পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

ভারতের ‘শ্বেত বিপ্লবে’ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের শ্যেনদৃষ্টি

  • 01 January, 1970
  • 0 Comment(s)
  • 203 view(s)
  • লিখেছেন : দেবাশিস মিথিয়া
ভারতের দুগ্ধ খাতের বিশাল সাফল্যের পেছনে রয়েছে ড. ভার্গিস কুরিয়েনের “অপারেশন ফ্লাড”, যা ‘আনন্দ মডেল’-এর ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এটি সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামের ক্ষুদ্র চাষিদের (যাদের ২-৩টির বেশি গরু নেই) ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়েছে। এই মডেল গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড। এর ঠিক উল্টো ছবি দেখা যায় মার্কিন দুগ্ধ শিল্পে। সেখানে খামারগুলি যান্ত্রিক, কর্পোরেট-নিয়ন্ত্রিত এবং বৃহদায়তনের।

ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৃষি ও কৃষিভিত্তিক দুগ্ধজাত পণ্যের শুল্ক নিয়ে তীব্র টানাপোড়েন চলছে। নিজেদের কৃষিবাজারকে সুরক্ষিত রাখতে ভারত নির্দিষ্ট কিছু কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক বসিয়ে রেখেছে। আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে এই শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানালেও, ভারত তাতে রাজি হয়নি। এর জেরে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়ছে।

ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (বিটিএ) চূড়ান্ত করার জন্য কয়েক বছর ধরে আলোচনা চলছে। দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে বাণিজ্যের পরিমাণ কমবেশি ১৯০ বিলিয়ন ডলার। উভয় দেশই ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে, এই লক্ষ্যের পথে কৃষি ও দুগ্ধ খাত প্রধান বাধা হিসেবে রয়ে গেছে। সম্প্রতি, এই বাণিজ্য আলোচনা এক নজিরবিহীন জটে আটকেছে। আগস্ট ২০২৫-এ নয়াদিল্লিতে নির্ধারিত বিটিএ-এর ষষ্ঠ দফার আলোচনা হঠাৎ বাতিল হয়। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  ভারতের নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ওপর ২৫% শুল্ক কার্যকর করেছে যার মধ্যে ইলেকট্রনিক্স, গাড়ির যন্ত্রাংশ এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার অন্যতম । একই সঙ্গে, রাশিয়া থেকে খনিজ তেল আমদানি করার শাস্তিস্বরূপ ভারতের ওপর আরও ২৫% অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছে (মোট ৫০% শুল্ক)। এই উচ্চ শুল্ক ভারতীয় অতি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ক্ষুদ্র উদ্যোগ (এমএসএমপি)-এর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এছাড়াও  বস্ত্র, ইলেকট্রনিক্স এবং রত্ন-গহনার রপ্তানিকে  ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

 দুটি মডেলের মধ্যে বিস্তর ফারাক 

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ‘BL Agritech and Commodity’ সামিটে আমুলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়েন মেহতা দুগ্ধ পণ্যের ক্ষেত্রে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফ টি এ) বিরোধিতা করে বলেছিলেন, ভারতে দুধের আমদানি শুল্ক কমানো উচিত নয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে একটি প্রশ্ন ওঠে, উত্তর আমেরিকার তুলনায় ভারতীয় দুগ্ধজাত পণ্য সস্তা হওয়া সত্ত্বেও কেন আমুল আমাদের দুগ্ধ খাতকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফ টি এ) আওতায় আনতে এত ভয় পাচ্ছে? এক কথায় উত্তর হলো, দুটি দেশের দুগ্ধ উৎপাদনের মডেলের মধ্যে বিস্তর ফারাক।

ভারতের দুগ্ধ খাতের বিশাল সাফল্যের পেছনে রয়েছে ড. ভার্গিস কুরিয়েনের “অপারেশন ফ্লাড”, যা ‘আনন্দ মডেল’-এর ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এটি সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামের ক্ষুদ্র চাষিদের (যাদের ২-৩টির বেশি গরু নেই) ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়েছে। এই মডেল গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড। যেখানে ৮ কোটিরও বেশি চাষি প্রতিদিন তাজা দুধ সরবরাহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন এবং দেশের জিডিপি-তে প্রায় ৫% অবদান রাখে । এই মডেল মূলত প্রান্তিক চাষি-নিয়ন্ত্রিত ক্ষুদ্র আকারের ঘরোয়া উৎপাদন দ্বারাই পরিচালিত।

এর ঠিক উল্টো ছবি দেখা যায় মার্কিন দুগ্ধ শিল্পে। সেখানে খামারগুলি যান্ত্রিক, কর্পোরেট-নিয়ন্ত্রিত এবং বৃহদায়তনের। প্রতি গরুর দুধের ফলন ভারতের চেয়ে তিনগুণেরও বেশি (বছরে প্রায় ৭,৪০০ লিটার)। উন্নত প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের মোট দুধের প্রায় ৯৪% ব্যবহার করে গুঁড়ো দুধ, পনির, মাখন ও অন্যান্য উচ্চ-মূল্যের দুগ্ধজাত পণ্য তৈরি করে। এই প্রক্রিয়াজাত দুগ্ধ পণ্যের সাহায্যে তারা বিশ্ববাজারে নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম করে।

 মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিপদ 

এই তফাৎ জানার পরও কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন, ভারত যদি আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির জন্য দুগ্ধবাজার উন্মুক্ত করতে পারে, তবে কেন আমেরিকার জন্য নয়? এর উত্তর হলো, আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির দুগ্ধ উৎপাদনকারীদের এমন ক্ষমতা নেই যা দিয়ে তারা ভারতীয় দুধ ব্যবসায়ীদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্পোরেট পরিচালিত, ভর্তুকিপ্রাপ্ত, বৃহৎ আকারের দুগ্ধ উৎপাদন ব্যবস্থা ভারতের প্রান্তিক চাষি-নিয়ন্ত্রিত দুগ্ধ শিল্পকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি অনেক ক্ষেত্রেই উপকারী, কিন্তু দুগ্ধ খাতে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা সমান নয়। পশ্চিমী দেশগুলি তাদের দুগ্ধ শিল্পকে বাঁচাতে ও বিশ্ববাজার দখলে রাখতে করদাতাদের টাকায় বিপুল পরিমানে ভর্তুকি দেয়, যা তাদের উৎপাদন খরচ কৃত্রিমভাবে কমিয়ে দেয়।  মার্কিন সরকার ২০২৫ সালে সরকারি কৃষি সহায়তা ৯.৩ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৪২.৪ বিলিয়ন ডলার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু দুগ্ধ ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়ার জন্য রয়েছে ডেয়ারি মার্জিন কাভারেজ প্রোগ্রাম। দুগ্ধ ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকির কারণে মার্কিন উৎপাদকরা তাদের পণ্য কম দামে বিশ্ববাজারে বিক্রি করতে পারে।

বর্তমানে ভারতীয় দুগ্ধপণ্যের ওপর ৩০-৬০% আমদানি শুল্ক থাকায় দেশের বাজারে বিদেশি দুগ্ধ পণ্যের দাম বেশি যা দেশীয় দুগ্ধচাষিদের সুরক্ষা দেয়। কিন্তু যদি এই শুল্ক কমানো হয় বা সম্পূর্ণ তুলে নেওয়া হয়, তাহলে বিদেশি দুগ্ধ পণ্যের দাম নাটকীয়ভাবে কমে যাবে। এর ফলে বেকারি, হোটেল এবং রেস্টুরেন্টের মতো ফুডসার্ভিসে আমদানিকৃত দুগ্ধজাত পণ্যের চাহিদা বাড়বে, কারণ তারা খরচ কমানোর জন্য আমদানিকৃত সস্তা পণ্যের দিকে ঝুঁকবে। এতে স্থানীয় তাজা দুধের চাহিদা কমবে এবং দামও কমে যাবে, যা ভারতের প্রান্তিক দুগ্ধচাষিদের জীবিকাকে সংকটে ফেলবে। কারণ এই কৃষকদের রুটিরুজি প্রতিদিনের দুধ বিক্রির ওপর নির্ভরশীল।

 দুগ্ধ খাতকে শক্তিশালী করার এক কৌশলগত পদক্ষেপ 

ড. কুরিয়েনের “অপারেশন ফ্লাড”-এর হাত ধরে ভারতের দুগ্ধ খাতে বিশাল সাফল্য এসেছে। কিন্তু দুধের বাজার অবাধে খুলে গেলে গ্রামীণ অর্থনীতি বিপদে পড়বে, স্বনির্ভর দুগ্ধ শিল্পের স্বপ্নও শেষ হয়ে যাবে। তাই, ভারতের দুগ্ধজাত পণ্যকে ‘এফটিএ’ থেকে দূরে রাখতে পারলে কয়েক কোটি মানুষের জীবিকা রক্ষা পাবে এবং গ্রামীণ অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।

তবে মুক্ত বাণিজ্যের যুগে কোনো দেশই তার কোনো ক্ষেত্রকে সম্পূর্ণ আলাদা করে রাখতে পারে না। তাই ভারতকে তার দুগ্ধ খাতের বাজার উন্মুক্ত করার জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। সেই কথা মাথায় রেখে দেশের সরকারের নতুন পদক্ষেপ দুগ্ধ খাতে জিএসটি কমানো। এটি শুধুই কর সংস্কার নয়, বরং একটি কৌশলগত পদক্ষেপ, যার উদ্দেশ্য হলো দুগ্ধ খাতকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করা।

 মুক্ত বাণিজ্যের জন্য প্রতিযোগিতা তৈরি 

জিএসটি কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে বিভিন্ন ধরনের দুগ্ধজাত পণ্য (ইউএইচটি দুধ, পনির, মাখন, চিজ, এবং আইসক্রিমের) এবং দুধের ওপর থেকে জিএসটি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।

