পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

বাংলার বিস্মৃতপ্রায় মুসলিম বিপ্লবী

  • 14 September, 2022
  • 0 Comment(s)
  • 1365 view(s)
  • লিখেছেন : আবু সঈদ আহমেদ
একদিকে আজাদী কা অমৃত মহোৎসব পালিত হচ্ছে দেশ জুড়ে, আর অন্যদিকে আমরা ক্রমশ ভুলে যাচ্ছি, আমাদের এই বাংলার ব্রিটিশ বিরোধী বিদ্রোহের কথা, মুসলমান বিপ্লবীদের কথা।

শতাব্দীর পর শতাব্দী বাংলার মাটিতে উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলেছে। এই লড়াইয়ের ইতিহাসের এক বড় অংশ আমদের অজানা রয়ে গেছে। তার মধ্যে আমাদের উপমহাদেশের রাজনীতি বারংবার সাম্প্রদায়িকতা নামের দুষ্ট ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ায় আমাদের ইতিহাসচেতনায় বহু বিপ্লবীর ইতিহাস প্রায় মুছেই গেছে। এরই মধ্যে শান্তিময় রায়, সুপ্রকাশ রায়ের মতো সত্যপনিষ্ঠ মানুষ এই হারিয়ে যাওয়া বিপ্লবীদের নাম ইতিহাসের পাতায় জুড়তে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আজ এঁদেরই মধ্যে পনের জনকে আমরা ফিরে দেখবো। প্রকৃত ইতিহাস উন্মোচিত হলে আরও অজস্র বীরের সন্ধান পাওয়া যাবে সেটা সহজেই অনুমেয়। আশা রাখি অদুর ভবিষ্যতে কেবল ব্রিটিশ উপনিবেশবাদী নয়, পর্তুগীজ হার্মাদ এবং বর্মী মগদস্যুদের থেকে বাংলা মায়ের সম্মান বাঁচাতে যাঁরা জানের বাজি রেখেছিলেন তাঁদের স্মরণ করবো।

শামসের গাজী (১৭৫৭-৬০)

মারাঠা বর্গীহানা ও পলাশীর লড়াইয়ের পরে নবাবের শাসন দুর্বল হয়ে গেলে বাংলায় আমলা ও সামন্তপ্রভুদের মধ্যে ব্যাপক শোষণের প্রবণতা দেখা যায়।
এইসময় রোনাবাদ পরগণার চাকলাদার শামসের গাজী ত্রিপুরা রাজ্য, বর্মীমগ ও ব্রিটিশদের বসানো ক্রীড়নক নবাবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
কিছু যুদ্ধে সাফল্য পেলেও তিনি ধরা পড়েন ও মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত হোন।
তিনি আজও ভাটির বাঘ নামে পরিচিত।

আবু তোরাব চৌধুরী ১৭৬৭

মেঘনা মোহনার সন্দ্বীপ দ্বীপে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী ও তাদের তাঁবেদার গোকুল ঘোষাল,বিষ্ণুচরণ বসুর মত দুর্নীতিগ্রস্ত আমলাদের ব্যাপক শোষণ ছিল। এমতাবস্থায় সাবেক জমিদার আবু তোরাব চৌধুরী বিদ্রোহ করেন।
তাঁকে দমন করতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ক্যাপ্টেন নলিকিনকে পাঠায়।
আবু তোরাব চৌধুরী এই যুদ্ধে শাহাদাৎ বরণ করলেও চাষীরা ১৭৬৯এ আবার বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন।

ফকিরসন্ন্যাসী বিদ্রোহ


পলাশী, চুঁচুড়া আর বক্সারের যুদ্ধে জিতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার কার্যত শাসকে পরিণত হয়।
আর নবাব ছিলেন নামমাত্র শাসক।
এর জন্য দূর্নীতি চরমসীমায় পৌছলে বাংলায় বিভীষিকাময় দুর্ভিক্ষ্য নেমে আসে।
এই সময় মজনু শাহের ফকিররা সন্ন্যাসীদের সাথে মিলে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন। জমিদার পরিবারের সন্তান মতি সিংহ গিরি তাঁর শিষ্যত্ব বরণ করেন।
মুসা শাহ, চেরাগ আলি শাহ, পরাগল শাহ, করিম শাহ, মাদার বক্স, জারি শাহ ও রওশান শাহের মতো অন্যান্য ফকিররাও এই বিদ্রোহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।
এই বিদ্রোহ দমন হলেও কোম্পানী রাজ দুর্নীতিদমনের জন্য বেশ কিছু সংস্কার আনে।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই বিদ্রোহের ইতিহাস বিকৃত করে "বন্দে মাতরম"খ্যাত 'আনন্দমঠ' উপন্যাস লেখেন।

