ভারতের রাজধানী দিল্লির লাগোয়া অন্যান্য রাজ্য, যেমন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ এবং ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন-এর সীমান্ত রয়েছে রাজধানীর সঙ্গে। এমনই একটি সীমান্ত সিংগু সীমান্ত, যেখানে ভারতের অন্নদাতা কৃষকরা তাঁদের ফসলের ন্যায্য দামের দাবিতে ধর্ণায় বসেছেন। তাঁদের আন্দোলনের এক অন্যতর কর্মসূচি হলো রিলায়েন্স পরিচালিত টোল প্লাজাগুলি বন্ধ করে দিয়ে যানবাহন চলাচল অবাধ করে দেওয়া, ইচ্ছেমতো হারে, সরকারের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আম জনতার পকেট কাটার ষড়যন্ত্রকে বেপর্দা করে সেই তস্করবৃত্তিকে নির্মূল করা। এই পর্বে আমরা দেশের হাইওয়েগুলিকে ঘিরে দোসর পুঁজির কারিকুরি নিয়ে আলোচনা করবো।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ভারত সরকার সড়ক উন্নয়ন পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে “টট” মডেল গ্রহণ করে। এই “টট” কথাটি আসলে এসেছে ইউরোপ থেকে, যেখানে এই মডেল চলছে দ্বিতীয়-বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী “পুনর্গঠন”-এর পর থেকেই। মার্কিন দেশের দেওয়া “পুনর্গঠন”-এর ঋণ শোধের এটি একটি পরিচিত পদ্ধতি হয়ে ওঠে। এই মডেল অনুসারে, মহাসড়ক বা হাইওয়ে-র যানবাহন চলাচলের ওপর ট্যাক্স বসিয়ে, সেই টাকায় রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ সহ অন্যান্য খরচা চালানোসহ রাস্তা তৈরির খরচা তোলা হবে। সেই খরচা উঠে গেলে এই ট্যাক্সও আর নেওয়া হবে না। ভারতে সরকারি নিয়ন্ত্রণে এই ব্যবস্থা চালু আছে বেশ কিছু দশক। সরকারি এই ব্যবস্থায় অনেক বছর ধরে অল্প ট্যাক্স নিয়ে এই খরচা তোলা হয়ে থাকে। এতে ব্যবসার গন্ধ কম। “টট” মানে দাঁড়াচ্ছে, “টোল-অপারেট-ট্রান্সফার”, আদ্যক্ষরগুলি মিলে “টট”। ভারতের জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ, বা ন্যাশানাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, বা এনএইচএআই ২০১৯-এর নভেম্বরে সিদ্ধান্ত নিয়ে এই বিশেষ ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাকে এই “টট” পদ্ধতিতে মহাসসড়ক বা হাইওয়ে ব্যবস্থাপনার সুযোগ দেওয়ার নীতি গ্রহণ করে। এই রকম একটি প্রকল্পের নাম “টট-বান্ডিল-৩”, যেখানে ৯টি মহাসড়কের কথা বলা হয়েছে। এই সড়কগুলির সম্মিলিত দৈর্ঘ ২ হাজার ২ শো ৬৫ কিমি।
এই সড়কের স্থানে স্থানে বেসরকারি সংস্থা তাদের পছন্দ মতো সংখ্যায় এবং পছন্দমতো অঙ্কের ট্যাক্স আদায় করার দায়িত্ব পাবে।
কিউব হাইওয়েস সংস্থার কথা দিয়ে গল্প শুরু করা সমীচীন হবে, কেন না এখানে দেশি, বিদেশি সংস্থা, বিশ্বব্যাঙ্ক, সব খেলোয়াড়ের দেখাই মিলবে। মার্কিন দেশের ফ্লোরিডা প্রদেশের পরিকাঠানো নির্মাণের একটি বেসরকারি ব্যক্তি মালিকানার সংস্থা, আই স্কোয়ার্ড। এই সংস্থাটি বিশ্বব্যাঙ্কের ব্যবসায়িক বেসরকারি ক্ষেত্রের লগ্নি সংস্থা, ইন্টারন্যাশানাল ফিনান্স কর্পোরেশনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই কিউব হাইওয়েস সংস্থাটির জন্ম দেয়। পরে