পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

ওবিসি শংসাপত্র বাতিল নিয়ে হাইকোর্টের রায় এবং কিছু অপ্রিয় কথা

  • 24 May, 2024
  • 0 Comment(s)
  • 1109 view(s)
  • লিখেছেন : নজরুল আহমেদ জমাদার
নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা ভোটের প্রচারে কয়েক মাস ধরেই বলছেন কংগ্রেস ক্ষমতায় আসলে দেশের সমস্ত সম্পদ মুসলিমদের হাতে তুলে দেবে। এসসি, এসটি দের সংরক্ষণ মুসলিমদের হাতে তুলে দেবে। এটা অত্যন্ত মিথ্যা একটা প্রচার এবং সমাজে বিভাজন ঘটানোর একটা নোংরা রাজনীতি। নরেন্দ্র মোদীদের সেই নোংরা ও সংকীর্ণ রাজনীতির সুবিধা করে দিতেই কলকাতা হাইকোর্ট এই ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের রায় দিয়েছে, তার বিরোধিতা করা উচিৎ ছিল সমস্ত বামপন্থীদের।

২০১০ সালের পর  জারি হওয়া সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছে সেটা সামাজিক ন্যায়ের তীব্র বিরোধী। এবং ভারতীয় সংবিধানের স্পিরিটেরও বিরোধী। কলকাতা হাইকোর্ট যে সাভারকার, হেগডেওয়ার, গোলওয়ালকারদের তৈরি মনুবাদি দল বিজেপির দ্বারা প্রভাবিত হয়েই এই রায় দিয়েছে সেটা জলের মতো পরিষ্কার। তার অন্যতম বড় কারণ, নির্বাচন চলাকালীন এই রায়। এই রায় এই সময়েই দিতে হল কেন? কেন এক বছর আগে নয়? দু'বছর আগে নয়? বা দুমাস পরে নয়? লক্ষ্য একটাই- ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটিয়ে নির্বাচনে বিজেপির সুবিধা করে দেওয়া। ঠিক যেইভাবে নির্বাচনের সময় ২৫০০০ চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেটাও ছিল আদ্যপ্রান্ত একটা রাজনৈতিক রায়। যদিও সুপ্রিম কোর্ট সেই রায় এর উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আশা করা যায় ওবিসি শংসাপত্রের বাতিলের যে রায় কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছে সেই রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করলে সেটা সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যাবে। কিন্তু প্রশ্নটা হল প্রায় ৫ লক্ষের ওপর শংসাপত্র ধারী ছাত্র-ছাত্রীদের একটা উদ্বিগ্নতার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। সামনের কয়েক মাস তারা চাকরির জন্য বা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য ওবিসি শংসাপত্র জমা করতে পারবে না। কিন্তু সব থেকে অবাক লাগছে এই রায় বেরোনোর পর সিপিএমের ভূমিকা নিয়ে। যেখানে সংসদীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণকারী আরএক বামপন্থী দল সিপিআইএমএল (লিবারেশন) সরাসরি এই রায়ের বিরোধিতা করে এই রায়কে সামাজিক ন্যায়ের উপর একটা বড় আঘাত বলে বক্তব্য রেখেছে সেখানে দেশের সব থেকে বড় কমিউনিস্ট পার্টি সিপিএমের বক্তব্য  প্রায় বিজেপির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। সিপিএম এর আইনজীবী সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী ও রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের যে বক্তব্য সংবাদ  মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তার  মূল সুর হলো ঠিক ঠাক  আইন মেনে মমতা সরকার শংসাপত্র দেয়নি বলে হাইকোর্ট এই শংসাপত্র বাতিল করে দিয়েছে। অনগ্রসর শ্রেণীর স্বার্থ বিরোধী হাইকোর্টের এই রায়কে তারা প্রত্যেকেই মান্যতা দিয়েছে। লক্ষ্য একটাই মমতা সরকারের তৈরি করা কোন সিদ্ধান্ত সেটা আইনি হোক বা বেআইনি হোক, সেটা যুক্তিসম্মত হোক বা অযুক্তিসম্মত হোক, ঠিক হোক বা ভুল হোক সেটার সঠিক বিবেচনা না করেই তার বিরোধিতা করতেই হবে। মমতার বিরোধিতা করতে গিয়ে সাধারণ গরিব এবং পিছিয়ে পড়া বর্গের মানুষের স্বার্থের কথাও তারা ভাবতে নারাজ।  এরপরেও এরা অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষের ভোট চায়।

