ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই মুহূর্তে চলমান প্যালেস্টাইন-ইসরায়েল সংঘাতে তেল আভিভের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। সেই ঘোষণায় গাজা ভূখণ্ডের রক্তাক্ত, নির্যাতিত জনগণের উল্লেখ নেই। ভারতের দীর্ঘদিনের প্যালেস্টাইন নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত পথের পথিক এখন নরেন্দ্র মোদী। হামাস অভিযান শুরু হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অভিযানকে "সন্ত্রাসী হামলা " বলে অভিহিত করেছেন, তাতে নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন" এবং "ইসরায়েলের সাথে সংহতি" জানিয়েছেন।আসলে নীতিগতভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি ইজরায়েলের ভীষণ কাছাকাছি। অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার তেল আভিভের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির উদ্যোগ নেয়।
'নাকবা' একটা আরবী শব্দ, যার মানে বিপর্যয়।প্যালেস্টাইনের জনগণ প্রতি বছর ১৫ মে দিনটি নাকবা দিবস হিসেবে পালন করে।কেন জানেন ? ঐ দিন থেকে প্যালেস্টাইনের জনজীবনকে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দিয়েছিলো পশ্চিমী দেশগুলির সন্তান স্বরূপ ইসরায়েল। প্যালেস্তিনীদের 'প্রথম নাকবা' শুরু হয় ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল স্বাধীনতা লাভের পর। ১৯৪৯ সালের মধ্যে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ প্যালেস্তিনী কে উচ্ছেদ করা হয় তাদের মাতৃভূমি থেকে। চার শতাধিক গ্রাম ও শহরকে ধুলিস্যাৎ করে, নাম বদলে সেখানে গড়ে তোলা হয় ইজরায়েলি জনপদ।দ্বিতীয় নাকবা বা বিপর্যয় ১৯ বছর পরে ১৯৬৭ সালে। সে বছর জুন মাসের ৫ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত ইজরায়েলের সঙ্গে ভয়াবহ যুদ্ধ হয় মিশর, সিরিয়া এবং জর্ডনের মতো আরব রাষ্ট্রগুলির জোটের সঙ্গে। এই যুদ্ধের সময় এবং পরে ইসরায়েল তাদের মাতৃভূমি থেকে প্যালেস্তিনীদের বিতাড়নের দ্বিতীয় নাকবা চালায়। প্রত্যাবর্তনের আশা ছাড়াই, তাদের জোরপূর্বক লাট্রুন এলাকা, পূর্ব জেরুজালেম এবং জর্ডান উপত্যকা থেকে জর্ডানে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছিল।যুদ্ধ বন্ধের সময় ইসরায়েল সিরিয়ার গোলান মালভূমি, জর্ডান-অধিভুক্ত ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক (পূর্ব জেরুজালেম সহ), এবং মিশরের সিনাই উপদ্বীপের পাশাপাশি মিশর-অধিকৃত গাজা উপত্যকা দখল করেছিল। ছয় দিনের যুদ্ধের ফলে বেসামরিক জনসংখ্যার প্রায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার প্যালেস্টাইনী এবং লক্ষাধিক সিরিয়ান যথাক্রমে ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এবং গোলান হাইটস থেকে পালিয়ে গেছে বা বিতাড়িত হয়েছে।প্যালেস্টাইনের জনগণ এই নৃশংস, অমানবিক ঘটনাকে স্মরণ করে 'দ্বিতীয় নাকবা' বলে।
চলমান প্যালেস্টাইন বা হামাস-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যে কোনো আলোচনায়, প্যালেস্তিনীদের কাছে 'নাকবা' শব্দের গুরুত্ব এবং তার পেছনে লুকিয়ে থাকা সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্রটা জেনে রাখা উচিত।কারণ, 'তৃতীয় নাকবা'র জন্য ময়দানে নেমে পড়েছে ইসরায়েলের চরম দক্ষিণপন্থী সরকার, সেনাবাহিনী। একটা গোটা জাতিকে ধ্বংস করার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্বে, হামাসের 'আল আকসা স্টর্ম' অভিযানকে অজুহাত করে 'তৃতীয় নাকবা'তেই তা সম্পূর্ণ করতে চাইছে ইসরায়েল, সঙ্গে দোসর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, জার্মানি বা ভারতের মতো গণতন্ত্রের মুখোশধারী দক্ষিণপন্থী শাসকেরা।