প্রথমত এটা বুঝে নিন যে সিএএ আর এনআরসি একই বিপদের এপিঠ ওপিঠ। ফলে লাফ দেবার আগে এই দুটি প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য এবং বিধেয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। দুটি প্রক্রিয়ার পার্থক্য ও বুঝুন। এনআরসি তে প্রমাণ করতে হতো, আপনি বা আপনার পূর্বপুরুষ ভারতীয়। সেই মর্মে যা যা নথি আপনাকে জমা দিতে হত, সেগুলো সংগ্রহ করে রাখা প্রয়োজন ছিল। আসামের ক্ষেত্রে প্রতিটি নথি, ভিত্তিতারিখ অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ২৪ শে মার্চ এর আগে ইস্যু করা দলিল হওয়া বিধেয় ছিল।
সিএএ-তে প্রমাণ করতে হবে যে আবেদনকারীর পূর্বপুরুষ বাংলাদেশ পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের নাগরিক ছিলেন। তার জন্য প্রথম তালিকা অর্থাৎ সিডিউল-১এ তে নয় ধরণের গ্রাহ্য নথির কথা বলা আছে, যা প্রমাণ করবে আবেদনকারীর ঐ নির্দিষ্ট তিনটি দেশের নাগরিক।
সিডিউল-১এ-র গ্রাহ্য নথির তালিকা
আবেদনকারী যে আফগানিস্তান বা বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের নাগরিক তা প্রমাণ করার জন্য নথির তালিকা [ধারা 6B এর অধীনে আবেদন জমা দেওয়ার আবেদনকারীদের জন্য]
১. আফগানিস্তান বা বাংলাদেশ বা পাকিস্তান সরকার কর্তৃক জারি করা পাসপোর্টের অনুলিপি
২. ভারতে ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (FRRO) বা ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিসার (FRO) দ্বারা জারি করা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা আবাসিক পারমিট
৩. আফগানিস্তান বা বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের সরকারী কর্তৃপক্ষ দ্বারা জারি করা জন্ম শংসাপত্র
৪. আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের স্কুল বা কলেজ বা বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা স্কুল সার্টিফিকেট বা শিক্ষাগত শংসাপত্র
৫. আফগানিস্তান বা বাংলাদেশ বা পাকিস্তান সরকার বা এই দেশগুলির অন্য কোন সরকারী কর্তৃপক্ষ বা সরকারী সংস্থা কর্তৃক জারি করা যেকোন ধরণের পরিচয় নথি
৬. আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের সরকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা যেকোন লাইসেন্স বা শংসাপত্র
৭. আফগানিস্তান বা বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে জমি বা প্রজাস্বত্ব রেকর্ড
৮. যেকোন নথি, যা দেখায় যে আবেদনকারীর পিতা-মাতা বা পিতামহ-পিতামহী বা প্রপিতামহ-প্রপিতামহীর মধ্যে কোনও একজন এই তিন দেশের অর্থাৎ আফগানিস্তান বা বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের নাগরিক বা ছিলেন।
৯. আফগানিস্তান বা বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের সরকারী কর্তৃপক্ষ বা সরকারী সংস্থা কর্তৃক জারি করা অন্য কোন নথি যা প্রমাণ করবে যে আবেদনকারী আফগানিস্তান বা বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মানুষ।
দ্রষ্টব্য: উপরোক্ত নথিগুলি তাদের বৈধতার মেয়াদের পরেও গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু নথি জমা দিতেই হবে।
দ্বিতীয় তালিকা অর্থাৎ সিডিউল-১বি তে বলা আছে কুড়ি ধরণের গ্রাহ্য নথির তালিকা, যা প্রমাণ করবে যে আবেদনকারী ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছে।
