পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

ফরাসী জনতার রায় - পশ্চিমে সূর্যোদয়

  • 13 July, 2024
  • 0 Comment(s)
  • 749 view(s)
  • লিখেছেন : নীলাশিস বসু
প্যারি কমিউন দুনিয়াকে দিয়েছিল সর্বহারার আন্তর্জাতিক সংগীত - ল্য ইন্টারন্যাশনালি। বিতাড়িত কমিউনার্ড ইউজিন পতিয়ের লন্ডনে বসে লিখেছিলেন 'লা ইন্টারন্যাশনালি'। উচ্ছ্বসিত ফরাসী জনতার সোচ্চার সমবেত কন্ঠে আজ আবার লা ইন্টারন্যাশনালি। জ্যঁ-লুক মেঁলশঁ প্যারিসের রাস্তায় সমবেত জনতার মাঝে মঞ্চে উঠছেন জনতাকে অভিবাদন জানাতে, লাখো লাখো জনতা সেখানে।

গোটা বিশ্বজুড়েই অতি দক্ষিণপন্থী ফ্যাসিস্ট শক্তির উত্থানে যে আশঙ্কার মেঘ জমছিল বিগত কয়েক বছর ধরে, সেই মেঘের আড়াল থেকে সূর্যরশ্মি উঁকি দিতে শুরু করেছে, এই কারণেই বোধহয় কবি লিখেছিলেন "মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে"। কয়েকদিন আগেই ইংল্যান্ডে কনজারভেটিভদের হারিয়ে লেবার পার্টির জয়ে একদম আহামরি কিছু পরিবর্তন না হলেও, একটু স্বস্তির নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পাওয়া গেছিল, এবার ফ্রান্স। গোটা বিশ্বের নজর ছিল কবিতার দেশ, ছবির দেশ, ভোলতেয়ার-রুশো'র দেশ, রোবস্পিয়রের দেশ, জ্যঁ পল সাত্রের দেশ কোনদিকে যাবে! বলা হচ্ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন ছিল এটা। ল্য পেনের মত অতি দক্ষিণপন্থী ফ্যাসিস্ট নেতার উত্থান তাই ফ্রান্স ফুটবল দলের তারকা খেলোয়াড়দেরও আশঙ্কিত করে তুলেছিল, ফরাসী ফুটবল ফেডারেশনের সতর্কবার্তা পাশে সরিয়ে রেখেই ল্য পেনকে হারানোর ডাক দিয়েছিলেন এমবাপ্পে। ফ্রান্স দেখিয়ে দিল; গত কয়েক বছর ম্যঁক্রো সরকারের শ্রম নীতির ফলে লাখ লাখ শ্রমিককে দেখা গেছে ফ্রান্সের রাস্তা অচল করে দিতে, আর শ্রমিকদের পার্টিই রুখে দিয়েছে ফ্যাসিস্টদের। ফ্যাসিস্ট শক্তির উত্থানকে আটকাতে সমস্ত ধরণের বামপন্থী, ওয়ার্কার্স পার্টি, সোশ্যালিস্ট পার্টিগুলো একজোট হয়ে লড়েছিল এবারের নির্বাচনে, গড়ে তুলেছিল নিউ পপুলার ফ্রন্ট। এবারের নির্বাচনে সবথেকে বেশি আসনে জয়ী হয়েছে এই জোট (১৮২টি আসন)। দ্বিতীয় স্থানে ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর অ্যালায়েন্স অ্যাসেম্বল(১৬৮টি আসন)। ফ্যাসিস্ট ল্য পেন'র ন্যাশনাল র‍্যালি অনেকটাই পিছনে তৃতীয় হয়েছে(১৪৩টি আসন)।

আশঙ্কা তো ছিলই, প্রথম দফার আভাসও আসছিল সেরকম যে ল্য পেনই হয়তো ক্ষমতায় বসতে চলেছে। ফ্যাসিস্টদের আটকাতে সর্বশক্তি দিয়ে নেমেছিল সবাই। কিন্তু আলাদা আলাদা জোট করলেও মাস্টার স্ট্রোক ছিল ১:১ প্রার্থী দেওয়া। অধিকাংশ জায়গাতেই বামপন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্ট আর মধ্যপন্থী ম্যাঁক্রোর অ্যালায়েন্স এনসেম্বল একের বিরুদ্ধে অন্যের প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেয়, ফলে অধিকাংশ জায়গাতেই সরাসরি লড়াই হয় ফ্যাসিস্ট ল্য পেন'র প্রার্থীদের সঙ্গে। পরিণাম, পার্লামেন্ট ত্রিশঙ্কু হলেও ল্য পেন অনেকটাই পিছনে তৃতীয় অবস্থানে আছে; এটাই স্বস্তির।

