পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

অপয়া

  • 01 January, 1970
  • 0 Comment(s)
  • 201 view(s)
  • লিখেছেন : অনুভা সাহা
আমি অহনা। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ নির্যাতিতা ছিলাম আমার মায়ের কাছে। তবুও এত কষ্টের মধ্যে আমি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসতাম। স্বপ্ন যে সত্যি হবেই এমনও নয়, তবুও !! আমার চোখের সবাই খুব প্রশংসা করতো। বড় বড় দুটি ডাগর চোখ। সেই চোখে অনেক স্বপ্ন সাজিয়েছিলাম সৈকতকে নিয়ে। সৈকত আমার স্বামী। এক সন্ধ্যের বিপর্যয় আমার সমস্ত স্বপ্নকে গুঁড়িয়ে দিলো.....

বাড়ি থেকে বেরোতে একটু দেরী হয়ে গিয়েছিল। যাচ্ছিলাম বারাসাত.... শ্বশুরবাড়ি। মামণি, অর্থাৎ আমার শাশুড়ি-মা খুব অসুস্থ, তাই। সেদিন পেপারে আবহাওয়ার খবরে দেখলাম বিকেলের দিকে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার কথা। বাইরে বেরিয়ে আকাশের দিকে তাকাতে মনে হলো আকাশের গায়ে যেন কেউ কালি ঢেলে দিয়েছে। কোথাও এতটুকুনি ফাঁকা নেই। আমরা নিজেদের গাড়ি না নিয়ে ভাড়াগাড়ি নিয়েছিলাম। আবহাওয়া খুব গুমোট। যে কোনো সময়ে ঝড় উঠতে পারে। কিছুক্ষণ বাদে গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরেটা দেখছিলাম। দেখি, ঝড় শুরু হয়ে গেছে। ধুলোর ঝড়। বেশ কিছুক্ষণ বাদে গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনে বৃষ্টির ফোঁটা পড়তে শুরু করলো। আমরা এয়ারপোর্ট সবে ছাড়িয়েছি। ঝড়-বৃষ্টি দুটোরই দাপট বাড়তে লাগলো। এতটাই জোর ছিল যে বাইরে কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না। ড্রাইভারকে বললাম গাড়ি একটু সাইডে লাগাও। ঝড়বৃষ্টি একটু কমুক....

- "না না ম্যাডাম !! অসুবিধে হবে না। আস্তে আস্তে চলে যেতে পারবো। আপনি চিন্তা করবেন.............."

পুরো কথাটা শেষ করার আগেই প্রচন্ড জোরে একটা আওয়াজ। দেখলাম গাড়ি কিছুটা ওপরে উঠেই নীচে নামতে শুরু করলো। আমার আর কিছু মনে নেই.......

জ্ঞান ফিরতেই মামণির গলা পেলাম। আমার মাথায় মামণির হাতের স্পর্শ.....

-"এ আমি কোথায় মামণি? কিছু বুঝতে পারছি না......"
-"তুই হসপিটালে !!"
-"আমি কিছু দেখতে পাচ্ছি না কেন?"

কালকের ঘটনাটা হঠাৎ মনে পড়তেই আমি শিউরে উঠলাম। চিৎকার করে মামণিকে ডাকলাম....

-"মামণি, আমি কেন কিছু দেখতে পাচ্ছি না? তুমি কোথায়? সৈকত কোথায়?"

মামণি যা বোঝার বুঝে নিলো.......  

চার মাস বিয়ের বয়স।

-"মামণি, সৈকত ভালো আছে তো? ও তো একবারও এলো না? ওকে একটু ডাকো না মামণি....."

এই চার মাস ধরে মামণিকে দেখে যেটা বুঝেছি উনি সোজা কথা সোজাসুজি বলতেই পছন্দ করেন। আড়াল-আবডাল একদমই পছন্দ করেন না। উনি একটি স্কুলের হেডমিস্ট্রেস ছিলেন। আমাকে খুব শান্তভাবে বললেন, "বাবুকে যে তুই হারিয়ে ফেলেছিস। বাবু তোর জীবনে আর কখনও আসবে না !!"

-"কি বলছো? মামণি তুমি এ কথা কি করে বলতে পারলে?"
-"হ্যাঁ রে মা !! বলতে পারলাম। কারণ আমি তোকে বারবার আঘাত দিতে পারবো না। তোকে মিথ্যে বলে কি লাভ হবে বল? আবার নতুন করে আরেকটা আঘাত দেবো। তার থেকে এই ভালো। সব কষ্ট সহ্য করে তুই সোনা হয়ে ওঠ্........"

