পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪: বাকসর্বস্বতার আড়াল পেরিয়ে

  • 07 February, 2024
  • 0 Comment(s)
  • 694 view(s)
  • লিখেছেন : সুমন কল্যাণ মৌলিক
সব কা সাথ,সব কা বিকাশ' তখনই সম্ভব যখন গরীব মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। এ কথা বিগত দিনের অভিজ্ঞতায় বারংবার প্রমাণিত যে এ মুহূর্তে গ্রাম ভারতে গরীব মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল ' মহাত্মা গান্ধী ন্যাশানাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট' (MNREGA)। নরেন্দ্র মোদি একদা এই প্রকল্পকে ' গর্ত খোঁড়ার প্রকল্প ' বলে উপহাস করেছেন কিন্তু অতিমারী পর্বে গ্রাম ভারতকে একটা মাত্রা পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছিল এই প্রকল্প।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেট বক্তৃতা এবার যতই সংক্ষিপ্ত হোক না কেন,তার ছত্রে ছত্রে কর্পোরেট মিডিয়ার ভাষায় ' আত্মবিশ্বাস চুঁইয়ে পড়ুক' না কেন,আদতে এই বাজেট মোদি সরকারের গত দশ বছরের কাজকর্ম সম্পর্কে এক আত্মগর্বী প্রচারপত্র। সাধারণভাবে লোকসভা ভোটের আগের বাজেটে সাধারণত জনমোহিনী নীতি,আর্থিক প্যাকেজ বা আয়কর ছাড়ের যে পরম্পরা দেখা যায়,এবারের বাজেটে তার প্রতিফলন নেই।পরিবর্তে আছে নানান ধরণের শব্দবন্ধ বা শ্লোগানের আড়ালে এক অমৃতকালের ছবি  যেখানে দেশ ও জাতির উন্নতির জন্য মসিহা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি।

