কাশ্মীরের বৈসরণ উপত্যকায় জঙ্গি আক্রমণে নিহত হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ, যাঁরা ধর্মপরিচয়ে হিন্দু। সঙ্গে নিহত এক স্থানীয় কাশ্মীরি ঘোড়াওয়ালা, যিনি ধর্মত মুসলমান, কিন্তু জঙ্গিদের হাত থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিতে গিয়েছিলেন। আহত-ও বেশ কিছু। এই যে হানা এতে বেছে বেছে ধর্মপরিচয় জিজ্ঞাসা করেই হত্যা করা হয়েছে পর্যটকদের। এমনটাই দাবী গোদি মিডিয়ার। যদিও কেউ কেউ তাঁদের সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ধর্ম জানতে চেয়ে নয়, যেমন খুশী গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। শুধু পুরুষদের হত্যা করা হয়েছে এবং নারীদের বলা হয়েছে মোদিকে গিয়ে বলতে একথা। এসব কথাই এখন আমরা জানি। সঙ্গে জানি এই নৃশংসতা, অমানবিকতা, কাপুরুষতা সব দিক থেকেই নীচ, ঘৃণ্য এবং ক্ষমার অযোগ্য। তারপর?
তারপরের কথাগুলোও বড় নিষ্ঠুর। এই হামলার পর থেকেই দেখা গেল, পথে-ঘাটে আড্ডা-আলোচনায় এবং সামাজিক মাধ্যম বলে পরিচিত জায়গাগুলিতে আক্রমণ করা শুরু হোলো সেকুলারদের। তাঁদের অপরাধ? তাঁরা কট্টর হিন্দুত্বের বিরোধিতা করেন। ভারত রাষ্ট্রের অন্যতম সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হলেন মুসলমানেরা। গোরক্ষা থেকে রামের নামে তাঁদের হত্যা করা থেকে সন্ত্রস্ত করা এসবের বিরোধিতা করে চলেছেন সেকুলারেরা দীর্ঘকাল ধরে। গোঁড়া হিন্দুত্বের মুসলমান মানেই শত্রু, এই তাসটির বিরোধী এঁরা। অতএব কাশ্মীরে আক্রমণকারী জঙ্গিরা ইসলামের নামে যখন হত্যা করেছে, তখন এটা সম্ভব হয়েছে শুধু সেকুলারদের জন্য। পারলে বলেও ফেলা চলে সেকুলারেরাই চুপিচুপি সীমান্তের কাঁটাতার পার করে নিয়ে এসেছে জঙ্গিদের এই কাণ্ড করতে।
আসছি এ প্রসঙ্গে পরে। আগে লিখে নিই জর্জ জ্যাকব হলোয়েকের কথা যিনি প্রথম 'সেকুলারিজম' শব্দটি গঠন করেছিলেন। এই শব্দ দিয়ে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছিলেন? মুখ্যত তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন নৈতিকতা, দর্শন এবং সমাজ ও রাজনীতি সম্পর্কে ইহলৌকিক পন্থা হল সেকুলারিজম। এই সিদ্ধান্তে তিনি ক্রিশ্চিয়ানিটির বিরুদ্ধে অবধি গিয়ে পৌঁছেছিলেন। রাষ্ট্র এবং লৌকিক জীবন পরিচালনার জন্য ক্রিশ্চিয়ানিটির পরিবর্তে যুক্তি এবং বিজ্ঞান দ্বারা পরিচালিত একটি ব্যবস্থা চেয়েছিলেন তিনি।
"সেকুলারিজম হল তা যা মানুষের শারীরিক, নৈতিক এবং বৌদ্ধিক প্রকৃতির উন্নতি চায় সম্ভাব্য সর্বোচ্চ বিন্দু অবধি যা জীবনের তাৎক্ষণিক কর্তব্য - যা শেখায় প্রাকৃতিক মানচিত্রহীন নৈতিকতার মুখ্য পর্যাপ্ততা, নাস্তিকতা, আস্তিকতা অথবা বাইবেল বাদ দিয়ে যা নিজের পদ্ধতি হিসেবে বেছে নেয় এবং প্রস্তাব করে এইসব ধনাত্মক শর্তের সংযোগের সাধারণ বন্ধন হিসেবে, তাদের সবার জন্য যারা জীবনকে যুক্তি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং কর্মে তাকে মহান করছে।" - এই ছিল তাঁর বক্তব্য।
