আমি বললাম, কেন হবে না! নিশ্চয় হবে। আজকেই হবে। কখন কোথায় করতে হবে শুধু সেটা আমায় বল তোরা।
এক বন্ধু, যার নাম জনি। সে বলল, করলে আজ সন্ধ্যায় করতে হবে। কাল তো আবার তুই চলে যাবি বলছিস।
আর এক বন্ধু রণি বলল, কোথায় আবার! আমাদের সেই পুরানো ঠেকে।
আমি বললাম, পুরোনো ঠেক বলতে তো বাটলার হোটেল! কিন্তু শুনেছি সেটা নাকি এখন আর নেই। জমি-মাফিয়ারা সেটার জবর দখল নিয়ে প্রোমোটারদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। এখন সেখানে গড়ে উঠেছে মস্ত এক বহুতল।
জনি বলল, ঠিকই শুনেছিস! তবে বাটলার হোটেলটা এখনও আছে। সেই দেশি মুরগির মাংস, রুটি-তরকা, সেঁকা পাঁপড়! আর ওল্ড মঙ্ক রাম। সব একই রকম। শুধু জায়গাটা বদলেছে একটুখানি।
আমি জিজ্ঞেস করি, কোথায় সেটা?
রণি বলল, বললেও তুই ঠিক চিনতে পারবি না। বরং এক কাজ করিস, ঠিক সন্ধ্যা সাতটার সময় ২ নম্বর রেলগেটের কাছে এসে দাঁড়াবি। ওই সময় আমরাও চলে আসব। তারপর আমরা একসঙ্গে বাটলার হোটেলে যাব।
দুই
আমি সোনু। সাতটা বাজার একটু আগেই দুই বন্ধুর কথামতো আমি ২ নম্বর রেলগেটের কাছে এসে দাঁড়িয়েছি। আমার শৈশবের দুই বন্ধুর অপেক্ষা করছি। আশপাশ দেখছি। সব কেমন অপরিচিত ঠেকছে। আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি তার পাশেই একটা বহুতল নয়, পাশাপাশি আরও অনেকগুলি বহুতল আকাশ ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার মাঝে বাটলার হোটেলটা ঠিক কোথায় ছিল, বুঝতে পারছি না। পাশেই আমাদের মফঃস্বলের সেই অন্তিম রেলস্টেশনটা। রাজধানীর সঙ্গে যার যোগাযোগ। আমি দেখছি সেখানে একটার পর একটা ট্রেন ঢুকছে আবার একটার পর একটা ট্রেন বেরিয়েও যাচ্ছে। সব ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের ট্রেন। আগে এসব ছিল না। শৈশবে দেখেছিলাম কয়লার ইঞ্জিন। কৈশরে ডিজেল। সেইসব দিনে ট্রেনের সংখ্যাও ছিল খুব কম। তার ওপর সময়মতো ছাড়ত না, আসতও না।
তখন এই জায়গাটাই বা কী ছিল? একটা ইটের সুড়কি বিছানো রাস্তা। রাস্তার দু’পাশে জঙ্গল ঘেরা বস্তি। তারপর রেলগেট পেরিয়ে নলডহরি, বলরামপুরের মতো অজ গাঁ। ওই দুই গ্রামে আমার আরও কত বন্ধু ছিল! জনি-রণি ছাড়া আর কে কোথায় কেমন আছে, জানি না। তবে রেলগেটের এপারটা দেখছি। পাকা রাস্তা। রাস্তার দু-পাশে বিশাল বিশাল সব বহুতল। পরপর সাজানো। তার মধ্যে আবার অনুষ্ঠানবাড়ি, মল। ঝকঝকে রাস্তা। ল্যাম্পপোস্টের উজ্জল আলোয় সবকিছু তকতক করছে। রাস্তায় লোকজনের বেশ ভিড় আছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মোটরবাইক, টোটো, আরও কত রকমের গাড়ি ছুটছে! দেশ যে উন্নতি করছে তার সবকিছুই পরিলক্ষিত হচ্ছে আমার চোখে। সত্যি বলতে আমি যেখানে কাজ করি, সেই বেঙ্গালুরুর সঙ্গে তেমন কোনও তফাৎ খুঁজে পাচ্ছি না আমার প্রিয় এই মফস্বলের। মনে হচ্ছে আমার সেদিনের সেই জন্মস্থানটা উন্নতির জোয়ারে বুঝি কোথাও হারিয়ে গেছে।
আচমকা দেখি, হঠাৎ কয়েকজন আমাকে ঘিরে দাঁড়াল। কেউ অল্পবয়সী। কেউ আমার বয়সী। কেউ বা আবার আমার থেকে একটু বড়ই হবে। তাদের আমি কিছু জিজ্ঞেস করার আগে তারাই আমাকে জিজ্ঞেস করল, এই বেটা- এখানে দাঁড়িয়ে কী করছিস?
আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আর একজন জিজ্ঞেস করল, তোর বাড়ি কোথায়?
সঙ্গে সঙ্গে তৃতীয় আর একজন বলল, শালা নিশ্চয় মোটরসাইকেল চোর! না হলে এতক্ষণ ধরে এখানে এই ফ্ল্যাটবাড়ির গ্যারেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে কেন?
আমি গ্যারেজের সামনে দাঁড়িয়ে আছি! কোথায় গ্যারেজ? আমি তো দাঁড়িয়ে আছি ২ নম্বর রেলগেটের কাছে। এখানেই কোথায় যেন ছিল বাটলার হোটেল, আমি সেই জায়গাটাকেই খুঁজছি। একসময় যেটা আমার খুব প্রিয় জায়গা ছিল। শুধু তড়কা-রুটি খাওয়ার লোভে রাত এগারোটাতেও এসেছি এখানে কতবার! কই, তখন তো কেউ এভাবে ঘিরে ধরে কিছু জিজ্ঞেস করেনি! চোর বলেনি! তাহলে কি?
ভাবতেই আছি কার হাতের লাঠির ঘা এসে পড়ল আমার মাথায়। অতর্কিত আক্রমণে আমি কুঁকড়ে গেলাম। আর ওই অবস্থায় ওরা আমাকে ধরে ফেলল। তারপর টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল একটা ল্যাম্পপোস্টের গোড়ায়। কোথায় দড়ি পেল কে জানে, ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গে ওই দড়ি দিয়ে আমাকে এমন ভাবে বেঁধে ফেলল, মনে হল, আমি যেন ওদের আলো হই।
ততক্ষণে ভিড় জমে গেছে। ভিড় জমারই কথা। এমন কত রকমের ভিড়ে আমি নিজেও দাঁড়িয়েছি কতবার। সেটা সাপ খেলা দেখার ভিড় হোক কিংবা ভেলকি দেখার ভিড়। তবে আজকের ভিড় আমাকে কেন্দ্র করেই। যাইহোক, ভিড় থেকে কেউ একজন জিজ্ঞেস করল, বল- তোর নাম কী?
আমার জন্মস্থানে দাঁড়িয়ে আমাকে আমার নাম বলতে হবে। আমার পরিচয় দিতে হবে। উপায় কী, আমি যে ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গে বাঁধা। যদি নিজের নাম না বলি, পরিচয় না দিই, আমার দেশের উন্নয়ন থমকে যাবে। আর দেশের উন্নয়ন থমকে যাওয়া মানেই আমি দেশদ্রোহী, রাষ্ট্রদ্রোহী। এই অবস্থা এখন দেশের চারদিকে।
তাহলে আমি একা দেশদ্রোহী-রাষ্ট্রদ্রোহী হই কী করে? শুধু আমার জন্যই বা কেন আমার দেশের উন্নয়ন থমকে যাবে? অগত্যা বলি, আমার নাম সোনু।
পুরো নাম বল।
বললাম, সোনু ওরফে তবরেজ- তবরেজ আনসারি।
আমার নাম শুনে ভিড় যেন খলবল করে উঠল। কে যেন বলে উঠল, আরে শালা! ঠিক অনুমান করেছি। এ-শালা মোটরসাইকেল চোর ছাড়া অন্য কেউ হতেই পারে না। মার শালাকে।
কে বলল কে জানে, ভিড় যেন এরকম একটা হুকুমের অপেক্ষাতেই ছিল, হুকুম শোনা মাত্র আমার ওপর হামলে পড়ল। যে যেমন ভাবে পারল, আমাকে মারতে শুরু করল।
করল করল! নির্বিচারে এমন তো কত কিছুই আমরা মেরে থাকি। আমি নিজেই শৈশবে একবার একটা ফড়িং ধরে মেরেছিলাম। কৈশরে আর একবার একটা গিরগিটি। ভিড়ের মার খেতে খেতে আমার সেইসব দিনের কথা মনে পড়তে লাগল। মাছ ধরব বলে ছিপ ফেলে বসেছিলাম আমাদের কলকলির পাড়ে। কলকলি সরকারি দিঘি। টইটুম্বর জল। সেখানে মাছ কোথায় জানা ছিল না, তবে একটা ফড়িং ফাতনার ওপর বারবার এসে বসছিল। আর ওতেই আমার ছিপের ফাতনাটা নড়ে নড়ে উঠছিল। সত্যি সত্যি মাছ বড়শির টোপ গিলছিল কিনা আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। আমার বিরক্ত লাগছিল। খুব রাগ হচ্ছিল। তবু দয়াসিক্ত হৃদয়ে অনেকক্ষণ সহ্য করার পর যখন মনে হল, দিন গড়িয়ে যাচ্ছে, এরপর যদি আমি আর ফড়িং-টার ফড়ফড়ানি সহ্য করি, আমার মাছ ধরতে আসার ইচ্ছেটাই এই কলকলির পাড়ে মারা যাবে। অগত্যা আমি মাছ ধরা ভুলে সেই ফড়িংটাকেই ধরেছিলাম। এবং প্রতিশোধ নিতে প্রথমেই একটা একটা করে তার পাখনাগুলোকে ছিঁড়ে ফেলেছিলাম। তারপর তার ছটফটানি দেখেছিলাম অনেকক্ষণ, যতক্ষণ না তিলে তিলে তার মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছিল।
এখন আমিও অমন ছটফটাচ্ছি। ভিড় আমাকে পেটাচ্ছে। সেই সঙ্গে আমাকে বলতে বলছে, বল- জয় শ্রীরাম!