এই অমৃতকালে অর্থমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় ঘোষণা হল দেশের মানুষের প্রকৃত আয় গড়ে ৫০ শতাংশ বেড়েছে । কোন তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই এই ঘোষণা আসলে কল্পিত হিন্দু রাষ্ট্রের অভিজ্ঞান যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় ' বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর'।কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে দেশের মানুষের গড় মাসিক আয় গত ৫ বছরে প্রায় স্থির রয়েছে।২০১৭-১৮ সালে যা ছিল ১৯,৪৫০ টাকা তা ২০২২-২৩ সালে হয়েছে ২০,০৩৯ টাকা ( তথ্যসূত্র: পিরিওডিক লেবার ফোর্স সার্ভে/ পিএলএফএস)।আর মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টাকে যুক্ত করা হলে প্রকৃত আয় তো বাড়েই নি বরং ২৫% কমেছে।জিডিপির চালিকা শক্তি হল ভোগ্যপণ্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে মানুষের ব্যয় বৃদ্ধি যা সার্বিক ভাবে উৎপাদন ক্ষেত্রের বৃদ্ধি ঘটায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে গত ৫ বছরে এক্ষেত্রে বার্ষিক বৃদ্ধি মাত্র ৩%। সমস্ত আর্থিক বিশেষজ্ঞরা আজ এ প্রশ্নে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছেন যে গত দশ বছরে বেসরকারি পুঁজি লগ্নি ক্রমাগত কমছে।অর্থনীতির সুস্বাস্থ্যের আরেকটা লক্ষ্মণ হল পারিবারিক ক্ষেত্রে সঞ্চয় বৃদ্ধি (Household savings)।এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ২০১১-১২ থেকে ২০১৯-২০ সময়পর্বে এই সঞ্চয়ের পরিমাণ ছিল জিডিপির মাত্র ৭%-৮%। এখন তো অবস্থা আরো খারাপ।২০২২-২৩ বর্ষে পারিবারিক সঞ্চয়ের পরিমাণ কমে হয়েছে মাত্র ৫.১%। জিডিপির অগ্রগতির বাগাড়ম্বর যতই করা হোক না কেন,মোদি জমানায় জিডিপির বৃদ্ধি ৫.৮% এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। পিএলএফএস এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরির হার ধারাবাহিক ভাবে কমছে, বাড়ছে স্বনিযুক্তির সংখ্যা। ২০১৭-১৮ সালে এই হার ছিল ৫২% যা ২০২২-২৩ সালে হল ৫৮%৷ আর এই স্বনিযুক্তদের একটা বড় অংশ তাদের কাজের জন্য কোন পারিশ্রমিক পায় না।২০১৭-১৮ সালে বিনা মজুরিতে কাজ করা মানুষের সংখ্যা ছিল ৪ কোটি যা ২০২২-২৩ সালে হয়েছে ৯ কোটি ৫০ লক্ষ। আজ ভারতের অর্থনৈতিক ভাবে নিচের তলার এতটাই হতদরিদ্র যে তাদের দুবেলা খাবার জোগাড়ের সামর্থ্য নেই।এই মানুষদের জন্য ( আপাতত সংখ্যাটা ৮১.৩৫ কোটি) ৫ বছর প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। অর্থনীতির এই হাল সত্বেও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করছেন দেশের মানুষের প্রকৃত আয় গড়ে ৫০% বেড়েছে আর মিডিয়া প্রশ্নহীন আনুগত্যে সেই ' সত্য ' প্রচার করছে।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তার বাগাড়ম্বরপূর্ণ ভাষণে এমন কিছু কথা বলেছেন যা এতদিন পর্যন্ত সমাজকল্যাণ ও দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রশ্নে আমরা যা শুনেছি,তার বিপরীত। সংবিধান যেখানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পেনশনের মত সামাজিক সুরক্ষার  বিষয়গুলিকে নাগরিকদের অধিকার বলে মনে করে সেখানে নির্মলা সীতারামন অধিকারের প্রশ্নটিকে দূরে সরিয়ে গরীবের ক্ষমতায়ণ নামক এক আজগুবি তত্ত্ব হাজির করেছেন। এই তত্ত্ব অনুসারে নাগরিকদের পরিচয় শাসকের অনুগ্রহ বা দয়া প্রার্থী ও সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তা( আজকালকার ভাষায় বেনিফিসিয়ারি)।কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বয়ান অনুযায়ী বাজেটের ভরকেন্দ্রে রয়েছে চারটে ' জাত'। এই নতুন জাততত্ত্ব অনুযায়ী  চারটে জাত হল অন্নদাতা কৃষক, গরীব, মহিলা ও যুবশক্তি।আমরা অবশ্যই এই চারটে 'জাতের' হাল হকিকত অনুসন্ধান করব।

অন্নদাতা কৃষকদের দিয়ে এই আলোচনা শুরু করা যেতে পারে। একদা প্রধানমন্ত্রীর বহু চর্চিত শ্লোগান ' কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে ' এবারের বাজেট বক্তৃতায় আর স্থান পায় নি কারণ এটা যে নেহাৎই এক নির্বাচনী জুমলা তা প্রমাণিত। সবচেয়ে বিয়োগাত্মক ঘটনা হল ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দেশের এক লক্ষ কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। সরল পাটিগণিতে এই ন বছরে প্রতিদিন ৩০ জন অন্নদাতার আত্মহত্যা। নির্দিষ্ট করে কৃষি শ্রমিকদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ৪১%। ৪,৩২৪ জন থেকে বেড়ে হয়েছে ৬,০৮৩ জন।বহু বিজ্ঞাপিত প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার ব্যয় বরাদ্দও এবার সামান্য কমেছে।সবচেয়ে সন্দেহজনক হল এই প্রকল্পের কার্যকারিতা!  ২০২২-২৩ সালের রবি মরশুমে ৭.৮ লক্ষ কৃষকের দাবি মেটাতে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৩,৮৭৮ কোটি টাকা।