অর্থাৎ নাস্তিকতা, আস্তিকতা কিম্বা যে কোনো ধর্মগ্রন্থ বাদ দিয়েই আমাদের যে স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক নৈতিকতা আছে তা যথেষ্ট তাদের জন্য যারা জীবনকে যুক্তি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং কর্মে মহান করছে। যারা শারীরিক, নৈতিক এবং বৌদ্ধিক উন্নতির সম্ভাব্য সর্বোচ্চ বিন্দুতে যাবার চেষ্টা করছে তাদের জন্যও। সেটা করতে গিয়ে রামের দোষে শ্যামকে মারা, তুই করিসনি কিন্তু তোর বাবা করেছিল বলে তোকে শাস্তি দেবো মনোভাবে ভাবিত হওয়া ইত্যাদি সেকুলারেরা করতে পারে না। কারণ নিতান্তই নির্বোধের ভাবনা এগুলো। সেকুলারকে শারীরিক, নৈতিক এবং বৌদ্ধিক উন্নতির চরম বিন্দুতে পৌঁছোতে হবে যে। সেখানে অন্ধত্বের স্থান নেই।
আমাদের দেশে ধর্মনিরপেক্ষতাকেই সেকুলারিজম বলে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু সেটা আসলেই একটা আংশিক বিষয় মাত্র। ইউরোপের নবজাগরণের সময় থেকেই রাষ্ট্র এবং চার্চকে আলাদা করার জন্য হলোয়েকদের মত মানুষেরা লড়েছিলেন। তাঁরা যুক্তি দিয়ে বুঝেছিলেন কোনো ঈশ্বর মানুষের খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান ইত্যাদি মৌলিক সমস্যার সমাধান করতে আসবে না। পরিবর্তে বুঝিয়ে দেওয়া হবে নিজের পাপেই মানুষের এই দশা। ধর্মের এবং চার্চের মতে এর সমাধান ইহজগতে সম্ভব নয়, সম্ভব শুধু শেষ বিচারের পরে ঈশ্বরপুত্রের দেওয়া রায়ে। অর্থাৎ ধর্ম বা চার্চ স্পষ্টতই ইহজগতে মানব-সমস্যা যা আসছে ধনের অসমান বিভাজন থেকে, একদলের হাতে অনেক আর বেশীরভাগের হাতে কিছু নেই এই অবস্থা থেকে, এই পরিস্থিতির সমাধান করতে চায় না। পরলোক নিয়ে বেশী মাথাব্যথা। আর মাথাব্যথা যাতে কোনো অবস্থাতেই রাষ্ট্রশাসন যে ধনীদের হাতে তাদের যেনো কেউ বিড়ম্বিত না-করে সেই নিয়ে। এইটা যারা বুঝেছিলেন সেই সময়, তাঁরাই যুক্তিবাদী এবং সেকুলার হয়ে দাঁড়ান। অর্থাৎ ধর্মনিরপেক্ষতা শুধু নয়, ন্যায়-নৈতিকতার সামাজিক চেহারাকে বৌদ্ধিকভাবে যিনি খুঁজবেন, তিনিই সেকুলার। এইখান থেকে মানুষে মানুষে প্রকৃত সাম্যের ভাবনা খুব একটা দূরের ছিলো না। অতএব, সেকুলারকে আমরা ধর্মনিরপেক্ষ বলার চাইতে শুধু সেকুলার বললেই ভালো হয়।
সেই সেকুলার গালাগালির চেহারা পেয়েছে নানা ধর্মের ধর্মান্ধদের কাছে। যদিও তাদের বেশীরভাগ দরিদ্র, হতদরিদ্র, মধ্যবিত্ত - যে, যে কোনো সময় সব হারিয়ে নিম্নবিত্ত হয়ে যাবে; এদের কাছে সেকুলারিজমকে গুছিয়ে বেচে দেওয়া হয়েছে গালাগালি বলে এবং তারা হাতে ইন্টারনেট পেয়ে, মুহুর্মূহু বর্ষণ করে চলেছে এই গালি। সামনাসামনিও বলছে এবং অন্যদেরও উৎসাহ দিচ্ছে বলতে। অথচ ঐ হামলায় নিহত একজন মানুষের স্ত্রী, হিমংশীর কথা কিন্তু সহজ ও সরল। তিনি অবশ্যই বিচার চান কিন্তু তা করার জন্য সমস্ত মুসলমানদের বা দেশের সমস্ত কাশ্মীরিদের তাঁর জঙ্গী ভাবতে আপত্তি আছে। এবার কী বলবেন ঐ সঞ্চালকেরা ?