মহরম বিদ্রোহ, ১৭৮২

শ্রীহট্টে ১৭৮২ সালের ডিসেম্বরে ৮ই মহরম সৈয়দ পীরজাদা, সৈয়দ মহম্মদ মাহদী ও সৈয়দ হাদীর মতো নেতাসহ ৪ জন শহীদ হন।
বিদ্রোহীরা ব্রিটিশদের অনুগত দেওান মানিকচাঁদকে মেরে ফেললে, শ্রীহট্টের সুপারিন্ডেটেট তাঁদের মোকাবিলা করতে অগ্রসর হোন।
লিন্ডসের সামনেই বিদ্রোহীদের নেতা পীরজাদা ইংরেজ রাজত্বের অবসান ঘোষণা করেন।
লিন্ডসে অসিযুদ্ধে হেরে গেলেও ইংরেজঅনুগত কানুনগো মাসুদ বখতের পাঠানো জমাদার লিন্ডসেকে একটা পিস্তল এগিয়ে দেন। এই পিস্তল দিয়ে পীরজাদাকে খুন করেন।
এই জমাদারও এই লড়াইয়ে নিহত হন বলে মনে করা হয়।
লিন্ডসে তাঁর পরবর্তী জীবনে বেশ কিছু মৃত্যুর হুমকি পেতে থাকেন।
এর পরেও শ্রীহট্টে ১৭৮৬ সালে রাধারাম ও ১৭৯৯ সালে আগা মহম্মদ খানের নেতৃত্বে বিদ্রোহ হয়।

রংপুর বিদ্রোহ, ১৭৮৩

ব্রিটিশরা পানিপথ থেকে আগত দেবী সিংকে সামন্তপদে বসালে আমজনতার ব্যাপক ভোগান্তি শুরু হয়।
এই অবস্থায় নুরুদ্দীন বাকের জং বা লোকমুখে নুরুলদীন ১৭৮৩ সালে ব্রিটিশ কালেক্টর গুডল্যান্ডের কাছে ব্যর্থ প্রতিবাদ করেন।
এই ব্যর্থতায় কাকিনা, ফতেহপুর, ডিমলা, কাজিরহাট, টেপা সহ রংপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে।
কৃষকরা নুরুদ্দীনকে নবাব ঘোষণা করেন।
গুডল্যান্ডের অনুরোধে লেফটেন্যান্ট ম্যাকডোনাল্ড এই বিদ্রোহ দমনে এগিয়ে আসেন।
বেশ কিছুবার ব্যর্থ হয়ে ১৭৮৩ সালের ২২এ ফেব্রুয়ারী বিদ্রোহীদের শক্তঘাঁটি পাটগ্রামে ছদ্মবেশে লুকিয়ে এসে হামলা চালিয়ে নুরুদ্দীনকে আহত করে বন্দি করেন। এইযুদ্ধে নুরুদ্দীনের নায়েব দয়াশীল নিহত হোন।
কিন্তু এরপরেও কৃষকরা কর দিতে অস্বীকার করে প্রতিরোধ চালিয়ে যান।

পাগলপন্থী বিদ্রোহ

১৮২৪ সালে পাগলপন্থী বিদ্রোহ শুরু হয়। উত্তর ও পুর্ববঙ্গে এই আন্দোলন তীব্র হতে থাকে।
করম শাহ ও টিপু শাহ এই বিদ্রোহের নেতা ছিলেন। এই বিদ্রোহ ১৮৩৩ সালে থিতিয়ে আসে।


ফরাইজি বিদ্রোহ ১৮৩১-৭০

ফরাইজি আন্দোলন প্রথমে ধর্মীয়-সামাজিক সংস্কার আন্দোলন হিসেবে শুরু হয়েছিল। কিন্তু কোম্পানী ও অনুগত অভিজাতমহল থেকে এই আন্দোলনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
এরফলে শোষকশ্রেণীর সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। হাজি শরিয়তুল্লাহ এবং আব্দুল আজিজ এই আন্দোলনের নেতা ছিলেন। তাঁদের সংগ্রামকে হাজি শরিয়তুল্লাহর পুত্র মহম্মদ মহসীন বা দুদু মিয়া ও মহম্মদ আলাউদ্দীন বা নোয়া মিয়া এগিয়ে নিয়ে যান।

