কতক্ষণ গেছে? আসতে কি দেরি হবে?
এই তো গেল, মিনিট পাঁচেকের কাজ আছে বলে গেছে। একটু অপেক্ষা করো। এখনি হয়তো এসে যাবে।
ইতিমধ্যে সাইকেলের পাংচার সারাতে একজন হাজির হল। পরিতোষকে না দেখে তারও অস্থিরতা বেড়ে গেল। মেয়ের টিউশনের ছুটি হওয়ার সময় হয়ে এসেছে... এই মুহূর্তে সারিয়ে নিতে পারলেই সব দিক থেকে মঙ্গল হত...
অগ্যতা ঠেকের সেই ছেলেটি ভদ্রলোককে আশ্বস্ত করে 'কাজল, কাজল' বলে কাকে যেন ডাকল।
কাজল পরিতোষের দোকানে আসতেই ছেলেটি তাকে জিজ্ঞাসা করল-পাংচার সারাতে পারবি?
পাংচার!
হুম, ভদ্রলোকের খুব তাড়া আছে তুই যদি কাজটা করে দিতে পারিস...
ঠিক আছে চল, তবে হাওয়া টাওয়া দিতে তুইও একটু হেল্প করিস।
শুভম দুজনের কীর্তি-কলাপ দেখছিল। এই ঠেকের ছেলেদের এতদিন উচ্ছৃঙ্খল, পাতাখোর, গাঁজাখোর, মেয়েবাজ ইত্যাদি নানাবিধ গুণের অধিকারী বলেই জানতো এদের থেকে সব রকম ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলাটাই তার এযাবৎ কালের জীবনের অন্যতম প্রধান দস্তুর ছিল কিন্তু আজকের এই দৃশ্যের সামনে তার এতদিনকার জানাটা ভীষণ রকম জোলো লাগছিল।
পরিতোষের দোকানে কাটা পেট্রোল এবং মোবিলও বিক্রি হয়। এই সময় দুজন স্কুটার আরোহী এসে দোকানের সামনে দাঁড়ালো। ওদের তেল চাই। একজনের এক আর একজনের হাফ লিটার। পাংচার সারানো ছেড়ে একজন তেল বেচতে এলো। কিন্তু অনভ্যস্ত হওয়ায় জার থেকে তেল ঢালতে তার অসুবিধাই হচ্ছিল। শুভম এগিয়ে গিয়ে জারটা ধরতেই ছেলেটা মুচকি হাসলো।
পরিতোষ বাজার থেকে ফিরতেই যে ছেলেটা পেট্রোল ঢালছিল সে বলল- পরিতোষ, কমিশন চাই। তোর তেল বেচে দিয়েছি। আর একজন তখনও সাইকেলের পাংচার সারাতে লড়ে যাচ্ছে। টিউবের লিকটা সারিয়েও হাওয়া কেন বন্ধ হচ্ছে না সে তখন সেটা দেখতেই ব্যস্ত। পরিতোষ বলল- ছাড়, আমি দেখছি।
ততক্ষণে ঠেকও বেশ জমে উঠেছে। পরিতোষের দোকানেও তখন বিরাট চাপ। কাস্টমারদের আনাগোনা বেড়েই যাচ্ছে। এই সময়ে একটি ছেলে দোকানের সামনে সাইকেল থেকে নেমেই বলল- পরি, সাইকেলটা একটু দেখিস; চেনটা খুব ডিস্টার্ব করছে।
কথাগুলো বলেই পরির কোন সম্মতির অপেক্ষা না করেই সে ঠেকের দিকে পা বাড়ায় কিন্তু দু-পা যেতে না যেতেই কাজল আর সেই ছেলেটিকে দেখে থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে।
- কী রে, তোরা এখানে কি করছিস!
-সাইকেল সারাচ্ছি। চটজলদি উত্তর দেয় কাজল।
-বলিস কী রে! তাহলে তোরা একটা সাইকেলের দোকানই খুলে ফেল।
মুখে মৃদু হাসি ছড়িয়ে কাজল বলে- করলে তো ভালই হয়, তাহলে পরিদার কী হবে?
- দূর। বলে ছেলেটা এমন একটা শব্দ উচ্চারণ করল যা একটা বাক্য শেষ করতে ওরা অন্তত পাঁচবার উচ্চারণ করে।
ব্যাস, শুরু হয়ে গেল তো সকাল সকাল মাতৃভাষা!
হ্যাঁ, এর বাইরে আমাদের আর কি আছে বল!
তা যা বলেছিস।
ওদের কথার মাঝেই পরি বলল- বিমানদা সাইকেলটা একবার দেখে নাও; চেনটা ঠিক
করে দিয়েছি। তারপর শুভমের সাইকেলটা ভালো করে দেখে বলে- ওভার অয়েলিং করতে হবে। খুচখাচ সারিয়ে লাভ নেই।
কত লাগবে?
