কারা যেন আজ দুহাতে খুলেছে, ভেঙেছে খিল,
মিছিলে আমরা নিমগ্ন তাই দোলে মিছিল।
দুঃখ-যুগের ধারায় ধারায়
যারা আনে প্রাণ যারা তা হারায়
তারাই ভরিয়ে তুলেছে সাড়ায় হৃদয়-বিল।
তারাই এসেছে মিছিলে, আজকে চলে মিছিল।।
কে যেন ক্ষুব্ধ ভোমরার চাকে ছুঁড়েছে ঢিল,
তাই তো দগ্ধ, ভগ্ন, পুরনো পথ বাতিল।
আশ্বিন থেকে বৈশাখে যারা
হাওয়ার মতন ছুটে দিশাহারা,
হাতের স্পর্শে কাজ হয় সারা, কাঁপে নিখিল।
তারা এল আজ দুর্বারগতি, চলে মিছিল
[সুকান্ত ভট্টাচার্য, আমরা এসেছি/ঘুম নেই]
যতই মর্মান্তিক হোক, যতই আমাদের নিভু নিভু বিবেকে সুনামি ঘটুক, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক হাউজস্টাফকে ধর্ষণ ও হত্যা (অথবা বয়ানান্তরে, হত্যা ও ধর্ষণ) এই দেশ বা রাজ্যের অর্থে কোনো নতুন ঘটনা নয়। পশ্চিম বঙ্গে প্রতি বছর এখানে ওখানে একটা না একটা হয়ে চলেছে। উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে গেরুয়া বলয়ে অবশ্য এ এখন প্রতি মাসের ঘটনা। কিন্তু আর জি করের ঘটনায় চতুর্দিকে যে গণ প্রতিক্রিয়া দেখা গেল, তার মধ্যে অনেক নতুনত্ব আছে, অনেক চমক আছে। গণ আন্দোলনের শক্তিগুলির জন্য অনেক কিছু শিক্ষণীয় জিনিস আছে। সেই কথাগুলি বলার জন্যই এই সামান্য লেখাটির প্রয়াস!
মেয়েরা রাত দখল কর।
এই যে একটা কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল যাদবপুর, কলেজ স্ট্রিট আর অ্যাকাডেমি চত্বরে, কে বা কারা এই প্রোগ্র্যামের কথা ভেবেছিল, পরিকল্পনা করেছিল, কাদের সঙ্গে কথা বলে ভেবেছিল, কজনকে জমায়েত করার ভাবনা ছিল, আমার ভালো করে জানা নেই। সেই সময় অনেক জায়গা থেকে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। অত রাতে মেয়েরা কী করে যাবে? যাদের গাড়ি আছে তারা যেতে পারবে, নয়ত যাদের পয়সা আছে অ্যাপ ক্যাব ভাড়া করে যাবে। কিন্তু যাদের সেই সব সংস্থান নেই, তাদের উপায় কী হবে?
এই একটা প্রশ্নের ধাক্কাতেই প্রশ্নকর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল, এ একটা এলিটিস্ট প্রোগ্র্যাম। মধ্যবিত্ত বিত্তশালী পরিবারের নারীদের শখের বিপ্লব। তারা এখন ফেসবুকের বাইরে বেরিয়ে কিছু একটা করে দেখাতে চায়। ইত্যাকার।
শুধু কি তাই? কঠোর মার্ক্সবাদীরা এর পর টেনে আনল শ্রেণি সংগ্রামের তত্ত্ব। শ্রমিক শ্রেণি কি এই জমায়েতে আসছে? গ্রামের চাষিরা? নিম্নবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষেরা, তাদের ঘরের মেয়েরা কি এতে যোগ দিচ্ছে? তারা যোগ দেবেই বা কী করে? আসার মতো পয়সা তাদের কোথায়?
আর শ্রেণি সংগ্রাম যখন এসেই গেল, রাষ্ট্রের প্রশ্নও কি না এসে পারে? এই যারা এই রাত দখলের ডাক দিয়েছে, তারা কি জানে, সমস্ত ধর্ষক আর খুনিদের পেছনে ভয়ঙ্কর স্বৈরাচারী জনগণের প্রতি দয়ামায়াহীন নিরঙ্কুশ শাসন আর বশ্যতার দাবিদার এক সর্বগ্রাসী রাষ্ট্রের অস্তিত্ব আছে? সেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এদের বক্তব্য কী? মনোভাব কী? সেই রাষ্ট্রকে আঘাত করার কোনো পরিকল্পনা না করে, কর্মসূচি না নিয়ে, শুধু একটা রাত ভর জমায়েত, কবিতাপাঠ নাচগান আর শ্লোগান, মোমবাতির প্রজ্জ্বলন ও প্রদর্শন—এই সব করে সেই খুনে রাষ্ট্রকে ভয় পাওয়ানো যাবে? নাকি, সেই গণ বিক্ষোভের জোয়ার সৃষ্টির কাজটা এর মধ্য দিয়ে পিছিয়ে যাবে?
