পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

বর্জনের সিদ্ধান্ত আর জরুরি অবস্থার নিষেধাজ্ঞা কি সমার্থক?

  • 19 September, 2023
  • 1 Comment(s)
  • 1089 view(s)
  • লিখেছেন : আশিস গুপ্ত
বিজেপি সভাপতি থেকে এনবিডিএ প্রেসিডেন্ট সকলেই শিক্ষিত মানুষ। সবিনয় প্রশ্ন তাদের কাছে, ব্যান আর বয়কট কি সমার্থক ? ব্যান শব্দের অর্থ নিষিদ্ধ, আর বয়কট-এর মানে বর্জন অথবা অসহযোগ। বর্জনের সিদ্ধান্ত আর জরুরি অবস্থার নিষেধাজ্ঞা সমার্থক হলো কি করে ? যদিও মানুষকে বিপথগামী করার বহু ব্যবহৃত কৌশল বিজেপি নিচ্ছে, কিন্তু তাতে কি লাভ হবে?

তামিলনাড়ুর ডিএমকে মন্ত্রিসভার সদস্য উদয়নিধি স্ট্যালিন সনাতন ব্যবস্থা নিয়ে মানবিক কিছু কথা বলায় বিজেপি ময়দানে নেমে পড়েছিল গেল গেল রব তুলে। সেই হৈ-চৈ চলতে থাকবে চলতি বছরের শেষে পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত। আর 'সনাতন' প্রচার যদি সফল হয়, তাহলে তা টেনে নিয়ে যাওয়া হবে ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত। এরই মধ্যে একটা নন-ইস্যুকে বড় ইস্যু করে তুলতে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। আর এই ইস্যুতে দেশবাসীকে গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতার পাঠ পড়াতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ'র দল। গত সপ্তাহে ২৮ টি বিরোধী দলের ইন্ডিয়া জোট ঘোষণা করেছে যে তারা ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা ১৪ জন নিউজ অ্যাঙ্কর দ্বারা আয়োজিত টিভি বিতর্ক অনুষ্ঠানে তাদের প্রতিনিধিদের পাঠাবে না৷ তারা নিম্নলিখিত অ্যাঙ্করদের দ্বারা আয়োজিত টক-শোগুলিতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার তাদের অভিপ্রায় ঘোষণা করেছে। এই স্বনামধন্য অ্যাঙ্কররা হলেন, আমন চোপড়া, আমিশ দেবগন, আনন্দ নরসিমহা, চিত্রা ত্রিপাঠী, সুধীর চৌধুরী; গৌরব সাওয়ান্ত, শিব অরুর, প্রাচী পরাশর, অর্ণব গোস্বামী, রুবিকা লিয়াকত, নাভিকা কুমার, সুশান্ত সিনহা, অদিতি ত্যাগী এবং অশোক শ্রীবাস্তব।এখানে একটা কথা প্রথমেই জেনে রাখা দরকার, ১৪ সেপ্টেম্বর বয়কট সংক্রান্ত বিরোধী জোটের বিবৃতিতে ১৪ জনের নাম দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যে চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত সেই চ্যানেলের নাম উল্লেখ করা হয়নি। অর্থাৎ চ্যানেল বয়কট নয়, বিরোধীরা ১৪ জন অ্যাঙ্কর কে ব্যক্তি হিসেবে বয়কট করেছে। বিরোধীদের এই বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত চমকে দেবার মত কোনো খবর নয়। একমাত্র আশ্চর্যের বিষয় হল বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের এই সিদ্ধান্ত এত দেরিতে এসেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে এটা স্পষ্ট যে বিরোধীরা মিডিয়ার পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকার দ্বারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই আচরণের প্রেক্ষিতে বিরোধীদের এই বয়কট স্বাভাবিক এবং গণতান্ত্রিক। আর বয়কট তো নতুন কিছু নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তো তাঁর শাসনকালে পূর্ণমাত্রায় সাংবাদিক সম্মেলনই করেননি। এমনকি মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনকেও কথা বলতে দেননি সাংবাদিকদের সঙ্গে। এসবই তো বয়কটের মধ্যেই পরে।