এবারে ইউরোপের দেশগুলির নির্বাচনে আরেকটা বড়ো ইস্যু অবশ্যই প্যালেস্তাইন সংহতির প্রশ্নটি। দেশের জনগণ প্যালেস্তাইনের পক্ষে, মার্কিন মদতপুষ্ট ইজরায়েলী হানাদারদের বিরুদ্ধে, কিন্তু রাষ্ট্রনেতাদের অবস্থান তার বিপ্রতীপে। তারই বহি:প্রকাশ দেখা গেছে ইংল্যান্ডের নির্বাচনে, বহু প্যালেস্তাইনপন্থী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন, খোদ করবিন জয়ী হয়েছেন। এবার ফ্রান্সেও সেই একই দৃশ্য, প্যালেস্তাইনের পক্ষে রায় দিয়েছেন মানুষ, লাল পতাকার সঙ্গে উড়ছে প্যালেস্তাইনের পতাকাও। অথচ প্যালেস্তাইনের পক্ষে বলার জন্য জাতীয় ফুটবল দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে করিম বেঞ্জেমা'র মত বিশ্বকাপ জয়ী, ব্যালন ডি'অর জয়ী ফুটবলারকে। দেওয়ালের লেখা রাষ্ট্রনেতারা পড়তে পারেননি; মানুষ কিন্তু নিরন্তর লিখে চলেছেন।
আশা ছিল, পৃথিবীর বুকে সাম্য-মৈত্রী-স্বাধীনতা'র পতাকা ওড়ানো প্রথম দেশটি এতো সহজে ফ্যাসিস্টদের জায়গা ছেড়ে দেবে না, প্যারি কমিউনের মাটি এতো সহজ ঠাঁই নয়, ৬৭'র আন্দোলনের দেওয়াল লিখন 'নো পাসরন' তাই এখন ফ্রান্স জুড়ে লেখা হচ্ছে। ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই ফ্যাসিস্ট শক্তি রাস্তায় নেমে পড়েছে, দাঙ্গা করছে, হাঙ্গামা করছে, ঠিক যেমন ট্রাম্প হারার পরে করা হয়েছিল, ফরাসী জনতার ওপর আশা আছে, এই বিষের বিষাদ সিন্ধুও তাঁরা পার করবেন।

প্যারি কমিউন দুনিয়াকে দিয়েছিল সর্বহারার আন্তর্জাতিক সংগীত - ল্য ইন্টারন্যাশনালি। বিতাড়িত কমিউনার্ড ইউজিন পতিয়ের লন্ডনে বসে লিখেছিলেন 'ল্য ইন্টারন্যাশনালি'। উচ্ছ্বসিত ফরাসী জনতার সোচ্চার সমবেত কন্ঠে আজ আবার লা ইন্টারন্যাশনালি। জ্যঁ-লুক মেঁলশঁ প্যারিসের রাস্তায় সমবেত জনতার মাঝে মঞ্চে উঠছেন জনতাকে অভিবাদন জানাতে, লাখো লাখো জনতা সেখানে। এতদিন বিশাল বিশাল ধর্মঘটে রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে খন্ড যুদ্ধ করা শ্রমিকরা উদ্বেল, আনন্দে আত্মহারা হয়ে নাচছেন নাচছেন যুবক যুবতীরা। এই উৎসবে সবার কন্ঠে ল্য ইন্টারন্যাশনালি - সর্বহারার আন্তর্জাতিক সংগীত - "শেষ যুদ্ধ শুরু আজ কমরেড / এসো মোরা মিলি একসাথ.. "।

বামেদের জয়ে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে যে বিষয়গুলো :

