তুলেছিল। এত বিতর্কের মধ্যেও সাড়ে তিন দশক পর নতুন চেহারায় আত্মপ্রকাশ করেছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। বুনিয়াদি স্কুল শিক্ষা থেকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সব স্তরে পরিকাঠামোগত পরিবর্তন করে সারা দেশে অভিন্ন শিক্ষানীতি চালু করাই এর মূল উদ্দেশ্য। শিক্ষাবিদরা নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা করেছেন। কখনও সিলেবাস, কখনো স্কুল শিক্ষার পরিকাঠামো, কখনো আবার সি সি এফ বা কারিকুলাম অ্যান্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক ইত্যাদি। শিক্ষা যৌথ তালিকা ভুক্ত তাই পশ্চিম বঙ্গের রাজ্য সরকার এই শিক্ষানীতি মানবেন না – এমনটাই তাদের দাবি ছিল। সেই মতো তাঁরা বিকল্প শিক্ষানীতি প্রকাশও করেছেন। তবে এর বেশির ভাগটাই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য পূর্ণ। সে তর্ক থাক। রাজ্যের কলেজে গুলিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই ৪ বছরের স্নাতক কোর্স চালু হয়ে গিয়েছে। স্কুল গুলিতে 'হাবস অফ লার্নিং' ইতিমধ্যেই কাজ করতে শুরু করেছে, যা নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির সুপারিশগুলির মধ্যে অন্যতম।
স্বাধীন ভারতে ১৯৬৮ এবং ১৯৮৬ সালে দেশের প্রথম ও দ্বিতীয় জাতীয় শিক্ষানীতি চালু হয়েছিল । এই দুই নীতিতে শিক্ষায় সকলের প্রবেশাধিকার এবং সমতার উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তূ ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০’ - তে ঠিক উল্টো। তবে এই নয়া শিক্ষানীতিতে বিগত শিক্ষানীতির বেশ কিছু কাঠামোগত পরিবর্তন চোখে পড়েছে। যেমন –
স্কুল শিক্ষায় পরিবর্তন
স্কুল শিক্ষার ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তির বয়স ৬ বছর থেকে ৩ বছরে নামিয়ে আনা হয়েছে। স্কুল শিক্ষার ১০ ২ ব্যবস্থার পরিবর্তে ৫ ৩ ৩ ৪ ব্যবস্থা চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাৎসরিক পরীক্ষার পরিবর্তে চালু হবে ষাণ্মাসিক পরীক্ষা, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরিবর্তে তৃতীয়, পঞ্চম, অষ্টম ও দ্বাদশ শ্রেণীতে হবে বিশেষ পরীক্ষা। সব স্তরের শিক্ষার্থীর ধারাবাহিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ ১০০% টিকাকরণের ব্যবস্থার উল্লেখ রয়েছে নতুন শিক্ষানীতিতে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর আলাদা আলাদা হেল্থ কার্ড থাকবে। তাতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ছাত্র ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট সংযোজিত হবে।
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী, বিদ্যালয় শিক্ষায় যে নতুনত্ব আনা হয়েছে তা কার্যকর করতে গেলে কতকগুলি সমস্যার সমাধান জরুরী। তবে সেই সমস্যা সমাধানের উপায় শিক্ষানীতিতে বলা নেই। দেশে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর অনুপাত প্রায় ৫০ % এর কাছাকাছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষকের সংখ্যা লক্ষণীয় ভাবে কম । প্রাক- প্রাথমিক স্কুল গুলিতে শিশুদের আকৃষ্ট করার মতো খেলার উপকরণ নেই বললেই চলে। এই ধরনের নড়বড়ে পরিকাঠামো নিয়ে প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ৩ বছর বয়সি শিশুদের শিক্ষা দেওয়া বোধহয় অসম্ভব ! যে দেশে মিড-ডে মিল প্রকল্প পরিচালনায় পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, সেখানে বিদ্যালয়ের সব স্তরের সকল শিক্ষার্থীর ধারাবাহিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ ১০০% টিকাকরণ বাস্তবে সম্ভব কিনা তাও বিরাট প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। যে দেশের স্কুল গুলিতে বাৎসরিক পরীক্ষার ফলাফল সঠিক ভাবে সংরক্ষিত হয় না সেখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পৃথক হেলথ কার্ডের সংরক্ষণ নিতান্তই হাস্যকর প্রস্তাব।
নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত আঞ্চলিক ভাষায় পঠন-পাঠনের কথা বলা হয়েছে। এ নিয়েও দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে । যদিও আঞ্চলিক ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা শিক্ষার বিষয়টিও এখানে উল্লিখিত হয়েছে। ভারতীয় ধ্রুপদী ভাষা এবং সাহিত্যের মধ্যে সংস্কৃত, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালাম, ওড়িয়া, পালি, পার্শিয়ন এবং প্রাকৃত-এর উল্লেখ থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি এই তালিকায়। অর্থাৎ নয়া শিক্ষানীতি প্রাদেশিকতার সীমা অতিক্রম করতে পারেনি।
বর্তমান শিক্ষানীতিতে, স্কুল ক্লাস্টার বা স্কুল কমপ্লেক্স গড়ে তোলার উল্লেখ করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য সম্পদের অভাব দূর করা হলেও সব ক্ষেত্রেই যে এই লক্ষ্যে স্কুল ক্লাস্টারিং হয়েছে তা নয়। ইতিহাস বলছে, সাত ও আটের দশকে বিশ্ব-মন্দার সময় মূলতঃ শিক্ষার ব্যয় কমাতেই অনেক দেশ স্কুল ক্লাস্টার চালু করেছিল। ইউনেস্কোর সংজ্ঞা অনুযায়ী একটি বড় স্কুল অর্থাৎ যার পরিকাঠামো সব চেয়ে উন্নত, সেটিকে 'কোর' স্কুলের মর্যাদা দেওয়া হয়। কোর স্কুল এবং তার চারপাশের স্কুলগুলিকে নিয়ে তৈরি গ্রুপই হল 'স্কুল ক্লাস্টার'। সুস্থ স্কুল পরিচালনা করতে ভৌগোলিকভাবে কাছাকাছি স্কুলগুলি নিয়ে তৈরি হয় এই গ্রুপ। একই গ্রুপের অন্তর্গত স্কুলগুলির মধ্যে শিক্ষক থেকে শিক্ষার উপকরণ সমান ভাবে ভাগ হয়। ভারতে, সাতের দশকের গোড়ার দিকে, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, তামিলনাড়ুতে কিছু স্কুলের ছাত্র সংখ্যা একদম তলানিতে ঠেকে। ওই স্কুলগুলিকে বাঁচাতে তখন স্কুল ক্লাস্টার চালু হয়েছিল। বর্তমানে, দেশের সব রাজ্যই জাতীয় শিক্ষানীতির দৌলতে স্কুল ক্লাস্টার এর শরণাপন্ন।
স্কুল ক্লাস্টার বা স্কুল কমপ্লেক্স-কে গুণগত মানের দিক থেকে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে নয়া শিক্ষানীতিতে। বাস্তবে স্কুল ক্লাস্টার হল, ৫ থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক স্কুলকে একত্রীকরণের পরিকল্পনা। ফলে দেশের সরকারি স্কুলের লভ্যতা বিপন্ন হবে। এ দেশে বহু স্কুলে ছাত্র সংখ্যা ৩০-এর নিচে। স্কুলগুলিতে শিক্ষার পরিকাঠামো দুর্বল, শিক্ষক সংখ্যা কম। ফলে বিদ্যালয়গুলি কাম্য মানের নয়। রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব ছিল স্কুলগুলিকে কাম্য মানে পৌঁছে দেওয়া। 'চাইল্ড ট্র্যাকিং'-এর মাধ্যমে স্কুলগুলিতে ছাত্রসংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও সরকারের ভূমিকা সদর্থক হওয়া উচিৎ ছিল। সরকারি ব্যর্থতা ঢাকতেই তাই নতুন শিক্ষানীতিতে স্কুল ক্লাস্টারের বন্দোবস্ত। একত্রীকরণের মধ্য দিয়ে বহু স্কুলের অস্তিত্ব লোপের অভিপ্রায়। উদ্দেশ্য সরকারি, সরকার পোষিত এবং সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলের সংখ্যা কমিয়ে ফেলা। অতিমারির কালেই যখন স্কুলগুলি বন্ধ ছিল তখনই ঠিক হয়ে গিয়েছিল যে এদের অনেকগুলিকেই চিরকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। বাস্তবে হয়েওছে তাই।