পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় মুসলিম মুখ নেই অর্থাৎ মুখোশ নেই

  • 21 June, 2024
  • 0 Comment(s)
  • 686 view(s)
  • লিখেছেন : মনসুর মণ্ডল
বিজেপি একক গরিষ্ঠতার বুড়ি ছুঁতে না পারায় ও ধর্মনিরপেক্ষ বলে পরিচিত দুই দলের সমর্থন বিনা ‘ফির বার মোদি সরকার’ হওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিজেপির নেতৃত্বে সরকার হলেও এবার বুঝি সমঝে চলবে। মোদি সরকার গঠনে ঐ দুই দল মুখ্য সহায় হল বটে, কিন্তু ‘চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী’ প্রবাদ বচনে তুড়ি মেরে বিজেপি নিজের লাইনেই কদম বাড়াল। ৭৩ জনের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় একজনও মুসলিম মুখের ঠাঁই হল না। ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল।

২০২৩-এর সেপ্টেম্বরে সাংসদ কুনওয়ার দানিশ আলির প্রতি বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরির ঘৃণা-ভাষণ দেখিয়ে দিয়েছিল, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক প্রতিষ্ঠানকে বিজেপি ঘৃণা-বিদ্বেষের মঞ্চে পরিণত করেছে। আর ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পুরো সংসদীয় গণতন্ত্রের মঞ্চকেই ঘৃণা-বিদ্বেষের আখড়া বানিয়ে ফেলল।

বিদ্বেষ-দুষ্ট নির্বাচনী আবহে গণতন্ত্রের পরিসরে উদ্বেগ ঘনীভূত হয়েছিল— দলটা আবার ক্ষমতায় গেলে ধর্মীয় বিদ্বেষ-বিভাজনকে নিশ্চিত রাষ্ট্রের পবিত্র কর্তব্যে পরিণত করবে। ৪ঠা জুন চূড়ান্ত নির্বাচনী ফলাফলে অনেকে হয়তো আশ্বস্ততার জায়গাটা ফিরে পেয়েছিলেন যে, বিজেপি একক গরিষ্ঠতার বুড়ি ছুঁতে না পারায় ও ধর্মনিরপেক্ষ বলে পরিচিত দুই দলের সমর্থন বিনা ‘ফির বার মোদি সরকার’ হওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিজেপির নেতৃত্বে সরকার হলেও এবার বুঝি সমঝে চলবে। মোদি সরকার গঠনে ঐ দুই দল মুখ্য সহায় হল বটে, কিন্তু ‘চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী’ প্রবাদ বচনে তুড়ি মেরে বিজেপি নিজের লাইনেই কদম বাড়াল। ৭৩ জনের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় একজনও মুসলিম মুখের ঠাঁই হল না। ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল।

মোদি সরকারের আগের দুই মন্ত্রীসভায় মুসলিম মুখের সংখ্যাল্পতার মধ্য দিয়ে মুসলমান সম্পর্কে বিজেপির অনীহাই প্রকাশ পেয়েছিল। প্রথম মন্ত্রীসভায় দুই মন্ত্রকে ঘুরেফিরে তিনটি মুসলিম মুখ দেখা গিয়েছিল— যা যে কোন সময়ে সাকুল্যে দুই সংখ্যক ছিল। দ্বিতীয় মন্ত্রীসভায় একজনই মাত্র মুসলিম সংখ্যালঘু মন্ত্রকের মন্ত্রী ছিলেন, তিনি মুক্তার আব্বাস নকভি। ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-এর জপতপে উপেক্ষার ফুলমালায় ঢেকে দেওয়া হয়েছিল সে’মুখ। মুখ আসলে মুখোশে পরিণত হয়েছিল। আর গভর্নেন্সের ফাঁকতালে দেশের মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য থেকে পীড়ন সবই নিয়মে পরিণত করা হয়েছিল। এর কঠোর ও কদর্য রূপ দাঁড়িয়েছিল ‘বুলডোজার রাজ’। এবারের লোকসভা নির্বাচনে দেশজুড়ে মুসলমান বিদ্বেষকে অন্যতম কেন্দ্রীয় স্লোগানে পরিণত করা ছিল মুসলমান সম্প্রদায় সম্পর্কে তাদের কর্মপন্থার উল্লম্ফন। তার ধারাতেই এখন আর মুখ-মুখোশ-উপেক্ষার চক্কর নয়, রাষ্ট্রীয় পরিসরে মুসলমান সম্প্রদায়কে অপাংক্তেয় করে দেওয়ার আনুষ্ঠানিক সূচনা হল রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারক কাঠামো থেকে মুসলিমদের বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে।

