পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

রবীন্দ্রনাথের দেশে যুদ্ধ বিরোধী কথাবার্তা বলাই এখন রাজদ্রোহ

  • 22 May, 2025
  • 1 Comment(s)
  • 741 view(s)
  • লিখেছেন : মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায়
এই সদ্য যুদ্ধের আগুনের পাশে বসে যাঁর জন্মদিন উদযাপিত হল তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। 'বছরে তিরিশ বার শ্যামা শাপমোচনের অশ্রুমোচনে' সীমাবদ্ধ না থেকে আমরা যদি আর একটু তলিয়ে তাঁকে জানতে চেষ্টা করতাম তবে সেই অমোঘ সত্যের মুখোমুখি হতে হয় যুদ্ধের আবহে প্রতিনিয়ত যাকে হত্যা করার চেষ্টা চলছে।‌

"Even though from childhood I had been taught that idolatry of the Nation is almost better than reverence for God and humanity, I believe I have outgrown that teaching, and it is my conviction that my countrymen will truly gain their India by fighting against the education which teaches them that a country is greater than the ideals of humanity.

Rabindranath Tagore, Nationalism


উপরের লেখাটি শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই সদ্য যুদ্ধের আগুনের পাশে বসে যাঁর জন্মদিন উদযাপিত হল। 'বছরে তিরিশ বার শ্যামা শাপমোচনের অশ্রুমোচনে' সীমাবদ্ধ না থেকে আমরা যদি আর একটু তলিয়ে তাঁকে জানতে চেষ্টা করতাম তবে সেই অমোঘ সত্যের মুখোমুখি হতে হয় যুদ্ধের আবহে প্রতিনিয়ত যাকে হত্যা করার চেষ্টা চলছে।‌

আর এই হনন কার্যের প্রধান হোতা আজ সংবাদমাধ্যম। এ দেশের যে মানুষদের গণমাধ্যমের পরিসরে ঢোকার সুযোগ আছে, তারা যুদ্ধের নেশায় একেবারে বুঁদ হয়েছিলেন। এই যুদ্ধ এমনভাবে উপস্থাপিত হলো যে মনে হচ্ছিল চ্যানেলে চ্যানেলেই যুদ্ধটা ঘটছে। যারা ক্রিকেটের মত যুদ্ধের ধারাবিবরণী দিচ্ছিলেন তাদের আস্ফালন, উদ্যত মুষ্টি এবং অভূতপূর্ব রণকৌশলের বিশ্লেষণে মনে হচ্ছিল সেনা নয়, যুদ্ধটা আসলে তারাই করছেন।‌ ভারতের সবচেয়ে বীর যোদ্ধাদের সেখানেই দেখা গেল। একসাথে তারা করাচী বন্দর ধ্বংস করলেন, লাহোর নিশ্চিহ্ন করলেন আর ইসলামাবাদ দখল করে নিলেন যাকে বলে কেল্লা ফতে। পাকিস্তানকে ভারতের অঙ্গরাজ্য ঘোষণা করাই শুধু বাকি ছিল। ওদিকে পাকিস্তানেও এক অবস্থা। তারা নাকি ভারতের বহু বিমান ধ্বংস করে ফেলেছে।‌দুপক্ষই হতাহতের বিরাট দাবি করছে। এমনি রোমহর্ষক উত্তেজনার মধ্যে সবচেয়ে বড় যে ঘটনাটা ঘটলো তা হল সত্যের অকালমৃত্যু।

যারা লড়ছেন, যারা মারা গেছেন ,তাদের থেকে বহু দূরে অবস্থিত যে বিপুল জনসাধারণ ‌ বিশেষ করে তার একটা বড়ো অংশের  শিক্ষিত ভদ্রলোক সমাজ এই যুদ্ধকে যেন একটা ইভেন্ট করে তুলেছেন। এর কারণ সত্যের অপমৃত্যু। বেশ কিছুকাল ধরে গণমাধ্যমে উত্তেজনাই একমাত্র মূলধন। যে কোন বিষয় নিয়ে চেঁচামেচি না করলে সে বিষয়টি যেন নজরেই পড়ে না, তা বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের অবস্থান কিংবা কর্মহীন বিপুল  যুবসমাজের বেদনা কোনটাই রাত জেগে দেখার বা ভাবার বিষয় এখন নয়। ‌ এখন শুধু রাতভর দেশপ্রেমের এক অদ্ভুত প্রতিযোগিতা যার মূলে আছে অজস্র ভুল তথ্য যা দেশের নিরাপত্তার জন্যেও অত্যন্ত বিপজ্জনক। ‌ মুশকিল হচ্ছে যে দিবারাত্রি চিৎকার গোয়েবলসীয় তত্বকেই প্রতিষ্ঠা করছে যে বারবার মিথ্যা বললে সেটা সত্য হয়ে যায়। ‌

