পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

মণিপুরী গৃহযুদ্ধের তাপে 'মূল ভারত'কে সেঁকার বাসনা?

  • 25 July, 2023
  • 0 Comment(s)
  • 1243 view(s)
  • লিখেছেন : বর্ণালী মুখার্জী
ক্রমেই মণিপুরের আঁচ মিজোরাম মেঘালয়ে ছড়িয়ে পড়ছে। মণিপুরের নারকীয় ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর মিজোরামের বাসিন্দা যে কুকিরা তাদের একটি সংগঠন বা অনেকগুলো সংগঠনের যৌথ মঞ্চ, মিজোরামে অবস্থিত সংখ্যালঘু মণিপুরী মেইতেইদের ইতিমধ্যেই হুমকি দিয়েছেন, যে তারা যেন সামলে থাকেন, তাদের সুরক্ষার দায় এখন অন্য কেউ নেবে না। আবার অন্যদিকে মেঘালয়ে যে সব কুকিরা আশ্রয়ের আশায় পালিয়েছেন, তাদের আশ্রয় দিতে অস্বীকার করেছে এমনকি কুকি গ্রামগুলোও। এবার কি তাহলে হিংসা ভারতের মূল ভূখন্ডে প্রবেশ করবে?

 

তিন মাস মোদী নীরব ছিলেন। কিন্তু কেন? নীরবতা হল এক ধরনের অপেক্ষা। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘wait and see policy’, প্রশ্ন হল কিসের প্রতীক্ষায় ছিলেন? মণিপুরে খ্রীস্টান বনাম হিন্দু দাঙ্গা বাঁধিয়ে তাঁর লাভ কী? মনিপুরে আপাতত কোনো ভোট নেই। তাছাড়া সেখানে তাঁদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার।  ব্যাপারটা কি শুধুই এমন যে মণিপুরে যে কুকর্ম অমিত শাহ করে রেখেছেন সেটা আর সামলাতে পারছেন না মোদী? যে তাস তাঁরা খেলে দিয়েছেন মণিপুর ভোটের আগে, সেটা এখন ফ্রাংকেনস্টাইন হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিষয়টা কি শুধুই এমন দুর্ঘটনা? ভোটের আগে কুকি সংগঠনগুলোকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অমিত শাহ,  বিজেপিকে ভোট দিলে কুকি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল করে দেওয়া হবে। আবার তাঁদের মূল ভোট ব্যাংক মেইতেইদেরকেও বিজেপি আশ্বস্ত  করেছিল যে রাজ্যে কোনো ভাঙন হবে না। এখন প্রতিশ্রুতি রক্ষা হোক, সেটা দুই পক্ষই বলা বাহুল্য, চাইছে। মেইতেই মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অনেকটাই এগিয়ে গেছেন। ২০০৮ সালের অনাক্রমণ চুক্তি একতরফা ভাবে বাতিল করেছেন, উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন এবং আদালতের উপর চাপ সৃষ্টি করে সংরক্ষণও আদায় করে নিয়েছেন। অথচ বিপরীতে কুকিদের জন্য পৃথক স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল দেওয়ার নাম গন্ধ নেই। ফলে আগুন জ্বলে উঠেছে আর মোদী এখন ফ্রান্স আমেরিকা পালিয়ে বাঁচছেন। উত্তর পূর্বাঞ্চল- এর জটিল জাতিসত্তার ইতিহাস মোদী জানতেন না, এখন সেই জটিলতা আর সামলাতে পারছেন না,  মোদীর নীরবতাকে এতটাই নিরামিষ রূপে দেখতে কষ্ট হয়।  