সিডিউল-১বি-র গ্রাহ্য নথির তালিকা
নথির তালিকা প্রমাণ করবে যে আবেদনকারী ৩১.১২.২০১৪ বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন
১. ভারতে আগমনের সময় ভিসা এবং ইমিগ্রেশন স্ট্যাম্পের কপি
২. ভারতে ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (FRRO) বা ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিসার (FRO) দ্বারা জারি করা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা আবাসিক পারমিট।
৩. আদমশুমারি সম্পর্কিত জরিপ পরিচালনা করার সময় এই ধরনের ব্যক্তিদের ভারতের আদমশুমারি গণনাকারীদের দ্বারা জারি করা স্লিপ।
৪. ভারতে, সরকারের জারি করা লাইসেন্স বা শংসাপত্র বা পারমিট (ড্রাইভিং লাইসেন্স, আধার কার্ড ইত্যাদি সহ) ।
৫. ভারতে জারি করা আবেদনকারীর রেশন কার্ড।
৬. সরকারী স্ট্যাম্প সহ আবেদনকারীকে সরকার বা আদালত কর্তৃক জারি করা যেকোনো চিঠি।
৭. ভারতে জারি করা আবেদনকারীর জন্ম শংসাপত্র।
৮. আবেদনকারীর নামে ভারতে জমি বা ভাড়ার রেকর্ড বা নিবন্ধিত ভাড়া চুক্তি।
৯. প্যান কার্ড ইস্যুকরণ নথি যা ইস্যু করার তারিখ বহন করে।
১০. কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকারের কোনও পাবলিক সেক্টর উদ্যোগ বা ব্যাঙ্ক বা অন্য কোনও পাবলিক কর্তৃপক্ষের মতো কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা জারি করা অন্য কোনও নথি।
১১. কোনো গ্রামীণ বা শহুরে সংস্থার নির্বাচিত সদস্য বা তার কর্মকর্তা বা রাজস্ব কর্মকর্তা কর্তৃক জারি করা শংসাপত্র।
১২. আবেদনকারীর নামে ব্যাঙ্ক (বেসরকারী ব্যাঙ্ক সহ) বা পোস্ট অফিস অ্যাকাউন্টগুলির সাথে সম্পর্কিত এবং জারি করা রেকর্ড এবং অ্যাকাউন্টের বিবরণ।
১৩. আবেদনকারীর নামে ভারতে বীমা কোম্পানি দ্বারা জারি করা বীমা পলিসি।
১৪. আবেদনকারীর নামে বিদ্যুৎ সংযোগের কাগজপত্র বা বিদ্যুৎ বিল বা অন্যান্য ইউটিলিটি বিল।
১৫. আবেদনকারীর বিষয়ে ভারতে আদালত বা ট্রাইব্যুনালের রেকর্ড বা প্রক্রিয়া।
১৬. কর্মচারী ভবিষ্য তহবিল (EPF) / সাধারণ ভবিষ্য তহবিল / পেনশন / এমপ্লয়িজ স্টেট ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন (ESIC) নথি দ্বারা সমর্থিত ভারতে যে কোনও নিয়োগকর্তার অধীনে পরিষেবা বা কর্মসংস্থান দেখানো নথি।
১৭. ভারতে জারি করা আবেদনকারীর স্কুল ছাড়ার শংসাপত্র।
১৮. একটি স্কুল বা কলেজ বা একটি বোর্ড বা একটি বিশ্ববিদ্যালয় বা একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান দ্বারা জারি করা একাডেমিক শংসাপত্র।
১৯. যদি আবেদনকারীকে পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা হয়ে থাকে।
২০. বিবাহের শংসাপত্র।
দ্রষ্টব্য: (ক) উপরোক্ত নথিগুলি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা জারি করা নথি হওয়া উচিত এবং তাদের বৈধতার মেয়াদের পরেও তা গ্রহণযোগ্য হবে
খ) নথিগুলি নিশ্চিত করবে যে আবেদনকারী ৩১.১২.২০১৪ তারিখে বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
সিডিউল-১সি-র গ্রাহ্য নথির তালিকা