 

এবার আসা যাক এই রায়ের রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা ভোটের প্রচারে কয়েক মাস ধরেই বলছেন কংগ্রেস ক্ষমতায় আসলে দেশের সমস্ত সম্পদ মুসলিমদের হাতে তুলে দেবে। এসসি, এসটি দের সংরক্ষণ  মুসলিমদের হাতে তুলে দেবে। এটা অত্যন্ত মিথ্যা একটা প্রচার এবং সমাজে বিভাজন ঘটানোর একটা নোংরা রাজনীতি। নরেন্দ্র মোদীদের সেই নোংরা ও সংকীর্ণ রাজনীতির সুবিধা করে দিতেই কলকাতা হাইকোর্ট যে এই রায় দিয়েছে  সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কোর্টকে বলা হয় ( মূলত সুপ্রিম কোর্ট কে) ভারতীয় সংবিধানের অভিভাবক। এখনো সাধারণ মানুষ ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় কোর্টের ওপর গভীর আস্থা রাখে। কিন্তু সেই কোর্ট বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রেই বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গুলি হেলনে যে চলছে সেটা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জনবিরোধী রায়ের মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কে নিয়ে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের মতো সিপিএম নেতাদের গর্বের সীমা ছিল না। সেই অভিজিৎ গাঙ্গুলী বিচারপতির আসন ছেড়ে গেরুয়া ধারী হয়ে বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে লড়ছেন। কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতি অবসর নেওয়ার পর বলেছেন তিনি একসময় আরএসএস করতেন এবং  অবসরের পর তিনি আবার সেই পুরনো সংগঠনে ফিরে যাবেন। তো বোঝাই যাচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের গায়ে গেরুয়া রং আস্টেপৃষ্ঠে লেগে আছে।

 

