পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

কম্পাস

  • 05 December, 2021
  • 0 Comment(s)
  • 2590 view(s)
  • লিখেছেন : রাসেল সাইদ
“চলো, আমরা কোথায় একটু বসি।” “বসবে? আচ্ছা, চলো। দেখি কোথায় বসা যায়।” “না, তোমার যদি কোনো প্রবলেম থাকে এতে তা হলে থাক।” “আমার আবার কীসের প্রবলেম!” “যদি থাকে আর কী। তুমি তো আবার বড্ড লাজুক। দেখা গেল মুখের ওপর সহজে ‘না’ বলতে পারছ না।” হেসে হেসে বলল মেয়েটি।

ওরা দু’জনে কিছুসময় ধরে হাঁটছিল। মন্থর পায়ে পাশাপাশি হেঁটে-হেঁটে অনেকটা রাস্তা এগিয়ে গেল সামনের দিকে। কিন্তু দু’জনের কেউই এখনও ঠিক জানে না, কতদূরে গিয়ে থামবে। কোথায় যাবে তারা দু’জনে শেষ পযর্ন্ত আজ। উদ্দেশহীনভাবে হাঁটাহাঁটি বলা যায়।

কিছুক্ষণ চুপ থেকে মেয়েটি এবার বলল, “এক কাজ করো, তুমি যেখানে-যেখানে বসে চা-টা খাও মাঝেমধ্যে, ফেসবুকে তো বেশ দেখতে পাই, তার যে কোনো একটাতে গিয়ে বসি চলো। দু’জনে চা খেতে-খেতে একটু গল্প করি। মুখোমুখি বসে কথা না-বললে কি ভাল লাগে বলো?”

“চা খাবে? ঠিক আছে চলো।”

“কোন দিকে যাবে?”

ছেলেটি এবার হাঁটা থামাল। তার দেখাদেখি মেয়েটিও দাঁড়িয়ে পড়ল রাস্তার ওপরে। ছেলেটি কয়েকমুহূর্ত কী জানি ভাবল। সামনে-পেছনে তাকাল একবার। তার পর পেছন ফিরে বলল,“এই দিকে চলো যাই।”

দু’জনে হাঁটতে লাগল আবার, আগের মতোই মন্থর পায়ে।যেন তারা অনেকদিন আগের সময়- পেছনে ফিরে যাচ্ছে এখন।

বছরসাতেক আগে এমনইভাবে তারা দু’জনে মাঝেমধ্যে হাঁটতে বেরত। পুরনো ঢাকার অলিগলি কিছুসময় ঘোরাঘুরি করে যে যার বাড়ি ফিরত। সেই সময় তাদের অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা শেষ। যে-কোনো দিন রেজাল্ট বেরবে। কী এক আবেগে উৎকন্ঠায় দিন কাটছিল। একই ডিপার্টমেন্টে পড়ত তারা। পরীক্ষা শেষ, কাজেই তাদের ক্লাসও ছিল বন্ধ। তবে দু’জনে বাইরে প্রায়ই দেখা করত। তাদের তখনকার সময়টাও ছিল অন্যরকম। এটা-ওটা নিয়ে- অতি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কোনো-কোনোদিন দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হত। এমনকী ঝগড়াও বেধে যেত। দিনকয়েক কথা বন্ধ থাকত পরস্পরের মধ্যে। মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ। তারপর একদিন আবার হাসতে হাসতে এসে দাঁড়াত একজন আর-একজনের সামনে। সেই দিনগুলোতে অবশ্য তারা পরস্পরকে ‘তুই’ বলেই সম্বোধন করত।

কিন্তু এখন সেইসব দিন আর নেই। বুড়িগঙ্গার পানি এরই মধ্যে অনেকদূর গড়িয়ে গেছে। যাই হোক, আর-একবার সেই পুরনো দিনগুলোর দিকে ফিরে তাকানো যাক।

অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট যেদিন বেরল, এর দিনপনেরো পর মেয়েটি হঠাৎ তার বড় বোন এবং বোনজামাইয়ের কাছে চলে গেল লন্ডনে। হঠাৎ কথাটা কেন বলছি। এই ঘটনার অবশ্য বেশ কিছুদিন আগে থেকেই তার লন্ডন যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। যাওয়ার কাগজপত্র সব রেডি হয়ে গেল ধীরে-ধীরে। পারিবারিকভাবে তার যাওয়ার চূড়ান্ত বন্দোবস্তও হয়ে গেল দেখতে-দেখতে।

