পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

ট্রাম্প পুনর্নির্বাচিত : ভারত মার্কিন সম্পর্ক কোনপথে

  • 13 November, 2024
  • 0 Comment(s)
  • 436 view(s)
  • লিখেছেন : শোভনলাল চক্রবর্তী
আজ যারা মোদী ট্রাম্প জুটি নিয়ে আদিখ্যেতা করছেন,তাঁদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সম্পর্কের এই ইতিকথা জেনে রাখা দরকার। ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের জন্য যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হাতে পাবেন সেখানে ঊর্ধ্বমুখী বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, অভিবাসন সমস্যা, পরতি অর্থনীতি এবং সর্বোপরি ইজরায়েল ইরান, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বড় ছায়া ফেলেছে।

কূটনৈতিক ভাবে ভারত কোনোদিনই মার্কিন বিদেশনীতির অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকেনি। তার কারণ এই যে স্বাধীনতার পর থেকেই ঐতিহাসিক ভাবে ভারতের বিদেশনীতি ও পররাষ্ট্র নীতি ভীষণভাবে সোভিয়েত ঘেঁষা ছিল। সোভিয়েত নয়া অর্থনীতির পথ ধরে ভারতও শুরু করেছিল পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা দিয়ে। পঞ্চাশ ও ষাটের দশক জুড়ে ভারতের পররাষ্ট্র নীতি বলতে ছিল পঞ্চশীল ও জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন। ভারতের পররাষ্ট্র নীতির ব্যাপক পরিবর্তন এল ১৯৯১ সালের পর যখন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও এক সার্বিক অর্থনৈতিক সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিলেন। এর পর ১৯৯২ সালের জানুয়ারি এবং ১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর দু’টি মার্কিন সফর অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার দরজা খুলে দিতে সাহায্য করে।সেই শুরু। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বর, ২০০১ সালের নভেম্বর, ২০০২ সালের সেপ্টেম্বর এবং ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর চারটি মার্কিন সফর দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করে, যা আজও অব্যাহত রয়েছে। ১৯৯৮ সালে পোখরান দুই-এর অধীনে তৎকালীন বাজপেয়ী সরকার পাঁচটি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায়, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে এবং একটি সাময়িক ভুল বোঝাবুঝির জন্ম দেয়। তবে এরপর থেকে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক গভীরতর হতে শুরু করে। ইতিবাচক অর্থনৈতিক গতি নেতিবাচক কৌশলগত স্বাধীনতার সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে। এর ফলস্বরূপ পরমাণু পরীক্ষা সত্ত্বেও ২০০০ সাল থেকে ভারতে মার্কিন বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে।প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়। ২০০৪ সাল নাগাদ ভারত একটি দ্রুত উন্নয়নশীল বৃহৎ অর্থনীতি হিসাবে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে এবং ২০০৭ সালে ট্রিলিয়ন-ডলার ও ২০১৪ সালে ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সীমা স্পর্শ করতে সমর্থ হয়। ভারতে অর্থনৈতিক এবং ক্রমবর্ধমান মার্কিন বিনিয়োগের চেয়েও মনমোহন সিং এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ দ্বারা সমর্থিত ইউএস-ইন্ডিয়া: সিভিল নিউক্লিয়ার কোঅপারেশন ছিল এক কৌশলগত মাইলফলক।যদিও বামপন্থীরা এর বিরোধিতা করে মনমোহন সিংয়ের সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে, তা সত্বেও এটি ছিল এমন একটি চুক্তি যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে এবং দুই গণতন্ত্রের মধ্যে বন্ধন সুদৃঢ় করে তোলে।দুই দফায় ক্ষমতায় থাকাকালীন মনমোহন সিং মোট আটবার মার্কিন সফর করেন- ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর, ২০০৫ সালের জুলাই, ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর ও নভেম্বর, ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর ও নভেম্বর, ২০১০ সালের এপ্রিল এবং ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে দু’টি সফর, ২০০৮ সালের নভেম্বর এবং ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর, ছিল জি২০ সমাবেশের কারণে। জি ২০ গোষ্ঠীটি উত্তর আটলান্টিক আর্থিক সঙ্কটের কারণে এক প্রতিষেধক হিসেবে তৈরি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই চলমান ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ব্যাটন হাতে তুলে নেন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সালের মার্চ-এপ্রিল ও জুন, ২০১৭ সালের জুন এবং ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর পাঁচটি মার্কিন সফর পারস্পরিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করে তুলেছে। মোদী উত্তরাধিকারসূত্রে ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি এবং পারমাণবিক সহযোগিতার আকারে একটি কৌশলগত সদিচ্ছা আহরণ করেছেন এবং দু’টিকেই কাজে লাগিয়ে তিনি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করেছেন,সন্দেহ নেই।