-"মামণি, আমাকে কি এই অন্ধকারকে সাথী করে চলতে হবে? আমি কি আর কখনও রৌদ্রোজ্জ্বল নীল আকাশ, তারাভরা রাতের আকাশ দেখতে পাবো না? তোমাকে কি আর দেখতে পাবো না? তোমাকে ছাড়া আমি কি করে বাঁচবো? আমি যে তোমাকেই মা বলে মানি। জন্মদাত্রীর কাছে তো আমি ছোট থেকেই অপয়া হয়েই আছি। এ বাড়িতে আসার পরই তো মায়ের ভালোবাসা, স্নেহ কি বুঝতে পেরেছি..."
-"না রে মা তুই একা নোস্। আমি তোর সব দুঃখ-কষ্ট ঘুচিয়ে দিয়ে একটা সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দেবো। তোর কাছে এই আমার অঙ্গীকার....."

এই মুহূর্তে মামণির মুখ আমি দেখতে পাচ্ছি না। তবে আমার অন্তর্দৃষ্টি দেখতে পাচ্ছে মামণির চোখ জলে ভরা। না.... আমি ভুল ছিলাম না। আমার চোখের পাতায় মামণির চোখের জল পড়লো.....

উফ্ !! মামণির কি কষ্ট !! চারমাস একসাথে থেকে যদি আমি এত কষ্ট পাই তবে যাকে গর্ভে ধারণ করে এত বড় করে তুললো তার মা আজ কিভাবে এই কষ্ট সহ্য করছে? মামণির কথা ভেবে আমি আমার কষ্ট ভুলে গেছি। আমার কাছে মামণিকে সান্ত্বনা দেওয়ার মত কোনো ভাষা জানা নেই। বলতে আমার কোনো সঙ্কোচ হচ্ছে না আমার গর্ভধারিণী মায়ের থেকে মামণিকে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি কারণ মামণি সেটা পাওয়ার যোগ্য। আমি আমার গর্ভধারিণীর কাছ থেকে আদর-ভালোবাসা কখনও কিছু পাইনি। শুধু একটা কথাই শুনেছি, অপয়া..... অপয়া...... আর অপয়া !!!! অপয়া কেন? আমি যেদিন পৃথিবীতে আসি সেইদিনই আমার বাবা এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। তাই মায়ের ধারণা এর জন্য আমিই দায়ী। আমি ঠাম্মির কাছে শুনেছি আমার মা আমাকে জন্মের পরে কোলে পর্যন্ত নেয়নি। বুকের দুধ পর্যন্ত খেতে দেয়নি। আমার ঠাম্মিই আমাকে বড় করেছে। আমার পড়াশুনা, আমার বিয়ে দেওয়া সবই করেছেন আমার দুই জেঠু আর ঠাম্মি মিলে......

সৈকতকে হারিয়ে আমি আবার প্রমাণ করে দিলাম আমি অপয়া। মামণি এ কথা মানতে নারাজ। মামণির কথা, সময় সবকিছু বলবে যে তুই অপয়া নোস্.......

আমার চোখের জন্য মামণি ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করার পর মামণিকে বললেন, "মা, ওনার চোখের একটা অপারেশন করতে হবে। তাহলেই উনি চোখে দেখতে পাবেন।" ডাক্তারের গলার স্বরটা আমার কাছে খুব চেনা লাগছে। বুঝতে পারছি না কে এই ডাক্তার? আমি কি তাকে চিনি? ডাক্তার অপারেশনের জন্য একটা তারিখ দিলেন। অপারেশনের দিন নার্সিংহোমে মামণি, ঠাম্মি আর মামণির দুই কলিগ্ সুদীপ্তা আন্টি আর নীলিমা আন্টি উপস্থিত ছিলেন। অপারেশন থিয়েটারে ডাক্তার আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়ে আপনি প্রথমে কাকে দেখতে চান? আমার উত্তর ছিল যে আমাকে আমার চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেবে বলে ভরসা দিলেন অবশ্যই তাকে আর আমার মামণিকে.....

অপারেশনের পরে যখন আমার চোখের ব্যান্ডেজ খোলা হলো চোখ মেলে দেখি মামণি আর মামণির পাশেই অ্যাপ্রন পরিহিত সুদর্শন এক যুবক ডাক্তার, হাতে ফুলের বোকে। মুহূর্তমাত্র !! ডাক্তারকে দেখে চমকে উঠলাম !! শিবাজী ব্যানার্জী। আমার ভালোবাসা !! তাই গলার স্বর চেনা লাগছিল। এই মুখের ছবি যে আমার মনের মণিকোঠায় রাখা আছে……

কিছু সময়ের জন্য অন্যমনস্ক হয়ে চলে গেলাম কয়েক বছর পেছনে। আমার চিন্তার জাল ছিন্ন করে দিলেন ডঃ শিবাজী। আস্তে করে কথাটা ছুঁড়ে দিলেন.... "কিছু কি মনে পড়ছে?".... দুজনেই ডন বস্কোর ছাত্র। ডঃ শিবাজী ছিলেন আমার থেকে চার বছরের সিনিয়র.....