তবে এ কথাও সত্যি যে, এসব কর্মকাণ্ডের মধ্যেই বার বার মেয়েটি তাগাদা দিচ্ছিল তার সঙ্গে ছেলেটিও যেন সমস্ত কাগজপত্র বের করে জমা দেয়। টাকাপয়সা নিয়ে ছেলেটিকে আপাতত কোনো চিন্তা-ভাবনা করতে হবে না। তারা দু’জনে একই সঙ্গে লন্ডনে যাবে। তার বোন এবং দুলাভাই যাওয়ার সব ব্যবস্থা করে দিবে।

ছেলেটির ব্যাপারে মেয়েটির এই আগ্রহ এবং এতটা দৌড়ঝাপ কেন- এটা বুঝতে কারোরই কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। পরিস্কার ব্যাপার। তা ছাড়া দু’জনের মধ্যে যে একটা গভীর ভাব-ভালবাসা রয়েছে, মেয়েটির কথাবার্তাতেই এর সুস্পষ্ট ইঙ্গিত তো ছিলই। তার পছন্দের মানুষের জন্য সে ভাল কিছু করতে চাইবে-এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে মেয়েটির বোন- দুলাভাইয়ের সঙ্গে দফায়-দফায় আলাপ-আলোচনা হয়েছে। এবং আলোচনা একপর্যায়ে ফলপ্রসু হয়েছে। মেয়েটির পরিবার তাকে সবুজ সংকেত দিয়েই দিল তখন।

কিন্তু মেয়েটি তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারল না এত কিছু করেও। তার সঙ্গী ছেলেটি সাফ জানিয়ে দিল সে লন্ডন যেতে পারবে না। ঘরে তার বাবা প্যারাইলাইজেড হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। মা বাতের রোগী, প্রেশারের সমস্যা। ভাই-ভাবির রূপ এই ভালো-এই মন্দ। তাদের রূপ বদলে যাচ্ছে যখন-তখন। প্রকাশ্যে না হলেও তাদের বাড়িতে যেন অপ্রকাশ্যে দু’টি দল। এক দলে তার ভাই আর ভাবি। অন্য দলে তার মা-বাবা এবং সে। এমতাবস্থায় বাবা-মাকে ফেলে রেখে অন্যত্র সরে যেতে সে কিছুতেই পারবে না।

ছেলেটি অবশ্য তখনও তার বাড়ির কাউকে মেয়েটির কথা কিছু বলেনি। কাজেই লন্ডন বিষয়েও বাড়ির কাউকে কিছু বলার প্রশ্ন উঠেনি।

ছেলেটিকে প্রথম দিকে জোর তাগিদ দিলেও শেষের দিকে এসে মেয়েটি নরম গলায় বারেবারে তাকে অনুরোধ করতে লাগল। মেয়েটিকে তো লন্ডন যেতেই হচ্ছে-সে নিরুপায়। এখন যদি ছেলেটিও সঙ্গে যায়, তবে দু’জনের সামনের দিনগুলো সুন্দর আর সাবলীল হয়ে যাওয়ার সম্ভবনাই বেশি। তাদের স্বপ্নের পথ প্রশস্ত হয়ে যায়। সর্বোপরি নিশ্চিন্ত থাকা যায় তা হলে। কিন্তু ছেলেটি যদি এ যাত্রায় তার সঙ্গী না হয়, তবে সমস্যা। স্বপ্ন পূরণে বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আশংকা। দু’জনের প্রণয়কাহিনি এখানেই- এই মাঝপথে হয়তো মিশে যাবে পথের ‍ধুলোর সঙ্গে। তাদের একটা লালিত স্বপ্ন হয়তো্ এখানেই ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। আর বাস্তবতার নিরিখে এরকম অনুমান করাটাই বরং স্বাভাবিক।

ছেলেটি যে এসব কথা বুঝতে পারেনি তা নয়। সে সবই বুঝতে পেরেছে এবং একই সঙ্গে তার বুকের গোপন কষ্ট ক্রমাণ্বয়ে বেড়েছে। তবে মুখে শুধু বলেছে- “আমার কিছু করার নেই শ্যামা। আমি যেতে পারব না। এখানে এখন আমার অনেক কাজ। সব ফেলে রেখে তোর সঙ্গে চলে যাওয়াটা আমার পক্ষে সম্ভব না। তুই জানিস কি না জানি না, আমি আজকাল কিছু ভাবতে পারছি না। কোনো চিন্তা-ভাবনা করতে পারছি না। সবকিছু তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। মাথায় কোনো কিছুই আসছে না। এখন কী করব আমি- সেটাই বুঝতে পারছি না। আমার জায়গায় তুই থাকলে বুঝতি শ্যামা, কতটা সমস্যায় এখন পড়ে আছি আমি।”