আশানুরূপ ভাবেই বিজেপি এবং সেই সাথে বয়কট করা অ্যাঙ্কররা এই বয়কটের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা এটাকে বাক-স্বাধীনতার অধিকার ও গণমাধ্যমের অধিকারের লঙ্ঘন হিসেবে চিত্রিত করেছে। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা ভারত জোটকে "কাকে টার্গেট করতে হবে তার সত্যিকারের নাৎসি স্টাইলে তালিকা তৈরি করার" অভিযোগ করেছেন এবং যুক্তি দিয়েছেন "জরুরি অবস্থার সময়কালীন মানসিকতা এই দলগুলির মধ্যে জীবন্ত।" তিনি বলেছেন, বিরোধীরা গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলে, বাক স্বাধীনতা রক্ষার দাবি করে, অথচ তাদের এই সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রের সবচেয়ে মৌলিক নীতি - প্রকাশ্যে ব্যক্তির ভাবনা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি নির্মম উপেক্ষা, বিশ্বাসঘাতকতা।' গত প্রায় এক দশক ধরে ভারতবর্ষের অধিকাংশ টিভি চ্যানেলের সাম্প্রদায়িক প্রচার, বিজেপির চাটুকারিতা, বিরোধী ভাবনার টুটি চেপে ধরা, এসব কিছুই নজরে পড়েনি এনবিডিএ-কর্তাদের। অবশ্য নজরে পড়ার কথাও নয়। কারণ অধিকাংশ টিভি চ্যানেলের মান তলানিতে নিয়ে যাবার মূল পরিকল্পনার হোতা তো এই কর্তা ব্যক্তিরাই। অ্যাঙ্করদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে এনবিডিএ। সংগঠনের সরকারি বিবৃতি ও সংবাদমাধ্যমে দেওয়া প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে মূলত জরুরি অবস্থার সময়কালীন দেশের প্রচারমাধ্যমের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। বিজেপি সভাপতি থেকে এনবিডিএ প্রেসিডেন্ট সকলেই শিক্ষিত মানুষ। সবিনয় প্রশ্ন তাদের কাছে, ব্যান আর বয়কট কি সমার্থক ? ব্যান শব্দের অর্থ নিষিদ্ধ, আর বয়কট-এর মানে বর্জন অথবা অসহযোগ। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বিদেশী পণ্য বর্জনের আহ্বান কি গণতন্ত্রের প্রতি আঘাত ছিল। আর সংবিধান স্বীকৃত আইনের শাসনে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে একমাত্র সরকার। বিরোধীদের বয়কটকে বাকস্বাধীনতার লঙ্ঘন হিসাবে চিহ্নিত করার অর্থ মানুষকে বিভ্রান্ত করা। বিরোধীরা রাষ্ট্রের ভরকেন্দ্র বা মিডিয়া হাউস পরিচালনাকারী বড় কর্পোরেশনগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে না। বয়কট হওয়া অ্যাঙ্করদের, এই বয়কটের ফলে কর্মহীন হওয়ার হুমকিও নেই, পুণ্য প্রসূন বাজপাই, অভিসার শর্মা বা রভিশ কুমারের মতো।

