১০০ টাকার মুদ্রা ও ভারতমাতা!
সম্প্রতি আমরা দেখলাম নয়া দিল্লীর আম্বেদকর আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে আরএসএসের শতবর্ষ উদযাপনের কর্মসূচী, এবং এই উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর যোগদান ও বিশেষ স্মারক কয়েন ও ডাকটিকিটের প্রকাশ ও উন্মোচন । প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ভারতগঠনে সঙ্ঘের অবদানের কথা জানান। এবং এক্স হ্যান্ডেলে জানান - সঙ্ঘের শতবর্ষ উদযাপনে এই মুদ্রা ও ডাকটিকিট উন্মোচন করে তিনি অত্যন্ত গর্বিত । কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের উদ্যোগে ১০০ বছর আগে আর এস এসের প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন এবং বলেন - এটি কোন কাকতালীয় ঘটনা ছিল না । ছিল হাজার হাজার বছরের প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্ঠা। এই জাতীয় চেতনা পরিবর্তিত সময়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন রূপে প্রকাশিত এবং এই সময়ে আরএসএস সেই চিরন্তন জাতীয় চেতনার এক পবিত্র প্রতীক ।
মুদ্রার এ-পিঠ ও-পিঠ!
১০০ টাকার স্মারক মুদ্রার একদিকে রয়েছে জাতীয় স্তম্ভ । অন্যদিকে একজন সিঙ্ঘবাহিনী মহিলা, যার হাতে প্রায় দ্বিখণ্ডিত পতাকা, যার গঠন আরএসএসের পতাকার আকারের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়… দাবী করা হচ্ছে তিনি সিংহবাহিনী ভারতমাতা । তাঁর সামনে তিনজন স্বয়ংসেবক ভারতমাতাকে অভিবাদন করছেন । আরএসএসের মন্ত্র - ‘রাষ্ট্রায় স্বহা, ইদ রাষ্ট্রায়, ইদং ন মম' খোদাই করা আছে মুদ্রায় । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আয়োজিত হয়েছিল এই অনুষ্ঠান।কোন রাজনৈতিক দলের ১০০ বছর পূর্তিতে ১০০ টাকার কয়েন ও ডাকটিকিট প্রকাশ নিয়ে সঙ্গতকারণে অনেক প্রশ্ন উঠছে।
হিংটিংছট প্রশ্ন!
যে সংগঠন একদিন ঔপনিবেশিক শক্তির হয়ে কাজ করেছিল। যারা আজ সমাজে বিভেদ-বিষ ছড়াচ্ছে, তাদের এই গুরুত্ব কতটা প্রাপ্য? সর্দার প্যাটেল যেই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন আজ এই সরকারের এই উদ্যোগ কতটা যথাযথ? যারা দেশের সংবিধানকে আবার নতুন করে লেখার কথা বলে, তারা জাতির কী করে আদর্শ হয়?
এই পদক্ষেপে প্রকারান্তরে এমন এক সংস্থাকে মান্যতা দেওয়া হল যারা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেই নি। এই ঘটনা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের লজ্জা। সত্যিকারের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সংগ্রামের অপমান। আরএসএসের মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী যা বললেন তাতে তাঁকে আর এস এসের প্রচারক হিসেবেই মনে হল, জনগণের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়।
কয়েনের মা এবং ভারত মাতা ও অজৈবিক ঈশ্বরপ্রেরিত দূত!