মেয়েটিও শেষে একদিন তীব্র অভিমান বুকে নিয়ে বিষাদ ভরা কন্ঠে বলল, “ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি লন্ডনে। তুই ভাল থাক- এই কামনা করছি। আর মনে রাখিস মাহিন, সম্ভব হলে বা আর কোনো উপায় থাকলে আমি এখানেই থাকতাম। আপার ওখানে কিছুতেই যেতাম না। কিন্তু কী করব আমি? তুই তো জানিস- বাবা নেই আমার, মা-ই আমার সব।কত কষ্ট করে যে- মা আমাকে বড় করেছে- তা আমি ছাড়া আর কেউ সহজে বুঝতে পারবে না। সেই মা-ই আমার হাতে ধরে অনুরোধের স্বরে বলেছে, আপার ওখানে- লন্ডনে চলে যেতে এখন। আমি তাঁকে না-যাওয়ার কথা অনেকবার বলেছি। কিন্তু এবার আর পারছি না। মায়ের চোখের পানি উপেক্ষা করার মতো শক্তি আমার কোথায় আছে বল?” তারপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলল, “তা ছাড়া আমাদের বাড়ির কাকা-কাকিরাও মনে করে আমার লন্ডনে চলে যাওয়াটাই এখন ভাল। দুই ফুফুও তা-ই মনে করে। সবচেয়ে বড় কথা মা তো ভেবে বসে আছে- সে মারা গেলে আমি একদম একা হয়ে যাব। তখন আমার দেখাশুনার কেউ কিংবা আপনার কেউ বলে থাকবে না।আমরা দুই বোন একত্রে একজায়গায় আছি- এটা দেখে মা একটু নিশ্চিন্ত হতে চায়। ব্যস, আর কিছু নয়। ভেরি সিম্পল। সত্যি বলতে কী, সন্তানের জন্য মায়ের এ চাওয়াটা অন্যায় কিছু নয়, তুইও ভেবে দেখিস।”

যদিও ভাবাভাবির কিছু আর ছিল না। এদিকে সময়ও তখন ফুরিয়ে এসেছিল। তারপর এক ১৪ অক্টোবর রাতে শ্যামা ঢাকা ছেড়ে চলে যায় লন্ডনের উদ্দেশে। মাহিন রয়ে যায় নিজ শহরে- এই ঢাকায়।

আমার দিকটা ও একটুও দেখল না!- এই ভেবে দুই জন দুই দিকে।

কিছুদিন অনির্বচনীয় এক কষ্টে ছিল তারা, যে যার জায়গায় থেকে। কষ্টের সঙ্গে ছিল বুকভরা প্রচণ্ড অভিমান- এটা বলা বাহুল্য। ফলশ্রুতিতে, পরস্পরের মধ্যে সম্পক© আর আগের মতো রইল না। সম্পর্ক হল বিচ্ছিন্ন। একেবারেই বিচ্ছিন্ন।

আসলে সময় জিনিসটা বড় রহস্যময়। যেই সময় তাদেরকে কিছুদিনের জন্য হলেও প্রায় খালি-শূন্য-নিঃস্ব করে ফেলেছিল, সেই সময়ই আবার তাদেরকে দিনযাপনের কর্মকাণ্ডে ফেলে ভরিয়ে তুলল আস্তে-আস্তে। সময়ের কাঁটা ঘুরে-ঘুরে এগিয়ে চলল।

সাতটা বছর হয়ে গেল।

হঠাৎ সেদিন- প্রায় মাসখানেক আগে দু’জনের মধ্যে আবার একটা যোগাযোগ হয়ে গেল! কাকতালীয়ভাবে বলা চলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সেই সময়কার তাদের বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে একটা ফেসবুক গ্রুপ খুলেছিল। তাদের ডিপার্টমেন্ট-শিক্ষাবর্ষ - এসব উল্লেখ করে একটা ফেসবুক গ্রুপ। সেই গ্রুপে আগে থেকেই যুক্ত ছিল মাহিন। সেদিন হঠাৎ তাদের ফেসবুক গ্রুপে দেখা গেল শ্যামাকে! কী বিস্ময়! সময় কি আবার তাদের যোগাযোগ করিয়ে দিল!

সময়ের বৃত্তে বন্দি হয়ে আছি যেন আমরা। ‍বৃত্ত থেকে বের হওয়ার পথ নেই কোনো। বৃত্ত যিনি একেঁছেন, কম্পাস তো তাঁর হাতে।

ফেসবুকের কল্যাণে তাদের দু’জনের মধ্যে আবার যোগাযোগ চালু হল। অনেক কথা চালাচালি হতে লাগল। এমনকী এর মধ্যে কয়েকবার মোবাইলে কথাও হল দু’জনের মধ্যে।