এবার আসা যাক এনবিডিএ'র মত প্রকাশের স্বাধীনতার তত্বে। গত একদশক জুড়ে টিভি চ্যানেলগুলি থেকে স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য কত সাংবাদিক, অ্যাঙ্করকে চাকরি খোঁয়াতে হয়েছে তার কোনো তালিকা আছে এনবিডিএ'র কাছে ? বিরোধী জোটের 'বয়কট' ঘোষণার সমালোচনা করে এনবিডিএ বিবৃতি দিয়েছে, যার বর্তমান প্রেসিডেন্ট অবিনাশ পান্ডে। অবিনাশবাবু এবিপি নেটওয়ার্কের প্রধান কার্যবাহী অফিসার বা সিইও। ২০০৫ সাল থেকে আছেন এবিপি নেটওয়ার্কের সঙ্গে, স্বাভাবিকভাবেই তিনি জানেন পুণ্য প্রসূন বাজপাই বা অভিসার শর্মার ঘটনা। পাঠকদের জন্য সেই ঘটনা এখানে উল্লেখ করছি। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে এবিপি নেটওয়ার্ক থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন 'মাস্টার স্ট্রোক' অনুষ্ঠানের অ্যাঙ্কর বা হোস্ট পুণ্য প্রসূন বাজপাই। বাজপাই বলেছিলেন যে, ম্যানেজমেন্টের উপর ভারতীয় জনতা পার্টি সরকারের ম্যানেজমেন্টের উপর চাপের কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। পুণ্য প্রসূন 'দ্য ওয়্যার' হিন্দি সংস্করণে লিখেছিলেন, এবিপি নেটওয়ার্কের এডিটর-ইন-চিফ তাকে বলেছিলেন, 'সব কিছু দেখান, বলুন, কিন্তু নরেন্দ্র মোদির নাম উচ্চারণ করবেন না।' এর পর অভিসার শর্মা। শর্মাকে একটি নিউজ বুলেটিনের জন্য এবিপি নিউজ থেকে অফ এয়ার করা হয়েছিল। তার শো 'আজ কি বড়ি খবর'এ, তিনি উত্তর প্রদেশের সুলতানপুর জেলায় একটি বন্দুকযুদ্ধের "ব্রেকিং নিউজ" পড়েছিলেন, যেখানে তিনজন গুন্ডা একজন ব্যবসায়ীর উপর গুলি চালিয়েছিল। শর্মা বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল লক্ষ্ণৌতে ছিলেন এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি চেয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা উত্তরপ্রদেশে বিনিয়োগ করুন।… এরকম পরিস্থিতিতে, উত্তরপ্রদেশ কখন অপরাধ মুক্ত হবে তা জিজ্ঞাসা করা একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন।" সে সময়কার এবিপি'র সিইও অতিদেব সরকার ক্ষিপ্ত হয়ে শর্মা যখন চ্যানেলে লাইভ ছিলেন নিউজরুমে ঢুকে পড়েছিলেন এবং বলেছিলেন, "...সুলতানপুরে অপরাধের বিপথগামী ঘটনায় শর্মা কেন প্রধানমন্ত্রীর নাম নিচ্ছেন।" এই উত্তপ্ত কথোপকথনের পরে শর্মাকে ১৫ দিনের জন্য অফ এয়ার করে দেওয়া হয়েছিল। ৩০ জুলাই,২০১৮-তে ঘটেছিলো এই ঘটনা। এক মাস পরে, ৩ সেপ্টেম্বর অপমানিত অভিসার পদত্যাগ করেন। এদের পাশে দাঁড়ায়নি এনবিডিএ। ব্যক্তির ভাবনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতার মৌলিক তত্ব তখন মনে পড়েনি অবিনাশবাবুদের। ব্যক্তি, সংগঠন বা জোট, গণতন্ত্রে তো প্রত্যেকেরই অধিকার আছে কার সঙ্গে কথা বলবো, আর কার সঙ্গে কথা বলবোনা, সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।এখানে জরুরি অবস্থার তুলনা আর একটা 'জুমলার' মতোই।

 

