পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

বলিলাম, “মহাশয়, এক ভয়ানক মেষকাণ্ড ঘটিয়াছে।” “মেষকাণ্ড? কী কহ? ভারতীয়রা তো গোকুলেই তিষ্ঠে। তোমাদিগের বাঁকাচাঁদ সেই সেইবারে এক গো-মোকদ্দমায় আমাকে ফাঁসাইয়াছিল বলিয়া মনে পড়িতেছে, কিন্তু মেষ, … মেষ, না, স্মরণে আসিতেছে না! আর একটু বিস্তারে বলিতে হইবে।” “বাঙালির বিশেষ সৌভাগ্য গুণে বড়লাট ভবনে এক অতিশয় মহাশয়ের আগমন ঘটিয়াছে। বাঙালিদিগকে পদ্মপাঠে আপ্লুত করিয়া এক বিশেষ শ্মশ্রূধারী ভজনান্তে স্বর্ণবঙ্গ স্থাপনায় তিনি আপনাকে সম্পূর্ণ নিবেদন করিয়া রাখিয়াছেন। অথচ বঙ্গবাসী তাহা গ্রহণ করিতে সম্মত নহে, কেহ কেহ তাঁহার বাসভবনের সম্মুখের উন্মুক্ত প্রান্তরে কতিপয় মেষ লইয়া বিচরণ করিয়া গিয়াছে।” একটুখানি শ্বাসবায়ু আত্মসাত করিয়া আদি বচন সমাপ্ত করিতে প্রয়াস পাইলাম, “মহাজনকে উত্তমরূপে দর্শাইয়া। ইহাতেই সেই লাটসাহেব প্রচণ্ড কুপিত হইয়াছেন। অদ্যপি তাঁহাকে শান্ত করিতে হইবে। উপায় বলিয়া দিন মহাশয়।”

Read more


পশ্চিম বাংলায় আমরা তো প্রতিদিনই রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকারের দ্বৈরথ প্রত্যক্ষ করছি। পশ্চিম বাংলাতেও সম্মতির জন্য রাজ্যপালের কাছে ২২টা বিল ঝুলে আছে বলে অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সংঘাত আমাদের নজরে আসে। মোদীর পছন্দের রাজ্যপাল সুযোগমত বিজেপির ধ্যানধারণার প্রতি বিশ্বস্ত ব্যক্তিদেরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য রূপে নিয়োগ করে থাকেন। শুধু বাংলা নয়, অবিজেপি প্রায় প্রতিটি রাজ্যের সরকারের সঙ্গে সেই রাজ্যের রাজ্যপালের সংঘাত চলছে।

Read more


ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অক্ষ ছিল হিন্দু মুসলিম সম্পর্ক, যার আবার রাজনৈতিক বহিঃপ্রকাশ ছিল স্বাধীন ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার তুলনায় শক্তিশালী হবে নাকি রাজ্য (আঞ্চলিক) সরকার। হিন্দু মহাসভা, আরএসএস চিরকাল ছিল কেন্দ্রীভূত শাসনের পক্ষের শক্তি। তারা ছিল রাজনৈতিক সংরক্ষণের চূড়ান্ত বিরোধী। সেই জন্যেই স্বশাসিত রাজ্যের দাবি, রাজ্যপাল পদ বিলোপের দাবি তাঁরা কোনোদিন করেনি।

Read more