আজ যারা মোদী ট্রাম্প জুটি নিয়ে আদিখ্যেতা করছেন,তাঁদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সম্পর্কের এই ইতিকথা জেনে রাখা দরকার। ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের জন্য যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হাতে পাবেন সেখানে ঊর্ধ্বমুখী বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, অভিবাসন সমস্যা, পরতি অর্থনীতি এবং সর্বোপরি ইজরায়েল ইরান, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বড় ছায়া ফেলেছে। সেটা কাটিয়ে উঠতে ট্রাম্প.২ সরকারকে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে। তার কারণ প্রধানত দুটি, প্রথমত, প্রথম ট্রাম্প সরকারে যারা চালকের আসনে ছিলেন,তাঁদের অনেকেই হয় ট্রাম্পকে ত্যাগ করেছেন নয় ট্রাম্প তাঁদের ত্যাগ করেছেন, ফলে এবারের সরকারের কর্ম পদ্ধতি কি হবে সে কথা আগে থেকে বলা কঠিন। দ্বিতীয়ত, মাঝখানে বয়ে গেছে চার চারটি বছর, ট্রাম্প - এর বয়স বেড়েছে, ফলে এবার তাঁর কাছে  সময় একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। ভারত মূলত যে দুটি বিষয়ে ট্রাম্প এর সাহায্য প্রার্থী তা হল ভিসা এবং বাণিজ্য। এইচ -১ বি ভিসা নিয়ে ট্রাম্প কি সিদ্ধান্ত নেন সেটাই ভারতের প্রধান মাথাব্যথা। অন্য কেউ হলে নীতিগত ভাবে ভিসা নিয়ে কোনও চিন্তা হওয়ার কথা ছিল না, কিন্তু ব্যক্তিটি যেহেতু ট্রাম্প তাই চিন্তা। ভোট প্রচারে ট্রাম্প বলেছিলেন যে তিনি আমেরিকার নাগরিকদের স্বার্থরক্ষার কারণে অভিবাসন নীতিতে কড়া হবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারি ভারতীদের সন্তানের জন্ম সে দেশে হলে, এতকাল, জন্মগত কারণে সে আপনি আপনিই দেশের নাগিকত্ব পেয়ে যেত। ট্রাম্প এবার সেই নিয়ম আইন করে পাল্টে দেওয়ার কথা বলেছেন। তার জন্য সংবিধানের পরিবর্তন করতে হলে তাও করবেন বলে জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিরা যাতে ট্রাম্প পন্থী হয় সেও তিনি নিশ্চিত করবেন,কারণ সংবিধানের পরিবর্তনে সুপ্রিম কোর্টের শীর্ষ বিচারপতিদের মত নিতে হবে। যিনি এতটা কোমর বেঁধে নেমেছেন তিনি যে "মোদী ইজ এ মেগনিফিকান্ট ম্যান " বলে মোদীর দেশকে দরাজ ছাড় দেবেন, এমনটা আশা করা যায় বলে, ভারত ভাবছে না নিশ্চয়! তবে হ্যাঁ, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কারণ চিনকে আটকাতে গেলে, তাঁদের হাতের প্রধান হাতিয়ার ভারত।চিন বিশ্বয়িক স্তরে ব্যবসায় প্রবেশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে ফেলেছে। বাজারে নিত্য নতুন জিনিস অল্প দামের পসরা সাজিয়ে চিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবসায় টেক্কা দিয়ে চলেছে।ভারতের একটা বড় বাজার আছে,তার চেয়ে বড় কথা সেই বাজার বেশ কয়েকটি স্তরে বিভক্ত। অর্থাৎ খুব দামী, অল্প দামী কিংবা মাঝারি দামের কোনোটারই ক্রেতার অভাব নিয়ে ভারতে, তাই ভারতকে চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই একসঙ্গে নিয়ে চলার চেষ্টা চালাবে।