এমনই আরও ভয়ানক ভয়ঙ্কর সব কথা।
কথাগুলো কি ভুল ছিল? আর যদি ভুল না হয়, তাহলে এই সমস্ত কথার বিরুদ্ধে আপত্তি তুলছেন কেন? না। কথাগুলি আদপে একটাও ভুল নয়। তবে অপ্রযোজ্য। খাটে না। সত্যের সঙ্গে ভালো কথার পার্থক্য হল, ভালো কথা সমূহ স্থান কাল পাত্র নির্বিশেষে যখন যেখানে খুশি বলা যায়। ইংরেজিতে তাকে বলে trite! অকেজো ঠিক কথা। ভুল জায়গায় ঠিক কথা। সত্য উচ্চারণের প্রেক্ষিত থাকে, শর্তাধীন ক্ষেত্র থাকে। নইলে তা অকার্যকর হয়ে যায়। অসত্য হয়ে যায়। লাগসই হয় না।
শ্রেণির প্রশ্ন, শ্রেণি সংগ্রামের প্রশ্ন, রাষ্ট্রকে চেনা আর চেনানোর প্রশ্ন অকার্যকর? অসত্য হয়ে যাবে? বলেন কী? জানেন, লেনিন—এই সব প্রসঙ্গে কী ব---?
ধৈর্য ধরতে হবে সাথী। কথায় কথায় লেনিন টেনে আনবার আগে দশ বার অন্তত মনে মনে ভেবে দেখবেন, ওনার কথাগুলি ঠিকঠাক বুঝেছেন কিনা। তা না হলে উদ্ধৃতি আর বচনের মধ্যে কোনো পার্থক্যই থাকবে না। একজন কমরেডের কড়া সমালোচনার উত্তর দিতে বসে শুরুতেই লেনিন তাঁর উদ্দেশে বলেছিলেন, Strong words are hardly ever strong arguments! সেটাও সম্ভব হলে স্মরণে রাখা দরকার। অন্যত্র এক ভিন্ন প্রসঙ্গে গ্যেঠের একখানি কবিতার এক পংক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন, “Grau, teurer Freund, ist alle Theorie und grün des Lebens goldner Baum” (বঙ্গার্থ: পেয়ারে দোস্ত, তত্ত্ব সবই ধূসর আর জীবন বৃক্ষটা হল চির সবুজ)!
সেদিনও ধৈর্য ধরার দরকার ছিল।
ধৈর্য ধরলে দেখা যেত, তিনটি মাত্র জায়গায় জমায়েতের আহ্বান প্রথম দিনের শেষেই সংখ্যায় বাড়তে শুরু করল, ঘন্টায় ঘন্টায় একে একে নানা জায়গার নাম যুক্ত হতে লাগল; দুদিন রোজ চোখে পড়ত, সংখ্যাটা কীভাবে তিরিশ, ষাট, . . . হয়ে প্রায় দুশয় পৌঁছল। সারা পশ্চিম বাংলার শহরে নগরে সেই বিখ্যাত নীল রঙা পোস্টার ছড়িয়ে পড়ল। তার ফলে?
তার ফলে যে যে প্রশ্ন উঠছিল সংশয়াকুল কঠোর মার্ক্সবাদী চিত্তের অঙ্গনে, তার সবই একে একে উত্তরের নাগাল পেয়ে গেল।
দূরে দূরে যাওয়ার সমস্যার আপনিই সমাধান হয়ে গেল। যে বা যারা রাতের সমাবেশে সামিল হতে চাইছে, তার পক্ষে হেঁটে, সাইকেলে, ভ্যান রিকশায়, স্কুটিতে, যাওয়া সম্ভব হয়ে গেল। ব্যক্তিগত গাড়ি থাকা না থাকা, অ্যাপক্যাব ভাড়া করার সামর্থ্য থাকা না থাকা সংক্রান্ত প্রশ্নগুলি প্রাসঙ্গিকতা হারাল। এলিটিজমের অভিযোগটা ক্রমশই এলিয়ে পড়তে লাগল।
খেটে খাওয়া মানুষের যোগদান?