বিজেপি সরকারি তখতে বসেই এই বিষয়ে আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ, এবং উদ্বেগজনকও, পদক্ষেপ নিয়েছে— ম্যান বুকার জয়ী লেখিকা ও জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মানে ভূষিত অধিকার আন্দোলনের ব্যক্তিত্ব অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইন ইউএপিএ-তে এফআইআর করার জন্য গত ১৪ই জুন দিল্লির উপরাজ্যপাল দিল্লি পুলিশকে অনুমতি দিয়েছেন। অভিযোগ, ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর দিল্লিতে ‘আজাদি : দ্য অনলি ওয়ে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় কাশ্মীর সম্পর্কে অরুন্ধতী রায় মত প্রকাশ করেছিলেন-- কাশ্মীর ভারতের অংশ ছিল না, ভারতীয় সেনাবাহিনী দিয়ে কাশ্মীরকে জোরপূর্বক দখল করা হয়েছিল  এবং জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা উচিত। এতে করে নাকি সম্প্রীতি নষ্ট করা ও বিদ্বেষ ছড়োনো হয়েছিল, জাতীয় ঐক্য বিঘ্নিত হওয়ার কারণ ঘটেছিল। ঐ আলোচনা সভায় কাশ্মীর সম্পর্কে ভারত সরকারের প্রতিকূল মন্তব্য করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল কাশ্মীর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ডক্টর শেখ শওকত হুসেনের বিরুদ্ধেও। এই অভিযোগে ঐ সময়েই কাশ্মীরের জনৈক সুশীল পণ্ডিতের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অরুন্ধতী রায় ও  শওকত হুসেনের বিরদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ১৫৩বি ও ৫০৫ ধারায় এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০২৩-এর অক্টোবরে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে খুঁচিয়ে তুলতে তৎপর হলে দিল্লির উপরাজ্যপাল এ নিয়ে নতুন করে মামলা করার অনুমতি দিয়েছিলেন। এখন তিনি তার সঙ্গে ইউএপিএ যুক্ত করে দিলেন।  

অরুন্ধতী রায় সেই অকুতোভয় ব্যক্তিত্ব, যিনি মোদি জমানায় মুসলিমদের উপর দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে একটানা কথা বলে গেছেন। ভারতে করোনাকালে যখন ‘করোনা জিহাদ’-এর ধুয়ো তুলে হিন্দুত্ব বাহিনী মুসলিমদের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষেপিয়ে বেড়াচ্ছিল ও যত্রতত্র মুসলিমদের উপর হেনস্থা-পীড়ন নামিয়ে এনেছিল, তিনি তখন এই ঘটনার সঙ্গে জার্মানিতে ইহুদি বিরোধী নাৎসি কার্যকলাপের সাদৃশ্য সম্পর্কে একাধিকবার দেশবাসীকে অবহিত করতে চেয়েছিলেন। কাশ্মীর সম্পর্কে যখনই তিনি কথা বলেছিলেন— সে’ মোদি জমানায় হোক অথবা  তার আগে— কাশ্মীরের মানুষের স্বাধিকার ও গণতন্ত্রের কথাই বলেছিলেন। কাশ্মীর সমস্যা ছিল স্বশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে ভারত রাষ্ট্র ও কাশ্মীরি জনগণের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব-সংঘাত। সেই জায়গায় কাশ্মীরে ইতস্তত মুসলিম জঙ্গি কার্যকলাপের পরিবেশে মোদি সরকার কৌশলে কাশ্মীর সমস্যাকে মুসলিম সন্ত্রাসবাদের পংক্তিভুক্ত করে দেয়। দেশে বিভেদকামী রাজনীতিতে তার ফায়দা কতখানি, ২০১৯-এ পুলওয়ামা-বালাকোটের ঘটনার মধ্য দিয়ে সমসাময়িক লোকসভা নির্বাচনে দেশপ্রেম ও (হিন্দু) জাতীয়তাবাদের ঢক্কানিনাদে চাক্ষুষ করা গিয়েছিল। স্বভাবতই অরুন্ধতী রায় মোদি জমানার পক্ষে বিপজ্জনক হিসেবেই চিহ্নিত হয়েছিলেন।