বর্তমানে এই ভরসার হাতটা ধরে আমি বাঁচতে চাই। অনেক না বলা কথা ছিল যেটা আমরা কখনও কেউ কাউকে বলে উঠতে পারিনি। সৈকতের সাথে তো আমার সম্পর্ক ভালোভাবে গড়ে উঠতে না উঠতেই সব শেষ হয়ে গেল। তবে এই ভরসার হাতটা ধরে উঠে দাঁড়াতে চাওয়াটা কি আমার অন্যায়? আমার পুরোনো ভালোলাগা-ভালোবাসা যেটা আমি কখনও কাউকে বলিনি। শিবাজীও আমায় ভালোবাসতো সেটা ওর বন্ধুদের মুখেই আমি শুনেছি। ও-ও আমাকে কখনও কিছু বলেনি। বন্ধুদেরকে নাকি বলতো, "ও শুধু আমার জন্যই জন্মেছে।" ক'দিন ধরেই শিবাজীকে দেখতে পাচ্ছিলাম না। কথা হতো না ঠিকই অথচ দুজন দুজনকে দেখার জন্য পাগল ছিলাম। স্কুল ছাড়ার পর জানতে পারলাম ও পড়াশুনার জন্য বিদেশ চলে গেছে। ইতিমধ্যে বাড়ি থেকে আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য জেঠুরা ব্যস্ত হয়ে পড়লো। বড়জেঠুই সমস্ত খোঁজখবর করেন। তারপরে এক শুভদিনে আমার বিয়ে হয়ে গেল। আমি কোনো বাধা দেইনি। কারণ, বাবা নেই.... মায়ের কাছেও আমি অপয়া.... তাই সবকিছু মেনে নিয়েছিলাম। সৈকতের সাথে বিয়ে হয়ে গেল। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আমি এক নতুন জীবনে প্রবেশ করলাম। আমার শাশুড়ি-মায়ের ভালোবাসায় আমি ভুলে গেলাম আমার নিজের গর্ভধারিণীকে। আর ভুলতে পারছিলাম না শিবাজীকে......

ডঃ শিবাজী কাছে এসে কথা বলছেন। কথা বলার ধরণে মামণি কিছু একটা আন্দাজ করতে পেরেছেন যে আমরা দুজনেই দুজনকে চিনি। আর একটা অদ্ভুত ব্যাপার হলো যে ডঃ শিবাজী মামণির বান্ধবী সুদীপ্তা আন্টির ছেলে। ও ছোট থেকেই নাকি মামণিকে মা বলে ডাকে। সেজন্যই সেদিন চেম্বারে মামণিকে মা বলে ডেকে কথা বলছিলেন। মামণি শিবাজীকে বললেন, "হ্যাঁ রে ডাক্তার তুই আমার মেয়েকে চিনিস বলে মনে হচ্ছে?" শিবাজী একটু লজ্জা পেয়ে সরে যেতেই মামণি আমাকে সোজাসুজি জিজ্ঞাসা করলেন, "হ্যাঁ রে মা তুই যে শিবাজীকে আগে থেকেই চিনতিস, সেটা তো স্পষ্ট হলো। তুই কি ওকে পছন্দ করতিস?" আমি মামণিকে সবটাই খুলে বললাম....

-"মামণি আমাদের কখনও দুজনের দুজনকে কিছু বলা হয়নি। বুঝতাম ও কিছু বলতে চায় কিন্তু বলে উঠতে পারেনি। আর আমারও কিছু বলা হয়নি। তারপর ও চলে গেল বিদেশে পড়াশুনা করতে আর বাড়ির চাপে বাধ্য হয়ে আমাকে বিয়েটা করতে হলো।"

-"তুই আমার ভাবনাটাকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যেতে সহজ করে দিলি।"

-"বুঝলাম না মামণি !! কি বলছো তুমি?"

-"কেন? এটা তো খুব সহজ। দুজনে যখন দুজনকে ভালোই বাসিস তাহলে আর বাধা কোথায়? আমি আমার বান্ধবীকে কথাটা বলবো....."

-"কিন্তু মামণি.... এখন তো আর তা সম্ভব নয়...."