ফ্যাসিস্টদের চিহ্নিতকরণ : ল্য পেন'র নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল র‍্যালির উত্থান যে আদতে ফ্রান্সে অতি দক্ষিণপন্থী শক্তি হিসাবে ফ্যাসিস্টদের উত্থান, সেই বিষয়ে একমত হয় সমস্ত বাম দলগুলি। নয়া উদারনীতির সন্তান হিসাবেই ফ্যাসিস্টদের উত্থানের পথ ত্বরান্বিত হচ্ছে, সেই বিষয়ে কোনও দ্বর্থ্যতা বামদলগুলির ছিল না। জনমানসেও সেই ধারণা জোরালো হয়, ফলে প্রথম দফার ফল প্রকাশের পরে লি পেন'র ন্যাশনাল র‍্যালি'র এগিয়ে যাওয়ায় আশঙ্কিত হন ফ্রান্সের মানুষ। এমবাপ্পের মতো প্রভাবশালী খেলোয়াড়ও বিবৃতি দিয়ে অতি দক্ষিণপন্থীদের রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান। প্রথম দফায় ল্য পেন'র এগিয়ে যাওয়ার ফলে, ম্যাঁক্রো যখনই আইনসভা ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন, বিপ্লবের মাটি আবারও উত্তাল হয়ে ওঠে। লাখে লাখে শ্রমিকরা, তরুণ প্রজন্ম রাস্তায় নামেন। বামপন্থীরা বিশাল বিশাল জমায়েত করতে শুরু করেন। ফ্রান্সের জনমানস ফ্যাসিস্টদের কাছে মাথা নত করবেনা, এই প্রত্যয় প্রবল হয়ে ওঠে।

বামজোট ও বিকল্প কর্মসূচি : বিগত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বামপন্থীরা জোট গড়ে লড়লেও ২০২২ সালে সেই জোট ভেঙে যায়। বিভিন্ন ইস্যুতে প্রবল মতাদর্শগত বিতর্ক শুরু হয়। একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুড়িও কম হয়নি। কিন্তু দেশে ফ্যাসিবাদের কড়াল ছায়া দেখে অতি বামপন্থী হিসাবে পরিচিত  জ্যঁ-লুক মেঁলোশঁ আহ্বান জানান একটি যৌথ মঞ্চের। মেঁলোশঁকে বামপন্থীদের সব অংশ সমানভাবে পছন্দ করেন না। কিন্তু ফ্রান্সের শ্রমজীবি জনমানসে মেঁলোশঁ ও তাঁর ফ্রান্স আনবাউন্ড পার্টির প্রভাবকে কেউই অস্বীকার করতে পারেনা। উল্লেখ্য তারাই এবারের নির্বাচনে বাম জোটের মধ্যে সর্বোচ্চ আসন পেয়েছেন। ফ্রেঞ্চ কমিউনিস্ট পার্টি, সোশ্যালিস্ট পার্টি ও পরিবেশবাদী গ্রীনস্ পার্টি, ফ্রান্স আনবাউন্ডের সঙ্গে মিলে গড়ে তোলে ন্যাশনাল পপুলার ফ্রন্ট। এই বামজোটের নামকরণেও ফ্রান্সের ফ্যাসিবিরোধী লড়াইয়ের ঐতিহ্যকে সামনে এনেছেন ফরাসী বামপন্থীরা। গত শতকের তিনের দশকে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের ফ্যাসিবাদ বিরোধী তত্ত্বায়নের ফ্রান্সে ফলিত অনুশীলন ছিল এরকমই একটি ফ্রন্টের মাধ্যমে। ওই সময়ে ইউরোপ জুড়ে অতি দক্ষিণপন্থীদের উত্থানের প্রেক্ষিতে ১৯৩৬ সালে ফ্রান্সে ফরাসী কমিউনিস্ট পার্টি, র‍্যাডিক্যাল স্যোশালিস্ট রিপাবলিকান পার্টি ও শ্রমিক আন্তর্জাতিকের ফরাসী শাখা একযোগে 'পপুলার ফ্রন্ট' গঠন করে নির্বাচনে জয়লাভ করে ও সরকার গঠন করে। আড়াই বছরের শাসনকালে গণ অধিকারের পক্ষে বহু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ তারা নেয়। সেই ঐতিহ্যকে স্মরণ করেই আজকের সময়ে এই নতুন বামজোটের নামকরণ করা হয় ' নিউ পপুলার ফ্রন্ট'।
 

এই পপুলার ফ্রন্ট নিছক কিছু নির্বাচনী ইস্তাহারে সীমাবদ্ধ না থেকে তাদের ঘোষিত কর্মসূচিতে একদম গোড়ায় আঘাত করার চেষ্টা করেছে। নয়া উদারনীতির বিরুদ্ধে বিকল্প বাম কর্মসূচিকে তারা মানুষের সামনে হাজির করেছে। 'রুজি-রুটি-মজুরি' এই বুনিয়াদি দাবিকে তারা সবথেকে জোরের সঙ্গে নির্বাচনী অ্যাজেন্ডা বানিয়েছে। আজকের দুনিয়ার ফ্যাসিস্টদের উত্থানের পিছনে রয়েছে নয়া উদারবাদ। সেই ফ্যাসিস্টদের - ইউরোপীয় পরিভাষায় নিও ফ্যাসিস্টদের রুখতে হবে, আর রুখতে গেলে বিকল্প ন্যারেটিভকে তুলে ধরতে হবে, সেই তুলে ধরার কাজটা মাটিতে থেকে লাগাতার করে গেছে ফরাসী বাম জোট।

