পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

করোনার ত্রাস, মৃত্যুর গ্ৰাস, করুণার লাশ আর চিকিৎসকের দীর্ঘশ্বাস

  • 01 January, 1970
  • 0 Comment(s)
  • 1073 view(s)
  • লিখেছেন : সহমন
করোনা এখনও পাঁচ বছর থাকবে ধরে এগোন। গতবছর করোনায় মৃত্যুহার ছিল ১.২ %। এই হার বোধকরি পৃথিবীর যে কোনো রোগে মৃত্যু হারের চেয়ে কম, অবশ্য এর ছড়ানোর গতি ও তীব্রতা যেহেতু ধর্তব্যে আনতে হয় তাই সংখ্যার বিচারে তা ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এ লেখায় সে অর্থে কোনো "প্রামান্য বিজ্ঞান" নেই। অতিমারি পরিস্থিতিতে আমার ছেলে মেয়েদের যেভাবে লড়তে দেখি , সহচিকিৎসকদের লড়াই দেখি এবং এই সবকিছুর মধ্যে আমি যেভাবে থাকি, দেখি, অনুভব করি - তারই একটি মানুষী মিশেল , বলা যায় cross road, এই লেখাটি । এর মধ্যে আমার ব্যক্তগত নিরীক্ষণের সততাই শুধু আছে ।

একজন চিকিৎসক হিসেবে বেশ দেখতে পাচ্ছি: গরিব মানুষ করোনাতে বেঁচে গেলেও অনাহার থেকে বাঁচবে না । বিজেপি শাসিত কিছু রাজ্যে এম্বুলেন্স, অক্সিজেন , বেড, মেডিসিন, ভেন্টিলেটর , help line - এসবের ব্যবস্থা না করেই ইতিমধ্যেই লকডাউন‌ চালু করে দিয়েছে । অবিজেপি সরকারগুলোও সেদিকে ঝুঁকবে নিশ্চয়ই । গোত্র বা জেনেটিক মেকআপ তো সব একই !

করোনা এখনও পাঁচ বছর থাকবে ধরে এগোন । গতবছর করোনায় মৃত্যুহার ছিল ১.২ % । এই হার বোধকরি পৃথিবীর যে কোনো রোগে মৃত্যু হারের চেয়ে কম , অবশ্য এর ছড়ানোর গতি ও তীব্রতা যেহেতু ধর্তব্যে আনতে হয় তাই সংখ্যার বিচারে তা ভয়াবহ হয়ে ওঠে ।

করোনা ভাইরাস যেহেতু পরজীবির মতো কেবলমাত্র জীবন্ত কোষের উপর নির্ভর করে বাঁচে , তাই সে তার রুগীকে ( host) মেরে ফেলতে চায় না । এভাবে বিচার করলে দেখবো ঠিক সময় Steroid , Heparin , oxygen দিতে পারলে মৃত্যুর হার একেবারেই নীচে নেমে আসবে, কারণ এসব চিকিৎসা ঠিক সময়ে দিলে Ventilator ও একেবারেই নগন্য সংখ্যক রুগির জন্য প্রয়োজন হবে !

আর ঠিক সময়ে ঠিক ওষুধ প্রয়োগ করতে গেলে চাই সহজলভ্য - oxymeter, blood test এর অনায়াস সুযোগ যেখানে ১/২ দিন পর পর blood count, CRP, D-dimer , x-ray এবং কিছু সংখ্যক রুগির জন্য HRCT । এর সাথে যাদের comorbidity আছে , যেমন ডায়াবেটিস, কিডনী রোগ, হার্টের রোগ ইত্যাদি , তাদের জন্য এসব রোগ সংক্রান্ত monitoring ও সমাধানের set up লাগবে - যেমন ডায়ালিসিস , Interventional Cardiological set up ইত্যাদি । আর সর্বোপরি লাগবে লোকবল, তা না হলে কোনোকিছুই ঠিকঠাক হবে না ।

