পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

‘লাভ জিহাদ’-এর মিথ-নির্মাণ: একটি রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা

  • 20 November, 2020
  • 0 Comment(s)
  • 2226 view(s)
  • লিখেছেন : শতাব্দী দাশ
আন্তঃধর্ম বিবাহ নিয়ে রাজনীতি হিন্দুসভার সময় থেকে শুধু নয়। আর্যসমাজের বয়ানেও এসব ছিল। বর্তমানে হিন্দুত্ববাদীরা এরই নাম দিয়েছে 'লাভ জিহাদ'। প্রেমের অছিলায় অন্য ধর্মের প্রতি ইসলামের জিহাদ— এই রকম একটি কনস্পিরেসি থিওরির জন্ম তাঁরা দিয়েছেন। এটা তাদের নির্বাচনী অ্যাজেন্ডাও বটে।

কিছুদিন আগে টাটার একটি বিপণন সংস্থা তানিশকের একটি বিজ্ঞাপন নিয়ে শোরগোল উঠেছিল। সেখানে 'লাভ জিহাদ' দেখানো হয়েছিল বলে হিন্দুত্ববাদীরা ইউটিউব ও সমাজমাধ্যমে প্রবল ট্রলিং শুরু করে। এমনকি শোরুম ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে গুজরাটে। এতদসত্ত্বেও তা নিয়ে 'মাথা ঘামানো'-র তেমন কিছু নেই বলেছিলেন কিছু প্রগতিশীল ভাবধারার মানুষজন, যেহেতু দামী গহনা প্রস্তুতকারী বহুজাতিক সংস্থাটি বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হল কি হল না, 'তা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় তেমন কিছু প্রভাব ফেলে না' কিংবা 'ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার মতো সংস্থান অত বড় ব্যবসায়ী সংস্থার থাকে'। কিন্তু সমস্যাটি যে আসলে বহুজাতিক সংস্থার ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত ছিল না, তার বার্তাবাহী হয়ে এল মধ্যপ্রদেশের লাভ জিহাদ সংক্রান্ত বিলের ঘোষণা। 'লাভ জিহাদ' বিজ্ঞাপনে শোভিত ঘটনামাত্র নয় যে বিজ্ঞাপনের বিরোধিতাতেই অতিহিন্দুরা সন্তুষ্ট থাকবে। তৃণমূল স্তরের অতিহিন্দু কর্মীদের মুসলিম-ভীতি/মুসলিম-বিদ্বেষ 'লাভ জিহাদ' (আসলে আন্তঃধর্ম বিবাহ)-এর প্রতি ঘৃণায় প্রকাশিত। কিন্তু উঁচু স্তরের হিন্দুত্ববাদী নেতাদের ক্ষেত্রে তা কেবলমাত্র ইসলামোফোবিয়ার প্রকাশ ভাবলে ভুল হবে। তাদের কাছে তা নির্বাচনের অ্যাজেন্ডাও বটে।

সম্প্রতি নিকিতা তোমার নামের এক একুশ বছরের মেয়ে হরিয়ানায় খুন হয়। 'দৈনিক জাগরণ' নামক হিন্দি কাগজ জানাচ্ছে, তৌসিফ নামে এক ব্যক্তি তাকে খুন করেছে প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে। আরও জানায় কাগজটি, তৌসিফ 'মির্জাপুর' নামক এক ওয়েব সিরিজ দেখে খুনের সিদ্ধান্ত নেয় বলে দাবি করেছে। এর আগে এক এয়ার হোস্টেসকে খুন করে, 'কবীর সিং' দেখে প্রভাবিত হওয়ার কথা বলেছিল আরেক প্রেমে প্রত্যাখ্যাত খুনী। নিকিতা তোমার বা তার খুনী কেউই হয়ত ভাবেনি, তারা খুন হয়ে ও খুন করে হিন্দুত্ববাদীদের হাতে তুরুপের তাস তুলে দিচ্ছে। যে সংস্কৃতি নারীর 'না'-কে অগ্রাহ্য করতে শিখিয়েছে, যেখানে 'ডর' থেকে 'রাঞ্ঝনা' সর্বত্রই 'না মানে হ্যাঁ', 'কবীর সিং'-এ প্রেমিকাকে চড়-থাপ্পড় মারা মানে ভালোবাসা-প্রদর্শন, সেখানে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষেই ছেলেরা শিখেছে, প্রত্যাখান হল পৌরুষের অপমান। সুস্থ চিন্তাধারার মানুষ বা একটি সুস্থ সরকার এরকম ঘটনার পর ভাববে, কীভাবে টক্সিক ম্যাসকুলিনিটির হাত থেকে এই ছেলেদের উদ্ধার করা যাবে? সেই সংক্রান্ত ওয়ার্কশপের আয়োজন করবে রাজ্যে রাজ্যে, জেলায় জেলায়।

