পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

মানচিত্র

  • 10 December, 2023
  • 0 Comment(s)
  • 960 view(s)
  • লিখেছেন : চম্পা রায়
খস খস খস। ধান বেরিয়ে এলো। মাটিমেশা ধান। মাপের এককে হিসেব করলে এক কেজিতে একশ গ্রাম ধান আর বাকিটা মাটি। কাঠির মত হাতটা ভেতরে যাচ্ছে। খড়খড়ে আঙুল গুলো মাটি খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বের করে আনছে মাটি মেশা ধান। আঙুল গুলো যেন পণ করেছে একটি ধানও পড়ে থাকতে দেবে না!

ধরিত্রীরও যেন  ধানের কণা রাখার অধিকার নেই। গর্ত থেকে সব ধান বের করে চালনে চেলে সরু মাটি ফেলে দেয়। ধান আর ছোট ছোট মাটির দলা, যেগুলো চালনে চালা যায়না,ভরে নেয় প্লাস্টিকের বস্তায়। অর্ধেক বস্তা হলে বাড়িতে রেখে আসে। বেশি ভরে গেলে বইতে পারবে না। বাড়িতে কুলো করে ধান থেকে মাটি আলাদা করবে। এরপরও যে কটা ধানে মাটি লেগে থাকে, ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নেয়।

খস খস খচ খচ হাত চলছে, আঙুল চলছে। একটি গর্তের সব ধান কুড়ানো হলে পরের গর্ত। একসময় মাঠের সব গর্তেই সন্ধান শেষ হয়ে যায় কুঁজোবুড়ির। কুঁজো হয়ে হাঁটে বলে গ্রামের সবাই কুঁজোবুড়ি বলে ডাকে। গ্রামের ছেলেরা বলে ছোট থেকে এরকম বয়স্ক আর কুঁজো দেখছে। তাদের বাবারাও বলে ছোটবেলা থেকেই কুঁজো বুড়িকে এমন দেখে আসছে। কুঁজো বুড়ির বয়স কত নিজেই জানে না। কবে বিয়ে হয়েছে তাও ঠিক করে বলতে পারে না। চার মেয়ে এক ছেলে কুঁজো বুড়ির। মেয়েদের সবারই বিয়ে হয়েছে। হিন্দুস্থানীদের সাথে বিয়ে দিয়েছে। উত্তর প্রদেশ, বিহার এরকম হিন্দি বলয় থেকে  বিনা পণে বিয়ে করতে আসে অনেকে। এক টাকাও খরচ করতে না পারা বাবা-মায়েরা মেয়েদের সম্প্রদান করে দেয় এদের হাতে। সে সময় হয়তো তাদের বুক কাঁপে । বিয়ের পর মেয়েরা সারাজীবনে হয়তো একবার বা দু'বার আসে বাপের ঘরে। কুঁজো বুড়ির দুই মেয়ে বিয়ের পর একবার করে এসেছে। বাকি দুজন আসেনি। তারা বেঁচে আছে নাকি ভাবে কুঁজো বুড়ি।

 

ধান কাটা বাঁধার সময় কিছু ধান, ধানের শিষ পড়ে যায়। সেই সামান্য ধান চাষীরা কুড়োয় না। কেটে-বেঁধে মাঠে পালুইয়ের মতো জড়ো করে রাখার পরে যাদের জমি নেই তাদের বাড়ির বয়স্ক, বাচ্চারা কুড়িয়ে নেয়। সাথে সাথে কুড়িয়ে না নিলে পাখির ঝাঁক খেয়ে নেবে। অন্যরা পড়ে থাকা ধান কুড়োলেও ইঁদুরের গর্তে হাত দেয় না তেমন। সাপ থাকতে পারে!

 

মুচ মুচ শব্দ শুনে পেছন ফিরে ,"খাইস না রে বাপ, প্যাট খারাপ করব!" বলে মুরালির দড়ি টেনে সরিয়ে দিল কুঁজোবুড়ি। আলের ধারে একটা আগাছার সাথে বেঁধে রেখেছিল মুরালিকে। অনেকক্ষণ ধরে টানাটানি করে আগাছাটি সমেত উপড়ে দৌড়ে এসেছে । পাঁচ বছর হয়েছে মুরালির বয়স। অনেক খদ্দের এসেছে কিন্তু কিছুতেই বিক্রি করতে পারেনি। আপন বলতে মুরালিই আছে তার। ছেলে পঙ্কু বাইরে রং মিস্ত্রির কাজ করে। বৌ বাচ্চা নিয়ে গেছে সেখানে। থাকার মধ্যে দশ কাঠা মতো জমি ছিল, সেটাও বিক্রি করে কাজের জায়গায় কাঠা দু'য়েক জমি কিনেছে। এখানে থাকলে অন্যের জমিতে মুনিষ খাটতে হতো। পঙ্কু্র সে সব ভালো লাগে না। শহরের দিকে মাথা গোঁজার জায়গা থাকলে স্বামী-স্ত্রী দু'জনে কাজ করে পেটের ভাত জোগাড় করতে পারবে। মাকেও নিয়ে যেতে চেয়েছিল অনেক বার। কুঁজো বুড়ি যায়নি কিছুতেই।

"সেহানে কি ধানের গন্ধ আছেরে বাপ?"