যদিও জ্ঞানকান্ডের পন্ডিতরা রেনেসাঁ-আলোকায়নের পৃথিবীকে anthropocentric বলে আখ্যায়িত করেন , অর্থাৎ পৃথিবীর কেন্দ্রে এখন মানুষ : সবার উপরে মানুষ সত্য তার উপরে নাই । এভাবেই জন্ম হয় humanism এর । কিন্তু চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম বেশ স্পষ্ট । অতিমারি তো বটেই, প্রায়শই মানবিক কোনো দাবি বা আবদার নিয়ে উচ্চপদে নিবেদন করলে প্রথমেই তারা বলেন ," humanism বাদ দিয়ে কথা বলুন । তারপরে সমস্যা বা দাবি শোনার পর বলবেন 'আপনিই সমাধান বলুন '। "

একটু খেয়াল করলে দেখবেন যে, সেই অপরায়নের (otherisation ) খেলা চলছে নিরন্তর । স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্ষেত্রে এই অপরায়ণ multi-edged sword ! অর্থাৎ যত ' মহান কাজ' বা sacrifice একটা শ্রেণীকেই করতে হবে , বিশেষ করে সরকারি কর্মীদের । এই তোল্লাই খাইয়ে আসলে যারা এই সুবিধার আওতায় থাকবে (beneficiary ) তাদের মনে ডাক্তার , নার্স মানেই একধরনের demi God ধরনের ধারনা তৈরি করা হবে । যাতে স্বাস্থ্য যে তাদের জন্মগত অধিকার সেটা ভুলে গিয়ে , অথবা তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত হয়রানি যে আসলে সিস্টেমের দুর্বলতার জন্য তা ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মীর বদান্যতা বা "সেবা" পাওয়াই তাদের জন্মগত অধিকার - এই ধারনা বদ্ধমূল করা হচ্ছে। আরেকটা ধারালো দিক হলো : সরকার / আমলারা শো-কজ করবে , punishment দেবে ; কমিশন বা মহামান্য কোর্ট শাস্তি , জরিমানা , জেলের রায় দেবে অথচ পেশাকে বলা হবে "সেবা" !

অতঃপর কর্পোরেট স্বাস্থ্য ব্যবসার বহরের অগাধ বৈষম্যের দৃশ্য ও অর্থ দুষণকে সহনশীল করার জন্য শাসকরা এবার সেবাকে "পরিষেবা"য় পরিনত করলেন । কিন্তু গোলাপকে অন্য নামে ডাকলে কি সুগন্ধ বিলুপ্ত হয় ! এতে যে আরো লাভ ! Double edged তলোয়ারটায় এবার আরো ধারালো প্রান্ত যোগ হলো ! কর্পোরেট ডাক্তারদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ,সরকারি মনোকষ্টের কারণ না হয়েও স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাকেই পৃথিবীর এক নম্বর লাভজনক ব্যবসা করে তুললো । পৃথিবীর ধনকুবেরদের প্রায় সবারই স্বাস্থ্য ব্যবসায় বিশাল investment এর দিকে তাকালেই তা সহজেই অনুমেয় ! তার উপর health insurance ও indemnity bond এর trillion trillion dollar এর গল্প সবার অলক্ষ্যে কিন্তু দারুণ দার্শনিকতার সাথে বাজার দখল করে বললো ," Out of nothing came everything. ."

সেক্যুলার সার্বভৌম রাষ্ট্র নায়করা যেমন এখনো ধর্ম গ্ৰন্থ ছুঁয়ে শপথ নেয় , বা কোনো কোনো রাষ্ট্র ফ্যাসিবাদকে জায়েজ করার জন্য ধর্ম ছুঁয়ে থাকে , ঠিক তেমনই ছা-পোষা বা সরকারি ডাক্তারদের পেশাকে "সেবা ধর্ম "-র ধারনাতেই beneficiary দের কাছে প্রোথিত করে রাখা হলো । ফলে রাজার কাপড় নিয়ে কথা হবে না , সেই পবিত্র দক্ষ তাঁতিকেই বলতে হবে , " এমন মিহি করে বুনেছি তাই রাজাকে ল্যাংটো মনে হচ্ছে , দোষটা আমারই ।"