আমার রেট পঞ্চাশ, তা বাদে যা মাল লাগে।
-তাহলে তুমি আর একবার ভালো করে চেক করে কী কী মাল লাগতে পারে বল।
পরি কাগজ খুঁজতে গিয়ে সিগারেটের একটা পুরোনো প্যাকেট দেখতে পেয়ে সেটাই ছিঁড়ে শুভমের হাতে দিয়ে বলে- লেখো চাকার কাপ দুটো ৮ টাকা, বিয়ারিং চারটে ১০ টাকা, বল ৩৮ টাকা, এক্সেলে-১৮ টাকা, কেরিয়ার ৪০ টাকা...
- বাঃ তুমি ফাউন্টেন পেনে লেখ? এই ডট-জেলপেনের যুগেও!
হঠাৎ শোনা কন্ঠস্বরের উৎস খুঁজতে শুভম লেখা থেকে মাথা তুলতেই দেখে সামনে বিমান দাঁড়িয়ে। উজ্জ্বল দুটি চোখ সাগ্রহে তার হাতের দিকে চেয়ে। শুভম মৃদু হাসি ছড়িয়ে বলল-হ্যাঁ, আমার ফাউন্টেন পেনে লিখতে খুব ভালো লাগে।
বেশ বেশ লেখ, জানো, আমিও এক সময় লিখতাম।
বিমানের মুখের দিকে তাকিয়ে এক আশ্চর্য ভাবান্তর লক্ষ্য করে শুভম। কিছুক্ষণ আগের মুখের সাথে যার কোন মিল ছিল না।
- কাজ না থাকলে চল আমাদের ঠেকে। একটু গল্প করা যাক।
বিমানের আহ্বানে এমন একটি সুর ছিল কোন ভাবেই এড়াতে পারল না শুভম। যদিও পরশুদিন পি এস সির একটা পরীক্ষা আছে।
ওরা দুজনে কথা বলতে বলতে ঠেকে এল। সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বিমান বলল- এ হল শুভম, দেশবন্ধু কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তারপর কথায় কথায় শুভমকে অবাক করে দিয়ে সে বলল- দেখ ভাই আমাদের তো কিছু হল না। তুমি এমন ভাবে নিজেকে তৈরি কর যাতে কিছু করা যায়।
সহসা কিছু বলতে পারে না শুভম। তার দুচোখ শুধু অন্যদের মুখের উপর সার্চলাইটের মত ঘুরপাক খায়। কয়েক মুহুর্ত আগেই পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় বিমান বলেছিল- ওই যে ছেলেটি কাজল, সাইকেল সারছিল, আই.টি.আই. পাস। আমরা ওকে বলি জ্যাক অফ অল ট্রেডস। কিন্তু বাবা টাকা দিতে পারেনি বলে তার চাকরি হয়েও হয় নি। রাজু ভাল ফুটবল খেলে। ব্যাকিং না থাকায় কোথাও জায়গা হয় নি। এখন লটারির টিকিট বিক্রি করে। সমু আমাদের কবি, বাংলায় এম এ, শুধু মাষ্টারির জন্য পরীক্ষাই দিয়ে যাচ্ছে। কত আর বলব এই যে এখানে যাদের দেখছ তারা প্রত্যেকেই কোন না কোন বিষয়ে কৃতী। শালা আমরা যে কি পাপ করেছি জানি না।
হঠাৎ ফোঁপানো কান্নার একটা আওয়াজে সম্বিৎ ফিরল শুভমের একটি ছেলে টালমাটাল পায়ে বিমানের কাঁধে হাত রেখে বলছে- জানিস বিমান, মৌ এর বিয়ে হয়ে গেল!
মৌ! তুই যাকে ভালবাসতিস সেই মৌ।
- হ্যাঁ, আমার সেই মৌ। কি করব বল? ওর বাবা চেয়েছিল মেয়ের জন্য সরকারি চাকরি করা পাত্র। পেয়েছেও তাই। আর আমি? গোটাকয়েক ছেলে পড়িয়ে যা পাই তাতে বৌয়ের লিপস্টিক কেনার খরচ যোগানোই কঠিন ব্যাপার। আমাদের মত বেরোজগারদের জীবনে প্রেম করা, বিয়ের স্বপ্ন দেখাই পাপ!
