পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

সমাজমাধ্যমে বিকল্প পরিসর গড়ে তোলার কাজ শুরু করার সময় এসেছে

  • 22 December, 2022
  • 0 Comment(s)
  • 989 view(s)
  • লিখেছেন : শোভনলাল চক্রবর্তী
গণতন্ত্র ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পিত উপায়ে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু মতাদর্শিক প্রচার, জনগণের সমস্যা, জনগণকে সংগঠিত করা এবং সমস্যা সমাধানের বিচার বিশ্লেষণের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় ও প্রদর্শনবাদিতায় মগ্ন হয়ে পড়া প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মীদের কাজ হতে পারে না।

সামাজিক মাধ্যম এক বিশাল অন্তর্জালের অংশ হয়ে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। শুধু পুরনো সম্পর্কই জোড়া লাগছে না, নতুন সম্পর্কও গড়ে উঠছে। সীমাহীন এক বিনোদনের উৎস যেন আবিষ্কৃত হয়েছে। আনন্দে বিভোর মানুষ এক ধরনের সমাজবিচ্ছিন্নতার মধ্যে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে, যা সে নিজে টেরও পাচ্ছে না।অন্যদিকে, তথ্য জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে মানুষ অনলাইন ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে তুলছে, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে একত্রিত হচ্ছে। আবার একই সঙ্গে সামাজিক মাধ্যম মিথ্যে সংবাদের উৎস হিসেবে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করছে। তাই সামাজিক মাধ্যম শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়। তার থেকে অনেক বেশি কিছু।প্রযুক্তি ও সামাজিক সম্পর্কের সংমিশ্রণে এটি এমন এক ক্ষেত্র নির্মাণ করেছে যা মুনাফার স্বার্থে মানুষের ব্যক্তিগত-পারিবারিক-সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক সব পরিসরকে বাধাহীনভাবে স্পর্শ করছে। 

এই সামাজিক মাধ্যমকে বোঝার জন্য যথার্থ সামাজিক তত্ত্ব ও পদ্ধতি দরকার।মার্কসীয় রাজনৈতিক অর্থনীতি হলো সেই তত্ত্ব ও পদ্ধতি যা দিয়ে আমরা প্রাধান্যশীল সামাজিক মাধ্যমকে সামগ্রিকভাবে বুঝতে   পারি। মার্কসের তত্ত্ব থেকে এটা সহজেই ব্যাখ্যা করা সম্ভব সামাজিক মাধ্যম যেমন গুগল, ফেসবুক,মেসেঞ্জার, ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম প্রভৃতি পুঁজিবাদী আদর্শের ভিত্তিতে পুঁজিবাদী স্বার্থে সৃষ্টি হয়ে মুনাফামুখী ধারায় অগ্রসর হয়েছে। প্রত্যেকটি সামাজিক মাধ্যম পুঁজিবাদের নয়া উদারবাদী  প্রশাসনিকতার এক একটি যন্ত্র। সামাজিক মাধ্যম শুধু নয়া উদারবাদী অর্থনীতির স্বার্থই রক্ষা করছে না, একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুযোগ ও উপাদানও যুক্ত করছে, সেটা হয়ত কিছুটা না জেনেই করছে।রাজনৈতিক অর্থনীতির চাহিদায় প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়। আর সমাজের চাহিদা ও মিথষ্ক্রিয়ায় তা আকার লাভ করে। পুঁজিবাদীদের পারস্পরিক প্রতিযোগিতার কারণে তারা সর্বদা প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাতে চেষ্টা করে। পুঁজিবাদী সমাজে নতুন প্রযুক্তি একই সঙ্গে উৎপাদন শক্তি বাড়ায় এবং উদ্বৃত্ত মূল্যের হার বা শোষণের হার বাড়িয়ে মুনাফার হার বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।শোষণের হার বাড়াতে না পারলে মুনাফার হার ক্রমক্ষীয়মাণ হওয়া অনিবার্য হয়ে পড়ে। পুঁজিপতিরা যদি শোষণের হার বাড়াতে সক্ষম হয়, সেক্ষেত্রে তারা মুনাফার হার হ্রাস এড়াতে সক্ষম হতে পারে। কিন্তু মুনাফার হারকে বাড়ানোর জন্য তারা যত রকমের পথ বেছে নেয়, ততই পুঁজিবাদের অন্তর্নিহিত দ্বন্দ্ব-বিরোধগুলো প্রকট হয়ে দেখা দেয়। তাই স্পষ্টতই পুঁজিবাদ ক্রমবর্ধমান শোষণ  অথবা ক্রমক্ষীয়মান মুনাফার হারের যুগল চাপে আক্রান্ত। মার্কস এই অন্তঃস্থিত দ্বন্দ্বের মধ্যে পুঁজিবাদের অন্তিম পরিণতি দেখেছিলেন।ইন্টারনেট ও সামাজিক মাধ্যমকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিশাল আকারের পুঁজিবাদী কর্পোরেশন। এরাই নিয়ন্ত্রণ করছে বিশ্ব অর্থনীতি। সামাজিক মাধ্যমের অর্থনৈতিক ক্ষমতা ব্যক্তি মালিকানাধীন। কারণ সামাজিক মাধ্যমের সব তথ্য ও জ্ঞান সৃষ্টি হয় অসংখ্য ব্যবহারকারীর দ্বারা। তারাই মুনাফার উৎস। কিন্তু তার জন্য তারা কোনও পারিশ্রমিক পায় না। সামাজিকভাবে উৎপাদন হয়, কিন্তু ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জিত হয়। সামাজিকভাবে উৎপাদন হয় এবং ব্যক্তিগত ক্ষমতা ও মুনাফার দ্বন্দ্ব একই ভাবে তথ্যপুঁজিবাদেও বহমান থাকে। 

