২০২৪ সালের এপ্রিলে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল সম্পূর্ণ নাকচ হওয়ার দুদিন পর শহিদ মিনারে জড়ো হলেন তাঁরা, যাঁদের জন্য ‘স্কুলের গরমের ছুটি’ আপাতত শেষ হবে না। এঁদের কেউ মাস্টার্স বা এমফিল পাশ করার পর শিক্ষকতায় যোগ দিয়েছিলেন। কেউ আগেই চাকরি করতেন অন্য কোনো সরকারি স্কুলে, বাড়ির কাছে স্কুল পাওয়ার জন্য ২০১৬ সালের এসএসসিতে বসেন। কেউ প্রাইমারি শিক্ষক ছিলেন। কেউ পঞ্চম-অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক ছিলেন, কেউ আবার প্রাইমারি শিক্ষকও ছিলেন— কেরিয়ারে আরও উন্নতির জন্য নবম-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক হওয়ার পরীক্ষায় বসে কৃতকার্য হয়েছিলেন। শহরে এপ্রিল মাস। হাওয়া-আপিস বলছে, তাপপ্রবাহ বইছে। শহিদ মিনার ঘিরে যে মাঠ, তাতে গাছের ছায়াটুকু মেলা ভার। এঁরা নানা জেলা থেকে এসেছেন। আলোচনা চলছে, কীভাবে এগোনো যায়? কোন কোন সংগঠন পাশে থাকবে? সুপ্রিম কোর্টে কোন উকিল সাহায্য করতে পারেন? এঁরা পরস্পরকে জিজ্ঞাসা করছেন, চাকরির কোন কোন কাগজপত্র সামলে রাখা জরুরি?
যা সকলে জানেন তা আরেকবার মুখবন্ধ হিসাবে বলে নেওয়া যাক। সরকারি শিক্ষকতার চাকরি সম্ভবত এই মুহূর্তে সবচেয়ে অনিশ্চিত পেশা। যে কোনো বেসরকারি চাকরি, হকারি, ব্যবসার চেয়েও ক্ষণস্থায়ী হতে পারে তাঁদের চাকরি, যাঁরা একবিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকে সরকারি শিক্ষকতার চাকরিতে ঢুকেছেন৷ স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং বর্তমান রাজ্য সরকার নিঃসন্দেহে শিক্ষকতার এবং স্কুলে অশিক্ষক কর্মচারীর চাকরি ঘিরে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন যা বহুল চর্চিত হাটে-বাজারে-বাসে-ট্রামে। সেই আলোচনায় কান পাতলে জনমানসের চিন্তার ধারা কিছুটা বোঝা যায়৷ ‘শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি’—এই শব্দবন্ধ শুনলে জন-ধারণায় সবচেয়ে প্রথম যে ছবিটি প্রকট হয় তা হল: প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (খাতায়-কলমে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের) বাড়িতে স্তূপাকৃতি নোট পাওয়া যাচ্ছে, যার প্রায় সবটাই শিক্ষক-নিয়োগকালে প্রাপ্ত ঘুষের বখরা বলে অভিযোগ। স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের মনে প্রশ্ন, বর্তমান সরকারের আমলে নিযুক্ত স্কুলশিক্ষকরা কি আদৌ তাঁদের সন্তানদের পড়ানোর যোগ্য? জনরোষ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, অযোগ্যদের চাকরি যাক। তাঁদের সন্তানরা যোগ্যদের হাতে গড়ে উঠুক। বস্তুত, জনগণের মনে টাকার স্তূপের ছবিটা চিরায়ত হয়ে সেঁটে যাওয়ার অনেক আগে থেকেই বেনিয়ম সংক্রান্ত নানা কারণে নানা মামলা চলছিল। এই সরকার আজ পর্যন্ত যতগুলি শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েছে, তার সবকটি ঘিরেই মামলা চলছে। এই সরকারের আমলে তাই সাধারণের পক্ষে শিক্ষকতার চাকরি পাওয়া এবং স্কুলে শূন্যপদ পূরণ হওয়া ক্রমে দুরূহ হয়ে উঠেছে।