পৃথিবীর তরুণতম প্রজাতন্ত্রে যুবশক্তির প্রধান চাহিদা উপার্জন তাই চাকরির প্রশ্নটি এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যুবকদের উদ্যোগপতি হওয়ার জন্য ' অমৃতপিড়ি ' প্রকল্প চাকরির হতমান অবস্থা থেকে চোখ ফেরানোর এক কৌশল মাত্র। সরকারি তথ্য অনুসারে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের জুন মাস পর্যন্ত শহরাঞ্চলে সর্বভারতীয় বেকারত্বের হার ছিল মহিলাদের মধ্যে ৬.৭% ও পুরুষদের মধ্যে ৩.২%।২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে জুনে তা দাঁড়িয়েছে মহিলাদের মধ্যে ৯.২% এবং পুরুষদের মধ্যে ৫.৯%।সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির ( CMIE) মতে যুবশক্তির মধ্যে (২০-২৪ বছর) বেকারির হার বেড়েই চলেছে।সংস্থার রিপোর্টে ( ইকনমিক টাইমস, ২৫ এপ্রিল, ২০২২) বলা হয়েছে : "Between 2017 and 2022,the overall labour participation rate dropped from 46% to 40%.Among women the data is even starker.About 21 million disappeared from the workforce,leaving only 9% of the eligible/population employed or looking for positions. Now more than half of the 900 million Indiansof legal working age,roughly the population of the us and Russia combined don’t want a job"। স্টার্টআপের মাধ্যমে উদ্যোগপতি বানাবার গল্প পুরোটাই ফ্লপ।একমাত্র গিগ শ্রমিকদের কাজ জুটছে কিন্তু মোদি সরকার এই শ্রমিকদের সুরক্ষার কোন পরিকল্পনা আজ অবধি করে নি।যুবশক্তির উন্নয়নের প্রশ্নে এই সরকারের ভূমিকা নেহাৎই শূন্য।

মাননীয়া অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় নারীশক্তির ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে কৃতিত্ব দাবি করেছেন। এক্ষেত্রে বলে নেওয়া ভালো যে মহিলা সংরক্ষণ বিলের ভবিষ্যৎ বিশ বাও জলে।ডিলিমিটেশন হবে ২০২৬ পরবর্তী সময়ে জনগণনার পর, তাই লোকসভা ও বিধানসভায় এক তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ নির্বাচনী প্রচার মাত্র। আমরা বরং একটি নারীকেন্দ্রিক প্রকল্পের দিকে চোখ ফেরাই। মহিলা ও শিশুদের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে ভারতে একটি কার্যকরী প্রকল্প চালু,যার নাম ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড ডেভলপমেন্ট সার্ভিস। পরবর্তী সময়ে আইসিডিএসের সঙ্গে পোষণ অভিযান ও কিশোরী কল্যাণ প্রকল্পকে যুক্ত করে ২০২১-২২ সালে এই প্রকল্পের নতুন নাম হয়েছে 'সক্ষম  অঙ্গনওয়াড়ি পোষণ ২.০'।২০১৪-১৫ বর্ষে শুধু আইসিডিএস প্রকল্পে প্রকৃত ব্যয় বরাদ্দ ছিল ১৬.৬৮৩.৬ কোটি টাকা।আর এ বছর তিনটি স্কিমের সংযুক্ত এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় বরাদ্দ ২১,২২০ কোটি টাকা।সরকার দাবি করলেও মহিলাদের শ্রমশক্তিতে অধিক সংখ্যায় অংশগ্রহণ অতিমারী উত্তর পর্বে নতুন আশার সঞ্চার করে না।আজিম প্রেমজি ইউনিভার্সিটির ' State of working India-2023' দেখিয়েছে মহামারী উত্তর পর্বে পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতি মহিলাদের বাধ্য করছে শ্রমসাধ্য ও কম মাইনের কাজে অংশ নিতে কিন্তু সংগঠিত ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে না।