নির্দিষ্ট পোর্টালে অথবা রুল ১১-এ অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা গঠিত একটি জেলা পর্যায়ের কমিটি, যার শীর্ষে থাকবেন একজন ডেজিগনেটেটড অফিসার। তার কাছে আবেদনকারীকে একটি হলফনামা পেশ করতে হবে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা একজন শপথ কমিশনার বা নোটারি পাবলিকের কাছে। শপথ নেওয়ার আগে প্রত্যায়িত করে সেই হলফনামা [দশ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে কার্যকর করা হবে] আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। তার বয়ানে থাকবে তিনি কোন দেশের নাগরিক, ভারতে প্রবেশের তারিখ আর ধর্ম। তার শেষে লেখা থাকবে “আমি সচেতন, যে নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫ এর অধীনে মিথ্যা উপস্থাপন করা বা কোনো বস্তুগত তথ্য গোপন করা এবং যদি পরে দেখা যায় যে এই হলফনামায় এবং/অথবা আমার দ্বারা ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে, বা মিথ্যা যোগ্যতা শংসাপত্র জমা দেওয়া হয়েছে, তাহলে আমি আমার ভারতীয় নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হব।
এছাড়াও তৃতীয় তালিকায় সিডিউল ১-সি তে দাখিল করতে হবে স্থানীয়ভাবে স্বনামধন্য কোনও কমিউনিটি প্রতিষ্ঠান থেকে ধর্মীয় যোগ্যতা শংসাপত্র, যা কিনা একজন ব্যক্তি প্রদান করবেন এবং দায়িত্ব নিয়ে বলবেন যে আবেদনকারী ছয়টি নির্দিষ্ট ধর্মের কোন একটির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন এবং এখনো আছেন। তার বয়ান হবে নিম্নরূপ
যার জন্য এটা প্রযোজ্য হতে পারে
আমি, ………………………. (নাম), পুত্র/কন্যা/ ……………… (নাম) এর স্ত্রী ……………………… (সম্পূর্ণ ডাক ঠিকানা) এ বসবাসকারী, এতদ্বারা নিশ্চিত করছি যে শ্রী/শ্রীমতি/কুমারী. …………………. (আফগান/বাংলাদেশী/পাকিস্তানের নাগরিকের নাম) ……….. পুত্র/কন্যা/ স্ত্রী ………………. (নাম) , ……………………… এ বসবাস করছেন। (সম্পূর্ণ ডাক ঠিকানা)। আমার জানা এবং আমার জ্ঞান ও বিশ্বাস অনুসারে, তিনি হিন্দু/শিখ/বৌদ্ধ/জৈন/পার্সি/খ্রিস্টান সম্প্রদায়ভুক্ত { যেটি প্রযোজ্য নয় তা বাদ দিন } এবং এখনও উপরে উল্লিখিত সম্প্রদায়ের সদস্য আছেন।
(স্বাক্ষর)
সার্টিফিকেট প্রদানকারী ব্যক্তির নাম
কমিউনিটি ইনস্টিটিউশনের নাম ও ঠিকানা
টেলিফোন/মোবাইল নম্বর:
তারিখ:
স্থান:
কিন্তু সিএএ আইন প্রণয়নের মুখ্য উদ্দেশ্য যার উপর আধারিত, সেই ধর্মীয় সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে অত্যাচারিত হয়ে দেশ ছাড়ার বিষয়টি কিভাবে প্রমাণিত হবে তা কর্তৃপক্ষই জানেন। রুলসে আপাতত এ বিষয়ে কিছুই বলা নেই। হয়তো অন্য তিনটি সার্বভৌম দেশের আভ্যন্তরীণ ধর্মীয় অত্যাচারের বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে গেলে তা আন্তর্জাতিক প্রোটোকলে আটকাবে এবং তা প্রমাণ করাও দুরূহ। ফলে কী কারণে এই মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে তা আর জানা যাবেনা। পাশাপাশি আবেদনকারীকে কিছুই জমা দিতে হবে না বলে যা দিতে হবে তাহলো
প্রথমত, একটি ইলেকট্রনিক ফর্ম ফিলাপ করা।
দ্বিতীয়ত, দুটি তালিকা থেকে (শিডিউল ১-এ, ১-বি থেকে) অন্তত একটি করে নথি পেশ করতে হবে।
তৃতীয়ত, শিডিউল ১-সি অনুসারে দাখিল করতে হবে নোটারি পাবলিকের সামনে স্বাক্ষরিত হলফনামা এবং ধর্মীয় যোগ্যতার শংসাপত্র।
চতুর্থত, যদি পাওয়া যায় তবে আবেদনকারীর ভ্যালিড অথবা মেয়াদ ফুরানো পাসপোর্টের কপি।