কিন্তু এক্ষেত্রে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বেশ কয়েকটি বিজেপি-অধ্যুষিত রাজ্য নতুন বিল আনতে চলেছে বিধান সভায়। কর্নাটক, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যের অগ্রনী ভূমিকার কথা শোনা যাচ্ছিল। মধ্যপ্রদেশের গৃহমন্ত্রী অতঃপর ঘোষণাই করে দিলেন, 'লাভ জিহাদ বিল' আসবে বিধানসভায়। তার গালভরা নাম 'ধর্মীয় স্বাধীনতা বিল'। বিজেপির ক্যারিশমাই হল এই যে পশ্চাদপসরণকে তারা গালভরা মূল্যবোধের রেটরিক দিয়ে মুড়ে রাখতে পারে।

আপাতভাবে শুনতে ভালোই বিলের বক্তব্য। জোর করে, প্ররোচনা দিয়ে বা লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করলে সে বিয়ে নাকচ হতে পারে। জড়িত ব্যক্তির হতে পারে পাঁচ বছরের জেল। এখন এই 'জোর করে,প্ররোচনা দিয়ে,লোভ দেখিয়ে' ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করা হয়েছে কিনা, তা বলবে কে? না, ধর্মান্তরিত ব্যক্তিটির নয়, সেক্ষেত্রে যে সেই ব্যক্তির বাবা-মা-ভাই-বোনের নালিশকে গ্রাহ্য ধরা হবে (এমনকি ব্যক্তি প্রাপ্তবয়স্ক হলেও), তা মধ্যপ্রদেশের গৃহমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছেন। মানে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার বাবা-মা-পরিবার ইত্যাদি কথা বলার আইনস্বীকৃত অধিকার পেতে চলেছে। এতদিন ভারতীয় বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক ও অবিবাহিত দুজন মানুষের বিয়েতে তৃতীয় ব্যক্তির আপত্তি গ্রাহ্য হত না। তা হলে কি বিয়ে করার জন্য কেউ স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হতে পারবে না? বলা হয়েছে, স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হতে গেলেও এক মাস আগে কালেক্টরের অফিসে নোটিস দিতে হবে।

প্রশ্ন উঠতে পারে, বিয়ে করার জন্য ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রয়োজন কী? স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট তো আছেই। ঠিক। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টেও কিন্তু এক মাস আগে নোটিস দিতে হয়। কেউ আপত্তি করছেন কিনা, তা দেখার জন্য এই নোটিস। তাহলে কি মধ্যপ্রদেশের নতুন বিলে, কালেক্টরের অফিসে যে নোটিস দিতে বলা হচ্ছে, তারও একই উদ্দেশ্য? কালেক্টরের অফিসে গিয়ে কেউ বাধ সাধলে, তিনি কি বিয়ে আটকে দিতে পারেন?

যদি অধিকারের প্রশ্নই ওঠে, তাহলে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির স্বাধীনভাবে বিয়ে করার অধিকারের মতো স্বাধীনভাবে ধর্মান্তরিত হওয়ার বা বিশ্বাস পরিবর্তন করার অধিকারও থাকাই বাঞ্ছনীয়। এই যেমন আমি জন্মসূত্রে হিন্দু, বর্তমানে নাস্তিক৷ এটা এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রের চোখে অপরাধ নয়। যে কোনো দিন এটাও অপরাধ বিবেচিত হলে অবাক হব না।

