রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রদের বিদ্যালয় স্তরে টেক্সট বুকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান চর্চার পদ্ধতি এবং তার ক্ষেত্র সমূহ (নেচার অ্যান্ড স্কোপ) বলে একটা অধ্যায় থাকতো শুরুতেই। সেখানে নানাবিধ চর্চা পদ্ধতির আলোচনায় একটা পদ্ধতির কথা থাকতো, আদর্শগত পদ্ধতি। রাষ্ট্র পরিচালনার ভিন্ন ভিন্ন আদর্শগত মডেল এবং সেই অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তাদের কার্যবিধি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের টেক্সট বইয়ের সেই অধ্যায়টি থেকে আদর্শগত পদ্ধতি আলোচনাটি বর্জিত হয়েছে অনেকদিন। এটা খুবই ভালো কাজ হয়েছে। বাস্তবিকই, ক্লাসে আলোচনার সময় ছাত্রদের কাছে খটকা লাগতো, বিশেষত নির্বাচনী জোট গুলিকে নিয়ে তারা প্রশ্ন করত -- বিহারে আরজেডি যে আদর্শের উপর দাঁড়িয়ে, কংগ্রেসের বিরোধিতা করে, নির্বাচনে কিছু আসন জিতলো, তারপর তারা কোন যুক্তিতে জোট সরকার গড়তে গিয়ে কংগ্রেসের হাত ধরল? তবে কি রাজনীতিতে আদর্শের কোন স্থান নেই? ক্ষমতা দখল করাটাই প্রধান লক্ষ্য? আবার ভাবুন, ওই যুগেই পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট তৈরি হয়েছে সিআরএলআই সেই বাম জোটের শরিক হলো। আবার সেই দল জোট ছেড়ে বেরিয়েও গেল। সিপিআইকে বলা হয় দক্ষিণপন্থী কমিউনিস্ট পার্টি, তাকে নিয়ে বামফ্রন্ট কিভাবে হয়? কে বাম, কে ডান, সব একাকার। আর এসইউসিআই তো চিরকালই একক এবং অদ্বিতীয় বাম দল।
আমার নিজের কাছেই এই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর ছিল না। বোঝানোর চেষ্টা করেছি দীর্ঘমেয়াদি আদর্শের ভিত্তিতে একটি দল পরিচালিত হয়। এবং তার নিজস্ব রাষ্ট্র পরিচালনার পরিকল্পনা ও নীতি থাকে। কিন্তু সেই লক্ষ্য অর্জনের মধ্যপথে অনেক ছোট ছোট কৌশল অবলম্বন করতে হয় যা নিতান্তই সাময়িক। সেই কৌশলের অঙ্গ হল এই সমস্ত নির্বাচনী জোট এবং জোট সরকার। আমার পূর্ব অর্জিত জ্ঞান দিয়ে পরিস্থিতি সামলাতে চেষ্টা করি -- "The Party will obviously have to work out various interim slogans in order to meet the requirements of a rapidly changing political situation. Even while keeping before the people the task of dislodging the present ruling classes and establishing a new democratic State and government based on the firm alliance of the working class and the peasantry," (সিপিআইএম, পার্টি কর্মসূচি)। কিন্তু নিজের কথাটাই নিজের কানে বেসুরো লাগতো। যখন ছাত্র প্রশ্ন করত, নির্বাচনী কাজ কর্মের অনুশীলন আমরা তো সর্বদা চোখে দেখি। কিন্তু আদর্শের অনুশীলন ও সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রক্রিয়াটা কি? সেটা তো কোথাও চোখে পড়ে না। বোঝাও যায় না। কথাটায় যুক্তি আছে। শুধুমাত্র ধরা বাধা রাজনৈতিক শিক্ষা শিবির এবং সেখানে কতগুলো রাজনৈতিক মতবাদের আলোচনা হলেই তো আদর্শগত চর্চা হয় না। পার্টির প্রাত্যহিক ক্রিয়া কর্মে আদর্শের গুরুত্ব কতটুকু? প্রশ্ন করেছে যে পার্টিটা ১৯৬৪ সালে পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করল, তার কর্মকৌশল কিভাবে অতীত দক্ষিণপন্থী পার্টির গৃহীত ১৯৫১ সালের কৌশল বহাল রইল। কর্মসূচি পরিবর্তিত হলে অনিবার্যভাবেই কর্মকৌশল পরিবর্তন হওয়া দরকার। এটাতো অসংগতিপূর্ণ।