পঙ্কু বুঝিয়েছে,"ভাতের গন্ধ আছে মা।"

কিছু বলেনি কুঁজো বুড়ি। বয়সের ভারে এখন আর আগের মতো খাটতেও পারে না। পাঁচ ছেলে মেয়ে নিয়ে একা ভিটেমাটি ছেড়ে এসেছে। ছেলে মেয়েরা অনেক ছোট। পঙ্কুর তখন ছ'-সাত বছর হবে। লোকের জায়গায় থেকে কামিন খেটে মুনিষ দিয়ে এই দশকাঠা জমি কিনেছিল। বারো-চোদ্দ বছর লেগে গেছিল এই দশ কাঠা কিনতে। মায়ের সাথে পঙ্কুও কাজ করত। মা-ছেলে-মেয়েরা সবাই মিলে কিনেছিল এই জমি। নদীর ধারে। বন্যা হয় বছর বছর। জায়গার দাম অনেকটা কম। তবুও নিজের ভিটে নিজের জমিন। মেয়েরা কেউই এখন আর কাছে থাকেনা।

 গ্রামের অনেক মেয়েরই হিন্দুস্তানিদের সাথে বিয়ে হতো। গ্রামের লোকেদের পরামর্শে নিজের মেয়েদেরও বিয়ে দেয়। "হিন্দুস্তানি হইলেও নিজের ঘর সংসারতো পাইবো" বলেছিল কুঁজো বুড়িকে। ঘর সংসার পেয়েছে নাকি জানেনা কুঁজোবুড়ি। মেয়েদের সে হারিয়েছে এটা জেনে গেছে।

 

বাড়ির জায়গা বিক্রি হল। সেদিন নিজের হাতে লাগানো কাঁঠাল গাছটায় হাত রেখে দাঁড়িয়েছিল চুপচাপ। পায়ের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে মাটি খুঁড়ছিল অনেকক্ষণ। নিঃশ্বাসের গরম শব্দ বইছিল কেবল । ধানের গন্ধ ভালো না ভাতের গন্ধ  ভালো এই নিয়ে ভাবছিল বোধহয়।

পঙ্কুও ভেবেছিল থাকার জায়গা না থাকলে মা নিশ্চয়ই সাথে যাবে। যায়নি কুঁজোবুড়ি।

 

ডিভিসির বাঁধের পাড়ে ছোট্ট একটা জোড়াতালি দেওয়া ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। কাশফুল গাছ দিয়ে ছাওয়া ঘর। মাটির মেঝেতে বস্তা পেতে বিছানা করে ঘুমায়। মুরালি থাকে তার পায়ের তলায় জড়োসড়ো হয়ে। গ্রামের লোকজন পাঁঠার গন্ধে কুঁজো বুড়ির ঘরের দিকে যেতে চায় না। এই ছোট ঘরে ছাগল পোষার জায়গা নেই। বাড়ি ছেড়ে আসার সময় বাকি সব ছাগল বিক্রি করে দিয়েছে। মুরালিতো শুধু ছাগল নয়। সে বার পঙ্কুর ভয়ানক জ্বর হয়েছিল। টাইফয়েড। কিছুতেই সারেনা। ডাক্তার দেখানোর টাকা ছিল না হাতে। মুরালির মাকে বিক্রি করে কোনো রকমে চালিয়েছিল। দুধের বাচ্চা মুরালিকে রেখে দিয়েছিল। পাঁঠা বাচ্চা খাসি করলে বেশি দাম পাওয়া যাবে। বাচ্চা ছাগলটা মায়ের জন্য সারাদিন চেঁচাতো। ওর কান্নায় কুঁজো বুড়ির বুক কেঁপে উঠেছে। রাতে মুরালিকে সাথে নিয়ে ঘুমোতো। ছোট বাচ্চা মাকে ছাড়া ভয় পাবে। চোখের সামনেই শিশু মুরালিও বার্ধক্যে পৌঁছে গেছে!