এই সেবা ও পরিষেবার এবং ত্যাগ ও বানিজ্যে র এই দ্বৈত-বৈপরিত্যকে(binary) শাসক, ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক পেশাজীবিরা সুবিধা মতো নিজেদের কায়েমী সার্থে যখন তখন কাজে লাগায় । কারন যেকোনো binary র মধ্যে একটিকে প্রধান /পবিত্র /সত্য/ভালো /...ইত্যাদি - এইধরনের মান্যতা স্বতঃসিদ্ধ হয়ে থাকে । যেমন আলো-আঁধার , এখানে আলোই গুণের দিকে উপরে । তেমনি ব্যাবসার জন্য "পরিষেবা" নামক Rhetoric শাসক-ব্যবসায়ীরা তৈরি করলেও "সেবা"র তকমাটা তারা বর্জন না করে চিকিৎসকদের গায়ে সেঁটে রেখে দিয়েছে । ফলে পারিশ্রমিক দাবি করলেই চিকিৎসক খারাপ/লোভী/ কষাই হয়ে যায় । মিডিয়া তা খায় এবং খাওয়ায় , জনগনও খায় ।

এমনকি এক বাঘা intellectual , বীরভূমের বোধ হয় , কী মহান সিনেমা শিল্প কর্ম করেন আমার ঠিক জানা নেই । ভাষা এবং ভাব দেখে তো মনে হলো বুদ্ধিজীবির বুদ্ধিই অনিকেত হয়ে গেছে। তিনি ফেসবুকে আজকে ডাক্তারের ৭০০ টাকা দর্শনী নেয়া নিয়ে অত্যন্ত নীচু মানের (আজকালকার রাজ-বুদ্ধিজীবি যেমন হয় !) কটাক্ষ করেছেন । কিন্তু একজন ফিল্ম অভিনেতা কয়েক সেকেন্ডের Ad দিয়ে কয়েক কোটি টাকা আয় করেন সে ব্যাপারে তার কোনো উষ্মা আছে বলে তো মনে হয় না । একজন সলমন, শাহরুখ বা অমিতাভ যদি তাদের শিল্পে এত টাকার হকদার হন , তাহলে প্রচুর ডাক্তার নিশ্চয়ই আছেন যিনি ৭০০ টাকা কেনো আরো বেশি দাবি করতে পারেন । আর নিটোল "সেবা"পেতে গেলে সরকারি হাসপাতালে আসতে হয় । তাতে তো আবার বিরাট অনিহা ! আসলে এতে ওনার কোনো দোষ নেই । ঐ যে Otherisation , Rhetoric , multi-edged sword এর কথা বললাম - সেটাই হলো আসল কথা । মানুষকে মানুষ হিসেবে না দেখে Humanism এর মোহগর্তে পড়ে essentialise করা - পুরো বামপন্থীয় প্রকরণ আর কি । কার্ল মার্ক্স চিরকাল যার বিরোধিতা করেছেন‌। ফয়ারবাখের থেকে তাঁর point of departure ও ছিল এই essentialist দৃষ্টি ভঙ্গির বিরোধীতা ।

যাই হোক, করোনায় ফিরি। চিকিৎসার এই সকল‌ প্রকার ব্যবস্থা না থাকলে করোনায় মৃত্যুর হার সমানুপাতিক নয় , অনেক বেড়ে যাবে । কারণ চিকিৎসকদের তখন emergency triage এর নিয়মে অনেক emergency রুগির মধ্যে available একটি দুটি জীবনদায়ী ওষুধ বা ভেন্টিলেটর কাকে দেয়া হবে তা ঠিক করতে অমানবিক এবং কর্মফল-দায়হীন নৃশংস triage প্রথা অবলম্বন করে "ইনসাফ" করতে হয় । ফলত রোগীমৃত্যুর হার করোনার স্বাভাবিক মৃত্যুহারের চেয়ে , শুধুমাত্র supportive care এর অভাবে অনেক গুণ বেড়ে যেতে বাধ্য । বলাই বাহুল্য পরিষেবার অপ্রতুলতার এই দায়কে কোভিডের ভয়াবহতার ঘাড়ে চাপিয়ে রাষ্ট্রীয় সদিচ্ছা ও তৎপরতার অভাবকে সহজেই লুকিয়ে ফেলা যায় । সেটাই হয়েছে । এখনো ব্যাতিক্রম নয় !