পার্টি সদস্যপদ গ্রহণ করার সময় যে ফর্ম পূরণ করতে হতো, সেই ফর্মে লেখা থাকতো - আমি পার্টির কর্মসূচি পড়েছি। এই কর্মসূচিকে রূপায়িত করতে আমি ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে পার্টির স্বার্থকে ও জনগণের স্বার্থকে রক্ষা করে চলতে সদা সচেষ্ট থাকবো। আমি কমিউনিস্ট সুলভ জীবন যাপন করব। পার্টির গঠনতন্ত্র ও সংবিধান মেনে চলবো। এই সমস্ত প্রতিজ্ঞা গুলি করা হতো কর্মসূচিটা না পড়েই, গঠনতন্ত্রটা না জেনেই। অতএব একজন পার্টি সদস্য হিসেবে আমার প্রতিজ্ঞা গুলির প্রতি, প্রতিজ্ঞা পালনের প্রতি, দায়বদ্ধতা থাকলো না। সহজেই বলা সম্ভব হলো, পার্টি সম্মেলনে গলদা চিংড়ি খাওয়ানো যাবেনা, কর্মসূচিতে একথা তো বলা নেই। ২২ লাখ টাকা দামের গাড়ি চাপা যাবে না, কর্মসূচিতে এ কথা তো বলা নেই। যুবভারতী স্টেডিয়ামে কিশোরকুমার, রুনা লায়লাকে নাচানো যাবে না, পার্টি কর্মসূচিতে এমন কথা তো বলা নেই। অর্থাৎ আমি বলতে চাইছি পার্টির লিখিত কর্মসূচি গঠনতন্ত্র এগুলির সঙ্গে, পার্টি সদস্যের ভাবনা চিন্তা আচরণের সঙ্গতি না থাকার ব্যবস্থা পার্টি নিজেই তৈরি করে দিয়েছে।
এই সূত্রেই বোঝা যায় পার্টির বঙ্গীয় নেতৃকুল আর পার্টির ত্রিপুরা নেতৃকুলের বক্তব্যে বিস্তর পার্থক্য থাকাই স্বাভাবিক। ত্রিপুরায় কোন সাড়া শব্দ করার উপায় সিপিআইএমের নেই। তাদের জিজ্ঞাসা করুন তোমাদের প্রধান শত্রু কে? এবার একই প্রশ্ন করুন পশ্চিমবাংলায়, দেখবেন সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মী উত্তর। স্মরণ করুন, মানিক সরকার বলেছিলেন, তৃণমূলের তপ্ত তাওয়া থেকে বিজেপির ফুটন্ত তেলে ঝাঁপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত মূর্খামি। আবার এই সিপিআইএম কেরলে কংগ্রেসকে প্রধান শত্রু মনে করে, কারণ কেরল রাজ্যে সিপিএমের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস দল। তাহলে আদর্শের জায়গা কোথায়? সবটাই ক্ষমতার প্রশ্ন। এই ক্ষমতার প্রশ্নে, যে সব রাজনৈতিক দল নিজেদের সর্বভারতীয় বলে দাবি করবে, তারা একটি নির্দিষ্ট আদর্শগত অবস্থান ঘোষণা করতে পারবে না। আর করলেও বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যে সেই অবস্থান থেকে বিচ্যুতি ঘটতে বাধ্য। পলিট ব্যুরো, কেন্দ্রীয় কমিটি একরকম সিদ্ধান্ত নেবে, আর রাজ্য কমিটি গুলি ভিন্ন ধারায় চালিত হবে। পার্টির ঘোষিত সিদ্ধান্ত বা নীতির সাথে তার অনতিক্রম্য ব্যবধান।
বিহারে তখনো এস আই আর এর দৌরাত্ম্য ও দাপাদাপি চলছে এবং পশ্চিমবাংলায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এস আই আর এর বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করছে। ঠিক সেই সময় এরাজ্যে মহম্মদ সেলিম বা সুজন চক্রবর্তীরা ক্যামেরার সামনে সজোরে ঘোষণা করেছে, এস আই আর একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ইতিপূর্বেও বারে বারে হয়েছে। আমরা যখন সরকারে ছিলাম কই আমরা তো এর বিরোধিতা করিনি। ভুয়া ভোটার বাছাই হলে যাদের সমস্যা তারাই এ নিয়ে হইচই আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। গোল পাকাচ্ছে। এ রাজ্যের সিপিএম বেমালুম চেপে গেল যে, আগে ইনিউমারেটর বাড়িতে যেত, পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যদের নাম লেখা হত। তারপর একটি কপি পরিবারের হাতে সমর্পণ করা হতো এবং কার্বন কপিটি ইনিউমারেটর নিয়ে যেত। কোনদিন জানতে চাওয়া হয়েছে নাকি, কবে আপনি এ দেশে এসেছেন বা ২৫ বছর আগে আপনি ভোট দিয়েছিলেন কিনা? আপনার পরিবারের কোন সদস্য ২৫ বছর আগে ভোট দিয়েছে? তার বিধানসভার নাম, ভোটকেন্দ্রের নাম, পার্ট নাম্বার, সিরিয়াল নাম্বার, কাউকে বলতে হয়েছে? এসব তো জানতে চাওয়া হতো না। এস আই আর চলছে আর সীমান্তবর্তী ২৪ পরগনা নদিয়া জেলাগুলিতে সিএএ ক্যাম্প চলছে। নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা চলছে। এ কোনদিন হয়েছে নাকি ?