২০১১ সালে মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতায় আসার পর ওবিসি সংরক্ষণের তালিকার মধ্যেই পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের ঢুকিয়েছিলেন। তৃণমূল সরকার ওবিসি তালিকা কে দুটি ভাগে ভাগ করে-  ওবিসি A- ও ওবিসি B। ওবিসি A হলো অতি অনগ্রসর শ্রেণী। ওবিসি B হলো অনগ্রসর শ্রেণী। বর্তমানে A ক্যাটাগরির মধ্যে ৮১ টি সম্প্রদায় আছে। এই ৮১ টি সম্প্রদায়ের মধ্যে ৭৩ টি সম্প্রদায় হলো ধর্মে মুসলমান, ও  ৮ টি হলো হিন্দু।  B ক্যাটাগরির মধ্যে আছে ৯৮ টি  সম্প্রদায়। এর মধ্যে ৫৩ টি হলো হিন্দু, বাকি ৪৫ টি হলো মুসলমান।  A ও B ক্যাটাগোরি মিলিয়ে ১১৮ টি সম্প্রদায় হলো মুসলমান ও ৬১টা সম্প্রদায় হল হিন্দু। তাহলে দেখা যাচ্ছে হাইকোর্টের এই রায় শুধু সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের বঞ্চিত করলো না, পিছিয়ে পড়া হিন্দুদেরও বঞ্চিত করল। বিজেপির দাবি সংরক্ষণের আওতায় মুসলমানদের বেশি করে ঢোকানো হয়েছে। হ্যাঁ সংখ্যার দিক দিয়ে মুসলমানের সংখ্যায় বেশি। এবং সেটা করে মমতা ব্যানার্জি একদমই ঠিক করেছেন। সেটা বুঝতে গেলে ওবিসি সংরক্ষণের একটা ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গে মুসলমান কারা? তার আগে এই প্রশ্নটা জরুরী বৃহৎ বঙ্গের মুসলমান কারা? আরব বা তুর্কি থেকে আসা মানুষজন বঙ্গের মুসলমান নয়। মুসলমানরা এখানকার ভূমি সন্তান। বঙ্গের মুসলমানরা ছিল শূদ্র জাত। হাজার হাজার বছর ধরে তারা ব্রাহ্মণদের  দ্বারা অত্যাচারিত ছিল। ব্রাহ্মণদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে ও সামাজিক সম্মান লাভের জন্য শূদ্রদের একটা অংশ ইসলামের ছাতার তলায় এসেছিলেন। তারা শুধু ইসলামের ধর্মীয় বিশ্বাসটা গ্রহণ করেছিলেন মাত্র। ইসলাম গ্রহণ না করা শূদ্রদের সাথে  জাত ভিত্তিতে তাদের কোন তফাৎ নেই। তারা একই জাত -ইতিহাসের অংশ। ধর্মীয় বিশ্বাসকে বাদ দিয়ে যদি শুধু জাতের ( এখানে জাত বলতে এসসি এবং ওবিসি বোঝানো হয়েছে) ইতিহাস কে বিশ্লেষণ করতে হয় তাহলে বাঙালি মুসলমানদের বড় অংশ কে এসসি তালিকাভুক্ত করা উচিত ছিল। ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হওয়ার পর  অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে থাকা মুসলমানদের বড় অংশটাই পূর্ববঙ্গে চলে যান। পশ্চিমবঙ্গের এখন যারা বাঙালি মুসলমান আছে ইতিহাসগতভাবে তারা পিছিয়ে পড়া অংশ। সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সমস্ত দিক দিয়ে তারা পিছিয়ে রয়েছে। এমনকি তারা অনেক ক্ষেত্রে এসসিদের থেকেও পিছিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের কি করুন চিত্র সেটা প্রকাশ পেয়েছে  জাস্টিস সাচার কমিটির রিপোর্টে। ৩৪ বছর ক্ষমতায় থেকে মুসলমানদের শুধু ভোটার করেই রেখেছিল বামফ্রন্ট সরকার। তাঁদের বিন্দুমাত্র আর্থসামাজিক দিক দিয়ে উন্নয়ন ঘটাতে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশ হলেও সরকারি চাকরিতে মুসলমানদের স্থান দুই শতাংশ এরও কম। সাচার কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছিল বামফ্রন্ট সরকার। মরার সময় হরিনামের মত ২০১০ সালে মুসলমানদের ওবিসি তালিকাভুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ওবিসি সংরক্ষণ হিসেবে মুসলমানদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ ঘোষণা করে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। ৪১ টি মুসলিম সম্প্রদায়সহ মোট ৪২ টি সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকাভুক্ত করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে তারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়। স্বাভাবিক কারণেই ক্ষমতায় এসেই মমতা ব্যানার্জি মুসলমানদের ওবিসি তালিকাভুক্ত করতে বিধানসভায় নতুন বিল পাস করেন। মন্ত্রিসভাতেও সেটা পাস হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ২০১২ সালে ৩৫ টি সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকাভুক্ত করে মমতা সরকার। তার মধ্যে A ক্যাটাগরিতে ছিল ৯ টি সম্প্রদায় এবং B ক্যাটাগরিতে ছিল ২৬ টি সম্প্রদায়। পরবর্তীতে সেই সংখ্যা ধাপে ধাপে বাড়ানো হয়েছিল। ওবিসি সংরক্ষণের সুবিধা নিয়ে অনেক পিছিয়ে পড়া মুসলমান ছাত্র ছাত্রী সরকারি চাকরি এবং উচ্চ শিক্ষায় স্থান পেয়েছে। তাদের ক্ষমতায়ন হয়েছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলমান ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা আগের থেকে বেড়েছে। পিছিয়ে পড়া মানুষদের ক্ষমতায়ন যেকোনো সকারেরই লক্ষ হওয়া উচিত। ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে মমতা সরকারের আইন পাশ করার ক্ষেত্রে যদি পদ্ধতিগত কোন ভুল থাকে বলে মনে করে সিপিআইএম, তাহলে তারা সেটার বিরুদ্ধে এতো বছর কোনো প্রতিবাদ করেছে বলে আমার জানা নেই। এখন হাইকোর্ট পাঁচ লক্ষের ওপর  শংসাপত্র বাতিল করার পর আনন্দে উল্লসিত আলিমুদ্দিন স্ট্রিট এর ট্যাবলেট খাওয়া কমরেডরা। অথচ তাদের আমলে যে ৪২ টা সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল সেটাও তো বাতিল করেছে হাইকোর্ট। সেটার দিকে কি কমরেডদের নজর নেই?