তিনিই বলেছেন - তাঁর যা শক্তি আছে তা কোন জৈবিক দেহ থেকে আসতে পারে না । কেবল ঈশ্বর কতৃক প্রেরিত হলেই সম্ভব। তাঁর মা(জৈবিক) বেঁচে থাকাকালীন তিনি ভাবতেন যে তিনি জৈবিকভাবে জন্মগ্রহণ করেছেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর যখন তিনি তাঁর অভিজ্ঞতাগুলো দেখেন তখন তিনি বুঝেছেন তিনি জৈবিক নন! তিনি ঈশ্বরের দ্বারা প্রেরিত যন্ত্র। আহা! কী উপলব্ধিময় কথা ! কথায় বলে - আউট অফ সাইট আউট অফ মাইন্ড। কিন্তু সাধারণ মানুষ পিতৃঋণ মাতৃ-ঋণ ভোলে না। কিন্তু তিনি বলে ফেললেন সাংঘাতিক কথা! মা ধরাধাম ছেড়ে চলে যেতেই তিনি তাঁর শেকড়ই ভুলে গেলেন। তিনি বললেন তিনি ঈশ্বর প্রেরিত যন্ত্র। পেটে মুখে এক! তাঁর ঈশ্বর হল আরএসএস। তিনি আসলে আরএসএসের যন্ত্র। যতদিন মা ছিলেন ততদিন জন্মদিনে তাঁর জৈবিক মায়ের কাছে জন্মদিনে যেতেন ছবি তুলতে । বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে জন্মদিন-বালকের ছবি তোলা হত । মা ভূলোকে নেই তো তাঁর কোনো মা নেই! তাঁর স্ত্রী থেকেও নেই, তাঁর মা ছিলেন কিন্তু নেই, তিনি প্রথমে এমএ আর তারপর বিএ পাশ করেন কিন্তু তাঁর সেই ব্যাচের কোন বন্ধু বান্ধব নেই। যে বিষয়ে পড়াশুনো করেন সেই বিষয় নেই, যে স্টেশনে চা বিক্রি করতেন তাঁর কোন অস্তিত্ব নেই, ছোটবেলায় তিনি কলকাতায় মেট্রো চড়েছেন যে সময়ে কলকাতায় তখন কোন মেট্রোই ছিল না । তাঁর শুধু আছে কিছু বাক্য যার কোন ভিত্তি নেই। তিনি ঈশ্বর প্রেরিত । তাই কোভিডের সময় তাঁর দাওয়াই হল থালাবাদ্য ও হাততালি । এখন একদম খোলাখুলি তিনি তাঁর ঈশ্বরের ১০০ বছরের জন্মদিন পালনে একটা ১০০ টাকার মুদ্রা ও ডাকটিকিট প্রকাশ করে মহিলা রুপী কারুর হাতে জাতীয় পত্যাকার আঙ্গিক বদল করে দ্বিখণ্ডিত আকারের ভাগোয়া ঝাণ্ডা ধরিয়ে দিয়ে বলেন - ইনি ভারতমাতা । তবে কি তিনি ভারতমাতা হয়ে যান? না, হন না। যিনি নিজের মায়ের মর্ম বোঝেন নি, তিনি ভারতমাতার কী মর্ম বুঝবেন? মা কোন ইউনিক সেলিং প্রপোজিশন নয়। মা একটি সম্পর্ক, একটি আস্থা ও ভরসাস্থল, একটি আবেগ। মা বা ভারতমাতা কোন প্রজেক্ট হয় না, হতে পারে না!
ভারতের যুক্তিবুদ্ধি সমন্বিত জৈবিক নাগরিক…
ভারতের যুক্তি-বুদ্ধি সমন্বিত জৈবিক নাগরিকদের আস্থা আছে ভারতের সংবিধানে, আস্থা আছে ভারতের জাতীয় তেরঙ্গায়। অন্য আকারের পতাকাকে যেমন জাতীয় পতাকা বলে পার পাওয়া যাবে না, সেই ঝান্ডাধারিনীকেও ভারতমাতা বলে পার পাওয়া যাবে না। দেশপ্রেম একটি জাতীয় আবেগ । তা কোন সাম্প্রদায়িক দলের প্রোডাক্ট নয় যে জাঁক জমকের মুদ্রা ও ডাকটিকিটে সেই অনুভব বিক্রি হবে, আর মানুষ সেই 'আরএসএস প্রেরিত' সওদাগরের তৈরি করা ইমেজ খাবেন ও মাখবেন।
ভারতের জাতীয় পতাকা ও আরএসএস
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে তিনি ‘ঘর ঘর তিরঙ্গা’ প্রচারের জন্ম যখন দিয়েছিলেন তখন তা প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। কারণ ইতিহাস প্রতিষ্টিত হয় কালের নিয়মে, তাকে জোরজবরদস্তি কোন স্বঘোষিত ঈশ্বর বদলে দিতে পারে না । ভারতের নাগরিকরা ভোলেননি যে জাতীয় পতাকার প্রতি আরএসএসের ধারনা বা সম্মান কতটা । আরএসএস ৫২ বছর ধরে জাতীয় পতাকা তোলে নি। আরএসএস ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ও ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি তেরঙ্গা উত্তোলন করে নি। ১৯৫০ সালের পর ২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারী আরএসএসের সদর দফতরে কোন জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয় নি - যা ভারতের সব সংবাদমাধ্যম জানে। যখন আরএসএস ভবনে রাষ্ট্রপ্রেমী যুব-দলের তিন সদস্য আরএসএস প্রশাসনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গর্ব করেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন, তাদের শুধু বাধা দেওয়াই হয়নি, প্রাঙ্গণের ইনচার্জ এই তিন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন, এবং শেষমেশ ২০১৩ সালে তাদের এই মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।
আরএসএসের দ্বিতীয় সঞ্চালক এম এস গোলওয়ালর তাঁর ‘বাঞ্চ অফ থটস' বইতে তেরঙ্গা জাতীয় পতাকার সমালোচনা করেছিলেন। শুধু সমালোচনা নয়, আপত্তি করা হয়েছিল ১৯৪৭ সালে আরএসএস মুখপত্র অর্গানাইজারে পরিষ্কার বলা হয়েছিল এই তেরঙ্গা পতাকাকে হিন্দুরা কখনো সম্মান করবে না । তিন একটি অশুভ সংখ্যা ইত্যাদি বলে। ২০১৫ সালে আরএসএস আরও বলেছিল যে জাতীয় পতাকায় একমাত্র গেরুয়া রং থাকা উচিত। আজ মুদ্রায় যাঁকে ভারতমাতা বলা হল ও তাঁর হাতে যে ঝাণ্ডা তুলে দেওয়া হল তা যে ভারতের ঝাণ্ডা নয় তা সবাই জানেন। একজন প্রধানমন্ত্রী কি এভাবে দেশবাসীর জাতীয়তাবোধে আঘাত দিতে পারেন?
আরএসএসের ভাবনা চিন্তা ও মায়েরা-মেয়েরা...
আরএসএস সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে আরএসএসের ইতিহাস একটু দেখে নেওয়া ভালো । ১৯২৫ সালে আরএসএসের প্রতিষ্ঠা । প্রতিষ্ঠা করেন ডঃ হেডগেওয়ার । পরে আর এসএসের পরিচালক হন এমএস গোলওয়ালকর । তিনি ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত একটানা ৩৩ বছর এই দায়িত্ব সামলেছেন । আজ আরএসএসের কর্তাদের যেসব নিদান বা বক্তব্যে আমরা আঁতকে উঠছি – এঁদের একমাত্র নির্দেশিকা হল মনুস্মৃতি । ভারতীয় সংবিধানকে এঁরা প্রায় গ্রাহ্যের মধ্যেই ধরেন না । ভারতীয় গণপরিষদের পণ্ডিতরা মনুস্মৃতির মতো প্রাচীন ভারতের নিয়মকানুন কেন ভারতীয় সংবিধানে রাখেন নি, এই বিষয়ে যথেষ্ট উষ্মা আছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবকদের। মনুস্মৃতির ১২ টি অধ্যায়ের ২৭০০টি শ্লোক টইটম্বুর মেয়েদের মনসত্তাকে উপেক্ষা করেই সম্পূর্ণ দেহসত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে কেবলমাত্র পুরুষদের উপভোগ্য জৈবসত্তা হিসেবে সম্পূর্ণ অমর্যাদায় ভরা ।
যদি ফিরে যাই ১৯৬০ সালের ১৭ ডিসেম্বরে, দ্বিতীয় সঙ্ঘচালক এমএস গোলওয়ালকরের গুজরাট ইউনিভার্সিটিতে তাঁর বক্তৃতায়, তার মোটামুটি মর্মার্থ হল – ক্রস ব্রিডিং-এর পরীক্ষা নিরীক্ষা অন্যান্য প্রাণীদের ওপর করানো হয়, কিন্তু মানুষের ওপর করানোর সাহস হয় নি । যেকোন শ্রেণীর বিবাহিত মহিলার প্রথম সন্তান নাম্বুদিরি ব্রাহ্মণ দ্বারা হওয়া উচিত, তারপর তার স্বামী দ্বারা বাকি সন্তানদের জন্মগ্রহণ করাতে পারেন । অর্থাৎ নাম্বুদিরি ব্রাহ্মণ সব শ্রেণীর মহিলাদের সম্ভোগ করাবার লাইসেন্স যাতে পেয়ে যায় তার চেষ্টা ! বিভিন্ন “সাধুবাবা”দের এই প্রবণতার ঘটনা মাঝেমাঝেই খবরে আসে । আর এসএসের মুখপাত্র ‘অর্গানাইজার’ পত্রিকার ২ জানুয়ারি ৫ নম্বর পৃষ্ঠায় এই খবর প্রকাশ হয়েছিল।