এদিকে আন্তঃধর্ম বিবাহ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়ির অমতেই হয়। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী অনেক ক্ষেত্রেই রেজিস্ট্রারের অফিসে নোটিস দেওয়ার পর বাধে বিপত্তি। পরিবারের লোকজন জানতে পারলে মারধর, ভয় দেখানো অনিবার্য হয়ে ওঠে। 'অনার কিলিং'-এর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অর্থাৎ কিনা বাড়ির অমতে বিয়ে করতে চাইলে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট-এর দীর্ঘসূত্রিতা ও নোটিশ প্রকাশ্যে টাঙিয়ে রাখার নিয়ম অনেক ক্ষেত্রেই বিপদ ডেকে আনে। তাই অনেক সময় গোপনে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করতে অনেকে বাধ্য হতেন। সে উপায়ও আর রইল না।

গেরুয়াবাহিনী যদি বিয়ে আটকাতে চায়, তাহলে তৃণমূল স্তরে তারা এই নোটিসগুলির উপর নজর রাখতে পারে। তারপর ভয় দেখিয়ে বিয়ে বানচাল করা কঠিন হবে না। বিয়ে বানচাল না করা গেলেও বিয়ের পর দম্পতিকে উৎপীড়নের রাস্তা খোলা থাকছে। শুধু বাবা-মা-ভাই-বোনকে দিয়ে একটা এফ-আই-আর করানোর অপেক্ষা। কেসে 'প্ররোচনা-জোর করা-প্রলোভন' ইত্যাদি প্রমাণ না করা গেলেও, হেনস্থা করা যাবে। তাহলে, কার্যক্ষেত্রে আন্তঃধর্ম বিয়ে আটকাতেই নতুন আইন নয় কি? এরপর কর্নাটক, হরিয়ানা আর উত্তরপ্রদেশও এইরকম আইন আনতে চলেছে। রাষ্ট্র ক্রমশ পরিবারের হাত ধরে ঢুকে পড়ছে ব্যক্তিজীবনে। কাল পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এলে পশ্চিমবঙ্গেও এমন বিল আসতে পারে।

এই ধরনের বিয়ে, বিশেষত হিন্দু মেয়ের সঙ্গে মুসলিম ছেলের বিয়ে অনেকদিন ধরেই বিজেপি তথা হিন্দু সংগঠনগুলির মাথাব্যথার কারণ। লক্ষ্যণীয়, এধরণের প্রেম-সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে ভাষা ব্যবহার করে উভয় পরিবারের অসংবেদনশীল মানুষ ( বিশেষত মেয়ের পরিবারের), তা হল, 'ভুল বোঝানো', 'ফুঁসলানো', 'তুলে নিয়ে গেছে' ইত্যাদি। এ ভাষা অপহরণ-সংক্রান্ত। এই সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে সঙ্ঘ পরিবার 'লাভ জিহাদ'-কে রাজনৈতিক আজেন্ডা করে তুলেছে।

আন্তঃধর্ম বিবাহ নিয়ে এই রাজনীতি হিন্দুসভার সময় থেকে শুধু ছিল, তা নয়। সংস্কারপন্থী আর্যসমাজের বয়ানেও এসব ছিল। আর্যসমাজের দুটি লিখিত প্রচারপত্র ছিল 'হিন্দু আওরাতোঁ কি লুট' আর 'হিন্দু স্ত্রীও কি লুটনে কি কারণ'। ক্রমে সেসব প্রচারের দায়িত্ব অধুনা আরএসএস ও বিজেপি ঘাড়ে নিয়েছে, বলা বাহুল্য। বর্তমানে হিন্দুত্ববাদীরা এরই নাম দিয়েছে 'লাভ জিহাদ'। প্রেমের অছিলায় অন্য ধর্মের প্রতি ইসলামের জিহাদ-এইরকম একটি কনস্পিরেসি থিওরির জন্ম তাঁরা দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট কয়েক বছর আগে 'লাভ জিহাদ' প্রসঙ্গে বলেছিল, যদিও প্রেমে পড়ে অনেকেই বিয়ের জন্য ধর্মান্তরিত হন ভারতে, কিন্তু লাভ-জিহাদ ধরনের কোনো সার্বিক কনস্পিরেসি থিওরির সপক্ষে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ তাঁরা পাচ্ছেন না।

