সে প্রায় এক যুগ আগের কথা। উচ্চশিক্ষার সঙ্গে জড়িত এক সহকর্মীর কাছে দেশের প্রথম সারির, উৎকর্ষ কেন্দ্র বা Center of Excellence এর তকমা পাওয়া এক প্রতিষ্ঠানের গল্প শুনেছিলাম। তখন দ্বিতীয় ইউ পি এ সরকারের আমল। দেশের সর্বত্র চলছে India Against Corruption এর ব্যানারে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন। উৎকর্ষ কেন্দ্রের তকমা পাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের “অরাজনৈতিক” ছাত্ররাও কেন্দ্রের উপর ক্ষুব্ধ। এই আবহে তৎকালীন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সেই প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধে কিছু আলগা মন্তব্য করে বসেন। ছাত্র, শিক্ষকরা যারপরনাই ক্ষিপ্ত - এ তো বিশ্বজোড়া খ্যাতিমান ব্র্যান্ডকেই অপমান! এদিকে সেই প্রতিষ্ঠানের সমাবর্তনে উনিই প্রধান অতিথি। অনুষ্ঠানের আগের দিন রাত্রে সমাবর্তনের দায়িত্বে থাকা ডিন বিভিন্ন ছাত্রাবাসের আধিকারিকদের ডেকে বললেন “ খবর আছে কিছু ছাত্র মন্ত্রীর সামনে বিক্ষোভ দেখাবে। এসব হতে দেওয়া যাবে না। আপনারা খুঁজে দেখুন কারা এর পিছনে আছে আর খবর ছড়িয়ে দিন এসব করলে উচিৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ছাত্রাবাসের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের ( যারা আসলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকই) অধিকাংশই এহেন প্রস্তাবে বিরক্ত হয়ে নীরব থাকলেও এক আধজন খুব উৎসাহী হয়ে পড়লেন। একজন বলেও বসেন “যারা এমন আচরণ করে, তারা বিকৃতমস্তিষ্ক, perverted”। শেষমেশ অবশ্য কোন ছাত্রই বিক্ষোভ দেখায়নি তবে সেদিন যে শিক্ষক মন্ত্রীর সামনে বিক্ষোভ দেখানোর কথা ভাবে এমন ছাত্রদের “বিকৃতমস্তিষ্ক” বলেছিলেন তিনি ধাপে ধাপে উন্নতি করে বর্তমানে ঐ প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ডিন পদে আছেন।
বিগত দুই মাসে তিনটি বিখ্যাত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘটা ঘটনায় এই গল্পটি ফের মনে পড়ে গেল। কোন কোন ঘটনা? শুরু করা যাক মাত্র সপ্তাহখানেক আগের ঘটনা দিয়ে কারণ একে তো সদ্য ঘটা, ফলে স্মৃতিতে টাটকা। তায় সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটি আসার পর সামাজিক মাধ্যমেও কিঞ্চিৎ আলোড়ন ওঠে যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত খবরে সাধারণত হয় না। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে নামে এবং দামে বেশ এগিয়ে থাকা হরিয়ানার অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সব্যসাচী দাসের একটি গবেষণা শোরগোল ফেলে দেয় রাজনীতির অলিন্দে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র নির্বাচন প্রক্রিয়াকে হাতিয়ার করে স্বৈরতন্ত্রের দিকে হাঁটছে কিনা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে অধ্যাপক দাস ব্যবহার করেছেন ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের খুঁটিনাটি তথ্য। সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তিনি যে সিদ্ধান্তে এসেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে সংখ্যায় অল্প হলেও কয়েকটি কেন্দ্রে বেশ কিছু নির্বাচনী অসঙ্গতি কেবলমাত্র শাসক দলের পক্ষেই গেছে। তাঁর গবেষণাপত্রে অধ্যাপক দাস আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে আগামীতে এই বিশেষ ধরণের অসঙ্গতিগুলি সংখ্যায় বাড়তে পারে এবং তা গণতন্ত্রের পক্ষে মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। স্বভাবতই শাসক দলের পক্ষে অস্বস্তিকর এই গবেষণা তাদের দিক থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া ডেকে আনে। টুইটারে এই প্রসঙ্গ ওঠা মাত্রই শাসক দলের সমর্থক বাহিনী রে রে করে তেড়ে আসে এবং গবেষণাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, এমনকি দেশবিরোধী বলেও দাগিয়ে দেয়।
এই আক্রমণের মুখে অশোকা প্রশাসনের তরফ থেকে একটি টুইট করে (১ নং ছবি)এই ঘটনাক্রমে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। আশ্চর্য ব্যাপার হল যে এই টুইটে পরিষ্কার করে দেওয়া হয় যে উদ্বেগের কারণ তাঁদের অধ্যাপকের উপর নেমে আসা অশ্লীল আক্রমণ নয় বরং এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের নাম জড়িয়ে যাওয়া। ইঙ্গিত দেওয়া হয় যে অধ্যাপক দাসের কাজ যেহেতু কোন জার্নালে প্রকাশিত নয় তাই তা আলোচনাযোগ্য বলে অশোকা বিশ্ববিদ্যালয় মনে করে না। অর্থাৎ এ ব্যাপারে দায় কেবলমাত্র অধ্যাপক দাসের এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়টা থেকে দূরত্ব রাখতে চায়। লক্ষ্যনীয় বিষয় হল গবেষণাটি এখনও কোন জার্নালে ছাপা না হলেও গত জুলাই মাসে আমেরিকায় অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ইকোনোমিক রিসার্চের বিখ্যাত বার্ষিক কনফারেন্স ‘সামার ইন্সটিটুট’ এ ‘ডেভেলোপমেন্টাল ইকোনমিক্স’ বিভাগে জায়গা করে নিয়েছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সামার ইন্সটিটুটের এই কনফারেন্সে নিজের গবেষণা পেশ করার সুযোগ পাওয়া সহজ নয়। যে বিভাগে অধ্যাপক দাসের কাজ জায়গা পায় সেখানে রেজিস্টার্ড অংশগ্রহণকারী ছিলেন ১০৬ জন অথচ গবেষণার কাজ পেশ করার জন্য আমন্ত্রিত ছিলেন মাত্র ১৯ জন১। সহজেই অনুমান করা যায় যে কাজের গুণগত মান বিচারের পরেই এই গবেষণা এমন হাই প্রোফাইল কনফারেন্সে জায়গা পেয়েছিল। অশোকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা জানেন না এমন মনে করা কষ্টকল্পিত অথচ অনায়াসেই তাঁরা এমন একটি অজুহাত খাড়া করে অধ্যাপক দাসের কাজকে একরকম ত্যাজ্য করলেন যা গবেষণার সঙ্গে যে নমনীয়তা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত তার পরিপন্থী, এমনকি তাঁদের নিজস্ব ঘোষিত নীতিরও বিরোধী। কিন্তু এহেন চেষ্টাতেও যে চিঁড়ে ভেজেনি তার প্রমাণ শাসক দলের সাংসদ নিশিকান্ত দুবের পাল্টা টুইট যেখানে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ব্যাখ্যা সন্তোষজনক নয় এবং ভারতের গৌরবজনক নির্বাচনী পদ্ধতিকে বদনাম করার জন্য “অর্ধসিদ্ধ” এই গবেষণা কীভাবে সম্ভব হল তার জবাব বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে হবে।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ততটা সাড়া ফেলতে পারেনি কারণ তার প্রেক্ষিত ভিন্ন এবং প্রথমটির মত উচ্চ অভিঘাতসম্পন্ন নয়। জুন মাসের শেষের দিকে বিজ্ঞান প্রযুক্তি গবেষণায় সামনের সারির প্রতিষ্ঠান বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স ( IISC) এর সেন্টার ফর কন্টিন্যুইং এডুকেশন (CCS) “ UAPA, Prisons and Criminal Justice System” শীর্ষক একটি আলোচনার আয়োজন করে। এতে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে ছিলেন সি এ এ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ এবং সেইসূত্রে ইউ এ পি এ আইনে কারাবাসের যন্ত্রণা ভোগ করা নাতাশা নারওয়াল এবং দেবাঙ্গনা কলিতা। অনুষ্ঠানের ঠিক আগে উদ্যোক্তারা জানতে পারেন উচ্চতর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে রেজিস্ট্রার এই অনুষ্ঠান বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। উদ্যোক্তারা তখন আনুষ্ঠানিক বক্তৃতার পরিবর্তে একটি খোলামেলা আলোচনাচক্রের ব্যবস্থা করেন। সেই আলোচনাটি বন্ধ করার জন্য কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তারক্ষী পাঠান। কিন্তু কিছু শিক্ষক এবং ছাত্র রুখে দাঁড়ানোয় সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সমসাময়িক বিষয়ের উপর খোলামেলা মত বিনিময়ের পরিসরের উপর নজিরবিহীন এই আক্রমণের প্রতিবাদে ৫০০ র বেশি শিক্ষাবিদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি খোলা চিঠি (২ নং ছবি) প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তাকে পাঠানো হয়। এই চিঠিতে মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে সাংবিধানিক কোন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনার পরিসরকে প্রতিহত করে কর্তৃপক্ষ কেবল সংবিধান বিরোধী কাজই করলেন তা নয়, তাঁরা আসলে বিজ্ঞানমনস্কতাবিরোধী মনোভাবের পরিচয় রাখলেন। আগামীতে কর্তৃপক্ষ যেন বিজ্ঞান ও সামাজিক বিষয়ে আলোচনার উপযোগী গণতান্ত্রিক পরিসর অটুট রাখতে ব্যবস্থা নেন এই আবেদনও জানানো হয়। চিঠি পাঠানোর অনতিবিলম্বে মৌলিক বিজ্ঞান গবেষণার জন্য প্রসিদ্ধ মোহালির ইন্ডিয়ান ইন্সটিটুট অফ সায়েন্স অ্যান্ড এডুকেশনাল রিসার্চ ( IISER) কর্তৃপক্ষ ঐ চিঠিতে স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানের দুই অধ্যাপককে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরান। নোটিসের বক্তব্য যে আগাম অনুমতি না নিয়ে খোলা চিঠিতে মতামত দিয়ে তাঁরা চাকরির নিয়ম ভেঙ্গেছেন। নোটিসের উত্তর দেবার জন্য দু সপ্তাহ সময় দিয়ে তাঁদের জানানো হয় যে আপাতত তাঁদের গবেষণার জন্য অনুদান বন্ধ রাখা হবে এবং উত্তর পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।
২ নং ছবি ঃ আই আই এস সি অধিকর্তাকে লেখা খোলা চিঠি
দুটো ঘটনা জানার পর থেকে মনে কেবলই সহকর্মীর মুখে শোনা ঘটনাটা ফিরে ফিরে আসছে। ভাবতে গেলে দেখা যাবে এক যুগ আগের ঐ ঘটনা আর সাম্প্রতিক দুটি ঘটনা একই সূত্রে বাঁধা আর তা হল কর্তৃপক্ষের মানসিকতা। অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় তবু বলা যেতে পারে যে শাসক দলের সরাসরি রুষ্ট হবার উপাদান ছিল কিন্তু বেঙ্গালুরু বা তার পরে মোহালির ঘটনায়? কিংবা এক যুগ আগের সেই ঘটনায়? উৎকর্ষ কেন্দ্রের তমকা পাওয়া যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যারা নাকি জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত তাদের প্রশাসনে যেসব শিক্ষাবিদ থাকেন তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কিছুমাত্র কম নয়, বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজ বিষয়ে তাঁরা যথেষ্ট অবদান রেখেছেন। এ সত্ত্বেও প্রশাসনে গেলেই শাসক যাতে কোনভাবে রুষ্ট না হন তার জন্য নিজের প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের গণতান্ত্রিক