অরুন্ধতী রায়ের দিক থেকে মোদি সরকারের লাগাতার বিড়ম্বনার জবাব সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের আগে যা ছিল— তাঁকে আইনের মারপ্যাঁচে জড়িয়ে সমঝে দেওয়া-- এখন সেই জবাব ইউএপিএ জুড়ে কঠোর করা হল। ১৩ বছর আগের একটি আলোচনা সভার ঘটনা, যার প্রাসঙ্গিকতা এখন ছিটেফোঁটা অবশিষ্ট নেই এবং সম্প্রীতি নষ্ট করা, বিদ্বেষ ছড়ানো বা জাতীয় ঐক্য বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে অভিযোগের সারবত্তা কিছুই ছিল না বলে তখনই প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল, সেই প্রসঙ্গ ধরে এখন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ অভিযুক্তদের বাক্-স্বাধীনতা তথা মৌলিক অধিকারের উপর আঘাত তো বটেই, উপরন্তু বিষয়টি এই দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ যে, আঘাত নেমে এসেছে  কাশ্মীর ও মুসলমান-প্রাসঙ্গিকতায়।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা থেকে মুসলিমদের ব্ল্যাক আউট করা এবং অরুন্ধতী রায়ের প্রতি মোদি সরকারের শত্রুতা— এই দুটি ঘটনা দেশের মুসলমান সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও সম্ভাব্য অবস্থান সম্পর্কে প্রকৃতই এক মুখবন্ধ হিসেবে উপস্থিত হয়েছে। ঠিক আগের মোদি জমানায় বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে হিন্দুত্ব বাহিনীর মুসলমান বিরোধী কার্যকলাপে পুলিশ প্রশাসন, সিভিল প্রশাসনের মতো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলির হাত মেলানো থেকে সরাসরি রাষ্ট্রীয় পীড়নের বহু ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা যেখানে যে মাত্রায় ঘটেছে, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জনমত দানা বাঁধতে ঘটনাগুলির সেইমতো ভূমিকা থেকেছে । এই অপকীর্তিতে উত্তর প্রদেশ ছিল সবার আগে— বলা যেতে পারে পীড়নের নতুন নতুন পন্থা ও ক্রূরতায় এই রাজ্য ছিল পথপ্রদর্শক। ফলাফল-- এই রাজ্যে মানুষের পাল্টা জবাবে বিজেপির আসন সংখ্যা ৬২ থেকে ৩৩-এ নেমে গেছে। দুর্বৃত্তায়নেও শিক্ষা-বৃত্তি থাকে। নির্বাচনে বিজেপির অধোগতি তাকে আরও কৌশলী হতে শিখিয়েছে। এবারের মোদি সরকারের মুসলমান বিরোধী পদক্ষেপগুলি নখ-দাঁত বের করার মতো হবে না। আঘাত নামানো হবে সূক্ষ্মভাবে, প্রশাসনিক ও আইনের মারপ্যাঁচে, কিন্তু তীক্ষ্মভাবে। মোদি সরকারের মতিগতি দেখে মনে হয়, কাগজে-কলমে না হোক, কার্যত মুসলিমদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপই নেবে। আর সামাজিক স্তরে চিরাচরিত মুসলমান বিদ্বেষ-পীড়নের জন্য সংঘ পরিবারের বিবিধ বাহিনী তো মজুত আছে।