রাজ্যে যখন এইভাবে দুর্নীতির পাহাড় জমে উঠছে, তখন কেন্দ্রীয় শক্তির এক নতুন প্রবণতা দেখা দিল। কেন্দ্রে যে দলটি আসীন, অর্থাৎ বিজেপি, সেই দলটি যে যে রাজ্যে ক্ষমতাসীন নয়, সে সে রাজ্যে দুর্নীতি ধরতে ইডি, সিবিআইদের ঘনঘন আনাগোনা চলল৷ প্রধানমন্ত্রী অস্বীকার করলেও বোঝা কঠিন নয়, রাজ্য দুর্নীতি বিজেপির কাছে একটি সুযোগ, যা কাজে লাগিয়ে তারা বশ না মানা রাজ্যগুলিকে বশ করতে চাইছে৷ ইডি বা সিবিআই-এর স্বয়ংশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবেই কাজ করা উচিত৷ কিন্তু আশ্চর্য ভাবে তারা শুধু বিরোধীদেরই দুর্নীতির হিসেব চায়। ঝাড়খণ্ড ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জেলে যান। এ রাজ্যেরও একাধিক প্রাক্তন মন্ত্রী ন্যায্য কারণে জেলে। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরে শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ নেওয়া থেকে শুরু করে করে নারদা কাণ্ডে ক্যামেরার সামনে ঘুষ নেওয়া— এমন নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও শুভেন্দু অধিকারীর মতো প্রাক্তন তৃণমূল, বর্তমান বিজেপি নেতার বাড়িতে ইডি-সিবিআই হানা দেয় না। সর্বোপরি যখন ইলেক্টরাল বন্ড বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে ইডি/ সিবিআই নানা রাজ্যে যে যে কাম্পানিতে হানা দিয়েছে, তারা বিজেপিকে স্বল্প কিছুদিনের মধ্যে কোটি কোটি টাকা দিয়েছে ভোটে লড়ার জন্য, তখন ইডি-সিবিআই-এর স্বয়ংক্রিয়তা নিয়ে সংশয় জন্মায়।
আমাদের আলোচ্য যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, তাই আরেকবার বলে নেওয়া ভাল যে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং রাজ্য সরকার যে সংঘবদ্ধ ভাবে দুর্নীতি করেছে, তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। কিন্তু কলিযুগের দ্বন্দ্বই হল এই যে, অন্যায়ের সমালোচক ন্যায়পরায়ণ তো নয় বটেই, বরং হয়ত সে আরও বড় অন্যায়কারী হতে পারে। মাঝে পড়ে যে উলুখাগড়াদের প্রাণ ওষ্ঠাগত, তারা হল যোগ্য চাকুরিরতরা৷ প্রায় ছাব্বিশ হাজার নিয়োগ হয়েছিল সম্প্রতি নাকচ হয়ে যাওয়া প্যানেলে৷ হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, এর মধ্যে বে-আইনি পদ্ধতিতে যে অন্তত পাঁচ হাজার নিযুক্ত হয়েছিল, তা স্পষ্ট। প্রশ্ন হল: বাকি প্রায় একুশ হাজার উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর কী দোষ ছিল? প্যানেল বাতিল করার মাধ্যমে তাদের চাকরি কেন নাকচ হল? "দশ জন অপরাধী ছাড়া পেলেও একজন নিরপরাধী যেন শাস্তি না পায়" —বিচার ব্যবস্থার এই ‘ম্যাক্সিম’ বা নীতির কী হল? এক্ষেত্রে বরং উল্টোটাই ঘটল৷ একজন অপরাধীকে ধরার জন্য দশজনের শাস্তি, বা পাঁচ হাজারের জন্য একুশ হাজারকে বলি।
সুখের কথা, যোগ্য শিক্ষকদের প্রতি ঘটা অন্যায় নিয়ে বেশ খানিক আলোড়ন পড়েছে। এ ‘সুখের কথা’, কারণ শিক্ষক প্যানেল বাতিল হওয়ার ঘটনা এই প্রথম ঘটল না। বরং ইদানীং তা আকছার ঘটছে৷ কিন্তু ‘যোগ্য প্রার্থীদের কেন ভুগতে হবে?’ —এই তর্ক সাধারণ্যে তত শোনা যায়নি। ২০২৩ সালের ১২ই মে প্রাক্তন বিচারক অভিজিৎ গাঙ্গুলি বত্রিশ হাজার প্রাইমারি শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের অর্ডার দেন, কারণ তাদের প্রশিক্ষণ নেই। শিক্ষক-প্রশিক্ষণের যে পেশাকেন্দ্রিক ডিগ্রি শিক্ষকদের লাগে (এক্ষেত্রে ডিএলএড), তা শিক্ষক হওয়ার একমাত্র মাপকাঠি নয়। তার জন্য কিছু নম্বর বরাদ্দ থাকে। সেই নম্বর বাদ দিয়েও, কারও মাধ্যমিক উচ্চ-মাধ্যমিক ইত্যাদি পরীক্ষায় ভাল নম্বর থাকলে, টেট পরীক্ষা ভাল দিয়ে থাকলে, সে এগিয়ে যেতে পারে। বিচারক বলেছিলেন, পারসোনালিটি টেস্টে (একশ নম্বরের ভিত্তিতে প্যানেল, তার মধ্যে পারসোনালিটি টেস্ট ও ডেমন্সট্রেশনে মোট দশ নম্বর বরাদ্দ) কারচুপি হয়েছে৷ অথচ, বোর্ড নাম্বার প্রকাশ করলে দেখা যায়, এমনও অনেকে চাকরি পেয়েছিলেন, যারা ওই কারচুপির মোক্ষম সুযোগটির জায়গায় দশে মাত্র দেড় পেয়েছেন। তা সত্ত্বেও তারা চাকরি পেয়েছিলেন, কিন্তু ২০২৩ সালে হারালেন। এর থেকে কি ধরে নেওয়া যায় না যে তাঁরা দুর্নীতি না করেই চাকরি হারালেন এবং দুর্নীতিবাজদের বাদ দিতে গিয়ে বিচারক তাদের কথা স্রেফ ভুলে গেলেন? তখন কিন্তু এ নিয়ে নাগরিক সমাজে আলোড়ন পড়ে যায়নি৷ তাঁরা এখনও আইনি লড়াই লড়ছেন। সুখের কথা, এবার, অন্তত এই মুহূর্তে সকলে বিচলিত৷
সাম্প্রতিক নবম-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকদের প্যানেল বাতিলের রায়টি বলছে, সতেরো রকম দুর্নীতির ভিত্তিতে প্যানেল নাকচ হয়েছে। এর মধ্যে তিন-চারটি অবশ্যই অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।
এক, প্যানেলের সময়সীমা অতিক্রম হওয়ার পরও নিয়োগ।
দুই, প্যানেলের বাইরে নিয়োগ৷
তিন, অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ৷
চার, সাদা ওএমআর শিট জমা দিলেও নিয়োগ৷
নিয়োগের এই চারটি স্তরে সরাসরিভাবে কিছু পরীক্ষার্থী যুক্ত, বোঝা যায় ( যাদের সংখ্যা শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারী মিলিয়ে হাজার পাঁচ বলে স্বয়ং আদালতের অনুমান)। কিন্তু এসএসসি কাকে ওএমআর মূল্যায়নের টেন্ডার দেবে, সেই টেন্ডার কোন নিয়ম মেনে দেবে, সেই সংস্থা আবার কোনো উপসংস্থাকে টেন্ডার দেবে কিনা, সে আবার কোন নিয়ম মেনে তা দেবে, এসএসসি খাতার হার্ডকপি কত বছর সংরক্ষণ করবে, এসএসসি খাতার স্ক্যান করা কপি কাকে রাখতে দেবে— এই সবের সঙ্গে কোনো সাধারণ চাকরিপ্রার্থীর কোনো সম্পর্ক থাকা সম্ভব নয়। এসবের খোঁজ রাখা তার সাধ্যাতীত। তাহলে সে কেন ভুক্তভোগী হবে? বিশেষত সেই একুশ হাজার জন যাদের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ নেই?
বাদী পক্ষের আইনজীবী বলতেই পারেন, তাঁদের মামলা এসএসসি-র বিরুদ্ধে, সাধারণ পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু তাঁরা কি এটা অস্বীকার করবেন যে রাজ্য সরকার ও এসএসসিকে বিপদে ফেলতে গিয়ে তাঁরা আসলে বিপদে ফেলেছেন সাধারণ শিক্ষকদের? অবশ্য এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, অ-নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রাথমিক উকিল পুরো প্যানেল বাতিল করার আর্জিও জানাননি৷ সেই আর্জি ছিল শ্রী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর, যিনি পরে জড়িত হন এই আর্জি সহ যে শুধু অযোগ্যদের বাতিল করলে হবে না, পুরো প্যানেল বাতিল হোক (রায়ের ৯১-৯২ পৃ উল্লেখ্য)। এর পিছনে কি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল?