বিস্ময় আরও কিছুটা বাকি ছিল। এই তো চার দিন আগে- দুপুরবেলা হঠাৎ শ্যামা মোবাইলে মাহিনকে জানাল, সে এই মুহূর্তে আছে ঢাকায়! মাহিনকে একটা বড় সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছে বলে আগে-আগে তার আসার কথাটা জানাতে চায়নি।

গতকাল রাতেই কথা ফাইনাল হয়েছিল যে, আজ বিকেল ঠিক সাড়ে চারটার সময় লক্ষীবাজারের দিকে তারা চলে আসবে। ভিক্টোরিয়া পার্কের পুব দিকের গেটের কাছে এসে দাঁড়াবে।

তারা চলে এসেছে সময়মতোই। মাহিন এসে দাঁড়ানোর মিনিটপাঁচকের মধ্যে শ্যামা এসে তার কাছে দাঁড়িয়েছে।

দু’জনে হাঁটছে। হাঁটতে-হাঁটতে কিছুক্ষণ পর শ্যামা বলল,“তুমি আগের মতোই আছ। এখনও কম কথা বলো।”

মাহিন ঠোঁটের কোণে হাসি রেখে বলল, “তুমিও আগের মতো আছ।”

“আচ্ছা আমরা তো আগে তুই-তুই করে বলতাম, তা-ই না?

“হ্যাঁ।”

“তুমি কি আমাকে দেখে লজ্জা পাচ্ছ? কেমন যেন জবুথবু হয়ে আছ।”

“কই, না তো! তোমায় দেখে লজ্জা কেন পাব! তোমার বরকে এখানে আজ নিয়ে আসলে কিন্তু পারতে। তাঁর সঙ্গে পরিচিত হতে পারতাম। তোমার বরের একটা ছবি পর্যন্ত আজও দেখালে না।”

“এবার দেখতে পাবে- ভেবো না” হেসে হেসে বলল শ্যামা। তার পর কিছুক্ষণ দু’জনেই চুপচাপ। হাঁটতে-হাঁটতে শ্যামা আবার বলল, “আমার মেয়েটাকে তুমি দেখেছ? খুব মিষ্টি না দেখতে ছোট্ট বাবুটা আমার?”

“হ্যাঁ, ফেসবুকে ছবি দেখেছি। ওকে আদর করে জড়িয়ে ধরে আছ- এরকমই তো তোমার ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার। সত্যিই তোমার বেবিটা খুব মিষ্টি দেখতে। ওর বয়স কত হল? মেয়েটা আছে কোথায় এখন- তোমার মায়ের কাছে?”

শ্যামা যেন মাহিনের কথা শুনতে পাচ্ছে না। অন্যমনস্কভাবে বলল, “ও সামনের মাসে চার-এ পড়বে। আচ্ছা, তুমি এখনও বিয়ে করোনি কেন?”

এ কথায় মাহিন হেসে ফেলল। বলল, “কী জানি কেন।”

আবার চুপচাপ দু’জনে। হেঁটে-হেঁটে যাচ্ছে। রাস্তায় প্রচণ্ড ভিড় বাড়ছে। কাজ শেষে লোকজন বাড়ি ফিরছে সম্ভবত। দু’জনে বড় রাস্তা ছেড়ে শাঁখারী বাজারের সরু রাস্তাটার ভেতরে ঢুকে পড়ল।

শ্যামা এই মুহূর্তে মনে-মনে ভাবছে, কোথাও বসে- মাহিনের মুখের দিকে সরাসরি তাকিয়ে সে আজ বলবে, তুমি যে-মেয়েটার কথা বলছ, ও আসলে আপার ছোট মেয়ে। আমি অবশ্য বুদ্ধি করে আর- একটা কাজ করেছি। আমার ফেসবুক প্রোফাইলের এক জায়গায় বিবাহিত শব্দটা লিখে রেখেছি। তুমি এটা দেখেছ নিশ্চয়ই? এতে করে দেখলাম ভালই হয়েছে। ডিস্টার্ব হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছি কিছুটা হলেও। জগতে ডিস্টার্ব করা লোকের তো আর অভাব নেই। কী বলো?

এসব কথা শুনে মাহিনের মুখের অবস্থাটা কী হবে– এটা ভেবেই এখন শ্যামার খুব হাসি পাচ্ছে। শ্যামা সত্যি-সত্যিই এবার হেসে ফেলল।এবং মুখের ওপর একটা হাত রাখল আলতো করে সেই হাসিটাকে আড়াল করার জন্য।

মাহিন শ্যামার দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে বলল, “কী হয়েছে! হঠাৎ এত হাসছ কেন?”

শ্যামা হেসে-হেসেই বলল, “কী জানি কেন।”

পড়ন্ত বিকেলের ম্লান আলোয়– নম্র এক রোদে দু’জনে হেঁটে-হেঁটে যাচ্ছে।

0 Comments

Post Comment