এই সংস্থাটি আরও দুই লগ্নিকারীকে জুটিয়ে আনে, আবু ধাবি ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি এবং জাপানের মিৎসুবিশির নেতৃত্বে আরও একগুচ্ছ জাপানি লগ্নিকারী সংস্থা। বিপুল অর্থের মালিক এই কিউব সংস্থা ভারতের সড়ক পরিবহন ক্ষেত্রে বিরাট আকারে প্রবেশ করে, মোদি সরকারের এই দ্বিতীয় দফায়। ভারতে এই সংস্থার সড়ক সংক্রান্ত সম্পত্তির অর্থমূল্য, ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত প্রায় ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রায় অর্ধেক তারা কুক্ষিগত করেছে মোদি সরকারের এই দ্বিতীয় দফায়।
অনিল আম্বানির রিলায়েন্স ইনফ্রাস্টাকচার লিমিটেড-এর কাছ থেকে কিউব হাইওয়েস দিল্লি-আগ্রা টোল রাস্তাটির মালিকানার দখল নেয়, ব্যবসায়িক ভাষায় যাকে বলে “অ্যাকুইজিশন”। এর জন্য আম্বানি সংস্থাকে কিউব সংস্থা ৫১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয়। এর ফলে কিউব সংস্থা ভারতের অন্যতম ব্যস্ত এবং তাজমহলগামী ১৮০ কিমি দৈর্ঘের পর্যটনের দিক থেকে অনন্য রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন অঙ্কের ট্যাক্স সহ টোল বসানোর মালিকান পেয়ে যায় তিরিশ বছরের জন্য। জানুয়ারি ২০২০তে এই সংস্থাটি হায়দ্রাবাদের কেএনআর সংস্থার কাছ থেকে আরও তিনটি রাস্তাতে টোল বসিয়ে টাকা আদায়ের রাস্তা তৈরি করেছে।
আমরা আগেই দেখিয়েছি যে প্রায় সব দোসর পুঁজিপতিদের উত্থান মোদির হাত ধরে, মোদির গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীত্বের কালে, অথবা এনডিএ-র আমলে। সড়কের ক্ষেত্রেও সেই নিয়মের কোনও ব্যতিক্রম চোখে পড়ে না। যেমন, এনডিএ সরকার রিলায়েন্সকে সরকারি সংস্থা, ইন্ডিয়া পেট্রোকেমিক্যাল-এর শেয়ারের ২৬ শতাংশ প্রথমে দিয়ে দেয়। কালক্রমে, রিলায়েন্স সংস্থা, এই সরকারি সংস্থাটিকে দখল করে নেয়।
গুজরাট সরকারের বদান্যতায় সড়কের কিছু ক্ষুদ্র প্রকল্পের বরাত পাওয়ার পর রিলায়েন্স সংস্থা তাদের সেই “অভিজ্ঞতা” দেখিয়ে ভারতের সড়ক পরিকাঠামো সংক্রান্ত বড়ো বড়ো প্রকল্পে হাত বাড়ায়। এই রকম একটি প্রকল্প “ভারসোভা-বান্দ্রা সমুদ্র সাঁকো সংযুক্তি প্রকল্প”। এটিকে ভারতের সবচেয়ে বড়ো শহরের পরিকাঠেমো প্রকল্প বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, মহারাষ্ট্র রাজ্য উন্নয়ন নিগম অনিল আম্বানির রিলায়েন্স ইনফ্রাস্টাকচার সংস্থার সঙ্গে ৬৯৯৩ কোটি টাকার এক চুক্তিতে শীলমোহর দেয়। এই চুক্তিতে বলা হয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্য উন্নয়ন নিগম নিজে করার বদলে আম্বানির সংস্থাকে ভারসোভা-বান্দ্রা অঞ্চলকে সমুদ্রের ওপর দিয়ে একটি লম্বা সাঁকো মারফত সংযুক্ত করাবে। এই কাজের জন্য প্রযুক্তি, মাল-মশলা এবং নির্মাণ কাজ, সমস্ত কিছুরই বরাত এই সংস্থাকে দেওয়া হলো। স্বভাবতই, আম্বানির সংস্থার কাছে এত বড়ো কাজের জন্য না আছে প্রযুক্তি, না আছে সেই প্রযুক্তি রূপায়ণের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা। তাই আম্বানি সংস্থা দ্বারস্থ হয় ইতালির সংস্থা, আস্তালদি-র। এই আস্তালদি সংস্থার খোলা সমুদ্রে সাঁকো বানানোর প্রভূত অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই প্রকল্পে মুম্বাই শহরের বেলাভূমি থেকে প্রায় দু কিমি দূরত্বে একটি ৮ লেন-এর ১৭.