এই পদক্ষেপের প্রাথমিক প্রভাব হলো পুরো সরবরাহ শৃঙ্খল জুড়ে উৎপাদন খরচ কমে যাওয়া। করের বোঝা কমার ফলে ভারতীয় দুগ্ধজাত পণ্য ক্রেতাদের জন্য আরও সাশ্রয়ী হবে, যা চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে। এই বাড়তি চাহিদা কাঁচা দুধের জন্য একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করবে। প্রসেসিং কোম্পানিগুলি কৃষকদের আরও ভালো দাম  দিতে বাধ্য হবে।

এই সংস্কার মার্কিন দুগ্ধ খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে। জিএসটি সংস্কার ভারত ও মার্কিন দুই মডেলের মধ্যে ব্যবধান অনেকটাই কমিয়ে দেবে। কিভাবে তা দেখা যাক –

 দামে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি: কম কর ভারতীয় দুগ্ধজাত পণ্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে। এটি ভর্তুকিপ্রাপ্ত মার্কিন দুগ্ধজাত পণ্যের কম দামের সঙ্গে লড়াই করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

 দক্ষতা বৃদ্ধি: কর কমার ফলে প্রসেসরদের আর্থিক অবস্থা উন্নত হয়। যার একটি ‘ক্রমশ নিম্নগামী প্রভাব(ট্রিকল-ডাউন এফেক্ট)’ চাষিদের সহায়তা দিতে পারে, যেমন পশুখাদ্যে ভর্তুকি, উন্নত প্রজনন এবং পশুচিকিৎসা পরিষেবা। এই বিনিয়োগগুলি ভারতের ক্ষুদ্র কৃষকদের উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। তাদের আরও শক্তিশালী করে তুলবে।

 অভ্যন্তরীণ ভিত্তি মজবুত করা: সংস্কারগুলি ভারতের বাজারকে আরও শক্তিশালী করছে। পণ্যগুলি এখন আরও সহজে পাওয়া যাবে এবং মানুষও আগের চেয়ে বেশি কেনাকাটা করতে পারবেন। এর ফলে দেশের ভিতরের বাজার যত শক্তিশালী হবে, ততই আমাদের শিল্পগুলি আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত হতে পারবে।

সংক্ষেপে, ভারত এখন শুধু উচ্চ আমদানি শুল্কের ওপর নির্ভর করে তার কৃষকদের রক্ষা করছে না, বরং তার দুগ্ধ শিল্পের ভিত্তি ভিতর থেকে মজবুত করছে। এই পদক্ষেপ সুরক্ষাবাদ থেকে সরে এসে একটি শক্তিশালী, স্বনির্ভর শিল্প গড়ে তোলার দিকে নজর দিচ্ছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় নিজেকে সক্ষম করে তুলছে।

 অন্যান্য স্থায়ী সমাধানের পথ 

দুধের বাজারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতা সমানে সমানে টক্কর দিতে হলে, জিএসটি কমানোর পাশাপাশি আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, যা হলো:

•    ভারতের উচিত আন্তর্জাতিক ফোরামে (ওবলু টি ও) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক দুগ্ধ ভর্তুকি নিয়ে প্রশ্ন তোলা। যদি মার্কিন সরকার ভর্তুকি কমায়, তবে বিশ্ববাজারে তাদের পণ্যের দাম স্বাভাবিক হবে এবং ভারতীয় শিল্পগুলির জন্য প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।

•     ভারত রাতারাতি মার্কিন দুগ্ধপণ্যে শুল্ক না কমিয়ে, ৫-১০ বছর সময় ধরে ধাপে ধাপে কমানোর প্রস্তাব দিতে পারে। ততদিনে ভারতীয় দুগ্ধ শিল্প নিজেদের আধুনিকীকরণ ও উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত হতে পারবে।

•    নির্দিষ্ট পরিমাণ দুগ্ধজাত পণ্য কম শুল্কে আমদানি করা যাবে, কিন্তু সেই সীমা ছাড়ালে উচ্চ শুল্ক বহাল থাকবে। এতে দেশীয় শিল্প ‘ডাম্পিং’-এর ধাক্কা থেকে রক্ষা পাবে।

•    ভারত সরকারের উচিত দুধের ক্ষেত্রে সমবায় মডেলকে আরও শক্তিশালী করতে প্রযুক্তিগত সহায়তা, উন্নত জাতের পশু ও আধুনিক প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করা। এটি দীর্ঘমেয়াদে ভারতীয় দুগ্ধ খাতকে অভ্যন্তরীণভাবে শক্তিশালী ও আন্তর্জাতিকভাবে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।

এই সমাধানগুলি বাস্তবায়ন করা সহজ নয়। এর জন্য প্রয়োজন গভীর রাজনৈতিক সদিচ্ছা, অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ এবং কূটনৈতিক আলোচনা। তবে এই পথ ধরে এগোলে ভারত তার  গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড এই 'দুগ্ধ ক্ষেত্রকে' এবং তাতে যুক্ত ক্ষুদ্র 'দুগ্ধচাষিদের' সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে।

0 Comments

Post Comment