আসলে সুজন সেলিম রা ২০১৯ সালের মতোই খোয়াব দেখছেন। তারা ভাবছেন, আমরা তো ভোট পাই চার পাঁচ শতাংশ, আসন তো আমাদের শুণ্য। অতএব ভোটারের নাম বাদ গেলে শূণ্য থেকে আর কি কমবে। ভোটারের নাম বাদ গেলে যারা ভোটের সিংহভাগ দখল করে আছে তাদেরই ক্ষতি হবে। অতএব ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে এস আই আর কে সমর্থন জানানো হচ্ছে। ওপর ওপর লোক দেখানো কিছু প্রতিবাদের ন্যাকামি থাকবে। কিন্তু বুথ এলাকা পরিদর্শন করলেই বুঝতে পারবেন। এই ফর্ম পূরণ করার জন্য ভোটারদের সাহায্য করার উদ্যোগ সিপিআইএম দলের কোথাও কোথাও হয়তো আছে, কিন্তু তা খুবই নগণ্য। খুব বাছাই করা দু-একটি এলাকায় তারা এই কাজ করে থাকতে পারেন ব্যতিক্রম হিসেবে। সাধারণভাবে এই কাজে তাদের কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। ভাবটা যেন, "ষাঁড়ের শত্রু বাঘে খাক"। তারা কিছুটা মজা দেখছে। ফেসবুকে এমন লেখাও দেখেছি, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকারের সময়েও এস আই আর হয়েছে। কই সরকার তো বিরোধিতা করেনি। পিসি ভাইপোর ভয়টা কিসের? কর্মীদের এই মনোভাব থেকেই দলের মনোভাব স্পষ্ট।
এবার দেখা যাক বিহারে এসআইআর ঘোষণার পর সিপিআই(এম) পলিট বুরোর বিবৃতি (১৯শে জুলাই, ২০২৫): "...সমগ্র প্রক্রিয়াটি নানা লঙ্ঘনে ভরা, এবং সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত ভোট দেওয়ার অধিকারও এর মাধ্যমে অনেকের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হতে পারে। কোভিড মহামারীর আগে জনগণের দ্বারা ব্যাপকভাবে বিরোধিতা করা এনআরসি অনুশীলনটি চোরাগোপ্তা পথে প্রয়োগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইসি, যেটি এখন পর্যন্ত বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষে কাজ করেছে, এখন আরএসএস/সঙ্ঘ পরিবারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগী হয়ে উঠেছে। গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর এই আক্রমণ, যা সারা দেশে প্রসারিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তা হতে দেওয়া উচিত নয়..."