আমি সব আঘাত সহ্য করে বলছি, জয় শ্রীরাম।
ভিড় বলতে বলছে, বল- জয় হনুমান!
আমি সব যন্ত্রণা হজম করে বলছি, জয়-হনুমান।
না, আমার কথা ওরা শুনতে পাচ্ছে না। ওরা আমাকেই পিটিয়েই চলেছে। কেউ জুতো হাতে। কেউ লাঠি হাতে। কেউ রড হাতে। উপরন্তু চড়-লাথি-ঘুষি তো আছেই।
ভিড় কিন্তু নির্বিকার। কেউ দেখছে। কেউ পেটাচ্ছে। কেউ আবার মোবাইলে ভিডিও তুলতে ব্যস্ত। কেউ আমাকে বাঁচাতে আসছে না। আর আমি ভিড়ের পিটানি খেতে খেতে লোহু লাহান হচ্ছি। আমার মাথা থেকে, আমার নাক থেকে, আমার মুখ থেকে রক্ত চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে আমার সারা শরীরে। আমার শরীর লালে লাল হয়ে উঠছে। অথচ আমি প্রতিরোধ করতে পারছি না। ভিড়ের ইচ্ছেতে আমি ‘জয় শ্রীরাম’ বলছি, ‘জয় হনুমান’ বলছি। নিজের অজান্তেই আমি লাল থেকে অতি লালে রূপান্তরিত হচ্ছি। ভিড় কিন্তু আমাকে ছাড়ছে না।
তিন
আমি তবরেজ আনসারি সোনু। আমি মোটরসাইকেল চোর নই। আমি বাড়ি-ঘর-পরিবার ছেড়ে বেঙ্গালুরুতে থাকি। মোটরসাইকেল কারখানায় অস্থায়ী শ্রমিকের কাজ করি। বছরে দুবার বাড়ি আসি। ঈদ আর বকরীদে। এই ঈদে যেমন এসেছিলাম। আগামীকাল আবার আমার চলে যাওয়ার কথা। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় তাই আমার স্ত্রী বলছিল, ‘কাইল তো চলেই যাবেন, আজকার দিনটা বাড়িতে থাকলেই পারতেন।’ আমি তাকে কিছু বলিনি। আসলে বলতে পারিনি যে, কাল চলে যাব বলেই তো আজ আমাকে বেরোতে হবে। আমার এ জীবনটা তো আমার একার নয়। আমার এ জীবনে যেমন তোমার অধিকার আছে, তেমনি অধিকার আছে আমার আত্মীয়স্বজন- পাড়াপড়শি- বন্ধুবান্ধবদের।
তাহলে আমাকে যারা পেটাচ্ছে, এরা কারা? আমার আত্মীয়স্বজন! আমার পাড়াপড়শি! আমার বন্ধুবান্ধব! যদি তাই হয়, অধিকার মানে কি তাহলে পেটানো? সেই অধিকার থেকেই কি এরা আমাকে এভাবে পেটাচ্ছে?