-"কেন সম্ভব নয়? বাবু ছিল তোর অতীত। বর্তমানকে ধরে বাঁচ। বাবু তোর ছিল না। পাপাই (শিবাজীর ডাকনাম) তোর। তাই তো এতদিন বাদে অদ্ভুতভাবে তোদের দেখা। বাবু চলে গিয়ে তোদের পূর্ণতা পাইয়ে দিয়ে গেল....."

মনের গোপনে যে কথা রয়ে গেছে সেটা মামণিকে বলতে বাঁধছে। আমি যে সত্যিই শিবাজীকে খুব ভালোবাসতাম। এখন দেখার পরে পুরোনো ভালোলাগা, ভালোবাসা সবটাই যেন মনের মধ্যে তোলপাড় করে দিচ্ছে.....

এক ছুটির দিনে শিবাজী আর সুদীপ্তা আন্টি আমাদের বাড়ি এলেন। মামণি আমার ঠাম্মিকেও ডেকে পাঠালো। আমাদের দুজনের জীবনের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথাবার্তা হলো। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কথাটা ছিল এটাই মামণি সুদীপ্তা আন্টি আর শিবাজীকে একটা শর্ত দিলো। শর্তটি ছিল এইরকম -

-"সুদীপ্তা, আমি আমার মেয়েকে কিন্তু কোথাও যেতে দেবো না। আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারবো না। আর আমার এই এতবড় বাড়িটাকে কে দেখাশোনা করবে? পাপাই তুই তো আমাকে মা বলে ডাকিস। তাহলে মা'কে একা করে দিয়ে চলে যেতে পারবি এই শূন্য বাড়িতে? তাই বলছি তুই যে ফ্ল্যাট বুক্ করেছিস, সেটা ক্যান্সেল করে দে। এই বাড়িই হবে তোদের দুজনের নতুন সংসারের ঠিকানা। তবে আমাদের এই বাড়িতে আরেকজন অতিথিকে আনতে চাই। ভারতীদি। অহনার ঠাম্মি !!........"

না। কোনো বিয়ের তারিখ ছিল না। এক তিথি দেখে পুণ্যলগ্নে এক মন্দিরে মায়ের সামনে সিঁদুর পরিয়ে মালাবদল করে আমাদের চারহাত এক হলো। এরপরে আমরা সকলে মিলে মাতৃদর্শনের সামনে এসে দাঁড়ালাম। মাতৃদর্শন আমাদের বাড়ির নাম। মামণি আমাদের দাঁড়াতে বলে ফোনে কাউকে কিছু বলতে লাগলেন। মামণি শিবাজীকে বললেন, "পাপাই, তোরা দুজনে আগে বাড়িতে ঢুকবি।" দুজনে হাত ধরে পা বাড়াতেই ওপর থেকে দুজনের মাথাতেই ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দেওয়া হলো। সামনেই লাল কার্পেট পাতা। আমরা এগোতেই মুহূর্তে বেজে উঠলো রবীন্দ্রসঙ্গীত - "মোর বীণা ওঠে কোন সুরে বাজি....."

মামণির দুই বোনঝি সামনে এসে দুজনের হাত ধরে গেয়ে উঠলেন -"এসো এসো আমার ঘরে এসো, আমার ঘরে।" তার পেছনে মাসিমণি বরণডালা নিয়ে আমাদেরকে বরণ করে নিলেন। দুজনে মাতৃদর্শনে মা রাখলাম। পেছনে মামণি, ঠাম্মি আর সুদীপ্তা আন্টি হাতে হাত রেখে প্রবেশ করলেন। সারাদিনই রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজলো। বাড়ির বাইরে কোনো আড়ম্বর ছিল না। বাড়ির ভেতরটা মামণির ভাইবোনেরা খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছিল। সন্ধ্যায় আমি সবার জন্য চা করে এনে দিলাম। আন্টির হাতে চায়ের প্লেট দিয়ে বললাম, "আন্টি তোমার চা।" আন্টি আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, "এখনও আন্টি বলবি? মা বলবি না?" এখন আমি দুই মায়ের আর ঠাম্মির ভালোবাসায় এতটাই আপ্লুত যে বলে বোঝাতে পারবো না.....

মামণি যেটা করলো আমার জন্য, সেটা উঁচু মনের মানুষের পক্ষেই সম্ভব। মামণির মুখের হাসিটা দেখে মনে হয় মামণির এই কথাটা রেখে হয়তো মামণিকে একটু সুখ দিতে পেরেছি। সকলকে একসাথে পেয়ে সৈকতকে হারানোর দুঃখটা হয়তো একটু ভুলে থাকতে পারবে। মামণির ভাবনাটাকে স্যালুট্ জানাই। সৈকত তুমি যেখানেই থাকো, ভালো থেকো.... মামণিকে ভালো রাখার দায়িত্ব আমি নিলাম !!

0 Comments

Post Comment