অথচ রাজ্যে রাজ্যে 'লাভ-জিহাদ-বিরোধী বিল' আনার প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গেই 'লাভ জিহাদ' বিরোধী প্রবল প্রচারও চলছে। যতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী, সর্বভারতীয় সন্ত সমাজের প্রধান ও গাজিয়াবাদের দশনা দেবী মন্দিরের মোহান্ত দিল্লির যন্তর মন্তরে এসে বলেছেন, বাড়ির মেয়েদের দিকে যদি মুসলমান ছেলেরা 'নজর দেয়', তাহলে তাদের মেরে ফেলতে হবে। যারা তা করে না তারা 'হিজড়া'-র সমান। 'খবর ইন্ডিয়া'-র ইউটিউব পোর্টালে প্রকাশিত এই বক্তৃতায় প্রচুর লাইক-শেয়ার পড়ছে। এই ব্যক্তি দিল্লি দাঙ্গার আগেও মেরে ফেলা, কেটে ফেলার কথা বলেছিলেন। সেসময় খোদ বিজেপি-র গৌতম গম্ভীরকেই 'হিজড়া' বলেছিলেন মুসলমানদের মেরে পৌরুষ প্রদর্শন করছেন না বলে। নরসিংহানন্দের নিজস্ব 'নরসিংহবাণী' চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ২.৪ লাখ। নিকিতা তোমারের ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথও বলেছিলেন, হিন্দুদের মা-বোনের 'সম্মান' নিয়ে টানাটানি হলে, তিনি বিধর্মীদের 'রাম বাম সত্য' করে দেবেন। অর্থাৎ আবারও, হত্যার হুমকি।

ফেসবুকে লাভ জিহাদ নিয়ে উস্কানিমূলক ভিডিও পোস্ট করেছে কপিল গুজ্জর নামে সেই ছেলেটিও, যাকে এই বছরের শুরুতে শাহীনবাগে গুলি চালাতে দেখা গেছিল। যে তখন গ্রেপ্তার হলেও কিছুদিন পরে ছাড়া পায়। বলা বাহুল্য ফেসবুক তার পোস্ট সরায়নি। তথাকথিত লাভ-জিহাদের প্রতি ঘৃণায়, হিন্দুত্ববাদীদের বিতৃষ্ণা আবার কেন্দ্রিভূত শুধু ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি নয়। এই ঘৃণা নারীর এজেন্সির প্রতিও। যোগী আদিত্যনাথের হুঙ্কারটি মনে করুন। 'মা-বোনের সম্মান' ক্ষুণ্ণ হলে তিনি বিধর্মীকে হত্যা করবেন। অথচ লক্ষ্যনীয়, নিকিতা নামের মেয়েটি কিন্তু মারা গেছিল। প্রাণের চেয়েও মেয়েটির সম্মানই তাঁর কাছে প্রধান। কারণ মেয়েটির 'সম্মান' (পড়ুন কুমারীত্ব) এক্ষেত্রে হিন্দুজাতির সম্মানের সমার্থক হয়ে উঠেছে। নারীর নিজস্ব এজেন্সির, তার যৌনসঙ্গী নির্বাচনের স্বাধীনতার এক্ষেত্রে স্বীকৃতি নেই। নারীদেহই এখানে ধর্মীয় ক্ষমতা-দখলের জমি।

গণতান্ত্রিক একটি দেশের কিছু আন্তর্জাতিক মূল্যবোধ বজায় রাখার দায়বদ্ধতাও থাকে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ১৮ ধারায় ভারত সই করেছিল। সেখানে বলা ছিল আপন বিশ্বাস ও বিবেক অনুযায়ী আচরণের স্বাধীনতার কথা, যেমন খুশি ধর্মাচরণ করার বা না করার স্বাধীনতার কথা। ভারতের সংবিধানের ২৫ ধারাতেও তেমনই বলা আছে। মধ্যপ্রদেশের আগামী বিল সেই সবেরই অবমাননা করছে। একবছর আগে 'লীলা' নামের এক ওয়েব চলচ্চিত্র দেখিয়েছিল 'আর্যাবর্ত' নামক এমন এক ডিস্টোপিয়া, যেখানে আন্তঃধর্ম বিবাহের ক্ষেত্রে মেয়েটির বিধর্মী সঙ্গীটিকে খুন করে দেওয়া ও সন্তানকে সরকারি তৎপরতায় গুম করাটাই দস্তুর। সেই অন্ধকারের দিকেই কি আমরা এগোচ্ছি?

0 Comments

Post Comment