পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার তিনটি অঙ্গ, আইনসভা, প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থা। সংবিধানের বিধিনিষেধের মধ্যে থেকে আইন প্রণয়ন করতে পারে আইনসভা, সেই আইন অনুযায়ী কাজ করার কথা প্রশাসনের। সুপ্রিম কোর্টের মতাদর্শ নিরপেক্ষ ও নির্ভীক বিচারকেরাই পারেন দেশে আইনের শাসনকে কার্যকরী করে তুলতে, শাসকের রক্তচক্ষু ও প্রলোভনকে উপেক্ষা করে। অতীতে ভারতীয় বিচারব্যবস্থা তথা সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ ক্ষেত্রে নতজানু হয়েছে শাসকের কাছে (যেমন জরুরি অবস্থার সময়ে), কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে, গত ৮ বছরে বিচারব্যবস্থা তথা সুপ্রিম কোর্ট ক্রমাগত শাসকের আদালতে পরিণত হচ্ছে, কোর্টে সলিসিটর জেনারেল সরকার পক্ষের হয়ে যা বলেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেটাই রায় হিসেবে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। সম্প্রতি দায়িত্ব নেওয়া প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের আপাত প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গীর রায়গুলির বিপ্রতীপে রয়েছে বাবরি-অযোধ্যা সংক্রান্ত, বা বিচারপতি লোয়ার মৃত্যুর পুনর্তদন্ত সংক্রান্ত অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক রায়। সংবিধানের উপরে ফ্যাসিবাদি আক্রমণের এই সঙ্কটমুহূর্তে সুপ্রিম কোর্ট কী অবস্থান গ্রহণ করে তার উপরে ভারতীয় গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ বহুলাংশেই নির্ভর করছে।

Read more


দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান চেয়ারটির একটি সাংবিধানিক ঐশ্বর্য রয়েছে। সংবিধান তাঁর কাছে পবিত্র এনসাইক্লোপিডিয়া। তার ছত্রে ছত্রে যেমন বিধানের মান্যতা আছে তেমনই বিচারব্যবস্থার নীতি- নৈতিকতা নিয়ে অনুসৃত নির্দেশের সার্বজনীনতাও আছে সম্যক ভাবে। সংবিধান প্রয়োগকারীদের যেমন একটি দায় থাকে তেমন তাকে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে জানা ও বোঝার একটি চর্চাও প্রাসঙ্গিক থাকে; তাতে সমর্থন জোগায় রাষ্ট্র। কিন্তু মাননীয় প্রধান বিচারপতি কি তাঁর অবসরের সময়ে, সেই সম্মান রক্ষা করতে পারলেন?

Read more