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে ভারতের অবস্থান বিনিয়োগ, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা সম্পর্ক এবং গবেষণা কেন্দ্রগুলির সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে একটি বৃহত্তর অর্থনৈতিক, কৌশলগত ও প্রযুক্তিগত শক্তি  হিসেবে সামনে আসতে সমর্থ হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তিতে ভারত বর্তমানে প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে ওঠায় ৫জি-র ক্ষেত্রে চিনের হুয়াই এবং টিকটক-এর মতো একগুচ্ছ পরিষেবার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে পেরেছে। এই পদক্ষেপ শুধু মাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও প্রভাবিত করেছে এবং তাদের মনোভাবের সঙ্গে অনুরণিত হয়েছে। ট্রাম্প রাজে এই অবস্থা বজায় থাকবে বলেই আশা। ভারতের আকার, কৌশল এবং নীতির সংমিশ্রণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সময়োপযোগী। কারণ ভারতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই  অঞ্চলে নিজের আস্থার অংশীদারিত্ব, পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং চিন থেকে নিজেকে ঝুঁকিমুক্ত  করার পথ খুঁজছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি ভারত কোয়াড - এ তার ক্রমবর্ধমান প্রভাবও প্রদর্শন করছে। এর ফলে ভারত মার্কিন কৌশলগত অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও আন্তঃকার্যকারিতা এবং সাধারণ ভিত্তি শক্তিশালী হয়েছে। আশ্চর্যজনক ভাবে, এর নেপথ্যে বৃহত্তম কারণ হল, চিন যারা ক্ষমতালোভী হয়ে বর্তমানে ভূখণ্ড, সমুদ্র এবং বাজার দখলের লড়াইয়ে মত্ত। চিনা কমিউনিস্ট পার্টি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত চিনা রাষ্ট্রের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা হ্রাস পেয়েছে।সন্দেহ নেই এই পথে হেঁটে চিন, চিনা উদ্যোগপতিদের দুর্বল করেছে। হংকংয়ে গণতন্ত্রের শ্বাসরোধ করা ও তাইওয়ানকে গ্রাস করার জন্য চিনের প্রচেষ্টা নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।এ হেন এক সময়ে ভারতের গণতন্ত্র তার ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক আকার এবং কৌশলগত পরিসরের দরুন হঠাৎ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।ট্রাম্প নিজেও সেটা বোঝেন। অন্য দিকে দুই দেশের সম্পর্ক প্রতিরক্ষা চুক্তি, উচ্চ প্রযুক্তির সহযোগিতা এবং ভারতের জন্য বিকল্প সরবরাহ শৃঙ্খলের আকারে ভবিষ্যতের জন্য সুরক্ষিত কৌশলগত পরিকল্পনার সম্ভাবনা বহন করে।

চিনের ‘উইন-উইন’ বা ‘ক্ষতিহীন লাভ’-এর সংজ্ঞা হল  চিনের লাভবান হওয়া এবং অন্য দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে  ছেঁটে ফেলা – বিপরীতে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের জন্য ‘উইন-উইন’-এর অর্থ হল সারা বিশ্ব জুড়ে শান্তির বৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জয়।আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরের শুরুতে মোদী হয়ত মার্কিন সফরে যাবেন,সেক্ষেত্রে তাঁর সফরে প্রতিরক্ষা থেকে বিনিয়োগ পর্যন্ত একগুচ্ছ চুক্তির বাস্তবায়ন হলেও হতে পারে। পশ্চিম এশিয়া থেকে শুরু করে বিশ্বের সকলেই ভারত মার্কিন  সম্পর্কের উপর নিবিড় ভাবে নজর রাখবে এবং নিজস্ব অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত সীমাবদ্ধতার পরিসরের মধ্যে থেকেও দেশ দু’টির স্বার্থের সঙ্গে নিজেরা অভিযোজিত হবে। উদীয়মান ভারত এবং সুসংহত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যদি ফেরে তাহলে অতীত আর ভবিষ্যৎকে কলঙ্কিত করতে পারবে না।

একুশ শতকের বিশ্ব কেমন হবে, তা দেখার জন্য ইতিহাস ট্রাম্প এবং মোদীর দিকে তাকিয়ে থাকবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ভারতের বিদেশ নীতি নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক পটভূমির উপজাত হয়েছে যেখানে বিভিন্ন নেতৃত্ব, কূটনীতিক, সামরিক কর্মকর্তা এবং ভারতীয় প্রবাসীদের অবদান অসামান্য। এই ঐতিহাসিক পটভূমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ভারতের বিদেশ নীতির বিভিন্ন নীতি ও তত্ত্বের বৃদ্ধিকে অনেকাংশে প্রভাবিত করেছে। সেজন্য স্বাধীনতা-উত্তরকালে তিনটি মৌলিক উদ্দেশ্য অর্থাৎ জাতীয় নিরাপত্তা; অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বিশ্বব্যবস্থা ভারতের পররাষ্ট্রনীতির মূল বিষয় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাস বিশ্লেষণের পরে, কেউ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে যে মূল সমস্যাটি বিশ্বমঞ্চে ভারতের ভূমিকার সাথে সম্পর্কিত। মার্কিন নীতি নির্ধারকরা কখনই ভারতের চাওয়া অনুযায়ী উপযুক্ত জায়গা দেয়নি। আমেরিকান 'স্মল নেশন বিগ পাওয়ার' সিনড্রোমই এর পেছনে মূল কারণ। এই বিশ্বায়িত বিশ্বে, একটি বিষয় নিশ্চিত যে ভারতের জনসংখ্যা, বড় বাজার, সফ্টওয়্যার শক্তি এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বাসের প্রতি তার অঙ্গীকারের কারণে কেউই ভারতকে উপেক্ষা করতে পারে না। বিশ্বের একটি উন্নত সমাজের জন্য ভারত-মার্কিন সুসম্পর্ক সময়ের প্রয়োজন, সেটা দুই দেশকেই বুঝতে হবে।

0 Comments

Post Comment