২০১৭ সালের ৭মে, বিবিসি বাংলা নিউজ খবর করেছিল উত্তম সন্তানের জন্য আরএসএসের প্রকল্প - এই খবরে জানতে পারা যাচ্ছে যে অভিভাবকদের তিনমাসের এক “শুদ্ধিকরণ” করা হবে, যাতে গ্রহ নক্ষত্রের আবস্থান অনুযায়ী যৌন মিলনের দিনক্ষণ নির্ধারণ, স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার পর যৌন সংসর্গ থেকে সম্পূর্ণ বিরত থেকে বিশেষ খাবার গ্রহণের নিয়মে থাকার নির্ঘন্ট । এনডিটিভির এক রিপোর্টে এই প্রকল্প বিষয়ে বলা হয় যে আরএসএসের স্বাস্থ্য শাখা আরোগ্য ভারতীর এই প্রকল্পের নাম “গর্ভ বিজ্ঞান সংস্কার” । এই প্রকল্পের ফলে নিখুঁত, যেমন চাই তেমন সন্তান পাবেন বাবা-মা । আরোগ্য ভারতীর জাতীয় আহ্বায়ক ডঃ হিতেশ জানি বলেন – এই প্রকল্পে নিম্ন বুদ্ধিমত্তার বাবা-মা মেধাবী সন্তানের জন্ম যেমন দিতে পারবে, তেমনি খর্বকায় কৃষ্ণবর্ণের বাবা-মা পেতে পারেন উজ্জ্বল বর্ণের সন্তান । এসব পদ্ধতির কথা হিন্দু শাস্ত্রে আছে ! এই প্রকল্পের আহ্বায়ক ডঃ করিশ্মা মোহনদাস নরওয়ানি জানিয়েছেন গুজরাট রাজ্যে এই প্রকল্প বহুদিন ধরেই লাগু । এরপর উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে চালু হবে । প্রায় চার দশক আগে জার্মানি থেকে সিনিয়র এক নেতা এই ধারনা পেয়েছিলেন বলে সংঘের এক কর্মকর্তার কাছে জানা যায় ।
একসময় সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে আরএসএসের পথ চলা শুরু হলে তার মূল দর্শন ছিল হিন্দু জাতীয়তাবাদ । ভারতে বসবাসকারী সকলেই নাকি আরএসএসের মতে হিন্দু । গোলওয়ালকার মনে করতেন হিন্দুরা একজোট হলেই মজবুত রাষ্ট্র গঠন হবে । তা না হলে তারা বিশ্বের প্রগতিতে যুক্ত হতে পারবে না । ভারতে বসবাসকারী অহিন্দুদের সমান নাগরিক অধিকার দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন না গোলওয়ালকর । তবে এই মতে আরএসএস ও বিজেপির সকলে সহমত ছিলেন না । প্রথম দিকে এদের রাজনীতিতে যুক্ত হবার উচ্চাশা ছিল না । আস্তে আস্তে বদলে গিয়েছে অভিমত ও পথ । কিন্তু ধর্মীয় গোঁড়ামি নিয়ে অবস্থান তাদের বদল হয় নি । আজ বিশ্ব রাজনীতিতে অনেক জায়গায় ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে প্রবলভাবে ।
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি ইন্দোরের একটি সভায় বলেছিলেন - “বিবাহ হল চুক্তি । ছেলেরা বিবাহ করে সুখ পাবার জন্য । মেয়েরা বিয়ে করে ছেলেদের সুখ দেওয়ার পরিবর্তে নিজেদের পেট চালানোর জন্য । এই চুক্তি যদি মেয়েরা পূরণ করতে না পারে, তাহলে পুরুষদের ওদের ছেড়ে দেওয়া উচিত” ।
ইতালির একীকরণের সময় মাৎসিনি বলেছিলেন ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি মিলিয়ে দেবার কথা । তার মতে ধর্ম ছাড়া রাজনীতি ফলপ্রসূ হয় না । এমন ভাবনাই পোষণ করে আরএসএস ও তাদের ছায়াধন্য বিজেপি । এই সংঘ ও ফ্যাসিবাদ বা একনায়কতন্ত্রের সম্পর্ক বড় নতুন নয় । এই মুহুর্তে শুধু এইটুকু বলার যে স্বাধীনতা, সংবিধান ও ভারতমাতা নিয়ে ভারতবাসীর সম্যক ধারণা আছে । এই নিয়ে কোন সুচতুর সঙ্ঘের বা সংঘ-প্রচারকের চিত্রনাট্যের ছবি সফল হবে না!