এবার চোখ রাখা যাক ১৩-১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ পলিটব্যুরোর সভায়। নির্বাচনী তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) সম্পর্কে কি বলা হয়েছিল : বারোটি রাজ্যকে টার্গেট করে চলমান বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) হল বিজেপি-আরএসএস জোটের সুপরিকল্পিত ও হিসেবী একটি রাজনৈতিক প্রকল্প, যা এক অনুগত নির্বাচন কমিশন (ECI) দিয়ে চালানো হচ্ছে। লক্ষ্য হল লক্ষ লক্ষ ভোটারকে পদ্ধতিগতভাবে বঞ্চিত করা। বিতর্কিত বিহার প্রক্রিয়ার অনুকরণে, SIR কঠিন ও প্রায় দুর্লভ ডকুমেন্টেশন, আর ২০০২ সালের পুরোনো ভিত্তি ব্যবহার করে কার্যত গোপনে এক নাগরিক নিবন্ধন (NRC) চালাচ্ছে। মূল উদ্দেশ্য—ভোটার জন বিন্যাস বদলে শাসক দলকে ফায়দা দেওয়া, সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত দুর্বল করা, যা নির্বাচনী গণতন্ত্রের উপর সবচেয়ে বড় আক্রমণ। আমাদের পার্টি ECI-এর নাগরিকত্ব নির্ধারণের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার চালাবে, কোন যোগ্য ভোটার যাতে বাদ না পড়ে তা নিশ্চিত করবে। একইসাথে, বিজেপি-EC-র যোগসাজশে যাতে কোন বহিরাগত ভুয়া ভোটার না ঢোকে, জনতার প্রতি সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।
লক্ষ্য করুন পশ্চিমবঙ্গের সিপিআইএম নেতৃত্ব সেলিম সুজনদের বক্তব্য আর পলিটব্যুরোর বক্তব্য সম্পূর্ণ বিপরীতমুখি। পলিটব্যুরোকে পার্টির ক্ষমতাসীন কেরল রাজ্যকে মাথায় রাখতে হয়, যেখানে ক্ষমতায় আসার কোন সম্ভাবনাই নেই সে রাজ্যের কথা স্মরণ রাখতে হয়, অর্থাৎ বারোটি রাজ্যকে ভেবে তার অবস্থান নির্ধারণ করে। সেলিম সুজনদের সেই দায়িত্ব নেই।
মানুষকে কিভাবে অসহায় অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের আগ্রাসনের সামনে ঠেলে দেওয়া হয়েছে তার একটা নমুনা বলছি। স্থানীয় একটি বুথ এলাকায় হেল্প ডেস্ক থেকে একটি সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা। নাম কমলা বালা রাউত। তার ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় কোন নাম নেই। সে জানালো বিয়ের আগে সে ডানলপ এস্টেটে থাকতো। সে মা-বাবার ২০০২ সালের কোন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। পারার কথাও নয়। কারণ ওই অঞ্চলটি এখন সপ্তগ্রাম বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ডানলপ লোকাল কমিটি একদা বাঁশবেড়িয়া বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত ছিল, আমার পুরনো রাজনৈতিক জ্ঞান থেকে বাঁশবেড়িয়ায় কমলার পিতা-মাতার নাম খুঁজতে চেষ্টা করলাম। ভাগ্য ভালো ভোট কেন্দ্রের নামটি কমলা বলতে পেরেছিল তারই সূত্র ধরে ওই বিদ্যালয় চারটি বুথের সন্ধান করলাম। কমলা অস্পষ্ট জড়ানো উচ্চারনে মায়ের নাম বলছে বানোয়ারি বা ঐরকম কিছু একটা। বাবার নাম বলছে শরনারি বা ঐরকম কিছু একটা। ওই জাতীয় কোনো নাম না পেয়ে বুথের হেল্প ডেস্ক থেকেই একজন স্বেচ্ছাসেবক প্রশ্ন করল এখন ডানলপে তোমার কে থাকে? কমলার উত্তর চাচা থাকে। তখন চাচা কে ফোনে ধরলো। চাচার স্পষ্ট উচ্চারণে বোঝা গেল পদবি হাঁড়ি। এরপর সমস্ত হাঁড়ি পদবি পড়ে শোনানো হলো কমলা কে। উদ্ধার হলো মা বানোয়ারি হলো আসলে ফুলবানো হাঁড়ি। ফুলবানো সংক্ষেপে বানো। বানোহাঁড়ি। আর তার স্বামীর নাম শিউশরণ হাঁড়ি। শিউশরণ সংক্ষেপে লোকমুখে শরণ। শরণহাঁড়ি। কমলা আগে ছিল হাঁড়ি, বিয়ের পর রাউত।
নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য "এই সমস্ত ভোটারকে পদ্ধতিগতভাবে বঞ্চিত করা। বিতর্কিত বিহার প্রক্রিয়ার অনুকরণে, SIR কঠিন ও প্রায় দুর্লভ ডকুমেন্টেশন, আর ২০০২ সালের পুরোনো ভিত্তি ব্যবহার করে কার্যত গোপনে এক নাগরিক নিবন্ধন (NRC) চালানো" এটা পলিটব্যুরো বুঝলেও এরাজ্যের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বোঝেনা। দলের শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কন্ট্রোল কমিশনের কোনো সতর্ক বার্তাও আসেনা। এদিকে ২৯ তম হাওড়া জেলা সিপিএমের মহিলা সংগঠনের সম্মেলনে, প্রকাশ্য সমাবেশে বৃন্দা কারাত এসে, বিহার নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে তুলোধোনা করে গেলেন। তিনি কমিশনের নিরপেক্ষতা ও পবিত্রতা সম্পূর্ণ বিনষ্ট বলে মন্তব্য করেন। এরাজ্যে যাতে বিহার মডেল কোন ভাবে কার্যকর না হয় সে সম্পর্কে সজাগ থাকতে আহ্বান জানালেন।
এই সব শুনে দেখে এবার আপনি কি বলবেন ?