এবার আসা যাক গরীব মানুষদের কথায়।' সব কা সাথ,সব কা বিকাশ' তখনই সম্ভব যখন গরীব মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। এ কথা বিগত দিনের অভিজ্ঞতায় বারংবার প্রমাণিত যে এ মুহূর্তে গ্রাম ভারতে গরীব মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল ' মহাত্মা গান্ধী ন্যাশানাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট' (MNREGA)। নরেন্দ্র মোদি একদা এই প্রকল্পকে ' গর্ত খোঁড়ার প্রকল্প ' বলে উপহাস করেছেন কিন্তু অতিমারী পর্বে গ্রাম ভারতকে একটা মাত্রা পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছিল এই প্রকল্প। কিন্তু প্রথম দিন থেকে এই প্রকল্পকে অন্তর্ঘাত করে গরীব মানুষদের বিপদে ফেলেছে এই সরকার।এবারের বাজেটেও তার কোন অন্যথা হয় নি।এবছর মুদ্রাস্ফীতির এই হার সত্বেও একশ দিনের রোজগার যোজনায় বরাদ্দ বাড়ানো হয় নি।২০২৪-২৫ বর্ষে বরাদ্দ ৮৬,০০০ কোটি টাকা যা আদতে ২০২৩-২৪ সালের সংশোধিত বাজেট বরাদ্দের সমান।একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যে মজুরির কয়েক হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে মোদি সরকার। ন্যাশানাল সোসাল অ্যাসিসটেন্স পোগ্রামে ২০২৩-২৪ সালে বাজেট ছিল ৯,৬৩৬ কোটি টাকা,এবছর বাজেট ৯,৬৫২ কোটি টাকা।মাত্র ১৬ কোটি টাকা বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতির হার বিচার করলে প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দ আসলে কমে গেছে।এটাই আজ মোদি সরকার গরীব প্রেমের নমুনা।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় ' বিকশিত ভারত ' এর দাবি তুলেছেন। সেই ভারতের ছবিটা কেমন! এই অমৃতকালে ভারত আজ আক্ষরিক অর্থে এক ক্ষুধার্ত প্রজাতন্ত্র। নরেন্দ্র মোদি যখন ক্ষমতাসীন হন তখন বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্থান ছিল ৫৫,দশ বছর পরে আমাদের স্থান ১০৭।গত ২ বছরে বাড়িতে রান্না করা খাবারের ক্ষেত্রে মূল্যবৃূদ্ধি হয়েছে ৬৫%।২০২০-২২ সালের হিসাব অনুযায়ী পৃথিবীর মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের বাস( ২৩ কোটি ৪০ লক্ষ)।  ন্যাশানাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-৫ এর পরিসংখ্যান অনুসারে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ৩২.১% কম ওজনের, স্বাভাবিকের চেয়ে কম উচ্চতার শিশুর হার ৩৫.৫%।সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা তুলে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।শিক্ষাকে বেসরকারিকরণ করার দলিল নয়া শিক্ষানীতি-২০২০ অনুসারে কাজ শুরু হয়ে গেছে এই বাজেটে।মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে স্কুলশিক্ষার বাজেট কমেছে ৫%।উচ্চ শিক্ষায় বরাদ্দ হ্রাস ৯৬০০ কোটি টাকা। গত বছর ইউজিসির বরাদ্দ ছিল ৬৪০৯ কোটি টাকা যা এবার কমে হয়েছে ২৫০০ কোটি টাকা।কারিগরি শিক্ষায় গত বছরের বাজেট ছিল ২৫০০০ কোটি টাকা যা এবার কমে হয়েছে ১৯০০০ কোটি টাকা।

এবারের বাজেট গত দশ বছরে  নরেন্দ্র মোদির অধিনায়কত্বে গড়ে ওঠা ' রামরাজ্য' কে উদযাপন করতে বলেছে।নয়া উদারবাদী কর্পোরেট আগ্রাসন এবং ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুত্বের যুগলবন্দী এই ভারত আজ সমাজের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের জন্য বিপর্যয় ডেকে এনেছে।নির্মলা সীতারামনের বাজেট সেই বিপর্যয়ের গ্রাউন্ড রিপোর্ট। আজ তাই আমাদের কর্তব্য উদযাপন নয়,জনবিরোধী বাজেটের স্বরূপ উন্মোচন।

0 Comments

Post Comment