শোনা গেল ক্রমেই মণিপুরের আঁচ মিজোরাম মেঘালয়ে ছড়িয়ে পড়ছে। মণিপুরের নারকীয় ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর মিজোরামের বাসিন্দা যে কুকিরা তাদের একটি সংগঠন বা অনেকগুলো সংগঠনের যৌথ মঞ্চ, মিজোরামে অবস্থিত সংখ্যালঘু মণিপুরী মেইতেইদের ইতিমধ্যেই হুমকি দিয়েছেন, যে তারা যেন সামলে থাকেন, তাদের সুরক্ষার  দায় এখন অন্য কেউ নেবে না। আবার অন্যদিকে মেঘালয়ে যে সব কুকিরা আশ্রয়ের আশায় পালিয়েছেন, তাদের আশ্রয় দিতে অস্বীকার করেছে এমনকি কুকি গ্রামগুলোও। রাজ্য সরকারের তেমনই নির্দেশ। শিলং একটি ট্যুরিস্ট স্পট, ফলে সেখানে এই আচরণ অস্বাভাবিক নয়। তাহলে কি মোদী এটাই চেয়েছিলেন? নীরবতার এটাই কি ছিল উদ্দেশ্য? হতেই পারে, কারণ মিজোরামে সামনে ভোট। খ্রীস্টান আদিবাসীরাই সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ। যারা অন্তরে এবং  বাস্তবে মণিপুরের কুকি নাগাদের আত্মীয়, স্বজন। আবার সেখানেও আছে মেইতেই জনসংখ্যা, যদিও মাত্র কয়েক হাজার। বিধানসভা ভোটের মুখে মিজোরাম সংখ্যাগুরু খ্রীস্টান আদিবাসীদের বোঝানো সহজ যে মোদীজী আদপেই খ্রীস্টান বিরোধী নন। বোঝানো সহজ মণিপুরে শান্তি চুক্তি প্রত্যাহৃত হোক সেটা অমিত শাহ চাননি। বোঝানো শুরুও হয়ে গেছে যে এই হঠকারিতার জন্য দায়ী একমাত্র মণিপুরের মেইতেই মুখ্যমন্ত্রী। আসলে রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরা চাইছে না কুকি স্বায়ত্তশাসন। কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে রাজ্যের বনিবনা হচ্ছে না ইত্যাদি। দেখানো যাবে যে বিজেপির ইতিহাস আছে ছোট রাজ্য করার ---- ঝাড়খন্ড, উত্তরাখন্ড, ছত্তিসগড় করে দিয়েছে তারা, ফলে আর একটা কুকিল্যান্ড তারা করতেই পারে। উত্তর পূর্ব ভারতের ভুগোল বদলাবে।  মিজোরামের মেইতেইরা প্রাণভয়ে দলে দলে মণিপুরে যাবে, উদ্ধাস্তু সমস্যা হবে।  এই রক্তাক্ত পরিবেশেই উত্তর পূর্ব ভারতে নানা গোষ্ঠীকে পরস্পর বিরোধী প্রতিশ্রুতি দিয়ে, ঘৃণার চাষ করে, অস্ত্র যোগান দিয়ে ভোট জিতে নিতে পারবে বিজেপি। এটাই কি তবে মোদীর নীরবতার কারণ? সন্দেহ হয় ঠিক এমনও নয়।

পৃথক কুকিল্যাণ্ডের দাবি প্রধান ছিল মনিপুরে একসময়, কিন্তু এখন সেটা তুলনায় স্তিমিত। ২০০৮ সালের শান্তি বা অনাক্রমণ চুক্তির পরে বিদ্বেষ নেই তা নয়, নিপীড়নও আছে। জঙ্গলে পাহাড়ে হিংসা আছে, শহরে গ্রামে হিংসা আছে। কিন্তু একটা শান্তিও ছিল এতদিন। কেউ কুকি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের দাবি করছিল, কেউ বা সদর পাহাড়ি অঞ্চলের। কেউ আবার মেইতেইদের জন্য সংরক্ষণ।  যে যার মতো চলছিল। চুক্তি মেনে বা গোপনে ভঙ্গ করে। কিন্তু মণিপুরের বীরেন্দ্র সরকার আচমকা সেই চুক্তি একতরফা ভাবে বাতিল করল নানা অজুহাত দেখিয়ে। একদিকে শুরু হল সরকারি হিংসা, আর অন্য দিকে শুরু হল মোদীর নীরবতা। ডবল ইঞ্জিন কৌশল। শুরু হল মোদীর অনন্ত অপেক্ষা, wait and see নীতি। তবে কি কুকি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের দাবীতে সন্তুষ্ট নন মোদী? গৃহযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তিনি কি চেয়েছেন যে আবার কুকিল্যান্ডের দাবি উঠুক? হচ্ছেও সেটা। দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র আত্মরক্ষা জন্য নয়, কুকিরা এখন রাস্তায় ব্যারিকেড করে বসে আছেন, তাদের দৈনন্দিন কাজেও যেন তাদের এলাকায় কোনো মেইতেই ঢুকতে না পারে।  মোদীর কি ইচ্ছা যে উত্তর পূর্বাঞ্চল জুড়ে মাথাচাড়া দিক নাগা, কুকি জঙ্গী সংগঠনগুলো? মায়ানমারের নৃশংস গুন্ডা বাহিনীও ঢুকে পড়ুক ভারতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়? রোহিঙ্গাদের রক্তে ভেজা তাদের হাত এদেশে বিজেপির ত্রাতা হয়ে আসুক? দেখাও গেল এই তিন মাসে মণিপুরে মুড়ি মুড়কির মত অস্ত্র লুঠ, ক্রয় বিক্রয় হয়েছে। তবে কি মায়ানমার সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের জঙ্গী সংগঠনগুলির সাথে গোপন বোঝাপড়া সেরে ফেলেছেন আমাদের কর্তারা? থাইল্যান্ড থেকে মায়ানমার হয়ে দিল্লি, তাদের এই রাস্তা প্রকল্পের মানচিত্রে মায়ানমার আছে। আদানি, বেদান্ত, টাটা, আম্বানিদের পুঁজি খাটবে, আর যুদ্ধ গৃহযুদ্ধ অর্থনীতির পরিকাঠামো তৈরি হবে। তাছাড়া ওই রাস্তার জন্য মণিপুরের জঙ্গল পাহাড়ের জমি দরকার কিনা কেই বা বলবে? 