পঞ্চমত, যদি পাওয়া যায়, আবেদনকারীর ভ্যালিড অথবা মেয়াদ ফুরানো রেসিডেন্সিয়াল পারমিটের কপি।
ষষ্ঠত, পিতামাতার জন্মতারিখের প্রামাণ্য নথির, যেমন পাসপোর্ট বা জন্মশংসাপত্রের কপি।
মনে রাখবেন, আবেদন করতে হবে নাগরিকত্ব বিধি (রুলস) ২০০৯ অনুসারে। সেই বিধি তালিকার দশ নম্বর রুলের পর ১০-এ রুল সংয়োজিত হয়েছে। এই বিধি অনুসারে সেকশান ৬-বি অনুযায়ী যোগ্য ব্যক্তিকে নিবন্ধীকরণ বা প্রাকৃতিকীকরণের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাবার জন্য আবেদন জানাতে হবে।
সব নথি সুপ্রমাণিত হলে ভারতীয় মূলের সেই আবেদনকারী নিবন্ধীকরণ বা প্রাকৃতিকীকরণের পদ্ধতিতে (ভারতবর্ষে টানা বসবাসের সময় ১১ বছর থেকে কমিয়ে ৫ বছরে নামিয়ে আনা হয়েছে) নাগরিকত্ব পেলেও পেতে পারেন।
নথি, আবেদনপত্র বা হলফনামা জমা দেওয়ার পরেই আপনি নাগরিকত্ব পেয়ে গেলেন এমন কিন্তু নয়। রুল ১৩-এ অনুসারে জেলা পর্যায়ের কমিটি এই নথিগুলি খুঁটিয়ে বিবেচনা করে দেখে গ্রাহ্য অথবা অগ্রাহ্য ঠিক করবেন। যদি অগ্রাহ্য মনে হয়, তাহলে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটিকে সেই আবেদন পত্রটি অগ্রাহ্য করার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একবার আবেদনপত্র অগ্রাহ্য হলে, তারপর?
তারপর অন্ধকার। অর্থাৎ জানা যায় না, অগ্রাহ্য হওয়ার পর এই আবেদনকারী এবং তার পরিবারের অবস্থা কী হবে। তাঁকে উচ্চ আদালতে কেস করে দাবি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করতে হবে। আবেদন অগ্রাহ্য হলে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে তাঁকে ডিটেনশান ক্যাম্পেও রাখা হতে পারে। এমনকি অগ্রাহ্য হওয়া আবেদনকারী কে প্রাথমিক পর্যায়ে শংসাপত্র দেওয়ার অপরাধে কোনও ভারতীয় নাগরিককেও আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে। সবকিছুই নির্ভর করছে ডেজিগনেটেড অফিসার, স্ক্রুটিনি এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির সদিচ্ছা অথবা অলিখিত নির্দেশনামার উপরে। একটা জিনিস খেয়াল করবেন যে এনআরসি এবং সিএএ দুটি সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী প্রমাণের প্রক্রিয়া। একটি অপরটিকে বাতিল করে দেয়। উদ্দেশ্য এবং বিধেয়র কথা আগেই বলেছি। নাগপুর ব্র্যান্ডের হিন্দুত্ব এবং প্রতিহিংসাপরায়ণতা চরিতার্থ করার জন্য এটি একটি মুসলিম বিরোধী প্রক্রিয়া মাত্র। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনি অমুসলিম ব’লে ছাড় পেয়ে গেলেন। আসামে বিজেপির নেতৃত্বে, এনআরসি-র ক্ষেত্রে, এটাই প্রমাণিত যে হিন্দু বলে ছাড় পাওয়া যায় না। এনআরসিতে যায়নি, সিএএর ক্ষেত্রে আরো অসম্ভব। ফলে নিজের জন্য নথি সংগ্রহ করে রাখুন। কিন্তু একই সঙ্গে চোখ কান খোলা রাখুন এবং অন্ধের মত ঝাঁপ দেবেন না। কারণ আপনাকে বাঁচানোর জন্য শেষ অবধি একমাত্র আপনিই থাকবেন। আর কাউকে পাওয়া নাও যেতে পারে। অভিজ্ঞতা থেকে বলছি প্রথমদিকে তর্জন গর্জন বেশি হবে। তারপর ধীরে ধীরে সব স্তিমিত হয়ে যাবে। তখন সামনে পড়ে থাকবে অন্ধকার প্রান্তর, ডিটেনশন ক্যাম্প, ফরেনার্স ট্রাইবুনাল অথবা গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ার মত মতো কোনো বৃক্ষ।