তিতুমীর ১৮৩১

সৈয়দ মীর নিসার আলি বা তিতুমীর স্থানীয় জমিদারের লাঠিয়াল ছিলেন। তিনি হজে গিয়ে মহম্মদ ইবন আব্দুল আজিজের আদর্শের ও সৈয়দ আহম্মদ বেরেলভির সাথে পরিচিত হোন।
হিন্দু জমিদারদের অত্যধিক কর আদায় এবং ধর্মপালনে বাধাপ্রয়োগে স্থানীয় মুসলিমরা ক্ষুদ্ধ ছিল। তিতুমীর এসময় দেবনাথ রায় ও কৃষ্ণদেব রায়ের মতো জমিদারদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। তিনি ডেভিস ও আলেকজান্ডারদের মতো সেনাপতিদের পরাজিত করেন।
এই অবস্থায় সতীদাহরদ খ্যাত চারজন ম্যাজিস্ট্রেটকে তিতুমীরকে দমনের জন্য পাঠান। এঁদের মধ্যে নদীয়ার ম্যাজিস্ট্রেট স্মিথ ১৮৩১ সালের ১৭ই নভেম্বর বারোঘরের কাছে পরাজিত হন।
তারপরের দিন বারাসতের কাছে নারকেলবেড়িয়া গ্রামে কোম্পানীর সেনারা তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা ঘিরে ফেলে। সেইরাতে তাদের রুখে দিলেও পরের দিন কয়েকঘন্টার মধ্যে বাঁশের কেল্লা ভেঙে পড়ে কামানের গোলায়। শহীদ হোন তিতুমীর। তাঁর সাথী গোলাম মাসুমকে বাঁশের ভাঙা কেল্লার সামনেই ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। বাকিদের দীর্ঘ কারাবাস হয়।

গাজী ইমামুদ্দীন

বেরেলভির সৈয়দ আহমদ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দিলে অনেক বাঙালি তাতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইমামুদ্দীন যিনি এই সৈয়দ আহমদ বেরেল্ভির অভিযানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তাঁরা ব্রিটিশ অধিকৃত অঞ্চলের বাইরে গিয়ে এক নিরাপদ স্থানে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেন। কিন্তু তাঁদের দল মূল বাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা অবস্থায় বর্তমান পাক-আফগান সীমান্তের কাছে ১৮৩১ সালে বালাকোটে শিখ সেনাদের হাতে আক্রান্ত হয়। ইমামুদ্দীন এই সংঘাতে প্রাণে বেঁচে যান যদিও শেখ মেঘুর মতো অনেক বাঙালি নিহত হোন। ইমামুদ্দীন বাংলায় ফিরে এসে তাঁর ধর্মীয়-সামাজিক কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যান।

ঢাকার সিপাহী বিদ্রোহ


১৮৫৭ সালে ভারতের অন্যান্য অংশে সিপাহী বিদ্রোহ শুরু হলে ভারতীয় সিপাহীদের অস্ত্র কেড়ে নেওয়া হয়। কিন্তু সিপাহীদের একটা অংশ অস্ত্রসমর্পণ করতে অস্বীকার করেন এবং আন্টাঘর ময়দানের কাছে তাঁরা প্রতিরোধ চালিয়ে যান। দীর্ঘলড়াইয়ের পর তাঁরা পরাজিত হোন। আন্টাঘর ময়দানের নাম হয় ভিক্টোরিয়া পার্ক যার এখনকার নাম বাহাদুর শাহ পার্ক। বিদ্রোহীদের কবর পরিচিত হয় গোর-এ-শহীদ মাজার নামে যা গোরা শহীদ বা ঘোড়াশহীদ মাজার নামে পরিচিত। পাতলু শাহ ঢাকায় মহাবিদ্রোহের আরেক নেতা ছিলেন।