সান্ত্বনা দিয়ে বিমান বলে- আর কি-ই-বা আমরা করতে পারি বল? বাবার পেনসনের টাকায় এখন সংসার চলছে। বাবা চোখ বুজলে আমাদের যে কি গতি হবে একথা ভাবতে গেলেই শিউরে উঠি। তার উপর ঘরে অবিবাহিতা বোন।
দীর্ঘশ্বাসে ভারী হয়ে উঠতে থাকে ঠেকের বাতাস। কাজল বলে- আরে দূর। বাবা বলেছে অনেক তো হল, এবার পার্টি ধর। কোন নেতার নেকনজরে পড়লে... বাবা আরও বলে যার কোন কিছুতেই কিছু হল না সে পার্টির খাতায় নাম লিখিয়ে নেতাদের পোঁ ধরে অনেক কিছু করে নিল। আমি তো ভাবছি সেই পার্টি করেই একবার দেখি না।
শ্রীধরের মত? ঠেকের কেউ একজন বলল কথাটা।
হ্যাঁ, ভাল মনে করে দিয়েছিস তো! শ্রীধরের খবর কিরে? মালটা তো অনেকদিন আসে নি। কথাটা বলে বিমান ঠেকের অন্যদের দিকে তাকালো।
সোমু বলল - শুনেছি ও শালা, পার্টির এক দাদাকে ধরে চাকরিটা বেশ বাগিয়ে নিয়েছে
-বলিস কি! করিৎকর্মা ছেলে বলতে হয়। তা বেটা চাকরি পেয়ে কি আমাদের বেমালুম ভুলে গেল?
কে রে কে ভুলে গেল? কার কথা বলছিস?
শুভম তাকিয়ে দেখে বেশ লম্বা পেটানো চেহারার একটা ছেলে ঠেকের পাশে বাইক রাখতে রাখতে কথাগুলো বলল। অন্যান্যরা তাকে দেখে সোল্লাসে সিটি দিয়ে উঠল। চিৎকার করে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানিয়ে সকলেই প্রায় সমস্বরেই বলে ওঠে গুরু যুগ যুগ জিও।
বিমানও হাসতে হাসতে বলে- শয়তানকা নাম লিয়া অর শয়তান হাজির।
শুভম বুঝতে পারলো এই-ই সেই শ্রীধর।
একজন বলে-
এই খুশিতে তাহলে সিগারেট হয়ে যাক। শ্রীধর, দাম কিন্তু তোর। সঙ্গে সঙ্গে শ্রীধরও ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানায়। বিমান জিজ্ঞাসা করে তারপর, এতদিন কোথায় ছিলি? আমরা বলাবলি করি শ্রীধর চাকরি পেয়ে আমাদের ভুলে গেছে। সিগারেটে একটা জোর টান মেরে শ্রীধর বলে- ধুস শালা চাকরি!
- কেনরে কি হল? তুই তো পার্টিতে ঢুকেছিলি। কিছু হয়নি? কাজলের ব্যগ্রতায় আরও কিছু মুখ জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে।
-কি হবে? চাকরি! সব শালা ধান্দাবাজ। শুধু গ্যাসের ফুলঝুরি। সব লোক ঠকানোর কারবার! শালা রাজনীতি। ওরা দেবে চাকরি। বিরক্তিতে ঘৃণায় রাগে ঠোঁটদুটো কাঁপতে থাকে শ্রীধরের। অনেক কথাই অনুচ্চারিত থেকে যায়। কিন্তু বুঝতে অসুবিধা হয় না ভিতরের যন্ত্রণা।
-তবে এখন কি করছিস?
বিমানের এই প্রশ্নে শ্রীধরের চোখমুখ পাল্টে যায়। কেমন একটা অদ্ভুত রহস্যময় হাসি হেসে বলে- হুঁহুঁ, ক্যালি থাকলে অনেক কিছুই করা যায়।
শুভম কৌতূহলের সঙ্গেই এতক্ষণ শুনছিল ওদের কথা। আরও কিছুক্ষণ থাকতেও ইচ্ছা করছিল কিন্তু ঘড়ির কাঁটায় সময় এখন আটটা বাজতে পাঁচ এখনই উঠতে হবে, নর্থের দিকে যাওয়ার শেষ বাসটার সময় হয়ে গেছে। ওখানেই কাকার বাড়িতে আজ থাকার কথা। পিএসসি পরীক্ষার লাস্ট মিনিট সাজেশন কাকা কোথা থেকে একটা জোগাড় করেছে, সেই সব নিয়েই কাকার সাথে একটু ডিসকাস হবে। যদি লেগে যায় সব দিক থেকেই ভাল হবে। পরিতোষদা সাইকেলটা তাহলে থাকল। কথাটা বলেই সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে শুভম বাসে উঠে যায়।