অন্যদিকে, এসএসসি ও রাজ্য সরকার সংগঠিতভাবে এই অপরাধ করেছে বলেই তো সিবিআইকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল। তারাও কেন যোগ্য/অযোগ্যের মধ্যে লক্ষ্মণ রেখা টানতে পারলো না? ওএমআর এর স্ক্যান কপি তো নাইসারের কাছে আছে (টেন্ডারপ্রাপ্ত সংস্থা), যাকে কোর্ট স্বীকৃতি দিয়েছে। যে ভাবে কিছুজনকে সুদ সহ মাইনের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে, সেভাবে চাকরির জন্য কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য, তা খুঁজে বের করা যেত না? সিবিআই এই ব্যাপারে হাত তুলে নিয়েছিল আর এসএসসি চেয়েছিল অনেকটা সময়। এদিকে এসএসসির সাইটে নাকি রোল নম্বর ডেট অফ বার্থ দিয়ে যার যার ওএমআর-এর স্ক্যান কপি তোলা যাচ্ছে এই মুহূর্তেও। কয়েকজন আরটিআই করে আগেও তা পেয়েছেন৷ এটা কী করে সম্ভব হচ্ছে, সব স্ক্যানড কপি নষ্ট হয়ে থাকলে? এসএসসির কাছে বস্তুত স্ক্যানড কপি নেই, আছে তার নির্যাস ডেটা। তার সঙ্গে কিছু গরমিল দেখা গেছে নাইসার কর্মচারীর থেকে উদ্ধারকৃত ওই স্ক্যানড কপির। কিন্তু তা সামান্যই। মাত্র ১৮৯৮ জন শিক্ষকের। তার জন্য সবার চাকরি যায় কী করে? কোনো উপায় কি ছিল না যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করার। প্যানেল ক্যান্সেল করার মধ্যে কি সদিচ্ছার অভাব ছিল না? পরিশেষে মহামান্য আদালত বলেছেন, তাঁর সামনে তিনটি উপায়। রিট পিটিশন গ্রহণ না করা, যোগ্য-অযোগ্য খুঁজে বের করা বা সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করা৷ তৃতীয় রাস্তাটি নিয়েছেন আদালত, এটা জেনেই যে অনেক মানুষ অকারণ বলি হচ্ছেন। কেন?
বলা হতে পারে, যত লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল, তাদের সবার সঙ্গেই অন্যায় করা হয়েছে। কারণ পাঁচ হাজার প্রার্থী দুর্নীতির মাধ্যমে এসে থাকলে, সে জায়গায় আরও পাঁচ হাজার যোগ্য প্রার্থীর চাকরি পাওয়ার কথা ছিল। তাই পুরো প্যানেলই বাতিল৷ অথচ, যে কাম্পানি স্ক্যান ও মূল্যায়ন করেছিল, তাদের কাছে লক্ষ লক্ষ স্ক্যানড কপিই থাকার কথা। সিবিআই পায়নি কেন? র্যাংক ওলোট-পালট হত, কিন্তু সেখান থেকে আরও পাঁচ হাজার বেছে নেওয়া কঠিন ছিল না।
এদিকে, রাজ্য সরকার যোগ্য প্রার্থীদের তাদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছেন প্রথম থেকেই। এখনও যখন এসএসসি সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে, তখন সে যাচ্ছে পুরো রায়কে চ্যালেঞ্জ করে। ‘অযোগ্যদের চাকরি যাক, কিন্তু যোগ্যদের চাকরি যেতে দেব না’, এই কথা তার স্পষ্ট ভাবে বলা উচিত ছিল। এমতাবস্থায় যোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করে, ব্যক্তিগত ভাবে সুপ্রিম কোর্টে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করা উচিত বলে মনে হয়। প্রাইমারি শিক্ষকরা এভাবেই স্টে অর্ডার এনেছেন, যদিও চাকরি থাকা-না থাকার বিষয়টি এখনও ঝুলছে। আবার, বিকাশরঞ্জন বাবু বলছেন, যেহেতু দুর্নীতিপরায়ণ সরকারকে জনগণ নির্বাচন করেছে (তাঁর দলের বদলে), তাই নাকি যোগ্যদেরও চাকরি যাবে! এ কি প্রতিহিংসামূলক কথাবার্তা নয়?
বিচারব্যবস্থায় ‘প্রিসিডেন্স’ বিষয়টির গুরুত্ব আছে। উক্ত সাম্প্রতিক রায়ের ক্ষেতে যে কয়টি প্রিসিডেন্স দেওয়া হয়েছে, সে কয়টিতে বড় জোর কয়েকশ জনের প্যানেল ক্যান্সেল হয়েছে! তা বলে প্রায় একুশ হাজার নিরপরাধ প্রার্থীকে বলি দেওয়া হল? অন্যদিকে, ভবিষ্যতে আরও যত এ ধরনের মামলা হবে, তাদের জন্য খারাপ ‘প্রিসিডেন্স’ তৈরি করল এই রায়৷