 

পশ্চিমবঙ্গে ওবিসি তালিকার মধ্যে মুসলমানরা যে বেশি থাকবে তার যথেষ্ট ঐতিহাসিক জাস্টিফিকেশন আছেই। পশ্চিমবঙ্গে এসসি এবং এসটি মিলিয়ে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশের মতো। বাকি ৬৫ শতাংশের মধ্যে ১০ শতাংশের মতো উচ্চবর্ণ। অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ মানুষ অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর মধ্যে পড়েন। তারমধ্যে অধিকাংশই মুসলমান। স্বাভাবিক কারণেই হিসাব বলছে ওবিসির মধ্যে মুসলমানের সংখ্যায় বেশি হওয়া উচিত। সেটা নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করবে এটাই স্বাভাবিক। কেননা তাদের রাজনীতি দাঁড়িয়ে আছে মুসলিম বিরোধীতার উপর।  সেই জায়গা থেকে হাইকোর্টের রায়কে তারা মান্যতা দেবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একটা কমিউনিস্ট পার্টি হিসেবে সিপিআইএমের এই রায় কে স্বাগত জানানোটা অত্যন্ত দুঃখের এবং বেদনার। যারা আমার মত মনে প্রানে  বামপন্থী তারা কেউই  সিপিআইএমের এই ভূমিকা কে মেনে নিতে পারবে না। শুধু মেনে  নেওয়া নয়, এই ভূমিকায় বিরুদ্ধে  প্রতিবাদ জানাবে এটাই স্বাভাবিক। একটা কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতি দাঁড়িয়ে আছে শুধু মমতা বিরোধিতার ওপর। হ্যাঁ সরকারের বিভিন্ন ভুল ত্রুটি এবং দুর্নীতির বিরোধিতা করতেই হবে। তার মধ্যে ভুলের কিছু নেই । কিন্তু একটা কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতি শুধু সরকারের বিরোধিতার ওপর দাঁড়িয়ে থাকবে কেন? মমতা বিরোধিতা বাদ দিয়ে কোনও বিকল্প রাজনীতির কথা তারা বিগত দশ বছরে মানুষের কাছে দিতে পারেনি। ১৯৭৭ সালে সময়ের দাবি অনুযায়ী বিকল্প রাজনীতির কথা মানুষকে সঠিকভাবে বোঝাতে পেরেছিল বলেই বামফ্রন্ট সরকার তখন ক্ষমতায় এসেছিল। রাজনীতির এতটাই দীনতা যে ৩৪ বছর ধরে একটা সরকার ক্ষমতায় থেকেও ক্ষমতা হারানোর পর নিজেদের দ্বিতীয় পজিশনটাও ধরে রাখতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। এটা পশ্চিমবঙ্গের বাম মনোভাবাপন্ন মানুষের কাছেও যথেষ্ট বেদনার।

0 Comments

Post Comment