পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

এসএসসি রায়: ন্যায়বিচারের প্রহসন, বাংলাকে হুমকি

  • 01 January, 1970
  • 0 Comment(s)
  • 205 view(s)
  • লিখেছেন : সুশোভন চৌধুরী
খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত রাজনীতিবিদদেরও ভারতের সংবিধান রক্ষা করে; কিন্তু,আদালত নির্দোষ বাঙালি শিক্ষকদের শাস্তি দেয়। ফলে, প্রায় ২০,০০০ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী চাকরি হারায় ন্যায়বিচারের নামে। কেবল কোন কেলেঙ্কারি নয় -পশ্চিমবঙ্গের জনশিক্ষার উপর এটি একটি ইচ্ছাকৃত আক্রমণ, হিন্দুত্ববাদী অ্যাজেন্ডা অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থার বেসরকারীকরণের উদ্দেশ্যে। তাই, সর্বোচ্চ বিচারালয়ের এই রায় অত্যন্ত বিপজ্জনক যেহেতু আরএসএসের দৃষ্টিভঙ্গি হল: "দরিদ্রদের অনাহারে রাখ, ভিন্নমতকে চুপ করিয়ে দাও।" অতএব, ভিত্তিহীন অযৌক্তিকতা মেনে না নিয়ে, অবিলম্বে এই রায় প্রত্যাহারের জন্য লড়াই করতে হবে।

২০২৫ সাল ভারতীয় গণতন্ত্র এক ভয়ঙ্কর বৈপরীত্য সামনে এনে হাজির করেছে। খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত একজন রাজনীতিবিদ সংসদে প্রবেশ করেন বুক ফুলিয়ে আর সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে তাঁকেই আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়। অন্যদিকে, একজন বাঙালি স্কুল শিক্ষক, কোনও দোষ না করে,  বেকার হয়ে যান কলমের এক খোঁচায়। যে বিচারব্যবস্থা একজন শিক্ষকের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে সেই বিচারব্যবস্থাই এই ধরনের জঘন্য অপরাধে অভিযুক্ত সংসদ সদস্যদের রেহাই দেয়। পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) কেলেঙ্কারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ২০২৪ সালের এপ্রিলের রায় - যা ২৬,০০০ চাকরি মুছে ফেলার একটি প্রহসন - এই অযৌক্তিকতাকেই উন্মোচিত করেছে। এটি কেবল অন্যায্য নয়; এটি বিপজ্জনক, বাংলার সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং একটি ফ্যাসিবাদী পথকে প্রশস্ত করতে আরও সাহায্য করেছে, যেখানে অশিক্ষার অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে জনগণ স্বৈরশাসকদের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হয়।

0 Comments

Post Comment