প্রথমত, সামাজিক মাধ্যমগুলো গড়ে উঠেছে ব্যবহারকারীর সৃষ্ট বিশাল তথ্য ভাণ্ডারের ওপর ভর করে। সামাজিক মাধ্যমের বিপুল তথ্য ভাণ্ডারের কিছুই গুগল বা ফেস বুকের নিজস্ব সৃষ্ট নয়। দ্বিতীয়ত, ব্যবহারকারীদের সৃষ্ট তথ্য ব্যবহারকারীদেরই বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ হওয়ার পরও এর জন্য তাদের কোনো পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। ব্যবহারকারীরা এখানে মজুরিবিহীন শ্রমিক। চিরায়ত পুঁজিবাদের শ্রম শোষণের তুলনায় এটা ভিন্ন ধরনের শ্রম শোষণ। সামাজিক মাধ্যমে বিনামূল্যে শ্রম দেয়ার জন্য যেন ব্যবহাকারীর কোনো কষ্ট নেই। এক ধরনের আনন্দের মধ্যেই শ্রম দিয়ে মানুষ শোষিত হচ্ছে। কিন্তু মুনাফা ভোগ করছে ব্যক্তি। ব্যবহারকারী এখানে একই সঙ্গে উৎপাদক ও ভোক্তা। তারাই তথ্য উৎপাদন করে, তারাই ভোগ করে। তারাই শোষিত হয়।তৃতীয়ত, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিপুল সংখ্যা দেখিয়েই সামাজিক মাধ্যম বিজ্ঞাপন দাতাদের আকৃষ্ট করে। ব্যবহারকারীদের ডাটাবেস টাকার বিনিময়ে বিজ্ঞাপন দাতাদের কাছে বিক্রি হয়। এভাবেই তারা দু'বার মুনাফা করে। ব্যবহারকারীরা অর্থের বিনিময়ে ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনে নেয়। তারাই বিপুল তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলে। আবার এই তথ্যভাণণ্ডারই গুগল বা ফেসবুকের মালিকের বিপুল মুনাফার উৎস হয়ে ওঠে। এভাবেই দুই স্তরে বিক্রি হয়ে ব্যবহারকারীরা পরিণত হয় ‘দর্শক/ শ্রোতা/পাঠক’ নামক পণ্যে। চতুর্থত, এসব সামাজিক মাধ্যমের মালিক ‘দর্শক/ শ্রোতা/ পাঠক নামক পণ্যকে’ তার ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে। ব্যবহারকারীর প্রতিটি কর্মকাণ্ডকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়।ব্যবহারকারীর ভাবনা-চিন্তা-মতাদর্শ-পছন্দ-অপছন্দ -প্রবণতা-গোপন বাসনা ইত্যাদি সবকিছুই থাকে নজরদারির মধ্যে। ব্যবহারকারীর কোনো কিছু গোপন রাখার কোনো সুযোগ নেই। প্রকৃতপক্ষে গুগল, ফেসবুকের অর্থনীতি টিকে থাকে এই নজরদারির মধ্যে। ফেসবুক এমনকি প্রাইভেট মেসেঞ্জারের আলাপচারিতাও স্ক্যান করে রাখে।মানুষ ব্যক্তিগতভাবে যে তথ্য অনুসন্ধান করে তা গুগলের তথ্যভাণ্ডারে জমা থাকে, সেই তথ্য তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে।   নজরদারি এমনভাবে করা হয়,যেখানে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগতভাবে সৃষ্ট তথ্য থেকে বেরিয়ে আসা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ব্যবহারকারীর যেসব বিষয়ে আগ্রহ ঠিক তার ওপর নির্ভর করে  একই সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক বার্তা, কোনও বিশেষ ধর্মের মানুষের প্রতি ঘৃনা, বিজ্ঞাপনগুলো ঠিক জায়গা মতো পৌঁছে দেয়। এভাবেই ব্যবহারকারী দ্বিমুখী পণ্যায়নের শিকার হচ্ছে।ফেসবুক, গুগলের জ্ঞান-যোগাযোগ ও সহযোগিতামূলক কাজ সবই তাই পুঁজিবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত। 