ধরেই নেওয়া যায় করোনা সবারই হবে, কারণ এর অনেক তথ্যই অজানা , আর বিজ্ঞান এবং গবেষণা সরকারের হাত থেকে এখন কর্পোরেটের হাতে । বিশ্বাস না হলে স্মরণ করুন কিছুকাল আগেই আমাদের সরকার নিজেই বলেছেন : সরকারি কিছু রাখবে না - বেঁচে দেবে । দিয়েওছে তাই , সরকার যারা চালান তাদের মতে সরকারি সবকিছুই অলাভজনক - একমাত্র ভোট ও মিথ্যা আশ্বাসের বেসাতি বাদে ।

এমনকি যারা সবসময় সাবধানতার বানী ছড়াচ্ছেন , লক ডাউনের মতো রোগ-প্রতিরোধী অনিশ্চিত বিষয়ের পক্ষে নিশ্চিত মত দিচ্ছেন তারাও কেউ বাদ যাবেন না ! যে পরীক্ষার (test) মাধ্যেমে এখন করোনা সনাক্ত করা হয় তাতে শতকরা ৩৩ জন genuine করোনা পজিটিভ রুগী অণির্নিত থেকে যায় যাকে false negative বলে - এবার শুনছি সে সংখ্যা বেড়ে গেছে ! সুতরাং চিকিৎসকরা কোভিড-duty করে যেমন আক্রান্ত হতে পারেন , তেমনি non-Covid routine duty করেও আক্রান্ত হতে পারেন- হরদম হচ্ছেনও । সুতরাং ঐ পর্যাপ্ত বেড, ওষুধ , অক্সিজেন, hospital, man power ....এসবের বন্দোবস্তই করা এবং ঠিক সময়ে সবার কাছে সহজলভ্য করাই করোনা থেকে দেশকে বাঁচানোর মূলমন্ত্র ।

তাই করোনার মোকাবিলা কেউ করতে চাইলে উপরোক্ত এই মর্মেই তাঁকে প্রস্তুত হতে হবে । আর এই সবকিছু জাতীয় স্তরে সরকারিভাবেই একমাত্র করা সম্ভব । স্বাস্থ্যকে যেভাবে super duper profitable পণ্যে পরিনত করা হয়েছে তা থেকে স্বাস্থ্যকে মুক্ত ক'রে মানুষের অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত না করলে আরো আরো বড় বিপদ আসবে !

দেশের কোটি কোটি মানুষ ক্ষিদে পেটে ঘুমাতে যায় । মাত্র ১০ % কর্পোরেটের হাতে দেশের ৯০% সম্পদ , সুতরাং তারা ঐ ১০% খদ্দেরের কথা মাথায় রেখেই উন্নত মানের হাসপাতাল বানাবে , কারণ ৭০% র মতো ভারতবাসী দারিদ্রসীমার নীচে বাস করে , বেশিরভাগের কাছেই purchasing power নেই ! আর বাস্তব অবস্থা হলো স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ভুকমারি ইত্যাদি বিষয়ের সমাধানের ক্ষেত্রে ভারত এখন বাংলাদেশ, পাকিস্তান এমনকি আফগানিস্তানের ও অনেক পেছনে - শুধুমাত্র মিথ্যা সাংবাদিকতা, দুর্নীতি, ধর্ষণ, গনতন্ত্রের লঘুকরণ, ব্যক্তি স্বাতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতার কন্ঠ রোধের মতো কিছু বিষয়ে জগৎশ্রেষ্ঠ।

এর উপর যদি সরকারও পালিয়ে বেড়ায় তাহলে ধর্ম ও বিভেদের আফিম আর গো-চোনার ম্যাজিকেই জিন্দা থাকতে হবে । আর যা করলে শুধু কর্পোরেট আর রাজনৈতিক পেশাজীবি ও তাদের দোসরদেরই (যেমন দালাল/কালোবাজারী) লাভ হবে তাই চারিদিকে ঘটে চলবে , মিডিয়া বিরাট বোদ্ধা এবং বৈজ্ঞানিক সাজবে এমনকি বিপ্লবেরও ডাক দিতে পারে ! আর আমজনতা ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মী পিটিয়ে অথবা অদৃষ্টের দোহাই দিয়ে গাধার মূলোর জাবর কাটবে ।