পশ্চিমী শাসক থেকে মিডিয়া বলার চেষ্টা করছে, বিনা প্ররোচনায় প্যালেস্তাইনি বিদ্রোহী সংগঠন হামাস বিনা প্ররোচনায় এই হামলা চালিয়েছে। প্ররোচনার সংজ্ঞা কি ? ইসরায়েলের ক্রমাগত হিংসার চক্রটি, ইসরায়েলের চলমান ৭৫ বছরের অবৈধ দখলদারিত্ব, গাজা ভূখন্ড ঘিরে ১৬ বছরের অবৈধ অবরোধ এবং একটি বর্ণবাদী রাষ্ট্র হিসেবে শাসন পরিচালনা একটি নির্যাতিত, লাঞ্ছিত জাতিসত্বার কাছে প্ররোচনা নয়? মাত্র দুই সপ্তাহ আগে রাষ্ট্রসংঘ সতর্ক করে দিয়েছিল যে ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান সামরিক অভিযান ও আক্রমণ, সামরিক শক্তির ক্রমবর্ধমান ব্যবহার এবং প্রশাসনিক আটক প্রক্রিয়ার যথেচ্ছ ব্যবহার, সেই সাথে অবৈধ বসতি স্থাপনের গতি বৃদ্ধি এবং সরকারি মদতে প্যালেস্তিনীয়দের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হিংসা প্ররোচনা নয় ? হামাসের অভিযানের আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শুধুমাত্র এই বছরে ৪৫ শিশু সহ ২৪০ জনেরও বেশি প্যালেস্তিনীয়কে হত্যা করেছে - যা ২০১৪ সাল থেকে প্যালেস্তিনীয়দের জন্য সবচেয়ে রক্তাক্ত বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।এর পরেও হামাসের অভিযানের পেছনে কোনও প্ররোচনা খুঁজে পাননি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর স্কোলজ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী সুনাক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারা যৌথ বিবৃতি দিয়ে প্রকৃত সন্ত্রাসবাদী, বেআইনি দখলদার ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে।
অথচ, চলতি শতাব্দীর প্রথম দশক থেকেই ইসরায়েল গাজায় চারটি দীর্ঘ সামরিক হামলা করেছে। ২০০৮, ২০১২, ২০১৪ এবং ২০২১ সালে। বহু শিশু সহ হাজার হাজার প্যালেস্তিনী নিহত হয়েছে এবং কয়েক হাজার বাড়ি, স্কুল এবং অফিস ভবন ধ্বংস হয়েছে। পুনর্নির্মাণ অসম্ভব হয়ে পড়েছে কারণ অবরোধ নির্মাণ সামগ্রী যেমন ইস্পাত এবং সিমেন্টকে গাজায় পৌঁছাতে বাধা দেয়। ২০০৮ সালের হামলায় আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ অস্ত্র, ফসফরাস গ্যাসের ব্যবহার করেছে ইসরায়েলি সেনা। ২০১৪ সালে, ৫০ দিনের ব্যবধানে, ইসরাইল ১৪৬২ জন বেসামরিক নাগরিক এবং প্রায় ৫০০ শিশু সহ ২,১০০ টিরও বেশি প্যালেস্তিনীকে হত্যা করেছিল। ইসরায়েলিদের দ্বারা 'অপারেশন প্রোটেক্টিভ এজ' নামে আক্রমনের সময়, প্রায় ১১ হাজার প্যালেস্তিনী আহত হয়, ২০ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয় এবং পাঁচ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ৭ অক্টোবর ভোর রাতে হামাস এর অভিযান শুরুর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইসরায়েল গাজা উপত্যকার "সম্পূর্ণ অবরোধ" ঘোষণা করেছে, ইতিমধ্যেই অবরুদ্ধ ছিটমহলে খাদ্য, জ্বালানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে যা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে যুদ্ধাপরাধের সমান।