প্যালেস্তাইন ইস্যু : প্যালেস্তাইন ইস্যু এবারের ইউরোপের নির্বাচনগুলোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ল্য পেন ফ্রান্সের ভিতরে অভিবাসী নীতির বিষয়ে কঠোরতাকেই নিজের মূল উপপাদ্য বানিয়েছিলেন। ইজরায়েলী হানাদারিকে জায়েজ বলে প্রচার করছিলেন। কিন্তু সাম্য-মৈত্রী-স্বাধীনতার পতাকা তুলে ধরেছে যে দেশ, সেখানে এই মত জনমত নয়! বামপন্থীরা দৃঢ়ভাবে প্যালেস্তাইনের স্বাধীনতা রক্ষার প্রশ্নে, মার্কিন মদতে ইজরায়েলী হানাদারির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তারই প্রতিফলন সর্বত্র। বামপন্থীদের জয়ের পরে তাই লাল পতাকা, ফরাসী জাতীয় পতাকার সঙ্গে একযোগে উড্ডীন প্যালেস্তাইনের পতাকা। মেঁলোশঁ ঘোষণা করেছেন, বামপন্থী সরকার হলে আগে প্যালেস্তাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

নির্বাচনী ট্যাকটিস : এই নির্বাচনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে একদম শেষ পর্যায়ের ইলেকটোরাল ট্যাকটিক্যাল অবস্থান। ক্ষমতাসীন থাকা মধ্যপন্থী অ্যালায়েন্স এনসেম্বল আর বামপন্থী জোট ন্যাশনাল পপুলার ফ্রন্ট শেষ পর্যায়ে এসে প্রায় দু'শোর ওপর আসনে ট্যাকটিক্যাল সমঝোতা করে। একের বিরুদ্ধে এক, এই নীতিতে একে অপরের বিরুদ্ধে থাকা প্রার্থী তারা প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় ল্য পেন'র প্রার্থীদের সঙ্গে কোনও একজন মাত্র প্রার্থীর, ফলে ভোট ভাগাভাগি রুখে দেওয়া যায়। ল্য পেনকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে ক্ষমতাসীন মধ্যপন্থীদের সঙ্গে বামপন্থীদের এই ট্যাকটিক্যাল সমঝোতাই নির্বাচনী ফলাফলে ন্যাশনাল র‍্যালিকে ঠেলে দেয় তৃতীয় স্থানে।

আপাতত ফ্রান্সের আইনসভা ত্রিশঙ্কু অবস্থানে আছে; ৫৭৭ আসনের আইনসভায় কোনও জোটই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বামপন্থী পপুলার ফ্রন্টের সঙ্গে মধ্যপন্থী এনসেম্বলের জোট হয়ে সরকার গঠিত কিনা, নাকি বামজোট সবথেকে বেশি পাওয়া আসনের ভিত্তিতে সংখ্যালঘু সরকার তৈরি করবে তার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে, এই তিন জোটের বাইরের বেশকিছু বাম প্রার্থী ও নির্দল প্রার্থীরা জিতেছেন, তাদের অবস্থানের দিকেও আগামীতে নজর থাকবে। আগামী ১৮ জুলাই পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে নিজেদের গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে যিনিই আগামী প্রধানমন্ত্রী হবেন। ফরাসী জনতার কাছে এখনও সিঁদুরে মেঘ জমা আছে। ল্য পেনের ন্যাশনাল র‍্যালি তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও যথেষ্ট শক্তিবৃদ্ধি করেছেন। আগামী ২০২৫ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, দুর্বল হতে ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো'র ভবিষ্যৎ কি হবে তা অনিশ্চিত। লি পেন ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন তিনি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হবেন। আরও অনেকটা পথ হাঁটতে হবে ফরাসী জনতাকে, ফ্যাসিবাদকে সর্বত্র পরাস্ত করতে, তাদের জনজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করতে ফরাসী জনগণের লড়াই জারি থাকবে, বামপন্থীদের এই বিপুল জয় সেই লড়াইয়কে আরও গতি দেবে সেই আশা আছে। যে জনগণ একদিন বাস্তিল গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন, সেই ঐতিহ্যের মাটিতে ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনকে পরাস্ত করতে পারে কিনা, আমাদের আশাবাদী চেতনা তাকিয়ে থাকবে সেইদিকে।

0 Comments

Post Comment