সুতরাং এই বোধোদয়ের লড়াইয়ে সবার আগে মানুষকে মানুষ বলেই ভাবতে শিখতে হবে । ডাক্তার-নার্স- স্বাস্থ্যকর্মীরাও আর পাঁচজনের মতোই সাধারণ বা অসাধারণ । প্রধানমন্ত্রী , মুখ্যমন্ত্রী, অমিতাভ বচ্চনদের আমরা অনেক বেশি বাজারি পণ্যমূল্য ধরে দিয়েছি তাই বিপত্তি ঘটছে । মিডিয়া আর রাজনৈতিক দলের এবং বাজারের Rhetoric এর মধ্যে দিয়েই এদের "বিগ" ব্যাপারটা তৈরি করা হয়েছে, কাউকে ফকির , কাউকে সেবক , কাউকে সততার প্রতীক বানানো হয়েছে - না হলে আমাদের শাসন করতে পারবে না ; যেমন করে চিকিৎসকদের "আর্ত সেবা"র ত্যাগী সৈনিক বানানো হয়েছে - না হলে এদের শোষণ করা যাবে না । বাকি অনেকেই করোনা কালেও মালামাল করবে - তা দ্বৈত-বৈপরীত্যের সহাবস্থানের দাবিতে বৈধতাও পাবে । উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা যেতে ট্যক্সি ২৫০০০ টাকা চাইবে । অক্সিজেন ১৮০০০ টাকায় বিক্রি হবে । কোনো পুলিশ সৎকারের জন্য শোকস্তব্ধ পরিবারের কাছে ১৫০০০ টাকা চাইবে । ৮০০ টাকার ওষুধ ৪০০০- ১০০০০ টাকায় বিক্রি হবে । ৩০ টাকার মাস্ক ৩০০ টাকায় বিক্রি হবে । সর্ষের তেলের দামও‌ বাদ যাবে না ।

আমাদেরকে এই পুঁজি ব্যবস্থা মুখস্ত করিয়ে ছেড়েছে যে , জীবনের সার্থকতা বলে কিছু নেই , আছে শুধু সাফল্য যা অযথা টাকা ও সম্পদের স্তুপের সমানুপাতিক এবং মোক্ষলাভের একমাত্র উপায় ।

সুতরাং কালোবাজারি , অবৈধ আয়, এমনকি মৃত্যু ব্যবসাও নোংরা নোটের নামে বৈধ । যেমন বৈধ ত্যাগ ও সেবার নামে অক্সিজেনের অভাবে দিল্লীর রাস্তায় ছটফট করতে করতে ৪ জন চিকিৎসকের মৃত্যু ! আজকের ফেসবুকের ঐ ফিল্মী বুদ্ধিজীবি যদি ওনার ঐ ভাষাতেই বলেন "বেশ হয়েছে শালা !"

এ উচ্চারণও বৈধ । কারণ বৈধতা manufacture করা যায় ! তা নিখুঁত ও সীবনহীন হয় মিডিয়া, কর্পোরেট আর রাজনীতির গাঁটবন্ধনে , তারসাথে এরকম বুদ্ধিজীবি হলে তো কথাই নেই !!

আর এই দুষ্টগ্রহের constellation যদি এভাবেই অবিচল থাকে তাহলে গনচিতার আগুন আকাশ ছুঁতে এবার একবছরও লাগবে না !

কয়েকমাস পরেই অবশিষ্ট কিছু ভারতবাসী গনহত্যায় নিহত প্রিয়জনকে ফুল চড়াবার জন্য গনকবরের কাছে গেলে হয়তো গজব হয়ে যাবে , কবরের আত্মা থেকে হওয়ায় ধ্বনিত হবে কোরাস, " চড়হানা ফুল মগর আহিস্তা, আহিস্তা !"

0 Comments

Post Comment