সেও আসতে লাগল। পাড়ায় পাড়ায়, এলাকায় এলাকায় রিকশাওয়ালারা, অটোওয়ালারা জানাতে লাগল, তারা সারা রাত রাস্তায় থাকবে। যে বা যারাই কোনো জমায়েতে যেতে চাইবে তারা পৌঁছে দেবে। কোনো কোনো অটোওয়ালা আবার ঘোষণা করে বসল, দিদিদের থেকে তারা ভাড়ার পয়সা নেবে না। অনেক জায়গাতেই এই ঘোষণা বাস্তবে রূপ পেয়েছে।
জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়ার মানেই হল, মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, গায়ে গতরে খাটা মানুষও যোগ দিল। যোগ না দিলে প্রায় প্রতিটি জমায়েতে অত হাজার হাজার মানুষের ঢল নামল কী করে? হ্যাঁ, সংখ্যাটা বেড়েছিল কেন না নারীর পাশাপাশি অসংখ্য পুরুষও এতে যোগদান করেছে। প্রান্ত প্রান্ত থেকে ছাত্র যুবকরা এই রাত দখলের অভিযানে মেয়েদের পাশে সংগ্রামী সাথীর ভূমিকা পালন করেছে। একটা বড় আবেদন ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্যের প্রান্তে প্রান্তে। আলাদা করে কেউ কাউকে বলেনি, এই তুমি এস। কর্মসূচিটা দেখেছে, ঠিকানাটা লক্ষ করেছে, চলে গেছে। জমায়েতে গিয়ে বরং অনেকেই পরিচিতদের একে অপরকে দেখে খুশি মিশ্রিত অবাক হয়ে বলেছে, আরে, তুমিও এলে? খুব ভালো লাগছে।
দুঃখ ব্যথা বিহ্বলতা আর শোকের তুলনায় প্রোগ্র্যামটায় জড়ো হওয়া অনেকের মধ্যেই খুশি আর উৎসবের আমেজ বেশি ছিল না?
ছিল হয়ত। থাকারই কথা। মূল ঘটনাতে আমার হৃদয়ে ব্যথা, আর প্রতিবাদে এত মানুষ সামিল হওয়ায় আমার মনে আনন্দ—এই রকমই তো হয়। না হলেই বরং খারাপ। মার্ক্সবাদীরা বলে থাকেন, Revolution is the festival of the masses! বিপ্লবের সময় হত্যা মৃত্যু রক্তপাত ধ্বংস চলতে থাকে। সেটাই উৎসব হয়ে ওঠে কেমনে? জয়ের প্রত্যাশায়, অগ্রগতির ভরসায়, ভবিষ্যতের আনন্দে, মুক্তি আকাঙ্ক্ষায় দৃপ্ত মানুষদের পদক্ষেপে।
একটা রাতের জমায়েতকে বিপ্লব বলছেন? বিপ্লবের সঙ্গে তুলনা করছেন?
করছি।
শুধু এই জন্য করছি, মেয়েদের উপর আক্রমণ হলেই, ধর্ষণ হলেই, রাষ্ট্র, শাসন যন্ত্র, পুরুষতন্ত্র, উপযাচক অভিভাবিকারাও প্রশ্ন তোলে—“ও অত রাতে ওখানে কী করছিল?” রাত মানেই মেয়েদের একা একা বাইরে যেতে নেই, বাইরে একলা থাকতে নেই। রাত বিরেতে মেয়েদের বাইরে যেতে হলে পুরুষ অভিভাবক সঙ্গে থাকতে হবে, কম পক্ষে একটা পুরুষ বন্ধু থাকা উচিত। মনুর কথা পুরোটা না মানলেও খানিকটা তো মেনে চলা উচিত।
সেই দ্বিসহস্রচল মনুবাদের গায়ে মেয়েরা ঘা দিয়েছে। অর্ধেক আকাশের অধিকার পেতে হলে অর্ধেক রাতেরও অধিকার নিতে হবে। সেই রাত বাংলার সাহসী মেয়েরা নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। রাত শেষ হয়ে সূর্য উঠবে কবে—এই প্রশ্ন করেনি, করেছে, আজ সূর্য ডুববে কবে। অন্ধকার কখন হবে? গাঢ় অন্ধকার? তখন আমরা পথে থাকব।
এটাও বিপ্লব। হ্যাঁ, রাষ্ট্র বিপ্লব নিশ্চয়ই নয়। এই বিপ্লবে রাষ্ট্রও নিশ্চয় খুব বিরাট কিছু ভয় পায়নি। তবুও বিপ্লব। চেতনায় এক আমূল বদল। সংস্কারের দেওয়ালে এক মেরামতাতীত ফাটল। মাওয়ের ভাষায় সাংস্কৃতিক বিপ্লব। Revolution begins in the consciousness! এ সেই বিপ্লব। Women in themselves থেকে women for themselves-এর দিকে অভিযাত্রা। একে যদি বিপ্লব বলা না যায় কাকে বলব? মস্কোতে রেস্টুরান্টে রুশ বেয়ারাদের হাতে লেখা একটা বেয়াড়া পোস্টার দেখে জন রিড একদিন রুশ বিপ্লবের আসন্ন পদধ্বনি শুনতে পেয়েছিলেন: “আমাদের বখশিস দিয়ে অপমান করবেন না”। সেই জাতের বিপ্লব।
এই প্রথম সারা রাজ্য জুড়ে কয়েক লক্ষ নারীর এক একটা বিশাল জমায়েত হল, যেখান থেকে কাউকে একটা “এই দেখ, আমিও আছি” সেলফি তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করতে দেখিনি এখনও। সেখানে বিপ্লব!