চট্টগ্রামের সিপাহী বিদ্রোহ

রজব আলি খান কোম্পানীর ফৌজে হাবিলদার ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন। ব্রিটিশরা এই বিদ্রোহ দমন করে কিন্তু রজব আলি তাঁর সাথীদের নিয়ে পালিয়ে যেতে সফল হোন। ব্রিটিশরা কোনওদিন তাঁকে ধরতে সফল হয়নি।

সুন্দরবন বিদ্রোহ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের বছর ১৮৬১ সালে খুলনার বাদাবনে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন রহিমুল্লাহ।
তিনি উপনিবেশবাদী সামন্তপ্রভু ও নীলকরসাহেবদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যান। তিনি ব্রিটিশ সেনাপতি ডেনিস হেলিকে পরাজিত করেন। তাতে হেলির সর্দার লাঠিয়াল রামধন মালো নিহত হোন। তিনি এক অস্থায়ী পরিখা বানিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। কিন্তু ১৮৬১সালের ২৫এ নভেম্বর এক বিপুল বাহিনীর হাতে পরাজিত ও নিহত হোন।

মালদা ষড়যন্ত্র মামলা

নীলকর সাহেবদের জোরজুলুম বাংলার চাষীদের মনে চরম ক্ষোভ জাগিয়ে তোলে। এই অবস্থায় মালদায় ফরাইজি নেতা রফিক মন্ডল ও খুলনায় কাদের মোল্লার নেতৃত্বে বিদ্রোহ ঘনিয়ে ওঠে। ব্রিটিশরা রফিক মন্ডলকে গ্রেফতার করে আন্দামানে দীপান্তরিত করে ইংরেজ সরকার।

পাবনা বিদ্রোহ

১৮৭৩ সালে পাবনার কৃষকরা উপনিবেশবাদীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। এই বিদ্রোহে প্রথম দিকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন জমিদার ইশ্বরচন্দ্র রায়। তারপর জগুতলার খুদি মোল্লা এতে যোগ দেন। খুদি মোল্লাকে কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেন। যদিও সেসময় বঙ্কিমচন্দ্রসহ বহু বুদ্ধিজীবি এই বিদ্রোহের বিরোধিতা করলেও এই বিদ্রোহ সুন্দরবন, নোয়াখালি, ময়মনসিংহ, মুন্সীগঞ্জ, মাহদীগঞ্জ প্রভৃতি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই বিদ্রোহের প্রভাবে ব্রিটিশ রাজ ভূমি আইনে বেশ কিছু সংস্কার করে।

কাজী নজরুল ইসলাম

কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর বিখ্যাত কবিতা "বিদ্রোহী"র জন্য বিদ্রোহী কবি হিসেবে খ্যাত হয়ে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু সহ বহু বিপ্লবীর অনুপ্রেরণা ছিলেন। তিনি 'আনন্দময়ীর আগমনে' কবিতার জন্য কারাবরণ করেন, সেখানে তিনি দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে অনশন শুরু করেন। তিনি মুজাফফর আহমেদসহ অন্যান্য সহযোদ্ধাদের নিয়ে লেবার স্বরাজ পার্টি গঠন করেন যার ইস্তেহার আধুনিক ভারতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ দলিল। তাঁর দর্শন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সীমানা পেরিয়ে ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণা ছিল। তাঁর "কুহেলিকা" উপন্যাস ছিলো স্বদেশী বিপ্লবীদের নিয়ে লিখিত প্রথম গদ্যসাহিত্য।

এই বিপ্লবীদের কর্মযজ্ঞকে সাম্প্রদায়িক বলে দাবি করা ভুল। মজনু শাহের শিষ্য মতি গিরি, নুরুলদীনের নায়েব দয়াশীলের মতো অজস্র হিন্দু এই বিদ্রোহগুলোতে শামিল হয়েছিলেন। অন্যদিকে সিলেটের মাসুদ কানুনগো, সুন্দরবনের নীলকরসহ অনেক মুসলমান এনাদের বিরোধী ছিলেন। ভারতের স্বাধীনতার পর গান্ধীবাদী জাতীয়তাবাদী ও পরবর্তীদের ব্রিটিশ অনুগত হিন্দুত্ববাদীদের সরকার থাকায় এই সশস্ত্র বিপ্লবীরা উপেক্ষিতই থেকে গেছেন। এই উপেক্ষার দায়ভার বইতে হচ্ছে সমগ্র বাঙালি জাতিকে।

0 Comments

Post Comment