 

পেছনে রাখা বস্তায় মুখ ঢুকিয়ে ধান খাচ্ছে মুরালি। কুঁজো বুড়ি কয়েকবার দড়ি ধরে টানলো। মুখ বের করে আবার ঢুকিয়ে দেয়। ধান,চাল খেতে ভালোবাসে মুরালি। ধান চাল খেলেই পেট খারাপ হয়ে যায়। একদম দুর্বল হয়ে পড়ে। "তুই বুঝিসনা ক্যান। তর প্যাট করব।" বাড়ি গেলে ফ্যানভাত খাবি।"নিজের সঙ্গে মুরালিকেও ফ্যানের সাথে মিশিয়ে ক'টি করে ভাত দেয়। ভাত তেমন খেতে চায় না। সুযোগ পেলেই ধান খাবে। প্রায় সারা বছরই ঘরে ধান রাখে কুঁজো বুড়ি। প্রয়োজন মত সেদ্ধ করে চাল করে নেয়। এক সেদ্ধর পর একদিন জলে ভিজিয়ে রাখে। ভেজা জল থেকে তুলে আবার আরেক সেদ্ধ। তারপর রোদে মেলে পা দিয়ে উল্টে পাল্টে ধান নেড়ে শুকানো। প্রতিটি ক্ষেপে ধানের গন্ধের পরিবর্তন। বুক ভরে ওঠে কুঁজো বুড়ির। এখন বড় জায়গা নেই।  বড় কড়াই চেয়ে নিয়ে আসে পাশের বাড়ি থেকে। কুড়োনো পাতা দিয়ে জ্বাল দেয়। সেদ্ধ হয় ধান। মাথায় করে বাঁধের ওপর নিয়ে যায়। রোদে শুকোয়।

পূর্ব জন্ম আবছা মনে পড়ে কুঁজো বুড়ির। নিজেদের উঠোনে ধান শুকানোর কথা। স্বামীর মুখ, বাবার মুখ ফিরে ফিরে আসে। মাথার ভেতর পাক খেয়ে খেয়ে আবার চলে যায়। সেই কবে সব ছেড়ে চলে এসেছে। বাবার ভস্ম, স্বামীর ভস্ম মিশে আছে ওপারেই। শৈশব, মেয়েবেলা,বৌ বেলা ভেসে গেছে অনেক দূরে। মাঝে মাঝে খড় খড়ে কালো হাতটার দিকে তাকায়। আঙুলগুলোর দিকে তাকায়। মানচিত্র খোঁজার চেষ্টা করে।

 

এদিকে দু'বার ধান ওঠে। বোরো আর আমন। বোরো ধানই বেশি কুড়িয়ে রাখার চেষ্টা করে কুঁজো বুড়ি। বোরো ধান বৈশাখ মাসের দিকে ওঠে। এসময় বৃষ্টি কম হয়। রোদের তেজ বেশি থাকে। ধান শুকানো যায় সহজে। আমন ধান কুড়োলেও শুকানো কষ্ট। আশ্বিনের দিকে ওঠে এই ধান। এসময় রোদের তেজও কম থাকে আবার বৃষ্টিও বেশি হয়। ছোট ঘরে ধান মেলার জায়গা নেই।  বেশি বৃষ্টি হলে নষ্ট হয়ে যায় ধান। বোরোর সময় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান কুড়ায়। মাঠে ধান কাটা শুরু হলে দশ থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সব ধান কাটা হয়ে যায়। এই ক'টা দিন কুঁজো বুড়ি মাঠে মাঠে ঘুরে বেড়ায়। অন্য সময়ে মুনিষ যায়। একসময় ধান কাটা-বাঁধার কাজ করত। কাজের ফাঁকে বিকেলে ছুটির পর ধান কুড়োতো। এখন আর পারে না। চাষীরাও এসব কাজে তাকে আর নিতে চায় না। নিড়ানোর কাজ করে। ধান জমি,সব্জী জমির আগাছা পরিষ্কার করে। ধান উঠলে আর কারো কাজে যাবে না। তখন সে স্বাধীন। পড়ে থাকা ধান কুড়িয়ে সারা বছরের খোরাক জোগাড় করে রাখার চেষ্টা করে।

 

গর্তটা একদম আল ঘেঁষে। আলের তল দিয়ে আরেক জমি পর্যন্ত পৌঁছেছে। ইঁদুরেরা অনায়াসে এক জনের জমি থেকে অন্য জনের জমিতে যেতে পারে। দুই জমির ধানই জমা করে আলের নীচে গর্তে। নতুন চাষের সময় চাষীরা এসব গর্ত বুজিয়ে দেয়। কুঁজো বুড়ি সম্পূর্ণ হাতটাকে গর্তে পুরে দিল। আলের তলা দিয়ে আরেক জমিতে হাত পৌঁছে গেল। আঙুল দিয়ে খুঁচিয়ে মাটি সমেত শেষ ধানের কণাটাও বের করে এনেছে। মাটি মেশা ধান চালনে  চেলে চেলে বস্তায় ভরছে। মুরালি বস্তায় মুখ দিলে ঠেলে সরিয়ে দিচ্ছে। ব্যা ব্যা করে এবার কুঁজো বুড়ির কাপড় কামড়াতে লেগেছে– " কি হইছে বাপ? জল তেষ্টা লাগছে? জল খাবি?" বলে মুরালির পিঠে গলায় হাত বুলিয়ে দিল। ব্যা ব্যা করে মুরালিও গা ঘষতে লাগল। আদুরে গলায়