কেউ কেউ আবার বলছেন, জঙ্গলের উপর আদিবাসীদের অধিকার থাকার চুক্তিটি বাতিল জরুরী ছিল অন্য এক কারণে। বহুজাতিকদের নজর পড়েছে নিকেল তামাতে ভরপুর মনিপুরের জঙ্গল পাহাড়ের দিকে।

কিন্তু তবু কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। 

মিজোরাম, মনিপুর বা এমনকি সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চল জুড়ে দাঙ্গা হলেই বা মোদীর কতটা লাভ? ওই রাজ্য মিলিয়ে কটাই বা লোকসভা আসন? মণিপুরে ভোট হতে ঢের দেরী। সাত বোনের কোনো রাজ্যেই ভোট লোকসভার আগে নয়। মণিপুরের মেইতেইদের সন্দিগ্ধ করে কতটা লাভ হচ্ছে মোদীর? দেখাও যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির উপর অসন্তুষ্ট। প্রতিনিধি দল নিয়ে নিজেই ছুটে যাচ্ছেন দিল্লি, কর্তাদের বোঝাতে যে তারা কিছুতেই কুকিল্যান্ড মানবেন না। তার মুখ্যমন্ত্রীত্বও এমনকি সংকটে। পদত্যাগ পত্র নিয়ে নাটক থেকেই যা স্পষ্ট। হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলার এত বড় ঝুঁকি মোদী নিচ্ছেন স্রেফ কয়েকটা হাতে গোনা সাংসদ পেতে, তাও সব পরিকল্পনা যদি নিখুঁত ভাবে এগোয় তবেই যেটা সম্ভব!! 

সুতরাং সন্দেহ হয় এই ৮০ দিনের অপেক্ষা ছিল আরও কোনো বড় ফল লাভের আশায়। সেটা তবে কি হতে পারে? এখন বড় ফল লাভ বলতে  ২০২৪ সালে ভোটে জেতা। যদি সত্যিই বিজেপিকে ২০২৪-এর কথা ভাবতে হয় তবে দাঙ্গা উত্তর পূর্বাঞ্চলের দিকে নয়, বা বলা ভাল শুধু ওদিকে নয়, তারা চাইবে দাঙ্গা এদিকেও আসুক। আসাম, বাংলা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িষ্যা। যাকে বলা হয় ভারতের মূলভূমির দিকে। যেখানে তাদের সাংসদ সংখ্যা অনেক বেশি। ফলে গৃহযুদ্ধের তাপ বা আঁচ মূলভূমির দিকে আসা খুব দরকার ছিল মোদীর।

গৃহহীন কুকিরা আশ্রয় চাইতে দলে দলে আসামে ঢুকছেন এমনটা হলেই মোদীদের পক্ষে অনেক সন্তোষজনক হতো। সেই জন্যই কি তাহলে তাদের এই অপেক্ষা, wait and see  নীরবতা? কিন্তু প্রশ্ন হল, খ্রীস্টান কুকি আদিবাসীরা গৃহযুদ্ধে ঘরছাড়া হয়ে প্রাণ ভয়ে মিজোরাম মেঘালয়ের দিকেই যাবে সেটাই কি স্বাভাবিক নয়? মূলভূমিতে ঢুকবে কোন যুক্তিতে?