গুগল একটি মুনাফামুখী, বিজ্ঞাপণকেন্দ্রিক যন্ত্র যা ব্যবহারকারী ও তার তথ্যকে পণ্যে রূপান্তরিত করে। এভাবে ইন্টারনেট জগতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক নজরদারি। ব্যাহত হচ্ছে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা। গুগল-ফেসবুক-ইউটিউব-টুইটার শুধু ব্যক্তি মালিকানাধীন পুঁজিবাদী সম্পত্তিই নয়, এগুলোর ক্ষমতার অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক -আদর্শগত রূপ আছে। কর্পোরেশনগুলো ও তাদের ইন্টারনেট চরিত্রগতভাবে পুঁজিবাদী। তাদের যুক্তি ও সাংস্কৃতিক বোধই ইন্টারনেট জগতে প্রাধান্যশীল। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীর মনোজগতে এক মিথ্যে, ছদ্ম ক্ষমতার অনুভতি নিয়ে আসে। ব্যবহারকারী মনে করে সে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারছে। তার অনেক ক্ষমতা। ব্যবহারকারী সারাক্ষণ সীমাহীন আনন্দে মশগুল থাকে। সে ভুলে যায় তার সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত, নজরদারির মধ্যে আছে এবং সে মুনাফার উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ইতিবাচক বা নেতিবাচক পরিবর্তনে কিছুমাত্রায় ভুমিকা রাখতে সক্ষম হয়ে এক ধরণের ক্ষমতায়নের অনুভতি তার মধ্যে কাজ করে। এটা ঠিক, সামাজিক মাধ্যমে মানুষ কিছু মাত্রায় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে একত্রিত হচ্ছে। আবার মিথ্যে সংবাদের উৎস হয়ে সংঘাত সৃষ্টি করছে। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমের প্রকৃত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রচার- প্রোপাগান্ডার ক্ষমতা থেকে যাচ্ছে পুঁজিবাদী কর্পোরেশনগুলোর হাতে, যারা দেশের শাসক রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষক। তাই সামাজিক মাধ্যমে জনগণের পাল্টা ক্ষমতায়নের বিষয়টিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে মূল্যায়ন করা ঠিক নয়। ব্যবহারকারী প্রযুক্তিকে ইতিবাচক বা নেতিবাচকভাবে কিছু মাত্রায় কাজে লাগাতে পারে। কিন্তু প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে মৌলিক সামাজিক পরিবর্তন সম্ভব নয়। প্রযুক্তি নিজে নিজেই একটা ‘সামাজিক পরিবর্তন’ আনে না। এক বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে মানুষ সংগঠিত হয়ে সামাজিক পরিবর্তন আনে। ইতিবাচক বা নেতিবাচকভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার কোন কিছু সংগঠিত করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে না। এটা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।মৌলিক পরিবর্তনে প্রযুক্তিকে একটি সহায়ক সম্ভাবনা হিসেবে দেখা যেতে পারে।