বিরোধী জোটের 'বয়কট' এর সিদ্ধান্ত নিয়ে এনবিডিএ এবং বিজেপি সভাপতির বক্তব্য একই। মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বড় আঘাত এই বয়কটের ঘোষণা। একটু খোঁজ নিয়ে দেখা যাক গত একদশকে সংবাদ বা প্রচারমাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতার হাল-হকিকৎ। ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই প্রকাশিত, লোকনীতি এবং সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ ডেভেলপিং সোসাইটিজের সমীক্ষায় অর্ধেকেরও বেশি সাংবাদিক বলেছেন যে, রাজনৈতিক ভাবনার কারণে চাকরি হারানোর আশঙ্কার জন্য তারা বিভিন্ন মাত্রার উদ্বেগে ভুগছেন।'ইন্ডিয়ান মিডিয়া: ট্রেন্ডস অ্যান্ড প্যাটার্নস' শিরোনামের এই সমীক্ষার মূল ফলাফলগুলির মধ্যে একটি হল যে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮২% প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যে তাদের মিডিয়া সংস্থা ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টিকে সমর্থন করে।শুধুমাত্র স্বাধীন সাংবাদিকদের মতামত বিবেচনা করলে বিজেপির পক্ষে সংবাদ সংস্থার এই সংখ্যা বেড়ে ৮৯% হয়েছে। ইংরেজি সংবাদ প্ল্যাটফর্মে কর্মরত সাংবাদিকদের চার-পঞ্চমাংশ বলেছেন যে সংবাদ মাধ্যমের সংস্থাগুলি সাধারণত বিজেপির পক্ষে।ইংরেজি ভাষার সাংবাদিকদের অর্ধেকেরও বেশি তাদের রাজনৈতিক মতামতের ভিত্তিতে কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের সম্মুখীন হওয়ার উচ্চতর প্রবণতা রিপোর্ট করেছে।সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে সাংবাদিকরা, বিশেষ করে যারা ইংরেজি মিডিয়ায় কাজ করছেন, তারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার অভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং তারা নিউজ চ্যানেলের ৮৮%, সংবাদপত্র ৬৬% এবং অনলাইন/ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ৪৬% স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য হ্রাস অনুভব করেছেন। সমীক্ষা করা দুটি সংস্থাই দেশীয়। সরকার প্রতিবাদ জানায়নি সমীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে। এই সমীক্ষা ছাড়াও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সমীক্ষা বা রিপোর্টে ভারতের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলা হয়েছে, যা প্রথামাফিক খারিজ করে দেয় বিদেশমন্ত্রক। যেমন ফ্রান্সে সদর দপ্তর থাকা 'রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার' বা আরএসএফ। প্রতি বছর বিশ্বের ১৮০ টি দেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে সমীক্ষা প্রকাশ করে। আরএসএফ-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি যখন দিল্লির মসনদ দখল করলেন তখন প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স-এ ভারতের স্থান ১৮০ দেশের মধ্যে ১৪০ তম। গত প্রায় এক দশকে নাড্ডাজিদের গণতন্ত্রের ধাক্কায় ২০২৩-এ প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে ভারত গড়াতে গড়াতে ১৬১-তে নেমে গেছে। মোট দেশের সংখ্যা ১৮০ ই আছে। আর যারা এই অবনমনের কারিগর তাঁরা রব তুলেছে, গেলো গেলো সর্বনাশ হয়ে গেলো, দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আর রইলো না। আসলে ওঁরা মানসিক যন্ত্রনাটা ভুলতে চাইছে। ওঁদের যন্ত্রনাটা একারণেই যে,আগামী ৭-৮ মাস দেশের রাজনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। আর এই সময় টিভি চ্যানেলগুলোতে 'টক শো' এর নামে সংবাদকর্মী তকমা আটা গেরুয়া ব্রিগেডকে দিয়ে বিরোধী নেতাদের হেনস্থা করা না যায়, যদি অপদস্ত, অপমান করা না যায় তবে নির্বাচনের প্রচার কৌশল বড় ধাক্কা খাবে।বিরোধীদের এই 'বয়কট' অগণতান্ত্রিক, একপক্ষীয়, সাম্প্রদায়িক প্রচারমাধ্যমের গালে একটা মোক্ষম চড়।

 

লেখক আসাম প্রতিদিনের দিল্লি ব্যুরো প্রধান এবং মানবাধিকার কর্মী।

 

1 Comments

Ratish Deb

23 September, 2023

তথ্য সমৃদ্ধ লেখা। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার কারিগরদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করার ক্ষেত্রে লেখাটির গুরুত্ব অপরিসীম বলেই মনে করি।

Post Comment