মনের প্রশ্ন মনেই থেকে যায়, কোনও উত্তর খুঁজে পাই না। তখন আবার জানতে ইচ্ছে করে, আচ্ছা মানুষ পিটিয়ে কী হয়? মানুষ মানুষকে পেটায় কেন? আমি তো আমার জীবনে কাউকে কখনও পেটাইনি। কাউকে মারিনি। শুধু একবার একটা ফড়িং মেরে ছিলাম। আমার মাছ ধরতে অসুবিধা সৃষ্টি করেছিল বলে। আর একবার একটা গিরগিটি। শুনেছিলাম, গিরগিটি নাকি ইসলামের শত্রু! কোনও এক ধর্মীয় জালসায় কোনও আলেমের বক্তব্য রাখছিলেন, "গিরগিটি মারলে পরকালে সওয়াব পাওয়া যায়। আল্লাহর নবী আমাদের অবহিত করেছেন যে, হজরত ইব্রাহিমকে যখন অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করা হলো তখন পৃথিবীর বুকে এমন কোন প্রাণী ছিল না, যারা আগুন নিভিয়ে হজরত ইব্রাহিমকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি, শুধুমাত্র গিরগিটি সেই কাজ থেকে বিরত ছিল। শুধু বিরতই ছিল না, বরং সে ফুঁ মেরে মেরে আগুনকে আরও উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। যাতে আগুনে পুড়ে হজরত ইব্রাহিমের মৃত্যু হয়। তাই রাসুলুল্লাহ এটিকে দেখামাত্র হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ আরও বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রথম আঘাতে একটি গিরগিটি হত্যা করবে, তার জন্য একরকম সওয়াব আছে। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় আঘাতে এটি হত্যা করবে, তার জন্য আরেক রকম সাওয়াব আছে- যা প্রথম আঘাতে মারার তুলনায় কম। আর যে ব্যক্তি তৃতীয় আঘাতে হত্যা করবে, তার জন্য আছে আর এক রকমের সওয়াব- যা দ্বিতীয় আঘাতে হত্যার চেয়ে কম।"
গণপিটুনি খেতে খেতে আমার মনে পড়ছে সেই দিনের কথা। ওই আলেমের বক্তব্য শোনার পর বন্ধুদের নিয়ে পরকালে সওয়াব কুড়োব বলে আমি হোলার বাগানে গিরগিটি খোঁজা শুরু করেছিলাম। কিন্তু অদ্ভূত ব্যাপার আমরা কেউ গিরগিটির টিকি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তা দেখে আমার নেষেরচাচা বলেছিল, 'গিরগিটি মারব বুললেই মারতে পারবা তার কুনু মানে নাই। খোদার সওয়াব সবার কপালে জুটে না। তাছাড়া গিরগিটি হইল বহুরূপী। ঘনঘন রং বদলে মানুষের নজর এড়াতে পারে।' নেষেরচাচার কাছে এমন নিরাশার কথা শোনার পর আমার বন্ধুরা গিরগিটি-মারা সওয়াবের আশা ছেড়ে দিলেও আমি আশা ছাড়ি নি। আমি একা একা হোলার বাগানের বদলে লক্ষীডাঙার মাঠে গিরগিটি খোঁজা শুরু করেছিলাম। নাম লক্ষীডাঙার মাঠ হলেও আসলে ওটা ছিল একটা লক্ষী ছাড়া মাঠ। গুটিন-কাঁকরে ভর্তি। কোনও ফসল ফলত না। কাঁটাঝোপ আর বাবলা গাছে ভর্তি থাকত। নেষেরচাচা বলেছিল, 'গিরগিটি পেলে ওই ডাঙাতেই পাবা।' নেষেরচাচার কথা বিফলে যায়নি, তিন দিনের মাথায় আমি গিরগিটির দেখা পেয়েছিলাম। গিরগিটিটা একটা তিন ফাংড়ি বাবলা গাছের মগ ডালে কল্লা উঁচিয়ে কিছু দেখছিল কিংবা ওত পেতে
অপেক্ষা করছিল শিকার ধরার জন্য। আমি এক মুহূর্ত দেরি করিনি, আমার হাতে ধরা পাচন-লাঠিটা ছুঁড়ে মেরেছিলাম। আশ্চর্য ব্যাপার আমার লক্ষভ্রষ্ট হয়নি, পাচন-লাঠিটা ঠিক গিয়ে আঘাত করেছিল গিরগিটিটার ওই উঁচানো কল্লায়। সঙ্গে সঙ্গে কল্লাটা একদিকে ছিটকে পড়েছিল। আর ধড়টা অন্যদিকে।
যদিও এত পিটানি খেয়েও আমার কল্লা-ধড় এখনও একসঙ্গেই আছে। কিন্তু সেটা কতক্ষণ? যেভাবে চারপাশে ‘জয় শ্রীরাম’ – ‘জয় হনুমান’ ধ্বনি উঠছে, শুধু সময়ের অপেক্ষা। তার মধ্যেই আমার মনে কত প্রশ্ন! তা নিয়ে আমি কত কী ভাবছি। ভাবতে ভাবতে শৈশবের ওই ফড়িং, কৈশরের সেই গিরগিটি আর আমি কী অদ্ভুত ভাবে এক আত্মায় বিলীন হয়ে যাচ্ছি, টের পাচ্ছি না। ভিড় কি টের পাচ্ছে?
সৌজন্য : ‘ভাষানগর’-জানুয়ারি ২০২০