এমনিতেই সমাজে শিক্ষা বিষয়টি তলানিতে ঠেকেছে, মুখস্থ ও নম্বর সর্বস্ব হওয়ায় গভীরে যাওয়ার কোনো তাগিদ নেই, সেখানে এই ভুয়ো তথ্য কেউ সযত্নে নির্মিত করে পাঠাচ্ছে ছবি সহ ঝলমলে উপস্থাপনায়। এ এক অন্য জ্ঞানভান্ডার, রভীশ কুমার যাকে বলবেন তথ্যের হোম ডেলিভারি। এর পিছনে মাঠে নেমে জীবন বাজি রেখে কোনো সমীক্ষা নেই। আর এই ভুয়ো তথ্যকেই সারাদিন উৎসাহ দিয়ে গেল গোদী মিডিয়া। আমরা প্ররোচিত হয়ে পক্ষ নিতে থাকলাম। আমাদের সুপ্ত সাম্প্রদায়িকতা ও বিদ্বেষ সব পোশাক খুলে সামনে এসে দাঁড়ালো। এই দেশে এখন সেক্যুলার শব্দটি গালি বিশেষ। আপনি অন্যরকম বললেই প্রাইম টাইম চিৎকার করে উঠবে নেশন ওয়ান্টস টু নো। এই নেশন জানতে চায় না পুলওয়ামা আর পহলগাঁওয়ের ঘটনার পর দোষীদের কী হল, শুধু প্রতিশোধ চায় যুদ্ধে মেতে।


এই ভুয়ো তথ্যের দায় কিন্তু সরকারের উপরেও আছে। জানা গেছে ৭ মে পাকিস্তানে ভারতীয় সেনা আঘাত হানার পরে পরেই ভারত সরকারের তরফে সাংবাদিকদের দিল্লির ন্যাশনাল মিডিয়া সেন্টারে পাকিস্তানী হামলার ঘটনা পরম্পরার যে ভিডিও দেখানো হয়, সেখানে ২০১৯ পুলওয়ামা আক্রমণের যে ছবি দেখানো হয় সেটি ২০০৮ সালের ইরাকের একটি বিস্ফোরণের ছবি।


ভরসার জায়গা এই যে বেশ কয়েকটি সংস্থা দুই দেশেই তথ্য যাচাই করে অন্য কথা বলছেন।  ইদানিং এ আই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে এমন কিছু সৃষ্টি করা যায় যাতে মনে হয় বাস্তবের  সঙ্গে তার কোন ফারাক নেই। পাশাপাশি পুরনো ভিডিও দেখিয়ে বিশেষ করে গাজার উপর আক্রমণের ছবি দেখিয়ে সেটাকে এই যুদ্ধের সঙ্গে জোড়া হচ্ছে এবং প্রবল উল্লাসে পরিবেশন করা হচ্ছে।‌ উল্লাস এতটাই যে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন প্রধান এডমিরাল রামদাস বললেন অবিলম্বে টিভির অ্যাঙ্কর ও সামাজিক মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রিত করতে হবে এবং বলতে হবে যে যুদ্ধ কোন উৎসবের বিষয় নয়। ‌

এই মুহূর্তে সমাজ মাধ্যম যুদ্ধ‌ সম্পর্কে ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রজনন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
সমস্যা হচ্ছে ভুয়ো খবর অত্যন্ত ‌ দ্রুত ছড়ায় যেহেতু তার যাচাই করার কোন দায় নেই। সত্যিকারের খবর যাচাই এর অপেক্ষায় থাকে ফলে সেটি পরে আসে। অথচ এই ভুল খবর গুলোকে নিয়ে মানুষ মেতে থাকে। যুদ্ধের উত্তেজনা আরো বাড়ে, একটা সময় যুদ্ধের প্রকৃত কারণটাও গুলিয়ে যায়। সবচেয়ে সমস্যায় থাকেন তারা যারা প্রশ্ন করতে চান,যারা বুঝতে চান যে এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে কী করে বের হওযা যায়, যারা ন্যায়ের কথা বলেন, যারা শান্তির কথা বলেন।


যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান নয় বরং এটি নিজেই একটি বড় সমস্যা। যদি যুদ্ধের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হত, তাহলে গত কয়েকবারের ভারত-পাক যুদ্ধের মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হয়ে যেত এবং এখন পর্যন্ত কাশ্মীরের তিনটি অংশ, অর্থাৎ চীন অধিকৃত কাশ্মীর, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর এবং জম্মু-কাশ্মীর (লাদাখ সহ) এক হয়ে যেত।‌ মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে কাশ্মীরের একটি বিরাট অংশও চীনের দখলে, যা নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কোনও বিবৃতি দেওয়ার সাহসও করেন না । এমনকি তারা সম্প্রতি চীন কর্তৃক দখলকৃত লাদাখের ভূমি সম্পর্কেও নীরব। এই বিষয়টি উত্থাপন করার জন্য, লাদাখের বিখ্যাত সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক সম্প্রতি বিপুল সংখ্যক লোকের সাথে পায়ে হেঁটে দিল্লিতে এসেছিলেন, কিন্তু দিল্লি তার সাথে কোনও যুক্তিসঙ্গতভাবে কথা বলেনি।

এখন আলোচনার কথা উঠছে। সেখানেও মার্কিন রাষ্ট্রপতি মধ্যস্থতা করবেন বলছেন।‌ তাহলে কেন এই নেতারা পরস্পরের আক্রমণে তাদের হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার আগে আলোচনার টেবিলে আসেন না?

এ প্রসঙ্গে দুই প্রতিবেশী দেশের এমনই দ্বন্দ্বের কথা মনে হয়। আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে উস্কে দিয়েছে, বিশেষ করে ফুটবল এবং পারমাণবিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ।   ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা  একসময় দুদেশই পরমাণু শক্তিধর ছিল। কিন্তু পরে তারা সহযোগিতার পথ নেয় এবং এখন অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ মিত্র, ফলে দুই দেশেরই প্রভুত কল্যাণ হয়।‌


এ দেশে তো এখন যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল কি  না সে প্রশ্ন তোলা দূরে থাক, যুদ্ধের অতি মিথ্যা অতিরঞ্জিত বর্ণনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুললেই দেশদ্রোহী তকমা লেগে যাবে। যুদ্ধবাজ এই জনগোষ্ঠীর কাছে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ মানেই মুসলমানের সাথে যুদ্ধ। অতঃপর খানিক যুদ্ধ চ্যানেলে আর খানিক যুদ্ধ পথে ঘাটে মাঠে পাড়ায় স্কুল কলেজে প্রতিবেশীর উপর। অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রোটেকশন অফ সিভিল রাইটস জানিয়েছে ২২ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত ১৮৪টি বিদ্বেষ হিংসা ঘটেছে মুসলমান সমাজের উপর। তার পরেও আরো কত চলছে। বিভিন্ন জায়গায় কাশ্মীরের ছাত্রছাত্রীদের আক্রমণ করা হচ্ছে। এমনটাই বাড়াবাড়ি হয়েছিল যে কিছু মানবাধিকার সংগঠন ইচ্ছুক মানুষের কাছে ঠিকানা চাইছিলেন যেখানে অল্প সময়ের জন্য কাশ্মীরের ছেলেমেয়েরা আশ্রয় নিতে পারে। যথারীতি সাধারণ শালবিক্রেতা ফলওয়ালা আক্রান্ত হয়। অন্যদিকে এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দকে খালি করার হুমকী দেওয়া হয়। মুসলমানদের সরাসরি বয়কটের ডাক দেওয়া হয়।


একটা হেস্তনেস্ত হয়েই যাবে এবার এই ভেবে এ দেশের শিক্ষিত পরিশীলিত বুদ্ধিজীবীরা একেবারে মনের কথা উগরে দিয়েছেন, যুদ্ধের চেয়েও বড় ক্ষত যা তৈরি করে দিল। যারা প্রগতিশীলতার নৌকা টলমল করছে ভেবে পক্ষ পরিবর্তনের কথা ভাবছিলেন, তারা তাড়াহুড়ো করে নিজেদের আসল চেহারা প্রকাশ্যে আনলেন। গালিগালাজের জয় হল।