মোদি সরকারের পিছনে সবচেয়ে জোরালো সমর্থন যে দুটি দলের, সেই টিডিপি ও জেডি(ইউ)-এর ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে অনুকূল ভাবনা আছে, মুসলমান সম্প্রদায় সম্পর্কে তাদের নমনীয় অবস্থান আছে। টিডিপি উচ্চশিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে মুসলিমদের ৪ শতাংশ সংরক্ষণ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী যখন অন্ধ্র প্রদেশে গিয়ে নির্বাচনী গিমিক ছড়িয়েছিলেন কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে এসসি, এসটি ও ওবিসিদের সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নিয়ে মুসলিমদের দিয়ে দেবে বলে, চন্দ্রবাবু নাইডু তখনও মুসলিমদের ৪ শতাংশ সংরক্ষণের পক্ষে দ্ব্যর্থহীনভাবে কথা বলেছিলেন। মুসলমান সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষার প্রশ্নে জেডি(ইউ) সম্পর্কে বলা যায় যে, বিহারে বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী থেকেও নীতিশ কুমার মুসলিম প্রশ্নে নমনীয় অবস্থান ধরে রেখেছিলেন।  

এনডিএ সরকারে এরকম দুটি দলের উপস্থিতি সত্ত্বেও বিজেপি বিভেদকামী রাজনীতিতে মুসলিমদের নিয়ে সেরা বাজি ধরতে পারল, তাতে দলদুটির এখনকার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেই যায়। তার উত্তর বোধহয় এই যে, দলদুটি রাজ্য-রাজনীতির বাস্তবতার বাইরে কিছু ভাবতে প্রস্তুত নয়। এটা তাদের আঞ্চলিক রাজনীতির সীমাবদ্ধতা। এদিক থেকে মনে হয়, সংখ্যালঘু তথা মুসলিম প্রশ্নে তাদের অবস্থান যতটা নীতিগত, তার চেয়ে বেশি প্রয়োজনবাদী। সবচেয়ে অনুধাবনযোগ্য বিষয় হল, দুই রাজ্যের আশু দাবি, যথা বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা—উভয় রাজ্যেরই—তাদের কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী করে তুলেছে। তার বহর কতখানি, তা বোঝা যাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় দুই দলের জন্য বরাদ্দ মন্ত্রকের অতি ক্ষুদ্র কলেবরের দিকে চোখ রাখলে। উল্টোদিকে এই সম্ভাবনা রয়ে যায় যে, দুই দলের নিজ নিজ রাজ্যে মুসলমান সম্পর্কে অবস্থানে খোঁচা দিয়ে বিজেপি তার বিপদ বাড়াবে না। তার আগাম ইঙ্গিত হিসেবে চন্দ্রবাবু নাইডুর মন্ত্রীসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সভাপতির উপস্থিতিকে বিবেচনায় নিতে পারি।

ফলে দেশে বিদ্বেষ-বিভাজনের রাজনীতির যাত্রাপথে বাধার বেড়া তুলতে বিরোধীপক্ষের প্রচেষ্টাই ভরসার আসল জায়গা। ভারতের অর্জিত স্বাধীনতার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণভাবে গৃহীত সংবিধান এবং স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অনুশীলিত গণতন্ত্রের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও দেশবাসীর যা-কিছু প্রাপ্তি— এই দুটি স্তম্ভে ভর করে ইণ্ডিয়া ব্লকের মানুষের কাছে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা এক ভাল অংশের দেশবাসীকে আশান্বিত করেছিল। এই সূচনাই তাদের যাত্রাপথে মাইলস্টোন। এই পথ ধরে এগোতে পারলে মানুষের মজবুত সঙ্গ তারা পাবে।    

0 Comments

Post Comment