এই বিপ্লবকে তো সেলাম জানাতেই হবে।
কিন্তু একেবারে অরাজনৈতিক কর্মসূচি যে! এর ভবিষ্যৎ কতটুকু?
না, অরাজনৈতিক নয়। স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মসূচি। Justice for RG Kar Victim! হত্যা ও ধর্ষণের বিচার চেয়ে রাজনীতি। খুনি ও ধর্ষকদের বাঁচানোর রাজনীতির বিরুদ্ধ রাজনীতি। কিন্তু দলীয় পতাকাহীন রাজনীতি।
কেন আজকের দিনে এত বড় একটা প্রতিবাদী কর্মসূচিতে দলগুলিকে বয়কট করতে হচ্ছে? দলগুলি এলে, পোড় খাওয়া নেতারা যোগ দিলে, তাদের সুশৃঙ্খল কর্মীবাহিনী সামিল হলে তো শক্তি বৃদ্ধি এবং অভিমুখ পাকা হওয়ার কথা। তারা এলে তো লাভ। তবুও আজ আন্দোলনকারীরা তাদের চাইছে না কেন?
অসংখ্য ঐতিহাসিক কারণে দেশের বামপন্থী দলগুলির গণ আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব প্রদানের প্রশ্নে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রায় তলানিতে। তাই তাদের হাতে মঞ্চ তুলে দিতে আজকাল সকলেই ভয় পায়। অন্তত দ্বিধাগ্রস্ত। টিএমসি ব্যস্ত এই হত্যা ও ধর্ষণ কাণ্ডে সম্ভাব্য জড়িত যারা সেই “ওদের” বাঁচানোর লক্ষ্যে।
আর বিজেপি? বিজেপি এখন সারা দেশেই ধর্ষকদের সবচাইতে নিরাপদ ও সস্নেহ আশ্রয়স্থল। উন্নাও হাথরাস কাঠুয়া থেকে শুরু করে মনিপুর পর্যন্ত সর্বত্রই বিজেপি-র কর্মকর্তারা এক একজন ধর্ষণবীর। মহিলাদের জমায়েতে তারা যাতে এমনকি পতাকা ছাড়াও ঢুকে পড়তে না পারে—সেদিকে সকলেরই ছিল কড়া নজর।
এই বাস্তবতা যারা মেনে নিয়েছে সেই রাজনৈতিক কর্মীদের এই কর্মসূচিতে সামিল হতে কোনো অসুবিধাই হয়নি। বরং এর মধ্য দিয়েই এই রাতের দখল নেবার অভিযান সেদিন সফল হয়ে উঠেছিল।
এতটাই সফল যে এর আবেদন পৌঁছে গেছে দেশের কোনায় কোনায়। দিল্লি বাঙ্গালুরুতে। আসামের রাস্তায়। গেছে সুদূর আমেরিকার বুকে, ইউরোপের দেশে দেশে। ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে, ঢাকা, খুলনা, রংপুর, নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায়।
ভুলচুক কি কোথাও কি কিছু হয়নি?
হয়েছে হয়ত। সেসবের হিসাব পরে নেওয়া হবে। সাধ্য মতো শুধরেও নেওয়া যাবে। কিন্তু একটা নতুন ফরম্যাটের বিক্ষোভ প্রদর্শনের, প্রতিবাদ জ্ঞাপনের যে তোরণ খুলে গেল, এই পথ দিয়ে গণ আন্দোলন আরও এগিয়ে যেতে থাকবে।
হতাশাগ্রস্তদের আজ গভীর দুর্দিন!