রবীন্দ্রনাথের দেশে যুদ্ধ বিরোধী কথাবার্তা বলাই এখন রাজদ্রোহ, যে কোনো মুহূর্তে মানুষকে দাগিয়ে দেওয়া যাবে রাষ্ট্রবিদ্বেষী বলে। যুদ্ধ নয় শান্তি চাই বলে যারা আওয়াজ তুলতেন, কলমে লিখতেন তারা হয় অবসর নিয়েছেন অথবা হিন্দুত্ববাদী জমানায় নিজেদের পুনর্বাসিত করেছেন। যারা যুদ্ধের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন তাদের উপর সরাসরি হিন্দু রাষ্ট্র অনুগামীরা হামলা করেছে। অদ্ভুতভাবে বাঙালির অস্তিত্বের উপর (সবার হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, চেতনাতে নজরুল) রোলার চালিয়ে দিয়ে যে লোকটা কুসুমে কুসুমে রক্তের ছাপ রাখতে চাইছে, তাকে কেউ গ্রেপ্তার করে না। গ্রেপ্তার হন অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলি মাহমুদাবাদ কারণ তিনি সেনাবাহিনীর সোফিয়া কুরেশীর প্রতি দরদ উথলে ওঠা হিন্দুত্ববাদীদের পরিসরটা একটু বড় করে গণপিটুনিতে নিহত মুসলমান মানুষকেও তার অন্তর্ভুক্ত করার কথা লিখেছেন। ইসলামোফোবিয়া এখন আমাদের এমনই গ্রাস করেছে যে সোফিয়া কুরেশীর মত সেনানীকে জঙ্গির বোন বলে ভাবতে পারছেন নির্বাচিত প্রতিনিধি।তাঁকে অবশ্য গ্রেফতার করা হয় না। নিদারুণ হত্যাকাণ্ডে স্বামী হারানো মেয়ে যদি প্রতিহিংসার কথা না বলেন তবে তার প্রতি সমস্ত সহমর্মিতা উল্টে গিয়ে সদ্য বিধবার চরিত্র নিয়ে কটাক্ষ শুরু হয়। যুদ্ধোন্মাদ হিংস্র ভারতে সবই সম্ভব।

বিদেশের এক বিশিষ্ট সংবাদপত্র এই আশঙ্কা ব্যক্ত করে যে  কীভাবে দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের যুদ্ধ টিভি অ্যাঙ্করেরা চালিয়ে যাচ্ছিল।‌কথায় কথায় পরমাণু অস্ত্র চালিয়ে দেব যারা বলছেন তারা কি কখনও ভেবেছেন যে ভারত ও পাকিস্তানের মত কাছাকাছি দেশের কোনো একটি যদি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে তাহলে গোটা উপমহাদেশের কী অবস্থা হবে। লেখক অমিতাভ ঘোষ একবার দিল্লি এবং পরে লাহোরে সরকারি আধিকারিকদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন পরমাণু যুদ্ধের ঘটনা ঘটলে সুরক্ষা জনিত ব্যবস্থা কীধরনের আছে। জানা গেল কিছুই প্রায় নেই। অথচ আমাদের আস্ফালনের শেষ নেই।  


কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের ধারাভাষ্য দিয়েছিলেন সঞ্জয় দৃষ্টিহীন ধৃতরাষ্ট্রকে।‌ সেখানে সঞ্জয়ের প্রধান দায়িত্ব ছিল এই যে তিনি  যেমনটি দেখছেন তেমনটিই বলতে হবে। আজ এই ডিজিটাল দুনিয়ায় নানান কারিকুরি তে নির্মিত সত্যকে সত্য বলে চেনাই যাচ্ছে না।‌ সাংবাদিকের সঞ্জয় ধর্ম কে পালন করবেন? হিরন্ময় পাত্রে ঢাকা সত্যের আবরণ অপসৃত হলে যখন সবার উপরে, হ্যাঁ, দেশেরও উপরে মানুষ সত্য বলে প্রতিভাত হবে, তখন!

1 Comments

Pallav Bhattacharya

22 May, 2025

Brilliantly penned. Succinct. Precise. No nonsense. Just bared the plain and simple truth.

Post Comment