"বাড়িত যাবি? তাইলে যা।" মুরালি আগের মতই গা ঘষে যাচ্ছে। "কিন্তু ক্যামনে যাবি? আইলের তলা দিয়া হাত যায় পা তো যায়না।" সামনের পাটির অবশিষ্ট দাঁত ক'টা বেরিয়ে এলো কুঁজোবুড়ির। নস্যি ঘষা কালো দাঁত। হাসার জন্যই বের করেছে বোধহয়। চালনে করে চালতে চালতে আবার বলল,"ক্যামন মজা দেখছস মুরালি? মাটির তলা দিয়াও আইল নাই আবার আকাশ দিয়াও আইল নাই। যা আছে সব মাটির উপর দিয়া।" গা ঝাড়া দিয়ে মুরালি কুঁজো বুড়ির গা ঘেঁষে বসে পড়ল। রোদে হাঁপাচ্ছে। "গরম লাগে নাকিরে বাপ? বাড়িতেও তো একা থাকপি না।" মৃদু গলায় দু'বার ব্যা ব্যা করে আবার চুপ করে গেল মুরালি।

"এই মাঠডা কুড়ান হইলেই যামু। হাফ বস্তা হইয়া গেছে।" কাঁখে করে এর থেকে বেশি বইতে পারবে না। পঙ্কু থাকতে মাথায় করে বয়ে নিয়ে যেত। মুনিষ থেকে ফিরে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুড়োতো। পঙ্কুও কাজ থেকে ফিরে ঠিক মাকে খুঁজে ধানের বস্তা নিয়ে আসত। ধান কুড়োতে কুড়োতে অনেক দূরের মাঠে চলে যেত কুঁজো বুড়ি। এখনও যায়। মাঠে মাঠে আল পেরিয়ে কখন যে অনেক দুরে চলে যায় বুঝতে পারেনা। মুরালিকে আলের ধারে বড় আগাছা থাকলে তার সাথে বেঁধে রাখে। মাঠে ধানের পালুই থেকে ধান খায়। ধান নষ্ট করে। বেশি ধান খেলে পেট খারাপও হয়ে যায়। "আর বসিস না। উঠ মুরালি। বাড়িত চল।" বলে চালন,মুড়ো ঝাঁটা বস্তায় ভরে নিল কুঁজো বুড়ি।

 

বৈশাখ মাস। সূর্য কিছুটা পশ্চিমে হেলেছে। রোদের তেজ কমেনি । মাঠে কেউ নেই। গরম পৃথিবী। পা রাখলেই পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। মাঝে মাঝে দু চারটে ঘুঘু উড়ে আসছে। কয়েকটা ধান খুঁটে আবার উড়ে যাচ্ছে। মুনিষ -জন সবাই গাছ তলায় ছায়া নিচ্ছে। খাঁ খাঁ মাঠে মাঝে মাঝে ধানের গাদা । রোদের ঝলকানিতে সাদা থান পরা কুঁজো বুড়িকে দেখা যাচ্ছে। কাঁখে ময়লাটে প্লাস্টিকের বস্তা। হাঁটছে। মাঝে মাঝে বসছে। আবার উঠছে। নীচের দিকে তাকিয়ে দাঁড়াচ্ছে। আবার সামনের দিকে হাঁটছে। মুরালি পেছন পেছন চলছে। মাঝে মাঝে বস্তা কামড়াচ্ছে। মাঝে মাঝে কুঁজোবুড়ির কাপড় কামড়াচ্ছে। বিস্তির্ণ মাঠ। সূর্যকে পেছনে রেখে মাঠের ধানের স্তুপের পাশ দিয়ে কুঁজোবুড়ি হাঁটছে। কাঁখের বস্তার মুখ থেকে মুড়ো ঝাঁটার কাঠিগুলো বেরিয়ে আছে। কুঁজো বুড়ির সামনে নিজের ছায়া পড়েছে– কাঁখের বস্তার ছায়া পড়ছে। ছায়ার আকারটা যেন একটা মানচিত্রের আকার। কুঁজো বুড়ি সেই মানচিত্রে পা ফেলে হেঁটে চলেছে।

0 Comments

Post Comment