কিন্তু গাজা ভূখণ্ডে এটা নতুন ঘটনা নয়। ২০০৭ সাল থেকে এই ভূখণ্ডের প্রায় ২৩ লক্ষ মানুষ ইসরায়েলের অমানবিক অবরোধের শিকার। জল, জমি, আকাশ সর্বত্র ছিল অবরোধ। রাষ্ট্রসঙ্ঘ বিবৃতি আর প্রস্তাবের পাশাপাশি নিজভূমে পরবাসী প্যালেস্তিনীয়দের জন্য কিছু মানবিক ভিক্ষা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি ইসরায়েলের হিংস্র আগ্রাসী কার্যকলাপ রোধে। কারণ গণতন্ত্রের মুখোশধারী গণশত্রু পশ্চিমী দুনিয়ার শাসক দলগুলির সম্পূর্ণ মদত ইসরায়েলের রাজনীতি, বিদেশনীতির দখলদারি মানসিকতাকে পুষ্ট করেছে দশকের পর দশক ধরে। একটা জাতিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে অন্য একটি জাতিকে সেখানে প্রতিষ্ঠিত করার যে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বীজ শতবর্ষ আগে 'বেলফোর ডিক্লারেশনের'মাধ্যমে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বপন করেছিল তা আজ মহীরুহতে পরিণত হয়ে হামাস কে প্ররোচিত করেছে 'আল আকসা স্টর্ম' অভিযান শুরু করার।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই মুহূর্তে চলমান প্যালেস্টাইন-ইসরায়েল সংঘাতে তেল আভিভের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। সেই ঘোষণায় গাজা ভূখণ্ডের রক্তাক্ত, নির্যাতিত জনগণের উল্লেখ নেই। ভারতের দীর্ঘদিনের প্যালেস্টাইন নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত পথের পথিক এখন নরেন্দ্র মোদী। হামাস অভিযান শুরু হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অভিযানকে "সন্ত্রাসী হামলা " বলে অভিহিত করেছেন, তাতে নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন" এবং "ইসরায়েলের সাথে সংহতি" জানিয়েছেন।আসলে নীতিগতভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি ইজরায়েলের ভীষণ কাছাকাছি। অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার তেল আভিভের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির উদ্যোগ নেয়। ২০০০ সালে তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী যশবন্ত সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানি ইসরায়েল সফর করেন। কিন্তু দুই দেশের সম্পর্কে গভীরতা বাড়াতে বড় পদক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৭ সালে নরেন্দ্র মোদী ইসরায়েল সফরে যান ভারত থেকে সেদেশে যাওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। শুধু তাই নয়, অতীতের প্রথা ভেঙে সেই সফরে প্যালেস্টাইন যাননি তিনি। এর আগে পর্যন্ত কোনো মন্ত্রী ইসরায়েল সফরে গেলে প্যালেস্টাইনেও যেতেন সহমর্মিতা জানাতে। মোদী সেই প্রথা তুলে দিলেন। এই সময় আরো একটা ঘটনা ঘটে। তেল আভিভে নরেন্দ্র মোদির সফর উপলক্ষে সেখানে যাওয়া ভারতীয় শিল্পপতিদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্নেহধন্য গৌতম আদানি।গত ছয় বছরে, আদানি গোষ্ঠী এলবিট সিস্টেমস, ইজরায়েল ওয়েপন সিস্টেমস এবং ইসরায়েল ইনোভেশন অথরিটির মতো কোম্পানিগুলির সাথে অনেক সমালোচনামূলক অংশীদারিত্ব করেছে৷ আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড স্থানীয় রাসায়নিক ও লজিস্টিক গ্রুপ গ্যাডোটের সাথে অংশীদারিত্বে গত বছরের জুলাই মাসে ইসরায়েলের ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে হাইফা বন্দর, প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলারে কিনেছে। ভারত-ইসরায়েল সম্পর্ক সম্পর্কহীন থেকে সরে এসেছে কৌশলগত অংশীদারিত্বে।স্টকহোম পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর দ্বারা সম্প্রতি প্রকাশিত "ট্রেন্ডস ইন ইন্টারন্যাশনাল আর্মস ট্রান্সফার" শিরোনামের একটি প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভারত ইসরায়েলি অস্ত্রের শীর্ষ খরিদ্দার। মোট ইসরায়েলি অস্ত্র রপ্তানির ৪২% আসে ভারতে।স্বাভাবিক কারণেই,নরেন্দ্র মোদী হামাস কে মনে করেন 'সন্ত্রাসী' আর রাষ্ট্রসঙ্ঘ ঘোষিত বেআইনি দখলদার,বিনা প্ররোচনায় হাজার হাজার নারী, পুরুষ, শিশু হত্যাকারী ইসরাইলী শাসকের প্রতি সংহতি জানান।