বাসটা ফাঁকাই ছিল। উঠেই জানালার দিকে একটা সিট পেয়ে গেছিল শুভম। অন্যদিন হলে উৎফুল্লই হত- জানালা বাহিত ঠাণ্ডা হাওয়ার আমেজ আর শহর চিত্তরঞ্জনের রূপ দেখতে দেখতে বাস-সফরের এই সময়টুকুই পরম রমণীয় হয়ে উঠত। রাতের কালো পটভূমিতে রাস্তায় রাস্তায় জ্বলে ওঠা আলোগুলিও কি কম উপভোগ্য! যেন কতকগুলো আলো-পুঁতির মালা অন্ধকারের গা জুড়ে। কিন্তু আজ আর কোনো কিছুতেই মন লাগছিল না। শ্রীধরদার কথা গুলোই বারেবারে মনে পড়ছিল। এই আলোর অনুষঙ্গে তার এখন একথাও মনে হচ্ছে পার্টিগুলো মানুষের চোখের সামনে শুধু নিয়ন আলোর সাইনবোর্ড টাঙিয়ে বসে আছে তাতে আপামর জনতার শুধু চোখই ধাঁধিয়ে যায়।
কেন জানি এই সময় হঠাৎ সুব্রতদার কথা মনে পড়ল। উচ্চমাধ্যমিক পড়ার সময় সুব্রতদা শুভমকে অঙ্ক দেখিয়ে দিতেন। গরীব দুঃখী, মানুষের দুঃখে দরদী সুব্রতদা কথায় কথায় বলতেন, "এই সমাজে আমাদের সব মানুষেরই একই সাথে ভালো কিছু হবার উপায় নেই।"- সুব্রতদার কথাগুলো বেশ জোরালো বলে মনে হচ্ছে।
দুদিন পরে সাইকেল আনতে গিয়ে শুভম দেখল পরিতোষের দোকানের আশপাশের কয়েকটা গুমটি এবং ঠেকের চারপাশে ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা জটলার মধ্যে চাপা স্বরে কথাবার্তার গুঞ্জন। এতদিনের পরিচিত রিদম দেখতে না পেয়ে অবাকই হল শুভম। পরিতোষকে জিজ্ঞাসাই করে বসল - কি হয়েছে পরিদা? আজ সব কেমন বেসুরো!
ওমা! তুমি জান না?
কী জানার কথা বলছো বলত!
আরে আমাদের শ্রীধর, শ্রীধরদা গো...
- হ্যাঁ, হ্যাঁ, শ্রীধর, কী হয়েছে শ্রীধরদার?
শুভমের কানের কাছে মুখটা নিয়ে গিয়ে পরিতোষ বলল- শ্রীধরদা গতকাল রাতে মারা গেছে।
সে কি! আঁতকে উঠে শুভম।
একটা গ্যাঙের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েছিল। রেলের ওয়েস্টেজ প্রোডাক্টের অকশনে অন্য একটা গ্যাংয়ের সাথে ঝামেলা লেগেছিল, ওরা পিস্তল চালিয়েছিল; তাতেই..!
স্তম্ভিত হয়ে যায় শুভম। ঠেকে তখন বিমান, কাজলদের মৃদু কথার গুঞ্জন এবং কান্নার সুর। শুভম, বিমানের সামনে যেতেই বিমান ধরা গলায় বলে জান ভাই, শ্রীধর ছিল আমাদের মধ্যে সবচেয়ে ট্যালেন্টেড। পড়াশোনা, খেলাধুলা এমনকি ঝুট ঝামেলাতেও থাকত প্রথম সারিতে। ওর ছিল প্রচণ্ড সাহস... তাই জন্যই... শেষে এই ক্যালি দেখাতে গেলি... কান্নায় ভেঙে পড়ে বিমান।
হতভম্ব শুভম বলার বা সান্ত্বনা দেওয়ার মত কোন কথা খুঁজে পায় না। একটা ভয় তাকেও পেয়ে বসে এই সময়। গতকালই বাবা বলছিল- ভালো করে পড়, পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আমাদের এই শিল্পাঞ্চলও আর আগের জায়গায় নেই। ইসি এলের সাত সাতটি খনি ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। সেনর্যালে থেকে শুরু করে ছোট বড় অনেক কারখানা তো আগেই বন্ধ হয়েছে। হিন্দুস্তান কেবলসের পরিণতি তো নিজেই চোখের সামনে দেখলি। এই অবস্থায় একমাত্র ভরসার জায়গা বলতে রেল। কিন্তু তারও রিক্রুটমেন্ট দীর্ঘদিন নেই। কর্মী সংকোচন দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। কমপেনশেসন গ্রাউন্ড ছাড়া কেউ আর কাজ পাচ্ছেনা এখন। জানি না ভবিষ্যতে তোদের জন্য কী অপেক্ষা করে আছে!
কথাগুলো মনে পড়তেই নতুন একটা অস্থিরতা শুভমকে পেয়ে বসে। সদ্য দিয়ে আসা পি এস সির ক্লার্কশিপ পরীক্ষাও প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য বাতিল হয়েছে। এই অবস্থায় কি করনীয় স্পষ্টতই দ্বিধায় শুভম। কিন্তু সমস্ত কিছুই কেমন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। দূরের সবটাই ঝাপসা!