আসামে প্রবেশের যথেষ্ট বাস্তবতা কিন্তু কুকিদের ছিল। খ্রীষ্টান না হলেও সেখানে বোরো উপজাতিভুক্ত মানুষ আছেন। এবং কুকি সংগঠন গুলো bodo স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের অনুকরণে কুকি স্বায়ত্তশাসন চাইছে বেশ কিছু বছর ধরে। ফলে সেই রাজনৈতিক আত্মীয়তার সূত্রে তারা আসামে ঢুকবে এমন আশা করতেই পারেন মোদী। আবার এদিকে বরাক উপত্যকায় মণিপুরী মানুষের বসবাস আছে, তারা জনসংখ্যার প্রায় ৬%, সংখ্যায় ৪০ হাজারের মত। বাঙালিরা বরাকে সংখ্যাগুরু। ফলে ওখানে যদি কুকি উদ্বাস্তুরা ঢোকেন তবে মোদীদের বিশেষ প্ররোচনায় দাঙ্গা শুরু করে দেওয়া যাবে, মেইতেই বনাম কুকি সংঘাত, আর তার পরেই বাঙালি - কুকি - মণিপুরি সংঘাত। আসামে বাঙালি বিরোধী জঙ্গীত্ব আপাতত ঘুমিয়ে আছে, ঘুমিয়ে থাকা জঙ্গী সংগঠনগুলিকে আর.এস.এস অস্ত্র যোগান দেবে,  প্রত্যুত্তরে শুরু হবে ‘বাঙালি খেদাও’ অভিযান নতুন করে। ব্যস, আসামে রক্ত গঙ্গা, দলে দলে বাঙালি ছুটবে ত্রিপুরা, বাংলায়। বাংলায় শুরু হবে দাঙ্গার রাজনীতি, রাজ্য সরকার বিপদে পড়বে। দাঙ্গার রাজনীতি মানেই মোদীদের লাভ। শুধু বাংলাতেও থামবে না। ঝাড়খন্ড, বিহার ওড়িষ্যায় ঢুকে পড়বে দাঙ্গা। এটা বর্তমান লেখকের কষ্ট কল্পনা, নাকি, আরএসএস এর পরিকল্পনা সেটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলবে নিশ্চয়ই। কিন্তু সকলকেই স্বীকার করতে হবে, এই দাঙ্গা দুর্ঘটনা বা মোদীদের অসহায়ত্ব নয়। খুব বড় একটি পরিকল্পনা বা চক্রান্ত।

এমন পরিকল্পনা আর.এস.এস করতে পারে না কি? পারে। পারে যে সেটা গান্ধী হত্যা দেখেই বোঝা যায়। গান্ধী হত্যা স্রেফ ছোট খাটো প্রতিহিংসা ছিল না। ছিল এক বিরাট পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার জবাব।  দেশভাগের প্রাক মুহূর্তে দেশ জুড়ে দাঙ্গা খুব দরকার ছিল আর.এস.এস এর। একমাত্র যা হলেই মুসলিমরা দলে দলে পাকিস্তানের দিকে যাত্রা করবে। আর তা হলে এদেশ হিন্দু রাষ্ট্র হবে সহজেই। কিন্তু সেটা হয়নি। গান্ধী দাঙ্গা পীড়িত নোয়াখালিতে এসে বসে পড়েন। এমনকি তাঁর নিজ দলের নেতাদের ইচ্ছা নিরপেক্ষভাবেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বাঙলা ভাগের আরএসএস এর এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধ রুখে দাঁড়ান। মুসলিমদের আহ্বান জানান যেন কেউ ভিটে ছেড়ে না যায়। তিনি তাদের বুক দিয়ে আগলাবেন। মুসলিম জনগণের একাংশ সাড়াও দিয়েছিল। এদেশে থেকে গেছিল বহু মুসলিম। ভারত হিন্দু রাষ্ট্র হয়নি। ফলে পরিকল্পনা তাদের কত গভীরে থাকে সেটা আমরা বুঝতে পারি। শুধু গান্ধী হত্যা নয়, রাম লালার মুর্তি স্থাপনও হয়েছিল এই ভেস্তে যাওয়া পরিকল্পনাটির ড্যামেজ কন্ট্রোল।   

এবারেও হয়তো ওদের পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। ভিডিও প্রকাশিত হয়ে গেল। ফলে মোদীকে কথা বলতেই হল। রাম শবরীকে মুক্ত করেছিলেন, কিন্তু #জয়শ্রীরাম মুক্ত করতে পারল না মুলভারতকে মণিপুরের তাপে সেঁকার জন্য শবরীর মত প্রতীক্ষারত মোদীকে। দ্রৌপদীর লাঞ্চনায় কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ বেঁধে গেল ভারতে। এ এক ধর্ম যুদ্ধ, যেখানে ভারতের  কৌরব পক্ষের প্রায় সমস্ত রাজা শিবির ছেড়ে চলে আসতে শুরু করেছে পাণ্ডবদের দিকে, INDIA র দিকে। তবু আমাদের সচেতন থাকতে হবে, ২০২৪ এর আগে ওদের মূল ভূমিতে দাঙ্গা প্রয়োজন। এদেশের বা মায়ানমারের জঙ্গী সংগঠনগুলির ঘুম ভাঙাচ্ছেন মোদী, কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙাচ্ছেন মোদী।

তবে আশার কথা হল, উত্তর পূর্বাঞ্চলের দাঙ্গা নতুন কিছু নয়। ফলে অভ্যন্তরীন নিয়ন্ত্রণের অভ্যেস ঐতিহাসিক ভাবে সেখানকার মানুষের আছে। মোদীদের ইচ্ছা নিরপেক্ষভাবেই সেই কাজ জনগণ করতে শুরু করবেন নিশ্চয়ই, ঘোলা জলে মাছ ওরা বোধহয় এবারেও ধরতে পারবে না।

 

0 Comments

Post Comment