তাই গণতন্ত্র ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পিত উপায়ে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু মতাদর্শিক প্রচার, জনগণের সমস্যা, জনগণকে সংগঠিত করা এবং সমস্যা সমাধানের বিচার বিশ্লেষণের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় ও প্রদর্শনবাদিতায় মগ্ন হয়ে পড়া প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মীদের কাজ হতে পারে না। সামাজিক মাধ্যমগুলো পুঁজিবাদী আদর্শের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। পুঁজিবাদী স্বার্থ দেখাই তার কাজ। মুনাফাই তার মূল লক্ষ্য। অবশ্য পুঁজিবাদের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ভিত্তি রক্ষা ও প্রসারিত করার এজেন্ডা আজ প্রকাশ্যে এসে গেছে।  সামাজিক মাধ্যমগুলো তাই গণতান্ত্রিক চেতনা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় কাজে আসবে না। যে মতাদর্শের ভিত্তিতে বিদ্যমান সামাজিক মাধ্যম গড়ে উঠে শ্রম শোষণ করছে, নজরদারির মাধ্যমে ব্যবসা করছে ও গোপনীয়তার লংঘন করছে তার বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে।  সামাজিক মাধ্যমকে ইতিবাচকভাবে কিছু মাত্রায় কাজে লাগাবার পরিকল্পিত চেষ্টা থাকতে হবে। সামাজিক সাম্য ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিদ্যমান প্রাধান্যশীল সামাজিক মাধ্যমের বিপরীতে বিকল্প ব্যাবস্থা গড়ে তুলতে হবে।পুঁজিবাদী নেটওয়ার্কই শেষ কথা নয়, সেটা দেরিতে হলেও অনেকেই উপলব্ধি করেছেন। একটা বিকল্প ইন্টারনেট গড়ে তোলার জন্য কাজ ও সংগ্রাম জোরদার হচ্ছে যার নকশার ধরন ভিন্ন হবে। যেখানে নজরদারি থাকবে না। ব্যবহারির তথ্য বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে বিক্রি হবে না। ভারতের বুকে গোদি মিডিয়াতে বিরক্ত মানুষ বিকল্প বেশ কিছু মানুষের অনুদান ভিত্তিক মিডিয়াতে চোখ রাখছেন, উদ্দেশ্য একটাই, সঠিক খবর। এই নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টও বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করেছে দেশে গণতান্ত্রিক চেতনা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় সত্যিকারের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণমূলক তথ্য সমাজ গড়ে তোলার জন্য গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও সমাজবাদীদের একযোগে কাজ করতে হবে। কাজেই শুধু উদাসীন হয়ে বসে থাকলে হবে না, এই বিজ্ঞাপনবিহীন চ্যানেলগুলির আবেদনে সাড়া দিতে হবে। পশ্চিমি মিডিয়া বহুদিন আগেই এই পথে হেঁটেছে, এখন ভারত সহ এই উপমহাদেশও সেই পথই বেছে নিয়েছে।

 

 

0 Comments

Post Comment