পরিসর সংকুচিত করতে এত আগ্রহ কিসের? এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এবং প্রতিষ্ঠানের গঠনগত বৈশিষ্ট্যে। তৃণমূল স্তর থেকে গোটা ব্যবস্থাটাই দাঁড়িয়ে আছে সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতা এবং তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর উপর। শিক্ষক ছাত্র সম্পর্ক, প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের সঙ্গে সাধারণ সদস্যের সম্পর্ক, প্রতিষ্ঠান ও সরকারের সম্পর্ক সবই এই কাঠামো এবং মানসিকতায় চলে। ক্ষমতাধর উপরতলার কোন দায় নেই ক্ষমতার সমীকরণে অপেক্ষাকৃত দুর্বল নিচের তলার প্রশ্নের উত্তর দেবার। ফলে উপরতলাকে না ঘাঁটিয়ে যতটুকু প্রতিটি স্তরে ঠিক ততটুকুই গণতন্ত্রের পরিসর। স্কুল স্তর থেকে এই কাঠামোয় অভ্যস্ত হতে হতে অধিকাংশের কাছে এটাই স্বাভাবিক ব্যবস্থা। এর বাইরে কোন প্রশ্ন তোলার চেষ্টা মানে ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ, যাকে দাগিয়ে দেওয়া হয় মানসিক বিকৃতি বা perversion বলে। এর ফলে নামী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও সিংহভাগ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে হয় নীরবতা পালন করেন নয়ত বশংবদের মত সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে যুক্তি খাড়া করার চেষ্টা করেন। শিক্ষক ইউনিয়নগুলি এই সংস্কৃতির বাইরে নয়, বিশেষত উৎকর্ষ কেন্দ্রগুলিতে। তাঁদের দাবি দাওয়া, আলাপচারিতা সমস্তই অর্থনৈতিক বিষয়কে কেন্দ্র করে। নয়া শিক্ষানীতি, চাকরির অপ্রতুলতা কিংবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মত বিষয়ে তাঁরা নীরব কিংবা কার্যকরী করতে অত্যুতসাহী। কাঠামোগত এই রোগের লক্ষণগুলি বহু পুরনো হলেও সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক জলহাওয়ায় অনুকূল পরিবেশ পেয়ে তারা নানাভাবে মাথা চাড়া দিচ্ছে। এর জেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুক্ত চিন্তার, সুস্থ বিতর্কের, মতামত আদানপ্রদানের অর্থাৎ বিজ্ঞানভিত্তিক মানসিকতার জায়গা ক্রমশ কমছে। অধ্যাপক দাসের অবস্থা জানান দিচ্ছে অচিরেই হয়ত প্রতিষ্ঠানে কী গবেষণা হবে তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। তার বাইরে কিছু করলেই তা সমাজ এবং দেশ গড়ার উপযুক্ত নয় বলে দাগিয়ে দেওয়া হবে।
আশার কথা এটুকুই যে এই আবহেও একাধিক বিরোধী কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে। অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন ‘লেহের’ বিবৃতি দিয়ে অধ্যাপক দাসের পাশে দাঁড়িয়েছে। এমনকি একাধিক প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকার নিন্দা করেছেন । শোনা যাচ্ছে একাধিক অধ্যাপক এবং প্রাক্তনী মোহালির আই আই এস ই আর কর্তৃপক্ষকে সমালোচনা করে চিঠি দিয়েছেন। সম্ভবত আভ্যন্তরীণ চাপের সম্মুখীন হয়ে কর্তৃপক্ষ শো কজের উত্তর পাওয়ার এক মাস পরেও নীরব রয়েছেন। কিন্তু অধীনতা বা subordination এর যে সংস্কৃতি দানা বেঁধেছে, যার কুৎসিত চেহারা এই ঘটানাগুলির মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পাচ্ছে তার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা শুরু না হলে আগামীতে আরও অভাবনীয় ঘটনা অপেক্ষা করে আছে।
তথ্যসূত্র ঃ
১) https://conference.nber.org/altsched/SI23DEV