আর একটা বিষয় উল্লেখ করে এই প্রতিবেদন শেষ করবো। বিষয়টি হলো রাজধানী তেল আভিভ থেকে প্রকাশিত প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকা 'হারেৎজ' এর ৮ অক্টবরের সম্পাদকীয়।উন্নত, উন্নয়নশীল দেশের রাষ্ট্রনেতারা যখন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সহমর্মিতা জানাতে ব্যস্ত তখন কি বলছে তার দেশের পত্রিকা।"সিমচাট তোরাহের (আনন্দ উৎসব) ছুটিতে ইসরায়েলের যে বিপর্যয় ঘটেছিল তা একজন ব্যক্তির স্পষ্ট দায়: বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। প্রধানমন্ত্রী, যিনি নিরাপত্তার বিষয়ে তার বিশাল রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং অপরিবর্তনীয় প্রজ্ঞার জন্য নিজেকে নিয়ে গর্বিত অনুভব করেন, বেজালেল স্মোট্রিচ (অর্থমন্ত্রী) এবং ইতামার বেন-গভির (চরম দক্ষিণপন্থী ইহুদি ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতা) কে প্রধান পদে নিয়োগ করার সময়, সংযুক্তিকরণ এবং দখলের সরকার প্রতিষ্ঠা করার সময়, প্যালেস্তিনীয়দের অস্তিত্ব ও অধিকারকে প্রকাশ্যে উপেক্ষা করে এমন একটি পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করার সময় তিনি সচেতনভাবে ইসরায়েলকে যে বিপদের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তা চিহ্নিত করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হন।' ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এবং জেরুজালেমে ইসরায়েলি দখল সম্পূর্ণ করার ষড়যন্ত্র করেছিল বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নেতৃত্বাধীন দক্ষিণপন্থী জোট সরকার। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, "অতীতে, নেতানিয়াহু নিজেকে একজন সতর্ক নেতা হিসাবে বিপণন করেছিলেন যিনি ইসরায়েলের পক্ষে যুদ্ধ এবং একাধিক হতাহতের ঘটনা এড়িয়ে গেছেন। গত নির্বাচনে জয়লাভের পর, তিনি এই সতর্কতাকে একটি "সম্পূর্ণ-সঠিক সরকারের" নীতির সাথে প্রতিস্থাপন করেন, যার মাধ্যমে ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক কে সংযুক্ত করার জন্য, অসলো-সংজ্ঞায়িত অঞ্চল C-এর কিছু অংশে, হেবরন পাহাড় এবং জর্ডান উপত্যকায় জাতিগত নির্মূল করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলি সহ।এর মধ্যে সংযুক্ত আছে, আল-আকসা মসজিদের কাছে টেম্পল মাউন্টে বসতি স্থাপনের ব্যাপক সম্প্রসারণ এবং ইহুদিদের উপস্থিতি জোরদার করার পাশাপাশি সৌদিদের সাথে একটি আসন্ন শান্তি চুক্তির গর্ব করা যাতে প্যালিস্তিনীরা কিছুই পাবে না, তাঁর শাসক জোটে 'দ্বিতীয় নাকবা' নিয়ে খোলামেলা আলোচনা।" হারেৎজ-এর সম্পাদকীয় পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছে নেতানিয়াহু নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্যালিস্তিনীয়দের নির্মূল করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের কথা। এবং এটাও বলেছে গত কয়েকদিন ধরে যা ঘটছে তা ওই ষড়যন্ত্রের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি।হামাসের অভিযান ইসরায়েলি সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার লড়াই।