১৭ কিমি লম্বা রাস্তা বানানো হবে, যার মধ্যে পড়বে সমুদ্রের ওপর দিয়ে একটি ৯.৬ কিমি লম্বা সাঁকো তৈরি। এর আগে মুম্বাইতে বান্দ্রা-ওর্লি-তে যে সমুদ্র সাঁকো রয়েছে, তার দৈর্ঘ ৫.৬ কিমি। বর্তমানের এই রাস্তা ও সাঁকোর সঙ্গে প্রস্তাবিত রাস্তা ও সাঁকোটি যুক্ত থাকবে। এই রাস্তা দিয়ে দিনে দু লক্ষ গাড়ি চলাচল করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই রাস্তা ও সাঁকোর কাজ শেষ হলে মুম্বাইবাসীদের মধ্যে যাঁরা গাড়ি ব্যবহার করেন, তাঁরা বর্তমানের ৯০ মিনিটের গন্তব্যের পরিবর্তে অনেক কম সময়ে যাতায়াত করতে পারবেন। বান্দ্রা-অর্লি রাস্তা ও সাঁকো ২০১০ সালে খুলে দেওয়ার পর ৪০ মিনিটের যাত্রার সময় কমে ১০ মিনিটে নেমে এসেছে।
জাতীয় সড়ক ৪৫ তামিলনাড়ুর ত্রিচি এবং ডিন্ডিগুল শহরকে সংযুক্ত করেছে। ৮৭ কিমি দৈর্ঘের এই সড়ক আদতে চার লেন-এর। এই রাস্তাটি রিলায়েন্স-এর পাওয়ার কথা। রিলায়েন্স দাবি করে যে “সরকারি দীর্ঘসূত্রিতার কারণে” তার এই বরাত পেতে দেরি হয়েছে, ফলে সংস্থার ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে। অতএব, ভারত সরকার রিলায়েন্সকে ক্ষতিপূরণ দিক। এই মামলা কোর্ট-এ উঠলে সরকারি দীর্ঘসূত্রিতার আসল পরিচয় মেলে। সরকার এই অযৌক্তিক দাবির মামলাটি স্রেফ হেলাফেলা করে লড়ে এবং মামলায় হেরে রিলায়েন্স সংস্থাকে এই বরাত সহ ২০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে রিলায়েন্সকে দেয়। এই খবর প্রকাশিত হওয়ামাত্র একদিনের মধ্যে রিলায়েন্সের শেয়ারের দাম বেড়ে যায় হু হু করে! ২০১৮ সালে এই শেয়ার পিছু দাম দাঁড়ায় ৪৮০ টাকা।
আমরা এবার চোখ ফেরাই ভারতের সিলিকন ভ্যালি, ব্যাঙ্গালুরু শহরের দিকে। বিদেশি পুঁজি আকর্ষণের তাগিদে এই আদি শহরের থেকে অনেক দূরে একটি আধুনিক এবং অবশ্যই বেসরকারি মালিকানায় এক বিরাট বিমানবন্দর তৈরি করা হয়েছে। শহর থেকে বিমানবন্দরে যাতায়াতের জন্য ঝকঝকে রাস্তাও বানানো হয়েছে, যা জাতীয় সড়ক ৭ নামে খ্যাত। ২০১২ সালে এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়ার পর জাতীয় সড়ক ৭-এ টোল বসানো হয়। এই টোল সংগ্রহের দায়িত্ব জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ দেয় একটি বেসরকারি সংস্থা, নবযুগ দেবনাহাল্লি টোলওয়ে প্রাইভেট লিমিটেড-কে। কর্নাটক সরকার এই বেসরকারি সংস্থাকে তার নিজের খরচে পুলিশি সুরক্ষা দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। টোল সংগ্রহ শুরু হতেই ট্যাক্সি চালকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা দেবনাহাল্লি দেওয়ানি আদালতে এই টোল সংগ্রহের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ পান এবং সাময়িকভাবে টোল সংগ্রহ বন্ধ হয়। এরপর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ তাদের