https://www.facebook.com/share/v/1BXHZMn1se/
সেকুলারদের প্রথম কাজটাই হল দেশের মানুষদের শারীরিক, নৈতিক, বৌদ্ধিক উন্নতি-সাধনে রত হওয়া। অর্থাৎ যিনি খেতে পাচ্ছেন না, তাঁর খাবারের দাবী তোলা। যাঁর ঘর নেই তাঁর জন্য ঘরের দাবী তোলা। এই একইভাবে বস্ত্র-শিক্ষা-স্বাস্থ্য-পরিবহন-পরিবেশ ইত্যাদি সব কিছু নিয়ে বৃহত্তর গণ-মানুষের জন্য দাবী তোলা। কিন্তু ভারত রাষ্ট্রের শাসকেরা, প্রাক্তনই হোক কিম্বা বর্তমান, কবে এসব দিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়েছে? তাদের চালনা করেছে নানা সময়ে নানা ধনী পরিবার বা স্বার্থগোষ্ঠী। টাটা-বিড়লারাই হোক, গোবলয়ের এবং পাঞ্জাবের ধনী চাষীই হোক, কিম্বা আজকের আদানি জাতীয়রা রাষ্ট্রের শাসকদের নিয়ন্ত্রণ করেছে নিজেদের আখের গোছাতে। কুৎসিত, নির্লজ্জ সম্পদের পাহাড় তৈরী করতে।
পৃথিবীতে সম্পদের পরিমাণ নির্দিষ্টভাবে সীমাবদ্ধ। তার নব্বই শতাংশ আজ ধনীদের হাতে। এদেশেও ব্যতিক্রম নয়। দেশের আশী শতাংশ মানুষ এখন ভয়াবহ দারিদ্রের সঙ্গে যুঝছেন। কারণ কুড়ি শতাংশের হাতে সব সম্পদ। তার মধ্যেও বিভাজন আছে। পাঁচ শতাংশ সম্ভবত একশো টাকার আশী টাকা দখল করে রেখেছে, বাকী পনেরো দশ টাকার জন্য মারামারি করছে এবং বাকী দশ টাকায় আশী শতাংশের জীবন কুলোচ্ছে না। বিশেষ করে গত শতকের নব্বই-এর দশকে মনোমোহন-প্রণব-চিদাম্বরম ক্লিকের সহায়তায় বিশ্বব্যাঙ্কের দাসত্বের অধীনে এই ভারত রাষ্ট্র তথাকথিত খোলাবাজারের নামে চলে যাবার পর থেকে অবস্থা দিনে দিনে শুধু সঙ্গীনই হয়েছে।
এই অবস্থায় জনমনকে প্রভাবিত করতে প্রয়োজন শত্রুর, যার প্রতি ঘৃণায় নিজের প্রতি হওয়া সব অবিচারের জবার আপাতভাবে অন্তত পাওয়া যাবে। ব্রিটিশ শাসনামলে দেশভাগের সময় এবং তারও আগের দাঙ্গা ইত্যাদি থেকে হিন্দু-মুসলমানকে শত্রু খাড়া করা হয়েছিল। দেশভাগের পর ভারতে মুসলমানেরা আরো সংখ্যালঘু হয়ে পড়লেন। সামগ্রিক ভাবে সমস্ত জনগণকে উন্নত জীবন দেবার পরিবর্তে একদা শাসক কংগ্রেসও ধর্মীয় তাস খেলতে থেকেছে। শাহবানু মামলাই হোক কিম্বা রামমন্দির কংগ্রেস ধর্মকে রাষ্ট্রনীতি প্রভাবিত করা আটকানোর বদলে মেনে নিয়েছে ধর্মের প্রভাব। রামমন্দির বলে বাবরি মসজিদের শিশু রামের বিগ্রহ-স্থাপন হিন্দু-তোষণ হয়নি, হয়েছে বিজেপি এবং তার মূল মাথা সঙ্ঘ পরিবার এবং অন্যান্য কট্টর সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল ইত্যাদির নেতৃত্বে হিন্দুদের জয়। আর শাহবানু মামলার রায়কে অমান্য করে তালাক নিয়ে কংগ্রেসের রাজীব গান্ধী সরকারের চরম প্রতিক্রিয়াশীল অবস্থান হয়েছে মুসলমান তোষণ।
কাকে বলব মুসলিম তোষণ? শিক্ষা, বস্ত্র, বাসস্থান সমস্যা মুসলমানদের মধ্যে কমে গিয়েছে? সরকারী কর্মক্ষেত্রে সংখ্যা বেড়েছে? জনস্বাস্থ্যব্যবস্থা তাঁদের কাছে সহজলভ্য হয়েছে আরো? না, এসব কিচ্ছু হয়নি। বরং বেড়ে গেছে অস্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা তাঁদের মধ্যে। স্বাধীন পেশা মানে কোনোক্রমে মাথা জলের উপরে রাখা। কৃষিক্ষেত্র থেকে নির্মাণক্ষেত্রে মুসলমান শ্রমিক সংখ্যা সর্বোচ্চ এখন। তাও কৃষিক্ষেত্রে ক্রম-সংকোচন ঘটছে নিযুক্তির। কট্টর হিন্দুত্বের বিপরীতে বেড়ে চলেছে কট্টর ইসলামিক মৌলবাদী চেতনা। কিছু কিছু সরকার মসজিদ নির্মাণ আর ইমাম-ভাতা দিচ্ছে বলে তোষণের অভিযোগ বাড়ছে, অথচ তারাই পুরোহিত-ভাতা দেওয়া কিম্বা মন্দির নির্মাণ করলে হিন্দু-তোষণের অভিযোগ বাড়ছে না। মধ্যিখান থেকে দেশের অন্যতম বড় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তলিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারে।
সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাষ্ট্রীয় মদতে সন্ত্রাস তাঁদের উপর। গোরক্ষা থেকে দেশাত্মবোধের নামে ভারতের নানা রাজ্যে, বিশেষ করে গো-বলয়ের রাজ্যগুলোতে, মুসলিম নিধন চলছে। চলছে ধর্ষণ থেকে বেলাগাম হিংসা। খুনী, ধর্ষকেরা সাজা পাবার পরিবর্তে বিজেপি জাতীয় দলদের কাছে সংবর্ধনা পাচ্ছে। তাদের নেতারা কখনো কবর থেকে মুসলিম নারী তুলে এনে ধর্ষণ করতে বলছে তো কখনো বলছে গোলি মারো শালে কো! কখনো চলছে বুলডোজার জাস্টিস। আইন-কানুনের পরোয়া না-করে মুসলমান হলেই, অপরাধের কোনো অভিযোগে তা সে যতই বানানো হোক না কেন, তার ঘরবাড়ি ভেঙে দাও। অথচ এসবের বিরুদ্ধে তো রাষ্ট্রের ব্যবস্থা নেবার কথা, যেহেতু তারা সংবিধান রক্ষার দায়িত্বে, যে সংবিধানে জ্বলজ্বল করছে ভারত রাষ্ট্রের সেকুলার হওয়ার কথা। এবং এসব নিয়ে তথাকথিত সেকুলার যাঁরা মুসলমানদের অনেক তোল্লাই দেওয়া হয়ে গেছে বলছেন তাঁরা কিন্তু একটি কথাও বলেননি কখনো। আর ঘোষিত হিন্দুত্ববাদী, নিজের পায়ে কুড়ুল মারা জনতা তো আরোই বলেনি।
না, রাষ্ট্র দায় নিচ্ছে না। তাই এগিয়ে আসতে হয়েছে তাঁদের যাঁদের নিজেদের এবং দেশের জনসাধারণের জন্য শারীরিক, নৈতিক এবং বৌদ্ধিক উন্নতির দায় আছে। অর্থাৎ সত্যিকারের সেকুলারদের। ওদিকে শাসকেরা তো বলছে দেশের সব কিছুর জন্য দায়ী একমাত্র মুসলমানেরা। তারা দেশে বাস করেও দেশদ্রোহী। তাদের আলাদা দেশ আছে পাকিস্তান। সেখানে চলে যাক। কিম্বা অন্য সে সব দেশে যেখানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। এটা হিন্দুদের জায়গা। ওরা চলে গেলেই হিন্দুদের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এই ন্যারেটিভটা কখনো পাল্টে যাচ্ছে রামমন্দির হলেই সব সমস্যার সমাধান থেকে কখনো কাশ্মীরি দেখলেই মারোতে।
সত্যি হবে তাই? তাহলে দলিত-শূদ্রদের হত্যা করা, প্রস্রাব করা গায়ে, তাদের নারীদের ধর্ষণ করা, মন্দিরে ঢুকতে না-দেওয়া এসব হচ্ছে কেন? কেন ব্রাহ্মণ, মূলনিবাসী মানুষদের ঘাড়ে পা রেখে হেঁটে যাচ্ছে পূজার অনুষ্ঠানে? সামগ্রিক ভাবে নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গদের উপর অত্যাচার বন্ধ হয়ে যাবে? শেষ হয়ে যাবে পুরুষতান্ত্রিকতা ও ব্রাহ্মণ্যবাদ। এসবও যদি বাদ দিই, সম্পদের বন্টনের কী হবে? মোদির প্রিয়পাত্র আদানির হাতে রেল থেকে বন্দর সব তুলে দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে? তার এবং তাদের মতদের হাতে থাকা সম্পদ বন্টিত হবে গরীব, মধ্যবিত্ত হিন্দু জনসংখ্যায়? অমিত শাহের ছেলে কিম্বা অজিত দোভালের ছেলে সৌদিতে ব্যবসা সৌদিরা মুসলমান বলে বন্ধ করবে? এমন অজস্র প্রশ্ন আছে। এমন অজস্র প্রশ্ন হয়। সে সব প্রশ্ন তোলে কারা?
কারা আবার সেকুলাররা? অতএব কাশ্মীরে জঙ্গিহানার জন্য আসলে সেকুলাররাই দায়ী এই প্রচারটা কাদের জন্য এবং কাদের দ্বারা তা কি বুঝতে অসুবিধে হয়?