নিজেদের খরচে ২৩ কিমি রাস্তা নতুন করে বানায় এবং অন্যান্য সমস্ত বেসরকারি বিমানবন্দরের মতো এই বিমানবন্দরের জন্যও উঁচু রাস্তা করে বিমানবন্দরের প্রবেশপথ নির্দিষ্ট করে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ তাদের নিজের চেষ্টায় টোল সংগ্রহের ওপর স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার জন্য আদালতে সওয়াল করে এবং সফল হয়। ট্যাক্সিগুলি যখন বিমানবন্দর থেকে শহরের দিকে আসে, তখন তাদের টোল দিতে হয়। টাক্সি চালকদের বক্তব্য যে এমনিতেই বিমানবন্দরে তাদের ট্যাক্সি রাখার জন্য ৭০টাকা ঘন্টা পিছু ভাড়া দিতে হয়, যে টাকা তারা যাত্রীদের কাছে থেকে নিতে পারে না। টোলের অবস্থানের জন্য টোলের টাকাও যাত্রীদের কাছ থেকে দাবি করা কঠিন, তাই এই সড়কে ট্যাক্সি চালিয়ে তাদের ক্ষতি হচ্ছে, কিন্তু টোল ব্যবসার লাভ হচ্ছে। সম্প্রতি এই টোলের ট্যাক্স তিন গুণ করে দেওয়া হয়েছে।
মোদি সরকারের একটি “প্রিয় প্রকল্প”-এর নাম “ভারতমাতা প্রকল্প”। এই প্রকল্পে জাতীয় সড়ক সংস্থাকে দু বছরের মধ্যে ৩৪,৮০০ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ করতে হবে। এই নির্মাণ কার্য চলবে “প্রাইভেট-পাবলিক-পার্টনারশিপ বা পিপিপি” মারফৎ। এই প্রকল্পের জন্য নিলামে অন্যতম দাবিদার আদানি গোষ্ঠী। এই প্রকল্পে ৬ লেন-এর রাস্তা বানানো হবে, যার দুটি অংশ পড়েছে আমাদের রাজ্যে। একটি অংশ পানাগড় থেকে পালশিট (৬৭.৭৫ কিমি দৈর্ঘের) এবং অন্যটি পালসিট থেকে ডানকুনি ( ৬৩.৮৩ কিমি দৈর্ঘের)। দুটি অংশই পড়েছে জাতীয় সড়ক ১৯-এ। যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ তাদের পিপিপির অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে ভারত সরকারকে জানিয়েছে যে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের নিজেদের বানানো এবং নিজেদের চালানো টোল-এ লাভ অনেক বেশি, কিন্তু সরকার তাদের নির্দেশ দিয়েছে যে ভারতমাতা প্রকল্পটি কেবলমাত্র পিপিপি মডেল-এই চালাতে হবে! অতএব, যা ভাবছেন ঠিক তাই ঘটলো। এই দুটি প্রকল্প আদানি গোষ্ঠী ২ এপ্রিল, ২০২১, ঘোর অতিমারি কালে কব্জা করলো, যদিও জাতীয় সড়ক প্রকল্পের আধিকারিকরা হিসেব কষে ভারত সরকারকে জানিয়েছিলেন যে এই দুই রাস্তা তাঁরা বানিয়ে নিজেরাই রক্ষণাবেক্ষণ ও টোলের ব্যবস্থা করলে তা পিপিপি-র চেয়ে ঢের লাভজনক হবে। আদানি গোষ্ঠী যথারীতি এটি “বিন্ড-অপারেট-ট্রান্সফার”, এই ভাবে চালাবে আগামী কুড়ি বছর। এই প্রকল্পের খরচ ২০২০.৯৩ কোটি টাকা। টোলের মূল্য আদানি সংস্থা একতরফা ভাবে ঠিক করবে।
দোসর পুঁজি এইভাবে জোট বেঁধে দেশের যাবতীয় সাধারণ সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে, পাশে পেয়েছে একদল রাজনৈতিক ফোড়েদের, যারা পশ্চাৎমুখী ধারণার অনুসারী, দেশ বেচে ব্যক্তিগত বিলাসব্যসনে মত্ত থাকতেই বেশি উৎসাহী। এদের হাত ধরেই আমরা ১৭৫৭ সালের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্বে প্রত্যাবর্তন করছি, তবে এবারে শেষ বিচারে কমেডি রূপেই, যদিও এখন চলছে স্বল্পক্ষণের ট্র্যাজেডির পালা।